11/12/2025
পু'লি'শের জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা জানান, হ'ত্যা'র আগের দিন বাসার কিছু টাকা ও মালামাল খোয়া যাওয়া নিয়ে গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ বির'ক্ত ছিলেন। সেই বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা কা'টাকা'টি হয়। পরদিন কাজে গেলে আবারও তাঁকে চো'র অ''পবাদ দেওয়া হয়। গৃহকর্ত্রী তাঁকে পু''লিশে দেয়ার কথা বললে আয়েশা ক্ষি'প্ত হয়ে ওঠে এবং হা'তা'হা'তির একপর্যায়ে রান্নাঘরের ছু''রি দিয়ে তাকে আ'ঘা'ত করেন।
চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসাকেও ছু''রি'কাঘা'ত করেন। পরে বাসা থেকে দুটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালায় আয়েশা। এরপর নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বের হয়ে যান, যাতে শনাক্ত না হতে হয়।
ওদিকে, গ্রেপ্তারের পর আয়েশার স্বামী জামাল সিকদার রাব্বি বলেন, ‘ল্যাপটপ–মোবাইল চু'রি করতে গিয়ে তার ম্যাডাম ধরে ফেলায় সে ছু'রি মা'রে। যতক্ষণ ধইরা ছিল, ততক্ষণই ছু''রি দিয়া মারছে। পরে মেয়ে আইলে তাকেও মারে।'
আয়েশা এবং তার স্বামী– দুজনের জবানবন্দিতে কিন্তু দু'রকম তথ্য পাওয়া গেছে।
কিছু প্রশ্ন কিন্তু মনে এসেই যায়–
১.যেহেতু সে গৃহকর্মী এবং বোরকা পরে কাজে এসেছে এবং যাওয়ার সময় সে বোরখা পরেই যেতে পারত কিন্তু সে স্কুল ড্রেস কেন পরলো?
২. কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে যদি লায়লা আফরোজের উপর ক্ষি'প্ত হয়ে ছু'রি'কা'ঘা'ত করে তাহলে সে ছু'রি ব্যবহার করার সময় হঠাৎ হাতে গ্লাভস পরলো কিভাবে, কোথায় পেল?
৩.কাজের চার দিনই হয় সে বোরকা পরে, নয়তো মুখ ঢেকে বাসাটিতে কেন আসা-যাওয়া করেছে?
প্রতিটি কাজেই রহস্যের গন্ধ!
তবে আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বির বক্তব্য কতটা সঠিক সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
আসল রহস্য অবশ্যই বের হয়ে আসবে আশা করি।
সংগৃহীত