http://Www.Tariqulsazzi.blogger.com/

Tariqul Sazzib, Dhaka (2025)

23/08/2025

মানুষের সম্পর্কের মূলে থাকে ভালোবাসা, আস্থা এবং যত্ন। কিন্তু সম্পর্ক যখন অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণে পরিণত হয়, তখন তা স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ তৈরি করে এবং ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি করে দেয়। বিশেষত পুরুষরা সম্পর্কের মধ্যে যত্নকে স্বাগত জানায়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণকে অপছন্দ করে। কারণ যত্ন তাদের মধ্যে নিরাপত্তা ও শ্রদ্ধার অনুভূতি তৈরি করে, আর নিয়ন্ত্রণ তৈরি করে বিরক্তি ও বিদ্রোহ। এই বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে গবেষণা হয়েছে, যা স্পষ্টভাবে দেখায়—পুরুষের আবেগ ধরে রাখার আসল উপায় হলো যত্ন, নিয়ন্ত্রণ নয়।

গবেষণার আলোকে পুরুষের মনস্তত্ত্ব

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির (2019) একটি গবেষণা দেখায়, সম্পর্কের স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে পারস্পরিক যত্ন ও সমর্থন ৭৩% ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যেখানে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ কেবল ২১% ক্ষেত্রে সম্পর্ক ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞান বিভাগ (2021) বলছে, পুরুষরা যেসব সম্পর্কে মানসিক নিরাপত্তা, শ্রদ্ধা ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পান, সেখানে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অনেক বেশি স্থায়ী হয়।

ভারতের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সের একটি সমীক্ষা (2020) অনুযায়ী, যেসব দম্পতির সম্পর্কে স্ত্রী বেশি সহানুভূতিশীল ও সমর্থনশীল, সেই সম্পর্কে পুরুষের অবদান, দায়িত্ববোধ ও মানসিক স্থিরতা ৬৫% বেশি দেখা গেছে, তুলনায় যেসব সম্পর্কে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল।

কেন পুরুষ যত্নে থাকে, নিয়ন্ত্রণে নয়
যত্ন নিরাপত্তা দেয়: যত্ন মানে হলো সঙ্গীর সুখ-দুঃখে পাশে থাকা, যা পুরুষকে মানসিকভাবে যুক্ত রাখে।

নিয়ন্ত্রণ স্বাধীনতা কেড়ে নেয়: পুরুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ তাদের মনে বিরক্তি ও অবিশ্বাস তৈরি করে।
যত্ন আস্থা গড়ে তোলে: আস্থার ওপর দাঁড়িয়ে সম্পর্কের ভিত্তি দৃঢ় হয়।
নিয়ন্ত্রণ বিরোধ তৈরি করে: নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণে ছোটখাটো বিষয় থেকেও বড় ঝগড়া শুরু হয়।

বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ ও ভারতীয় সমাজে অনেক সময় স্ত্রী বা সঙ্গীরা মনে করেন, সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করলেই সে সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, নিয়ন্ত্রণ পুরুষকে মানসিকভাবে দূরে সরিয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একাধিক সামাজিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, পুরুষ যখন নিজের মতামত ও সিদ্ধান্তের জায়গা পায়, তখন সে সম্পর্কে আরও বেশি নিবেদিত হয়।

সমাধান ও করণীয়

সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখুন এবং স্বাধীনতা দিন

21/08/2025

ভুলতে না পারা এক অধ্যায় এর স্মৃতিময় ভালোবাসা
বাস্তবতা বা অতীত 🖤💔

“যাকে ভালোবাসা যায়… তাকে ঘৃণা করার পরও কি আবার ভালোবাসা যায়? মনে হয় যায় না। কিন্তু আসলে হয়তো যায়… কারণ ঘৃণাটাই তো জন্ম নেয় ভালোবাসার ভেতর থেকে।
যাকে আমরা একসময় নিজের চেয়ে বেশি আপন ভেবেছি, তার কোনো ভুল, কোনো বিশ্বাসঘাতকতা, কোনো অবহেলা— সেটা আঘাত করে গভীরতম জায়গায়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় ঘৃণা।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, যত ঘৃণা করি না কেনো, রাতের অন্ধকারে চোখ বন্ধ করলে সেই মানুষটাই ভেসে ওঠে… যাকে ঘৃণা বলি মুখে, মনের ভেতর এখনো তার জন্যই অপেক্ষা করি।
ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, তাহলে ঘৃণা কখনো শেষ কথা নয়। হয়তো সময় নেয়, হয়তো ক্ষত শুকাতে দেরি হয়… কিন্তু শেষমেশ, যাকে ভালোবেসে ছিলাম, তার জন্যই হৃদয় নরম হয়ে যায়।
হ্যাঁ… ঘৃণার পরেও ভালোবাসা ফিরে আসতে পারে। শুধু প্রশ্ন হলো— দুইটা হৃদয় কি আর আগের মতো একসাথে হাঁটতে পারে?”

“দুইটা হৃদয় কি আর আগের মতো একসাথে হাঁটতে পারে? হয়তো পারে… আবার হয়তো পারে না।
বিশ্বাস ভাঙলে, সেই ভাঙা বিশ্বাসকে জোড়া দিতে সময় লাগে, অনেকটা ভাঙা কাচের মতো— তুমি যতই গেঁথে রাখো, ভেতরের দাগটা থেকে যায়।
কিন্তু ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, তাহলে সেই দাগ নিয়েই আবার হাঁটা শুরু করা যায়। হয়তো আগের মতো সরল, শিশুসুলভ নির্ভরতা আর ফিরবে না, কিন্তু নতুন এক বোঝাপড়া জন্ম নেবে… যেখানে ভালোবাসা মানে শুধু হাসি নয়, বরং একে অপরের ভুলগুলো মেনে নেওয়া।
তাই আমি বলব… দুইটা হৃদয় আবার একসাথে হাঁটতে পারে— তবে আগের মতো নয়, একটা নতুন রূপে, যেখানে ভাঙা থেকে শেখা আর অশ্রুর ভেতর দিয়ে জন্ম নেওয়া দৃঢ়তা থাকবে।”

“সেকেন্ড টাইম… যদি ফিরে যাই, ওটা কি রিভেঞ্জ হবে? নাকি সত্যিকারের ভালোবাসা?
কখনো কখনো ফিরে যাওয়া মানে প্রতিশোধ নয়, বরং নিজের ভেতরের অসমাপ্ত ভালোবাসার কাছে হেরে যাওয়া। কারণ, আমরা যতই শক্ত হওয়ার ভান করি, হৃদয়ের গভীরে এখনো চাই— সেই মানুষটাকে আবার ধরে রাখতে।
কিন্তু ভয়ও থাকে… যদি আবারও ভেঙে দেয়? যদি আগের মতোই কষ্ট দেয়?
রিভেঞ্জ মানে তো তাকে কষ্ট দেওয়া, কিন্তু যদি ফিরে গিয়ে কষ্ট না দিয়ে বরং আবার জড়িয়ে ধরি? তাহলে সেটা প্রতিশোধ নয়, সেটা হবে নতুন করে ভালোবাসা।
হয়তো এবার ভালোবাসা হবে একটু পরিণত, হাসির সাথে কান্নার, ক্ষোভের সাথে মায়ার, ভাঙনের সাথে নতুন গড়ার।
তাহলে সেকেন্ড টাইম… প্রতিশোধ নয়, এটা ভালোবাসার শেষ সুযোগ— যদি দু’জনই সত্যি চেষ্টা করতে চায়।”

“ভালোবাসা থাকলে… কেনো ঘৃণাও করি? আসলে ঘৃণাটা জন্মায় ভালোবাসার ভেতর থেকেই। যাকে আমরা সবচেয়ে আপন ভেবেছি, তার কাছেই আমরা সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়ি।
হয়তো সে বিশ্বাস ভেঙেছে, হয়তো অবহেলা করেছে, কিন্তু সেই আঘাতটাও সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা তাকে ভালোবেসেছিলাম। যাকে ভালোবাসি না, তার জন্য তো কান্না আসে না… ঘৃণাও আসে না… শুধু নির্লিপ্ততা আসে।
তাই ভালোবাসার মানুষ যখন কষ্ট দেয়, তখন চোখে জল নামে, মন চিৎকার করে বলে—‘আমি আর চাই না তোকে।’ কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বুকের ভেতর আবার ফিসফিস করে— ‘তুই ছাড়া আমি থাকবো কিভাবে?’
এই যে দ্বন্দ্ব— ভালোবাসা আর ঘৃণার একসাথে থাকা, এই কান্না আর আবারও চাইবার টান— এটাই প্রমাণ করে ভালোবাসা আসলে কতটা সত্যি।”

“ভালোই যদি বাসি… তাহলে ঘৃণা কেনো? অভিশাপই বা কেনো?
আসলে… যত ভালোবাসা গভীর হয়, ততটাই গভীর হয় কষ্টের আঁচড়ও। যাকে সবচেয়ে আপন ভেবেছি, যার হাতে নিজের স্বপ্নগুলো তুলে দিয়েছি— যখন সে-ই ভেঙে দেয়, তখন হৃদয় থেকে রক্ত ঝরে।
সেই যন্ত্রণাই রূপ নেয় ঘৃণায়… অভিশাপে… কিন্তু ভেবে দেখো, এই ঘৃণাও কি আসলে ভালোবাসারই ছায়া নয়?
যদি ভালো না বাসতাম, তাহলে তো এমন ক্ষতই হতো না। অভিশাপ আসে তখনই, যখন ভিতরে ভিতরে এখনো একটা অদম্য টান থেকে যায়।
কখনো মনে হয়— ‘তুই সুখী হোস, তোর জন্যই আমার সব কান্না।’ আবার মুহূর্তেই মনে হয়— ‘তুই যেমন কষ্ট দিয়েছিস, তুইও তেমন কষ্ট পাবি।’
ভালোবাসার ভেতরেই আছে এই দ্বন্দ্ব। ঘৃণা, অভিশাপ—সবই আসলে ভালোবাসার আরেকটা মুখ, যেখানে মায়া আর ক্ষোভ একইসাথে শ্বাস নেয়।”

আমি কী করব?
দ্বিতীয় ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেবো? নাকি আগের জায়গাতেই পড়ে থাকব?
মন বলে—আগের জায়গায় পড়ে থাকো, কারণ যাকে একবার প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছিলে, তার জায়গা আর কেউ নিতে পারবে না। ওই স্মৃতি, ওই হাসি, ওই কান্না— সবকিছু মিশে গেছে তোমার রক্তে।
কিন্তু বুদ্ধি বলে— জীবন থেমে থাকে না কারো জন্য। যে তোমাকে হারিয়ে যেতে দিয়েছিল, তার জন্য বারবার ভেঙে পড়া মানে নিজের প্রতি অন্যায়। তাই দ্বিতীয় ভালোবাসার দরজায় যদি আলো জ্বলে, তাহলে হয়তো সেখানে পা বাড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রশ্নটা আসলে খুব সহজ— তুমি কি বারবার একই কষ্ট পেতে চাও, নাকি নতুন একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে চাও ভালোবাসা আবার কেমন রূপ নিতে পারে?
আগের জায়গায় পড়ে থাকা মানে— অতীতের ছায়ায় বন্দী হয়ে থাকা। দ্বিতীয় ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেওয়া মানে— নিজেকে নতুনভাবে বাঁচার সুযোগ দেওয়া।
তাহলে… সিদ্ধান্ত তোমার— অতীতের অভিশাপে ডুবে থাকবে, নাকি ভবিষ্যতের আলোতে নতুন করে হাঁটা শুরু করবে।”

🫰তরিকুল সজীব

20/08/2025

ছেড়ে যাওয়া কিংবা দেওয়া সম্পর্ক🤕

"হঠাৎই বুঝলাম, যাকে একদিন আমার সব বলে ভেবেছিলাম, আজ সে-ই নেই।
আমার পাশে যে হাতটা থাকার কথা ছিল, সে হাতটাই ফসকে গেছে অন্য কারও দিকে।
কথা ছিল, একসাথে চলবো, একসাথে লড়বো, একসাথে স্বপ্ন গড়বো…
কিন্তু এখন সেই সব প্রতিশ্রুতিগুলো শুধু স্মৃতি।
যে হাসির শব্দ একসময় আমার হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় সুর ছিল, আজ তা আমার বুকের ভেতর নিঃশব্দ প্রতিধ্বনির মতো বাজে।
অদ্ভুত না? মানুষ হারিয়ে গেলেও তার ছায়া রয়ে যায়।
তার দেওয়া কথা, তার বলা মিষ্টি মিথ্যে, সবকিছুই রয়ে গেছে আমার চারপাশে।
কিন্তু মানুষটা নেই।
আমি এখনো ভিড়ের মাঝে একা হেঁটে যাই,
মনে হয়—এই শূন্যতা কেউ দেখে না, কিন্তু আমি প্রতিটি নিঃশ্বাসে তা বয়ে বেড়াই।
হয়তো সময়ের সাথে সব মেনে নিতে শিখবো,
কিন্তু একটাই সত্যি রয়ে যাবে—
আমার ভেতরের আমি আর কখনো আগের মতো হবে না।"
🫰তরিকুল সজীব

04/08/2025

একটা কথা পড়েছিলামঃ

"We have wasted the best version of ourselves on someone who did not deserve it"

একটা সময় আমি নিজেও এটা বিশ্বাস করতাম। সত্যিই এমন মানুষের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি যে শেষমেশ কোনো মূল্য দেয় নি।

নিজের উপর নিজের অভিমান হতো খুব। মনে হতো, ভুল মানুষের জন্য নিজের সবটুকু আবেগ খরচ করে ফেলেছি, এরপর নিজের ভেতর আর কিছুই অবশিষ্ট রইলো না।

হুট করে একটা চমৎকার থিওরি পড়লাম। থিওরিটার নাম Return Theory.

আমাদের জীবনটা ছোট্ট একটা শহরের মতো। আমরা যখন নিজের ভেতরের সত্যিকারের ভালোবাসা উজাড় করে দিই, তখন ওটা একটা চিঠি হয়ে ঐ ছোট্ট শহরের বাতাসে ভেসে বেড়ায়।

মাঝে মাঝে সেই চিঠি ভুল ঠিকানায় ভুল মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। ভুল মানুষটা সেই চিঠি দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দেয়। কিন্তু সেই চিঠিটা এ শহর থেকে কখনো হারিয়ে যায় না।

পোষমানা পাখিটা যেমন বেলা শেষে ফিরে আসে, তেমন করে হারিয়ে যাওয়া চিঠিটাও ঠিকই পথ খুঁজে নেয়। হয়তো সময় লাগে। তবু একদিন সে এমন কারো কাছে গিয়ে পৌঁছায়, যে মানুষটা তার সারা জীবন অপেক্ষা করে গেছে অমন সত্যিকারের ভালোবাসার জন্য।

যে ভালোবাসা ভীষণ সুন্দর; যে ভালোবাসা মেঘের মতো সফেদ, কোমল; যে ভালোবাসা ভীষণ খরাতে নেমে আসা বৃষ্টির মতো প্রশান্তির।

একসময় পথ হারানো ভালোবাসা ঠিকই অমন একটা মানুষকে খুঁজে পায়, যে মানুষটা ভালোবাসাকে আগলে রাখতে জানে, যে মানুষটা ভালোবাসতে জানে। সেই মানুষটার হাত ধরেই ভালোবাসা ফিরে আসে আমাদের কাছে। সেখানেও অভিমান
হয় ভালোবাসা বাড়ে কমে নাহ ছুটে যায় ভালোবাসা ছাড়ে না
কিন্তু কখনোই সেই সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয় না খুব অল্প সময়ের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেম গুলো ভালোবাসা টুকু যত্নেই থেকে যায়
তার ও বুঝি বিচ্ছেদ হয়

আমি জেনেছি, কখনো নিজের শুদ্ধতম ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে আফসোস করতে হয় না।

Because nothing given with a good heart ever goes unnoticed by the universe.

কোনো একদিন কারো না কারো হাত ধরে ভালোবাসা ফিরে আসে। সেই তীব্র সুন্দর দিনটার জন্য একটুখানি অপেক্ষা বোধহয় করাই যায়!"
অবশান হলো কিহ? তার উত্তর জানা নেই,
🫰🦋আমি প্রজাপতি আয়ু খুব কম যাদের

30/07/2025

আমরা কি মানুষ আসলে সুখি 📍

"পৃথিবীতে 100 জনের মধ্যে মাত্র 33 জন নিজেকে সুখী
তাহলে বাকি ৬৭ জন কি সুখি নাহ 🥲

পৃথিবীতে সব চেয়ে ব্যবহৃত শব্দ hello,
হলেও সেকেন্ডে ব্যবহৃত শব্দ টা হয়তো
How are you... i am fine
কেমন আছো... হ্যা আমি ভালো আছি এই শব্দ টা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রকাশিত মিথ্যা কিংবা সত্য
(অভিব্যাক্তি)
তাহলে কি পৃথীবির সকল মানুষ কি এতটা টাই
ভালো.. এতো টাই হ্যাপি,
তাহলে অসুখ, বিসুখ, অশান্তি ক্লান্তি, নেই কি বিচ্ছেদ
মানুষ কি এতটা ই সুখি
তাহলে ধরুন
বাংলাদেশ এর নিরিখেই বাংলাদেশে আনুমানিক ৪০% মানুষ নিজেদের সুখী বলে মনে করে, তবে সম্পূর্ণ সুখী মানুষের হার ১০%
তাহলে ধরুন ৫০% মানুষ সুখি হলে, বাকি ৫০% মানুষ কেনো
বলে আমি ভালো আছি কেনো কি কারনে তাদের কি এমন সুখ
কিভাবে তারা ভালো আছি শব্দ টা বলে
তোমার প্রশ্নটা খুব গভীর ও বাস্তব— "মানুষ খারাপ থাকলেও কেন বলে 'ভালো আছি'?"
এখানে কিছু মানবিক, মানসিক এবং সামাজিক ব্যাখ্যা রয়েছে:
নিচে তা তুলে ধরা হলো :
১. নিজেকে শক্ত মনে করানোর চেষ্টা:
আমরা অনেক সময় ব্যথা চেপে রেখে বলি "ভালো আছি", যেন নিজেকে এবং অন্যকে বোঝাতে পারি— আমি এখনো ভাঙিনি, আমি টিকে আছি।
এটা একধরনের আত্মরক্ষামূলক মানসিকতা।
২. সামাজিক মুখ রক্ষা
সমাজে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করলে অনেক সময় সেটা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা বা অবহেলা হতে পারে। তাই মানুষ নিরাপদে থাকতে মুখে বলে — "ভালো আছি।"
৩. মানসিকভাবে নিজেকে বোঝানোর কৌশল:
মাঝে মাঝে মানুষ নিজের কষ্টটা স্বীকার করলে সেটা আরও বেশি ব্যথা দেয়। তাই অনেকে বারবার "ভালো আছি" বলে নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলতে চায়।
৪. কে শুনবে—এই হতাশা:
অনেকেই ভাবে, "বলেও তো কিছু হবে না", "কে আমার কথা বুঝবে?" তাই তারা আর কষ্টের কথা প্রকাশ করে না— শুধু বলে "ভালো আছি"।
৫. কারো কষ্ট না বাড়ানোর জন্য:
প্রিয়জন, বন্ধু বা পরিবারের মানুষকে কষ্ট না দিতে অনেকে তাদের কষ্ট লুকিয়ে বলে, "ভালো আছি", যাতে অন্যরা চিন্তিত
না হয়।
"পৃথিবীতে 100 জনের মধ্যে মাত্র 33 জন নিজেকে সুখী বলে দাবি করে। বাকি 67 জন হয়তো হাসছে, কিন্তু ভিতরে ফাঁকা। তবুও সবাই বলে — 'ভালো আছি'। কারণ, কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না।"

30/07/2025

চাঁদ ভাবে সে একা,
মানুষ ভাবে কেউ বোঝে না তাকে।
তারা দুজনেই আলো দেয়,
তবুও থাকে একাকীত্বে ঢাকা।

চাঁদ ঘুরে চলে পৃথিবীকে ঘিরে,
মানুষ ঘুরে চলে জীবন নামের গোলকধাঁধায়।
চাঁদের পাশে তারা,
মানুষের পাশে লোক—তবুও শূন্যতায় ভরা দুজনেই।
🕹️তরিকুল সজীব

30/07/2025

আচ্ছা, জীবনে কেনো মানুষ একটা জায়গায় থেমে থাকে না?”

১. ভাঙা আশার ধাক্কা থেকে পালানো:
মানুষ ভাবে, একটা জায়গায় থেমে গেলে হয়তো আবার কষ্ট পাবে, আবার কেউ ছেড়ে চলে যাবে। তাই সে থেমে না থেকে হেঁটে চলে — নতুন অভিজ্ঞতার খোঁজে নয়, বরং পুরোনো ব্যথা ভুলতে।
২. অতৃপ্তি আর অপূর্ণতা:
অনেক সময় আমরা একটা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেললেও শান্তি পাই না। মনে হয়, "আরো কিছু ছিল, আমি সেটা পাইনি।" তাই আবার ছুটে চলি — থেমে থাকলে মনে হয় বেঁচে নেই।
৩. জীবনের ধারা নিজেই গতিশীল:
জীবন মানেই পরিবর্তন। সময় থামে না। সম্পর্ক, কাজ, পরিস্থিতি, স্বপ্ন সব কিছুই বদলায়। কেউই চায় না সময়ের বাইরে পড়ে থাকতে।
৪. অভিমান আর অতীতের ক্ষত:
কিছু মানুষ এমন একটা জায়গায় থামতে চায়, যেখানে কারো হাত ছিল, কারো ভালোবাসা ছিল। কিন্তু সেই মানুষটাই যদি দূরে চলে যায়, তখন সে জায়গাটাও তিক্ত হয়ে পড়ে — আর সেখানে কেউ থামে না।
৫. নিজেকে খুঁজে চলা:
আমরা কেউই পুরোপুরি জানি না আমরা কে। নিজের ভেতরের ভালোবাসা, অভিমান, স্বপ্ন, সম্ভাবনা খুঁজতেই জীবনের পথে চলা — থেমে গেলে সেই খোঁজ থেমে যায়।
তবে সত্যি কথা কি জানো?
কখনো কখনো মানুষ থামে। কিন্তু সেটা চোখে পড়ে না, কারণ সে থামে ভেতরে — চুপিচুপি, নীরব এক যন্ত্রণার মাঝে।
🕹️তরিকুল সজীব

23/07/2025

তোমাদের সবাইকে আল্লাহ এমন একটা জান্নাত দিক.. যেমন জান্নাত আমরা কল্পনাও করতে পারার ক্ষমতা নেই
হে আল্লাহ 🤲

23/07/2025

গরম ভাতে গাল পু'ড়ে যাবে বলে ফু দিয়ে ভাত জুড়িয়ে দেয়া বাপ মা কিভাবে সহ্য করবে তার সন্তানের পো'ড়া দেহ?

21/07/2025

ভালোবাসা অভিরাম ♥️🇧🇩

18/07/2025

তোমার দেওয়া আঘাত আমি হয়তো সইতে পারবো নাহ।
কিন্তু…
তোমায় অন্য কারো হতে দিতেও পারবো নাহ।
হাজারো অভিমান জমে থাকুক…
লক্ষ কোটি অভিযোগ থাকুক…
তারপরও আমি তোমার দিকেই ফিরে আসবো।
কারণ,
তোমায় ছেড়ে যাওয়ার সাহস নেই।
আর তোমার থেকে সরে যাওয়ার শক্তিও নেই।
তোমার দরজায় যখন ফিরে আসবো—
ফিরিয়ে দিতে চাইলেও পারবে নাহ।
আমি দেবো নাহ।
আমি তোমাকেই চাই… আজীবন।"💛💙
তরিকুল সজীব

Tariqul Sazzib

23/08/2025

21/08/2025

20/08/2025

04/08/2025

30/07/2025

30/07/2025

30/07/2025

23/07/2025

23/07/2025

21/07/2025

18/07/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category