24/07/2025
আমি যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হই, তাহলে নিন্মের ১৯ টি কাজ করবো।
১. প্রতি ৫০ হাজার মানুষের জন্য একটি করে এম্বুলেন্স এবং প্রতি ১০ লক্ষ লোকের হিসেবে একটি করে হাসপাতাল করবো। এগুলো সম্পন্ন করার আগে কোনো সাবমেরিন, ট্যাংক, যুদ্ধবিমান কিনবো না।
২. ঢাকার সমস্ত সচিবালয়কে জেলায় জেলায় ট্রান্সফার করবো। যেমন, কৃষি মন্ত্রণালয় থাকবে ময়মনসিংহে, শ্রম মন্ত্রণালয় থাকবে গাজীপুরে। এভাবে প্রতি জেলায় জেলায় মন্ত্রণালয়। শুধু একটি জেলায় কোনো মন্ত্রণালয় থাকবে না, সেটা হচ্ছে ঢাকা জেলা। ঢাকা জেলায় মন্ত্রণালয় এবং চিড়িয়াখানা কোনোটাই থাকবে না। চিড়িয়াখানা সরিয়ে নেয়া হবে রাঙামাটি বা সিলেটে।
৩. প্রতি পাড়ায় পাড়ায় স্কুল থাকবে। প্রাইমারি এবং সেকেন্ডডারি স্কুল। নিজের পাড়ার স্কুলের বাইরে অন্য পাড়ার স্কুলে যাওয়া যাবে না। বাচ্চাদের স্কুল হবে এলাকাভিত্তিক। ওই এলাকার বাসিন্দা হলেই স্কুলে ভর্তি করা হবে। অন্য এলাকার স্কুলে ভর্তি হওয়া যাবে না।
৪. কোনো সরকারি কর্মকর্তা, এমপি, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যের অফিসে, বাড়িতে, বা গাড়িতে এসি থাকবে না। এ
মপিরা কাজ বাদ দিয়ে টকশোতে ঘুরে বেড়ালে টকশো প্রতি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এমপি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ফেসবুকে কোনো ছবি আপলোড দিলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
গরমের সময় স্যুট পরলে এমপি মন্ত্রীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমাণা। অকারণে ইংরেজি বললে ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
প্রেজেনটেশন দিলে, সেই প্রেজেনটেশনে কোনো ফল না আসলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং রাষ্ট্রীয় তিরষ্কার করা হবে।
৫. নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীতে বিশেষ মর্যাদা দেবো। নদীদুষণ ও নদী দখল করা যাবে না। মজে যাওয়া নদী, খাল, বিল উদ্ধার করা হবে। কেউ নদীতে একটা প্ল্যাস্টিকের বোতল ফেললে তাকে ১০ লাখ টাকা নগদ জরিমাণা, অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। বিচার হবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। ফুটেজে দেখা গেছে তো ইনস্টান্ট শাস্তি।
৬. প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি ৭ দিনের বেশি এক জায়গায় থাকবো না। প্রতি সপ্তাহে আমি দেশের নানান জায়গায় থাকবো। এলাকার লোক আমাকে হোস্ট করবে। বাই রোটেশন আমি ঘুরবো। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি কোনো উদ্বোধনী অনুষ্টানে যাবো না, কার্যালয়ে বসে অতিথিদের সাথে দাঁত কেলিয়ে ছবি তুলবো না। বইমেলায় গিয়ে যন্ত্রণা করবো না, বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন করতে যাবো না। যার যার কাজ, তাকে তাকে করার স্বাধীনতা দেবো।
৭. ২১ বছর হওয়ামাত্র সকল নাগরিককে বাধ্যতামূলক নাগরিক ট্রেনিংয়ে পাঠাবো। ২ মাসের বুনিয়াদি ট্রেনিং। এখানে তারা IQ, common sense, সদাচার, ভদ্রতা, ফেসবুকে কী লিখতে জিনিসটা খুব ক্রিন্জি হয়, শারীরিক ফিটনেস, রান্না, ড্রাইভিং, কাপড়ধোয়া, এবং গণতন্ত্র - এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হবে। এই ট্রেনিং পর এরা ভোটার হতে পারবে।
৮. ইন্টারড্রিস্টিক মেট্রোরেল চালু করবো। বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।
৯. খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো ''মিথ্যা কথা বলা'' বা '' মিথ্যা কাগজপত্র বানানো'' বা জালিয়াতি করাকে প্রথম শ্রেণীর অপরাধ হিসেবে গণ্য করে নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে।
১০. এমপি, মন্ত্রী, প্রধামন্ত্রী পদে নির্বাচন করলে, এবং নির্বাচিত হলে নিজের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের জিম্মায় ছেড়ে দিতে হবে। যতদিন ক্ষমতায় থাকবে রাষ্ট্রীয় বেতন বাদে অন্য কোনোভাবে সে বা তার ইমিডিয়েট ফ্যামিলি মেম্বার কোনো আয় করতে পারবে না। যারা সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজী, কেবল তারাই ইলেকটেড হতে পারবে ।
পরিস্থিতি যাতে এমন হয়, নির্বাচন করার জন্য কোনো প্রার্থী যেন সহজে খুঁজে না পাওয়া যায়।
এই পর্যন্ত লেখা : আসিফ ইনতাজ রবি ভাই।
সাথে আমারও কিছু মতামত আছে
১১. বি সি এস ক্যাডারদের দায়িত্ব দিতাম প্রাইমারি, মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়। যেন বেইজমেন্ট অনেক স্ট্রং থাকে।
১২. পুলিশ, ট্রাফিক সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলার নিয়ম শৃঙ্খলা ১০০% কঠোর করবো, এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখবো। নো মামা খালু, নো ভি আই পি ফোন কল।
১৩, সরকারি হাসপাতাল সহ সকল প্রতিষ্ঠান এর সেবা প্রাইভেট এর থেকে অনেক বেশি ভালো করতাম।
১৪. প্রাইমারি স্কুলের পর মাধ্যমিক স্কুল থেকে প্রফেশনাল এবং প্যাক্টিক্যাল কাজ শেখার সুযোগ করবো, এবং যে যে বিষয়ে ইন্টারেস্টেড সে সেই বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করবে। অপ্রয়োজনীয় লেখাপড়া বাদ দিয়ে দিবো, যেটা লাইফে কোন কাজেই আসে না।
১৫, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেক্টর বিভাগীয় প্রধান এর দায়িত্ব দিবো। বাংলায় গ্রাজুয়েশন করে হেলথ্ মিনিস্ট্রির দায়িত্ব পাবে এমনটা হবে না
১৬. কৃষিকাজ সরকারি সহোযোগিতা এবং টেকনোলজি ইউজ করতে পারে সেটার উপর বেশি গুরুত্ব দিবো। যাদের জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়।
১৭. পাবলিক ট্রান্সপোর্ট আধুনিকায়ন করবো এবং ইচ্ছা আর টাকা হলেই ব্যক্তিগত গাড়ি কিনে রাস্তায় জ্যাম বাধাবে এটা হতে দিবো না। গাড়ি কিনতে হলে আগে স্পেশাল পারমিশন লাগবে BRTA থেকে।
১৮. ফ্রিলান্সার, ক্রিয়েটিভ এবং যারা রেমিট্যান্স অর্জনের কাজ করে যাচ্ছে এদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা থাকবে যেমন ইন্টারনেট, ফিজিক্যাল ফিটনেস, মেডিকেল সাপোর্ট, ব্যাংকিং সুযোগ সুবিধা, নেক্সট লেভেল ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা।
১৯. বিদ্যুৎ বিল, বাড়িভাড়া, ডাক্তারদের ভিজিট, মেডিকেল টেষ্ট বিল সহ নিজেদের মত নির্ধারণ করে এদেরকে একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসা।
১১-১৯ পর্যন্ত আমার লেখা (সাব্বীর আহম্মেদ)
আমাকে আপনারা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
আমার গুরুকে জয়যুক্ত করুন