04/07/2025
🔔 আশুরার রোজা রিমাইন্ডার
এ বছর আশুরার রোজা রাখার দিন—
৯ মুহাররম ➤ ৫ জুলাই (শনিবার)
১০ মুহাররম ➤ ৬ জুলাই (রবিবার)
অথবা
১০ মুহাররম ➤ ৬ জুলাই (রবিবার)
১১ মুহাররম ➤ ৭ জুলাই (সোমবার)
আশুরা বলতে কী বোঝায়?
আশুরা শব্দটি আরবি ‘আশারাহ’ থেকে এসেছে। এর অর্থ দশ। আশুরা মানে দশম। ইসলামি পরিভাষায় মুহাররামের ১০ তারিখকে আশুরা বলে।
আশুরার রোজা রাখার সঠিক পদ্ধতি: সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো, আশুরার আগের দিন (৯ তারিখ) ও আশুরার দিন (১০ তারিখে) রোজা রাখা।
ইবনু আব্বাস (رضى الله عنه) বর্ণনা করেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদের) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, তখন লোকেরা বললো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা বিশেষ মর্যাদা দেয় তাহলে এমন দিনে আমরা রোজা রাখবো কেনো?
তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘‘আগামী বছর এই দিন আসলে, আমরা (আশুরার দিনের সাথে) ৯ তারিখেও রোজা রাখবো إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ বর্ণনাকারী বলেন, আগামী বছর আসার আগেই রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তেকাল হয়ে যায়। [ মুসলিমঃ ২৫৫৬]
কেউ চাইলে আশুরার দিন এবং এর পরের দিনও রোজা রাখতে পারেন। অর্থাৎ, মুহাররামের ১০ ও ১১ তারিখ।
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা ইহুদিদের বিরোধিতা কোরো—আশুরার আগে বা পরে আরও একদিন রোজা রাখো।’’ [মুসনাদে আহমাদঃ২১৫৪]
আশুরার রোজা দুইটি না রাখতে পারলে একটি রাখলে কি গুনাহ হবে?
আশুরার রোজা একটি রাখলে গুনাহ হবে না।
আশুরার রোযা মূলত ১০ই মুহাররমের রোযা। তবে এই রোযার সাথে আরো একটি রোযা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদীসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًا.
তোমরা আশুরার দিন রোযা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোযা রাখ। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ২০৯৫)
তাই ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুইদিন রোযা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মুহাররম রোযা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোযা হিসাবেই গণ্য হবে। তবে হাদীসের নির্দেশনার উপর আমল না করার জন্য মাকরূহ তথা অনুত্তম হবে।
-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪১৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৭; রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৫
উত্তম হলো, দুইটি রোজা রাখা। অর্থাৎ, আশুরার দিন এবং এর আগের বা পরের দিন। [ইবনুল কায়্যিম, যাদুল মা‘আদ]
আশুরার রোজার ফজীলতঃ
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
“আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি—তিনি (এর দ্বারা) পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।”
[তিরমিজিঃ৭৫২ ; ইবনে মাজাহঃ ১৭৩৮]
সংগৃহীত