15/08/2025
কেয়া ভিকারুননিসার মূল প্রভাতী শাখায় আমাদের সাথে পড়ত। গান গাইত। হ্যান্ডবল খেলত। স্কুল টিম থেকে টুর্নামেন্ট জিতে মেডেল পাইত।
কমবয়সে বিয়ে করে এরপর সংসার ছাড়া কিছু করতে পারে নাই। পুরা লাইফ স্যা"ক্রি"ফাইস করতে হইসে স্বামী আর তার ফ্যামিলির পিছে।
লোকটা বড়লোক ব্যবসায়ী ফ্যামিলির স্পয়েল্ড ব্র্যাট যার অনেক মা/থা গ"র"ম, একবার রা"গ উঠে গেলে নাকি থামানো মুশকিল। এবং লোকটা ক/ন্ড/মে বিশ্বাস করে না, তার নাকি "অরিজিনাল" ফী"ল চাই। চারটা বাচ্চা ওদের।
না, ভু"ল পড়েন নাই, আসলেই চারটা। কেয়া পড়তে বা বিজনেস খুলতে চাইলেই দেখা যাইত কিছুদিন পর আরেকবার প্রে"গ"ন্যান্ট।
কেয়াকে পিটাইত শু"ও"র-টা। ও বছরের পর বছর সব স"হ্য করসে, এর মধ্যেই চারটা বাচ্চা পালসে, কাউকে কিচ্ছু জানায় নাই। শুধু ফ্যামিলিকে বলসিলো, তারা বলসে মানায় নাও, এতগুলা বাচ্চা হয়ে গেসে! ও মানায় নিসে। ফেসবুকে হাসিমুখে ছবি দিসে, বন্ধুদের বলসে অনেক ভাল আছে।
শু"ও"র-টা কালকে রাতে পি/টা"ইতে পি"টা"ই-তে গ/লা টি/পে কেয়াকে মে/রে ফেলসে। এরপর সু"ই/সা"ই"ডের নাটক সাজাইসে।
কেয়া আর আমি একই গলিতে বড় হইসি। ওর সাথে শেষ দেখা আমার বৌভাতের দিন, নতুন জীবন যেন ভাল কা/টে আলাদা করে দোয়া করে গেসিলো।
কেয়ার সবচেয়ে ছোট বাচ্চাটার বয়স দেড় বছর। এখনো বু"কে"র দু/ধ খায়।
আমার পুরা পৃথিবী অর্থহীন লাগে। আমার সবকিছু জ্বা/লা"য় দিতে মন চায়।
>Anjila jerin Anjum