Joya 24

Joya 24 Trusted Online Media in Bangladesh

মায়ের নাম—খালেদা জিয়া               মো. শাহ্ জালাল কোনো এক ভোরে জন্ম নেননি কেবল নারী,জন্মেছিলো এক সাহসী হৃদয়, এক আগুনের ...
16/10/2025

মায়ের নাম—খালেদা জিয়া
মো. শাহ্ জালাল

কোনো এক ভোরে জন্ম নেননি কেবল নারী,
জন্মেছিলো এক সাহসী হৃদয়, এক আগুনের জ্বারি।
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলার গর্বিতা কন্যা,
বিপদের মাঝেও যিনি হয়ে উঠেন লক্ষ প্রাণের ধন্যা।

দুর্ভাগ্য ও দুর্দিনে যিনি হয়েছিলেন ঢাল,
নারী হয়েও যিনি লড়েছেন পুরুষের সমান চাল।
স্বামীর উত্তরাধিকার নয়, নিজের শক্তি,
গণতন্ত্রের রাজপথে বয়ে এনেছেন জ্যোতির দৃষ্টি।

জেল-জুলুম, অপবাদ, সত্ত্বেও ভাঙেননি মন,
তিনি তো "মা", যিনি ধারণ করেন জনতার ধন।
কোটি মানুষের ভালোবাসায় গড়া তাঁর সিংহাসন,
চেয়ারে নয়, হৃদয়ে বসেন তিনি, সেই তো আসল বিবেচন।

বেগম জিয়া মানে আত্মত্যাগ, মানে এক নারী-জাগরণ,
নারীর ক্ষমতায়নে যিনি নিজেই এক বিপ্লবের ব্যাখ্যাবরণ।
গণতন্ত্রের বাতিঘর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ,
বাংলাদেশ জানে, তিনিই জাতির শুদ্ধ প্রণোদ।

কবি
সরদার মোঃ শাহ্ জালাল
সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সৎ ও মেধাবী জুরিস্ট (আইনজ্ঞ), লেখক, বেহালাবাদক।

゚ ゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

এ ধরনের নিউজে জামাত-শিবির মানসিক অশান্তিতে থাকে, তাদের দিকটা একটু বিবেচনা করা উচিত! 😆😭🌾❤️🇧🇩
13/10/2025

এ ধরনের নিউজে জামাত-শিবির মানসিক অশান্তিতে থাকে, তাদের দিকটা একটু বিবেচনা করা উচিত! 😆😭🌾❤️🇧🇩

আগামীর বাংলাদেশ দেখবে জিয়াউর রহমানের আরেক প্রতিচ্ছবি জনাব তারেক রহমানকে।
09/10/2025

আগামীর বাংলাদেশ দেখবে জিয়াউর রহমানের আরেক প্রতিচ্ছবি জনাব তারেক রহমানকে।

---- অন্য রকম তারেক রহমান ----প্রায় ১৭ বছর পর গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা গেল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহম...
08/10/2025

---- অন্য রকম তারেক রহমান ----
প্রায় ১৭ বছর পর গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা গেল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। এর আগে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি তার দলের নেতৃত্বের শীর্ষে যেমন ছিলেন না, তেমনি অভিজ্ঞতার ঝুলিটাও এতটা সমৃদ্ধ ছিল না। আজকের মতো অনির্ধারিত প্রশ্নোত্তর, ১৭ বছরের লম্বা বিরতি, জমে থাকা হাজারো প্রশ্ন, বিব্রতকর জিজ্ঞাসা, ব্যক্তিগত পারিবারিক তথ্যানুন্ধান সুদীর্ঘ কথোপকথন এসব কিছুর মুখোমুখি হয়ে কতটা সপ্রতিভ থাকতে পারবেন তিনি, সে জিজ্ঞাসা ছিল অনেকেরই। শুরুতে আড়ষ্টতা কিছুটা ছিল না তেমন বোধ হয় বলা যাবে না। তবে সময় যত গড়িয়েছে ততটাই স্বচ্ছন্দে তিনি সব প্রশ্ন সামলেছেন।

পুরোটা দেখে সেটাই মনে হয়েছে উত্তর দেওয়ার সময় তার মাঝে কোনো অস্পষ্টতা ছিল না। তিনি অন্তর দিয়ে যেটা বিশ্বাস করেন, সেটাই বলেছেন নির্দ্বিধায়, প্রচলিত রাজনীতিতে অস্পষ্টতা রেখে, পরোক্ষ বা গা বাঁচানো উত্তর দেওয়াটাই যখন প্রায় প্রথাসিদ্ধ বলেই সবাই জানে। কোনো প্রশ্ন পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছেন, এমনও নয়, কথা বলেছেন বলিষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী অবস্থান থেকে, এটা তার অনুসারী, দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দীপ্ত করবে সন্দেহ নেই।

কথা বলার সময় তিনি যতটা না দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অবস্থান থেকে কথা বলেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি সচেষ্ট ছিলেন তার কথোপকথনে জাতীয় ঐক্যের সুরটা যেন আরো বেশি বলিষ্ঠ শোনা যায়। তার বক্তব্যের এই ধারা দেশের রাজনৈতিক সুস্থতার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। প্রতিপক্ষকে অনাবশ্যক আক্রমণের সুযোগ যেমন নেননি, ঠিক তেমনি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে এক সাধারণ মানুষের মতো ভদ্রোচিত অস্বস্তিতে ছিলেন, যেন তার কোনো কথাতেই আত্মম্ভরিতা বা অহংকার প্রকাশিত না হয়, শ্রোতা-দর্শকের কাছে তার এই অভিব্যক্তি নিশ্চয়ই নজর এড়াবে না। সাবেক রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর সন্তান, এমন সৌভাগ্যের সাথে জনগণকে তাচ্ছিল্য করার প্রচলিত সংস্কৃতির সাথে প্রায় অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া দর্শক-শ্রোতাকে আবারও সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়নি, সেটাও এই সাক্ষাৎকারে অন্যতম প্রাপ্তি।

তার দেশে ফেরা নিয়ে এত দিন যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে দলের নেতাকর্মীরা প্রায়ই অস্পষ্টতার আশ্রয় নিতেন আজকের সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই সেটা স্পষ্ট করেছেন অনেকটাই। বলেছেন, কিছু সংগত কারণে এখনো দেশে ফেরা হয়ে উঠেনি। এখন ফেরার সময় চলে এসেছে। দ্রুতই দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ। সেই সংগত কারণের মধ্যে নিরাপত্তা ছাড়াও হয়তো এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যেটা আমাদের মতো সাধারণের বোধের বিষয় নয়।

তবে তার বা জিয়া পরিবারের নিরাপত্তার সাথে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর বাংলাদেশের খোল নলচে বদলে যাওয়ার মতো ঝুঁকি যে আছে সেটা সম্ভবত সাধারণের অজানা নয়। স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? নির্বাচনের সময় জনগণের সাথে, জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাননি, সবিনয়ে যথার্থই বলেছেন, ‘এখানে মাস্টার মাইন্ড কোনো ব্যক্তি বা দল নয়। দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণই গণ-অভ্যুত্থানের মাস্টার মাইন্ড। এই উপলব্ধি সর্বজনীন হলে আমরা জাতীয় ঐক্যের অনেক কাছাকাছি পৌঁছতে পারতাম।’

পতিত স্বৈরাচারের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাবলীলভাবে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন, ‘নির্যাতনকারী প্রত্যেকের বিচার হতে হবে। এটা প্রতিশোধের বিষয় নয়। এটা ন্যায়ের কথা, আইনের কথা। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অন্যায় করে থাকলে দেশের আইন অনুযায়ী তারও বিচার হতে হবে।’ এই স্পষ্ট কথাগুলো বলে তিনি আওয়ামী লীগকে নিয়ে তার দলের বিরুদ্ধে তথাকথিত প্রশ্রয় বা নমনীয়তা নিয়ে যে অভিযোগ বা অনুযোগ রয়েছে সেটার নিষ্পত্তি তিনি কোনো রাখঢাক ছাড়াই করে দিয়েছেন।

আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তিনি প্রচলিত গৎবাঁধা কথার বাইরে যেতে পেরেছেন সেটাও এই পরিবর্তিত বাংলাদেশের জন্য নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ, ‘তাকেই মনোনয়ন দিতে চাই, যিনি তার এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, তরুণ, নারী, মুরব্বি, ছাত্র-ছাত্রী সবার সাথে যোগাযোগ আছে। জন সমর্থনকে যিনি তার সাথে রাখতে পারেন। আমরা দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করছি না বরং এমন মানুষ খুঁজে বের করতে চাই যার প্রতি এলাকার মানুষের সমর্থন রয়েছে, শুধুমাত্র দলের সমর্থন নয়, এমন মানুষ।’ তার কথায় প্রচলিত রাজনীতির চলমান ধারার বাইরের কথাগুলো তার অন্তরের কথা হলে আগামীতে দলের প্রার্থী নির্বাচনে আমরা ‘প্রকৃত’ যোগ্য প্রার্থীর সমাগম দেখতে পাব, এমন প্রত্যাশা রাখতে চাই।

পারিবারিক ধারাবাহিকতায় উত্তরাধিকার সূত্রে তার রাজনৈতিক উত্তরণ কি না? এমন স্পর্শকাতর প্রশ্নেও অভিব্যক্তির ভাবান্তর না ঘটিয়ে স্বাচ্ছন্দেই বলেছেন, বাংলাদেশের প্রচলিত রজনৈতিক ধারায় মামলা, নির্যাতন, পারিবারিক বঞ্চনা এগুলো যেমন স্বাভাবিক পুরস্কার—সেগুলোর প্রতিটি পর্বই তার জীবনে এসেছে নির্মমভাবে। জেলযাত্রার আগে সুস্থ মা জেল থেকে ফিরেছেন মারণব্যাধি সাথে নিয়ে। বিনা চিকিৎসায় বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছে একমাত্র ভাই। স্ত্রীকে বাংলাদেশে সম্মানজনক চিকিৎসা পেশায় সুযোগ বঞ্চিত হতে হয়েছে, একমাত্র কন্যা বঞ্চিত হয়েছে কৈশোর ও তারুণ্য থেকে। নিজে বঞ্চিত হয়েছেন নেতাকর্মী আর মায়ের সান্নিধ্য থেকে— এক দিন-দুই দিন নয়, পুরো দেড় যুগ। দূর প্রবাস থেকে চরম অসহায়ত্বে দর্শক হয়ে থেকেছেন যখন আশৈশব স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মায়ের অসম্মানজনক উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। আট হাজার কিলোমিটার দূর থেকে শুনেছেন কেমন চরম আক্রোশে সেই বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক অভিযাত্রায় তিনি যে জবরদখল করেননি সেটার ইতিহাসও সবার জানা। শুরু করেছেন তৃণমূলের কর্মী হিসেবে, তারপর ওয়ান-ইলেভেনের যন্ত্রণা সয়েছেন যখন দলের যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

বিবিসির সাক্ষাৎকারে সম্মানের সাথে মা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অপরিহার্যতার কথা তুলে ধরেছেন। সাক্ষাৎকারের অবিশিষ্টাংশ শুনতে পেলে হয়তো শেষের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ থাকবে। তবে প্রচলিত রাজনৈতিক কদর্যতা, চরিত্রহনন আর অশ্লীল আক্রমণের বাইরে একটা শোভন সাক্ষাৎকারের স্মৃতি শ্রোতা-দর্শক অনেক দিনই মনে রাখবেন।

শেষকথা, একজন জাতীয় নেতার কাছে জনগণ যে আন্তরিকতা খুঁজতে চান তারেক রহমান সে প্রত্যাশার কাছাকাছি নিজেকে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন আন্তরিক। আর বিব্রতকর বা স্পর্শকাতর বলে এত দিন যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা অস্বস্তি বোধ করতাম তিনি সেগুলো এত পরিষ্কার আর প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপন করেছেন যে, প্রচলিত রাজনীতিতে আজ যাঁরা হেভিওয়েট তারা জনগণের মনের গভীরে স্থান নিতে চাইলে তাদের নিজেদের বদলাতেই হবে।

লেখক :
অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল
আহ্বায়ক - বিএনপি মিডিয়া সেল।

অধ্যাপক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল --- জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত সহযোগী, বিএনপির প্রজ্ঞার প্রতীক। “যেখানে অন্যরা ক্ষমতার লোভে র...
07/10/2025

অধ্যাপক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল --- জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত সহযোগী, বিএনপির প্রজ্ঞার প্রতীক।

“যেখানে অন্যরা ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করে,
তিনি সেখানে আদর্শ আর যুক্তিকে হাতিয়ার বানিয়েছেন।”

অধ্যাপক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল স্যার - এমন একজন মানুষ, যিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন, রাজনীতি মানে শুধু বক্তৃতা নয়; এটা এক ধরনের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি একজন দক্ষ চিকিৎসক, অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী, এবং সবচেয়ে বড় কথা, একনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক।

চিকিৎসা পেশায় তিনি দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন, উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, আর বহু তরুণ চিকিৎসকের শিক্ষক হিসেবে জ্ঞান বিতরণ করেছেন। মানুষের সেবা আর দায়িত্ববোধ তাঁর জীবনের মূল শক্তি। কিন্তু এখানেই তাঁর পরিচয় শেষ নয়।

তিনি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর - বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হিসেবে প্রতিদিন লড়ে যাচ্ছেন যুক্তি, তথ্য আর আদর্শের যুদ্ধ। বিভিন্ন টেলিভিশন টকশো, সভা-সমাবেশ, আর সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তিনি দলের অবস্থান তুলে ধরেন ঠান্ডা মাথায়, পরিষ্কার যুক্তিতে, সম্মানজনক ভাষায়।

ডা. পাভেল স্যার বিশ্বাস করেন - শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” হলো এই দেশের আত্মার প্রতিচ্ছবি। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের প্রতি অবিচল শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করেন। আমার কাছে তিনি শুধু একজন নেতা নন, বরং একজন চিন্তার মানুষ - জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত হাতিয়ার ও বুদ্ধিজীবী সৈনিক।

আজ বিএনপি যখন নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে, তখন তাঁর মতো শিক্ষিত, আদর্শবান, চিন্তাশীল নেতৃত্বের প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তাই আমি বিশ্বাস করি - অধ্যাপক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল স্যারকে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে নেওয়া এখন সময়ের দাবি। তিনি হবেন দলের জন্য জ্ঞানের আলো, যুক্তির দিশা, আর আদর্শের এক মজবুত ভিত্তি।

তিনি আমাদের গর্ব। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা তিনি আমাদের বিশ্বাস। বিজয় হোক শহীদ জিয়ার আদর্শের। সাফল্য হোক জাতীয়তাবাদী চেতনার। জয়ী হোক সত্য, ন্যায় ও স্বাধীনতার রাজনীতির।

লেখক
সরদার মোঃ শাহ্ জালাল
সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সৎ ও মেধাবী জুরিস্ট (আইনজ্ঞ), কবি, বেহালাবাদক।


শহীদের নাম - জিয়া  মো. শাহ্ জালাল শান্ত বিকেলের এক বিপ্লবী ডাক,স্বাধীনতার ছায়ায় গাঁথা এক মুক্ত পাখি,রণাঙ্গনের বুকে যে বা...
04/10/2025

শহীদের নাম - জিয়া
মো. শাহ্ জালাল

শান্ত বিকেলের এক বিপ্লবী ডাক,
স্বাধীনতার ছায়ায় গাঁথা এক মুক্ত পাখি,
রণাঙ্গনের বুকে যে বাজিয়েছিলো দামামা,
সেই তো শহীদ জিয়া—বাংলার আত্মার নামা।

চোখে ছিলো দৃপ্ত স্বপ্ন, হাতে ছিলো তলোয়ার,
বাঙালির মুক্তির গান গেয়েছিলেন বারবার।
একটি ঘোষণা, একটুকু আশা—
জেগে উঠেছিলো জাতি, গড়েছিলো ভাষা।

দেশপ্রেম যার ধমনীতে, দুঃসাহস যার ঢাল,
শত্রুর বুকে বাজিয়ে দিয়েছেন বিজয়ের জ্বলন্ত নিশান।
নেতা নয়, প্রেরণা তিনি—সাহসের আগুন,
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে বাজিয়েছিলেন যুদ্ধের ধুন।

নিঃস্ব রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে থাকা,
উন্নয়নের পথে যার ছিলো সত্যের রেখা।
স্বাধীনতা-পরবর্তী অন্ধকারে
আলো হয়ে এসেছিলেন, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।

জিয়া মানে সংগ্রাম, জিয়া মানে শক্তি,
তাঁর আদর্শে আজও জাগে লক্ষ হৃদয় নিক্তি।
তুমি নেই, তবুও আছো, প্রাণে বিশ্বাসে,
বিএনপির প্রতিটি ধ্বনি বাজে তোমারই সাহসে।

কবি
সরদার মোঃ শাহ্ জালাল
সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সৎ ও মেধাবী জুরিস্ট (আইনজ্ঞ), লেখক, বেহালাবাদক।

゚ ゚

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও আমাদের অগ্রগতির পথ।বাংলাদেশ আজ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক...
16/09/2025

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও আমাদের অগ্রগতির পথ।

বাংলাদেশ আজ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় আগে এই দেশের জন্ম হয়েছিল স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজও আমরা সেই স্বপ্নকে পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে পারিনি। আর ২০২৪ সালের আন্দোলন ও ত্যাগ—ছিল সেই স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দেওয়ার লড়াই। আমি নিজে “জুলাই ৩৬ এর যুদ্ধা” হিসেবে রাজপথে জনগণের পাশে থেকে লড়াই করেছি; এ সংগ্রাম কেবল একটি দলের নয়, এ সংগ্রাম গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত গড়ে তুলেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি জাতিকে আত্মনির্ভরশীলতার পথে নিয়ে গিয়েছিলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর অবদান আজও বাংলাদেশের মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আজও তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের প্রতীক।

আজকের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে কাজ করছেন। তাঁর নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক, সুশাসনভিত্তিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।

আজ দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে। সাধারণ মানুষ চায় শান্তি, কর্মসংস্থান, সাশ্রয়ী বাজার, ন্যায্য বিচার। তরুণেরা চায় কর্মসংস্থানের সুযোগ, মুক্তভাবে মতপ্রকাশের অধিকার। গ্রামীণ মানুষ চায় ন্যায্য দাম, কৃষির সুরক্ষা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা।

শহুরে মানুষ চায় যানজট, মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্নীতি থেকে মুক্তি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়—মানুষের আসল চাহিদার চেয়ে রাজনীতির কোলাহল বেশি জোরালো হয়ে ওঠে। বিভক্তির রাজনীতি আমাদের জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করে দেয়।

গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার

গণতন্ত্র মানে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ঘুরে বেড়ানো নয়, বরং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা, মানুষের কণ্ঠস্বরকে শোনা এবং তার মর্যাদা দেওয়া। ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা—এসবই একটি আধুনিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। যে দেশে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয় না, সে দেশে জনগণের আস্থা জন্ম নেয় না।

ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ও বিএনপির ভূমিকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—

১. জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।

২. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও গুম-খুনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, যাতে মানুষ আশার আলো দেখতে পারে।

৪. আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই— যেখানে মানুষ ভয় নয়, আশার কথা বলবে।

৫. যেখানে তরুণেরা হতাশ নয়, স্বপ্ন নিয়ে এগোবে।

৬. যেখানে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক—সবাই সমান মর্যাদা পাবে।

৭. যেখানে দলীয় বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্য তৈরি হবে।
৮. বিএনপির স্বঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের সুযোগ পায়, তবে জনগণের রায়ে ক্ষমতায় এসে দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিএনপির লক্ষ্য হবে—মানুষকে নিরাপদ জীবন, তরুণদের কর্মসংস্থান, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য, শ্রমিকদের অধিকার ও সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

আমাদের প্রজন্ম আর বিভেদের রাজনীতি চায় না। আমরা চাই পরিবর্তন, চাই উন্নতি, আমরা চাই ন্যায়। স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়িত হোক মানুষের জীবনে। রাজনীতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য—ভয় সৃষ্টি করার জন্য নয়।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম ও তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে। আর আমি—একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার জীবন উৎসর্গ করেছি গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

আমাদের রাজনীতি যদি মানুষের জীবনে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে না পারে, তবে সেই রাজনীতি সফল নয়। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। এ দেশ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়—এ দেশ ২০ কোটি মানুষের।

–––
লেখক
সরদার মো. শাহ্ জালাল
সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সৎ ও মেধাবী জুরিস্ট (আইনজ্ঞ),কবি,বেহালাবাদক।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ইংবিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৮তম কা...
11/09/2025

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ইং
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৮তম কারামুক্তি দিবস।

২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাড়ি থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আদালত জামিন নামঞ্জুর করলে সংসদ ভবন এলাকার একটি বাড়িকে সাবজেল ঘোষণা করে সেখানে তাকে রাখা হয়। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় কারাবাসের পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পান।




মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. প্রফেসর ইউনুস সাহেব সংস্কার করতে যেয়ে আওয়ামী লীগের সাথে-জামায়াতের পূর্ণবাসন করেছেন অপ্রত্যা...
10/09/2025

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. প্রফেসর ইউনুস সাহেব সংস্কার করতে যেয়ে আওয়ামী লীগের সাথে-জামায়াতের পূর্ণবাসন করেছেন অপ্রত্যাশিতভাবে। যাহা ডাকসু প্রশাসন দেখলেই বুঝা যায়। যে সকল ছাত্র সংগঠন ডাকসু ফলাফলকে বর্জন করেছ, তোমরা হাইকোর্টে যেয়ে দেখো ওইখানের আইন কতটুকু সঠিক অবস্থানে আছে? স্বৈরাচার আর রাজাকার নিজেদের স্বার্থে একাকার। অনেক ইউটিউবার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বলেছেন, ইন্ডিয়ার পরাজয় হয়েছে ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে, তারা ভুল বলেছেন কারণ জামাত সাধারণত কাজ করে ইন্ডিয়ার হয়ে। জামাতের আমির ইতিপূর্বে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর ভারত-বিরোধিতা ধারণা ভিত্তিহীন।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি চাই কর্মীদের মধ্যে। আমার প্রশ্ন হলো-প্রশাসন এত কিছু করল, ভোট কারচুপি করল, তোমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেন আঙ্গুল চুষলে? তোমাদের দুর্বলতা কোথায়? ভোট গণনার রুমে সাদিকরা ঢুকে যায় আর তোমরা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে চিল্লাপাল্লা করো? তোমাদের দুর্বলতা কোথায়(২)? সাহস আর তেল থাকলে হয় না, ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা, কৌশলী, মেধাবী হতে হয় এবং প্রচুর পরিমাণে স্টাডি করতে হয়।

আমি একজন সাধারন মানুষ হিসেবে বুঝেছি, হাসিনা মার্কা এই প্রশাসন দিয়ে কোন নির্বাচন করা সম্ভব নয় (তার সাথে প্রশাসন হিসেবে যোগ হয়েছে জামাত-শিবির)। তাহলে আপনারা এত বড় নীতিনির্ধারক, বড় বড় নেতা, বুদ্ধিজীবী আপনারা কেন বুঝলেন না? এখনো সময় আছে বিএনপি'র একটি গবেষণা সেল তৈরি করুন। কেন্দ্রীয় নেতাদের থামান এবং যারা এমপি হওয়ার মোহ নিয়ে আলেয়ার পিছনে দৌড়াচ্ছে তাদেরকেও থামান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের আদেশ-নিষেধ মেনে চলুন। স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে-কেন্দ্রীয় নেতা পর্যন্ত একেক জন একেক রকম বক্তব্য প্রদান করবেন না, সবাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান'কে কপি(Copy) করবেন। দেশের মানুষকে ভালবাসুন, দলকে ভালোবাসুন, তেল পরিহার করুন, মহান স্বাধীনতার ৭১'র স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করুন। আর বেশি কিছু বললাম না!

এই বাক্যটি সব সময় মনে রাখবেন- "শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম আর তারেক রহমানের নেতৃত্ব—এটাই বিএনপির শক্তি, এটাই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আশা।"

লেখক
____ সরদার মোঃ শাহ্ জালাল ____
সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, অনলাইন এক্টিভিষ্ট, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটি।

৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর ১৮তম কারামুক্ত দিবস।
03/09/2025

৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর ১৮তম কারামুক্ত দিবস।

বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা ও আজকের রাজনীতি ***১৯৭১ সালে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছে আমাদের। এম...
01/09/2025

বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা ও আজকের রাজনীতি
***

১৯৭১ সালে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছে আমাদের। এমনকি স্বাধীনতার ঘোষণাও দিতে পারেনি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। মেজর জিয়া যখন স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন নিজেকে এবং তাঁর পরিবারকে চরম বিপদের ঝুঁকিতে ফেলে; তখন আওয়ামী নেতৃত্ব আত্মসমর্পণ আর পলায়নে ব্যস্ত। কেউবা বিমানে পাকিস্তানের পথে, কেউবা মেহেরপুরের গন্তব্যে আর তরুণ নেতৃত্ব বুড়িগঙ্গার ওপারে মোস্তফা মহসিন মন্টু’র বাসায় বেতারে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা শুনছেন। অন্য দিকে সারাদেশে নিরস্ত্র মানুষের লাশের স্তূপ জমছে- দেশের সকল প্রান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে। সংগঠিত হয়ে এদেশের মুক্তিকামী তরুণেরা গেরিলা যুদ্ধের পাল্টা চোরাগোপ্তা আক্রমণ নিয়ে মাঠে আসতে আসতে মে-জুন অব্দি গড়িয়েছে, যদিও সেই তরুণদের মাঝে আওয়ামী বা ছাত্রলীগ-যুবলীগ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা ছিল নিছকই অপচেষ্টা। তারা তখন জেনারেল উবান-এর ‘ডিম তত্ত্ব’ বাস্তবায়নে নৈনিতাল- দেরাদুনের নাতিশীতোষ্ণ পাহাড়ে মুজিব বাহিনীতে প্রশিক্ষণরত। বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে যুদ্ধ করেছে দেশের সাধারণ ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক এরাই। তারপরেও সবকিছু ভুলে শুধুমাত্র স্বাধীনতার আকর্ষণে দেশের মানুষের অবিশ্বাস্য ঐক্য সম্ভব করেছে ডিসেম্বরের বিজয়। যদিও এ দেশের মাটিতে জন্ম নেয়া একদল সকল সুযোগ থাকার পরেও মুক্তিযোদ্ধার পরিবর্তে স্বাধীনতা বিরোধী আর রাজাকার-আলবদর হওয়ার কালিমা মেনে নিয়েছে স্বেচ্ছায়।

ডিসেম্বরে বিজয়ের মুহূর্তে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ঐক্যকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলো আওয়ামী নেতৃত্ব। তারা উড়ে এসে হঠাৎই স্বাধীনতার একমাত্র দাবীদার হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারালেন। বিজয়ের শুরুতেই এলো বিভক্তি। এমন স্বাধীনতা চাইনি বলে আওয়ামী লীগেরই একাংশ বিভক্তিতে গড়লো ‘জাসদ’। আব্দুর রব আর শাহজাহান সিরাজের নেতৃত্বে- আওয়ামী লীগের তথাকথিত ‘মাস্টার মাইন্ড’ সিরাজুল আলম খান নতুনভাবে ‘মাস্টারমাইন্ড’ হয়ে আবির্ভূত হলেন এই বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহীদের পক্ষে।

অবিসংবাদিত জাতীয় নেতা হবার দূর্লভ সুযোগ হারালেন শেখ মুজিব। একবার রাষ্ট্রপতি, আরেকবার প্রধানমন্ত্রী, তারপর আবারও রাষ্ট্রপতি পদের সাথে যুক্ত হতে থাকলো তার নাম। বিধ্বস্ত বাংলাদেশ তখন এক চরম নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য, দেশের মানুষ পাকিস্তানিদের ফুটন্ত কড়াই থেকে আওয়ামী লীগের জ্বলন্ত আগুনে পতিত হলো। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ, অভাব আর দুর্ভিক্ষ, রাস্তায় রাস্তায় অনাহারে মৃতদের লাশের স্তূপ। জনতাকে স্তব্ধ করতে মাঠে নামলো কুখ্যাত ‘রক্ষী বাহিনী’ নামের এক আতঙ্ক। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো সম্ভাবনাময় তারুণ্যকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। অসহিষ্ণু সরকার কোনো প্রতিবাদই সহ্য করতে পারছিল না, ভিয়েতনামে যুদ্ধ অবসানের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে গুলিতে নিহত হলো দু’জন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে জাসদের মিছিল পরিণত হলো লাশের মিছিলে। অরাজকতার কফিনে শেষ পেরেক হয়ে এলো ১৯৭৫-এর জানুয়ারিতে এক দলীয় ‘বাকশাল’। নিষিদ্ধ হলো সকল রাজনৈতিক দল, কন্ঠরোধ হলো সংবাদপত্রের, বিনা জবাবদিহিতায় সংসদের মেয়াদ বেড়ে গেল পাঁচ বছর। অবশ্য এর আগে ’৭৩-এ সংসদ নির্বাচনে ব্যালট চুরির মহোৎসব দেখার সৌভাগ্য হয়েছে দেশবাসীর।

এলো আগস্ট ১৯৭৫, সপরিবারে নিহত হলেন শেখ মুজিব, ক্ষমতায় এলো তারই বিশ্বস্ত সহযোগী খন্দকার মুশতাক, সংসদের স্পিকার মালেক উকিল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন- “দেশ ফেরাউন মুক্ত হয়েছে”। ইতিহাস আসলেই বড় নির্মম।

আগস্ট পরবর্তীতে বিশৃংখল সেনাবাহিনীতে তখন অভ্যুত্থান আর পাল্টা অভ্যুত্থান ছিল নিত্য সঙ্গী। দেশপ্রেমিক সাধারণ সৈনিক এমন অরাজকতার মাঝে ঘটালো এক অভাবনীয় বিপ্লব। ৭ নভেম্বরে সংঘটিত হলো- ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার বিপ্লব। রাষ্ট্রের পাদ-প্রদীপে আবারও এলেন জিয়াউর রহমান জাতির মুক্তির দূত হয়ে। দায়িত্ব পালনের সংক্ষিপ্ত সময়ের মাঝেই ঘটালেন অবিশ্বাস্য পরিবর্তন। দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ পরিণত হলো- খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে, মুক্ত হল অবরুদ্ধ সংবাদপত্র, অবারিত হলো রাজনৈতিক চর্চা। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল- এমন একটি রাজনৈতিক দলের যাঁরা যার আদর্শে হবে উদার মধ্যপন্থী, দৃঢ় থাকবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, মর্যাদা দেবে ধর্মীয় বিশ্বাসকে, ঐক্যবদ্ধ করবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের সকল মানুষকে, মর্যাদা দেবে নারীদের, কর্মসংস্থান করবে যুবকদের, সমমর্যাদার সম্পর্ক থাকবে সকল রাষ্ট্রের সাথে, অগ্রাধিকার পাবে যোগ্যতা আর দেশপ্রেম, শূন্য সহনশীলতা থাকবে অনিয়ম আর দুর্নীতির প্রশ্নে। জিয়া জণ-প্রত্যাশাকে অসম্মান করেননি, গড়েছেন তাদেরই প্রত্যাশার রাজনৈতিক দল “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি”। ১৯৭৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার রমনা রেস্তোরায় ঐতিহাসিকভাবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসী দল হিসেবে। যে দল সকল মতাদর্শের মানুষকে ধারণ করতে পারে। তিনি শুধু বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেননি, একই সাথে শেখ মুজিবের হাতে মৃত আওয়ামী লীগেরও পুনর্জন্ম দিয়েছেন। তারপর ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় বিএনপি’র নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, সকল ক্ষেত্রেই এসেছে অপ্রত্যাশিত সাফল্য, প্রবর্তিত হয়েছে স্বাধীনতা-একুশে পদক। নির্মিত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, তারপরেও মুক্তিযোদ্ধার দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র দাবীদার হয়ে ওঠেনি। যেমনভাবে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযুক্ত করেও বিএনপি এ দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীকে ধর্মের নামে ব্লাক মেইলিং-এর সস্তা পথে হাঁটেনি। জিয়া শহীদের মর্যাদায় প্রয়াত হয়েছেন, জনগণ তাকে অন্তিম বিদায় জানিয়েছে সর্ববৃহৎ জানাযার মাধ্যমে ।

পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া দলের দায়িত্ব নিয়েছেন এক কঠিন সময়ে- দলকে করেছেন সুসংহত, স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছিলেন সম্মুখ নেতৃত্বে, আপোষহীন ইমেজে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়, তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সকল আসনেই বিজয়ী হবার এক অনন্য রেকর্ড গড়েছেন, শিকার হয়েছেন এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের, কারাবরণ করেছেন মিথ্যা মামলায়, নির্জন কারাগারে আক্রান্ত হয়েছেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। তারপরেও পরম সহিষ্ণুতা আর সংযম তাকে আজ দেশনেত্রীর চাইতেও উচ্চতর আসনে বসিয়েছে। আজ তিনি কোন দলের নন, আজ তিনি এই দেশের সবচাইতে সম্মানিত ব্যক্তি। সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে দেশের মানুষের বিশ্বাস আর আস্থার অভিভাবক।

কারারুদ্ধ হবার পর বিএনপি’র শীর্ষ দায়িত্বে আসেন জনাব তারেক রহমান, এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীদের রোষানলে নির্যাতনের তীব্রতায় প্রায় পঙ্গুত্বকে জয় করে আট হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও দলকে পরিচালিত করেছেন পরম দক্ষতায়। যার ফলশ্রুতিতে গত সতের বছরের নির্যাতন, হত্যা, গুম, জেল-জুলুম, মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়েও লক্ষ কোটি নেতা-কর্মী সমর্থকেরা পরিচয় দিয়েছেন এক অবিশ্বাস্য ঐক্য আর আনুগত্যের। শত নির্যাতনেও তারা ছিলেন- অনড়, একজনও আদর্শচ্যুত হয়ে দলত্যাগ করেননি, সতের বছর ধরে উত্তপ্ত প্রতিবাদের লাভা মহা-বিস্ফোরণে উদগিরিত হয়েছে চব্বিশের আগস্টে, এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে ।

আজ আমরা এক নির্বাচনের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে দেশের মালিকানা দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেবার অপার সম্ভাবনার অপেক্ষায়, ফেব্রুয়ারি ২০২৬ অপেক্ষমান জাতির সামনে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, সেই প্রত্যাশার মেঘমুক্ত নীল আকাশে ভীতির মেঘের ইতস্তত আনাগোনা শংকিত করছে দেশের মানুষকে। অর্থহীন পি.আর পদ্ধতির অবাস্তব দাবী তুলে জামায়াতে ইসলামী যেমন গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সুযোগ করছে, ঠিক তেমনি আরেক পক্ষ অপ্রয়োজনীয় গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলে গণতন্ত্রের পথযাত্রাকে অনিশ্চিত করার প্রেক্ষাপট রচনা করছে। সাধারণ মানুষ এসবের কোনটাই পছন্দ করছে না।

গত কয়েক মাস ধরে ঐক্যমত কমিশনের এতো দীর্ঘ আলোচনার পর এমন বিভক্তি সাধারণ মানুষকে শুধু বিরক্তই করছে মাত্র। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে এমন বিভক্তি কেনো মেনে নেবে সাধারণ মানুষ? তাদের চাওয়া একটাই, দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের কাছে ফেরত দিতে হবে, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচিত করতে চায়, কারণ তারা জানে দীর্ঘ মেয়াদের অনির্বাচিত সরকার যে-কোনো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য সম্মানজনক নয়, তারা এটাও জানে আগামী ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রে উত্তরণ কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হলে আবারও অনিশ্চিত সময়ের জন্য এদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বন্দীতে অবরুদ্ধ হবে।

এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর বোধোদয় অপরিহার্য। গুটিকয়েক উচ্চাভিলাসী প্রজ্ঞাহীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের হঠকারিতায় দেশের ১৮ কোটি মানুষ আবারো কারারুদ্ধ আর বাকরুদ্ধ হবেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি কেনো মেনে নেবে সাধারণ মানুষ?

তারা কি এই সরল সত্যটা বোঝেন না যে, পলাতক স্বৈরাচার এখনো পরাজয় মেনে নেয়নি, এখনো অনুতপ্ত নয় তারা, দেশের মধ্যে থাকা তাদের অবিবেচক আর অন্ধ অনুসারীরা এখনো সুযোগের সন্ধানে। তারা কি বোঝেন না যে- পি.আর পদ্ধতির নামের এই বিভক্তি আর গণ-পরিষদের দাবিতে বিপরীত অবস্থানের অনৈক্যের সুরে পাশের দেশে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারের মলিন মুখে হাসির রেখা ফুটে ওঠে! তারা কি বোঝেন না ভিপি নূর রক্তাক্ত হলে কিংবা যমুনামুখী ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রদের মিছিল অবরুদ্ধ হলে সেই হাসি অকর্ন বিস্তৃত হয়। তারা কি বোঝেন না এদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন আস্ফালন করে বলে, ফেব্রুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করা হবে, তারা যখন নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান- তখন স্বৈরাচারের হাসি অট্টহাসিতে পরিণত হয়?

প্রবাদ আছে ‘নিজের নাক কেটেও অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার’। আপনারা নিজেদের নাক কাটুন সমস্যা নেই, কিন্তু জনগণের প্রত্যাশার গণতন্ত্রে উত্তরণের সুবর্ণ সুযোগ আগামীর নির্বাচনের যাত্রা নির্বিঘ্ন করুন, দয়া করে গনতান্ত্রিক উত্তরণের যাত্রা ভঙ্গ করবেন না। একজন চিকিৎসকের ভুলে একজন রোগীর মৃত্যু হতে পারে, একজন প্রকৌশলীর ভুলে একাধিক মানুষের প্রাণ যেতে পারে, একজন পাইলটের ভুলে শত মানুষের মৃত্যু হতে পারে কিন্তু একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ভুলে ১৮ কোটি মানুষের অধিকারের মৃত্যু হতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বিঘ্নিত হলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রের ভবিষ্যৎ কতো দীর্ঘ সময় মহাকাশের কালো গহ্বরের আড়ালে অন্তরীণ হয়ে থাকবে, সেটা হঠকারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলেও সাধারণ মানুষের কাছে সেটা দূর্বোধ্য নয়। আর তেমন হলে ইতিহাস তাদের কি পরিনতি নির্ধারণ করবে সেটা ইতিহাসের জন্য তোলা থাক কিন্তু জনগনের শিক্ষা কেমন হতে পারে সেটা নিশ্চয়ই বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। অন্য দিকে রাজনৈতিক দল গুলোর সামনে আগামী ফেব্রুয়ারিতে এক মহিমান্বিত গনতান্ত্রিক উত্তরণে মহানায়ক হবার দূর্লভ সুযোগ। এখন সিদ্ধান্ত আপনাদেরই নিতে হবে, আগামীতে তারা মহানায়ক হিসাবে নন্দিত হবেন, নাকি আস্তাকুঁড়ের আবর্জনায় নিন্দিত হবেন।

লেখক : অধ্যাপক মওদুদ আলমগীর পাভেল
আহ্বায়ক, বিএনপি মিডিয়া সেল

29/08/2025

তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন -
সাবেক ছাত্রনেতা "সরদার শাহ্ জালাল"

ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ৭টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান রাজ ভাই আজ সিএমএম কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে নিম্ন আদালত তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। আমরা এই অবৈধ রায় ও বিচার মানি না, তারপরেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের প্রিয় ভাই, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের লড়াকু সৈনিক, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী, ২৫০টিরও বেশি মামলার আসামি, বিএনপির রাজনীতির সাথে যার প্রায় ৩০ বছরের গভীর সম্পর্ক এবং দীর্ঘ ১৬ বছর যিনি জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, গুম, নির্যাতন-নিপীড়ন, ঘর-বাড়ি ছাড়া ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, বারবার রাজপথে থেকে গ্রেফতার হয়েছেন, সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক সভাপতি - তেজগাঁ কলেজ ছাত্রদল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সফল সভাপতি, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সম্মানিত সদস্য, হাজার হাজার যুবকের হৃদয়ের স্পন্দন ও অজস্র নেতাকর্মী তৈরি করার কারিগর, জিয়া পরিবারের ভ্যানগার্ড খ্যাত, সৎ ও সাহসী নেতৃত্ব, ঢাকার কৃতি সন্তান মিজানুর রহমান রাজ ভাইয়ের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

#রাজ_ভাইয়ের_নিঃশর্ত_মুক্তি_চাই

Address

Dhaka
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Joya 24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share