Arsh & Family

Arsh & Family kid's daily life vlog!

সূরা আরাফ শুরু করলামআরাফে একটা ইন্টারেস্টিং ফেক্ট পেলামছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি যে  আখিরাতের পরিণাম হলো বাইনারিহয় জান্না...
14/08/2025

সূরা আরাফ শুরু করলাম

আরাফে একটা ইন্টারেস্টিং ফেক্ট পেলাম

ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি যে

আখিরাতের পরিণাম হলো বাইনারি

হয় জান্নাত নয় জাহান্নাম

অথচ এই সুরার মাধ্যমে আমাদের জানানো হলো যে

না!

জান্নাত আর জাহান্নামের মাঝামাঝিও আরেকটা লোকেশন আছে

লোকেশনটার নাম আরাফ!

এই জায়গার নাম অনুসারেই এই সূরার নাম করন

"আরাফ" হবে তাদের জন্য

যারা এতটাও ভালো কাজ করেনি যেঁ জান্নাতের টিকেট পেয়ে যাবে

আবার এতটাও খারাপ কাজ করেনি যেঁ জাহান্নামে যেতে হবে

এ যেন মিডেল ক্লাসদের চরণ ভূমি!

এই আরাফবাশি সবসময়ই আশায় থাকবে যে

তাদেরকে যেন কোন না কোন সময় জান্নাতে আপগ্রেড করা হয়. [১]

এই আরাফ ছাড়াও হাশর আরেকটা ইম্পর্টেন্ট ফেক্ট আমাদের অনেকেরই অজানা

আর সেটা হলো কান্তারা!

আমরা মনে করি

"কোনো রকমে পুলসিরাত পার হইতে পারলেই বাঁচি!"

ভুল!

পুলসিরাত পার হতে পারলেই জান্নাত নয়

পার হতে পারলে অপেক্ষা করবে মুমিনদের জন্য ফাইনাল পরীক্ষা।

হাশরের দিনে বিশাসীদের বিচার হবে দু বার

এক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পূর্বে

আরেক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পরে

জি ঠিকই শুনেছেন

পূর্বের বিচার হবে

"স্রষ্টার হক নষ্ট করার বিচার"

আর পরের বিচার হবে

"বান্দার হক নষ্ট করার বিচার"

আর যে জায়গাটায় বিচারটি হবে

সেই জায়গাটির নামই হলো "কান্তারা"

আল-কান্তারাহ হলো সিরাতের পর আরেকটি ছোট সিরাত

বিস্বাসীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে

তারা এই কান্তারার উপর দিয়েই প্রবেশ করবে

এবং স্রষ্টা এই কান্তারার উপরেই মুমিনদের মধ্যকার আন সেটেলড ইস্যুস গুলো রিসোলভ করবেন [২]

কল্পনা করুন,

একজন ব্যক্তি আল-কান্তারাহ-তে জান্নাতের দরজার অলমোস্ট দ্বারপ্রান্তে

অথচ সে সেথায় ঢুকতে পারছে না

কারণ তার সব সৎকর্মগুলো যা নিয়ে নিয়ে সে বড়াই করতো সব শেষ

উলটো তাকে জাহান্নামে টেনে নিয়ে হচ্ছে

সেই হতোভাগাকে আপনি তখন কী বলবেন?

আমার রাসুল অবশ্য সেই হতভাগা কে ডিফাইন করেছেন "মুফলিস" হিসেবে

"মুফলিস" অর্থ হলো দেউলিয়া বা ব্যাংকরপ্টড

রাসূল বলেছেন

“তোমরা কি জানো , কে আসল দেউলিয়া?”

সাহাবারা উত্তর দেন

“যার কাছে অর্থ বা সম্পদ কিছুই নেই সে ইয়া রাসূলুল্লাহ?”

রাসূল বললেন

“না! আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি

যেই ব্যক্তি কিয়ামতের দিনে অনেক নামাজ, অনেক রোজা ও অনেক সদকা নিয়ে উপস্থিত হবে

অথচ সে দেখতে পাবে যে

সে ঐ দিনে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে কারণ জীবদ্দশায়

সে অন্যদের গালি দিয়ে বেড়াতো

অন্যদের অপবাদ দিয়ে বেড়াতো

অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াতো

অন্যের রক্তপাত ঘটিয়ে বেড়াতো এবং

অন্যকে প্রহার করে বেড়াতো

আজ তার সব সৎকর্মগুলো ভুক্তভোগীদেরকে ট্র্যান্সফার করে দিতে হচ্ছে

শুধু তাই না

যদি তার ভালো কাজগুলো ক্ষতিপূরণ গুলোকে কভার করতে না পারে

তাহলে তাদের পাপ গুলোও তাঁর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে

এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” [৩]

তাই বলছি

আপনার যারা নামাজ রোজা সাদাকার পাশাপাশি

আপনার মুখের স্পিচ দিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে বেড়াচ্ছেন

কিংবা আমল দিয়ে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াচ্ছেন

তাদের জন্য একটাই কথা

দেখা হবে বন্ধু

দেখা হবে কান্তারায়!

লেখা সামিউল হক হাফি.


©

হেদায়েত কেন হারিয়ে যায়?আল্লাহ তায়ালা কেবল তাঁর বাছাইকৃত বান্দাদেরই হেদায়েত দান করেন। হেদায়েত আল্লাহ তায়ালার অনুগ্...
09/08/2025

হেদায়েত কেন হারিয়ে যায়?

আল্লাহ তায়ালা কেবল তাঁর বাছাইকৃত বান্দাদেরই হেদায়েত দান করেন। হেদায়েত আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ। হেদায়েত পাওয়ার পর তা ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আল্লাহর কিছু বান্দাকে দেখা যায় হঠাৎ খুব ইবাদত বন্দেগী করছেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি হেদায়েত হারিয়ে ফেলেন, ইবাদতে আগের মত স্পৃহা পান না। এর উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ নিম্নরূপ:

(১) ফিতনা:
হেদায়েত পেলেই কারো জান্নাত নিশ্চিত নয়। হেদায়েতপ্রাপ্তকে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। নানারকম ফিতনা তার সামনে আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফিতনা হলো বিপরীত লিঙ্গের ফিতনা। এসব ফিতনা থেকে বাঁচতে চোখের হিফাজত করা ও ফিতনায় পড়লে আল্লাহর দেওয়া শিক্ষার অনুযায়ী আচরণ করা জরুরি।

(২) দ্বীনদারদের সান্নিধ্যে না থাকা:
অনেকে হেদায়েত পাওয়ার পর ব্যক্তিজীবনে কেবল নামাজকে ধরে রাখেন। ইসলামের ফরজ জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করেন না, দ্বীনি মাজলিসগুলোতে যান না, আলেমদের সাথে থাকেন না। সরাসরি আলেমদের থেকে জ্ঞানার্জন করতে না পারলে অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শোনা যেতে পারে।

(৩) সঠিক পদ্ধতিতে জ্ঞানার্জন না করা:
সদ্য হিদায়াতপ্রাপ্ত অনেককে দেখা যায় ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে অনেক গভীর বা ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে পড়ে আছেন যেগুলো সম্পর্কে তার প্রাথমিক জ্ঞান নেই। কেউ হয়তো নাস্তিকদের সাথে তর্কে জড়াচ্ছে, কেউ বা শিয়া রাফেজিদের নিয়ে পড়াশোনা করে বিভ্রান্ত হচ্ছে। অথচ প্রত্যেকের জন্য জরুরি হলো দ্বীনের মৌলিক বিষয় যেমন : ঈমান, আকীদা, সালাত, পবিত্রতা, কুরআন, হাদীস, আখলাক ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা।

(৪) অহংকার করা:
অনেকেই হিদায়াত পেয়ে অহংকারী হয়ে ওঠেন, অন্য মুসলিম ভাইবোনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। পোশাক, চলাফেরা, গুনাহ কিংবা ইবাদতের দৈন্যতা নিয়ে তাদের সমালোচনা করেন, খাটো চোখে দেখেন, জাহান্নামী বলে কটাক্ষ করেন। কে হাফপ্যান্ট পরে মসজিদে এলো, কে কানে দুল পরে মসজিদে এলো, কার হিজাব পরিপূর্ণ না ইত্যাদি দোষত্রুটি ধরা শুরু করেন। এতেও হেদায়েত হারিয়ে যায়।

(৫) দুআ না করা:
অনেকেই ভাবেন হেদায়েত চিরস্থায়ী। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে দোয়া শিখিয়েছেন,
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক, হেদায়েত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরকে পুনরায় বাঁকা করে দেবেন না এবং আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ৮)
নবীজী সাঃ ও হেদায়েত ধরে রাখার জন্য অনেক দোয়া করতেন যেমন: يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك
অর্থাৎ, হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর অবিচল রাখুন।
সুতরাং হেদায়েত ধরে রাখতে অধিক পরিমাণে দোয়া করা জরুরি।

(৬) নিয়মিত তাওবাহ ইস্তিগফার না করা:
মানুষ হিসেবে নিজের অজান্তেই আমাদের অনেক গুনাহ হয়ে যায়। এসব গুনাহ থেকে বাঁচতে ও নিজের হেদায়েতকে নবায়ন করতে নিয়মিত তাওবাহ ইস্তিগফার করা জরুরি। গুনাহের জন্য নিয়মিত ক্ষমা প্রার্থনা না করলে গুনাহ জমতে জমতে মানুষ একসময় হেদায়েত থেকে ছিটকে পড়ে।

হারিকেনের মৃদু আলোকে যেমন বাতাস থেকে রক্ষা করতে হয়, চিমনির ভেতর অনেক যত্ন আগলে রাখতে হয়, তেমনি হেদায়েত ধরে রাখার জন্য এর যত্ন ও পরিচর্যা করা জরুরি।

©

আল্লাহর সুন্দর নাম সমূহ।
18/07/2025

আল্লাহর সুন্দর নাম সমূহ।

03/07/2025
20/06/2025
17/06/2025

সমস্ত আমলের মূল হলো নিয়ত। মানুষ তার নিয়তের বরকতে এমন মর্যাদা পেতে পারে, যা তার আমল দ্বারা অর্জন করা সম্ভব নয়।(অথচ আমাদের নিয়ত ই থাকে খারাপ )

[ইবনুল মুবারাকের 'আয-যুহদ', হাদীস নং ৬৩]

15/06/2025
পাগড়ি পোশাকের একটি সুন্নত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত যেসকল পোশাক ব্যবহার করতেন পাগড়ি সেগুলো...
30/10/2024

পাগড়ি পোশাকের একটি সুন্নত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত যেসকল পোশাক ব্যবহার করতেন পাগড়ি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং ওনার প্রিয় পোশাক ছিলো। আমার ও পাগড়ি অনেক পছন্দের।(মাম্মি তার ওর্না দিয়ে পাগড়ি বানিয়ে দিয়েছিল)

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Arsh & Family posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Arsh & Family:

Share