31/10/2025
আমি এখন যে বাসায় থাকি তাতে আমার ছেলে প্রতিদিন রাতে হঠাৎ চিৎকার করে উঠে যেত। বুঝতে পারলাম এই বাসায় জ্বীন আছে। যদিও প্রত্যেক বাড়িতেই জ্বীন থাকে। প্রত্যেক বাথরুমেই জ্বীন থাকে; প্রত্যেক বেসিনের ভিতর জ্বীন থাকতে পারে, শহর হোক বা গ্রাম। এমন না যে শহরের বাথরুমে জ্বীন থাকবেনা। এজন্যই বাথরুমে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ অথবা বাথরুমের দোয়া পড়ে ঢুকা উচিত। অনেকেই মনে করে এই যুগে জ্বীন নেই। তারা মূলত কুরআনের বিপরীতে কথা বলে।
তো যাই হোক, পরপর ৩/৪ দিন এভাবে চিৎকার করে আমাকে অথবা তার মাকে ধরে ফেলত। তারপর সেদিন রাত থেকে টানা সুরা বাকারা চালাতে থাকি মোবাইলে। আল্লাহর রহমতে আমার ছেলে তখন থেকে এই এক মাসের মধ্যে আর কখনো চিৎকার করেনি। সুরা বাকারা এখনো প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমানোর সময় চালিয়েই ঘুমাই।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন —
> "তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানিও না। যে ঘরে সুরা আল-বাকারা পাঠ করা হয়, সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করে না।"
— (সহীহ মুসলিম, হাদীস: 780)
🔹 অর্থাৎ:
যে ঘরে নিয়মিতভাবে সুরা আল-বাকারা পাঠ করা হয়, সেখানে শয়তান (বা জিন জাতীয় অশুভ আত্মা) অবস্থান করতে পারে না।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন —
> "যখন তোমাদের কেউ ঘরে প্রবেশ করে, আর প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম (বিসমিল্লাহ) উচ্চারণ করে এবং খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, তখন শয়তান বলে: ‘আজ রাতে তোমাদের জন্য না আশ্রয় আছে, না খাদ্য।’ কিন্তু যদি কেউ ঘরে প্রবেশ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করে, তখন শয়তান বলে: ‘তোমরা আশ্রয় পেয়েছ।’ আর যদি খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করে, তখন সে বলে: ‘তোমরা আশ্রয় ও খাদ্য দুটোই পেয়েছ।’”
— (সহীহ মুসলিম, হাদীস: 2018)
🔹 অর্থাৎ:
যদি কেউ “বিসমিল্লাহ” না বলে ঘরে প্রবেশ করে, তখন শয়তান সেই ঘরে প্রবেশ করে।
যদি খাওয়ার সময়ও বিসমিল্লাহ না বলে, তখন শয়তান তার সাথে খেয়ে ফেলে।
এছাড়াও ঘরে জ্বীন শয়তান থাকার আরো কিছু কারণ আছে। যেমন:
√ ঘরে বাদ্যযন্ত্র থাকলে।
√ ঘরে ছবি, মূর্তি, পুতুল, ছবি সম্বলিত কাপড়, জীব-জন্তুর ছবি ইত্যাদি।
√ ঘরে বিসমিল্লাহ বলে বা সালাম দিয়ে প্রবেশ না করলে।