22/07/2025
একটি বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারের কাছে, জীবনের কাছে। তাঁর হাতে ছিল নিজের জীবন বাঁচানোর সুযোগ, কিন্তু জরুরি পরিস্থিতিতে প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেওয়ার পরিবর্তে, তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তাঁর বিমানটি ছিল পুরনো F-7, একটি যুদ্ধবিমান যা ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা নয়। কিন্তু দুর্নীতি এখনও আমাদের দেশের আকাশে উড়ছে, এবং এই দুর্নীতির বোঝা বহন করছে আমাদের প্রজন্মের সাহসীরা।
তৌকির আকাশে মারা যাননি; তিনি আগেই মরে গিয়েছিলেন— যেদিন বাজেট চুরি হয়েছিল এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই আধুনিক প্রশিক্ষণ চালাতে হবে।
এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি— নিরাপত্তা কিংবা বিকল্পের অভাব ছিল। কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, এবং এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শুধু তৌকির নয়, আরও অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা।
আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
আমরা আশা করি, যেন আর কোনো তরুণ তৌকিরকে মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়।