Muslim Day Planner

Muslim Day Planner Day Planner, Yearly Planner, Dua Planner, Note Books.

যদি প্রশ্ন করা হয় ‘জীবন আমদের কাছে এত মূল্যবান কেন ?’
উত্তরটা হয়তো একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হবে। কেউ হয়তো বলবে “জীবন তো একটাই। যতটা উপভোগ করার তা-তো এই এক জীবনেই করতে হবে। জীবনে যত স্বপ্ন আছে, সব তো এই এক জীবনেই পূরণ করতে হবে। ইত্যাদি”...
আমরা যদি একটু খেয়াল করি তাহলে দেখতে পাবো, “জীবন একটাই”—এটা এখানে মূল ফোকাস না। বরং এখানে মূল ফোকাস হলো, এই ‘এক জীবনে’ জীবনটাকে উপভোগ করা।
যদি তাই হয়, তাহল

ে অবশ্যই ভেবে দেখার দরকার আছে, আমরা যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করি, আমাদের ক্ষেত্রেও প্রশ্নটির উত্তর একইরকম হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না? কারণ আমরা তো বিশ্বাস করি—‘জীবন যদিও একটাই, তবে এটাই জীবনের শেষ নয়। এর পরে আরেক জীবন আছে। আখিরাত—যেটা চিরস্থায়ী। যার কোনো শেষ নেই। এই ‘এক জীবন’ হলো সেই সীমাহীন জীবনের পরীক্ষা-পর্ব। এটা কোনো উপভোগের জায়গা নয়। বরং, ভালো বা মন্দ কাজের মাধ্যমে চিরস্থায়ী সেই আখিরাত জীবনে, নিজের ভালো বা মন্দ অবস্থান তৈরির পরীক্ষা ক্ষেত্র। আর এজন্যই ‘এই জীবন’ আমাদের কাছে এত মূল্যবান।
পরীক্ষার হলের মতোই জীবনের নির্দিষ্ট সময় নিমিষেই ফুরিয়ে যায়। জীবন সময়ের এই বিরামহীন ধাবমানতার জন্যই জীবন আমাদের কাছে পরম মূল্যবান। সময় অনন্ত, কিন্তু জীবন সীমাবদ্ধ। ‘জীবন থেকে যে সময় একবার চলে যায় তা আর ফিরে পাওয়া যায় না’—একজন মুসলিমের জীবনে সময়ানুবর্তিতার গুরুত্ব বোঝার জন্য, এই একটা সত্য বুঝতে পারাই যথেষ্ট।
কিন্তু আমরা ক’জন বুঝি আমাদের সময়গুলো আসলেই কতটা গুরুত্বপূর্ণ? সত্যিই বুঝলে, আমাদের তো উচিত ছিল কিশোরবেলার সেই পরীক্ষার দিনগুলির মতো দৈনন্দিন জীবনের রুটিন লিখে সদা চোখে পড়ার মতো জায়গায় সেঁটে রাখা। কিন্তু সবকিছু বোঝার পরেও, খুব করে চাইলেও আমরা অনেকেই হয়তো পার্থিব ব্যস্ততার চাপে রুটিন-মাফিক প্রোডাক্টিভ হয়ে চলতে পারি না। আপনার-আমার, আমাদের সবার এই ‘না পারা’-কে ‘পারা’-তে পরিণত করতে, সামনের সময়গুলো বেহিসাবে নষ্ট না করে প্রোডাক্টিটি ও সময়নিষ্ঠতার সহিত ব্যয় করার একটি সুশৃঙ্খল বন্দোবস্ত করতেই ‘মুসলিম ডে প্লানার’ টিমের পথচলা।

মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর মা তাঁর সন্তান জন্মের সময় একটা খুব সুন্দর দোয়া করেছিলেন।তিনি আশা করেছিলেন যে তার একটি ছেলে...
30/09/2025

মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর মা তাঁর সন্তান জন্মের সময় একটা খুব সুন্দর দোয়া করেছিলেন।

তিনি আশা করেছিলেন যে তার একটি ছেলে হবে, যে মসজিদে ইবাদতের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিবেদিত থাকবে। কিন্তু যখন তাঁর কন্যা সন্তান হলো, তখন তিনি তার নাম রাখলেন মারইয়াম এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন, যেন তিনি তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করেন।

খেয়াল করলে দেখবেন এই দোয়াটি কেবল সেই নবজাতক কন্যার জন্যই ছিল না, যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী হবেন; বরং এটি তাঁর ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্যও ছিল।

আর সেই ভবিষ্যৎ বংশধর আর কেউ নন, তিনি হলেন মহান রাসূল ঈসা (আলাইহিস সালাম)!

আপনি আপনার সন্তানের জন্য কি দোয়া করেন?

30/09/2025

দিনের সবচেয়ে সুন্দর এবং স্নিগ্ধ দুইটা সময় হলো ফজরের পরের সময়টা আর মাগরিবের আগের সময়টা।

গরম যতই হোক না কেন, এই দুইটা সময়ে একটা প্রশান্তির পরিবেশ নেমে আসে। সবকিছুর ভেতর থাকে কোমলতা আর নমনীয়তা।

কিন্তু আমাদের জীবন থেকে এই ভোর আর শেষ বিকেল প্রায় হারিয়ে গেছে। দারুণ এই দুইটা সময়ের একটায় কেটে যায় ঘুমিয়ে, আরেকটায় আটকে থাকি ঢাকার ট্রাফিক জ্যামে।

আপনি শেষ কবে ফজরের পর আধাঘণ্টা কোনো মাঠে বা সবুজ-ঘেরা জায়গায় হেঁটেছেন? অথবা বিকেলটাকে মন ভরে উপভোগ করেছেন?

আধুনিক নগরজীবন আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে বটে, কিন্তু যা কেড়ে নিয়েছে, তার সংখ্যাও কি কম?

আপনার ভোরগুলো হোক সুন্দর, বিকেলগুলো হোক উপভোগ্য।

— উসামা আদনান

আপনি কখনো ভেবেছেন,কাজগুলো না লিখে শুধু মাথায় ঘুরালে কেন সবকিছু ভারী লাগে?কারণ আপনার মস্তিষ্ক সবকিছু একসাথে ধরে রাখে।"এটা...
28/09/2025

আপনি কখনো ভেবেছেন,
কাজগুলো না লিখে শুধু মাথায় ঘুরালে কেন সবকিছু ভারী লাগে?
কারণ আপনার মস্তিষ্ক সবকিছু একসাথে ধরে রাখে।

"এটা করবো, ওটা করবো" বলে মনে চাপ নিতে থাকেন।কিন্তু কিছুই ঠিকমতো শেষ হয় না।

আসলে কাজ এড়িয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।
বরং কাজগুলোকে গুছিয়ে নেওয়া-ই আসল সমাধান।একটা Daily To-Do List সেই দিকনির্দেশনাই দিবে আপনাকে।

→ ফোকাস থাকতে দিনের ৩টা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে লিখে ফেলুন।
→ আলসেমি কাটাতে বড় কাজকে ছোট ধাপে ভাগ করুন।
→ সময় বাঁচাতে দিনের সবচেয়ে কঠিন কাজটা আগে করুন।
→ মোটিভেটেড থাকতে প্রতিটি কাজ শেষে ✅ টিক দিন।

প্রতিটি টিক দেওয়ার সাথে সাথে
মনে হবে আমি এগোচ্ছি, পারছি।

আপনি যদি এখনও শুধু মাথায় চিন্তা করেন,
তাহলে আপনারও সবকিছু ভারী লাগবে।
কিন্তু যদি লিখে ফেলেন দেখবেন সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।

তাই আগামীকাল সকালেই—
সব কাজ মনে জমিয়ে না রেখে লিখে ফেলুন আপনার Daily To-Do List।

একবার সত্যি করে শুরু করলে, আপনারও অভ্যাস হয়ে যাবে।কারণ আমরা মানুষ, শেষ পর্যন্ত অভ্যাসেরই দাস।

Your Daily To-Do List is your silent coach, guiding you one step at a time.

আমরা একটা লাইনে বারবার ঘুরপাক খাই—"আমাকে প্রোডাক্টিভ হতে হবে।"কিন্তু, আসলেই কি আমাদের 'প্রোডাক্টিভ হওয়ার' কথা?নাকি আমরা ...
27/09/2025

আমরা একটা লাইনে বারবার ঘুরপাক খাই—
"আমাকে প্রোডাক্টিভ হতে হবে।"

কিন্তু, আসলেই কি আমাদের 'প্রোডাক্টিভ হওয়ার' কথা?
নাকি আমরা সৃষ্টিগতভাবেই প্রোডাক্টিভ ?

ভেবে দেখুন,আপনার ফিজিক্যাল এক্সিস্টেন্সের ক্ষুদ্রতম একক, কোষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ফাংশন অনুযায়ী কাজ করে। কেউ অক্সিজেন বয়ে আনে (RBC), কেউ প্রতিরক্ষা দেয় (WBC), কেউ শক্তি উৎপাদন করে (Mitochondria)।আপনার শরীরের smallest unit ও অলস না। সুবহানআল্লাহ।

We are already purposefully designed. It's not about becoming , it's about returning.

আপনার মনে হচ্ছে
আমি পারবো না,পারছি না।
কিন্তু আপনার মধ্যে অলরেডি প্রোডাক্টিভ প্রোগ্রাম ইনপুট করা আছেই। সমস্যা হচ্ছে আপনি ডিস্ট্রাকটেড।
নিজের ভার্সন এ ফিরতে পারছেন না।

আপনি আপনার circadian rhythm থেকে বিচ্যুত।

আপনার ভেতরের প্রতিটি কোষ যখন নিজ নিজ কাজ করে যাচ্ছে, তখন পুরো দেহটিও একটা ছন্দে চলতে চায়। এই ছন্দটাই হলো Biological Clock , আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক টাইম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

মানে সময় আপনি সেট করবেন না। এটা অলরেডি সেট হয়ে আছে । আপনি কখন ঘুমাবেন,কখন উঠবেন,কখন খাবেন,কখন সবচেয়ে বেশি কাজ করবেন,কখন ক্লান্ত থাকবেন পুরো দিনের Flow আল্লাহ ডিজাইন করে আপনাকে পাঠিয়েছেন।

ফজরের সময় (Around 4-5 AM) আপনার
শরীরে Cortisol হরমোন বাড়তে থাকে।এটি হচ্ছে wake-up hormone। যা শরীরে শক্তি জোগায়, মনোযোগ বাড়ায়।
তখন মস্তিষ্ক ফোকাস মোডে আসে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

তাই এই সময়টা আপনার ইবাদাত, জার্নালিং, লেখালেখি বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য বরকতময়।

তাহলে আমরা ফজরে উঠতে পারি না কেন?

অনিয়মিত শোয়া, স্ক্রিন-টাইম বেশি হওয়ার ফলে
আমাদের ঘুম গভীর হয় না ।শুধু যদি “ঘড়ি ধরে উঠবো” ভাবেন এটা আসলে শরীর-মনের সঙ্গে লড়াই হয়ে যায়। তাই আগের পোস্টে Powerful Trigger চুজ করতে বলেছিলাম।

আরেকটা ফাঁদ রয়েছে।
ধরুন আপনি ফজরে তো উঠলেন কিন্তু কোনভাবে নামাজ পড়ে সোজা ঘুম। এটা এখনকার সময়ের সবচেয়ে common spiritual productivity trap.

রাত ১২টা–১টা পর্যন্ত মোবাইল চালালে Deep Sleep হয় না ফলে সকালে ক্লান্তি থেকে যায়। তখন মাথায় আসে ফজরের পর কী করব? মানে আপনার কোন প্ল্যান নেই। মন আপনাকে বলতে থাকে “আরেকটু শুয়ে নিই।”

তাছাড়া ফজরটাকে তো আপনি duty মনে করেছেন, delight মনে করেননি। ফলে Spiritual connectivity অনুভব করেন না।

এজন্য ফজরের পরের To-Do list তৈরি করে রাখুন রাতেই।
ফজরের পর কুরআন পড়া, তাফসির ভাবা, কিছু লিখে ফেলা, দিনের উদ্দেশ্য ঠিক করা — এগুলো মনকে জাগিয়ে রাখে।

সকালটাকে "Mind Building Time" বানান
১৫ মিনিট বই,১০ মিনিট কুরআন,৫ মিনিট জার্নাল "আজকের দিনে কি কি করবেন সেগুলো নিয়ে চিন্তা করুন।লিখে ফেলুন ।

আপনার ভেতরে যে Divine Productivity সফটওয়্যার ইনপুট করা আছে, সেটায় লগ-ইন করে ফেলুন।
You’re not missing anything.You’re just misaligned with your own Barakah rhythm.

Research and write-up: N.J.

25/09/2025

Muslim Day Planner এর কোন নোটবুকটি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগছে?

Eisenhower Matrix হচ্ছে একধরনের প্রায়োরিটি ম্যানেজমেন্ট টুল যেটা দিয়ে আপনি আপনার  টাস্কগুলোকে জরুরি আর গুরুত্বপূর্ণ এই দ...
25/09/2025

Eisenhower Matrix হচ্ছে একধরনের প্রায়োরিটি ম্যানেজমেন্ট টুল যেটা দিয়ে আপনি আপনার টাস্কগুলোকে জরুরি আর গুরুত্বপূর্ণ এই দুই দিক দিয়ে ভাগ করতে পারেন।

কোন একটা কাজ আপনার জরুরি মনে হচ্ছে , কিন্তু কাজটা আসলে ততটা গুরুত্বপূর্ণ না। আপনি ধরতে ও পারছেন না। এ সমস্যায় আপনার মনে হবে সময় কম আপনার। অথচ আপনি সঠিকভাবে প্রায়োরিটি সেট করতে পারলে সহজ হয়ে যেতো।
আসলে আপনার টু ডু লিস্ট হচ্ছে একটা Storage room. এবার এটাকে আপনার কন্ট্রোলে আনার জন্য একটা ম্যাপ ব্যবহার করবো।

কিভাবে Eisenhower Matrix শুরু করবেন?

1️⃣ দিনের সব টাস্ক লিখুন → কাজ, পরিবার, পড়াশোনা, ছোটখাটো টু-ডু।
2️⃣ চারটা চতুর্ভুজ আঁকুন
✓Quadrant 1: Urgent + Important
✓Quadrant 2: Important but Not Urgent
✓Quadrant 3: Urgent but Not Important
✓Quadrant 4: Neither Urgent nor Important
3️⃣ প্রতিটা টাস্ককে বক্সে বসান।
4️⃣ নিয়ম মেনে কাজ করুন → Do / Schedule / Delegate / Delete।

✔️Quadrant 1: Urgent + Important(Do First)

👉 এগুলো এমন কাজ যা এড়ানো বা পিছানো যাবে না। না করলে বড় ক্ষতি হবে, ফলাফলে প্রভাব পড়বে, বা স্ট্রেস বাড়বে।

উদাহরণ:
✓অ্যাসাইনমেন্ট / প্রজেক্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইন আজ
সময়মতো না দিলে মার্কস কেটে যাবে।
করণীয়: এখনই শেষ করুন, প্রয়োজনে কোয়ালিটি একটু কম হলেও জমা দিন।

✓পরীক্ষার আগের দিন রিভিশন
আগামীকাল পরীক্ষা, আজ পড়া শেষ না করলে ফেল বা খারাপ মার্কস হবে।
করণীয়: সব ধরনের বিভ্রান্তি বন্ধ করে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবেন।

✔️Quadrant 2: Important but Not Urgent
এগুলো হলো লং-টার্মে জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান কাজ, কিন্তু আজ না করলেও ক্ষতি নেই।

উদাহরণ:

✓ নতুন দক্ষতা শেখা
আজ না শিখলেও সমস্যা হবে না, কিন্তু ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়বেন।
করণীয়: ক্যালেন্ডারে নির্দিষ্ট সময় ব্লক করুন—যেমন প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে আধা ঘণ্টা কোর্স/প্র্যাকটিস।

✓ ব্যবসার কৌশল তৈরি করা
দৈনন্দিন কাজেই ব্যস্ত থেকে স্ট্র্যাটেজি না বানালে ভবিষ্যতে ব্যবসা থেমে যেতে পারে।
করণীয়: প্রতি সপ্তাহে একদিন ১-২ ঘণ্টা “ডিপ ওয়ার্ক সেশন” রাখুন, যেখানে শুধু প্ল্যানিং করবেন।

✓ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন (ব্যায়াম, মেডিটেশন)
আজ ব্যায়াম না করলে কিছু হবে না, কিন্তু নিয়মিত এড়ালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে।
করণীয়: সকালে বা সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ে ২০-৩০
মিনিট এক্সারসাইজ শিডিউল করুন।

✓ সম্পর্ক তৈরি ও লালন করা
আজ ফোন না করলে সম্পর্ক ভাঙবে না, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে দূরত্ব তৈরি হবে।
করণীয়: প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সাথে মানসম্মত সময় কাটানোর প্ল্যান করুন, বন্ধুদের সাথে কথা বলার জন্য ক্যালেন্ডারে রিমাইন্ডার দিন।

✔️Quadrant 3: Urgent but Not Important
এগুলো এমন কাজ, যেগুলো খুব তাড়াহুড়োর মনে হয়, কিন্তু আসলে আপনার সময়ের সঠিক ব্যবহার নয়।

✓ ফোন/ইমেইলের নোটিফিকেশন
বারবার ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ/ইমেইল চেক করা
ক্লায়েন্টের রুটিন আপডেট মেসেজ
করণীয়:
👉 ইমেইল ফিল্টার সেট করুন (গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল আলাদা ফোল্ডারে যাবে)
👉 অ্যাসিস্ট্যান্টকে মেইল মনিটর করার দায়িত্ব দিন।

✓ ছোটখাটো অফিসের রুটিন কাজ
কাগজ ফাইলিং করা
প্রিন্টার থেকে ডকুমেন্ট আনা
কনফারেন্স রুম বুক করা
করণীয়:
👉 অফিস সহকারী বা টিম মেম্বারকে দায়িত্ব দিন।
👉 সফটওয়্যার দিয়ে বুকিং সিস্টেম অটোমেট করুন।

✓ অন্যের তাড়া দেওয়া টাস্ক
সহকর্মী হঠাৎ বলল, “এই রিপোর্টটা তোকে করে দিতে হবে”
পরিবার/বন্ধু ফোন করে জরুরি মনে করালেও আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়
করণীয়:
👉 আগে যাচাই করুন আসলেই জরুরি কি না।
👉 প্রয়োজন হলে ডেলিগেট করুন।
👉 বারবার হলে ভদ্রভাবে সীমা বেঁধে দিন

✔️Quadrant 4: Neither Urgent nor Important
এগুলো আসলে সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছু নয়।
উদাহরণ:
✓সোশ্যাল মিডিয়ায় অকারণে স্ক্রল করা
হঠাৎ ফেসবুক খুলে ৩০ মিনিট ধরে শুধু নিউজফিড দেখা
ইনস্টাগ্রামে রিল থেকে রিল দেখে সময় নষ্ট করা
ইউটিউবে উদ্দেশ্যহীন ভিডিও দেখা

✓গসিপ
অফিসে বসে সহকর্মীর ব্যক্তিগত ব্যাপারে গল্প করা
কারো সম্পর্কে পেছনে কথা বলা
প্রতিবেশী বা আত্মীয়ের অপ্রয়োজনীয় আলাপ শোনা/শেয়ার করা

✓উদ্দেশ্যহীন মিটিং
“সবাই আসো, একটু বসি”—কোনো এজেন্ডা নেই
ঘন্টার পর ঘন্টা মিটিং, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায় না
শুধুই আনুষ্ঠানিকতা বা সময় কাটানোর জন্য ডাকা মিটিং

এভাবে টাস্ক ম্যানেজ করা যখন অভ্যাসে পরিণত হবে
তখন মাথার চাপ কমে যাবে।
কি আগে করতে হবে আর কি বাদ দিতে হবে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
Your stress will reduce, your productivity will rise, and your days will finally feel under control.

MASTER YOUR PRIORITIES, MASTER YOUR LIFE.

24/09/2025

“সময়ের শপথ, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত,

কেবল তারা ছাড়া—যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে, পরস্পরকে সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।”

سورة العصر

আমি অনেক খেয়াল করে দেখেছি, যেই দিনগুলোতে আমি টানা ঝরঝরে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি, সেই দিনগুলোতে কিভাবে যেন রান্নাটা সম...
22/09/2025

আমি অনেক খেয়াল করে দেখেছি, যেই দিনগুলোতে আমি টানা ঝরঝরে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি, সেই দিনগুলোতে কিভাবে যেন রান্নাটা সময়মতো হয়ে যায়, আমার বাচ্চার ঘুমের রুটিন সুন্দর হয়ে যায়, আমার অন্যান্য সমস্ত দায়িত্ব / লেখালেখি/ মিটিং সব খুব যে মসৃণ হয় এমন না, সব করে কুলানো যায় না, কিন্তু কাজের মাঝে খুব বরকত পাই আলহামদুলিল্লাহ।

আর যেই দিনগুলোতে কোরআনের সাথে কোনো কারণে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায় সেই দিনগুলোতে সব বিক্ষিপ্ত —বেবি‌ কান্না করছে, অহেতুক সময় হাতের ফাঁক দিয়ে গলিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে, শরীরটা কেমন ঝিমিয়ে আছে, কাজগুলো সব অর্ধেক অর্ধেক এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বারাকাহ পাচ্ছি না।

আসলে যতই হাজার প্রোডাক্টিভ টিপস দেই না কেন, দিনশেষে আল্লাহর কালাম যেটা ডিরেক্টলি ওয়ার্ড অফ আল্লাহ, সেটা মুখে আরবিতে উচ্চারণ করে তেলাওয়াত করলে যে ধরনের স্পিরিচুয়াল এনার্জি পাওয়া যায়, যে ধরনের একটা অদৃশ্য শক্তি পাওয়া যায়, অদ্ভুত বরকত পাওয়া যায় —সেটা অন্য কিছু দিয়েই রিপ্লেস করা সম্ভব না।

এটা জীবনের খুব কাছ থেকে পাওয়া উপলব্ধি।

দেখুন যে জিনিসটাকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, সেটার জন্য কিন্তু সবসময় টাইম বের করছি। তাই যেভাবেই হোক, কুরআন তেলাওয়াতের জন্য, তন্ময় হয়ে মুখে আরবি উচ্চারণের জন্য ২৪ ঘন্টার মাঝে অন্তত ২০ মিনিট আধা ঘন্টা একটু কষ্ট করে বের করুন প্লিজ? বিশ্বাস করেন আপনার এত উপকার হবে সুবহানআল্লাহ...

©️ শারিন

জার্নাল করতে বসে হঠাৎ খেয়াল করলাম—২০২৫ শেষ হতে আর গুনে গুনে ১০০ দিন বাকি।সংখ্যাটা শুনতেই কেমন যেন “গোটা” বা “সম্পূর্ণ” ম...
21/09/2025

জার্নাল করতে বসে হঠাৎ খেয়াল করলাম—
২০২৫ শেষ হতে আর গুনে গুনে ১০০ দিন বাকি।

সংখ্যাটা শুনতেই কেমন যেন “গোটা” বা “সম্পূর্ণ” মনে হয়, তাই না?
কারণ আমাদের সবার মধ্যেই কাজ করে Round Number Bias।

এটা এক ধরনের Cognitive bias বা মানসিক প্রবণতা, যেখানে আমরা পূর্ণ সংখ্যা যেমন:১০, ৫০, ১০০, ১০০০ কে অসম্পূর্ণ সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিই। কারণ পূর্ণ সংখ্যা আমাদের মধ্যে পূর্ণতার মোটিভেশন জাগায়।

ভাবুন তো—
“আমি ১০টায় পড়া শুরু করব।”
“১লা জানুয়ারি থেকে ডায়েট করব।”
“আমার লক্ষ্য ৫ কেজি ওজন কমানো।”
“আমি ১০০টা বই পড়ব।”

কিন্তু যদি বলি—
৯:৫৭-এ পড়তে বসো, ১৭ ডিসেম্বর থেকে ডায়েট শুরু করো, ৪.৭ কেজি ওজন কমাবো, বা ৯৭টা বই শেষ করা ,কেমন যেন অসম্পূর্ণ মনে হয়, তাই না?

পূর্ণ সংখ্যাকে আমরা Fresh Start Button ভাবি।
January 1st feels special, even though it’s just another day.
A new year feels like a new life.
Actually We love round numbers because they feel like fresh beginnings.

কিন্তু এটাই আমাদেরকে দেরি করার বৈধ অজুহাত দেয়।
“আজ না আগামীকাল শুরু করবো।”
“মাসের শেষ কয়েক দিন গেলে,পরের মাস থেকে শুরু করবো।”
এমনকি Marketing এ ও এই Trap ব্যবহার করা হয়।দেখবেন দোকানগুলোতে ৯৯ টাকা ৯৯৯ টাকা এমন অফার দেওয়া হয়। সংখ্যাটা ছোট না। কিন্তু ১০০ এর চেয়ে কম হওয়ায় আপনার কাছে মানসিক ভাবে ছোট মনে হয়।

চলুন তাহলে এই Trap থেকে বের হয়ে Round number bias দিয়ে নিজের potential খুঁজে বের করি।

আপনি চাইলেই
১০ দিনে একটা বই পড়ে শেষ করতে পারেন।

কিন্তু আপনার Cognitive bias বলছে
“২০২৬ এ গিয়ে বেশি বই পড়ব।”
“২০২৬ এ গিয়ে বেশি বেশি শিখব।”
“২০২৬ এ গিয়ে সবকিছু কাজে লাগাব।”

নতুন বছর কি নতুন Habit তৈরি করে দেবে?
একদমই না।
তাই পরিবর্তন শুরু হোক আজকের decision থেকে।

আপনার
১০০ দিন যথেষ্ট দশটা ভালো বই শেষ করার জন্য।
১০০ দিন যথেষ্ট নতুন অভ্যাস তৈরি করার জন্য।
১০০ দিন যথেষ্ট ২০২৬ কে দুর্দান্তভাবে শুরু করার জন্য।

So, No more delays, No more excuses.
Turn your Bias into power,
Set meaningful goals
for the last 100 days of 2025.

100 DAYS = 100 CHANCES.
USE THEM.

Research and write-up: N.J

Muslim Day Planner এর সকল Planner এবং Notebook এ চলছে ২৫% ডিসকাউন্ট।
চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

আলহামদুলিল্লাহ। এই রিভিউ গুলোই আপনাদের জন্য কাজ করার আগ্রহ, অনুপ্রেরণা আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।রব্বে কারীম Muslim Day...
20/09/2025

আলহামদুলিল্লাহ। এই রিভিউ গুলোই আপনাদের জন্য কাজ করার আগ্রহ, অনুপ্রেরণা আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

রব্বে কারীম Muslim Day Planner এর সাথে আপনাদের চলার পথে বারাকাহ দান করুন।

হাফিজি মাদ্রাসায় দেয়ার কথা কখনো ভাবিইনি। উদারতা নষ্ট হয়ে যাবে, একটু গোঁড়ামি চলে আসবে। মনোদৃষ্টি ক্ষীণ হবে। বড়জোর এগুলো ...
20/09/2025

হাফিজি মাদ্রাসায় দেয়ার কথা কখনো ভাবিইনি। উদারতা নষ্ট হয়ে যাবে, একটু গোঁড়ামি চলে আসবে। মনোদৃষ্টি ক্ষীণ হবে। বড়জোর এগুলো পরবর্তীতে অর্জন করবে।

শিক্ষক রেখে পড়ানোর কথাও ভাবিনি। শিক্ষক পড়াবেন কনভেনশনাল পদ্ধতিতে। তার সাথে শাস্তির বিষয়টা থাকে। সবচে বড় কথা, আর্থিক সামর্থ্যও নেই।

শুভকামনা প্রত্যাশায় এই লেখা। পদ্ধতির আদান প্রদানের আশায়। আরো ঋদ্ধ কীভাবে করা যায় সেই ভাবনায়।

নিজেই শুরু করলাম ওকে পড়ানো। সাড়ে পাঁচ বছরের ব্যাটাটাকে। গত দেড় বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। রোসেটা স্টোন ইন্সটল করে আরবি শিখলাম কিছুটা। দুইজনেই প্র্যাক্টিস করি। একটা পিডিএফ ডাউনলোড করে নিয়েছি, যেটায় কুরআনের ৮০% শব্দ আছে। চাইলে একদিনে শিখে ফেলা যায়। শব্দগুলো শিখাচ্ছি ও শিখছি মাঝে মাঝে। ইংরেজি আর বাংলা প্রতিশব্দ সহ। কুরআনের লার্নিং তেলাওয়াত ডাউন করেছিলাম বছর পাঁচেক আগেই। সেটা থেকে শুদ্ধ (খানিকটা বোরিঙও) উচ্চারণ নিজে শিখছি, শেখাচ্ছি। একটা আইওএস অ্যাপ ইন্সটল করে নিলাম। মেমোরাইজ কুরআন। একেকটা আয়াত আলাদা আলাদাভাবে পড়ে শোনায়, আবার সিলেক্ট করলে একাধিক বা পুরো সূরা।

যা সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার মন্ত্রে বিশ্বাসী আগে থেকেই। আমি নিজেই জানি না আরবি গ্রামার, সেটা জানার জন্য ষাট ঘন্টার ভিডিও কোর্স নামালাম। অবশ্য কোর্সটা বাংলা না।

কিন্তু ওকে গ্রামার ধরে কিছুই শিখাবো না। মাত্র আলিফ বা সবগুলো মুখস্ত পারে। ব্যস। যের যবর পেশ কিছুটা ধরতে পারে। এর বেশি এখন শিখাবো না। শুধু শব্দ আর শব্দের অর্থ (যদি জানা থাকে)।

শিখানোর টেকনিকটা খুবই সিম্পল। শেষ পারার তিরানব্বই নাম্বার সূরা থেকে ধরেছি। দ্বোহা। প্রথমে একটা করে শব্দ বলি। সেই শব্দটা ও শুদ্ধভাবে বলা শুরু করার আগ পর্যন্ত রিপিট করি। তারপর তাকে বলতে দিই। একটা করে আঙুল দেখাই। এভাবে শুদ্ধভাবে দশবার বলাই। এরপর পরের শব্দে চলে যাই। এভাবে পুরো সূরা।

এই প্রক্রিয়া চলাকালে সাহেব কখনো চক দিয়ে ডাবগাছের ছবি আঁকেন তো কখনো মাঝে মঝ্যে আমাকে শিশিমারু মোটু পাতলু নিনজা কা ছুপনে কা টেকনিক শেখান। কখনো সোফার কুশন দিয়ে ঘর বানান। সবই করা যাবে, খেলা যাবে, শুধু উচ্চারণটা ঠিকমত রিপিট করতে থাকতে হবে। তার সয়ে গেছে। সে টের পায় না, কিন্তু শুদ্ধভাবে বলেই ফেলে। মোটামুটি।

যখনি উচ্চারণ ভুল হয় বা বন্ধ হয়ে যায়, ডেকে সামনে এনে বসাই, তারপর বলি, ঠিকমত বলতে না পারলে এখানে বসে বসে পড়তে হবে। কোন্ শিশু আর বসে বসে পড়তে চায়? উচ্চারণ ঠিক হয়ে যায়।

ডাউনলোড করলাম অ্যারাবিয়ান সিনবাদ কার্টুন এত কষ্ট করে! শেষে দেখি কিনা সেটা জাপানিদের বানানো, পোশাকবিহীন জলপরী আছে অনেক পর্বেই। এখন আবার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নামিয়ে ওই ফ্রেমগুলো কেটে এডিট করে তাকে দেখতে দেয়ার হ্যাপা আছে সামনে। সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটা পেইড কার্টুন অ্যারাবিয়ান লার্নিং সিনবাদ নামানোর ইচ্ছা ছিল, কিন্তু কোথাও পেলাম না। মাত্র পঞ্চাশ মিনিট পেয়েছি। ওটাই দেখে মাঝে মাঝে।

তো শব্দের পর শব্দ শেখানোর পর বাক্য (আয়াত) টা শেখাই। তাও চাপ দিয়ে না। আমি বারবার বলি, সেও বলে। এরপর পুরো সূরাটা আমি বলতে থাকি, সে সাথে সাথে বলতে থাকে। অবশেষে আইফোন ফাইভ হাতে তুলে দিই। পুরো সূরা প্রথমে স্লো মোশনে ছাড়ি। ইন্টারভাল থাকে প্রতি আয়াতে। ওই ইন্টারভালে সেও উচ্চারণ করে। এরপর একটু একটু করে স্পিড বাড়াই (কুরআন মেমোরাইজ অ্যাপ)। তারও স্পিড বাড়ে। কোন আয়াতে একবার উচ্চারণ ভুল করলে ওটা রিপিট প্লে মেরে দেই। ব্যস। ঠিক। সবশেষে সর্ব্বোচ্চ স্পিডে সাথে সাথে পড়তে পারলেই পুরস্কার। টেম্পল রান টু। ফ্রুট নিনজা। স্পাইডারম্যান গেইম খেলা।

প্রতি সূরা শেষ করতে পারলে আরো বড় পুরস্কার। পনির। টম অ্যান্ড জেরি দেখতে দেখতে তার পনির প্রিয় হয়ে গেছে। তারপর আছে তাকে নিয়ে গল্প বলা। যে প্রাণী দেখতে চায় ওটাকে গুগল ইমেজ সার্চ করে দেখানো। বর্ণনা দেয়া। বিজয় বাংলা শিশুশিক্ষার সফটগুলো ইন্সটল করে দিয়েছি। নিজে নিজেই অনেকটা বাংলা ইংরেজি আর সংখ্যা অঙ্ক শিখছে। পাশে শুধু বসে থাকতে হয়।

আশার কথা হল, কুরআন মেমোরাইজ করার সবচে বড় যে পুরস্কারের আশায় সে বসে আছে, সেটা একটা গেইম। বলেছি, পুরোটা মুখস্ত করো, একমাস রাইজ অভ নেশন খেলতে দিব। আহা, আমার সবচে প্রিয় গেইম এখন তারও সবচে প্রিয়।

এর বাইরে ধর্মীয় ইন্সপায়ার তো আছেই। সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সে কি চায় তার প্রিয় নবীজি তাকে আরো ভালবাসুক? আল্লাহ তাকে প্রিয় করে নিক? সে কি চায় ওয়ালিউল্লাহ্ হতে? হ্যা। খুবই বেশি পরিমাণে চায়। নবী দ. কীভাবে কথা বলতেন, যে সূরাটা পড়ছি সেটার সময় নবী দ.'র কী অবস্থা ছিল, এইসব গল্প তাকে প্রচন্ড উৎসাহিত করে। কুরআনে যে অসাধারণ সব গল্প আছে সেটা আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না। সেই্সব গল্প খুজে বের করি, তাকে জানাই।

এর বাইরে গোণা গুণতিতে সওয়াব বাড়ার হিসাব তো আছেই। যে কুরআন শেখে ও শেখায় সেই শ্রেষ্ঠ- এইসব কথা তো আছেই। তুমি নিজে বেহেস্তে যেতে পারবে এবং দশজনকে নিতে পারবে, সে বন্ধুদের লিস্ট করে, কাকে কাকে নিয়ে যাবে।

এবং সবশেষে আসল টেকনিক, প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার পর প্রথমে তার পাশে শুয়ে শুয়ে আচ্ছামত তার প্রশংসা করি। আমার বাবাটা কত্ত ভাল, এই, সেই। সবশেষে ছেড়ে দেই এদিন যে আয়াতটুকু পড়েছে, সেই আয়াতটুকু। রিপিট দিয়ে। ঘন্টা দুয়েক চলে। পরদিন আরো শার্প।

ইচ্ছা আছে, ওকে এভাবে পুরো কুরআনের সাথে প্রথমে তীব্র অভ্যস্ত করব। তারপর প্রতি রাতে পুরো কুরআন খতম হবে আমাদের ঘুমের ভিতরে। মনের অবচেতন স্তরে গেঁথে যাবে সবটুকু।

কুরআনে অভ্যস্ত করতে মাস তিন থেকে চারেক সময় নিব। অভ্যস্ত বলতে অনেকটা নজরানা পাঠের মত। এরপর দুইজনে খতম দিতে থাকব।

হয়ত বছর দেড়েক পর দেখা যাবে কুরআন আত্মস্থ হয়ে গেছে আমাদের দুজনেরই। বিশেষ করে ছেলেটার জন্য সবার দোয়া ও শুভকামনা প্রত্যাশা করছি।

গোলাম দস্তগীর লিসানি

অনেকেই ভাবেন প্রোডাক্টিভিটি হলো একটা অপশনাল ব্যাপার । শুধু বিজনেসম্যান বা উদ্যোক্তারাই যেটা নিয়ে মাথা ঘামায়। কিন্তু মু...
19/09/2025

অনেকেই ভাবেন প্রোডাক্টিভিটি হলো একটা অপশনাল ব্যাপার । শুধু বিজনেসম্যান বা উদ্যোক্তারাই যেটা নিয়ে মাথা ঘামায়। কিন্তু মুসলিম হিসেবে প্রোডাক্টিভ হওয়া আপনার জন্য অপশনাল কিছু না, বরং আল্লাহর দেয়া একটা ক্লিয়ার অবলিগেশন।

আল্লাহ তায়ালা সূরা নাজমের ৩৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন, আর মানুষ তা-ই পাবে যা সে চেষ্টা করবে। এই আয়াতে সাআ শব্দটি এসেছে, যার মানে হলো চেষ্টা করা, পরিশ্রম করা। কিন্তু শুধু চেষ্টাই না। স্মার্ট চেষ্টা। ইফেক্টিভ এফোর্ট। অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের বলছেন রেজাল্ট পেতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করো। এটাই তো প্রোডাক্টিভিটির ডেফিনিশন!

রসূলুল্লাহ স. এর জীবনী দেখুন। তিনি ছিলেন সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ মানুষ। ২৩ বছরে পুরো আরব পেনিনসুলায় ইসলাম ছড়িয়ে দিলেন। মাত্র ২৩ বছরে! একটা পূর্ণাঙ্গ সভ্যতা তৈরি করলেন এই স্বল্প সময়ে। সাহাবিরা তাঁর থেকে শিখেছেন কিভাবে টাইম ম্যানেজ করতে হয়, কিভাবে প্রাইওরিটি সেট করতে হয়, কিভাবে টিম ওয়ার্ক করতে হয়, কীভাবে বড় কাজ ছোটো সময়ে করে ফেলতে হয়।

হযরত উমর র. যখন খলীফা হলেন, তিনি এমন একটা সিস্টেম দাঁড় করালেন যেটা আজকের মডার্ন গভর্নমেন্ট সিস্টেমের চেয়েও স্মার্ট। কিভাবে? প্রোডাক্টিভিটি প্রিন্সিপল অ্যাপ্লাই করে। সিস্টেম থিংকিং, ডেলিগেশন, এফিশিয়েন্সি - এসব ব্যবহার করে।

আল্লাহ আমাদের বলেছেন, তোমরাই সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে - সূরা আল ইমরান ১১০।

'খাইরা উম্মাহ' হতে হলে তো আমাদের সব ক্ষেত্রে এক্সিলেন্স থাকতে হবে। বিজনেসে, এডুকেশনে, টেকনোলজিতে, সাইন্সে - সব জায়গায়। আর এক্সিলেন্স আসে প্রোডাক্টিভিটি থেকে। প্রোডাক্টিভিটি মানে অলসতার এর বিপরীত আর অলসতা কিন্তু একটা ইসলামে একটা পাপ।

রাসূলুল্লাহ স. নিয়মিত দোয়া করতেন ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি’, অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে।' মানে অলসতা এমন একটা জিনিস যা থেকে রাসূলুল্লাহ স. পর্যন্ত আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়েছেন।

এখন বলুন তো আল্লাহ যদি আমাদের প্রোডাক্টিভ হতে না বলতেন তাহলে কি এই সব সিস্টেম দিতেন? আসলে ইসলাম নিজেই একটা কমপ্লিট প্রোডাক্টিভিটি গাইডবুক। কুরআন হাদিসে যত গাইডলাইন আছে সবই আমাদের বেটার, মোর ইফেক্টিভ হওয়ার জন্য।

তাই আজকে থেকেই ডিসিশন নিন আপনি একজন প্রোডাক্টিভ মুসলিম হবেন। এটা আপনার দ্বীনের অংশ। আপনার ইবাদতের অংশ। কারণ আপনি যত বেশি প্রোডাক্টিভ হবেন তত বেশি মানুষকে সাহায্য করতে পারবেন, তত বেশি দান সদকা করতে পারবেন, তত বেশি পজিটিভ ইমপেক্ট তৈরি করতে পারবেন। আর এটাই তো আসল সাকসেস - দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা।

মনে রাখবেন, প্রোডাক্টিভিটি আপনার জন্য কোনো অপশন নয়, বরং ফরজ দায়িত্ব।

©Jahid Hasan Milu

Address

Dhaka
1100

Opening Hours

Monday 10:00 - 19:00
Tuesday 10:00 - 19:00
Wednesday 10:00 - 19:00
Thursday 10:00 - 19:00
Saturday 10:00 - 19:00
Sunday 10:00 - 19:00

Telephone

+8801407056965

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muslim Day Planner posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Muslim Day Planner:

Share

Category