01/10/2025
আপনি যত বড় সমস্যায় থাকেন না কেন সত্যিকারের সালাত আপনাকে সব রকম পরিস্থিতিতে নিশ্চিন্ত রাখবে, জীবনের অনিশ্চয়তা থেকে টেনে তুলবেই।
আমরা অধিকাংশ মানুষই সালাতকে "পড়ব" অপশনে ফেলে রাখি
–এই কাজটা শেষ হোক, তারপর পড়ব।
–আগে গোসলটা সেরে নিই, তারপর ফরজটা পড়ে নিব।
–একটু ফ্রি হই, তখন নিশ্চিন্তে পড়ব।
–বাচ্চাকে একটু ঘুম পাড়াই, তারপর পড়ব।
আর এভাবেই “পড়ব” শব্দটা পড়েই থাকে।সালাত পড়া হয় না।
আমরা সময়ের মালিক নই, কিন্তু সময়কে আমরা সালাতের উপরে রাখি।
আমরা ভুলে যাই—
সালাত কাজের পরের কাজ নয়,
সালাত গোসলের পরের প্রস্তুতি নয়,
সালাত কখনোই "ফ্রি হয়ে পড়ার বিষয়" নয়।
সালাতই মূল কাজ, বাকিগুলো তো কেবল দুনিয়ার সাময়িক ব্যস্ততা।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে—আপনি সালাত অনুভব করেন না কেন?”আমরা সালাত পড়ি।হয়তো ৫ ওয়াক্তই পড়ি।
কিন্তু তবুও মনে হয় একটা খালি খালি অনুভূতি,মন পড়ে থাকে অন্য কোথাও।
দোয়া করি কিন্তু চোখ ভিজে না।
রুকু-সিজদা করি তবুও বুকটা নরম হয় না।
আল্লাহর সামনে দাঁড়ালাম, অথচ মন পড়ে থাকে আজ রিলে কি দেখলাম।
এরকম কেন হয় জানেন?
কারণ হয়তো আপনি তাড়াহুড়ো করেন।
হয়তো আয়াতের মানে জানেন না।
হয়তো শুধু রুটিনের অংশ বানিয়ে ফেলেছেন ইবাদত কে।
ভাবুন আপনি হয়তো ৬০ বছর বাঁচলেন এই পৃথিবীতে।আপনি সব কাজ ঠিক সময়ে করতে চান।ডেডলাইন ঠিক রাখতে চান।বাচ্চার খাওয়া, অফিসের মেইল, বাজারের লিস্ট,বন্ধুর কল, সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রল—সব কিছুর জন্য সময় বের করেন।
মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু আয়াত পোস্ট করে মনে করিয়ে দেন, আমি তো ইবাদত করছিই।
But when was the last time you felt it?Truly. Deeply. Tearfully.Like your heart was bowing before your Allah before your body ever did?
এতটুকু পড়ে আপনার মনেও খচখচ করছে না,
আমি কি আসলেই এতোটাই ব্যস্ত যে এতো বড় নিয়ামত প্রতিদিন মিস করে যাচ্ছি?
এবার একটু থামতে হবে আপনাকে। স্রষ্টার সৃষ্টি কত নিখুঁত কতটা প্রোডাক্টিভ এবার বুঝতে পারবেন।
দিনে পাঁচবার সালাত আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতদিন না মৃত্যু আমাদের আলিঙ্গন করে।
সময়গুলো হচ্ছে প্রত্যুষ,দ্বিপ্রহর, বিকেল, সন্ধ্যা ও সন্ধ্যারাত।
একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মের অধীনে দিনটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধিতে সহায়তা করার দিক থেকে এ সময়গুলো অসাধারণ।
আমরা ফজরের সালাতের জন্য ভোরে ঘুম থেকে উঠি। এটা আমাদের সকালের দিকের বেশিরভাগ সময় কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
এরপর আসে জোহরের সালাত,যখন দুপুরের খাবারের বিরতিতে যাওয়ার খুব কাছাকাছি সময় এবং কাজকর্মের কিছুটা ক্লান্তি আমাদের উপর ভর করতে শুরু করে।
তৃতীয় সালাতের(আসর) সময় হচ্ছে অপরাহ্ন। আমার কাছে এটা হচ্ছে দিনের বাকি অংশে প্রোডাক্টিভ হওয়ার জন্য একটা ফাইনাল এনার্জি বুস্টার রিমাইন্ডারের মতো।
এরপর সূর্যাস্তের সাথে সাথে মাগরিবের সালাত যা দিনের শেষে চিহ্নিত করে এবং আপনাকে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।
সবশেষে এশার সালাত একটি পজিটিভ স্পিরিচুয়াল পরিসমাপ্তির মধ্যে দিয়ে আপনার দিন শেষ হয়।
চিন্তা করে দেখুন কতটা গভীর অন্তর্দৃষ্টির বিষয়।
সালাত আমাদের শিখায়—
প্রোডাক্টিভিটিতে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো
সময় সচেতনতা + আত্মার সংযোগ।
আপনার জীবনের স্পিরিচুয়াল এনার্জি বুস্টার হচ্ছে সালাত।এটা সে জায়গা যেখানে সব ক্লান্তি,মন খারাপ, বিষন্নতা রেখে আসা যায়।
Don't take Salah as a burden.
Allah has gifted us Salah as a relief from burden.
Research and write-up: N.J