04/12/2024
আমাদের পেজে পাঠানো খোলা চিঠি।
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলায় অভিনব এবং নিত্যনতুন পদ্ধতি অবলম্বনে চলছে মাদক পাচার, অবৈধ ব্যাবসায়িক কর্মকান্ড এবং অবৈধ ভারতীয় পন্য পাচার। একইসাথে এই চক্রের সুসংগঠিত দলবল নিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দ্যেশ্যে স্থানীয়
জনমনে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের আতংক,গুজব, ত্রাস।
ঘটনাস্থল:তালতলা বটতলী হইতে সেলিম সরকারের ড্রেজার অফিস পর্যন্ত।
(**নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যাক্তির পাঠানো তথ্য অনুসারে**)
আজ(০৪/১২/২০২৪২৪) রাত ১ টা ২২ ঘটিকার সময় আমার পাশাপাশি বাড়ির প্রতিবেশী রাহিম ভূইয়া আমাকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায় যে, (অনুমান ৩০০ মিটার পূর্বদিকে) তালতলা বটগাছের নিচে সুসংগঠিত একটি চক্র ডাকাতি করছে,তখন আমি তাকে ঘর থেকে বের হতে বলি এবং আমার বাড়ির চাচাত ভাই কে নিয়ে তার (নাছার ভূইয়ার)বাড়ির সামনে যাই এবং আরো কয়েকজন প্রতিবেশী (উসমান মিয়া,মিন্টু ভুইয়া,এরশাদ মিয়া,ইকবাল হোসেন,শাকিল মিয়া,শারু মিয়া এবং কয়েকজন মহিলাসহ ১০-১৫ জন)দেখতে পাই। সেখানে উপস্থিত হয়ে শুনতে পাই কসবা হইতে(ইকবাল হোসেন এবং শাকিল মিয়া) তাদের দোকান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে আসার সময় তালতলা বটগাছ সংলঘ্ন কসবা টু সৈয়দাবাদ রোডে,একদল ডাকাত দলের কবলে পড়ে এবং কোনক্রমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ইকাবাল হোসেন এবং শাকিল মিয়া নামক আমার দু:সম্পর্কের দুই চাচাতো ভাই এবং কোনক্রমে ডাকাতের কবল থেকে তারা ঐ সময় পালিয়ে আসে।ঐ স্থানে আরো কয়েকজনের সহোযোগিতায় আমরা উপস্থিত এলাকাবাসীরা থানা পুলিশকে বিষয় টি জানানোপূর্বক সহযোগিতার জন্য আশ্বস্ত করা হলে,এরপর অল্প সময় পড়েই আমরা সকলে স্বিধান্ত নেই যে আমরা সকলে মিলে যার যা কিছু আছে সেইটা নিয়েই ডাকাতদলকে পাকরাও করতে চেষ্টা করবো। বলা বাহুল্য যে,ঐ সময়ের আরো অনেক্ষন আগে থেকেই আমরা গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষন ধরে একটি একই রকমের এম্বুল্যান্স/পুলিশের গাড়ির সাইরেন কিছু সময় অন্তর অন্তর শুনতে পাচ্ছিলাম।ঘন কুয়াসার ফলে আমাদের অবস্থান (নাছার ভূইয়ার বাড়ির পাশের ঈটের রাস্তা) হইতে থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত মঝেমধ্যে জ্বলে উঠা গাড়ির আলো ব্যাতীত আর তেমন কিছুই দেখতে সক্ষম হচ্ছিলাম না।তারপর ঐ সময়ে আমরা সকলে মিলে ডাকাতদলের কবলে পড়া ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদেরসহ সকলে মিলে উক্ত ডাকাতদের কে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ঐ স্থানে যার সামনে বা বাড়িতে ঁক12@যা ছিলো যেমন: দা,লাঠি,বাশ,কাঠ,টেটা (যাহা ঐ ডাকাত চক্রকে প্রতিরোধে সক্ষম হতে পারে) নিয়ে চিৎকার করতে করতে তালতলা বকুল সরক দিয়ে মেইন রোডে ঊঠা মাত্রই আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেলিম মিয়ার দোকানের অল্প গজ উত্তর দিকে একটি প্রাইভেট কার দেখতে পাই সব মিলিয়ে ৫-৬ জন মানুষ আশে পাশে থেকে দৌড়ে এসে তাড়াহুরু করে গাড়িতে উঠে পড়া মাত্রই সেই গাড়িটি স্টার্ট করে এবং আমাদের দিকে গাড়ির গতি বাড়ানোপূর্বক অগ্রসর হলে আমরা সকলেই রাস্তার মাঝে সেটাকে সন্দেহপূর্বক থামানোর স্বিদ্ধান্ত নেই, ঠিক ঐ সময়েই সেটা হার্ড ব্রেক করে এবং উল্টা ব্যাক গীয়ারে পেছন দিকে শতখানিক মিটার চলে যেতে যেতে পুলিশের(থেমে থেমে বাজানো পুর্বের সেই হর্ন) হর্ন বাজায় আর সাথে সাথেই সেই দিক থেকে তারা আরো কয়েকজন জড়ো হয় আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছূড়তে থাকে এবং সব মিলিয়ে ২০-৩০ জনেরও অধিক আমাদের অল্প সং্খ্যক গ্রামবাসীদেরকে খানিকটা পিছু হটাতে থাকে।
তখনই একটি মোটরসাইকেলে চড়ে উপস্থিত হয় মো: শাহিদুল খা ভাই। তার সঙ্গীয় একজন কে বাইকের পেছনে বসিয়ে অতি দ্রুত এসেই ওসি সাহেবকে ফোন দিবে বলে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান করেন এবং পরিস্থিত ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করেন।
একইসময়ে উল্টো দিক হতে উপস্থিত হয় সৈয়দাবাদ টু কসবামূখী একটি প্রাইভেট কারে চড়ে বাংলা সিনেমার মতোই বহুল আলোচিত ভুয়া গরুর ডাক্তার খ্যাত কয়েকদিন আগের "ইলিশ-কান্ডের" কান্ডারী "মো: গোলাম সারোয়ার" নামক একজন কুখ্যাত ব্ল্যাকার।
সিনেমার ধামাকা তো শুরু হলো তখনই যখন আমাদের সকল কসবাবাসীর বিশাল পরিচিত মুখ লাইন ম্যান নুরু ভাইও উনার সাথে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে।
শাহিদুল খা ভাই ওসি সাহেব কে ফোন দিলে অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই একজন সিভিল ড্রেস পরিহিত পুলিশ কর্মকর্তা একজন ড্রাইভারকে নিয়েই (সৈদাবাদ টু কসবা অভিমুখী) পুলিশ ভ্যানে এসে পরে।