09/04/2025
আশিক চৌধুরীকে ডক্টর ইউনূস নিজে ফোন করেছিলেন।
বলেছিলেন, দেশের কাজ করার একটা সুযোগ পাওয়া গেছে।করবা কি না?
আশিক সাহেব সিঙ্গাপুরের দামী চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছেন। ৫৯ সেকেন্ডের একটা ফোন কলে। এমনকি স্ত্রীর সাথেও কথা বলার প্রয়োজন মনে করেননি।
এমন কত আশিক যে আছে দুনিয়ার নানান প্রান্তে।
কত অভিমান নিয়ে শুধু একটা ফোন কলের জন্য ওয়েট করছে। টাকা লাগবে না, উন্নত জীবন লাগবে না, জাস্ট একটু কাজ করার সুযোগ।
সেই সুযোগটাই কেউ দেয় না এদের।
২০২২ এ আমেরিকার খুব ভালো ইউনিভার্সিটি থেকে একটা লোক পিএইচডি করে দেশে এসেছিলো। একটা ভার্সিটির টিচার হওয়ার জন্য ২০ টা ভার্সিটিতে ইন্টারভিউ দিয়েছে। হয় নাই।
কারণ বাংলাদেশের এইসব পদ বিক্রি হয় টাকার কাছে।
আপনার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর বলেন আর লেকচারার বলেন সব শালাই ঐ চুরির মাল।
অথচ শুধু আমেরিকাতেই বাংলাদেশের এতো ভালো ভালো গবেষক আছে, এরা সবাই দেশে আসলে আজ ঐ আশিক সাহেবের মতোই সব সেক্টরে হইচই পড়ে যাইতো।
স্টেটসম্যানদের কাজ কিন্তু সবকিছু নিজে করা না।
স্টেটসম্যানের কাজ হলো যোগ্য মানুষটাকে যোগ্য জায়গায় আইনা নিজে শান্তিতে থাকা।
এই যে BIDA, এইটা নিয়ে আর ইউনূসের নিজের কিছু করতে হবে? হবে না। আশিক সাহেব নিজেই যথেষ্ট।
এমন ১০ টা সেক্টরে ১০ টা আশিক বসাইয়া দেওয়াই স্টেটসম্যানের কাজ।
স্টেটসম্যান কখনোই সারারাত জেগে নামাজ পড়বেন না, সব ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবেন না। যেটা হাসিনা করতো।
মাহথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়াকে মালয়েশিয়া বানাইছিলো এই প্রসেসে।
আমেরিকাতে কাজ করা একজন মালয়েশিয়ার নাগরিক। হুট করে মাহথির ফোন করতেন। বলতেন, আমার তো টাকা নাই যে তোমাকে সারা বছরের জন্য নিয়োগ করবো। তুমি বরং ছুটিটা দেশে কাটাইয়া যাও। দেশের জন্য কিছু করো।
মাহথিরের ফোন পেয়ে লোকজন ছুটে আসতো। এভাবেই মালয়েশিয়া আজকের মালয়েশিয়া হয়েছে।
ডক্টর ইউনূসও সেইম কাজটাই করেছেন।
একটা ফোন কল।
আসলে মেধা বা দেশপ্রেমের অভাব বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কখনও ছিলোই না। বাংলাদেশের মানুষেরা হলো পাগল। এরা ব্রিটিশ খেদাইছে, পাকিস্তান খেদাইছে, হাসিনা খেদাইছে যেমনে, স্বাভাবিক হলে পারতো না।
এই পাগলের দল দেশের জন্য জান দিয়া দিতে প্রস্তুত থাকে। দেশের সস্তা চাকরির জন্য বিদেশের দামী চাকরি ছাইড়া দেয়, বউকে জিগায়ও না।
এই দেশে মেধা বা মেধাবীদের অভাব কখনোই ছিলো না।
অভাব খালি ছিলো ঐ একটা ফোন কলের।
যেটা ডক্টর ইউনূস করেছেন।