কাব্য

কাব্য লেখক - লেখিকা✍️
(4)

বনের রাজা সিংহ রোদ পোহাচ্ছিল। এমন সময় বাঁদর এসে তার লেজ ধরে একটা ঝাঁকি দিল! লাঠি দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করল!সিংহ যতটা না অবাক ...
24/07/2025

বনের রাজা সিংহ রোদ পোহাচ্ছিল। এমন সময় বাঁদর এসে তার লেজ ধরে একটা ঝাঁকি দিল! লাঠি দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করল!

সিংহ যতটা না অবাক হলো, তার চেয়ে বিরক্ত হলো বেশি। বাঁদরের ভ্রুক্ষেপ নেই। সে সিংহকে ভেংচি কেটে লাফাতে লাফাতে চলে গেল।

শেয়াল পাশ থেকে পুরো ঘটনা লক্ষ্য করে সিংহকে উদ্দেশ্য করে বলল, “বনের রাজার সাথে এত্ত বড় বেয়াদবি! আর আপনি কিনা তাকে কিছুই বললেন না!”

সিংহ মৃদু হেসে বলল, বলার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি! একটু অপেক্ষা করো, সবকিছু দেখতে পাবে।”

কয়েকদিন পর হঠাৎ করেই বাঁদর সিংহের সামনে পড়ল এবং সিংহ তাকে সেখানেই এক থাপ্পড়ে শেষ করে দিল।

শেয়াল অবাক হয়ে সিংহকে জিজ্ঞাসা করল, “সেদিন বাঁদর অত অন্যায় করল, আপনি তাকে কিছুই বললেন না। অথচ আজকে সে তেমন কিছু করেনি, কিন্তু আপনি তাকে মেরে ফেললেন!"

জবাবে সিংহ বলল, “দিস ইজ পলিটিক্স! সেদিনের পর বাঁদর ভালুককে পিছন থেকে লাথি মেরেছে! হাতির শুঁড় ধরে দুলেছে! গন্ডারের পিঠে চড়ে নেচেছে! হায়নাকে কাতুকুতু দিয়েছে! বাঘকে খোঁচা মেরেছে! আর সবাইকেই বলছে, রাজাকেই আমি মানি না! সেখানে তুমি কে?”

“সেদিন ওরে মারলে সবাই বলত, আমি বনের রাজা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছি।"

"আজকে একটু পর দেখবে সবাই এসে বলবে, থ্যাংক ইউ, রাজা সাহেব!”

"বুঝলে তো! মাঝে মাঝে লাই দিয়ে মাথায় তুলতে হয়। যাতে শক্ত করে আছাড় দিলে কেউ কিছু মনে না করে এবং আপদ শেষ হয়ে যায় একেবারে!"

23/07/2025

এতবার কারেন্ট না নিয়ে

বাসায় এসে সরাসরি মিটার খুলে নিয়ে গেলেই তো হয়।.😡..

23/07/2025

নাউজুবিল্লাহ কি বলে এসব 😡😡😡😡😡

যতবার পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, বন্ধুত্বতো এমনি হয়!মাইলস্টোনে দূ*র্ঘ'টনার পর বেঁচে যাওয়া একজন ছাত্র তার আ*হত বন্ধুকে ক্লাসরুম থ...
23/07/2025

যতবার পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, বন্ধুত্বতো এমনি হয়!

মাইলস্টোনে দূ*র্ঘ'টনার পর বেঁচে যাওয়া একজন ছাত্র তার আ*হত বন্ধুকে ক্লাসরুম থেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিল।

ফা*য়া*র ব্রিগেডের অফিসার বাধা দিয়ে বললেন, "এর কোনো লাভ নেই! তোমার বন্ধু অবশ্যই মা* রা যাবে"।

কিন্তু ছাত্র'টি তখনও গিয়ে তার বন্ধুকে একা একা ফিরিয়ে আনল।

মৃ*তদে*হ দেখে ফা*য়া*র ব্রিগেডের অফিসার বলে, "আমি তোমাকে বলেছিলাম এর কোন মূল্য নেই। সে মা*রা গেছে"।

ছাত্র'টি উত্তর দেয়: 'না স্যার, এটা সত্যিই মূল্যবান ছিল। যখন আমি তার কাছে গেলাম, সে তখনও জীবিত ছিলো - আমার বন্ধু আমাকে দেখে, হাসল এবং তার শেষ কথাটা বলল:

"আমি জানতাম তুমি আসবে"! 💔

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এ...
20/07/2025

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।

যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এর মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ২৫০ ডলার।

সেলাইয়ের সূঁচ তৈরি করলে এর মূল্য হয় প্রায় ৭০,০০০ ডলার।

ঘড়ির স্প্রিং ও গিয়ার তৈরি করলে এর মূল্য পৌঁছে যায় ৬ মিলিয়ন ডলারে।

আর এটাকে যদি উন্নত প্রযুক্তির লেজার উপাদানে রূপান্তর করা হয়, যা কম্পিউটার চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তখন এই একই লোহার বারের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ মিলিয়ন ডলার।

আপনার প্রকৃত মূল্য নির্ধারিত হয় আপনি কি দিয়ে তৈরি তার মাধ্যমে নয়, বরং আপনি কীভাবে আপনার দক্ষতাকে বিকশিত করেন এবং তা প্রয়োগ করেন, তার উপর।

মৃ*ত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।সেদিন এক ধনকু...
20/07/2025

মৃ*ত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ শরীর এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা অনেক বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

তাহলে করণীয় কী?

✓ অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

✓ মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

✓ রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

✓ পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

✓ সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

✓ যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীর সাথে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও হাত ধরে হাঁটুন, রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

✓ ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

✓ সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিনদেশে বেড়াতে নিয়ে যান।

✓ ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

✓ মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

✓ বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

✓ মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন।

জীবন তো একটাই, তাই পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।

20/07/2025
16/07/2025

গোপালগঞ্জে আজকের প্রকৃত সাহসী ছিলো ডেকোরেটরের মালিকরা।

নিশ্চিত খেলা হবে জেনেও তারা চেয়ার ভাড়া দিয়েছিলেন .🫤..

আনলিমিটেড ফুচকা মাত্র ১০০ টাকায়- আপনারাও ট্রাই করতে পারেন।লোকেশন -  জিনজিরা ফ্যামিলি শপিং মলের সামনে। সময় : সকাল ১১ টা থ...
15/07/2025

আনলিমিটেড ফুচকা মাত্র ১০০ টাকায়- আপনারাও ট্রাই করতে পারেন।

লোকেশন - জিনজিরা ফ্যামিলি শপিং মলের সামনে। সময় : সকাল ১১ টা থেকে শুরু & শেষ হওয়া পর্যন্ত!!

মৃত পাখির বাচ্চাগুলো হয়ত অপেক্ষায় ছিল কখন মা তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে! কিন্তু তারা তো জানে না কোনো এক পাষাণহৃদয় শিক...
15/07/2025

মৃত পাখির বাচ্চাগুলো হয়ত অপেক্ষায় ছিল কখন মা তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে! কিন্তু তারা তো জানে না কোনো এক পাষাণহৃদয় শিকারির ফাঁদে পড়ে জীবন হারিয়েছে মা পাখিটি। দেখতে দেখতে অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো, কিন্তু মা আর নীড়ে ফিরে এলো না!

ফাঁদে পড়া মা পাখিটি বাচ্চাগুলোর দোহাই দিয়ে বাঁচার জন্য কতই না আকুতি জানিয়েছে! কিন্তু পাখির সেই কান্নার ভাষা বোঝার মত ক্ষমতা তো আমাদের নেই।

হয়তোবা বাচ্চাগুলো ক্ষুধার যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে একসময় নিস্তেজ হয়ে গেছে, অনাহারে ধুঁকে ধুঁকে ত্যাগ করেছে শেষ নিঃশ্বাস। দিনের পর দিন কাঠফাটা রোদে পড়ে থেকে শুকিয়ে গেছে তাদের দেহের মাংস। আর কঙ্কালগুলো এমনি ভাবেই পড়ে আছে মায়ের তৈরি সেই স্বপ্নের নীড়ে!

ভালো ছাত্র, জিনিয়াস — এই মনগড়া ভ্রান্ত ধারণাগুলো এখনো কেন প্রচলিত আছে, তা আমি জানি না। আমি একটি স্বনামধন্য ক্যাডেট কলেজে...
14/07/2025

ভালো ছাত্র, জিনিয়াস — এই মনগড়া ভ্রান্ত ধারণাগুলো এখনো কেন প্রচলিত আছে, তা আমি জানি না। আমি একটি স্বনামধন্য ক্যাডেট কলেজে ক্লাসের দ্বিতীয় শেষ ছাত্র ছিলাম। ক্লাস এইট থেকে নাইন ওঠার সময় অঙ্কে ১২, বিজ্ঞানে ১৭, আর ইংরেজিতে ২৩ পেয়েছিলাম। আমার পরে যে ছেলে ছিল, সে পরীক্ষাই দিতে পারেনি অসুস্থতার কারণে। নইলে আমিই শেষ হতাম।

ক্যাডেট কলেজে খারাপ রেজাল্টের যে কী পরিমাণ অপমান, তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। আমার কারণে পুরো ক্লাসের সামগ্রিক ফল খারাপ হলো। সিনিয়ররা র‌্যাগিং করল, বন্ধুরা তিরস্কার করল, আর কলেজ কর্তৃপক্ষ করল অপমানের চূড়ান্ত। কলেজ থেকে বের করে না দিলেও আমাকে সায়েন্স গ্রুপ থেকে বাদ দিয়ে জোর করে আর্টসে দিয়ে দিল।

বাবা বলছেন, সায়েন্স নিয়ে পড়তে। আমিও চাই। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল — সায়েন্স পড়ার যোগ্যতা আমার নেই। অপমান, প্রত্যাখ্যান, এবং নিঃসঙ্গতার ভারে পিষ্ট হয়ে ১৪ বছরের এক কিশোর গিয়ে দাঁড়াল ভাইস প্রিন্সিপালের সামনে। কাঁদলাম, হাত-পা ধরলাম। কিন্তু তাতে লাভ হলো না। অনেক অনুরোধের পর লিখিত মুচলেকা দিলাম, যদি সায়েন্স পড়তে দিলে এসএসসি ও এইচএসসিতে অন্তত ফার্স্ট ডিভিশন পাব।

এরপরও অপমান আর টিটকারি চলতেই থাকল। কত দিন যে বাথরুমে, ছাদে, অন্ধকারে কেঁদেছি! সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া একটা ছেলের সহ্যশক্তি কতটুকুই বা থাকে? একদিন ঠিক করলাম —আর না, এই অসম্মানের সমুচিত জবাব দিতে হবে।

তখন থেকেই শুরু করলাম। সবকিছু ছেড়ে দিলাম। বন্ধুবান্ধব, টিভি, সিনেমা, আত্মীয়স্বজন সব গোল্লায় যাক। আমার পৃথিবী শুধু বই আর পড়াশোনা। কী আছে এর মধ্যে, সেটা জানার জন্য পাগল হয়ে উঠলাম। অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাংলার নোট তৈরি করলাম বিশ্বভারতীর বই ঘেঁটে। অঙ্কের পারমুটেশন-কম্বিনেশন-ইন্টিগ্রেশন কীভাবে বাস্তবে কাজ করে তা বুঝতে লাইব্রেরিতে কাটালাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইংরেজি কবিতার কবির রচনার উঁচু ক্লাসের সমালোচনা পড়লাম, শুধুমাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর তৈরি করতে।

চার বছর ধরে প্রতিদিন ১৪-১৬ ঘণ্টা কেটেছে বই, রেফারেন্স আর খাতার সঙ্গে। এমনকি ছুটির দিনও আমার সময় কেটেছে পড়াশোনার টেবিলে। বাবা-মা বলতেন, "এইবার থাম," আর বন্ধুরা বলত, "তুই মারা যাবি!" কিন্তু আমার লক্ষ্য পরিষ্কার ছিল — অপমানের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।

ইন্টারমিডিয়েটের দুই বছরে আমি এইচএসসি সিলেবাস শেষ করেছি সাতবার। বিশ্বাস না হলে আমার কিছু করার নেই।

অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো। ক্লাসের দ্বিতীয় শেষ ছাত্র, অঙ্কে ১২ পাওয়া, সায়েন্স গ্রুপের অযোগ্য বলা সেই ছেলেটি মেধা তালিকায় পুরো বোর্ডে প্রথম! দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম! প্রধানমন্ত্রী ডাকলেন, টিভিতে সাক্ষাৎকার, পত্রিকায় ছবি ছাপা হলো।

এটা ছিল আমার মিষ্টি প্রতিশোধ, এরপর আর পেছন ফিরে তাকাইনি।

এই অভিজ্ঞতায় আমি শিখেছি "ভালো ছাত্র" বা "জিনিয়াস" — এসব কিছুই না। আসল কথা হলো কঠোর পরিশ্রম। আমি যদি সত্যিই কিছু পেতে চাই, তাহলে সেটি পাবই। না পাওয়া মানে আমি মন থেকে চাইনি।

আপনি বিসিএসে প্রথম হতে চাননি বলেই হননি।
ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাননি? কারণ, আপনি হৃদয় থেকে চাননি।
আপনার কোটি কোটি টাকা নেই? সেটাও আসলে আপনি চাননি।

আমরা সাফল্যের ফলটা দেখি, কিন্তু এর পেছনের শ্রম, ত্যাগ, কষ্ট — এসব দেখিনা। যদি কিছু পেতে চান, তবে সেটা পাওয়ার জন্য পাগলের মতো চেষ্টা করুন। দ্বিতীয় কোনো বিকল্প রাখবেন না। ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। সফল হোন, নতুবা চেষ্টা করতে করতে হারিয়ে যান।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, আমাদের চেয়ে শক্তিশালী কেউ নেই। আর শ্রেষ্ঠ জীব কখনো হারতে পারে না।

(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

Slightly modified from the original by Shabbir Ahsan

14/07/2025

জাপানে পড়তে যাওয়া এক ছাত্রী একদিন দেশে ফোন করে বলল, খুব লজ্জায় আছি!
- কেন কী হয়েছে?"
- ড্রইং ক্লাসে ড্রইং বক্স নিয়ে যাইনি।
- তো?
- জাপানি স্যার একটা বড় শিক্ষা দিয়েছেন।
- কী করেছেন?
- আমার কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছেন! বলেছেন, আজ যে ড্রইং বক্স নিয়ে আসতে হবে, তা স্মরণে রাখার মতো জোর দিয়ে তিনি আমাকে বলতে পারেননি। তাই তিনি দুঃখিত।
- হুম।
- আমি তো আর কোনদিন ড্রইং বক্স নিতে ভুলব না। আজ যদি তিনি আমাকে বকতেন বা অন্য কোনো শাস্তি দিতেন, আমি হয়ত কোনও একটা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতাম!

জাপানি দল বিশ্বকাপে হেরে গেলেও জাপানি দর্শকরা গ্যালারি পরিষ্কার করে তবেই স্টেডিয়াম ত্যাগ করে।

এ আবার কেমন কথা?
এটা কি কোনো পরাজয়ের ভাষা! হেরেছিস যখন রেফারির চৌদ্দ গুষ্টি তুলে গালি দে। বলে দে, পয়সা খেয়েছে। বিয়ারের ক্যান, কোকের ক্যান, চীনাবাদামের খোসা যা পাস ছুঁড়ে দে। দুই দিন হরতাল ডাক। অন্তত বুদ্ধিজীবীদের ভাষায় এটা তো বলতে পারিস যে, খেলোয়াড় নির্বাচন ঠিক হয়নি, এতে সরকার বা বিরোধী দলের হাত আছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে গিয়ে জাপানের সম্রাট হিরোহিতো আমেরিকার প্রতিনিধি ম্যাক আর্থারের কাছে গেলেন। প্রতীক হিসেবে নিয়ে গেলেন এক ব্যাগ চাল। হারিকিরির ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে মাথা পেতে দিয়ে বললেন, "আমার মাথা কেটে নিন আর এই চালটুকু গ্রহণ করুন। আমার প্রজাদের রক্ষা করুন। ওরা ভাত পছন্দ করে। ওদের যেন ভাতের অভাব না হয়!"

আরে ব্যাটা, তুই যুদ্ধে হেরেছিস, তোর আত্মীয়স্বজন নিয়ে পালিয়ে যা। তোর দেশের চারদিকেই তো জল। নৌপথে কিভাবে পালাতে হয় আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নে। কোরিয়া বা তাইওয়ান যা। ওখানকার মীর জাফরদের সাথে হাত মেলা। সেখান থেকে হুঙ্কার দে।

সম্রাট হিরোহিতো এসব কিছুই করলেন না। তার এই আচরণ আমেরিকানদের পছন্দ হলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কুখ্যাত মহানায়কদের মধ্যে কেবলমাত্র হিরোহিতোকেই বিনা আঘাতে বাঁচিয়ে রাখা হলো।

২০১১ সালের ১১ই মার্চ। সুনামির আগমন বার্তা শুনে এক ফিশারি কোম্পানির মালিক সাতো সান প্রথমেই বাঁচাতে গেলেন তার কর্মচারীদের। হাতে সময় আছে মাত্র ৩০ মিনিট। প্রায়োরিটি দিলেন বিদেশি চাইনিজদের। একে একে সব কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে পাশের উঁচু টিলায় নিজে পথ দেখিয়ে গিয়ে রেখে এলেন। সর্বশেষে গেলেন তার পরিবারের খোঁজ নিতে। ইতিমধ্যে সুনামি এসে হাজির। সাতো সানকে চোখের সামনে পরিবার সহ কোলে তুলে ভাসিয়ে নিয়ে গেল সুনামি! আজও খোঁজহীন হয়ে আছেন তার পরিবার। ইস! সাতো সান যদি একবার বাঙালিদের সাথে দেখা করার সুযোগ পেতেন। তাহলে শিখতে পারতেন নিজে বাঁচলে বাপের নাম!

সাতো সান অমর হলেন চায়নাতে। চাইনিজরা দেশে ফিরে গিয়ে শহরের চৌরাস্তায় ওনার প্রতিকৃতি বানিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।

নয় বছরের এক ছেলে স্কুলে ক্লাস করছিল। সুনামির সতর্ক সংকেত শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাল এবং সব ছাত্রদের নিয়ে তিন তলায় জড়ো করল। তিন তলার ব্যালকনি থেকে সে দেখল তার বাবা স্কুলে আসছে গাড়ি নিয়ে। গাড়িকে ধাওয়া করে আসছে প্রলয়ংকারী জলের সৈন্যদল। গাড়ির স্পিড জলের স্পিডের কাছে হার মেনে গেল। চোখের সামনে নেই হয়ে গেল বাবা! সৈকতের কাছেই ছিল তাদের বাড়ি। শুনলো, মা আর ছোট ভাই ভেসে গেছে আরো আগে।

পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ছেলেটি আশ্রয় শিবিরে উঠল। শিবিরের সবাই খিদে আর শীতে কাঁপছে। ভলান্টিয়াররা রুটি বিলি করছে। আশ্রিতরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটিও আছে সবার সাথে। এক বিদেশী সাংবাদিক দেখলেন, যতখানি রুটি আছে তাতে লাইনের সবার হবে না। ছেলেটির কপালে খাবার জুটবে না। সাংবাদিক তার কোটের পকেটে রাখা নিজের ভাগের রুটি দুটো ছেলেটিকে দিলেন। ছেলেটি ধন্যবাদ জানিয়ে রুটি গ্রহণ করল, তারপর যেখান থেকে রুটি বিলি হচ্ছিল সেখানেই ফেরত দিয়ে আবার লাইনে এসে দাঁড়াল।

সাংবাদিক কৌতূহল চাপতে পারলেন না। ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করলেন, "এ কাজ কেন করলে খোকা?"

খোকা উত্তর দিল, বন্টন তো ওখান থেকে হচ্ছে। ওদের হাতে থাকলে, বন্টনে সমতা আসবে।তাছাড়া লাইনে আমার চেয়েও বেশি ক্ষুধার্ত লোক থাকতে পারে!

সহানুভুতিশীল হতে গিয়ে বন্টনে অসমতা এনেছেন, এই ভেবে সাংবাদিকের পাপবোধ হলো। ওই ছেলের কাছে কী বলে ক্ষমা চাইবেন ভাষা হারালেন তিনি।

যাদের জাপান সম্পর্কে ধারণা আছে তারা সবাই জানেন, যদি ট্রেনে বা বাসে কোনো জিনিস হারিয়ে যায়, আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। ওই জিনিস আপনি অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাবেন।

গভীর রাতে কোনো ট্রাফিক নেই, কিন্তু পথচারীরা ট্রাফিক বাতি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত পথ পার হচ্ছেন না।

ট্রেনে বাসে টিকিট ফাঁকি দেওয়ার হার শূন্যের কোঠায়।

একবার ভুলে ঘরের দরজা লক না করে এক প্রবাসী দেশে গেলেন। মাস খানেক পর এসে দেখেন, যেমন ঘর রেখে গেছেন, ঠিক তেমনই আছে!

এই শিক্ষা জাপানিরা কোথায় পান?

সামাজিক শিক্ষা শুরু হয় কিন্ডারগার্টেন লেভেল থেকে।

সর্বপ্রথম যে তিনটি শব্দ এদের শেখানো হয় তা হলো:

*কননিচিওয়া* (হ্যালো): পরিচিত মানুষকে দেখা মাত্র হ্যালো বলবে।

*আরিগাতোউ* (ধন্যবাদ): সমাজে বাস করতে হলে একে অপরকে উপকার করবে। তুমি যদি বিন্দুমাত্র কারো দ্বারা উপকৃত হও তাহলে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।

*গোমেননাসাই* (দুঃখিত): মানুষ মাত্রই ভুল করে এবং সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবে।

এগুলো যে শুধু স্কুলে মুখস্ত করতে শেখানো হয় ব্যাপারটা তা নয়। বাস্তব জীবনেও শিক্ষকরা সুযোগ পেলেই এগুলো ব্যবহার করেন এবং শিক্ষার্থীদেরকেও করিয়ে ছাড়েন।

সমাজে এই তিনটি শব্দের গুরুত্ব কতটা তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন। এই প্র্যাকটিসগুলি ওরা বাল্যকাল থেকে করতে শেখে। কিন্ডারগার্টেন থেকেই স্বনির্ভরতার ট্রেনিং দেওয়া হয়।

আমাদের দেশের দিক নির্দেশকরা তাদের শৈশব যদি কোনও রকমে জাপানের কিন্ডারগার্টেনে কাটিয়ে আসতে পারতেন তাহলে কী ভালোটাই না হতো!

একজন আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে বসবাস করার জন্য যা যা দরকার অর্থাৎ নিজের বইখাতা, খেলনা, পোশাক, বিছানা সব নিজে গোছানো, টয়লেট ব্যবহার করে নিজেই পরিষ্কার করা, খাবার খেয়ে নিজের খাবারের প্লেট নিজেই ধুয়ে ফেলা ইত্যাদি।

প্রাইমারি স্কুল থেকে জাপানি ছেলেমেয়েরা নিজেরা দল বেঁধে স্কুলে যায়। দল ঠিক করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিক আইন, বাস ট্রেনে চড়ার নিয়ম কানুন সবই শেখানো হয়।

আপনার গাড়ি আছে, বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসতে গেলেন, আপনার সম্মান তো বাড়বেই না, উল্টো আপনাকে লজ্জা পেয়ে আসতে হবে।

ক্লাস সেভেন থেকে সাইকেল চালিয়ে তারা স্কুলে যায়। ক্লাসে কে ধনী, কে গরীব, কে প্রথম, কে দ্বিতীয় এসব বৈষম্য যেন তৈরি না হয় সেজন্য যথেষ্ট সতর্ক থাকেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ক্লাসে রোল নং ১ মানে এই নয় যে একাডেমিক পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভাল। রোল তৈরি হয় নামের বানানের আদ্যাক্ষরের ক্রমানুসারে!

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমস্ত আইটেমগুলো থাকে গ্রুপ পারফরম্যান্স দেখার জন্য, ইন্ডিভিজুয়াল পারফরম্যান্সের জন্য নয়! ওখানে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের গুরুত্বের চেয়ে টিম ওয়ার্কের গুরুত্ব অনেক বেশি।

সারা স্কুলের ছেলেমেয়েদের ভাগ করা হয় কয়েকটি গ্রুপে। লাল দল, নীল দল, সবুজ দল, হলুদ দল ইত্যাদি। গ্রুপে কাজ করার ট্রেনিংটা ছাত্রছাত্রীরা পেয়ে যায় স্কুলের খেলাধুলা, ছবি আঁকা জাতীয় এক্সট্রা কারিকুলার এ্যাক্টিভিটি থেকে।

এই জন্যই হয়তো জাপানে তথাকথিত 'লিডার' তৈরি হয় না, কিন্তু এরা সবাই একত্রে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লিডার!

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কাব্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share