Hamza Nur (2025)

15/07/2025

❑

যখন আকাশ জুড়ে বর্ষা নামে,
বিষাদ লাগে অকারণে;

বিষন্ন মেয়ে—
তখন মন খারাপের চিঠি দিও মেঘপিওনের খামে।

---২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১--
০৮ই মে, ২০২৪

31/05/2025

❑

বারান্দায় বসে বাইরে তাকালে দেখি নিথর দুপুর কাঁদছে।
বৃষ্টি দিনের ফুল কদম ফোটতে এখনও ঢের দেরি।
শ্রাবণের ঢল নয় তবুও সারাদুপুর রিমঝিম।

কার্নিশে একটা চড়ুই ভিজে জবুথবু।
ইচ্ছে করছে হাত বাড়িয়ে আদর করি। চোখ-ঠোঁটে তার পৃথিবীর সব চঞ্চলতা। হাত বাড়ালেই ফুড়ুৎ করে উড়াল দেবে।

সারাদুপুর রিমঝিম রিমঝিম একঘেয়ে বৃষ্টি। কেমন উদাস লাগে!

হুটহাট মনে পড়ে দাদির কথা। দাদিকে আমরা ডাকতাম 'বুবু'। বুবুর সাথে অবশ্য আমার উল্লেখযোগ্য কোনো স্মৃতি নাই।

গ্রাম্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোয় শৈশবজুড়ে আমরা মায়ের মুখে নানির গল্পই বেশি শুনতে পাই।
দাদি থাকেন অনেকটা উপেক্ষা।

শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর গল্প আমি জানি না।
শহরে আমাদের কোনো বাড়ি নাই।

বারান্দায় বসে বাইরে তাকালে দেখি নিথর দুপুর কাঁদছে।
শ্রাবণের ঢল নয় তবুও সারাদুপুর রিমঝিম।

বুবুর কথা মনে পড়লে কেবলই মনে পড়ে একটি হিজল গাছ।
আষাঢ় এলে আমাদের বাড়ির পেছন দিককার মৃত ছোট্ট খালটা বর্ষার নতুন জলে যখন টইটম্বুর তখন হিজলের ফুল ঝরে ঝরে যেন সে জলে লাল গালিচা বিছিয়েছে।

শৈশবে আমরা দেখতাম বর্ষার নতুন জলে ভেসে সে খালে ছোটো ছোটো মাছ আসতো, নৌকো ভিড়তো!
আমাদের কৈশোর পার হবার আগেই সে খাল প্রায় ভরাট।

বারান্দায় বসে বাইরে তাকালে দেখি নিথর দুপুর কাঁদছে।

দূরের ছাদবাগানে একটা ক্যাকটাস।
ক্যাকটাসের পাশেই রেলিং-এ বসে একটা দোয়েল বৃষ্টি ভিজছে। বৃষ্টিতে পাখিদের অসুখ কি বাঁধে?

দুপুর পড়ে যায়, সারাদিন একঘেয়ে বৃষ্টি।
আম্মার ফোনকল আসে। অসময়ের ফোনকলে বুকের ভেতরটা ধড়ফড় করে উঠে।
আম্মা জানান– আমাদের নতুন ডালিম গাছে ফুল এসেছে।
বুকের ধড়ফড় কমে আসে, প্রখর রোদ্দুরে ব্যাকুল তৃষ্ণার্ত হয়ে ঠান্ডা জল পানের মতো কেমন একটা স্বস্তি লাগে!
আম্মা আরও জানান– গোলাপ চারাটির একেবারে উপরের দিকে তিনটি কলি এসেছে।

শ্রাবণের ঢল নয় তবুও সারাদুপুর রিমঝিম রিমঝিম।

বৃষ্টি এলে আমার মৃত্যুদিন মনে পড়ে।
চারদিকে বৃষ্টিভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ। অন্ধকার ঘনিয়ে...সন্ধ্যা হয় হয়। ঝোপে ঝোপে ঝিঁঝিঁ ডাকছে।
সন্ধ্যার মলিন আলোয় বিমর্ষ হয়ে একটা কাক পাকুড়গাছের ডালে।

বৃষ্টি থামবার পর কবরের ঘাসগুলো আরও সবুজ আরও সতেজ।
আমি একা।
তখন কি আমার মনে পড়বে পৃথিবীর কথা?

অবেলায় আম্মার ফোনকল;
নতুন ফোটা ডালিম ফুল?

| ১৩ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩২ / ২৭শে মে, ২০২৪ |

18/05/2025

❑
অভিশাপ

বাঁধিল বধু প্রাণের সুর
বাঁধিল কোন অচিনপুর দাঁড়কাকের সংসার,

প্রেমিকের হৃদয় সাহারার প্রান্তর
তবুও অভিশাপ দেয়; সুখী হোক প্রিয়া তার।

| ২৫শে এপ্রিল, ২৪ |

17/04/2025

❑

আজ কেন আকাশ মলিন,
মেঘেরা যেন হয়ে আছে ফ্যাকাশে।

কোথাও কি বিরহে আমার প্রিয়া
বিষাদ কি আজ তাঁর চিবুক ছুয়েছে!

|০৮ই সেপ্টেম্বর, ২৪|

19/03/2025

❑

ই*রায়েল নিপাত যাক এই যে শুনি রব,
তারই সাথে কন্ঠ ছাড়ো মুনাফেক সে আরব।

| ২০শে মার্চ, ২৫ |

22/01/2025

❑

গাঙচিল ভালোবাসতো নদীটিকে
আর নদীটি মাছরাঙা,

সেই থেকে চিলের করুণ সুর—
কারো কাছে গান,কারো কাছে প্রেমিকের বুক ভাঙা।

| ২২শে জানুয়ারি, ২৫ |

15/12/2024

তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
শহরের বুকে জলপাইয়ের রঙের ট্যাঙ্ক এলো
দানবের মত চিৎকার করতে করতে

রিকয়েললেস রাইফেল
আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র....
ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম।

তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতামাতার লাশের উপর।

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে।

~ শামসুর রাহমান

14/12/2024

❑

বেলা ফুরোয় সূর্য ডুবে
পশ্চিমে লালিমা মেখে,

অবসন্ন শীতল সন্ধ্যা
কিছু বিষাদ থাকুক বুকে।

তবুও চা-এর কাপে চুমুক
মরছে প্রেমিক ধুঁকে।

অবসন্ন শীতল সন্ধ্যা,
কিছু বিষাদ থাকুক বুকে।

| ১৪ই ডিসেম্বর, ২৪ |

13/12/2024

কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরী সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন!

দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সাথে ঢাকায়।

হেলাল হাফিজও চলেন আসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।

তার এক মাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম "যে জ্বলে আগুন জ্বলে!"

হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেন কে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বই জুড়ে কবির আকুতি। তাকে না পাওয়ার।

হেলেন সে কবিতার বই পড়ার পর মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়।

নেত্রকোনায় বাবার বাড়ি ফিরে যান হেলেন। তাকে শেকল দিয়ে ঘরে বেধে রাখতে হয়।

হেলাল হাফিজ নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারেননি। কিংবা সে প্রেম থেকে বের হতে পারেননি।

তাই আর কখনো বিয়ে করেননি।

খুব গুছিয়ে থাকতেন। গোছালো মানুষ ছিলেন। তাকে দেখে বুঝা যেতো না, ভেতরে ভেতরে তার ভেতর এতোটা ভাঙ্গন।

©

😢

05/12/2024

❑

একটা বেদনার পাখি
সারা বুক জুড়ে,

বেদনার সুরে সুরে
সারা বেলা উড়ে।

বেদনার গানে পাখি
কোন সুখ পাও,

বুক জুড়ে সারা বেলা
কেন বেদনা উড়াও!

| ৫ই ডিসেম্বর, ২৪ |

05/12/2024

❑

শীত আসবার আগের শীত আসি আসি বিকেলগুলোয়
এক চিলতে নরম রোদ
হলুদ পাতার ডালে আটকে থাকে।

হেমন্তের এইসব নরম রোদের বিকেল কেমন বিষন্ন মনে হয়!
অকারণে মন খারাপ হয়ে আসে।

মনে হয় যেন কতো জনমের কতো অপূর্ণতায়
বুকের ভেতর সাদা তুষারপাত জমাট বেঁধে আছে।

নাগরিক ব্যস্ততায় না-পাওয়া কতো অপ্রাপ্তির স্মৃতি
বিস্মৃতি হয়ে গেছে;
যেমন ক্ষয় হয়ে গিয়েছে পুরানো সভ্যতার অনাবিষ্কৃত
শিলালিপির দল।

এইসব নরম রোদের বিকেলগুলো কেবলই বিষন্ন বিষন্ন লাগে।

সূর্য যখন ডুবুডুবু-
রক্তিম আভায় জানান দিচ্ছে তার শেষ অস্তিত্ব;
তখন আমের ডালে একঝাঁক চড়ুই'র ডানা ঝাপটায় সন্ধ্যা নামে।

ফুটে অঞ্জনাদির পিঠার দোকানে ভাঁপ ওঠে।
সাথেই আট-ন'বছরের এক বালক সেদ্ধ ডিমের পসরা সাজিয়ে বসে আছে।

টুংটাং টুংটাং যান্ত্রিক সুর,
মানুষের ঘরে ফেরবার তাড়া।

সন্ধ্যারও অনেক পরে সমস্ত নাগরিক আয়োজন উপেক্ষা করে কারওয়ান বাজারের বুক চিরে প্রচন্ড হুইসেল বাজিয়ে
চলে যায় লালমনি এক্সপ্রেস।

উত্তরে এখন শীত।
ইচ্ছে করে একদিন লালমনি এক্সপ্রেসে চেপে বসি।

পৃথিবীর সবকটি নগর-গ্রাম পেরিয়ে যেতেই থাকব...
যেতেই থাকব...

আমাদের নিকটতম এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি কতদূর?

আমার ফেরার কোনো তাড়া নেই।
আমার বড়ো সাধ জাগে একদিন নিরুদ্দেশ হই।

| ৫ই নভেম্বর, ২৩ |

Hamza Nur

15/07/2025

31/05/2025

18/05/2025

17/04/2025

19/03/2025

22/01/2025

15/12/2024

14/12/2024

13/12/2024

05/12/2024

05/12/2024

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share