হেরিটেজ পাবলিকেশন্স

হেরিটেজ পাবলিকেশন্স সহজ প্রক্রিয়া,নান্দনিক প্রচ্ছদ,মানস

17/12/2024

কিভাবে আমাদের বইপড়া উচিৎ? 🤔

১. ভালো পরিবেশ নির্বাচন :
পড়ার টেবিল, কাজের ডেস্ক, যাত্রাপথে বাস-ট্রেন কিংবা এরকম আরও অসংখ্য জায়গায় আমরা বই পড়ি। তবে আপনি যদি কোয়ালিটিফুল একটা পাঠ নিতে চান, তবে যত কোলাহলমুক্ত পরিবেশ হবে, ততবেশি বেটার। এতে পড়াটা স্মৃতিতে থেকে যাবে দীর্ঘদিন। আর নানাবিষয়ে নোট নেওয়া কিংবা হাইলাইট করার ব্যাপার তো থাকেই। সুতরাং, একটি ভালে পাঠের জন্য একটি নীরব পরিবেশ নির্বাচন করুন।

২. নিয়মিত সময় বরাদ্দ করুন :
অনিয়মিত বই পড়া আসলে ভালো কিছু নয়। এতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পাঠ হয় না। তাই প্রতিদিন নিজের অবসর সময়গুলোর মধ্য থেকে সুন্দর একটি সময় নির্ধারণ করে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন আপনার বই পড়ার জন্য। এবং ঠিক সে সময়েই প্রতিদিন বই পড়ুন। এতে রুটিনটা অন্তত নষ্ট হবে না।

৩. নির্দিষ্ট টপিকের উপর বইপাঠ :
আপনি যে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চান, বেছে বেছে ঠিক সেই বিষয়ের উপরই বই পড়ুন। বাজারে যেকোনো টপিকের নতুন বই এলেই হুমড়ি খেয়ে পড়তে বসাটা ভালো লক্ষণ নয়। এতে মনোযোগ ও সময়ের অপচয় হয়। বরং একটি বিষয়ের উপর ভালোমতো পড়াশোনা শেষ করে, তবেই আরেকটি বিষয়ের উপর বই পড়ুন।

৪. ভালো বই নির্বাচন :
যেকোনো টপিকের উপরই বাজারে রয়েছে অসংখ্য বই। তাই বলে কি সবগুলোই পড়বেন? একদমই না। অভিজ্ঞ পড়ুয়াদের সহযোগিতা নিয়ে নির্দিষ্ট টপিকের উপর সেরা বইগুলোই শুধুমাত্র পড়ার জন্য নির্বাচন করুন।

৫. পড়ার সময় নোট রাখা :
যেকোনো বই পড়ার সময় অবশ্যই নোট রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বইটা নিজের হলে হাইলাইটার পেন দিয়ে মার্ক করেও রাখতে পারেন। আর ধারকৃত হলে শুধুমাত্র নোট নেওয়া বেটার। আরেকজনের শখের বইতে আঁকাআঁকি করলে বেচারা নির্ঘাত কষ্ট পাবে।

৬. পাঠ-পরবর্তী রিভিউ :
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা বই পড়ার পর আমরা সবটুকু মনে রাখতে পারি না। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো যা যা নোট করি, তার সাপেক্ষে সেই বইটা নিয়ে চমৎকার একটা রিভিউ লিখে রাখা যেতে পারে। এতে পরবর্তী সময়ে বইটা থেকে বারবার উপকৃত হওয়া যাবে।

এই অল্প কিছু বিষয় ঠিকঠাকভাবে মেইন্টেন করে বই পড়লে আপনার বইপড়াটা কোয়ালিটিফুল হবে ইনশাআল্লাহ্। আমরা তো নিয়মিত অনেক বইপত্র পড়িই, তবে একইসাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে—প্রতিটি বই-ই যেন আমাদের উপকারে আসে।
- সংগৃহীত এবং সম্পাদিত


শুভেচ্ছা...
23/04/2023

শুভেচ্ছা...

15/02/2023

জীবনানন্দ দাসের ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থটি পড়ার পর মীর আব্দুস শুকুর ভাবলেন, 'আরে! এমন কবিতা তো আমিও লিখতে পারি'। যেই কথা, সেই কাজ। একটা কবিতা লিখে ফেললেন। জীবনের প্রথম কবিতাটি পড়তে দিলেন চাচাতো বোন হানুকে।

হানু কবিতাটি পড়ে বললো, “এই কবিতা তো আগে কোথাও পড়েছি!”
বোনের মন্তব্য শুনে তরুণ কবি হাসবেন নাকি কাঁদবেন? তাঁর লেখা কবিতাকে বোন বলছে ‘আগে পড়েছি’। যেন তিনি এটা কপি করেছেন। আবার এটাও তো ভাবতে পারেন, আমি আসলেই তো কবিতা লিখতে পারি।

মোল্লা বাড়িতে জন্ম নেয়া একটা ছেলে বললো- ‘আমি কবি হতে চাই’। তরুণ বয়সের এই আবেগকে রুখে দেবার জন্য হানু বাধা দিলেন। বললেন, “কবিতা লিখলে ভাত জুটবে কোত্থেকে?”

জীবন সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে চাচতো বোনের কথাটি বারবার তাঁর মনে পড়ে। তল্পিতল্পাহীন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় আসেন কবি হবার জন্য।

ঢাকায় এসে জীবিকার সন্ধান করে ঢাকাকেই আপন করে নেন। ঢাকা আর নিজের জন্মস্থানের তুলনা করে বলেন- “যে শহর জন্ম দেয় কিন্তু জীবিকা দেয় না তারচেয়ে যে শহর জীবিকা দেয় তাকে আমার কাছে মাতৃতুল্য মনে হয়।”

সেদিন চাচাতো বোন তাকে ‘কবি’ বলে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু, তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একজন ছিলেন তাঁর চাচী, সেই চাচী তাকে ‘কবি’ বলে ডাকতেন। গ্রামের মানুষরাও তাঁকে ‘কবি’ বলে ডাকতো। অথচ তখনো তাঁর কোনো কবিতা প্রকাশিত হয়নি!

মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করা আল মাহমুদকে একসময় মানুষ ‘বিশ্বাসীদের কবি’ সম্বোধন করে। অথচ জীবনের প্রথমদিকে নিজের বিশ্বাস নিয়ে দোদুল্যমান ছিলেন এই কবি। তাঁর মা বাবাকে অভিযোগ করতেন, “তোমার ছেলে তো বইটই পড়ে নাস্তিক হয়ে গেছে।” বাবা মায়ের কথা কানে নিতেন না। তিনি ভাবতেন, এই ছেলে বিভ্রান্ত হতে পারে। সে অবশ্যই ফিরে আসবে।

আল মাহমুদ জীবনের মধ্যখানে ফিরেও আসেন। ১৯৭৮ সালে হজ্বে যান। হজ্ব করে আসার পর প্রগতিবাদী কবিরা তাঁকে ‘মৌলবাদী’ বলে আখ্যা দেয়। তাদের মৌলবাদী আখ্যাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কবি লিখলেন ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’ কাব্যগ্রন্থটি।

এতোদিন তাঁর যতো বন্ধু-শুভাকাঙ্খী জুটেছিলো, এই কাব্যগ্রন্থ লেখার পর সবাই তাঁর বিরুদ্ধে চলে যায়। এই কাব্যগ্রন্থ তাঁকে আবার নতুন করে ‘মৌলবাদী’ প্রমাণ করিয়ে দেয়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তাঁর লেখা প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। যারা সারাদিন বাক-স্বাধীনতার কথা বলে চায়ের কাপ গরম করতো, সেইসব প্রগতিবাদীদের এমন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখে কবি বেশ মজা পান। তাঁর আত্মজীবনীতে এই নিয়ে লিখেন।

কবি হবার দায় অনেক। আশেপাশের অনেকেই সেটা সহ্য করতে পারেন না। নিজের এমন মনোবেদনা নিয়ে কবি লিখেন- “নিজের পক্ষের লোকেরা যখন ক্রমাগত দুঃখের আয়োজন করেন, তখন কবির জন্য অপার্থিব সুখের আয়োজন করেন তার রব।”

জীবনের শেষবেলায় কবি রবের আশ্রয় খুঁজতে থাকেন।
কবি লিখেন:

“কোনো এক ভোর বেলা, রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারে
মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;
অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে
ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।”

মৃত্যুবরণ করাকে কবি ঈদের সাথে তুলনা করেন কেন? তা-ও আবার শুক্রবারে?

কবি হয়তো এই হাদীসটি জানতেন- “জুম’আর দিনে অথবা জুমু’আর রাতে যদি কোনো মুসলমান ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে, তাহলে কবরের শাস্তি হতে আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করবেন।” [জামে আত-তিরমিজি: ১০৭৪]

---

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই আল মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

জান্নাতে বিশ্বাসী কবিদের পাশে তাঁর স্থান হোক, আমরা এই দু'আ করি।

17/09/2022

বাচ্চাদের পেট ভরে খাওয়ানোই কি আদর্শ পদ্ধতি?
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেন,

“বাচ্চাদের বদ অভ্যাসগুলোর অন্যতম হলো, তারা পেট ভরে খাবার খায়। অতি ভোজনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। পানাহার বেশি করলেই মাতাপিতা খুশিতে আটখানা হয়ে পড়ে! আসলে এমন ব্যবস্থাপনা তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা হলো, এ পরিমাণ খাদ্য তার সামনে রাখা, যা ভোজন করার পর তৃপ্ত হতে একটু বাকি থাকে। এতে তাদের হজমশক্তি মজবুত হবে। তাদের দেহরস ভারসাম্যপূর্ণ হবে। শরীরে বর্জ্যপদার্থ হ্রাস পাবে। দেহ থাকবে সুস্থ-সবল। রোগ হবে মাত্রাতিরিক্ত কম। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বেঁচে থাকতে সহায়ক হবে। থাকবে না হৃদরোগ কিংবা পেট ব্যথা।"
'ছোটদের সাথে বড়দের আদব' বই থেকে

লিংক কমেন্টে

ইন্টারনেটের নীল আলো আমাদেরকে রাতের আঁধারে জায়নামাজে দাঁড়ানো থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।রাতের বেলা ইন্টারনেটে না এসেও উপায় ...
17/09/2022

ইন্টারনেটের নীল আলো আমাদেরকে রাতের আঁধারে জায়নামাজে দাঁড়ানো থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

রাতের বেলা ইন্টারনেটে না এসেও উপায় নেই, পরিচিত সবাই ব্যস্ততা শেষে তখনই অনলাইনে এক্টিভ থাকে।

ফলে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইলে বু্ঁদ থেকে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, এর খানিক বাদেই প্রথম আসমানে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ঘোষণা হয়, কে আছো চাইবে আমার কাছে? আমি দেয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তখন যে প্রভুর ডাকে সাড়া দেয়ার মতো কেউ থাকে না।

ফজরের পরে এশরাক পর্যন্ত অপেক্ষা করা, এশরাক পড়ার পর মসজিদ থেকে বের হওয়া, অথবা ফজরের পর হাঁটাহাঁটির অভ্যাস যেন বহু আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কীভাবে থাকবে! ঘুমঘুম চোখে ফজর পড়েই যে বিছানায় গা এলিয়ে দিতে হয়।

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, বিরামহীনভাবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করার কারণে আমাদের প্রোডাক্টিভিটি, ক্রিয়েটিভিটি, স্পৃচুয়ালিটি ধ্বংস হচ্ছে। আমাদের অজান্তেই আমরা পঙ্গু হয়ে যাচ্ছি। মানসিক রোগীতে পরিণত হচ্ছি।

~উস্তায তানজীল আরেফীন আদনান

শুক্রবার অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ করুন। আর সুরা কাহাফের আমল করতেও ভুলবেন না। জুমআর সালাতেও আগে আগে যাওয়া উচিত। মনোযোগ দিয়ে...
16/09/2022

শুক্রবার অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ করুন। আর সুরা কাহাফের আমল করতেও ভুলবেন না। জুমআর সালাতেও আগে আগে যাওয়া উচিত। মনোযোগ দিয়ে নীরবতার সাথে ইমামের খুতবা শোনা উচিত। আমাদের সাপ্তাহিক ঈদ হলো শুক্রবার। এই দিনটা অন্যান্য দিনের মতো গাফিলতিতে বা দুনিয়াবি কর্মব্যস্ততায় অতিবাহিত করা উচিত নয়। এ দিনের প্রতিটা মুহূর্তের কদর করতে সচেষ্ট হোন। বিশেষভাবে মাগরিবের আগের সময়টাতে মন খুলে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর নিকট দুয়া ও মুনাজাত করুন।

আল্লাহ তো এমন সত্তা, তার নিকট যত বেশি দুয়া করবেন এবং তার প্রতি যত অধিক মুখাপেক্ষিতা দেখাবেন, তিনি তত খুশি হবেন। তিনি অমুখাপেক্ষিতা প্রদর্শনকারী দাম্ভিক উদ্ধতদের পছন্দ করেন না। আর এ কারণেই প্রিয়নবি ﷺ দুয়াকে ইবাদতের মগজ বলেছেন। কারণ, এতে চূড়ান্ত মাত্রার বিনয় ও মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পায়।

🖊️শাইখ আলী হাসান উসামা হাফিঃ

15/09/2022
বাংলা ইংরেজিতে লেখা- 'জেরুজালেম কখনোই (ই স Ra ই Le র) রাজধানী হবে না।' ১৯৮১ সালের দিকে ঢাকার দেয়ালে সাঁটানো একটি প্রতিবা...
13/09/2022

বাংলা ইংরেজিতে লেখা- 'জেরুজালেম কখনোই (ই স Ra ই Le র) রাজধানী হবে না।'

১৯৮১ সালের দিকে ঢাকার দেয়ালে সাঁটানো একটি প্রতিবাদী পোস্টার।

Credit: Mohammad Nurul Amin #মুসলমানদের_স্বর্ণকণিকা

Address

Katabon
Dhaka
1000

Telephone

+8801571032289

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হেরিটেজ পাবলিকেশন্স posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to হেরিটেজ পাবলিকেশন্স:

Share

Category