21/07/2025
আমার বড় চাচাতো ভাইয়ের শ্যালক আফফান উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে ক্লাস এইটে পড়ে। আরো খবর হলো, এদিন মানে আজ (২১.০৭.২৫) সে ঐ কলেজেই ছিল। এমনকি যেখানে বিমান বিধ্বস্ত হলো সেই সংলগ্ন হোস্টেলেই ছিল। আমার বড় চাচী তার বিয়েনকে (আফফানের আম্মা) নিয়ে এদিন আফফানকে আনতে গেছিলেন।
বড় কাকী স্কুলটিতে ঢোকার মূহুর্তে কী মনে করে একটা বাচ্চার সাথে খানিক কথোপকথন করছিলেন। কোন ক্লাসে পড়ে, বাসা কোথায় ইত্যাদি ইত্যাদি...
একই সময়ে আফফানের বন্ধুরা সব হোস্টেলে খাবার খেতে বসেছে। আফফানের ও বসার কথা ছিল, কিন্তু মা আসবে জেনে সে আর খেতে বসেনি, হোস্টেল থেকে মায়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে।
আল্লাহর রহমত বোঝা বড় দায়! মাত্র দু মিনিটের ব্যবধান। ঠিক যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো, দু মিনিট আগে আফফান ঠিক সেখানেই ছিল, ওদিকে আফফানকে না পেলে দু মিনিটের মাথায় বড় কাকীর বিয়েনকে নিয়ে হয়তো সেখানে থাকার কথা ছিল!
ঘটনা শুনে আমার শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যায়। ওপাশ থেকে ফোনে বড় কাকী বলে চলেছেন, জানিনা কার দোয়া ছিল, এজন্য আল্লাহ এতবড় রহম করেছেন।
,ঘটনার পর কাকী যা দেখেছেন—দাউ দাউ আগুন, মানুষের ছুটাছুটি, অভিভাবকদের কান্নার রোল, কিছু বাচ্চার অগ্নিদগ্ধ দেহ,
আমি এপাশ থেকে শুনলাম, বড় কাকী ফোনের ওপাশ থেকে হাউমাউ করে কাঁদছেন!
কিছুটা নিজের বেঁচে ফেরায়, বেশিটা অগ্নিদগ্ধদের কান্নায়!😰
এদিকে আফফান এখনো জানেনা, দুপুরের আহারে সবেমাত্র বসা তার বন্ধুদের কে কে বেঁচে আছে, আর কে কে মারা গেছে...😰😰
(সম্পূর্ণ সত্য ও বাস্তব ঘটনা, ভুক্তভোগী থেকে নিজে কানে শুনে লেখা)
-নিয়াজ বিন হায়দার, খুলনা।