28/07/2025
📢 ভয়াবহ ভাইরাস জ্বর চলছে — সতর্ক হোন, যত্ন নিন!
এই মুহূর্তে একটা নতুন ধরনের ভাইরাস জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।
ডেংগু বা চিকনগুনিয়া নয়, তবে লক্ষণগুলো ভয়াবহ এবং অনেকেই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
যাদের বেবিদের এই জ্বরটা হবে , আমি প্রথমেই বলব আপনারা আগে ভেঙ্গে পড়বেন না , আপনারা ভেঙে পড়লে সেবা করতে পারবেন না। কারণ দিনশেষে আপনাদের সুস্থ থাকতে হবে তাহলেই বাচ্চারা ভালো থাকবে 😊
আমার ছেলেটাও এই জ্বরে ভুগছে,
শুধু বলছে মাথা ব্যথা পা ব্যথা হাত ব্যাথা,
মনে রাখবেন যে অসুস্থ হবে
তাকে কিছুক্ষণ পরপর স্বাস্থ্যকর খাবার দিবেন খাবারের উপরে কোন মেডিসিন নাই।
আমি ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদেরকে জ্বর হলে এন্টিবায়োটিক দেই না,
ঘরোয়া এন্টিবায়োটিক হলুদের পানি
আমার কাছে মনে হয় এটা সব রোগের জন্য কাজ করে
সকালে খালি পেটে হলুদের পানি খাওয়াই এবং রাতে খাবার আগে,
এইসব রোগীরা খাবার দেখলে মনে করে বি*ষ, অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পরপর খাবার দিবেন
বমি করলে বমির মেডিসিন দিয়ে বমি বন্ধ করবে আগে।
🛑 লক্ষণগুলো:
হঠাৎ করে তীব্র জ্বর (১০৩°–১০৪°F)
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড ব্যথা (মাসল, জয়েন্ট, চোখ, পিঠ) মাথা ব্যাথা
প্রচণ্ড দুর্বলতা, মাথা ঘোরা
প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে
খাবার খেতে না পারা
জ্বর নেমে যাওয়ার পরও শরীরের ব্যথা রয়ে যায় অনেকদিন এবং প্রচুর দুর্বল থাকে।
✅ কী করবেন? চিকিৎসা ও সেরে ওঠার টিপস:
🥣 খাবার:
1. ভিটামিন সি-যুক্ত ফল: মাল্টা, কমলা, লেবু, আমলকি আমড়া,পেয়ারা,
2. জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার: কলা, পাকা পেঁপে, ডিমের কুসুম
3. প্রোটিন: ডিম (সিদ্ধ), চিকেন স্যুপ, ডাল, খিচুড়ি মাছ
4. পানি বেশি করে খান – দিনে অন্তত ৩ লিটার ( স্যালাইন
বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে) তবে চিনি খাওয়া মোটেই ঠিক নয়।
🧊 ব্যথা ও জ্বরের জন্য:
প্যারাসিটামল (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)
গরম পানির সেঁক বা হালকা ম্যাসাজ
তুলসি, আদা, মধু দিয়ে ভাপ বা কাশির জন্য পানীয়
💆 জ্বরের পরের শরীর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া টিপস:
গরম পানিতে লবণ দিয়ে গা মুছানো
হালকা স্ট্রেচিং বা ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করা
ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার (পানিতে ভেজানো বাদাম, কলা)
আয়ুর্বেদিক তেল (যেমন নারকেল তেল বা পুদিনার তেল) দিয়ে হালকা মালিশ
⚠️ কখন হাসপাতালে যাবেন:
বারবার জ্বর আসছে
প্রেসার খুব কমে যাচ্ছে
খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে/অজ্ঞান ভাব
রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন অনিয়মিত
🧘♀️ মনে রাখবেন:
> জ্বর চলে গেলেও শরীর পুরোপুরি দুর্বল হয়ে পড়ে।
তাই ধৈর্য ধরে বিশ্রাম, ভালো খাবার, আর পর্যাপ্ত পানি–এগুলোই দ্রুত সেরে ওঠার চাবিকাঠি।
আপনাদের আশেপাশে কেউ আক্রান্ত হলে পোস্টটা শেয়ার করে তাকে জানাও কীভাবে একটু ভালোভাবে যত্ন নিতে পারে।
❤️ সুস্থ থাকুক তোমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আশপাশের সবাই।