16/04/2025
আবারও আহলেহাদীছ মসজিদ ভাঙচুর, রক্তপাত!
বিবাড়িয়ার কওমী হুজুরদের কাছে প্রশাসনও কি অসহায়!....
হাইকোর্টের রায় নিয়ে, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সব কাজ নিয়মতান্ত্রিকভাবে শুরু করার পরও এই আক্রমণ, মানুষের জানের উপর হামলা! ...
হেফাযত যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামূনুল হককেও আমরা অনুরোধ করেছিলাম বিষয়টি দেখার জন্য। কিন্তু তিনিও সম্ভবত এদের হিংস্রতার কাছে অসহায়। আমরা এই রক্তক্ষয়ী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সর্বদলীয় ঐক্য সম্মেলন কোন কাজে আসবে না, যদি না এই হিংসা-বিদ্বেষ অব্যাহত থাকে। আমরা আশাবাদি ইসলামী দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে এই ঘটনার প্রতিবাদ করবেন এবং আহলেহাদীছদের বিরুদ্ধে এই জিঘাংসা বন্ধে এগিয়ে আসবেন।
উল্লেখ্য যে, মাত্র গতমাসেই (২০ মার্চ ২০২৫) আমি এবং ড. কাবীরুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেলা সদরের পাঘাচং গ্রামে অবস্থিত বাইতুল মামুর সালাফী জামে মসজিদ পরিদর্শনে যাই। ৬ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত উক্ত মসজিদটি এলাকাবাসী এবং প্রবাসী দ্বীনী ভাইদের সহযোগিতায় ২৪.৯.২০২১ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মুছল্লী বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছর উক্ত এই মসজিদটি তিনতলা বিশিষ্ট করার জন্য কার্যক্রম ভিত্তি দেওয়ার কাজ শুরু হয়। তারপর থেকেই পার্শ্ববর্তী কওমী মাদ্রাসার হুজুররা মসজিদ যেন না হয়, সেজন্য জোর হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। অবশেষে হাইকোর্টের রায় এবং প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় সম্প্রতি আবার মসজিদের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু হিংস্র হুজুরদের জঘন্য আক্রমণে আবার তছনছ হল অস্থায়ী মসজিদ। লুটপাট হল নতুন মসজিদের মালামাল। বর্তমানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আল্লাহ এদের হাত থেকে আমাদের ভাইদের হেফাযত করুন। আমীন!
🖋️ড. আহমদ আব্দুল্লাহ ছাকিব