মূর্খ?

মূর্খ? Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মূর্খ?, Digital creator, Dhaka.

পছন্দের কতকিছুই ছেড়ে দিয়েছি। ছোটবেলার সেই আটানা দামের চকলেট; দুই টাকা দামের আইসক্রিম, পছন্দের ছিলো খুব কিন্তু সময়ের পরিব...
31/08/2025

পছন্দের কতকিছুই ছেড়ে দিয়েছি। ছোটবেলার সেই আটানা দামের চকলেট; দুই টাকা দামের আইসক্রিম, পছন্দের ছিলো খুব কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ছেড়ে দিয়েছি।

মাটির টুকরো কিংবা ইটের টুকরো গাছে ছুড়ে মেরে কাঁচা আম খাওয়াটা ছিলো অতি পছন্দের। এখন ফ্রিজে থাকতে থাকতে পচে যায় কিন্তু খাওয়া হয়না। ছেড়ে দিয়েছি।

পছন্দের খেলা ছেড়ে দিয়েছি। বেসুরো গলায় পছন্দের গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছি। পছন্দের অনেক কিছুই ছেড়ে আসা মানুষ আমি।

তোমাকে আমার পছন্দ। তাই বলে যে তোমাকে আমি ছাড়তে পারবোনা এমন টা ভাবার প্রয়োজন নেই। তুমি সেখানে যেতে পারো যেখানে তোমার মন টানে।

আমাকে ছেড়ে গিয়ে তুমি অন্য কোথাও ভালো থাকলে, আমি তোমাকে সেখানে এগিয়ে দিয়ে আসতে চাই।

Book - শেষ অধ্যায়
Writer - Ashraf Ahmed
Photo - Tanvir Shahzad

27/08/2025

প্রত্যাশার হত্যাশা দূর হোক যেখানে যার শান্তি মিলে সেখানেই তার ঠাই হোক!

কিস্তির লোক এসে উঠোনে চেয়ার পেতে বসে থাকে।কামরাঙা মারবেলের মতোন দুপুর গড়ায়ে যায়।আমলকী গাছ থেকে কবুতর একটা দুটো পশম খুটে ...
07/08/2025

কিস্তির লোক এসে উঠোনে চেয়ার পেতে বসে থাকে।কামরাঙা মারবেলের মতোন দুপুর গড়ায়ে যায়।
আমলকী গাছ থেকে কবুতর একটা দুটো পশম খুটে নিচে ফালায়

আম্মা টাকার খোঁজে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে।
রান্নাঘরে ম রা পুঁটিমাছের পাশে ছাঁই মাছি ওড়ে।
খাড়া বটির উপরে প'রে ছোট বোনের হাত কে টে যায়
কাঁদতে কাঁদতে ময়না আমার লেবু ফুলের মতোন ঘুমায়।

কোথাও কারো কাছে টাকা ধার না পেয়ে আম্মা কিস্তির লোক থেকে পা লা য়
জীবন থেকে পা লা তে পারেনা
সুদের হারে বেড়ে যায় গ্যাস্টিকের ব্যাথা

সন্ধ্যায় শালিকের নিস্তব্ধতা নিয়ে ঘরে ফিরে
ভাত খেতে বসে আম্মা কাঁদলে
ব্যর্থ হয়ে যায় আমার স্বার্থক কবিতা।

_____সালফিউরিক শুভ

হস্তলিপি - মাহিবি ইসলাম
06/08/2025

হস্তলিপি - মাহিবি ইসলাম

হয়তো ❤️
04/08/2025

হয়তো ❤️

02/08/2025
কয়দিন ধরে বউটা বায়না ধরেছে শাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য। আমি তাকে সুন্দর মত বুঝিয়ে বললাম, কাছেই তোমার ছোট বোন থাকে, তাকে নিয়ে গ...
01/08/2025

কয়দিন ধরে বউটা বায়না ধরেছে শাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য। আমি তাকে সুন্দর মত বুঝিয়ে বললাম, কাছেই তোমার ছোট বোন থাকে, তাকে নিয়ে গিয়ে কিনে আনো। বিল যা আসে আমি দিয়ে দিবো।'

কিন্তু না, সে সোজাসুজি বলে দিয়েছে, হয় আমাকে তার সাথে যেতে হবে,নয়তো অনলাইন থেকে সে নিজে পছন্দ করে কিনে নিবে।'

এই একটা জায়গাতে বউ আমাকে দূর্বল করে দেয়। আমার আবার অনলাইনে জিনিস কেনাতে বেশ এলার্জি।
হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে, দু পাঁচটা দোকান ঘুরে ঘুরে জিনিস কেনার মত মজাটা ঠিক অনলাইনে কেনাকাটাতে আসেনা।
দেখাবে একটা আর দিবে আরেকটা,সে আরেক ঝামেলা। তখন রাতদিন আমারই কানের গোড়ায় ঘ্যানঘ্যান করবে,চেঞ্জ করিয়ে নেওয়ার জন্য, বরং সেই ভালো আমি নিজেই যাবো।

যেই ভাবনা সেই কাজ,শুক্রবারের এক বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম বউটাকে নিয়ে।

কয়েকটা দোকান ঘুরাঘুরি করেও স্ত্রীর মনপছন্দ শাড়ির হদিস মিললো না। এখন বড্ড বিরক্ত লাগছে,কোন কুলক্ষণে যে সেদিন দু পাঁচটা দোকান ঘুরার কথা মুখে এনেছিলাম কে জানে।

এদিকে পায়চারী করতে করতে পায়ের অবস্থা নাজেহাল।বোবা কান্নায় পা জোড়া হাত জোড় করে বলছে, 'রেহাই দে ভাই এবারের মত।

ঠিক করলাম,এবার যেই দোকানে ঢুকবো খারাপ ভালো যাই-ই হোক বলবো,'তোমাকে খুব সুন্দর মানাবে এইটাতে। নিয়ে নাও।'

মেয়েরা আবার কমপ্লিমেন্ট শুনতে বেশ পছন্দ করে। করলামও তাই,দোকানী কয়েকটা শাড়ি বার করতেই আমি এক এক করে বউয়ের কাধের উপরে রেখে বললাম,'বাহ্ অপরুপ। খুব সুন্দর মানাবে তোমাকে। কোনটাতে নীলাঞ্জনা,কোনটাতে সুচিত্রা আবার কোনটাতে মাধবীলতার সাথে তুলনা করে বেছে বেছে তিনটা শাড়ি পছন্দ করে দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বললাম,'এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম।

দোকানির ঠোঁটে ধূর্ত হাসি ফুটে উঠেছে। তিন তিনটা শাড়ি নির্ঘাত এবার আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকিয়ে বসবে!
হলোও তাই,দোকানী একটা চওড়া হাসি দিয়ে শাড়ি তিনটা প্যাক করার পর যখন দাম বললো,তা শুনে তো আমার দেহ থেকে প্রাণ ভোমরা বের হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা।
তিনটা শাড়ির দাম ত্রিশ হাজার টাকা! দাম শুনে ব্যাগ থেকে শাড়ি তিনটা বার করে হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে বললাম,'শাড়ির সুতো গুলো কি ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড়ের তৈরী?'

দোকানদার হেসে বললো, -'না স্যার। একদম খাঁটি ক্যাট সুতো দিয়ে তৈরী।'

'তাহলে কি শাড়ি তাঁতে বোনার সময় স্বর্নের পানির ভিতরে চুবিয়ে রাখা হয়েছিলো?'

'আরে কি যে বলেন না আপনি।'

'তাহলে এত দাম কেন ভাই? এমন ফ্যাতফেতে শাড়ির দাম এত হয়? এত দাম বলে গরীবের হার্টের প্রবলেম কেন বাড়াচ্ছেন মিছামিছি?'

'দাম বেশি চাইনি তো,জিনিস যেটা ভালো দাম তো তার একটু বেশিই হবে। ভাবিসাব দোকানের সবচাইতে রেয়ার শাড়ি তিনটায় পছন্দ করেছেন। দাম তো একটু বেশি হবেই।
চাইলে আপনি আশপাশের দোকান যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারেন। যদি কমে পান,তাহলে আমি তিনটা শাড়ি ভাবিকে ভালোবেসে গিফ্ট দিয়ে দিবো।'

এই সেরেছে রে,আজকাল এমন ফ্রি ভালোবাসা দিলে তো ঘরে বউ রাখা মুসকিল হয়ে যাবে। খানিকটা গলা খাঁকারি দিয়ে বললাম,'সব রসুনের …... এক। এই কথাটা নিশ্চয় শুনেছেন?'

'হ্যাঁ।'

'তাহলে আর অন্যকোথাও যাচাই-বাছাই করে কাম নেই।আপনি কমে কত পারবেন সেইটা বলেন?'

আমাদের দুজনের বাক বিতর্ক এতক্ষণ চুপচাপ দেখে যাচ্ছিলো আমার স্ত্রী। ঠিক চুপচাপ নয়, ও মনোযোগ দিয়ে আরেকটা শাড়ি পছন্দ করছিলো তাই আমাদের দিকে এতক্ষণে ধ্যান দেয়নি।

শাড়ি রেখে এসে দোকানিকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে উঠলো, 'আপনাদের দুজনের দাম-ই থাক। আমি একটা দাম বলি?'

দোকানদার বুক ফুলিয়ে বললো, 'এইতো এতক্ষণে বিচক্ষণ মানুষ পেয়েছি। হ্যাঁ ভাবি আপনিই বলুন।'

বউ কিছুক্ষণ শাড়ি তিনটার দিকে তাকিয়ে থেকে অকপটে বলে দিলো, 'একদাম তিনটা শাড়িতে পাঁচ হাজার টাকা দেবো।'

দাম শুনে আমি তো বাকরুদ্ধ সাথে দোকানী নিজেও ভ্যাবাচেকা খেয়ে গিয়েছে।
কোথায় নানির বাড়ি আর কোথায় মিষ্টি চাইছে? ত্রিশ হাজারের জিনিস সোজা পাঁচ হাজার! ভাবা যায়। লজ্জায় আমি দোকানির দিকে পিছন ঘুরে দাঁড়ালাম।

দাম শুনে তো লজ্জায় 'ছেড়ে দে মা সম্মান বাঁচাই'এমন একটা অবস্থা। এমন দাম তো আমি কল্পনাতেও আনতে পারবো না। আর আমার বউ সোজাসাপ্টা বলে দিলো! ইচ্ছা করছে এই লজ্জা ঢাকতে বউয়ের জন্য পছন্দ করা শাড়িগুলো দিয়ে নিজের আপাদমস্তক ঢেকে ফেলি।

দোকানি এবার খানিকটা অসহায়ত্ব দেখিয়ে বললো,'ভাবি এইটা কোনো কথা বললেন! আপনাকে তো বিচক্ষণ ভেবেছিলাম। এই দামে এত সুন্দর বাহারি কাজ করা শাড়ি পাবেন আপনি? আপনি বরং তিনটা শাড়ি মিলিয়ে ২০ হাজার দেন।'

বউয়ের এক দামে দোকানিকে বুর্জ খলিফার আপার ফ্লোর থেকে মিড ফ্লোরে নেমে আসতে দেখে আমি তো অবাক।
একবারে ত্রিশ থেকে সোজা বিশ!

কিন্তু বউ আমার এক কথার মানুষ,সে তার দামে অটল। দোকান ভেঙ্গে যাবে তবুও সে ভাঙবে না।

দোকানী এবার উল্টো কাউন্ট করা শুরু করলো। ভাবি ১৯,১৮,১৭,১৬,১৫ হাজার, ম্যাডাম একদাম ১৩ হাজার এর নিচে আর পারবো না।

কিন্তু তখনো দেখলাম আমার বউ তার জবানে অটল। দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে আছে। উঠবেই না আর।
এদিকে দোকানদার মশাই সিড়ি বেয়ে, না সিড়ি নয়,লিফ্টের মত দাম নিচে নামিয়ে চলেছে তরতর করে।

দুজনের দরদাম দেখে মুখ চেপে হাসছি আমি।
কোথায় সাবেদ আলী আর কোথায় জুতোর কালি? এতো দেখি আস্ত চোরাকারবারি। এবার ঠেলা সামলাও বৎস। খুব তো বিচক্ষণ দেখতে চেয়েছিলে।

দোকানদার এবার আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,'ভাই আপনারা আমার প্রথম কাস্টমার।
জুম্মার নামাজ পড়ে প্রথম কাস্টমার ফিরিয়ে দিলে দোকানের অমঙ্গল হবে। আপনি কিছু একটা করুন।'

আমি ঠোঁট উল্টিয়ে বললাম,'ভাই বউয়ের মুখের উপর কথা বলিয়ে কেন আমার জীবনটা বিপদে ফেলতে চাইছেন? তখন তো নিজেই ডেকে নিলেন বিচক্ষণ বলে। এখন নিজেই সামলান।'

তারপরও হাজার হলেও পুরুষ তো,একই জাত।
খারাপ লাগলো খানিকটা। বউয়ের দিকে তাকাতেই বউ হাত ধরে বললো,'চলো অন্য দোকানে যাব,শাড়ির কি অভাব পড়েছে নাকি?'

কথাটা বলেই আমার হাতটা ধরে হিড়হিড় করে বেরিয়ে যাওয়া ধরতেই দোকানদার পিছন থেকে চিৎকার করে বলে উঠলো,'ভাবি দুজনের দামই থাকুক,নিজের ছোট ভাই ভেবে দশ হাজারটা টাকা দিয়েন।'

আমার বউ তাতেও সন্তুষ্ট নয়। চোখ মুখ শক্ত করে বললো,'দ্যাখেন আমি দরদাম একদমই পছন্দ করিনা। আপনি যখন বড় বোন বলে ডেকেছেন,দরকারে ছোট ভাই হিসাবে আপনাকে আমার বাসায় দাওয়াত করে পোলাও মাংস,বোরহানি খাওয়াবো। তারপরও আমি এর বেশি একটা টাকাও উঠতে পারবো না।'

দোকানিও ছাড়বার পাত্র নয়,সেও ধরে বেঁধে লেগেছে।যেভাবেই হোক শাড়ির ব্যাগটা সে আমার বউয়ের হাতে দিবেই দিবে। মুখে নির্বোধের হাসি হেসে বললো,

'ভাবি লাস্ট একটা দাম বলি,'আট হাজার,আর না করবেন না। শাড়িগুলো ভালো মানের। অন্যসময় আসলে তিনটার দাম দশ হাজারের এক পয়সাও কমে দিতাম না। বৌনির কাস্টমার,ফিরাবো না তাই দিয়ে দিচ্ছি।'

বউ এবার ঠোঁট কেটে বললো,'ওমা তাই,বৌনির কাস্টমার ফেরালে কি দোকানের মালে পোকা ধরে? যত্তসব। এইসব ভুজুংভাজুং অন্যদেরকে বুঝাবেন। আমি যে দাম বলেছি ঐ দামে হলে দিন,নয়তো দোকানের অভাব নেই। আর শাড়িগুলো আমার এতটাও জরুরী নয় যে ওগুলো নিতেই হবে।'

দুজনে বেরিয়ে যাবো,দোকানদার আমার হাতটা ধরে ফেলে বললো,'ভাই আপনি আমার ভায়ের মত,আর দরদাম কইরেন না। লাস্ট সাত হাজার দিয়ে নিয়ে যান।'

দুজনের দর কষাকষিতে আমি পড়লাম বিপাকে। দোকানির উপর যেমন মায়া লাগছে,তেমনি বউয়ের মুখের উপরেও কথা বলার সাহস পাচ্ছিনা।

বউ এবার চোয়াল শক্ত করে বললো,'আমি একটা লাস্ট দাম বলছি,দিলে দিবেন না দিলে নাই। একদাম ছয় হাজার দিবো। যদিও লস হয়ে যাচ্ছে।'

'ম্যাডাম অনেক লস হয়ে যাবে,আর পাঁচশত টাকা বাড়িয়ে দিন। চা খাওয়ার জন্যই দিন। আর না করবেন না।'

বউ কিছু বলার আগে আমি নিজে এগিয়ে গিয়ে টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললাম,' খুঁজুন না আরও বিচক্ষণ। আমি হলে বিশ হাজারেই মামলা চুকে যেতো। বিচক্ষণ খুঁজতে গিয়ে খেলেন তো বাঁশ।'

তারপর শাড়ির ব্যাগটা নিয়ে আসতেই বউ হাত চিমটে মুখ ভেঙচিয়ে বললো,'তুমি না,সবসময় বেশি বেশি করো।
আমি দিলেও খুব জোর একশত টাকা দিতাম।
এর একটা টাকাও বেশি দিতাম না।
দিলে তো পনেরো শত টাকা লস করিয়ে। এমনিতেই বেশি দাম বলে ফেলেছি।'

বউয়ের কথাগুলো শুনে বুকে ফু দিয়ে নিজের মনেই বললাম,এতদিন হুদাই বউকে বকাবকি করে এসেছি টাকা অপচয় করার জন্য। আশিক তুই জিতছিস ভাই,তুই জিতছিস। এমন জোহর কয়জনার কপালে জুটে।'

সামনে বার যদি একটা সেন্ডো গেঞ্জিও কিনি,তারপরও বউকে নিয়ে যাবো। দরকার পড়লে বউকে এক হাজার টাকার শাড়ি কিনে দিবো,তারপরও নিয়ে যাবো।বহুত ঠকেছি আর ঠকা যাবেনা।
খায়লে ঘরের মানুষ খাক,পরে কেন খাবে? এ্যাঁহ্।

শান্তির ঘুম 😄
31/07/2025

শান্তির ঘুম 😄

- বলো?
30/07/2025

- বলো?

বুঝছো 😊
29/07/2025

বুঝছো 😊

এক দরিদ্র লোক  ও তার স্ত্রী পাহাড়ে বাস করতো। বেশিরভাগ সময় এই পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় ; মাঝেমধ্যে না খেয়েও দিনাতিপ...
26/07/2025

এক দরিদ্র লোক ও তার স্ত্রী পাহাড়ে বাস করতো।
বেশিরভাগ সময় এই পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় ; মাঝেমধ্যে না খেয়েও দিনাতিপাত করতে হয় মোটকথা, বাঁচার সংগ্রাম । একদিন লোকটি রুটি – রোজগারের সন্ধানে পাহাড় ছেড়ে অন্য কোথাও বেরুবার সিধান্ত নেয় । যাবার আগে স্ত্রীকে বলে, ‘ আমি দীর্ঘ দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি । তোমার প্রতি আমি সবসময় বিশ্বস্ত ছিলাম এবং থাকব; প্রতিজ্ঞা করতে পারবে যে তুমিও আমার অনুপস্থিতে আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে ‘? তার স্ত্রী মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানায়।
অনেক দিন পার করে পাহাড় বেয়ে নিচে নেমে লোকটি
শর্ত দিয়ে একটি দোকানে চাকরি নেয় । শর্তটি হচ্ছে
এই যে, পুরো উপার্জন বা মজুরি মালিকের কাছে
জমা থাকবে; কাজ ছেড়ে চলে যাবার সময় সমুদয়
অর্থ ফেরত নেয়া হবে। মালিক গরিব লোকটির কথায়
রাজি হলেন।বিশ বছর পর লোকটি আর কাজ করবেনা বলে মালিকের কাছে তার প্রাপ্য সব টাকা
ফেরত চাইল ।
মালিক বললেন , তুমি টাকা নিবে নাও কিন্তু টাকার পরিবর্তে আমার তিনটা উপদেশও গ্রহণ করতে পারো । তুমি স্বাধীন । হয় আমার উপদেশ মানবে নয়তো তোমার বিশ বছরের পারিশ্রমিক ফেরত নেবে, কোনটা ? লোকটি দুদিনের সময় নিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে বলল, আমি আপনার তিনটি উপদেশ চাই, আমার প্রাপ্য অর্থ নয়’ ।
মালিক বললেন তাহলে মনোযোগ দিয়ে শুনো এবং কথাগুলো মাথায় রেখো।
উপদেশ-১ঃ
কখনও সংক্ষিপ্ত রাস্তা বা সর্টকাট বেছে
নেবেনা ; আপাতদৃষ্টে ভাল হলেও লম্বা সময়
নিয়ে করা কাজ অধিকতর উপকারী ।
উপদেশ-২ঃ
কোন কিছুতে হুট করে আগ্রহ দেখাবেনা । ধৈর্য ধরে
উপসংহারে উপনীত হবার চেষ্টা করবে ।
উপদেশ ৩ঃ
কারো সম্পর্কে ধারণা নেবার আগে
পূঙ্খানুপুঙ্খ চিন্তাভাবনা করবে ।

এই বলে মালিক লোকটিকে তিনটা পাউরুটি দিয়ে
বললেন , এই দুটি খাবে রাস্তায় ভ্রমণকালে আর
এই বড় রুটিটা খাবে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর সাথে
শেয়ার করে ।
মালিকের উপদেশ মনে গেঁথে লোকটি তার দীর্ঘ ও
ক্লান্তিময় সফর শুরু করে । পথিমধ্যে একজনের
সাক্ষাতে জানতে পারে যে এই পথে যেতে যা
সময় লাগবে, বিকল্প পথে লাগবে তার চেয়ে অনেক
কম সময় । আর যেহেতু বিশ বছর ধরে সে স্ত্রীকে
দেখেনা তাই এমনভাবে সময় নষ্ট করা ঠিক না ।
লোকটি প্রথমে রাজি হোল কিন্তু পরক্ষনে মালিকের
উপদেশ -১ স্মরণ করে দীর্ঘ পথই বেছে নিলো । পরে
জানতে পারে যে সংক্ষিপ্ত পথে একটা ভয়ংকর প্রাণী ছিল যা তার প্রাণ নিয়ে নিতে পারতো ।

সফরের এক সময় রাত্রি যাপনের জন্য লোকটি
একজন মহানুভব মানুষের সাহায্য গ্রহণ করল।
অনেক রাতে একটা গোংরানির শব্দে তার ঘুম
ভেঙ্গে গেলে সে খুব আগ্রহ নিয়ে কি ঘটেছে দেখার
জন্য দরজা খুলতে যায় । হটাৎ তার মনে পড়ে
মালিকের উপদেশ -২ অর্থাৎ হুট করে আগ্রহ
দেখানো ভাল ফল নাও দিতে পারে । সত্যি তাই ।
সকালে আশ্রয়দাতা জানালো যে রাতে এই
বাড়িতে একটা বাঘ ঢুকেছিল ।

অবশেষে দীর্ঘ পথ পরিভ্রমণ শেষে একরাশ ক্লান্তি
ও হাতে একটা পাউরুটি নিয়ে লোকটা বাড়ি
পৌঁছায় । ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় জানালা
দিয়ে উঁকি মেরে দেখে তার স্ত্রী আলিঙ্গনরত
একজন পুরুষের গালে চুমু খাচ্ছে। রাগে, ক্ষোভে আর
ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি
চরম ঘৃণা ভরে চিরতরে বাড়ি ত্যাগ করার
সিদ্ধান্ত নেয়।আর তখনি হটাৎ তার মনে পড়ে
মালিকের উপদেশ -৩ কারো সম্পর্কে ধারণা নেবার আগে পুঙ্খনাপুঙ্খ চিন্তাভাবনা করবে । তাই লোকটি বাড়ি ছাড়ার আগে সে জানতে চায় কেন তার স্ত্রী তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিজ্ঞা করেও বিশ্বাসঘাতকতা করল। অথচ সেতো সেই আগের মতই বউকে ভালবাসে।
দরজায় কড়া নাড়তেই সহাস্যে তার স্ত্রী
দরজা খুলে দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে এগিয়ে আসে।
লোকটি তাকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না -‘আমি শুধু
জানতে চাই তুমি আমাকে রেখে আমার
অনুপস্থিতে অন্য একজন পুরুষের গালে চুমু খেয়ে
বিশ্বাসঘাতকতা করলে কেন? কই আমি তো ওইরকম
নই বরং বিশটা বছর তোমার কথা ভেবে ভেবে
কাটিয়েছি ‘ – লোকটি বলল ।
‘ঘরে এসো সব খুলে বলছি’ – তার স্ত্রী
বিনীতভাবে আমন্ত্রন জানাল।‘না, তার আগে
আমার নিজ চোখে দেখা এই মাত্র ঘটে যাওয়া
অপকর্মের ব্যাখ্যা চাই’।
‘আচ্ছা ঠিক আছে, বলছি। তুমি যখন বাড়ি ছেড়ে চলে
গেলে তখন আমি সন্তানসম্ভবা। এখন আমাদের
বিশ বছর বয়সের একটা ছেলে আছে । দূরে পাহাড়ে
কাজে যাবে বলে দুইগালে চুমু খেয়ে দোয়া
করছিলাম’।

আনন্দাশ্রু নিয়ে উভয়ে পাউরুটিটা ভাগ করে খেতে
বসলো। রুটি ছিড়তেই লোকটি দেখে তার মালিক তার
পাওনা সম্পূর্ণ অর্থ রুটির ভেতর গুঁজে দিয়েছিল।

25/07/2025

তুমি আমার পাশে থাকলে জ্বর আমাকে কাবু করতে পারেনা জানো তো! তুমি যে আমার মরণব্যাধি ঔষুধ। ❤️

Address

Dhaka
1361

Telephone

+8801753551730

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মূর্খ? posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মূর্খ?:

Share