
16/09/2025
কুমিল্লা নগরীর ছোটরা কলোনির বাসিন্দা তানজীদা আক্তার। সাড়ে চার বছর আগে দুই কক্ষের বাসাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য তিনি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ তার সংযোগটি বিচ্ছিন্নও করেন। তবে মিটারটি রেখে যান তাদের বাড়িতে।প্রতি মাসে মিটার ভাড়া বাবদ ৪০-৪৩ টাকা পর্যন্ত বিল নিতেন বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ গত আগস্ট মাসে বন্ধ মিটারে ১ হাজার ৪৭০ টাকার বিল আসে। ১৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় বিল আসে এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকা। এ যেন এক ভুতুড়ে কাণ্ড। বিলের কাগজটি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে কুমিল্লা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তানজীদা আক্তার বলেন, সাড়ে ৪ বছর পর বাড়িটিকে পুনঃনির্মাণ বলে গত আগস্ট মাসে শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পরে অফিস থেকে প্রিপেইড মিটার নিতে বলা হয়। পরে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রিপেইড লাগোনো হয়।
কিন্তু আগস্ট মাসে পুরাতন মিটারের বিল আসে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। ১৪ সেপ্টেম্বর আবার বিল আসে এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকা। যা দেখে আমি হতভম্ব হই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, যে মিটারের বিপরীতে এই বিদ্যুৎ বিল তৈরি হয়েছে, ওই বাড়ির মালিক অফিসে এসে যোগাযোগ করেননি। তারপরেও আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে অন্য একজন গ্রাহকের বিল ভুলবশত ওই গ্রাহকের নামে চলে যায়। এটি দুঃখজনক। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করব।