Ornil Riaz

Ornil Riaz I will learn myself and I will teach you too

27/07/2025

আজকের IELTS পরীক্ষা: একটি আশার ঝলক, নাকি গভীর ক্ষত?

আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী IELTS পরীক্ষায় বসেছে। এই ভিড় কি আমাদের জন্য একটি আশার আলো, নাকি সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক বড় সমস্যার ইঙ্গিত?

আমরা দেখছি, দেশের বেশিরভাগ তরুণই কোনো না কোনোভাবে এই দেশ ছাড়তে চাইছে। কেউ স্টুডেন্ট ভিসায়, কেউ শ্রমিক ভিসায়। অথচ আমরা সবাই জানি, বিদেশে জীবন মোটেই সহজ নয়। তবুও কেন বিদেশ থেকে একটাই আওয়াজ আসে – 'আগে বাংলাদেশ থেকে বাইর হইয়া আয়'?

ডেইলি মেসেঞ্জারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে শুধু লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথেই আট হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ১৭-১৮ লাখ টাকা খরচ করে যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে চান, সেই একই টাকায় কেন তারা নিজেদের দেশেই একটু কম ঝুঁকি নিয়ে থাকতে চান না? এটা কি কেবলই টাকার লোভ?

যদি শ্রমিকদের কথা বলি, হয়তো তাদের জন্য অর্থের লোভ একটি বড় কারণ। কিন্তু আমাদের দেশের মেধাবীরা কেন থাকতে চায় না?
তাদের জিজ্ঞেস করলে সরল উত্তর আসে: 'কারণ এই দেশে জীবনের নিরাপত্তা নেই, সম্মান এখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং লিগ্যাসি থেকে আসে।'
চীনের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশোনা করে আবার নিজেদের দেশে ফিরে আসে। কারণ তাদের দেশ তাদের জীবন ও সম্মান দুটোই নিশ্চিত করে। কিন্তু আমাদের দেশের মেধাবীরা উচ্চশিক্ষা শেষে আর ফিরতে চায় না। এর কারণ কী?

কারণ, এখানে জীবন ও সম্মানের নিরাপত্তা নেই। বরং উল্টো চিত্র:
* আপনার সন্তান ভেজাল খাবার খেয়ে অসুস্থ হতে পারে, এমনকি প্রাণও হারাতে পারে।
* আপনার মেয়ে বা স্ত্রী বাইরে বের হলে ধর্ষণের ঝুঁকিতে থাকে।
* ফিটনেসবিহীন একটি বাস যেকোনো সময় পুরো পরিবারকে চাপা দিতে পারে।
* স্কুলে পাঠানো সন্তান ঘরে ফিরতে পারে লাশ হয়ে।
* রেস্টুরেন্টে খেতে বসেও পুরো পরিবারসহ পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
* ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকে।
* একজন রাজনৈতিক চামচা যেকোনো পরিস্থিতিতে যে কাউকে অসম্মান করতে পারে।

আমাদের দেশের দুর্নীতি, বিচারহীনতা এবং জবাবদিহিতার অভাব প্রতিটি খাতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। পরিস্থিতি এমন যে, এই দেশে ঘুষ না খাওয়াটাই যেন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ! কিছুদিন আগে একজন বিএনপি নেতা ইউএনও-কে ফোন করে বলেছিলেন, '১৭ বছর পর কাজ পেয়েছি। মাতব্বরি করে ঝামেলা পাকাতে এসো না। ঝামেলা করলে ঝামেলা বাড়বে।' এমন অবস্থায় কে কাকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেটাই বোঝা মুশকিল।

ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে আমরা দেখি, পরিবার-পরিজন ছেড়ে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছে তরুণরা। ১৫-১৬ লাখ টাকা খরচ করে তারা বিদেশে গিয়ে Odd Job করছে। পড়াশোনা সামলিয়ে নিজেদের রান্না নিজেদেরই করতে হচ্ছে। তবুও তারা সন্তুষ্ট। অন্তত তারা নিরাপদ!

আপনার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করুন, ১৬-১৭ লাখ টাকা খরচ করে দেশে ব্যবসা না করে কেন তারা বিদেশে গিয়ে Odd Job করছে? গ্রামে অনেক নতুন উদ্যোক্তা দেখি, উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করে। কিন্তু পরের দিনই চাঁদা না দিলে পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠে, লাগানো গাছ কেটে ফেলা হয়। যে কৃষি দিয়ে চীন বিপ্লব ঘটিয়েছিল, আমাদের দেশে সেই কৃষিই কৃষকের পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে।

আমাদের মেধাবী ডাক্তাররা ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া চলে যান, আর আমাদের মন্ত্রীরা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। এমনকি ছোটখাটো সমস্যার জন্যও ভারত থেকে চিকিৎসক আনতে হয়।

কেন?

দেশে যে মেধাবীরা আছেন, তারাও আটকা পড়েছেন বিসিএস নামক এক স্বপ্নাতুর জালে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে এই বিসিএস ক্যাডাররাই। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশের কৃষক ধমক দিলেও কৃষকের কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু আমাদের দেশে বিসিএস ক্যাডারকে 'স্যার' না ডাকলে বিপদ হয়ে যায়!

চীন তাদের মেধাবীদের কাজে লাগিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে দাপট দেখাচ্ছে, ইরান তাদের মেধাবীদের দিয়ে ওয়ার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আর আমরা আমাদের মেধাবীদের শিখিয়েছি কিভাবে মেধাবী হয়ে সামাজিক স্ট্যাটাস বাড়াতে হয়, কিভাবে নিজের 'হ্যাডম' দেখাতে হয়। একজন ম্যাজিস্ট্রেট হলেই যেন তার চৌদ্দগোষ্ঠীর ক্ষমতা চলে আসে, যা ইরান বা আমেরিকারও নেই!

অন্যান্য দেশ যখন তাদের মেধাবীদের ফিরিয়ে আনছে, আমরা তখন আমাদের মেধাবীদের পাচার করছি। মেধাবীদের একটি ভুল সিস্টেমে ঢুকিয়ে দিয়ে আমরা তাদের অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে স্বাধীনতার ৫০ বছরে কেন, স্বাধীনতার ১০০ বছরেও এই দেশের পরিবর্তন আসবে না। তারপর কোনো এক দুর্ঘটনার পর আবার কেউ বুক চাপড়ে বলে উঠবে, 'আমি আর এই দেশে থাকব না...!'

24/07/2025

কনটেন্ট মনিটাইজেশন: রুচি ও ব্যক্তিত্বের সংকট

কনটেন্ট মনিটাইজেশনের হাত ধরে যেমন নতুন আয়ের পথ খুলেছে, তেমনি এর অপব্যবহার আমাদের সমাজের মূল্যবোধ ও ব্যক্তিগত রুচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অর্থ উপার্জনের নেশায় অনেকে এতটাই মত্ত হয়ে উঠছেন যে, নিজের অবস্থান এবং ব্যক্তিত্বের সম্মান সম্পর্কে একেবারেই উদাসীন হয়ে পড়ছেন।

আমরা প্রায়শই দেখছি পুরুষ শিক্ষকরা মেয়েদের শাড়ি-ব্লাউজ পরে অদ্ভূত নাচানাচি করছেন, যা শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশার गरिমাকে ক্ষুন্ন করছে। আবার নারী শিক্ষিকারাও তাদের সন্তানের মতো নিষ্পাপ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন সব উদ্ভট কার্যকলাপে মেতে উঠছেন যা তাদের দায়িত্ববোধের সাথে সাংঘর্ষিক।

পারিবারিক পরিসরেও এই অবক্ষয় চোখে পড়ছে। স্বামী-স্ত্রী নিজেদের শোবার ঘরে রাতের পোশাকে সস্তা আহ্লাদী সংলাপ দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে পরিবারের সকলে মিলে বেমানান বা হাস্যকর পোশাক পরে রাস্তায় বেরিয়ে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করছেন। এক্ষেত্রে কার পোস্টে কার সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, সেই বোধটুকুও যেন লোপ পেয়েছে।

'প্র্যাঙ্ক ভিডিও'র নামে মানুষকে আকস্মিকভাবে বিব্রত করা হচ্ছে, আর সেই বিব্রতকর নিষ্পাপ চেহারাগুলোকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসি-তামাশার বন্যা বইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব দেখে মনে হয়, আমাদের সংবেদনশীলতার সীমা যেন দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

নিঃসন্দেহে কনটেন্ট মনিটাইজেশন একটি ভালো উদ্যোগ। কিছু অতিরিক্ত উপার্জন হলে তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই উপার্জনের জন্য আমরা কোন মূল্য দিচ্ছি? আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা বা পারদর্শিতা আছে, তা যদি রুচি এবং শালীনতার সীমারেখার মধ্যে থেকে মানুষের মনে ঝড় তুলতে পারে, সেটাই তো প্রকৃত সার্থকতা।

আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের অনুভূতির সীমা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা রাখা।

কেবল অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে এমন কিছু করা উচিত নয় যা ব্যক্তিগত সম্মান, সামাজিক মূল্যবোধ এবং পেশাদারিত্বকে আঘাত করে। মনে রাখতে হবে, ভার্চুয়াল জগতের ক্ষণিকের খ্যাতি যেন আমাদের বাস্তব জীবনের মৌলিকত্বকে কেড়ে না নেয়।

24/07/2025

ব্যর্থতার সবচেয়ে খারাপ সময় "যারে কোনোদিন Baaল দিয়াও গুনি নাই সেও আইসা কথা শুনায়" 😆💔

23/07/2025

অফিসের জটিল রাজনীতি থেকে নিজেকে রক্ষা করার ১০টি সহজ কৌশল

অফিস মানে শুধু কাজ আর মিটিং নয়, এর ভেতরে চলে এক নীরব প্রতিযোগিতা। যাকে আমরা বলি 'অফিস পলিটিক্স'। এতে যারা চালাক, তারা অনেক সময় যোগ্যদেরও পেছনে ফেলে দেয়। কিন্তু কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে আপনিও এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। এই ১০টি কৌশল আপনাকে পেশাদার থাকতে এবং অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়াতে সাহায্য করবে।

১. কাজই আপনার পরিচয়: গসিপ বা পরচর্চা থেকে দূরে থাকুন। ব্যক্তিগত জীবনে কী হচ্ছে তা অফিসে টেনে আনবেন না। সময়মতো এবং মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজ শেষ করুন। আপনার কাজই আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।

২. কম কথা বলুন, বেশি শুনুন: অফিসের আড্ডায় নিজেকে জড়াবেন না। প্রয়োজন ছাড়া কথা কম বলুন। এতে অপ্রয়োজনীয় ভুল বোঝাবুঝি ও ঝামেলা এড়ানো যায়।

৩. সবাইকে বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু সন্দেহপ্রবণও হবেন না: সবার সাথে মিশুন, কিন্তু সবাইকে সবকিছু বলবেন না। আপনার ব্যক্তিগত বা পেশাগত দুর্বলতা প্রকাশ না করাই ভালো। তবে অকারণে কাউকে সন্দেহ করলে নিজেই মানসিক চাপে পড়বেন।

৪. দলবাজি নয়, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন: অফিসে কোনো বিশেষ গ্রুপ বা দলে যোগ দেবেন না। সবার সঙ্গে ভদ্র ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। এতে আপনি নিরপেক্ষ থাকতে পারবেন।

৫. নিজের সীমা নির্ধারণ করুন: সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে দৃঢ়ভাবে 'না' বলতে শিখুন। যারা আপনার সময় নষ্ট করছে, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

৬. আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে ভাবুন: কেউ আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে বা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করুন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।

৭. দক্ষতা বাড়াতে থাকুন: আপনার কাজের দক্ষতা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ রাখুন এবং নিজেকে আপডেটেড রাখুন। মনে রাখবেন, কোনো প্রতিষ্ঠানই চিরস্থায়ী নয়। তাই নিজের স্কিল বাড়াতে থাকলে আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে।

৮. নম্র থাকুন, সম্মান হারাবেন না: নম্রতা মানে এই নয় যে সবার কথায় সায় দেওয়া। আপনার যদি কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকে, তবে তা ভদ্রভাবে প্রকাশ করতে পারেন। বিনয়ী আচরণ আপনাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।

৯. একজন নির্ভরযোগ্য সহকর্মী খুঁজুন: একজন বিশ্বস্ত সহকর্মী বা মেন্টর খুঁজে বের করুন, যার সঙ্গে আপনি আপনার মনের কথা বা অফিসের সমস্যাগুলো শেয়ার করতে পারেন। এটি আপনাকে মানসিক শান্তি দেবে।

১০. অফিসের দুশ্চিন্তা অফিসে রাখুন: অফিসের টেনশন বাড়িতে নিয়ে যাবেন না। পরিবারকে সময় দিন, পছন্দের কাজ করুন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। এতে আপনার মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং আপনি নতুন উদ্যমে পরের দিনের জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন।

মনে রাখবেন, অফিসে রাজনীতি পুরোপুরি এড়ানো কঠিন হলেও, এসব কৌশল মেনে চললে আপনি সম্মান নিয়ে টিকে থাকতে পারবেন।

"চুপচাপ থেকেও ঝড় সামলানো যায়, যদি ভিতরটা হয় শক্ত।" 💪

এই গাইডটি আপনার কাজে লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদেরকেও সাহায্য করুন! 🙏

#অফিসপলিটিক্স #কাজেরজায়গা #পেশাদারিত্ব #সাফল্য #কর্মজীবন #কেরিয়ার

21/07/2025

"বিবেকের কাঠগড়ায় এক মানবিক বিপর্যয়"

গতকালের বিমান দুর্ঘটনা কেবল একটি উড়োজাহাজের ধ্বংসযজ্ঞ ছিল না, এটি ছিল আমাদের মানবিকতা এবং সামাজিক মূল্যবোধের এক ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি। দুর্ঘটনার পর ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আমাদের বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।

প্রচণ্ড গরমে উদ্ধারকাজে নিয়োজিতদের যখন পানির প্রয়োজন ছিল, তখন কলেজের ক্যান্টিন তাদের পানি বিক্রি করতে বাধ্য করে। মানবিকতার চেয়ে বাণিজ্যিক স্বার্থ যখন বড় হয়ে দাঁড়ায়, তখন এমন দৃশ্যই দেখা যায়। এমনকি, যখন সবচেয়ে বেশি পানির দরকার ছিল, তখন ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া হয়, কারণ "পানির টাকা কে দেবে?" – এই প্রশ্নটিই যেন মানবিকতার ঊর্ধ্বে স্থান পায়।

আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে যখন ছোট ছোট শিশুরা বের হয়ে আসছিল, তখন সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে উৎসুক জনতা ব্যস্ত ছিল মোবাইলে ভিডিও ধারণে। মানবিক সাহায্য প্রদানের চেয়ে "ভিডিওতে বেশি ভিউ" এবং "টাকা ইনকাম"-এর মানসিকতা আমাদের কোন অতলে নামিয়েছে, তা এই ঘটনাই প্রমাণ করে।

ঝলসানো শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসা আহতদের হাসপাতালে নিতে রাজি হয়নি কোনো সিএনজি, রিকশা বা এমনকি কাছাকাছি থাকা কোনো প্রাইভেট কার। কারণ, "এরা কেউ তার নিজের সন্তান নয়।" এই বাক্যটি আমাদের সমাজের চরম স্বার্থপরতা এবং আত্মকেন্দ্রিকতার নির্লজ্জ উদাহরণ।

দুর্ঘটনার শিকারদের জন্য পরিবহন ভাড়ার ক্ষেত্রেও দেখা গেছে অমানবিকতার চিত্র। মাইলস্টোন কলেজ থেকে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে সিএনজি ভাড়া ১০০০ টাকা, যেখানে উত্তরা-উত্তর মেট্রোর নিচ থেকে মনসুর আলী মেডিকেলে রিকশা ভাড়া ১০০ টাকা – এই বৈষম্য যেন আরও একবার মনে করিয়ে দেয় সংকটের সময়ও কিছু মানুষ কীভাবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে।

দুর্ঘটনায় আহত বা আতঙ্কিত শিশুদের আইডি কার্ডে অভিভাবকদের ফোন নম্বর না থাকাটা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা এবং উদাসীনতার দিকে ইঙ্গিত করে। শিশুরা এতটাই আতঙ্কিত যে তারা তাদের ঠিকানা বা অভিভাবকদের ফোন নম্বর বলতে পারছে না, অথচ তাদের সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম তথ্যটুকুও আইডি কার্ডে নেই।

সবশেষে, ১৯৭৬ সালের মডেলের একটি যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনা ইঙ্গিত দেয় আমাদের দেশের প্রযুক্তিগত দৈন্যদশা এবং সম্ভবত রক্ষণাবেক্ষণেও ঘাটতির।

এটাই হয়তো আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র।

এটাই আমাদের বিবেক এবং মনস্তত্ত্ব। এই ঘটনাগুলো আমাদের বাঙালি পরিচয়ের এক ভিন্ন দিক উন্মোচন করে।

যে শিশুরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে, পরম করুণাময় আল্লাহ তাদের এই দুনিয়ার 'জাহান্নাম' থেকে মুক্তি দিয়েছেন।

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির: এক অসম সাহসিকতার গল্প, এক মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী 💔একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌ...
21/07/2025

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির: এক অসম সাহসিকতার গল্প, এক মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী 💔

একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন তাঁর পরিবারের কাছে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। কিন্তু তিনি তা করেননি। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি চেষ্টা করেছেন বিমানটিকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যেতে, যাতে জনবসতিতে বড় ধরনের ক্ষতি না হয়। নিজের জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়েছেন অজস্র প্রাণ। 🙏

তাঁর সেই বিমানটি ছিল পুরনো এক F-7 যুদ্ধবিমান। যে বিমান হয়তো ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা নয়, সেটাই উড়ছিল। কেন? কারণ দুর্নীতি এখনও এই দেশের আকাশে উড়ছে, আর সেই দুর্নীতির ভার বইছে আমাদের প্রজন্মের সাহসী সন্তানেরা। 😡

তৌকির আকাশে মারা যাননি। তিনি মরে গিয়েছিলেন সেদিন, যেদিন বাজেট চুরি হয়েছিল, যেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই চলবে আধুনিক যুগের প্রশিক্ষণ। এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি – না কোনো নিরাপত্তা, না কোনো বিকল্প। রেখে গেছে কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, আর এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের এই ভয়াবহ ঘটনায় শুধু তৌকির নন, প্রাণ হারিয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা।

আহত যারা হয়েছেন, আল্লাহ যেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন।

আর যেন কোনো তরুণ তৌকিরকে, একটা মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে এমন করুণভাবে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

#ফ্লাইটলেফটেন্যান্টতৌকির #শোক #দুর্নীতি_বন্ধ_হোক #নিরাপদ_আকাশ_চাই #বিমানদুর্ঘটনা #সালাম_তৌকির

21/07/2025

জাস্টিন বিবারের গল্পটা জানেন তো? 🎤 একসময় দুনিয়া কাঁপানো 'বেবি' গায়ক, সাফল্যের চূড়ায় উঠেছিলেন। নাম, যশ, টাকা, খ্যাতি - সব ছিল হাতের মুঠোয়। প্রাইভেট জেটে নেশার জিনিস নিয়ে ওড়াউড়ি ছিল রোজকার ব্যাপার। কিন্তু জীবন ঠিকই তার হিসাব নিয়ে নেয়! 😔

আজ সেই বিবার $৩১.৫ মিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণের বোঝায় জর্জরিত। যে হাত মাইক্রোফোন ধরতো, সে হাত এখন স্ত্রীর সাহায্য চাইছে। যে মানুষ কোটি কোটি ডলারের চেক সাইন করতেন, তিনি এখন স্ত্রী হেইলির কসমেটিক ব্র্যান্ড 'রোড'-এর বিক্রির অর্থের দিকে তাকিয়ে আছেন। জীবনটা পুরোপুরি উল্টে গেছে।

আসলে, আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা যখন অহংকার, নেশা আর বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয়, তখন নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলাটা খুব সহজ। সাফল্যের কোলাহলে ভেতরের সতর্কবাণীও চাপা পড়ে যায়। 😢

আজ তিনি অসুস্থ, ক্যারিয়ার ধুঁকছে, একের পর এক কনসার্ট বাতিল হচ্ছে। অথচ একসময় তার কনসার্টের টিকিট পাওয়া ছিলো ভাগ্যের ব্যাপার! ২০০ মিলিয়ন ডলারে নিজের মিউজিক ক্যাটালগ বিক্রি করা মানুষটিই এখন ট্যাক্স, আইনজীবী আর ম্যানেজারের বিল মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জীবনের এই ওঠাপড়া থেকেই আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে:
* সাফল্য যদি হিসাব না জানে, তবে সে শত্রু। 💸
* শরীর, সম্পর্ক আর অর্থের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে জীবন ধ্বংসের দিকে গড়াতে পারে। 🧘‍♂️❤️💰
* প্রতিটি উত্থানের পেছনেই এক সম্ভাব্য পতনের গল্প থাকে; প্রস্তুত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। 📈📉
* আর সবচেয়ে বড় কথা, পাশে দাঁড়ানো মানুষই জীবনের আসল সম্পদ। 💪

জাস্টিন বিবার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন - তারকা মানেই অমরত্ব নয়, সাফল্য মানেই স্থায়িত্ব নয়। তবে ভুল থেকে ফিরে আসাটাই আসল জীবন। হয়তো এই অভিজ্ঞতা তাকে নতুন করে জন্ম দেবে, আর আমাদের দেবে আরও একটা গভীর শিক্ষা।

কারণ, পতন কখনো শেষ নয়, যদি শেখা শুরু হয়। 🙏

#সাফল্য #শিক্ষা #বাস্তবতা #জীবনযুদ্ধ

20/07/2025

ভাঙনের মাঝেও আশার আলো: একটি আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট

'দাগী' সিনেমার সেই বুক চেরা আর্তনাদ, "আমাকে আমার মত করে ভালবাসলে না কেন? আমাকে ধরে রাখলেনা কেন নিশান? তুমি আসলে জানোই না, কিভাবে ভালবাসতে হয়। ভালোবাসা তুমি কি বোঝো না নিশান?"—এই কথাগুলো কি শুধু নিশানকে বলা? নাকি দিনের পর দিন নিঃশেষ হয়ে যাওয়া আমাদের সবার অব্যক্ত অনুভূতি? নির্ঘুম রাতগুলো যখন আবেগ আর অনুভূতিগুলোকে ছারখার করে দেয়, তখন আমরা যতই বলি "ভালোবাসা একতরফাই ভালো" বা "ভালোবাসা জীবনের সব নয়", দিনশেষে কি একটা নির্ভরতার হাত খুঁজি না?

হ্যাঁ, আমরা সবাই খুঁজি এমন একজন মানুষ, যে আমাদের আমাদের মতো করে ভালোবাসবে। সবাই স্বপ্ন দেখে, আমরাও বাঁচতে চাই—একটা মনের মানুষকে পাশে নিয়ে। একটা বিচ্ছেদের দৃশ্য আমাদের বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে, কারণ হয়তো আমাদেরও আছে হারানোর গল্প, অথবা আছে হারানোর তীব্র ভয়।

জীবন এভাবেই এগিয়ে চলে—আশা, স্বপ্ন আর তীব্র ভাঙচুরের এক অদ্ভুত মিশেলে। 'গৃহ প্রবেশ'-এ শুভশ্রীর সেই লাইনগুলো বড্ড সত্যি মনে হয়, "আমার জীবনের প্যাটার্নটাই বোধ হয় এটা জানিস, আমি মানুষের জন্য অপেক্ষা করে থাকি, আর মানুষটা ভ্যানিশ হয়ে যায়।" এই ভাঙচুর, আর আবার উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে একদিন হয়তো আমরাও হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যাবো। কারোর জীবন থেকে, অথবা… কে জানে!

তবুও, এই ভাঙনের মাঝেই লুকিয়ে আছে নতুন করে শুরু করার অনুপ্রেরণা। হয়তো এই ভাঙচুরই আমাদের শেখায় আরও শক্তিশালী হতে, আরও বেশি করে নিজেকে ভালোবাসতে। হয়তো একদিন ঠিকই খুঁজে পাবো সেই হাত, যা আমাদের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখবে, আমাদের আমাদের মতো করেই ভালোবাসবে। ততদিন পর্যন্ত, চলো স্বপ্ন দেখি, বাঁচার চেষ্টা করি, আর নিজেদের ভেতরের মানুষটাকে আগলে রাখি।

20/07/2025

ইংরেজিতে ভয়? আজই এর শেষ দিন! 🚀

যারা ইংরেজিতে অনেক দুর্বল, যাদের ভয় কাজ করে, এই পোস্টটি তাদের জন্য। আপনি স্টুডেন্ট, চাকরিজীবী বা অভিভাবক, যেই হোন না কেন, আপনার ইংরেজি শেখার জার্নি আজ থেকেই শুরু হতে পারে, তবে একটু অন্যভাবে! 😉

প্রথমে কিছু জিনিস আজই বন্ধ করতে হবে:
❌ ৩০ দিনে ইংরেজি শেখার বই: সত্যি বলছি, বইগুলো শেলফেই পড়ে থাকে, তিন দিনের বেশি পড়া হয় না। আজই ওগুলোকে বিশ্রাম দিন।

❌ স্পোকেন ইংলিশ কোচিং: কত টাকা আর সময় নষ্ট করেছেন? ভর্তি হওয়ার এক সপ্তাহ পর আগ্রহ থাকে না, তাই না? কোচিং আপাতত বন্ধ।

এবার আসল কাজটি শুরু করা যাক। আপনার হাতেই আছে জাদুর কাঠি!

✅ আপনার স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট: আপনার সবচেয়ে বড় শিক্ষক এখন আপনার পকেটেই।
✅ মাত্র ৩০ মিনিটের একটি অভ্যাস: প্রতিদিন নাটক, সিনেমা বা ফেসবুক স্ক্রলিং করে যে ৩০-৪০ মিনিট সময় দেন, আগামী ৩০ দিনের জন্য সেই সময়টা শুধু ইউটিউবকে দিন।

কী দেখবেন? 🤔

আজই ইউটিউবে সার্চ করুন: "Blippi"
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! সাথে দেখতে পারেন এই চ্যানেলগুলোও:
🐷 Peppa Pig
🐯 Daniel Tiger’s Neighborhood
🗺️ Dora the Explorer
🍪 Sesame Street
অনেকেই বলবেন, "এগুলো তো বাচ্চাদের কার্টুন!"

Exactly! এটাই তো আসল ট্রিকস। ভেবে দেখুন তো, বাচ্চারা ভাষা কীভাবে শিখে? তারা যে ভাষার পরিবেশে বড় হয় (শোনে, দেখে), কোনো গ্রামার বা বই ছাড়াই সেই ভাষা শিখে ফেলে।
কারণ:
🎯 গল্প ও আনন্দ: বাচ্চাদের শো-গুলো হয় গল্পভিত্তিক, রঙিন এবং আনন্দদায়ক।
🎯 ছবি ও শব্দের কানেকশন: তারা ছবি, রঙ এবং পরিস্থিতির সাথে ইংরেজি শব্দকে মেলাতে শিখে যায়।
🎯 আগে শোনা, পরে বলা: মানুষ যেকোনো ভাষা এভাবেই শিখে—আগে শোনে ও বলে, তারপর পড়তে ও লিখতে শিখে।

এক ঢিলে দুই পাখি! 👨‍👩‍👧‍👦
আপনার বাসায় কোনো শিশু থাকলে, তাকে নিয়ে একসাথে দেখুন। দেখবেন আপনার চেয়ে সে কত দ্রুত শিখছে! তার শেখা দেখে আপনিও অবাক হবেন আর উৎসাহিত হবেন।

আপনার চ্যালেঞ্জ:
আজ থেকে শুরু করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে টানা ৩০ দিন। মোট ৯০০ মিনিট সময় নিজের জন্য বিনিয়োগ করুন। বিশ্বাস করুন, এই ৯০০ মিনিট আপনার ইংরেজিভীতি দূর করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
কে কে আজ থেকে এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন, কমেন্টে জানান! 💪
ধন্যবাদ।
Ornil Riaz
#ইংরেজি_শেখা

19/07/2025

হার না মানা জীবনের গল্প: ব্যর্থতা থেকে সাফল্যের শীর্ষে
আমরা সবাই জীবনে সফল হতে চাই, কিন্তু সাফল্যের পথটা সবসময় মসৃণ হয় না। কখনো কখনো মনে হয়, কঠোর পরিশ্রমের পরও কেন যেন কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না। আবার কেউ কেউ হয়তো খুব বেশি চেষ্টা না করেও সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান। জীবন এমনই বিচিত্র!

আপনারা নিশ্চয়ই নটরডেমের সেই ছেলেটির কথা শুনেছেন, যে দিনরাত এক করে পড়াশোনা করতো। তার টেবিলে থাকতো দামি কলম, পেন্সিল, দিস্তা দিস্তা খাতা। মনে হতো, যেন পড়াশোনাই তার ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু এত পরিশ্রমের পরও সে বুয়েট, ঢাবি, জাবি—কোথাও চান্স পায়নি। শেষমেশ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে কোনোমতে দিন কাটাচ্ছে। তার ভেতরের সেই তেজ, সেই স্বপ্ন যেন আজ আর নেই।
অন্যদিকে, এমন মানুষও আছেন যারা এসএসসি বা ইন্টারে খুব একটা ভালো রেজাল্ট করেননি। হয়তো কোনোমতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ঢাবিতে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এরপরের গল্পটা অবিশ্বাস্য! তারা নিজেদের প্রমাণ করেছেন, ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট করেছেন, অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়েছেন। দেশের বাইরের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট করা তাদের জন্য এখন কোনো ব্যাপারই না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্সের সেই ভাইয়ের কথাই ধরুন। এসএসসি-ইন্টারের বাধা পেরিয়ে অ্যাপ্লায়েডে ভর্তি হয়েছেন, আর এখন তার রেজাল্ট ৩.৮৯!

আবার এমনও হয়, কেউ হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে অসাধারণ রেজাল্ট করেছেন, কিন্তু চাকরির পরীক্ষায় বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। তিন বছর ধরে বেকার থাকায় লোকে সন্দেহ করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক ছিল? আবার কেউ হয়তো দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন, কিন্তু প্রথম বর্ষই পাস করতে পারছেন না। অথচ কোটা নিয়ে ভর্তি হওয়া আরেকজন ঠিকই এক চান্সেই এমবিবিএস পাস করে ফেলেছেন।

জীবন এক অবিশ্বাস্য যাত্রা
জীবন এমনই এক গ্রাফের মতো—কখনো উপরে, কখনো নিচে। যখন গ্রাফটা তলানিতে নেমে যায়, তখন সেখান থেকে উঠে আসাটা ভীষণ কঠিন হয়। কিন্তু যারা এই কঠিন সময়টা পার করে উঠে আসতে পারে, তারাই আসলে সত্যিকারের হীরা! তারাই জীবনের সেরা জায়গাটা দখল করে।

জীবন হয়তো আপনাকে তলানিতে ফেলে দেয়, যেন আপনি সেখান থেকে উঠে এসে নিজের আসল শক্তিটা চিনতে পারেন এবং সেরা জায়গাটা দখল করতে পারেন। তাই কখনো হাল ছাড়বেন না। ধৈর্য ধরুন। আপনার সময় আসবেই। আপনার ভেতরের সেই লুকানো শক্তিটা খুঁজে বের করুন এবং দেখিয়ে দিন, আপনিও পারেন।

আপনার গল্পটাও হতে পারে এক অনুপ্রেরণার উৎস! 💪
যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

19/07/2025

বেকারত্ব থেকে মুক্তি চান?

আপনার দক্ষতা আর আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে নিজের একটা জায়গা তৈরি করতে পারেন! নিচে ধাপে ধাপে কিছু দারুণ টিপস দেওয়া হলো: 👇

🚀 বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করুন: অনলাইন আয়ের সহজ উপায়!

১. নিজের সেরাটা চিনুন: আপনার কোন কাজটা ভালো লাগে? লিখতে, ডিজাইন করতে, ভিডিও বানাতে, নাকি কোডিং করতে? আপনার প্যাশন খুঁজে বের করুন! 💡
২. চাহিদাসম্পন্ন স্কিল শিখুন: এখন কীসের চাহিদা বেশি?
* ভিডিও এডিটিং (CapCut, Premiere Pro)
* গ্রাফিক ডিজাইন (Canva, Photoshop)
* ফ্রিল্যান্স রাইটিং
* ডিজিটাল মার্কেটিং (SEO, Facebook Ads)
* ওয়েব ডিজাইন (WordPress)
* AI Tools ব্যবহার (ChatGPT, Midjourney)
ইউটিউব, Coursera বা Udemy-এর ফ্রি কোর্সগুলো থেকে শেখা শুরু করুন। 📚

৩. অনলাইনে আয়ের পথ:
* Fiverr/Upwork: ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন।
* YouTube/Facebook: কন্টেন্ট তৈরি করে ইনকাম করুন।
* Print on Demand: টি-শার্ট বা মগ ডিজাইন করে বিক্রি করুন।
* Affiliate Marketing: পছন্দের প্রোডাক্ট রেফার করে কমিশন পান। 💰

৪. সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগান: আপনার শেখা স্কিল বা তৈরি করা প্রজেক্টগুলো page, YouTube Channel বা TikTok-এ শেয়ার করুন। নিয়মিত পোস্ট করে নিজের কাজ তুলে ধরুন। 🌐

৫. সৃষ্টিকর্ম তৈরি করুন: কাজ না পেলেও বসে থাকবেন না! প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন, প্র্যাকটিস করুন এবং নিজের প্রোজেক্ট তৈরি করে অনলাইনে শেয়ার করুন। এগুলো আপনার ভবিষ্যতের ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। 🛠️

৬. দৈনিক রুটিন বানান:
* সকাল: নতুন কিছু শেখা 🧠
* দুপুর: প্র্যাকটিস বা নিজের প্রোজেক্টের কাজ 💻
* বিকাল: Fiverr/Upwork প্রোফাইল আপডেট 💼
* সন্ধ্যা: সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট শেয়ার 📈
* রাত: মার্কেট রিসার্চ 📊

৭. অতিরিক্ত টিপস:
* ধৈর্য ধরুন: রাতারাতি সাফল্য আসবে না। লেগে থাকুন! ⏳
* নেটওয়ার্কিং করুন: ফেসবুক গ্রুপ বা ফ্রিল্যান্স ফোরামে অন্যদের সাথে যুক্ত হন। 🤝
* নিজের কাজের নমুনা দেখান: আপনার সেরা কাজগুলো অনলাইনে সবার সাথে শেয়ার করুন। 🌟

বেকারত্ব থেকে মুক্তির জন্য এই ধাপগুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে। মনে রাখবেন, ধৈর্য এবং নিয়মিত প্রচেষ্টা আপনাকে সফল করবে।

আপনার যদি এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন! 👇

18/07/2025

বেতনের মরীচিকা: আমরা কি সত্যিই উন্নতি করছি?

২০১১ সালে ৫০,০০০ টাকা বেতনে যারা চাকরি শুরু করেছিলেন, তাদের অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগছে, আমরা কি সত্যিই ভালো আছি? চলুন, একটা ছোট্ট হিসাব কষি।

২০১১ সালে ডলারের দাম ছিল প্রায় ৭৭ টাকা। অর্থাৎ, আপনার ৫০,০০০ টাকার বেতন ছিল প্রায় ৬৪৯ ডলার।
পরের দশ বছরে, আপনার বেতন হয়তো প্রতি বছর ৫০০ টাকা করে বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ৫৫,০০০ টাকা। সে সময় ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ালো ৮৫ টাকা। তাহলে ২০২১ সালে আপনার বেতনের ডলার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬৪৭ ডলার।

দেখা যাচ্ছে, এক দশকে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ল, দক্ষতা বাড়ল, হয়তো পরিবারেও সদস্য সংখ্যা বাড়ল, খরচও বাড়ল, অথচ আন্তর্জাতিক মানের হিসেবে আপনার বেতনের মূল্যমান প্রায় একই থাকল। এর মানে, আপনার ইনক্রিমেন্টটা মূলত বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল মেলাতেই ব্যবহৃত হয়েছে, আপনার ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য নয়। তবুও, ধরে নিলাম, এই সাম্যাবস্থাও হয়তো অনেক বড় পাওয়া ছিল।

আসল ধাক্কাটা লাগলো গত তিন বছরে...
২০২১ সালে আপনার বেতন যদি ৫৫,০০০ টাকা হয়, আন্তর্জাতিক মানে আপনার বেতন ছিল ৬৪৭ ডলার (১ ডলার = ৮৫ টাকা ধরে)। কিন্তু আজকের দিনে, ২০২৪ সালে এসে আপনার বেতন যদি বেড়ে ৫২,০০০ টাকাও হয় (একটু বাড়িয়েই ধরলাম), আর ডলারের বর্তমান বিনিময় হার যদি ১২৫ টাকা হয়, তাহলে আপনার বেতনের ডলার মূল্য দাঁড়ায় মাত্র ৪১৬ ডলার!

ভাবুন তো, তিন বছরে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ল, কাজের মান বাড়ল, কিন্তু আপনার বেতন আন্তর্জাতিক মানে প্রায় ২২০ ডলার কমে গেল! ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হয়তো আগের চেয়ে কিছু টাকা বেশি ঢুকছে, কিন্তু কেনার ক্ষমতা, বা জীবনযাত্রার মান—সবই নিচে নেমে গেছে। আপনার জমানোর স্বপ্ন, নিজের শখ পূরণের চিন্তা তো দূরের কথা, এখন পরিবারের মৌলিক চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন।

দায়ভার কার?
আমরা কাকে দোষ দেব? কেউই যেন এর উত্তর জানে না, অথবা জানলেও বলতে চায় না। একদিকে কেউ ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনে রিলস বানাচ্ছে, অন্যদিকে অনেকেই ভাগে কোরবানি দিতে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করতেও ধুঁকছে। সৎ পথে যারা চলতে চান, তারা প্রতি রাতে মানসিক চাপে মারা যাচ্ছেন, আর অসৎ পথে যারা চলছেন, তারা রাজার হালে জীবন কাটাচ্ছেন।
জীবন চলে যাচ্ছে। কেউ কোনোমতে টিকে আছে, কেউ কোটি টাকার গরু খাচ্ছে, আর কেউ দেশ খেয়ে বিদেশে রিসোর্ট বানাচ্ছে। মাঝে আমরাই যেন হয়ে গেছি খাদ্যদ্রব্য। ওই ১৫ লাখ টাকার ছাগলটা আসলে একটা আয়না—আমরাই যেন সেই ছাগল!

আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কি কোনো পথ নেই?

Address

Dhaka
1213

Telephone

+8801731996621

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ornil Riaz posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ornil Riaz:

Share