28/08/2025
যখন আ-ফগানের বিস্তৃত অঞ্চল তা-লেবানের আওতাধীন চলে আসে এবং জনগণ নির্দ্বিধায় তাদের আনুগত্য করতে থাকে, তখন তা-লেবান নিজেদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ঘোষণা দেয়।
অতঃপর সর্বস্থলে শরয়ি আইন চালু হয়ে যায়।
আমিরুল মুমিনিনের শাসনে আ-ফগান সমাজ অস্ত্রমুক্ত হয়েছে, শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আ-ফগানিস্তানের সর্বত্রই শরয়ি আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জনগণের মামলা-মোকাদ্দমার সমাধান কুরআন-সুন্নাহ ও ফিকহে হানাফি অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে।
পরিবর্তন আসে মানুষের বাহ্যিকতাতেও। বাগানে ফুল ফুটলে যেভাবে এর সুভাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি আফগানে ইসলামি শাসনের প্রতিষ্ঠা ধর্মপ্রাণ আফগানিদের অন্তরকেও উদ্বেলিত করে। চারিদিকে মানুষের মাথায় পাগড়ি আর টুপি পরিলক্ষিত হয়। চেহারায় নুরানি দাড়ি। রাস্তাঘাটে বোরকা ছাড়া কোনো মহিলা নজরে পড়ে না। বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো ভেজাল নেই। রেডিওতে কুরআন তেলাওয়াত, মাসআলা-মাসায়েল, আখলাক ও নৈতিকতা সংক্রান্ত আলোচনা, জিহাদি সংগীত, তালেবানের বিজয়ের খবর, ইসলামি ইতিহাসের বিবরণ ইত্যাদি প্রচার করা হয়।
সরকারের সাথে জনগণের এমন ইনসাফপূর্ণ মধুর সম্পর্ক গঠিত হয় যে, সরকারের পক্ষ থেকে যে হুকুমই ঘোষণা হয়, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা পালন করে।
* মানবাধিকার সম্পর্কে তা-লেবানের বক্তব্য হলো, আমরা মুসলমান। সুতরাং খেলাফতে রাশেদার নীতিমালার আলোকে যেসব নাগরিক সুবিধা প্রদান করা হতো, আমরা সেগুলোই বিশ্বাস করি। সেগুলোই বাস্তবায়ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। পাশ্চাত্যের ধ্যানধারণায় প্রভাবিত হয়ে আমরা এক চুলও নড়তে প্রস্তুত নই। তাদের বিকৃত চিন্তাভাবনা আমরা বিশ্বাস করি না।
* নারীশিক্ষা সম্পর্কে তালেবানের অবস্থান খুবই রক্ষণশীল। তাদের বক্তব্য হলো, শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কেননা কমিউনিস্টদের হাতে প্রণীত ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা বহাল রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যুদ্ধ পরবর্তী এই নাজুক পরিস্থিতিতে হুট করে শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করে ফেলাও অসম্ভব। তাই আপাতত স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে। আমরা কখনোই নারীশিক্ষার বিরোধী নই।
* যেমন ছিল মোল্লা উমরের ইসলামি ইমারাহ
বই : উম্মাহর তরে জীবন দিলেন যারা