Offroute by Robi

Offroute by Robi Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Offroute by Robi, Digital creator, Agargaon, Dhaka.

পথ নয়, গল্পের খোঁজে ছুটছি...
আমি রবি—আর এটা 'Offroute'।
চেনা গন্তব্য নয়, এই যাত্রা হারিয়ে যাওয়ার,
প্রকৃতির গহীনে, গল্পের সন্ধানে।
চলুন, হাঁটি একটু 'off the route'…
যেখানে ভিড় নেই—শুধু ভ্রমণ, অনুভব আর আবিষ্কার।" Offroute by Robi – এক অন্যরকম ভ্রমণের গল্প।
চেনা গন্তব্য নয়, আমি খুঁজে ফিরি বাংলাদেশের অফবিট, অজানা আর প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা জায়গাগুলো।
এখানে আপনি পাবেন ন্যাচার-ফোকাসড ট্রাভেল ভ্লগ, লোকাল

লাইফস্টাইল, পথের অভিজ্ঞতা, আর একঝলক আমাদের দেশের প্রকৃত সৌন্দর্য।
যারা ভিড় নয়, অনুভব করতে ভালোবাসেন—তাদের জন্য এই চ্যানেল।
চলুন, হাঁটি একটু off the route...

05/08/2025

একদিনে সীতাকুণ্ড পাহাড় ঝর্না আর সমুদ্র ভ্রমণের গল্প।

For real experience please visit YouTube from comment section.

গুলিয়াখালীর সবুজ সৈকতে, যেখানে সমুদ্র গলে যায় ঘাসের বুকে... “সেখানে সমুদ্র আছে, আছে ঢেউয়ের গর্জন  —আসে নিঃশব্দে, ঘাসের ব...
04/08/2025

গুলিয়াখালীর সবুজ সৈকতে, যেখানে সমুদ্র গলে যায় ঘাসের বুকে...

“সেখানে সমুদ্র আছে, আছে ঢেউয়ের গর্জন —
আসে নিঃশব্দে, ঘাসের বুক চুঁয়ে;
যেন প্রকৃতির এক গোপন প্রার্থনা।”

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে লুকিয়ে থাকা এক জাদুর নাম গুলিয়াখালী সী বিচ।
এটি কোনো সাধারণ বালুকাবেলা নয় — এখানে সমুদ্র আর সবুজ মাঠ হাতে হাত রেখে হাঁটে।
কখনো হাঁটু পানি, কখনো নরম ঘাসের শয্যা, আবার কখনো ম্যানগ্রোভের ফাঁকে ফাঁকে জোয়ারের খেলা।

🏞️ কী দেখবেন গুলিয়াখালীতে?

🟢 সবুজে মোড়া চর — যেটা ঠিক সমুদ্রের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
🌿 গাছেদের পায়ে পায়ে জোয়ারের জল — যেন ম্যানগ্রোভ বন নিজের গল্প বলে
🌅 সূর্য যখন ডুব দেয় সাগরের কোলে — তখন আকাশেও আগুন জ্বলে
🐦 পাখিরা ফিরে আসে — ভেজা ঘাসে বসে সন্ধ্যার গান গায়
⛵ আর নদী নয়, এ যে বঙ্গোপসাগরেরই ধারে — এক শান্ত-স্নিগ্ধ সী বিচ

🧭 একদিনে আরও কোথায় ঘোরা যাবে কাছাকাছি:

১. সহস্রধারা ঝর্ণা – পাহাড়ি পথে হেঁটে দেখা মিষ্টি ঝর্ণার ধারা (৩০–৪০ মিনিট দূরত্ব)
২. শুভ্রধারা ঝর্ণা – কাছাকাছিই আরও এক সৌন্দর্য, বর্ষায় ফেনার মত পড়ে
৩. বাঁশবাড়িয়া সী বিচ – কংক্রিট জেটি ও সাদা বালুর সৌন্দর্য, সূর্যাস্তের জন্য উপযুক্ত
৪. সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন – পাহাড়ি গাছ, ঝর্ণা ও পাখির অভয়ারণ্য

> এইসব মিলিয়ে আপনি চাইলে গুলিয়াখালীকে কেন্দ্র করে একদিনে পাহাড়, ঝর্ণা আর সমুদ্র — সব কিছু ছুঁয়ে যেতে পারেন।

🕰️ কখন যাবেন?

শীতকাল (অক্টোবর–মার্চ): বাতাসে ধুলোহীন স্বচ্ছতা, সূর্যাস্ত অপূর্ব

বর্ষাকাল (জুলাই–সেপ্টেম্বর): ঝর্ণা ও ম্যানগ্রোভ জলে ভরে ওঠে

বিকেল ৩টা থেকে ৬টা: সোনালি আলোয় সমুদ্রের গা চকচক করে

জোয়ার-ভাটার সময় দেখে গেলে অভিজ্ঞতা হয় আরও দারুণ।

💭 শেষে কিছু কথা...

> গুলিয়াখালী এমন এক স্থান,
যেখানে প্রকৃতি নিজেই চিত্রকরের তুলিতে আঁকে —
একপাশে সমুদ্র, আরেক পাশে সবুজ,
মাঝে আপনি – এক ক্ষণিক দর্শক, এক চিরন্তন প্রেমিক।

গল্পটা ২০১৯ সালের অক্টোবরের৷ কয়েকজন বন্ধু মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম এক দুঃসাহসিক অভিযানে — গন্তব্য ছিল নাফাখুম, আমিয়াখুম আর স...
28/07/2025

গল্পটা ২০১৯ সালের অক্টোবরের৷
কয়েকজন বন্ধু মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম এক দুঃসাহসিক অভিযানে — গন্তব্য ছিল নাফাখুম, আমিয়াখুম আর সাত ভাই খুম। শুরুটা হয়েছিল ঢাকা থেকেই তবে বান্দরবান শহর থেকেই শুরু করি। সকালের নাস্তা সেরে একটা চান্দের গাড়ি ঠিক করে আমরা রওনা দিলাম থানচির পথে।প্রায় ৮০ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা — একপাশে উঁচু পাহাড়, আরেক পাশে খাদ; কিন্তু সৌন্দর্যের প্রতিটা বাঁকে ছিল অপূর্ব রোমাঞ্চ। দুপুর ১টা ৩০ নাগাদ আমরা থানচি পৌঁছালাম।

📝 পারমিশন আর প্রস্তুতি
থানচি পৌঁছে প্রথম কাজ ছিল একজন লোকাল গাইড খুঁজে বের করা। গাইড ঠিক করার পর থানাতে গিয়ে নাম এন্ট্রি, পরিচয়, পারমিশনসহ সব প্রসিডিওর শেষ করতে বিকেল ৩টা বেজে গেল। সব প্রস্তুতি সেরে, দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা নেমে পড়লাম সাঙ্গু নদীতে — গন্তব্য রেমাক্রি।

🛶 নৌকা ভ্রমণ — পাহাড়ি নদীতে ভাসা এক গল্প
একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে আমরা রওনা হলাম। চারপাশে বিশাল সবুজ পাহাড়, মাঝ দিয়ে সাঙ্গু নদীর নিরবধি স্রোত — যেন কোন স্বপ্নের জগতে প্রবেশ করলাম আমরা।
প্রায় দেড় ঘণ্টার এই ভ্রমণ যেন এক দৃশ্যপট বদলের চলচ্চিত্র। রেমাক্রি পৌঁছে রেমাক্রি ফলস এর পাশে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা প্রস্তুত হলাম ট্রেকিং শুরু করার জন্য।

🥾 ট্রেকিং: পাথরের পথ, জলের রেখা, ক্লান্তির ঘাম।

প্রথমদিনে আমাদের গন্তব্য ছিল নাফাখুম জলপ্রপাত হয়ে থুইচা পাড়াতে রাত্রি যাপন কিন্তু সহজ ছিল না সে পথ! কোথাও উঁচু পাথরের দেয়াল, কোথাও পিচ্ছিল সিঁড়ির মতো ঢালু পথ, কোথাও ঘন জঙ্গল আবার কোথাও ছোট খাল বা ঝর্ণার ধারা পার হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হচ্ছিল।
প্রতিটা পা যেন একটা নতুন গল্প লিখছিল ক্লান্তি আর মুগ্ধতার।
সন্ধ্যা নামতে নামতে আমরা পৌঁছালাম নাফাখুম জলপ্রপাতে।

🌊 নাফাখুমের সামনে — ক্লান্ত শরীর, অবাক চোখ
ঝরনার সামনে দাঁড়িয়ে কেউ কথা বলছিল না — শুধু তাকিয়ে ছিলাম। পাহাড়ের বুক চিরে সাদা ফেনার মতো পানি নিচে পড়ছে, তার শব্দেই মনে হচ্ছিল — প্রকৃতির সঙ্গীত।
আমরা সবাই ঝরনার পানিতে ক্লান্ত শরীর ডুবিয়ে দিলাম, যেন সব কষ্ট এক মুহূর্তেই ধুয়ে গেল।

🛖 রাতটা কাটলো পাহাড়ি এক পাড়ায়
সন্ধ্যার পর পাহাড়ি পথে চলা খুবই বিপদজনক। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম নাফাখুমের উপরের দিকে অবস্থিত ‘ত্রিপুরা পাড়া’তেই রাত কাটাবো।
আমাদের গাইড দাদা সব ব্যবস্থা করে দিলেন। একজন স্থানীয়ের মাচাং ঘরে আমাদের রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা হলো। রাতের খাবার — পাহাড়ি মোরগ, আলু ভর্তা আর ডাল। তখন সেটা যেন রাজকীয় ভোজের মতোই মনে হয়েছিল।
খাওয়ার পর সবাই এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে, শোয়া মাত্রই ঘুমের জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম।

🌄 সকালে চোখ মেলে দেখি — স্বর্গ!
সকাল বেলা ঘুম ভাঙতেই দেখি — দু’পাশে পাহাড়ের দেয়াল, মাঝখানে পাহাড়ি ঝরনা আর তার পাশে একটা আদিবাসী বসতি। মনে হচ্ছিল আমরা যেন কোন স্বপ্নপুরীতে চলে এসেছি। হিমেল হাওয়া, পাখির ডাক, আর পাহাড়ি শিশুর কৌতূহলী চোখ — এই মুহূর্তগুলো চিরকাল মনে থাকবে।

🧭 সামনে আরো পথ বাকি...
নাস্তা সেরে গাইড দাদা বললেন — আমাদের এখনই রওনা দিতে হবে, গন্তব্য থুইচা পাড়া। আরও দূরের পথ, আরও গল্প অপেক্ষা করছে।

এই ছিল আমাদের নাফাখুম যাত্রার প্রথম পর্ব — ক্লান্তি, বিস্ময়, আর পাহাড়ি হাসির গল্পে ভরা। শুধু ঝরনা নয়, এই পথে পাওয়া যায় মানুষ, প্রকৃতি আর নিজেকে হারিয়ে খুঁজে পাওয়ার সুযোগ।
Offroute by Robi-এর চোখে দেখা এই যাত্রা আপনাকেও ডেকে নিচ্ছে — আপনি তৈরি তো?

আপনি জানেন কি, মেট্রোরেল কোন শক্তিতে চলে এবং কিভাবে চলে? 🚄⚡ঢাকা মেট্রোরেল (MRT-6) সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত একটি আধুনিক পরি...
27/07/2025

আপনি জানেন কি, মেট্রোরেল কোন শক্তিতে চলে এবং কিভাবে চলে? 🚄⚡
ঢাকা মেট্রোরেল (MRT-6) সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা। পরিবেশবান্ধব ও দ্রুতগামী এই ট্রেনের শক্তি আসে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে, যা বিশেষ সাবস্টেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা

1. সাবস্টেশন – জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে ট্রেনের প্রয়োজন অনুযায়ী সেটি রূপান্তর করা হয়।

2. ওভারহেড ক্যাটেনারি লাইন – রেললাইনের উপরের তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

3. প্যান্টোগ্রাফ – ট্রেনের ছাদের ওপর থাকা প্যান্টোগ্রাফ ওই ক্যাটেনারি লাইন থেকে বিদ্যুৎ নেয়।

4. ইলেকট্রিক মোটর – সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ ট্রেনের মোটরে গিয়ে ট্রেন চালায়

কেন মেট্রোরেল বিশেষ?
পরিবেশবান্ধব (ধোঁয়া বা গ্যাস নির্গত হয় না)
দ্রুতগামী এবং সময়নির্ভর
শক্তি দক্ষ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার

ঢাকা মেট্রোরেল সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, যা জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে বিশেষ সাবস্টেশনের মাধ্যমে ওভারহেড ক্যাটেনারি লাইন দিয়ে ট্রেনকে চালিত করে। প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ট্রেনের মোটরে প্রবাহিত হয়ে ট্রেনকে গতিশীল করে। পরিবেশবান্ধব, দ্রুতগামী এবং সময়নির্ভর এই পরিবহন ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।

আপনি কি জানতেন এই তথ্যগুলো? জানালে কমেন্টে লিখুন!
#বাংলাদেশ #পরিবহন #বিদ্যুৎচালিত_ট্রেন

নিখোঁজ সন্তানের পিতামাতার সামানে এই ফটো কার্ট যখন পড়বে সে কিভাবে সহ্য করবে। আল্লাহ সবাইকে শোক সহিবার ক্ষমতা দিন।
21/07/2025

নিখোঁজ সন্তানের পিতামাতার সামানে এই ফটো কার্ট যখন পড়বে সে কিভাবে সহ্য করবে। আল্লাহ সবাইকে শোক সহিবার ক্ষমতা দিন।

আমরা যে চুলায় রান্না করি তার তাপমাত্রা বড়জোর হয় ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০০ ডিগ্রিতেই পানি ফুটতে শুরু করে। একটা জেট যখন ক্র...
21/07/2025

আমরা যে চুলায় রান্না করি তার তাপমাত্রা বড়জোর হয় ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০০ ডিগ্রিতেই পানি ফুটতে শুরু করে।

একটা জেট যখন ক্র্যাশ করে, তখন এর আগুনের তাপমাত্রা কত থাকে জানেন?

প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস...

কল্পনা করা যায়, এই আগুনে পুড়ে যাওয়ার যন্ত্রণাটা কতটা ভয়াবহ হতে পারে?

এরকম নির্মমভাবে পুড়ে যাওয়া বাচ্চাগুলো আমাদের ক্ষমা করবে না যদি এমন ঘটনা আবার ঘটার পথ বন্ধ না করেন।

দুর্ঘটনার সম্ভাব্য বিমান গুলো আলাদা করে, সেগুলো এলিমিনেট করুন।

আজই... এখনই...

21/07/2025

ঢাকা বার্ণ ইউনিটে কারা আছে দেখে নিন। পরিচিতদের খুঁজে পেতে সাহায্য করুন।

২৮ জনের যারা ভর্তি আছে...

শামীম ইউসুফ(১৪), মাহিন (১৫), আবিদ(১৭), রফি বড়ুয়া(২১), সায়েম (১২), সায়েম ইউসুফ (১৪), মুনতাহা (১১), নাফি () মেহেরিন(১২), আয়মান (১০), জায়েনা (১৩), ইমন(১৭), রোহান (১৪), আবিদ (৯), আশরাফ (৩৭), ইউশা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসমিয়া (১৫), মাহিয়া ,অয়ন (১৪), ফয়াজ (১৪), মাসুমা(৩৮), মাহাতা (১৪), শামীম, জাকির (৫৫), নিলয়(১৪), সামিয়া।

21/07/2025

উত্তরা দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন কলেজের উপর বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।

📍 নীলগিরী, বান্দরবান — একদিনের স্বর্গসন্ধান! 🌄নীলগিরী! মেঘের দেশে পাহাড় আর আকাশের এক অপূর্ব মিলনস্থল।যারা প্রকৃতিকে হৃদয়...
20/07/2025

📍 নীলগিরী, বান্দরবান — একদিনের স্বর্গসন্ধান! 🌄

নীলগিরী! মেঘের দেশে পাহাড় আর আকাশের এক অপূর্ব মিলনস্থল।
যারা প্রকৃতিকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসো, তাদের জন্য এই জায়গা একবার নয়, বারবার যাবার মতন।

🔹 কিভাবে যাব?

👉 ঢাকা থেকে বান্দরবান সরাসরি এসি/নন-এসি বাস যায় (Shyamoli, Saintmartin, S Alam, Unique ইত্যাদি)। রাত ১০-১১টার বাস ধরলে সকালে বান্দরবান পৌঁছাবে।

👉 বান্দরবান থেকে নীলগিরী যেতে হবে প্রাইভেট চাঁদ গাড়ি/জিপে।
নিয়মিত রিজার্ভ বা গ্রুপে ভাগ করে ভাড়া দেওয়া যায়।

🚌 বাস ভাড়া:

নন-এসি: ৯০০-১২০০ টাকা

এসি: ১৪০০-১৮০০ টাকা

🚙 বান্দরবান–নীলগিরী জিপ ভাড়া (রাউন্ড ট্রিপ):

রিজার্ভ: ৪৫০০-৫৫০০ টাকা (গ্রুপে গেলে সাশ্রয়ী)

🔹 কখন যাবো?

✅ সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ — ভ্রমণের আদর্শ সময়।
এই সময়টাতে পাহাড়ে মেঘের খেলা বেশি দেখা যায়, আকাশ থাকে পরিষ্কার, আবহাওয়া মনোমুগ্ধকর।

✅ বর্ষাকালে (জুলাই–আগস্ট) যেতে চাইলে খেয়াল রাখবে রাস্তা একটু বিপজ্জনক হতে পারে, তবে সবুজ আর মেঘের খেলায় জায়গাটা তখন একেবারে স্বপ্নময়!

🔹 কি দেখবো/করবো?

✔️ নীলগিরী ভিউ পয়েন্ট থেকে মেঘের সমুদ্র
✔️ সানরাইজ বা সানসেট দেখার অনন্য সুযোগ
✔️ পাশে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে কফি/চা
✔️ স্থানীয় ত্রিপুরা আদিবাসীদের জীবনযাত্রার ঝলক
✔️ যদি সময় থাকে, নীলাচল, বগা লেক বা চিম্বুক ঘুরে নিতে পারো

🔹 কিছু টিপস:

জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট সঙ্গে রাখো (সেনা চেকপোস্টে দেখাতে হতে পারে)

খুব সকালে নীলগিরীর দিকে রওনা দাও (৭-৮টার মধ্যে)

চূড়ায় হালকা ঠান্ডা থাকে, পাতলা জ্যাকেট নিয়ে রাখো

ভালো গ্রিপের জুতা পরো

পাহাড়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু ফেলে যেও না ❌

🔹 ব্যয় (একজনের জন্য আনুমানিক):
ঢাকা-বান্দরবান বাস + খাবার + নীলগিরী জিপ ভাগে + এন্ট্রি ফি = ২৫০০–৫০০০ টাকা

🌿 ভ্রমণ হোক শুধুই দেখার জন্য নয়, শেখার জন্যও।
নিজেকে হারিয়ে গিয়ে নিজের ভেতরকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার যাত্রা হোক নীলগিরী ট্যুর! 🧭

🌊 কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ – পাহাড়, সমুদ্র আর স্বপ্নের রাস্তা! 🛣️বাংলাদেশের সবচেয়ে মনোরম একটি রাস্তার নাম কক্সবাজার মেরি...
14/07/2025

🌊 কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ – পাহাড়, সমুদ্র আর স্বপ্নের রাস্তা! 🛣️

বাংলাদেশের সবচেয়ে মনোরম একটি রাস্তার নাম কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র-সৈকতের পাশ ঘেঁষে নির্মিত এক অসাধারণ ড্রাইভওয়ে, যেখানে একপাশে উঁচু সবুজ পাহাড় আর অন্যপাশে নীল জলরাশির বিস্তৃত দৃশ্য—দুই মেরুর সৌন্দর্য যেন একসাথে হাত ধরাধরি করে হাঁটে!

📍 লোকেশন: টেকনাফ থেকে কক্সবাজার শহর পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেরিন ড্রাইভটি বিস্তৃত।

🚗 কী দেখবেন:

একপাশে পাহাড়ের ছায়াঘেরা ঢাল

অন্যপাশে গর্জে ওঠা বঙ্গোপসাগরের ঢেউ

ঝাউগাছের সারি ধরে এগিয়ে চলা শান্ত রাস্তায় ড্রাইভ করা যেন স্বপ্নের মতো

সোনালী বিকেলে সূর্যাস্তের অপার সৌন্দর্য

📸 ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শ:
মেরিন ড্রাইভের প্রতিটি মোড়, প্রতিটি বাঁক যেন নিজেই এক একটি ফ্রেম—ড্রোন শটে এই জায়গা একেবারে নিখুঁত! বিশেষ করে বাইক নিয়ে এই রোডে রাইড করলে, সঙ্গে যদি থাকে প্রিয়জন, তাহলে এই মুহূর্তগুলো হয়ে ওঠে আজীবনের স্মৃতি।

🧭 যেভাবে যাবেন:
কক্সবাজার শহর থেকে আপনি সহজেই প্রাইভেট গাড়ি, বাইক কিংবা অটো করে মেরিন ড্রাইভ ধরে টেকনাফের দিক যেতে পারেন। পথে ইনানি, শীলখালী, বাহারছড়া, ন্যাপিডংসহ অসংখ্য মনোমুগ্ধকর জায়গা পেয়ে যাবেন।

📌 ভ্রমণ টিপস:

সকালের দিকে বা বিকেলের সোনালি আলোয় ড্রাইভ করুন

নিরাপত্তা বজায় রাখুন, অতিরিক্ত গতিতে ড্রাইভ করবেন না

পথে বিশ্রামের জন্য কিছু নির্ধারিত স্পট আছে

🌅 প্রকৃতি আর পথ যদি আপনার ভ্রমণসঙ্গী হয়, তাহলে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ হবে আপনার পরবর্তী প্রিয় গন্তব্য!

#বাংলাদেশ_ভ্রমণ

06/07/2025

তালের শাঁস খেতে গিয়ে গ্রামের অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

🌊🍃 টাঙ্গুয়ার হাওড় – জল, মেঘ আর নীরবতার এক কবিতা 🍃🌊বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বের সুনামগঞ্জ জেলায় বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওড় কেবল এ...
23/06/2025

🌊🍃 টাঙ্গুয়ার হাওড় – জল, মেঘ আর নীরবতার এক কবিতা 🍃🌊

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বের সুনামগঞ্জ জেলায় বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওড় কেবল একটি হাওড়ই নয়, এটি একটি জীবন্ত জলজ জগত। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, অসংখ্য জলচর পাখি, ভাসমান নৌকায় দিনরাতের ভ্রমণ আর লোকজ সংস্কৃতির এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে এখানে আগত প্রতিটি পর্যটকের জন্য।

---

🧭 ভ্রমণের শুরু – যাত্রাপথ
ঢাকা থেকে প্রথমে বাস বা ট্রেনে করে ছুটে যেতে হয় সুনামগঞ্জ শহর। ভোরবেলা শহরে পৌঁছেই আপনি টের পাবেন, আপনার শহুরে ক্লান্তি যেন কোথাও মিলিয়ে গেছে। সেখান থেকে অটো বা সিএনজি করে পৌঁছাতে হবে তাহিরপুর ঘাট। এখান থেকেই শুরু হবে সেই স্বপ্নের মতো নৌভ্রমণ।

---

⛵ নৌকায় দিনরাত্রি – জলেই জীবন
একটি মাঝারি সাইজের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া নিলে তাতেই ১-২ দিন থাকা যায়। এসব নৌকায় রান্না, ঘুম, বিশ্রাম—সবই সম্ভব। নৌকার ছাদে বসে চারদিকে তাকালে দেখবেন—চারপাশে কেবল নীল জল আর নীল আকাশ। মাঝে মাঝে জলের ওপর দিয়ে ভেসে চলে যাওয়া একটা গরুর পাল কিংবা জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য মন ছুঁয়ে যাবে।

রাতের আকাশে জোছনা পড়লে, হাওড়ের নিঃস্তব্ধতা ভেদ করে শুধু জলের শব্দ আর মাঝেমধ্যে দূরের জোনাকি আলো—একেবারে কবিতার মতো মনে হবে।

---

🌿 প্রকৃতির বৈচিত্র্য ও জীববৈচিত্র্য
টাঙ্গুয়ার হাওড় একটি RAMSAR site, অর্থাৎ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জলাভূমি। বর্ষায় এখানে গড়ে প্রায় ১০,০০০ একর এলাকা পানির নিচে চলে যায়। শীতকালে আসে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি, যাদের দেখতে অনেকেই শীতের সকালে এসে হাজির হন।

এছাড়া হাওড় এলাকায় ছোট ছোট বিল, নদী ও খাল-নালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে মাছ, পাখি, উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীদের এক চমৎকার বাসস্থান।

---

🏝️ দর্শনীয় স্থান ও ঘোরার অভিজ্ঞতা

যাদুকাটা নদী: ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ নীল পানি নিয়ে এই নদী যেন এক টুকরো কাচের স্বপ্ন

বারিক টিলা ও লাউড়ের গড়: পাহাড়ের পাদদেশে বিস্তৃত গ্রামীণ সৌন্দর্য

শিমুল বাগান শীতকালে লাল ফুলে আচ্ছাদিত গাছগুলোর সারি যেন রূপকথার পথ আর বর্ষায় থাকে সবুজে সবুজময়।

টেকেরঘাট: পাহাড়, নদী আর পাথরের মিলনস্থল

---

🍽️ খাবার ও থাকার ব্যবস্থা
নৌকায় আগেই বলে দিলে রান্না করে দেবে মাঝিরা। সাধারণত দেশি মুরগি, ভাজি, ডাল, ভর্তা ও মাছের ঝোল পাওয়া যায়। চাইলে সুনামগঞ্জ শহর থেকে শুকনো খাবারও নিতে পারেন।

---

🕰️ কখন যাবেন?

বর্ষা মৌসুম (জুন-সেপ্টেম্বর): হাওড়ের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়

শীতকাল (নভেম্বর-জানুয়ারি): পরিযায়ী পাখির জন্য, এবং হাওড়ের শুকনো প্রান্তে ঘোরাঘুরির জন্য

---

📌 কিছু টিপস:
✅ লাইফ জ্যাকেট সাথে রাখুন
✅ ক্যামেরা ও পাওয়ারব্যাংক চার্জে রাখুন
✅ স্থানীয়দের সম্মান করুন ও পরিবেশ রক্ষা করুন
✅ পূর্ব থেকেই নৌকা ও খাবারের ব্যাপারে যোগাযোগ করে রাখুন

---

📸 আপনি যদি প্রকৃতি ভালোবাসেন, যদি জল, মেঘ আর নির্জনতা আপনার কাছে আরাম নিয়ে আসে – তবে একবার হলেও ঘুরে আসুন টাঙ্গুয়ার হাওড়। এটা কেবল ভ্রমণ নয়, এটা এক ধরনের আত্মার বিশ্রাম।

#টাঙ্গুয়ারহাওড় #সুনামগঞ্জ

Address

Agargaon
Dhaka
1207

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Offroute by Robi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share