17/12/2023
#অযোধ্যার_রামমন্দির
এক রক্তাক্ত ইতিহাস:
প্রত্নতত্ত্ববিদদের মত অনুযায়ী, #রামমন্দির নির্মিত হয় একাদশ শতাব্দীতে অর্থাৎ ১ হাজার থেকে ১১শ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে।
১৫২৬ সালে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে #ইব্রাহিম_লোদীকে পরাজিত করে মুঘলসাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা #বাবর দিল্লি দখল করে। এরপর মুসলমান শাসকদের যে চিরাচরিত প্রথা, "ক্ষমতা দখল করেই ইসলামের ঝাণ্ডা উড়ানো এবং অমুসলিমদের উপাসনাস্থল ভেঙ্গে দিয়ে মসজিদ বানানো বা তাকে মসজিদে রূপান্তরিত করা",
বাবর সেদিকে নজর দেয়। এজন্য বাবরের নির্দেশে তার সেনাপতি মীর বাকি খাঁ, ১৫২৭/২৮ সালে অযোধ্যা আক্রমন ক'রে প্রথমে কিছু হিন্দুকে হত্যা করে এবং বাকিদের বন্দী করে।
এরপর ভারতের প্রধান রামমন্দির, যা রামের জন্মভূমি অযোধ্যাতেই অবস্থিত, সেটার উপরের অংশ ভেঙ্গে ফেলে এবং মন্দিরের মূলভিত্তির উপরেই মসজিদ তৈরি করে, যেটা বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত।
এই মসজিদ তৈরি করার সময়, যেসব হিন্দুদেরকে বন্দী করে রাখা হয়েছিলো, তাদের গলা কেটে প্রথমে একটি পাত্রে সেই রক্ত সংগ্রহ করা হয় এবং তারপর জলের পরিরর্তে চূন-সুড়কির সাথে সেই রক্ত মিশিয়ে মন্দিরের মূল ভিতের উপরই ইটের পর ইট গেঁথে মসজিদ নির্মান করা হয়। তাই ইসলামি প্রথাসম্মত মসজিদ এটা নয়, ইসলামের বিজয় অভিযানে হিন্দুদের মনোবল ভাঙতে যত্রতত্র অসংখ্য মন্দির ভেঙ্গে যেমন বিজয়স্মারক নির্মিত হয়েছিলো, বাবরি মসজিদও তেমনি বাবরের একটা বিজয়স্মারক।
একইভাবে বাবর সম্বল ও চান্দেরীর মন্দির ভেঙ্গে তাকে মসজিদে রূপান্তরিত করে এবং গোয়ালিয়রের নিকটবর্তী জৈন মন্দির ও বিগ্রহ ধ্বংস করে।
বাবর যে রামমন্দির ভেঙ্গে মসজিদ বানিয়েছে, তার ঐতিহাসিক প্রমান হলো, বাবরের আমলেই হিন্দুরা ২১ বার লড়াই করেছিলো মন্দির উদ্ধারের জন্য। বাবর যদি মন্দির না ভেঙ্গে পৃথক একটি জায়গায় মসজিদ নির্মান করতো, তাহলে কি হিন্দুরা সম্রাট নির্মিত মসজিদকে ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে মন্দির স্থাপন করার জন্য ২১ বার লড়াই করার মতো দুঃসাহস দেখাতো? আর এরকম দুঃসাহস দেখালে বাবর কি হিন্দুদের অস্তিত্ব তার সাম্রাজ্যে রাখতো?
এরপর হুমায়ূনে রাজত্বকালে ১০ বার এবং আকবরের রাজত্বকালে ২০ বার হিন্দুরা রামজন্মভূমিতে মন্দির উদ্ধারের জন্য লড়াই করে। শেষে আকবর একটি আপোষ নিষ্পত্তি করে মসজিদের পাশেই রাম মন্দির নির্মানের অনুমতি দেয় এবং ছোট একটি মন্দির নির্মিত হয়। এসব উল্লেখ আছে, আকবরের শাসন কাল