Sitara Hossain

Sitara Hossain Daily Vlog
(6)

আমি অপমান ভুলি না।ছোটো ছোটো ভুল বোঝাবুঝি তে করা বিচ্ছিরি ব্যবহার ভুলি না।কষ্ট পাবো জেনেও যে দুঃখ আমাকে উপহার দেওয়া হয়,...
20/09/2025

আমি অপমান ভুলি না।
ছোটো ছোটো ভুল বোঝাবুঝি তে করা বিচ্ছিরি ব্যবহার ভুলি না।
কষ্ট পাবো জেনেও যে দুঃখ আমাকে উপহার দেওয়া হয়,আমি সেটা সাজিয়ে রাখি অত্যন্ত যত্নে।
যেসব কথা আমার দুচোখ ভাসিয়েছে অথৈ জলে, সেসব কথা আমি কোনোদিন ভুলতে পারি না।
আমি চোখ মুছি,কিন্তু ঘায়ের দাগ মুছি না।
ঘায়ের দাগ মুছে ফেললে মানুষ চিনতে বারবার ভুল হয়ে যায়।। # Highlight U 'CtgHighlight U 'Ctg

Hlwwww....
11/09/2025

Hlwwww....

Allhamdulilla 😘
24/08/2025

Allhamdulilla 😘

★ একজন বি'বাহিত পুরু'ষকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি বিয়ে করে কি কি পেয়েছেন ? ♦ তার উত্তরটা যদিও মজার ছিল তারপরেও প্রত্যেকটা কথ...
24/08/2025

★ একজন বি'বাহিত পুরু'ষকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি বিয়ে করে কি কি পেয়েছেন ?
♦ তার উত্তরটা যদিও মজার ছিল তারপরেও প্রত্যেকটা কথা ছিল সত্য...!
= বিয়ে করে সর্বপ্রথম একটা ব'উ পেয়েছি!
= পকেটে একটা মোবাইল থাকার পরও সারাদিনে যখন একটাও কল আসেনা তখন একটা কল করে ' তুমি এখন কোথায়? বলার মানুষ পেয়েছি! তখন নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ 'পাবলিক' মনে হয়।
= একজন কুকার/সেফ/পাঁচক/রাঁধুনি পেয়েছি। একটা ওয়াসিং মেশিন পেয়েছি। পাঞ্জাবীটা ময়লা হয়েছে বললেই, মেশিন অটো চলে!
= একটা অটো টেপরেকর্ডার পেয়েছি, মাঝে মাঝে 'কি-বোর্ড' টেপা ছাড়াই বাজতে থাকে! কখনো জোড়ে 'স্টপ' বললে বন্ধ হয়, কখনো শব্দ পরিবর্তন হয়ে 'বৃষ্টি' চালু হয়! কখনো 'হাইফাইভ' দেখালে অটো বন্ধ হয়ে যায়। বড় বিচিত্র এই রেকর্ডার!
♦ সপ্তাহ পাঁচ-সাত দিন পর পর অতি যত্ন সহকারে বাজার-সদায়ের লিস্ট ধরিয়ে দেয়ার জন্য একজন 'কেয়ারটেকার' পেয়েছি!
♦ আমার ঘরে রাত ১১টা সাড়ে ১১টার পর আমাকেই প্রবেশ নিষেধ বলে হু'মকি দেয়ার 'দারোয়ান' পেয়েছি!
♦ ছোট একটা 'এলার্মক্লক' পেয়েছি!
♦ বাড়তি প্রাপ্তি হিসেবে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, শালা-শালী, সম্বন্ধী পেয়েছি। সম্পূর্ণ অপরিচিত কিছু মানুষকে নিকটাত্মীয় হিসেবে পেয়েছি।
♦ একটা সন্তান পেয়েছি। সে যখন Baba বলে কোলে চড়ে বসে কিংবা গলা জড়িয়ে ধরে তখন বাগানে ফুল ফুটলে মালির যে অনুভুতি হয় তার চেয়েও বেশি মনটা শীতল হয়!
★ তাহলে দেখছি কিছুই হারা'ননি।
♦ হারিয়েছি তো, এত এত প্রাপ্তির মাঝে কিছু হারি'য়েছিও! প্রথমত, কু'মারত্ব হারিয়েছি😊 (যদিও কোন মেডিকেল রিপোর্ট নাই)
= অতপর, মানিব্যাগ আর রিমোর্টের একছত্র অধিকার হারিয়েছি😊
= মাঝে মাঝে মোবাইলটাও বে'দখল হয়ে যায়!
★ যাইহোক, সর্বশেষ সুখে- দু'খে একটা কথা বলার সঙ্গী পেয়েছ...!!
এমন ভালোবাসা বেচে থাকুক সারা জীবন 🥰😍

17/07/2025

সন্তান যখন আপনার কোলে থাকে, যতটা পারেন আদর করেন। কিছু ভেঙে গেলেও বকা দিয়েন না,পড়তে না চাইলেও বকা দিয়েন না ।আদর করবেন শুধু।গায়ে হাত তুলবেন না কখনো। এই যে ফুটফুটে মুখটা, ছোট্ট হাতটা , একটা দিন আসবে, এই হাত আপনার হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে।সন্তান চিরোকাল মায়ের কাছে থাকে না। ওদেরও তো জীবন আছে, স্বপ্ন আছে। ক্যারিয়ার গড়বে।কেউ চলে যাবে অন্য দেশে, কেউ উড়ে যাবে দূরের শহরে।তখন আপনি পড়েই থাকবেন এই বাড়িতে। এক কোণে।কখনো কখনো ফোন আসবে।কথা হবে, ‘মা ভালো আছো?’ আপনি বলবেন, ‘ভালো আছি বাবা।’মনের ভেতর হাজারটা কথা জমা থাকবে, বলতে পারবেন না। কারণ ওদের যে ব্যস্ত জীবন।তখন মনে পড়বে, যখন ও ছিল আপনার কোলে,তখন কেনো যে একটু বেশী আদর করেন নাই! কেনো যে বকা দিয়েছিলেন! তখন যে মেরেছিলেন,বকা দিয়েছিলেন, তার জন্য আপনাকে কাঁদতে হবে।

কাঁদতে কাঁদতে চোখ শুকিয়ে যাবে। তবুও সন্তানকে আদর করতে পারবেননা,কারণ সে তো থাকে আপনার থেকে কোটি কোটি মাইল দূরে।সন্তানকে কখনো মারবেন না। কখনো রাগের মাথায় কটু কথা বলবেন না।শুধু দোয়া করবেন।কারণ, ৫০ বছর আগেই তো লেখা হয়ে গেছে কে কি হবে। কার জীবনে কী আছে, ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে।আপনি শুধু আল্লাহর কাছে বলো —
‘হে আল্লাহ, আমার সন্তান যেন ভালো মানুষ হয়।
সুন্দর জীবন পায়। ঈমানের সাথে জীবন কাটায়।’

লেখা- সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।
#জীবন_চক্র

07/07/2025

আপনার সন্তানকে কিভাবে নষ্ঠ করবেন:
1. তাকে সবার সামনে ছোট করে কথা বলবেন। সবার সামনে তার সমালোচনা করবেন। কারন, সে সবার সমালোচনা সহ্য করতে পারলেও একজন বাবার সমালোচনা কখনো সহ্য করতে পারবে না। অন্য কেউ হলে তো, প্রতিবাদ করতো , কিন্তু বাবাকে কিছু বলতে ও পারবে না, সহ্য ও করতে পারবে না। ফলে, নিজের উপর প্রতিশোধ নিবে।

2. তার খাবার নিয়ে তাকে খোটা দিন। আমি খাওয়াই, আমি পড়াই, কিন্তু তুই অথর্ব। বসে বসে খাস। ৫০০ টাকা ইনকাম করে দেখা? আমারটা খাস, তাই বাস্তবতা বুঝিসনা। এ টাইপের কথা বলুন। সে হীনমন্য হয়ে নষ্ঠ হয়ে যাবে।

3. আপনার সন্তানকে সব সময় ভয়ের উপরে রাখুন। ২৪ ঘন্ঠা শাসনের উপর রাখুন। তাকে রোবট বানানোর চেষ্ঠা করুন। যেহেতু সে মানুষ, রোবট নয়, তাই সে আপনাকে কখনো খুশি করতে পারবে না। ফলে, হাল ছেড়ে দিয়ে নষ্ঠ হয়ে যাবে।

4. আপনার সন্তানকে মাঝে মাঝে জুতা খুলে পিটান। আর আন্ছলিক গালিগালাজ যা জানেন, সব তার উপর ছাড়ুন। সে এগুলো শিখে শিখে নষ্ঠ হোক।

5. আপনার সন্তানকে সব সময় সন্দেহের চোখে দেখুন। সে যা ই বলুক, তার অন্য একটি অর্থ বের করার চেষ্ঠা করুন।

6. আপনার সন্তানের নামে বাজে বাজে কথা আপনার বন্ধু ও পাড়া প্রতিবেশীকে বলুন। তারা আবার এসব তাকে গিয়ে বলবে,তোমার বাবা তোমার ব্যাপারে এটা এটা বলেছে। সে ভাববে, আমার বাবা ই যেহেতু আমাকে খারাপ ভাবে, আমাকে ভাল মনে করবে কে? সুতরাং, খারাপ ই হয়ে যায়।

7. আপনার সন্তানকে ফেরেশতা বানানোর চেষ্ঠা করুন। নিজে হারাম আয় করুন কিন্তু তাকে ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতে পড়তে বলুন। সে দেখছে এক, করতে হচ্ছে আরেক, যা সে করতে পারবে না। ফলে আপনার শত্রু হবে, নষ্ঠ হবে।

8. আপনার সন্তানকে কথা দিয়ে বার বার ভঙ্গ করুন। তাকে বলুন, তিনমাস তুমি এভাবে চললে, তোমাকে এটা দিব। তিনমাস পর একটা খুত বের করে বলুন, তুমি তো এটা এটা পারনি, তা ই তোমাকে যা দিব বলেছিলাম পাবে না। ফলে, আপনার উপর তার বিশ্বাস উঠে যাবে, ফলে সে নষ্ঠ হবে।

9. আপনার সন্তানকে সব সময় টাকার লোভ দেখান। ভাল ব্যবহার করার পরিবর্তে তাকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্ঠা করুন। মনে মনে ভাবুন, সে লোভী।

10. আপনার সন্তানকে সব সময় নিজের শৈশবের কষ্টের কথা বলুন আর সে কত সৌভাগ্যবান, তা তাকে বার বার মনে করিয়ে দিন। আপনার শৈশবের কষ্টের ঝাল, তার উপর মিটান। আপনি কেন ছোট বেলায় অনেক কিছু পান নি, তাই সামর্থ্য থাকা সত্বেও তাকে কিছু দিবেন না, তার সখ পুরন করতে দিবেন না। সে নষ্ট হবে ই।

11. তাকে অতিরিক্ত ভালবাসা দেখাবেন না। কখনো বুকে জড়িয়ে নিবেন না, কপালে চুমু খাবেন না। কারন সে প্রশ্রয় পেতে পারে। সে ভাল কিছু করলে উৎসাহ দিবেন না, সাহস দিবেন না বরং সব সময় ভয় দেখাবেন। বলবেন, এটা করা যাবেনা, ঐটা করা যাবে না, ব্যর্থ হবে। তুমি পারবেনা। ব্যস, তার আত্নবিশ্বাস নষ্ট হবে।

"UK তে আপনার দোকান বা অফিসের ইন্টারনেট, ফোন, মোবাইল, কার্ড মেসিন, EPOS System, গ্যাস, ইলেকট্রিকের বিল কমাতে inbox করুন। আপনি নিশ্চিত থাকেন, আপনার ভাল অংকের টাকা সেইব করতে পারবো।

07/07/2025

“কেউ যখন আপনার কাছে সাহায্যের জন্য আসে, মনে রাখবেন —
আল্লাহ তার মনে আপনার নাম দিয়েছেন।
আপনি সমাধান নন,
আপনি শুধু একজন যারইয়া।
আসলে সাহায্য করেন একমাত্র আল্লাহ।
তাই কারো উপকার করে কখনো অহংকার করবেন না।
বরং বলুন —
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে তাঁর রহমতের জন্য ব্যবহার করেছেন।”

05/07/2025

👉তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।
👉তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।
👉তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গোঁয়ার তৈরি করে ফেলেছ তুমি।
👉যদি বলো─ "কিছুই মনে রাখতে পারো না তুমি!"... পরদিন থেকে স্কুলের পড়া মনে থাকবে না তার, এবং প্রায়ই কিছু-না-কিছু হারিয়ে ফেলবে।
👉তাকে "বেয়াদব" বললে,... তুমি কল্পনাও করতে পারবে না আগামীকাল কী প্রচণ্ড মাত্রার বেয়াদবি করবে সে তোমার সাথে, বন্ধুদের সাথে, এমনকি স্কুলেও!
👉তাকে যদি "লক্ষ্মী" বলো,... দেখবে─ যে-সহপাঠীটির সাথে কেউ খেলছে না, তাকে তোমার সন্তানটি ডেকে নিয়ে একসাথে খেলছে; দেখবে─ টিচারকে হেল্প করছে সে গড়িয়ে পড়ে যাওয়া মার্কার-পেনটি তুলে দিয়ে; দেখবে─ কান্নারত একটি শিশুকে আদর করছে সে।
💪বলো─ "তুমি বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে 'পারবে'",... 💪"তুমি ডাক্তার হতে 'পারবে'",... "গায়িকা হতে
💪পারবে' তুমি",... "তুমি বড়ো হয়ে পেইন্টার হতে 'পারবে'";... পরমুহূর্ত থেকেই তোমার সন্তান আপ্রাণ প্রচেষ্টায় থাকবে অমন হয়ে উঠতে।
🤝গুরুত্ব দিলে, শিশু নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববে।
অবহেলা করলে, সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।
🙌শিশুকে, তার ক্ষমতা চিনিয়ে দিতে হয়;
তবেই সে হয়ে ওঠে যোগ্য মানুষ, নিজের মধ্যকার ক্ষমতা চিনে নিয়ে।
❤️অতএব, তোমার শিশুসন্তানকে বলো─ "তুমি এই জগতের সুন্দরতম মানুষ।"
তোমার সন্তানটি হয়ে উঠবে তোমার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ।
সে তা-ই হবে, যা সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে।
শিশুরা কথার জাদুতে গড়ে ওঠে। তাদের মগজ (neuro-plastic brain) ও মন এমন এক “নরম মাটির” মতো—যেখানে যে বীজ রোপণ করি, সেটিই চারা হয়ে বেড়ে ওঠে। ইতিবাচক শব্দ ও আস্থা-ভরা লেবেল তাদের আত্ম-ধারণা, আচরণ ও ভবিষ্যৎ সামর্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নীচে কুরআন-সুন্নাহ ও আধুনিক মনোবিজ্ঞানের আলোকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, কেন “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”-ধরনের উক্তি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে এতো কার্যকর।
১. ইসলামী দৃষ্টিকোণ
🌱 “তুমি পারবে”— ইতিবাচক কথার শক্তি
ইসলাম, হাদীস ও মনোবিজ্ঞানের আলোকে শিশুর মানসিক গঠনে ভাষার প্রভাব
একজন শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম হাতিয়ার হলো—তার অভিভাবকের মুখে উচ্চারিত শব্দ। “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”, “তুমি স্মার্ট”—এমন কথা শিশুর হৃদয়ে গভীর বিশ্বাস ও আত্মসম্মান জন্মায়। পক্ষান্তরে—“তুমি বেয়াদব”, “তুমি গোঁয়ার”, “তুমি কোনো কাজেই পারো না”—এই নেতিবাচক শব্দ শিশুর আত্মমর্যাদা ধ্বংস করে দেয়।
এই বক্তব্য শুধু আধুনিক মনোবিজ্ঞানেই প্রমাণিত নয়, বরং ইসলামের মূলনীতি ও হাদীসেও এর দারুণ সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। নিচে ইসলামী সূত্র অনুসারে চারটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও দলিলসহ তুলে ধরা হলো—

১. নম্র ও সদাচারী ভাষা
মূলনীতি:
শিশুর সঙ্গে সদাচারী, দয়ালু ও শুভ বাক্য ব্যবহার করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাআলা উত্তম বাক্যকে একটি শক্তিশালী, ডালপালা ছড়ানো ফলবান বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেমন একটি গাছ বছরের পর বছর ধরে ফল দেয়, তেমনি একটি সুন্দর বাক্য শিশুর মনে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দলিল:
📖 “তুমি কি লক্ষ্য করোনি, কিভাবে আল্লাহ উত্তম বাণীর দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন? তা হলো এক পবিত্র বৃক্ষের মত, যার মূল মজবুত এবং শাখা আকাশে।”
— সুরা ইবরাহ ১৪:২৪-২৫

২. নিন্দা ও কটুকথা নিষেধ
মূলনীতি:
অপমানজনক নাম বা নেতিবাচক ট্যাগ ব্যবহার না করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
কোনো শিশুকে “বেয়াদব”, “অসভ্য” বা “অযোগ্য” বললে সে নিজেকে তেমন ভাবতে শুরু করে এবং সেই আচরণে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ইসলাম কুরআনে সরাসরি নিষেধ করেছে কাউকে কষ্টদায়ক উপনামে ডাকা।
দলিল:
📖 “তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। বিশ্বাসের পর মন্দ নামে ডাকা একটি গোনাহ।”
— সুরা হুজুরাত ৪৯:১১

৩. ভালো সংবাদ ও দোআ দেওয়া
মূলনীতি:
শিশুকে আশাবাদী ভবিষ্যতের বার্তা ও দোআ প্রদান করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ শিশুদের ভালোবাসতেন এবং তাদের জন্য দোআ করতেন। তিনি হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে “আমার দুই ফুল” বলে সম্বোধন করতেন। এই সম্মান ও ভালো শব্দ শিশুর মনের মধ্যে নিজের গুরুত্ব এবং ভালো হওয়ার আগ্রহ জাগায়।
দলিল:
📘 সুনান আন-নাসাই (সহীহ):
রাসূল ﷺ হাসান ও হুসাইন সম্পর্কে বলেছেন—
“হুমা রাইহানাতাইয়া মিনাদ-দুনিয়া”
— “তারা দুনিয়ার দুই ফুল।”

৪. শিশুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন
মূলনীতি:
শিশুর প্রতি স্নেহ, উৎসাহ ও প্রশংসা প্রদর্শন করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ বলেছেন, ছোটদের প্রতি দয়া না করা এবং বড়দের সম্মান না করা ব্যক্তি তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। শিশুদের ওপর করুণা করা মানে তাদের ভালো বলা, উৎসাহ দেওয়া, এবং ভুলত্রুটি মাফ করা।
দলিল:
📗 তিরমিযি হাদীস ১৯১৯:
“مَنْ لَا يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَلَا يُوَقِّرْ كَبِيرَنَا فَلَيْسَ مِنَّا”
— “যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
শিশুর মন একটি শূন্য ক্যানভাস—আপনি যে ভাষায় রং তুলির আঁচড় দেবেন, সে জীবনভর সেই রঙেই নিজেকে দেখবে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে কেবল ভালো আচরণ নয়, বরং ভালো বাক্য-ও শিশু গঠনে অপরিহার্য। তাই আসুন, আমাদের সন্তানদের জন্য এমন শব্দ বেছে নেই, যা হবে দোআ, আশীর্বাদ ও ভবিষ্যৎ নির্মাণের হাতিয়ার।
বলুন—“তুমি পারবে”, “তুমি শ্রেষ্ঠ”, “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—এবং দেখুন, আপনার সন্তান কীভাবে হয়ে ওঠে আপনার জীবনের সেরা উপহার।
ফলাফল → ইতিবাচক ভাষার মাধ্যমে পিতা-মাতা সুন্নাহ পালন ও সন্তানের হৃদয়ে ঈমানী আত্ম-সম্মান গেঁথে দেন।
২. মনোবিজ্ঞানী দৃষ্টিকোণ
1. পিগম্যালিয়ন/রোসেনথাল এফেক্ট
• শিক্ষা-গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক “তারা এগিয়ে যাবে”-ধরনের প্রত্যাশা পোষণ করেন, তারাই পরীক্ষায় ঝলসে ওঠে।
• বাচ্চাকে “স্মার্ট”, “লক্ষ্মী” বলা এই স্ব-সম্পূরক ভবিষ্যদ্বাণী (self-fulfilling prophecy) সক্রিয় করে।
2. লেবেলিং ও সেলফ-স্ক্রিপ্ট
• নেতিবাচক লেবেল (যেমন “বেয়াদব”) শিশুকে নিজেকে ঐ রূপে দেখতে শেখায়—ফলে আচরণেও তা ফুটে ওঠে (Labelling theory, Becker, 1963).
3. আত্ম-কার্যকারিতা (Self-Efficacy)
• আলবার্ট বান্দুরার মতে “আমি পারি”-বিশ্বাস কঠিন কাজেও অধ্যবসায় বাড়ায়। পিতা-মাতার “তুমি ডাক্তার হতে পারবে” উচ্চ-স্বপ্ন এই বিশ্বাস জাগায়।
4. গ্রোথ মাইন্ডসেট
• ক্যারল ডুএক দেখিয়েছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনশীল—এমন বার্তা শিশুকে চ্যালেঞ্জে স্থিত রাখে। “পারবে”-ধরনের বাক্য এই মানসিকতা তৈরি করে।
5. অভ্যন্তরীণ উৎসাহ বনাম বাহ্যিক শাস্তি
• সদ্ভাষা ও স্বীকৃতি ছাত্রের ভেতরকার মোটিভেশন জাগায়; বারবার শাসন কেবল বাহ্যিক শৃঙ্খলা টিকে রাখে, কিন্তু সৃজনশীলতা দমিয়ে দেয় (Ryan & Deci, 2000).

৩. বাস্তব-প্রভাব: কীভাবে শিশুর বিকাশে সহায়তা করে?
• আত্ম-সম্মান বাড়ে → শিশুর Cortisol-স্তর কমে, উদ্বেগ-ভীতি ধরে না; শেখার জানালা প্রশস্ত হয়।
• সামাজিক সহমর্মিতা শেখে → “তুমি লক্ষ্মী” শুনে সে Empathy-র উদাহরণ দেখাতে চায়—বন্ধুকে খেলায় নেয়, ছোটদের আদর করে।
• ভাষা-আচরণে ইতিবাচক চক্র → ভালো কথা শুনে সে অন্যকেও ভালো কথা বলে; “আল-কালিমাহ আত-তইয়্যিবাহ”-র ধারাবাহিকতা গড়ে।
• লক্ষ্য-নির্দিষ্ট প্রচেষ্টা → “ডাক্তার হবে”-মন্ত্র শিশুকে পাঠ্যবই, কুদরতির ডায়াগ্রাম, STEM খেলনায় আগ্রহী করে তোলে; পরিকল্পনা-ক্ষমতা বাড়ে।
• ক্ষমতায়নের অনুভূতি → যে সন্তান বাড়িতে সম্মান পায়, বাইরের বিশ্বে অবমূল্যোচনার মুখেও ডিগ্রী হারায় না; রেজিলিয়েন্স তৈরি হয়।

৪. কীভাবে প্রয়োগ করবেন? ৫টি সহজ কৌশল
1. সুনির্দিষ্ট প্রশংসা দিন
• বলুন, “তুমি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছ, দারুণ!”—শুধু “ভাল” না বলে আচরণও উল্লেখ করুন।
2. নেতিবাচক ঘটনার “ব্যবহারিক ভাষা”
• “তুমি বেয়াদব” না বলে—“তোমার আচরণটা বন্ধুকে কষ্ট দিয়েছে; কীভাবে ঠিক করবো?”
3. দোআ ও শুভকামনা
• ঘুমানোর আগে মাথায় হাত রেখে “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—ইসলামি ইতিবাচক লেবেল।
4. মিশন-ভিত্তিক খেলা দিন
• “আজ আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের মতো একটি সেতু বানাব”—লক্ষ্যের প্রতি মজার অনুশীলন।
5. নিজের ভাষার শুদ্ধি অনুশীলন
• এক সপ্তাহ “নিষিদ্ধ শব্দ তালিকা” রাখুন—নেগেটিভ ট্যাগ বললে নিজেকেই জরিমানা দিন; পরিবারে ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ুন।
উপসংহার
কুরআনের “পবিত্র বাক্য”-এর তুলনা ও নবী ﷺ-এর স্নেহব্যবহার আধুনিক মনোবিজ্ঞানের ফলাফলগুলোর সাথে মিলে যায়—ভালো কথা শিশুর মনের রাসায়নিক বাস্তবতা, মানসিক গঠন ও সামাজিক দক্ষতা রূপান্তরিত করে। কাজেই “তুমি পারবে”—এই বিশ্বাস-শব্দই আপনার সন্তানের জীবনের নকশা আঁকে। আওয়াজ দিন, ভালো শব্দ বুনুন; কাল সে-ই আপনার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ হয়ে ফিরবে—ইন-শা-আল্লাহ। ♥️

সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে একদিন সবকিছু ফিরে আসবে — হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান...
30/06/2025

সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে

একদিন সবকিছু ফিরে আসবে — হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান্তি, নিজের জন্য সময়।
ফিরে আসবে অবাধ স্বাধীনতা, ফিরে আসবে নিশ্চিন্ত নিশি।
কিন্তু যা কোনোদিনও ফিরে আসবে না, তা হলো তোমার এই ছোট্ট শৈশব।

আর সকাল সকাল উঠে তোমার ময়লা কাঁথা-চাদর ধোয়ার তাড়া থাকবে না।
তোমার জন্য আর শখ করে নতুন খেলনা কেনা হবে না।
তুমি আর দাঁতহীন হাসিতে আমার আঙুল কামড়ে ধরবে না,
না-না বলার ভঙ্গিতে দুই মুঠো হাত দিয়ে আমার চুল ছিঁড়ে দেবে না।
তুমি বাবার চুল ধরে টেনে দুষ্টুমি করে হাসবে না।

তোমার জন্য আলাদা রান্নার সেই ছোট ছোট পেরেশানিগুলোও আর থাকবে না।
বাড়ির কোণে ছড়িয়ে থাকা খেলনাগুলো তুলে নিতে হবে না।
নতুন খেলনা দেখলেই বাবার উচ্ছ্বসিত চোখের সেই ভালোবাসা আর দেখা যাবে না।
এই হাতদুটো দিয়ে তোমাকে স্নান করিয়ে আদর করে মুছে দেবার মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে।
ভরা বুকের উষ্ণতায় তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ার মুহূর্তগুলো ফুরিয়ে যাবে।

একদিন তুমি বড় হয়ে যাবে।
আমার শরীরের ব্যথা, যন্ত্রণার ইতিহাস হয়ে যাবে।
যে দিন প্রথমবার ছেঁড়া-ফাটা, সেলাই করা শরীর নিয়ে তোমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরেছিলাম, সেই দিনটিও স্মৃতির পাতায় ঝাপসা হয়ে যাবে।

তারপর…
দিন যাবে, মাস যাবে, বছর পেরিয়ে যাবে।
তুমি আমার কোল ছেড়ে নিজের ছোট্ট দুনিয়ায় পা রাখবে।
যে জড়তা মাখা ভাষায় তুমি আমাকে "মা" বলেছিলে, সেই ডাকের সরলতা হারিয়ে যাবে।
তুমি বড় ব্যস্ত হয়ে পড়বে তোমার নিজস্ব জীবন নিয়ে।

তখন আমাদের — মা-বাবার — সমস্ত ব্যস্ততা ছুটি পাবে।
তুমি থাকবে ব্যস্ত, আর আমরা থাকবো অতীতের স্মৃতিতে হারিয়ে।

যে শৈশব তোমার মনে আবছা হয়ে যাবে,
সেই শৈশব আমাদের হৃদয়ে চিরকাল ঝকঝকে জ্বলবে।
কখনো একটিবার মনে পড়বে হয়তো—
তোমাকে ঘুম পাড়াতে, খেলনা গুছাতে, ভালোবাসায় ভিজিয়ে রাখার সেই সব দিনগুলো।

আর আমাদের মনে পড়বে—
তোমার ছোট্ট হাতের টান, দুধের গন্ধ মাখা শরীরের উষ্ণতা,
তোমার নির্ভরতা, তোমার অবুঝ ভালোবাসা।
সেই সব অনুভূতির কোনো বিকল্প আর কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কারণ, শৈশব একবারই আসে।
আর তা হারিয়ে গেলে, আর কখনও ফিরে আসে না।

— মায়ের ডায়েরি
- মা
♥️
©

Address

Dhaka
1344

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sitara Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share