Sitara Hossain

Sitara Hossain Daily Vlog
(6)

17/07/2025

সন্তান যখন আপনার কোলে থাকে, যতটা পারেন আদর করেন। কিছু ভেঙে গেলেও বকা দিয়েন না,পড়তে না চাইলেও বকা দিয়েন না ।আদর করবেন শুধু।গায়ে হাত তুলবেন না কখনো। এই যে ফুটফুটে মুখটা, ছোট্ট হাতটা , একটা দিন আসবে, এই হাত আপনার হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে।সন্তান চিরোকাল মায়ের কাছে থাকে না। ওদেরও তো জীবন আছে, স্বপ্ন আছে। ক্যারিয়ার গড়বে।কেউ চলে যাবে অন্য দেশে, কেউ উড়ে যাবে দূরের শহরে।তখন আপনি পড়েই থাকবেন এই বাড়িতে। এক কোণে।কখনো কখনো ফোন আসবে।কথা হবে, ‘মা ভালো আছো?’ আপনি বলবেন, ‘ভালো আছি বাবা।’মনের ভেতর হাজারটা কথা জমা থাকবে, বলতে পারবেন না। কারণ ওদের যে ব্যস্ত জীবন।তখন মনে পড়বে, যখন ও ছিল আপনার কোলে,তখন কেনো যে একটু বেশী আদর করেন নাই! কেনো যে বকা দিয়েছিলেন! তখন যে মেরেছিলেন,বকা দিয়েছিলেন, তার জন্য আপনাকে কাঁদতে হবে।

কাঁদতে কাঁদতে চোখ শুকিয়ে যাবে। তবুও সন্তানকে আদর করতে পারবেননা,কারণ সে তো থাকে আপনার থেকে কোটি কোটি মাইল দূরে।সন্তানকে কখনো মারবেন না। কখনো রাগের মাথায় কটু কথা বলবেন না।শুধু দোয়া করবেন।কারণ, ৫০ বছর আগেই তো লেখা হয়ে গেছে কে কি হবে। কার জীবনে কী আছে, ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে।আপনি শুধু আল্লাহর কাছে বলো —
‘হে আল্লাহ, আমার সন্তান যেন ভালো মানুষ হয়।
সুন্দর জীবন পায়। ঈমানের সাথে জীবন কাটায়।’

লেখা- সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।
#জীবন_চক্র

07/07/2025

আপনার সন্তানকে কিভাবে নষ্ঠ করবেন:
1. তাকে সবার সামনে ছোট করে কথা বলবেন। সবার সামনে তার সমালোচনা করবেন। কারন, সে সবার সমালোচনা সহ্য করতে পারলেও একজন বাবার সমালোচনা কখনো সহ্য করতে পারবে না। অন্য কেউ হলে তো, প্রতিবাদ করতো , কিন্তু বাবাকে কিছু বলতে ও পারবে না, সহ্য ও করতে পারবে না। ফলে, নিজের উপর প্রতিশোধ নিবে।

2. তার খাবার নিয়ে তাকে খোটা দিন। আমি খাওয়াই, আমি পড়াই, কিন্তু তুই অথর্ব। বসে বসে খাস। ৫০০ টাকা ইনকাম করে দেখা? আমারটা খাস, তাই বাস্তবতা বুঝিসনা। এ টাইপের কথা বলুন। সে হীনমন্য হয়ে নষ্ঠ হয়ে যাবে।

3. আপনার সন্তানকে সব সময় ভয়ের উপরে রাখুন। ২৪ ঘন্ঠা শাসনের উপর রাখুন। তাকে রোবট বানানোর চেষ্ঠা করুন। যেহেতু সে মানুষ, রোবট নয়, তাই সে আপনাকে কখনো খুশি করতে পারবে না। ফলে, হাল ছেড়ে দিয়ে নষ্ঠ হয়ে যাবে।

4. আপনার সন্তানকে মাঝে মাঝে জুতা খুলে পিটান। আর আন্ছলিক গালিগালাজ যা জানেন, সব তার উপর ছাড়ুন। সে এগুলো শিখে শিখে নষ্ঠ হোক।

5. আপনার সন্তানকে সব সময় সন্দেহের চোখে দেখুন। সে যা ই বলুক, তার অন্য একটি অর্থ বের করার চেষ্ঠা করুন।

6. আপনার সন্তানের নামে বাজে বাজে কথা আপনার বন্ধু ও পাড়া প্রতিবেশীকে বলুন। তারা আবার এসব তাকে গিয়ে বলবে,তোমার বাবা তোমার ব্যাপারে এটা এটা বলেছে। সে ভাববে, আমার বাবা ই যেহেতু আমাকে খারাপ ভাবে, আমাকে ভাল মনে করবে কে? সুতরাং, খারাপ ই হয়ে যায়।

7. আপনার সন্তানকে ফেরেশতা বানানোর চেষ্ঠা করুন। নিজে হারাম আয় করুন কিন্তু তাকে ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতে পড়তে বলুন। সে দেখছে এক, করতে হচ্ছে আরেক, যা সে করতে পারবে না। ফলে আপনার শত্রু হবে, নষ্ঠ হবে।

8. আপনার সন্তানকে কথা দিয়ে বার বার ভঙ্গ করুন। তাকে বলুন, তিনমাস তুমি এভাবে চললে, তোমাকে এটা দিব। তিনমাস পর একটা খুত বের করে বলুন, তুমি তো এটা এটা পারনি, তা ই তোমাকে যা দিব বলেছিলাম পাবে না। ফলে, আপনার উপর তার বিশ্বাস উঠে যাবে, ফলে সে নষ্ঠ হবে।

9. আপনার সন্তানকে সব সময় টাকার লোভ দেখান। ভাল ব্যবহার করার পরিবর্তে তাকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্ঠা করুন। মনে মনে ভাবুন, সে লোভী।

10. আপনার সন্তানকে সব সময় নিজের শৈশবের কষ্টের কথা বলুন আর সে কত সৌভাগ্যবান, তা তাকে বার বার মনে করিয়ে দিন। আপনার শৈশবের কষ্টের ঝাল, তার উপর মিটান। আপনি কেন ছোট বেলায় অনেক কিছু পান নি, তাই সামর্থ্য থাকা সত্বেও তাকে কিছু দিবেন না, তার সখ পুরন করতে দিবেন না। সে নষ্ট হবে ই।

11. তাকে অতিরিক্ত ভালবাসা দেখাবেন না। কখনো বুকে জড়িয়ে নিবেন না, কপালে চুমু খাবেন না। কারন সে প্রশ্রয় পেতে পারে। সে ভাল কিছু করলে উৎসাহ দিবেন না, সাহস দিবেন না বরং সব সময় ভয় দেখাবেন। বলবেন, এটা করা যাবেনা, ঐটা করা যাবে না, ব্যর্থ হবে। তুমি পারবেনা। ব্যস, তার আত্নবিশ্বাস নষ্ট হবে।

"UK তে আপনার দোকান বা অফিসের ইন্টারনেট, ফোন, মোবাইল, কার্ড মেসিন, EPOS System, গ্যাস, ইলেকট্রিকের বিল কমাতে inbox করুন। আপনি নিশ্চিত থাকেন, আপনার ভাল অংকের টাকা সেইব করতে পারবো।

07/07/2025

“কেউ যখন আপনার কাছে সাহায্যের জন্য আসে, মনে রাখবেন —
আল্লাহ তার মনে আপনার নাম দিয়েছেন।
আপনি সমাধান নন,
আপনি শুধু একজন যারইয়া।
আসলে সাহায্য করেন একমাত্র আল্লাহ।
তাই কারো উপকার করে কখনো অহংকার করবেন না।
বরং বলুন —
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে তাঁর রহমতের জন্য ব্যবহার করেছেন।”

05/07/2025

👉তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।
👉তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।
👉তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গোঁয়ার তৈরি করে ফেলেছ তুমি।
👉যদি বলো─ "কিছুই মনে রাখতে পারো না তুমি!"... পরদিন থেকে স্কুলের পড়া মনে থাকবে না তার, এবং প্রায়ই কিছু-না-কিছু হারিয়ে ফেলবে।
👉তাকে "বেয়াদব" বললে,... তুমি কল্পনাও করতে পারবে না আগামীকাল কী প্রচণ্ড মাত্রার বেয়াদবি করবে সে তোমার সাথে, বন্ধুদের সাথে, এমনকি স্কুলেও!
👉তাকে যদি "লক্ষ্মী" বলো,... দেখবে─ যে-সহপাঠীটির সাথে কেউ খেলছে না, তাকে তোমার সন্তানটি ডেকে নিয়ে একসাথে খেলছে; দেখবে─ টিচারকে হেল্প করছে সে গড়িয়ে পড়ে যাওয়া মার্কার-পেনটি তুলে দিয়ে; দেখবে─ কান্নারত একটি শিশুকে আদর করছে সে।
💪বলো─ "তুমি বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে 'পারবে'",... 💪"তুমি ডাক্তার হতে 'পারবে'",... "গায়িকা হতে
💪পারবে' তুমি",... "তুমি বড়ো হয়ে পেইন্টার হতে 'পারবে'";... পরমুহূর্ত থেকেই তোমার সন্তান আপ্রাণ প্রচেষ্টায় থাকবে অমন হয়ে উঠতে।
🤝গুরুত্ব দিলে, শিশু নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববে।
অবহেলা করলে, সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।
🙌শিশুকে, তার ক্ষমতা চিনিয়ে দিতে হয়;
তবেই সে হয়ে ওঠে যোগ্য মানুষ, নিজের মধ্যকার ক্ষমতা চিনে নিয়ে।
❤️অতএব, তোমার শিশুসন্তানকে বলো─ "তুমি এই জগতের সুন্দরতম মানুষ।"
তোমার সন্তানটি হয়ে উঠবে তোমার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ।
সে তা-ই হবে, যা সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে।
শিশুরা কথার জাদুতে গড়ে ওঠে। তাদের মগজ (neuro-plastic brain) ও মন এমন এক “নরম মাটির” মতো—যেখানে যে বীজ রোপণ করি, সেটিই চারা হয়ে বেড়ে ওঠে। ইতিবাচক শব্দ ও আস্থা-ভরা লেবেল তাদের আত্ম-ধারণা, আচরণ ও ভবিষ্যৎ সামর্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নীচে কুরআন-সুন্নাহ ও আধুনিক মনোবিজ্ঞানের আলোকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, কেন “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”-ধরনের উক্তি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে এতো কার্যকর।
১. ইসলামী দৃষ্টিকোণ
🌱 “তুমি পারবে”— ইতিবাচক কথার শক্তি
ইসলাম, হাদীস ও মনোবিজ্ঞানের আলোকে শিশুর মানসিক গঠনে ভাষার প্রভাব
একজন শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম হাতিয়ার হলো—তার অভিভাবকের মুখে উচ্চারিত শব্দ। “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”, “তুমি স্মার্ট”—এমন কথা শিশুর হৃদয়ে গভীর বিশ্বাস ও আত্মসম্মান জন্মায়। পক্ষান্তরে—“তুমি বেয়াদব”, “তুমি গোঁয়ার”, “তুমি কোনো কাজেই পারো না”—এই নেতিবাচক শব্দ শিশুর আত্মমর্যাদা ধ্বংস করে দেয়।
এই বক্তব্য শুধু আধুনিক মনোবিজ্ঞানেই প্রমাণিত নয়, বরং ইসলামের মূলনীতি ও হাদীসেও এর দারুণ সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। নিচে ইসলামী সূত্র অনুসারে চারটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও দলিলসহ তুলে ধরা হলো—

১. নম্র ও সদাচারী ভাষা
মূলনীতি:
শিশুর সঙ্গে সদাচারী, দয়ালু ও শুভ বাক্য ব্যবহার করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাআলা উত্তম বাক্যকে একটি শক্তিশালী, ডালপালা ছড়ানো ফলবান বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেমন একটি গাছ বছরের পর বছর ধরে ফল দেয়, তেমনি একটি সুন্দর বাক্য শিশুর মনে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দলিল:
📖 “তুমি কি লক্ষ্য করোনি, কিভাবে আল্লাহ উত্তম বাণীর দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন? তা হলো এক পবিত্র বৃক্ষের মত, যার মূল মজবুত এবং শাখা আকাশে।”
— সুরা ইবরাহ ১৪:২৪-২৫

২. নিন্দা ও কটুকথা নিষেধ
মূলনীতি:
অপমানজনক নাম বা নেতিবাচক ট্যাগ ব্যবহার না করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
কোনো শিশুকে “বেয়াদব”, “অসভ্য” বা “অযোগ্য” বললে সে নিজেকে তেমন ভাবতে শুরু করে এবং সেই আচরণে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ইসলাম কুরআনে সরাসরি নিষেধ করেছে কাউকে কষ্টদায়ক উপনামে ডাকা।
দলিল:
📖 “তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। বিশ্বাসের পর মন্দ নামে ডাকা একটি গোনাহ।”
— সুরা হুজুরাত ৪৯:১১

৩. ভালো সংবাদ ও দোআ দেওয়া
মূলনীতি:
শিশুকে আশাবাদী ভবিষ্যতের বার্তা ও দোআ প্রদান করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ শিশুদের ভালোবাসতেন এবং তাদের জন্য দোআ করতেন। তিনি হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে “আমার দুই ফুল” বলে সম্বোধন করতেন। এই সম্মান ও ভালো শব্দ শিশুর মনের মধ্যে নিজের গুরুত্ব এবং ভালো হওয়ার আগ্রহ জাগায়।
দলিল:
📘 সুনান আন-নাসাই (সহীহ):
রাসূল ﷺ হাসান ও হুসাইন সম্পর্কে বলেছেন—
“হুমা রাইহানাতাইয়া মিনাদ-দুনিয়া”
— “তারা দুনিয়ার দুই ফুল।”

৪. শিশুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন
মূলনীতি:
শিশুর প্রতি স্নেহ, উৎসাহ ও প্রশংসা প্রদর্শন করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ বলেছেন, ছোটদের প্রতি দয়া না করা এবং বড়দের সম্মান না করা ব্যক্তি তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। শিশুদের ওপর করুণা করা মানে তাদের ভালো বলা, উৎসাহ দেওয়া, এবং ভুলত্রুটি মাফ করা।
দলিল:
📗 তিরমিযি হাদীস ১৯১৯:
“مَنْ لَا يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَلَا يُوَقِّرْ كَبِيرَنَا فَلَيْسَ مِنَّا”
— “যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
শিশুর মন একটি শূন্য ক্যানভাস—আপনি যে ভাষায় রং তুলির আঁচড় দেবেন, সে জীবনভর সেই রঙেই নিজেকে দেখবে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে কেবল ভালো আচরণ নয়, বরং ভালো বাক্য-ও শিশু গঠনে অপরিহার্য। তাই আসুন, আমাদের সন্তানদের জন্য এমন শব্দ বেছে নেই, যা হবে দোআ, আশীর্বাদ ও ভবিষ্যৎ নির্মাণের হাতিয়ার।
বলুন—“তুমি পারবে”, “তুমি শ্রেষ্ঠ”, “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—এবং দেখুন, আপনার সন্তান কীভাবে হয়ে ওঠে আপনার জীবনের সেরা উপহার।
ফলাফল → ইতিবাচক ভাষার মাধ্যমে পিতা-মাতা সুন্নাহ পালন ও সন্তানের হৃদয়ে ঈমানী আত্ম-সম্মান গেঁথে দেন।
২. মনোবিজ্ঞানী দৃষ্টিকোণ
1. পিগম্যালিয়ন/রোসেনথাল এফেক্ট
• শিক্ষা-গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক “তারা এগিয়ে যাবে”-ধরনের প্রত্যাশা পোষণ করেন, তারাই পরীক্ষায় ঝলসে ওঠে।
• বাচ্চাকে “স্মার্ট”, “লক্ষ্মী” বলা এই স্ব-সম্পূরক ভবিষ্যদ্বাণী (self-fulfilling prophecy) সক্রিয় করে।
2. লেবেলিং ও সেলফ-স্ক্রিপ্ট
• নেতিবাচক লেবেল (যেমন “বেয়াদব”) শিশুকে নিজেকে ঐ রূপে দেখতে শেখায়—ফলে আচরণেও তা ফুটে ওঠে (Labelling theory, Becker, 1963).
3. আত্ম-কার্যকারিতা (Self-Efficacy)
• আলবার্ট বান্দুরার মতে “আমি পারি”-বিশ্বাস কঠিন কাজেও অধ্যবসায় বাড়ায়। পিতা-মাতার “তুমি ডাক্তার হতে পারবে” উচ্চ-স্বপ্ন এই বিশ্বাস জাগায়।
4. গ্রোথ মাইন্ডসেট
• ক্যারল ডুএক দেখিয়েছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনশীল—এমন বার্তা শিশুকে চ্যালেঞ্জে স্থিত রাখে। “পারবে”-ধরনের বাক্য এই মানসিকতা তৈরি করে।
5. অভ্যন্তরীণ উৎসাহ বনাম বাহ্যিক শাস্তি
• সদ্ভাষা ও স্বীকৃতি ছাত্রের ভেতরকার মোটিভেশন জাগায়; বারবার শাসন কেবল বাহ্যিক শৃঙ্খলা টিকে রাখে, কিন্তু সৃজনশীলতা দমিয়ে দেয় (Ryan & Deci, 2000).

৩. বাস্তব-প্রভাব: কীভাবে শিশুর বিকাশে সহায়তা করে?
• আত্ম-সম্মান বাড়ে → শিশুর Cortisol-স্তর কমে, উদ্বেগ-ভীতি ধরে না; শেখার জানালা প্রশস্ত হয়।
• সামাজিক সহমর্মিতা শেখে → “তুমি লক্ষ্মী” শুনে সে Empathy-র উদাহরণ দেখাতে চায়—বন্ধুকে খেলায় নেয়, ছোটদের আদর করে।
• ভাষা-আচরণে ইতিবাচক চক্র → ভালো কথা শুনে সে অন্যকেও ভালো কথা বলে; “আল-কালিমাহ আত-তইয়্যিবাহ”-র ধারাবাহিকতা গড়ে।
• লক্ষ্য-নির্দিষ্ট প্রচেষ্টা → “ডাক্তার হবে”-মন্ত্র শিশুকে পাঠ্যবই, কুদরতির ডায়াগ্রাম, STEM খেলনায় আগ্রহী করে তোলে; পরিকল্পনা-ক্ষমতা বাড়ে।
• ক্ষমতায়নের অনুভূতি → যে সন্তান বাড়িতে সম্মান পায়, বাইরের বিশ্বে অবমূল্যোচনার মুখেও ডিগ্রী হারায় না; রেজিলিয়েন্স তৈরি হয়।

৪. কীভাবে প্রয়োগ করবেন? ৫টি সহজ কৌশল
1. সুনির্দিষ্ট প্রশংসা দিন
• বলুন, “তুমি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছ, দারুণ!”—শুধু “ভাল” না বলে আচরণও উল্লেখ করুন।
2. নেতিবাচক ঘটনার “ব্যবহারিক ভাষা”
• “তুমি বেয়াদব” না বলে—“তোমার আচরণটা বন্ধুকে কষ্ট দিয়েছে; কীভাবে ঠিক করবো?”
3. দোআ ও শুভকামনা
• ঘুমানোর আগে মাথায় হাত রেখে “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—ইসলামি ইতিবাচক লেবেল।
4. মিশন-ভিত্তিক খেলা দিন
• “আজ আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের মতো একটি সেতু বানাব”—লক্ষ্যের প্রতি মজার অনুশীলন।
5. নিজের ভাষার শুদ্ধি অনুশীলন
• এক সপ্তাহ “নিষিদ্ধ শব্দ তালিকা” রাখুন—নেগেটিভ ট্যাগ বললে নিজেকেই জরিমানা দিন; পরিবারে ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ুন।
উপসংহার
কুরআনের “পবিত্র বাক্য”-এর তুলনা ও নবী ﷺ-এর স্নেহব্যবহার আধুনিক মনোবিজ্ঞানের ফলাফলগুলোর সাথে মিলে যায়—ভালো কথা শিশুর মনের রাসায়নিক বাস্তবতা, মানসিক গঠন ও সামাজিক দক্ষতা রূপান্তরিত করে। কাজেই “তুমি পারবে”—এই বিশ্বাস-শব্দই আপনার সন্তানের জীবনের নকশা আঁকে। আওয়াজ দিন, ভালো শব্দ বুনুন; কাল সে-ই আপনার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ হয়ে ফিরবে—ইন-শা-আল্লাহ। ♥️

সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে একদিন সবকিছু ফিরে আসবে — হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান...
30/06/2025

সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে

একদিন সবকিছু ফিরে আসবে — হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান্তি, নিজের জন্য সময়।
ফিরে আসবে অবাধ স্বাধীনতা, ফিরে আসবে নিশ্চিন্ত নিশি।
কিন্তু যা কোনোদিনও ফিরে আসবে না, তা হলো তোমার এই ছোট্ট শৈশব।

আর সকাল সকাল উঠে তোমার ময়লা কাঁথা-চাদর ধোয়ার তাড়া থাকবে না।
তোমার জন্য আর শখ করে নতুন খেলনা কেনা হবে না।
তুমি আর দাঁতহীন হাসিতে আমার আঙুল কামড়ে ধরবে না,
না-না বলার ভঙ্গিতে দুই মুঠো হাত দিয়ে আমার চুল ছিঁড়ে দেবে না।
তুমি বাবার চুল ধরে টেনে দুষ্টুমি করে হাসবে না।

তোমার জন্য আলাদা রান্নার সেই ছোট ছোট পেরেশানিগুলোও আর থাকবে না।
বাড়ির কোণে ছড়িয়ে থাকা খেলনাগুলো তুলে নিতে হবে না।
নতুন খেলনা দেখলেই বাবার উচ্ছ্বসিত চোখের সেই ভালোবাসা আর দেখা যাবে না।
এই হাতদুটো দিয়ে তোমাকে স্নান করিয়ে আদর করে মুছে দেবার মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে।
ভরা বুকের উষ্ণতায় তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ার মুহূর্তগুলো ফুরিয়ে যাবে।

একদিন তুমি বড় হয়ে যাবে।
আমার শরীরের ব্যথা, যন্ত্রণার ইতিহাস হয়ে যাবে।
যে দিন প্রথমবার ছেঁড়া-ফাটা, সেলাই করা শরীর নিয়ে তোমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরেছিলাম, সেই দিনটিও স্মৃতির পাতায় ঝাপসা হয়ে যাবে।

তারপর…
দিন যাবে, মাস যাবে, বছর পেরিয়ে যাবে।
তুমি আমার কোল ছেড়ে নিজের ছোট্ট দুনিয়ায় পা রাখবে।
যে জড়তা মাখা ভাষায় তুমি আমাকে "মা" বলেছিলে, সেই ডাকের সরলতা হারিয়ে যাবে।
তুমি বড় ব্যস্ত হয়ে পড়বে তোমার নিজস্ব জীবন নিয়ে।

তখন আমাদের — মা-বাবার — সমস্ত ব্যস্ততা ছুটি পাবে।
তুমি থাকবে ব্যস্ত, আর আমরা থাকবো অতীতের স্মৃতিতে হারিয়ে।

যে শৈশব তোমার মনে আবছা হয়ে যাবে,
সেই শৈশব আমাদের হৃদয়ে চিরকাল ঝকঝকে জ্বলবে।
কখনো একটিবার মনে পড়বে হয়তো—
তোমাকে ঘুম পাড়াতে, খেলনা গুছাতে, ভালোবাসায় ভিজিয়ে রাখার সেই সব দিনগুলো।

আর আমাদের মনে পড়বে—
তোমার ছোট্ট হাতের টান, দুধের গন্ধ মাখা শরীরের উষ্ণতা,
তোমার নির্ভরতা, তোমার অবুঝ ভালোবাসা।
সেই সব অনুভূতির কোনো বিকল্প আর কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কারণ, শৈশব একবারই আসে।
আর তা হারিয়ে গেলে, আর কখনও ফিরে আসে না।

— মায়ের ডায়েরি
- মা
♥️
©

29/06/2025

দুই ভাই ছিলো।
একজন মারা গেলো মসজিদে অবস্থানকালে, আর আরেকজন মারা গেলো ক্লাবে গিয়ে। ঘটনাটা শোনার পর সবাই মসজিদে মারা যাওয়া ভাইয়ের খুব প্রশংসা করতে লাগলো। বললো, ধর্মীয় স্থানে মৃত্যু! এটা তো একেবারে পরম সৌভাগ্যের বিষয়। আর যে ভাই ক্লাবে মারা গেলো তার সম্পর্কে বলতে লাগলো, জীবনের শেষ সময়টাও ঠিক করতে পারলো না... ক্লাবে গিয়ে মরলো! নানান সমালোচনা করলো।

যে ভাই মসজিদে ছিলো, সে গিয়েছিলো চুরি করতে। আর যে ভাই ক্লাবে গিয়েছিলো, সে গিয়েছিলো তার এক বন্ধুকে ভুল পথে যাওয়া থেকে বাঁধা দিতে।

কেউ জানলো না প্রকৃত সত্য কিন্তু আল্লাহ সবকিছু জানেন।

এজন্যই তিনি কুরআনে বলেছেন, তোমরা অধিক ধারণা করা থেকে বিরত থাক। নিশ্চয়ই কিছু কিছু ধারণা পাপ।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)

29/06/2025

✅ হঠাৎ গভীর রাতে বাবাকে হাত মুখ ধুয়ে পোশাক বদলাতে দেখে কৌতুহলী ছোট্ট মেয়ের প্রশ্ন..
"কই যাও বাবা....?

সুগন্ধি গায়ে মেখে বাবা হাসেন, "আর বলেন অনেক বড় জায়গায় মিটিং আছে রে মা !"
"এতো রাতে..?

"হুম, রাতে ওনাকে ফ্রি পাই। দিনে অনেক ঝামেলার জন্য শান্তিতে কথা বলতে পারিনা।"
"আমাকে নেবে..?"
"তুমি যেতে চাইলে নেবো। "

"সত্যি..?" মেয়ের আনন্দ উপচে পড়ে। ভাবেনি বাবা রাজী হয়ে যাবে। দ্রুত উঠে পড়ে বিছানা ছেড়ে। বাবার কথামতো আলমারী থেকে সবচেয়ে ভালো পোশাকটা বের করে পড়ে নেয়।

বাবা পরম যত্নে মহা আয়োজন করে দুটো জায়নামাজ বিছিয়ে নিলে মেয়ে বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বলে," তোমার মিটিং এখানে..?"

"হম, এখানে। চলো, তোমাকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। তাঁকে বলবো, আল্লাহ, দেখেন আজ আমার মেয়ে আমার সাথে আছে !"
"আমি তো আল্লাহকে দেখিনা বাবা!"

"একদিন দেখবে, যদি এখন থেকে যোগাযোগ রাখো তাহলে । নইলে কোনোদিনই দেখতে পারবেনা। উনি হলেন সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে মহান । এই যে আমাদের যা কিছু দেখছো সবই তিনি দিয়েছেন। আমাকে তোমার মতো একটা মিষ্টি মেয়ে দিয়েছেন!"

"আর আমাকে তোমার মতো বাবা..!" খুশিতে কচি কণ্ঠে হেসে ওঠে মেয়েটা...
বাবার পাশে মেয়েটা গভীর মনোযোগী হয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। বাবার দেখাদেখি জমিনে মাথা ঠেকিয়ে বিড়বিড় করে বলে,"হে মেহেরবান আল্লাহ.. আমি আপনাকে দেখতে চাই !"

আল্লাহ পাক মেহেরবানী করে আমাদের এই চর্মচক্ষুকে একদিন তাঁকে দেখার মতো নেয়ামত দান করুন...
আমিন।🖤🖤🖤

জীবন এই দুটো কথা কঠোরভাবে শিখিয়ে দিয়েছে! এক হচ্ছে নিজের অবস্থান নিয়ে খুশি থাকা! আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে কারো প্রতি কোনো ধরনের...
27/06/2025

জীবন এই দুটো কথা কঠোরভাবে শিখিয়ে দিয়েছে!

এক হচ্ছে নিজের অবস্থান নিয়ে খুশি থাকা! আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে কারো প্রতি কোনো ধরনের প্রত্যাশা না রাখা! ।। Allah যেভাবেই রেখেছেন, আমি সে ভাবেই সন্তুষ্ট!🦋🤍

21/06/2025

হাসবেন্ড বাবার বাড়ি রেখে গেছে,,এক সপ্তাহের জন্য এখন আমি সিঙ্গেল!.. 🤗😚😅😅😅

ঘটকালি সাবধানে!!!😅😅😅
19/06/2025

ঘটকালি সাবধানে!!!😅😅😅

এক নারী, বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, হঠাৎ করে জানিয়ে দিলেন—তিনি আর সংসার করতে চান না। তিনি চুপচাপ নিজের মত বাঁচতে চান। সব সম্প...
19/06/2025

এক নারী, বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, হঠাৎ করে জানিয়ে দিলেন—তিনি আর সংসার করতে চান না। তিনি চুপচাপ নিজের মত বাঁচতে চান। সব সম্পর্ক থেকে নিঃশর্ত মুক্তি চান। কিন্তু বিপরীতে, তার স্বামী এই বিচ্ছেদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তার যুক্তি—মেয়ে বড় হয়েছে, সংসার অনেকটাই গুছেছে, এখন সময় শুধু দু’জন মিলে একসাথে কাটানোর। তবু অনুপমা, সেই নারীর নাম, তাঁর নিজের মত করে বাঁচতে চাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।

শঙ্খনীল আর অনুপমা—এই দম্পতির গল্প অনেকেই জানে। সমাজে তারা ‘সুখী দম্পতি’র উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। পঁচিশ বছরের সংসার, একটি মেয়ে—সব মিলিয়ে বাইরের চোখে নিখুঁত পরিবার। অথচ, আজ অনুপমা দাঁড়িয়েছেন বিচ্ছেদের জন্য, কোর্টের রায় চেয়ে।

বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনার স্বামী কি অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িত?”

অনুপমার হাসি মিশ্রিত উত্তর, “আজও ওর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই ওর সবচেয়ে প্রিয়।”

“তাহলে কি কোনো নির্যাতন? গায়ে হাত তোলেন?”

“না। ওরকম কিছু না। আমি নিজেও আয় করি, একজন কর্মজীবী নারী—আমার ওপরে অত্যাচার করার সাহস হয়তো ওর হতো না,” বললেন অনুপমা।

“তাহলে কেন?” — বিচারকের এই প্রশ্নে যেন জমে থাকা এক নদীর জল একসাথে বয়ে গেল।

“আজকের ভালোটা দেখেই আপনি বিচার করতে চাইছেন, বিচারক মহাশয়। কিন্তু কেউ দেখেছে আমার গত পঁচিশ বছরের ক্লান্তি, প্রতিটি দিনের অভিমান, প্রতিটি রাতে চুপচাপ কাঁদা? আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ, ভালো বাবা, ভালো অফিসার। কিন্তু ভালো প্রেমিক? না, সে কোনোদিন হতে পারেনি।

আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। বিশ্বাস ছিল, এই সম্পর্কটা হবে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, যত্নে মোড়া। কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রেমিক হারিয়ে গেল। বউ হওয়া মানে রান্না শেখা, কাজের ভার নেওয়া, শাশুড়ির অপমান সহ্য করা—এসবই যেন ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেল। আমি তখনও আয় করতাম, তবু সংসারের প্রতিটি দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলাম এই আশায়—প্রেম ফিরে পাবো। কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। শাশুড়ির গঞ্জনা, শারীরিক কষ্ট, অফিস আর ঘরের চাপ—সবকিছুর মাঝেও আমি চাইতাম, আমার স্বামী একটিবার পাশে এসে বলুক, ‘চলো, আজ দুজন মিলে কাজ করি।’ কিন্তু সে চুপ থেকেছে।

সন্তান হওয়ার পর শরীরে কিছু বদল এল, চোখে ঘুমের অভাবে কালি, গায়ে ক্লান্তি—তখন আমি বুঝলাম, তার দৃষ্টিতে আমি কেমন যেন অচেনা। অফিসের চটকদার সহকর্মী তার কাছে হয়ে উঠলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু এক সংসার সামলানো মানুষ, প্রেমিকা নই।

একবার নয়, বহুবার বলেছি, আমি আবার প্রেম পেতে চাই, তোমার প্রেমিকা হয়ে থাকতে চাই। সে শোনেনি। আমি তবুও থেকেছি। কারণ, মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে। বাবার স্নেহ থেকে তাকে বঞ্চিত করতে চাইনি। কিন্তু আমার স্বামী? সে কি একবারও আমার অভিমান বুঝতে চেয়েছে?

সে আমাকে দিয়েছে “সবচেয়ে ভালো বউ”র খেতাব, বন্ধুদের সামনে আমার ‘সহ্যশক্তি’র প্রশংসা করেছে। কিন্তু নিজের ভালোবাসাটা কোনোদিন তুলে দেয়নি।

আমি তার একটিবার পাশে থাকাও পাইনি, একটিবার জিজ্ঞেস করাও পাইনি—‘তুমি কেমন আছো?’

সে নিজের মতো জীবনের স্বাদ নিয়েছে—বন্ধুদের সাথে ঘোরা, রাত জেগে আড্ডা, নিজের সময়কে নিজের মতো করে কাটানো। কিন্তু আমার সময়?

আমি পঁচিশ বছর সংসার করেছি, তেইশ বছর মায়ের দায়িত্ব পালন করেছি, নিজের জীবনকে ফুরিয়ে দিয়েছি যেন। বিনিময়ে আমি পেয়েছি—শূন্যতা।

তবে আজ আর না। আজ আমি শুধু একজন ‘বউ’ হয়ে বাঁচতে চাই না। আমি স্বাধীন মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই। আমি সকালে সূর্য দেখার সময় চাই, রাতে ডায়েরির পাতায় নিজের অনুভব লেখার সময় চাই। আমি চাই না, ভোরে উঠে কারো জন্য চা বানাতে গিয়ে আমার ঘুম কেটে যাক।

আমি একটু সুখ চাই, নিজের মতো করে। একটু শান্তি চাই, যেটা কাউকে বোঝাতে হয় না। একটু ভালোবাসা চাই—নিজের জন্য।

বেশি কিছু চেয়েছি কি আমি?

নারী হয়ে জন্মেছি বলে সারাজীবন দিয়ে যাব, আর কিছুই ফিরবে না? মনুষ্যজন্ম পেয়েছি বলেই না এই পৃথিবীর স্বাদ নিতে চাই।

তাই, আমি নিজেকে মুক্ত করতে চাই। সম্পর্কের মেকি দায় থেকে নয়, জীবনের প্রতি নতুন ভালোবাসার খোঁজে।”

অনুপমার কথা শুনে পুরো আদালত স্তব্ধ। এমন সৎ, এমন গভীর হৃদয়ের কথা শুনে কিছু বলার থাকে না কারোরই। বিচারকের চোখেও যেন জল।

এই দাবি কি অনুপমার একার? না কি, এই গল্পটা পৃথিবীর অনেক অনুপমার?

কারও জানা নেই।

তবে এটুকু বোঝা যায়—জীবনের প্রতিটি সম্পর্কেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ভালোবাসা না থাকলে, তা শুধু দায়িত্ব হয়ে পড়ে। আর দায়িত্বে মন তুষ্ট হলেও, আত্মা হয়তো চুপিচুপি কাঁদে...

18/06/2025

...
দুঃখ বলার জায়গাটা কমফোর্টজোন হতে হয়,

শোনার আকুতি থাকতে হয়,
হাতে সময় থাকতে হয়,
ধৈর্য থাকতে হয়,
চোখের শীতলতা থাকতে হয়।

যার এই কমফোর্ট জোন আছে, সে ব্লেসিং।

আর যার নেই সে মূলত একা, ভীষণ একা।

Address

Dhaka
1344

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sitara Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share