Viral Setu

Viral Setu I am photo and video creator

ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি মাহমুদ দারবিশ, প্রেমে পড়েন ইজরায়েলের এক ইহুদি রমণীর।  নিজ প্রেমিকার রূপক নাম দিয়েছিলেন রিটা। দারবি...
20/10/2023

ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি মাহমুদ দারবিশ, প্রেমে পড়েন ইজরায়েলের এক ইহুদি রমণীর। নিজ প্রেমিকার রূপক নাম দিয়েছিলেন রিটা। দারবিশ তার লেখা তিনটি কবিতায় চিত্রিত করেছেন প্রেমিকা রিটাকে।

তিনি লিখেছিলেন —
'আমি আমার জাতির সাথে বেইমানি করে, আমার শহর এবং তার পরাধীনতার শিকলগুলির বেদনা ভুলে গিয়ে হলেও তোমারে ভালোবাসি।

এরপর যখন কবি আবিষ্কার করলেন, তার প্রিয়তমা প্রেমিকা ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করেন, তিনি লিখলেন "Between Rita and my eyes,There is a rifle"

তখন গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয় তার লেখা ‘রিটা অ্যান্ড দ্য রাইফেল’ কবিতাটি।

দারবিশ আবার লিখেন
'তোমার কাছে কিছুই ছিলো না যেই প্রেমটা, আমার কাছে সেইটা আমার অস্তিত্ব ছিলো

বিয়ের ১০ বছর পর আমার স্বামীর মনে হল তার ২য় বিয়ে করা উচিত।ভিষন অবাক হলাম তখন যখন দেখলাম আমার শ্বাশুড়ির পূর্ন সমর্থন আছে।...
12/10/2023

বিয়ের ১০ বছর পর আমার স্বামীর মনে হল তার ২য় বিয়ে করা উচিত।ভিষন অবাক হলাম তখন যখন দেখলাম আমার শ্বাশুড়ির পূর্ন সমর্থন আছে। ভাবছেন আমাদের সন্তান নেই তাই স্বামী বিয়ে করতে চাইছে?? উহু তেমন কিছুনা আমাদের মাশাল্লাহ ২ টা ছেলে (৭) আর মেয়ে (৫) আছে। তাকে আমি বিয়ের কারন জিজ্ঞেস করলাম তখন সে উত্তর দিল আমি বেশি টাকা কামাই করি আমার বউ পালার মুরোদ আছে আমি আরেকটা করলে সমস্যা কি!!!! আর ইসলামে নিয়ম আছে।

আমি বললাম বাহ ভালোই ইসলাম মান তাহলে তো ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড় তো??তখন আমার স্বামী রাগ দেখিয়ে বলল বেশি কথা বল তুমি। আমার ইচ্ছা আমার এক মেয়েকে খুব মনে ধরেছে আমার অফিসের আর আমি তাকেই বিয়ে করছি। এই বলে সে ঘর থেকে চলে গেল।আমি অনুভুতিহীন এর মত তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম আমি আসলে কি করব বুঝতে পারছিনা। আসলে খুব টাকা হয়েছে তার আমার বিয়ের সময় তার বেতন ছিল ২৩ হাজার। আর এখন পদন্নতি হতে হতে ২ লাখ ছাড়িয়েছে। এখনও মনে পড়ে সেই দিনগুলো যখন তার উন্নতির জন্য নামাজ পড়ে কান্না করতাম।যেই সংসার এর জন্য দুধে আলতা রং তামাটে করলাম!!! যেই অসুস্থ শ্বাশুড়ির সেবা করলাম এতদিন!! আজকে সেই আমাকে উত্তর দিল আমার ছেলে যদি পালতে পারে তাহলে তুমি এত কথা বল কেন???

তখন আমি আমার শ্বাশুড়িকে বললাম মেনে নেওয়া কি এতই সহজ মা?? আমার শ্বশুর এমন চাইলে আপনিও কি মেনে নিতেন??? তখন আমার শ্বাশুড়ি আমাকে বেয়াদব বললেন। হাহা উচিত কতা কেউরই ভালো লাগেনা।যাইহোক ১০ বছর সংসার করা স্বামীই আমার মুল্য দেয়নি আর সেত পরের মা। যাকে আমি আপন ভেবে ভুল করেছিলাম। কেমন যানি কান্না আসছেনা। নিজের ভাগ্যের উপর হাসি পাচ্ছে। বেইমান গুলোর জন্য এতদিন করেছি ভেবেই হাসি পাচ্ছে। আমি আসিফ ঘরে আসার অপেক্ষা করতে লাগলাম। আজকে বোঝাপরা করে সব হিসেব চুকিয়ে নিতে হবে। অন্য মেয়েদের মত কেদেকেটে বালিশ ভিজানো চলবেনা। যেই মানুষ এতদিন সংসার করার পর অন্যজনকে আপন করার কথা ভাবতে পারে তার জন্য কেন কান্না করব। নিজের মনকে অনেক বুঝিয়ে শক্ত করলাম।

রাত প্রায় ১১ টায় আসিফ বাসায় আসল। অন্যদিন খাবার নিয়ে অপেক্ষা করতাম তবে আজকে তা আর করলাম না। ছেলে মেয়েদের খাইয়ে ঘুম পারিয়ে আমি নামাজের পাটিতে নফল ইবাদতে বসে আছি। আল্লাহ ছাড়া এই মুহুর্তে কেউ আমার আপন নয়। তাই তাকেই মনের সব কথা বললাম অনেক্ষন। কেমন যেন খুব হালকা লাগছে। আসিফ আসার সময় মোবাইলে কথা বলছে শুনলাম এসেই অফিসের ব্যাগ ছোফায় রেখে ওইখানেই বসে হেসে হেসে কার সাথে যেন কথা বলছে। মাঝে মাঝে গান গাচ্ছে আবার হাসছে। বুঝলাম যাকে পছন্দ করত সেই মেয়ের সাথে কথা বলছে। এর মাঝে আমার শ্বাশুড়ি ডাইনিং এ আসিফ কে বলছে কিরে বাবা অফিসের জামা না ছেড়েই কার সাথে কথা বলছিস?? আসিফ উত্তর দিল তোমার নতুন বউ এইটা শুনে আমার কলিজাটা কেমন মোচড় দিল। ততক্ষনে আমি নামাজ শেষ করে ডাইনিং এ চলে আসছিলাম। আমার শ্বাশুড়ি বলে দে দেআমকে দে একটু কথা বলি।আসিফ মাকে দিল আর মা কথা বলতে শুরু করে। কিযে আদুরে ডাক নতুন হবু বউকে আমিত খুব অবাক এই কয় বছরে আমাকে ত এইভবে কখন ও ডাকেনি।

তখনই আসিফ আমাকে দেখে বলে অনু ভাত দেও। আমি মনে মনে বললাম বাহ পুরুষ এখন দুই টাকা বেশি কামাই করছে বলে স্ত্রী কে আর মানুষ মনে হয় না। এমন এক ভাব করছে ২য় বিয়ে করা কোন ব্যাপারই না। হায়রে বেইমান, বলেনা কম পানির মাছ বেশি পানিতে পড়লে যা হয় আরকি। তবে মুখে কিছুই বললাম না। আসিফকে বললাম তোমার চাকর না আমি খাইতে মন চাইলে তোমার মাকে বল ভাত দিবে। আর খাওয়া শেষ হলে রুমে এস কথা আছে। এই বলে চলে আসি।ওইদিকে ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কি বললাম কারন ১০ বছরে এই প্রথম এইভাবে কথা বললাম। এতদিন নরম হয়েছিলাম এখন একটু গরম হয়ে দেখি।

খাওয়া শেষ করে আসিফ রুমে আসে আমি বলি শুন বেশি কথা বলতে পারব না।ছেলে মেয়ের দিকে তাকিয়ে তোমাকে তালাক দিতে পারছিনা। তবে তোমার সাথে থাকার ইচ্ছাও মরে গেছে।তুমি আরেকটা বিয়ে কর কিংবা ১০ টা কর তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসেনা। মাস শেষে ৫০ হাজার টাকা আমাকে দিবে সন্তানদের পড়ালেখা খরচ বাবদ আর এই বাড়ি ছেড়ে তুমি তুমার মা কালকে যাবে এইখানে শুধু আমি আর আমার সন্তান রা থাকব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে পুলিশের কেস খাবে। আমি মামলা করতে পিছপা হবনা। আর তুমার এখানে আসার দরকার নাই নিয়মিত। ছেলে মেয়েদের দেখতে মন চাইলে মাঝে মাঝে এসো। এখন যাও অন্য রুমে শোও গিয়ে।আসিফের মুখে কথা ছিলনা হয়ত কথা খুহে পাচ্ছেনা কি বলবে?? সহজ সরল সংসারি মেয়েটা কখন যে এমন চালাক আর কঠোর হল তাই হয়ত ভাবছে।আমাকে আসিফ বলল মানুষের স্বামীরা অন্য মেয়ের দিকে তাকালে স্ত্রী রা কান্না করে সমুদ্র বানায় আর তুমার বর বিয়ে করছে জেনেও চোখ এ এক ফোটা পানি দেখলাম না। আমি তখন হাসতে হাসতে উত্তর দিলাম পাগল নাকি আমি বেইমানের জন্য কান্না করব নাকি!!! তুমি যদি এত বছর সংসার করে খুশিতে খুশিতে বিয়ে করতে পার তাহলে আমি কেন কান্না করব??? এইসব মানুষের জন্য আমার কান্না আসেনা দয়া আসে। তখন আমার স্বামী কিছু না বলে চলে গেল

" মাঝরাতে মিষ্টি আপুর সাথে ভয়*ঙ্ক*র অন্যয় করার সিদ্ধান্ত নিলাম।চু'মু খাওয়ার থেকেও ভ*য়*ঙ্ক*র কাজটা আজ রাতেই করবো "চিন্তাভ...
11/10/2023

" মাঝরাতে মিষ্টি আপুর সাথে ভয়*ঙ্ক*র অন্যয় করার সিদ্ধান্ত নিলাম।চু'মু খাওয়ার থেকেও ভ*য়*ঙ্ক*র কাজটা আজ রাতেই করবো "

চিন্তাভাবনার এই পর্যায়ে ফোনটা বেজে উঠলো।স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলাম মিষ্টি আপু কল করেছে।মিষ্টিকে আপু বলছি কারণ মিষ্টি আমার এক ব্যচ সিনিয়র।রিসিভ করতেই ফোনের ওপাশ থেকে রাগী হুং/কার ভেসে এলো

" এ পিচ্চির বাচ্চা!কই তুই? "

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দরী একটা মেয়ের মুখে এরুপ কথা শুনে আমার কি/ঞ্চি/ৎ মন খারাপ হলো।মৃদু স্বরে বললাম

" আমি পিচ্চি না। কলেজে পড়ি "

আরো কঠিন স্বরে জবাব এলো " সারাদিন ধরে ফোন করছি, ফোন বন্ধ কেন? সমস্যা কি তোর? "

আমার মনে মনে ভিষণ রাগ হতে লাগলো।এই মেয়েটা কি সত্যিই বুঝেনা আমার সমস্যা কি?সব কথা কি বলে বুঝাতে হবে?।
রাগ সামলে বললাম " চার্জ ছিলো না "

" আজ আমায় দেখতে আসবে এটা তুই জানতিস না?তোকে কাল কতবার করে বললাম আসার জন্য! আসলি তো না'ই,তার উপর ফোনটাও সারাদিন বন্ধ করে রেখেছিস।তোর হাতে আর ১৫ মিনিট সময় আছে।এরমধ্যে তোকে আমার সামনে দেখতে চাই "

এতটুকু বলেই মিষ্টি আপু ফোন কে'টে দিলো।আমি মাঝরাস্তায় মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলাম।সৃষ্টিকর্তা এই মেয়েটাকে রুপ আর রাগ দুটোই একসাথে উপুড় করে ঢেলে দিয়েছেন।

১৫ মিনিটের মধ্যে ওর সামনে না গেলে আমার কপালে যে ভয়*ঙ্ক*র কিছু অপেক্ষা করছে সেটা বেশ বুঝতে পারছি।পরিস্থিতি আগের মতো হলে এতোক্ষণে আমি দৌড় লাগাতাম।কিন্তু আজ তেমনটা করলাম না।

পরিস্থিতি আগের মতো নেই কারণ মিষ্টি আপুকে আজ ছেলেপক্ষ দেখতে এসছে।ছেলেটা মিষ্টি আপুর কলেজের লেকচারার।যত সম্ভব বিয়ে এতোক্ষণে ঠিক হয়ে গেছে।কারণ মিষ্টি আপুর সাথে ওই লেকচারারের আগে থেকেই পরিচয় আছে।প্রেমের পরিচয় বলা যায়।অথচ তার পিছে ঘুরঘুর করে ঘুরতে থাকা আমি যে তাকে মন দিয়ে বসে আছি সে বিষয়ে তার বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই!

আর ঠিক এই কারণেই ঠিক করেছি মিষ্টি আপুর সাথে আজ রাতে ভয়*ঙ্ক*র একটা অন্যায় করবো।যেটা গালে চু'মু খাওয়ার থেকেও ভয়ঙ্কর।যেটা করলে মিষ্টি আপু একান্তই আমার হয়ে থাকবে।যদিও পরিবারের সবাই জানতে পারলে কেলেঙ্কারি ব্যাপার হয়ে যাবে,তবে এতে ক্ষতি নেই।ভালোবাসায় কেলেঙ্কারি থাকাটা দোষের কিছু না।

রাত বাজে ১১টা।মিষ্টি আপুর পরিবারের সবাই এতোক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে নিশ্চয়ই।আমি দাঁড়িয়ে আছি তাদের বিশাল বড় গেইটের সামনে।দারোয়ান হাই তুলতে তুলতে বললো

" আপনের জইন্য ঘুমাইতে পারতাছি না "

বি/ষ্মিত হয়ে বললাম " আমি কি করলাম? "

দারোয়ান বিরক্তি নিয়ে বললো " ম্যাডাম বইলা দিছে আপনে আইবেন।হের জন্যই তো জাই/গ্গা আছি "

আর কিছু না বলে বাড়ির ভেতরে ঢুকলাম।মিষ্টি আপু যথেষ্ট রেগে আছে বুঝতে পারলাম।দরজার সামনে এসে কলিংবেল চাপলাম।ভাবতে লাগলাম ভয়*ঙ্ক*র কাজটা কোথা থেকে শুরু করবো।মনের মধ্যে একটা শিহরণ কাজ করতে লাগলো।গা ছমছমে একটা ব্যাপার।

দরজা খুললো মিষ্টির মা।আমাকে দেখে তিনি অসহায় ভ/ঙ্গি/তে বললেন " তোমার কপালে আজ খুব দুঃখ আছে "

আন্টির কথায় আমার তেমন ভাবা/ন্ত/র হলো না।কারন আজ আমি যা করবো তাতে দুঃখটা আমার না,মিষ্টির কপালে নাচছে।আন্টিকে বললাম

" খুব রাগ করে আছে নাকি? "

উনি গম্ভীর স্বরে বললেন " যা কিছু হয়ে গেলো! রেগে তো থাকবেই "

আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না " যা কিছু " টা আসলে কি।জানার চেষ্টাও করলাম না।আন্টিকে বললাম " আন্টি যাই, মিষ্টি আপুর সাথে দেখা করে আসি "

একথা বলে সিড়ি বেয়ে মিষ্টির ঘরের দিকে গেলাম।দরজার কাছে দাড়িয়ে বড়বড় নিঃশ্বাস ছেড়ে নিজেকে হালকা করে নিলাম।তারপর দরজায় টোকা দিলাম।

খানিক্ষন বাদেই দরজা খুললো।দরজার ওপাশে ঘুমঘুম চোখে দাঁড়িয়ে আছে মিষ্টি।কি আশ্চর্য্য! ঘুমন্ত অবস্থায় মিষ্টিকে একদম রাজকুমারীর মতো লাগছে।অমিল শুধু একটাই।রাজকুমারীদের চোখের কাজল লেপ্টে যায় না,আর মিষ্টির কাজল লেপ্টে আছে।ঘুমের কারণেই বোধহয় লেপ্টে গেছে।তাছাড়া শাড়িটাও এলোমেলো।পাড়ের কাপড়টা আর একটু উপরে উঠলেই হাঁটু দেখা যাবে এমন অবস্থা।পে'টের বেশিরভাগ অংশ দৃশ্যমান হয়ে আছে।মিষ্টির ল/ম্বা/টে গর্তের না"ভিটার থেকে চোখ সরাতে আমার বেশ কষ্ট হলো।

মিষ্টি আপু ঘুম জরিত স্বরে বললো " ঘুম পাচ্ছে।এখন যা "

একথা বলে দরজা বন্ধ করবে তার আগেই আমি দরজা ঠেলে মিষ্টির শ'রীর ঘেঁষে ভেতরে ঢুকলাম।মিষ্টি আপু অনেকটা হকচকিয়ে গেলো।এতো শ'রীর ঘেঁষে রুমে ঢোকায় মিষ্টির চোখের ঘুম যেন উধাও হয়ে গেলো।

মিষ্টি আপু চোখ সরু করে বললো " তোকে রুমে ঢুকতে বলছি? এভাবে হুটহাট রুমে ঢুকে পড়িস কেন? "

আমি মুচকি হেসে বললাম " তোমার রুমে ঢুকতে আবার পারমিশন লাগে নাকি? "

মিষ্টি কিছু বললো না। রাগান্বিত চোখে শুধু বারবার দেখতে লাগলো।

রাত এখন ১২টার কাছাকাছি।এরমধ্যেই মিষ্টির রাগ গলে জল হয়ে গেছে।এই মেয়েটা যত দ্রুত রাগে তার থেকেই দ্রুত সময়ে সেই রাগ চলে যায়।কত অদ্ভুত সব বিষয় এই মেয়েটার মধ্যে আছে!

এই মুহুর্তে মিষ্টি আমার সামনের সোফায় দুই পা তুলে খিলখিল করে হাসছে।আমি ওকে নাটকের রাজকুমারের অভিনয় করে দেখাচ্ছি।রাজকুমারের এই চরিত্রটা তেমন হাসির না,তবুও মিষ্টি খুব হাসে।ওর হাসি দেখে আমারও হাসতে ইচ্ছে করলো।

ঠিক করলাম ভয়/ঙ্ক/র অন্যায় কাজটা এখনই করবো।একপা একপা করে মিষ্টির কাছে এসে দাঁড়ালাম। মিষ্টি হাসি থামিয়ে বললো

" কি হলো থামলি কেন? "

" আপু আমি তোমার সাথে একটা অন্যায় কাজ করবো।ভ/য়/ঙ্ক/র অন্যায় "

মিষ্টি আপুর ঠোঁ"টে এখনো হাসি লেগে আছে।সে এখনো বুঝতে পারছে না আমি কোন অন্যায়ের কথা বলছি। বললো

" কি অন্যায়? "

আমি মিষ্টি আপুর আরো কাছাকাছি এসে দাঁড়ালাম।ওর ডান হাতে আমার হাত রাখলাম।বললাম

" অনেক অপেক্ষা করেছি আর সম্ভব না।তোমায় নিজের করে নিতে এই অন্যায়টা আমার করতেই হবে "

একথা বলে মিষ্টি আপুর কো"মরে হাত রাখলাম।মুহুর্তেই আমার সারা শ"রীর শিউরে উঠলো।আকষ্মিক যে ব্যাপারটা ঘটলো সেটায় আমি প্রচন্ড ধাক্কার মতো খেলাম।আমার মাথা শূন্য হয়ে গেলো,দেখলাম মিষ্টি......

চলবে

রাত ১২ টার পর কে জানি। আমার হি*সু করার জায়গায় ব‍্যাথা দিয়ে থাকে। কিন্তু  কিছু বুজতে পারি না। কারন আমার  রাত  12 টার পর  ...
06/10/2023

রাত ১২ টার পর কে জানি। আমার হি*সু করার জায়গায় ব‍্যাথা দিয়ে থাকে।

কিন্তু কিছু বুজতে পারি না। কারন আমার রাত 12 টার পর এতটাই ঘুম ধরে যে কখন কি হয় জানি না।

সকাল বেলায় উঠতেই পারি না ব‍্যথার কারনে?

তবে হাসিব আমাদের বাসায় এসেছে থেকে এমন হচ্ছে।

তবে কি হাসিব আমার সাথে রাতে ওই সব কাজ করে?

এই ভাবতেছে রুমি। কিন্তু কাউকে কিছুই বলতেছে না।

আর হাসিব কেই বা কি বলবে। সে তো আমার মামাতো ভাই হয়।

আর 1 বছরের ছোট?
তাকে এই সব বলা কি ঠিক হবে।

এই ভবতে ভাবতে?

হাসিব : আপু কেমন আছো?

রুমি : হ‍্যা ভালো আছি তুই কেমন আছিস?

হাসিব : হ‍্যা আমি ও ভালো আছি। কিন্তু তোমার শরির খারাপ নাকি এখনো শুয়ে আছো।

রুমি : না এমনি শুয়ে আছি।

রুমি কথা গুল গোপন রাখতেছে। বলতেছেনা কিছুই হাসিবের সামনে।

( চলেন পরিচয় দেই একটু আমার নাম রুমি কলেজে পরি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে। যার কথা বললাম আমার মামাতো ভাই হাসিব। সে পরে ফাস্ট ইয়ারে। আমাদের বাসায় ঘুরতে এসেছে। )

হাসিব : আপু চলো ঘুরতে যাবো একটু।

রুমি : কোথাই যাবি ঘুরতে হ‍্যা। আমি যাইতে পারবোনা রে।

হাসিব : কেনো পারবা না শুনি কি হয়েছে তোমার ।

রুমি : এমনি আমি একটু অসুস্থ মনে হচ্ছে।

হাসিব : কি হয়েছে বলবে তো তুমি ।

রুমি : এই সব ছেলে দের বলা যায় না। আর তুই এখন যা তো পরে আসিস আমার রুমে।

হাসিব : ঠিক আছে আপু যাচ্ছি আমি ।

এই বলেই হাসিব যায়।

কিন্তু রুমির মনে এখনো ওই কথাই মনে হচ্ছে যে কেমন এমন করলো।

ভাবতেছে ভাবতেছে এমন সময় মনে পরলো।

হাসিব যে আমাকে প্রতিদিন আমার রুমে দুধ নিয়ে আসে আমাকে দেওয়ার জন‍্যে।

ওই কি কিছু মেশায় নাকি।

না আজ দেখবো কি হয় বলেই রুমি ফ্রেশ হয়েই সারা দিন শুয়ে থাকে রুমে।

রাত্রে খাওয়া দাওয়া শেষে আজো আবার হাসিব আসলো?

হাসিব : আপু আসবো রুমে।

রুমি : হুম আয়।

হাসিব : এই নাও দুধ টুকু খেয়ে নাও তোমার অনেক ভালো লাগবে।

রুমি : হুম রাখ পরে খাবো আমি

হাসিব : এখনি খেয়ে নাও না হলে ঠান্ডা হবে।

এইকথা বলে খুব জোর করে কিন্তু রুমি বলে পরে খাবে।

রুমি : এখানেই রেখে যা বলছি না আমি পরে খাবো?

হাসিব : ঠিক আছে খেয়ে নিও। বলেই চলে যায়।

যখনি হাসিব চলে যায়। এ ফাকেই আবার রুমি করে কি সব দুধ জানালা দিয়ে বাইরে ফেলাই দেয়।

আবার 20 মিনিট পর হাসিব আসে।

হাসিব : আপু খাইছো দুধ।

রুমি ; হ‍্যা রে খাইছি। ভিষন ঘুম পাচ্ছে। আমি এখন ঘুম যাবো তুই যা। শুয়ে পর।

একটু খুশি হয়েই বলতেছে

হাসিব : ঠিক আছে আপু। আমার ?

হাসিব চলে যাবার পর এখন সময় গনার পালা কারন হলো। আজ রুমি দেখবে রাত 12 টাই কে আসে।

অপেক্ষা করতে করতে যখনি 12 : 14 বাজে রুমির মনে হলো কেউ এসে রুমির উপর ঝা/পি?য়ে পরে।

কিন্তু কে এটা যখনি রুমের লাইট ওন করে দেখে যে

চলবে...

#পর্ব 1

মাঝ রাতে নেশায় চুর  হয়ে এক মাতাল বাড়ি ফিরছে,, রাস্তার পাশে এক হোটেলে গিয়ে বলে -- " আবে,, চিকেন তন্দুরি আছে ??" হোটেল বয় ...
30/09/2023

মাঝ রাতে নেশায় চুর হয়ে এক মাতাল বাড়ি ফিরছে,, রাস্তার পাশে এক হোটেলে গিয়ে বলে -- " আবে,, চিকেন তন্দুরি আছে ??"

হোটেল বয় বললো -- "নেই।।"

মাতাল -- "চিকেন কাবাব ??"

হোটেল বয় -- "সব ফুরিয়ে গেছে।। কেবলমাত্র কাঁচা চিকেন রয়েছে,, কালকে রান্না করার জন্য।।"

মাতাল -- "দে,, পঞ্চাশ টাকার কাঁচা মুরগি দে।। বউকে দিয়ে রান্না করিয়ে নেবো।।"

মাতাল কাঁচা চিকেন নিয়ে বাড়ির পথ ধরেছে।। গলির মুখে এক মোটাসোটা কু*কু*র ধেয়ে এলো।। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো,, কু*কু*র*টা নিশ্চুপ।। মোটেও ঘে'উ ঘে'উ করছে না।।"

মাতাল অত্যন্ত খুশি হয়ে কু*কু*রে*র গায়ে,মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো -- "তুই ভীষণ ভালো কু*কু*র,, ভাই।। অন্য কু*কু*র আমাকে ঘে'উ ঘে'উ করে তে'ড়ে আসে,, অথচ, তুই ভীষণ শান্তশিষ্ট।।"

মাতাল খুশী হয়ে কু*কু*রে*র সামনে চিকেনের প্যাকেট রেখে দিলো -- "নে ভাই,, খেয়ে নে,, আমার শান্তশিষ্ট ভদ্র কু*কু*র।।"

কু*কু*র আপন মনে চিকেন খেতে শুরু করে।। মাতাল কু*কু*রে*র পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করে বাড়ি ফেরার পথ ধরে।।

বাড়ি ফিরতেই মাতালের বউ ডিনার এগিয়ে দেয়‌‌।। মাতাল খাওয়া শুরু করে।।

মাতালের বউ বলে - "ভীষণ চিন্তায় ছিলাম।। যাক,, তুমি ফিরে এসেছো দেখে নিশ্চিত হলাম।।"

মাতাল -- "কেনো,, কি হয়েছে ?? আমি তো রোজ দেরি করে ফিরি।। চিন্তার কি আছে ??"

মাতালের বউ -- "আরে,, চিন্তা হবে না ?? সন্ধা থেকে রাস্তায় একটা চিতাবাঘ ঘুরছে।। আমাদের চিন্টু রজনীদের বাড়িতে গেছে,, CCTV তে চিতাবাঘ দেখতে।।"

তখনই মায়ের মোবাইলে চিন্টু একটা ভাইরাল ভিডিও পাঠিয়েছে,, সঙ্গে ক্যাপশন -- "আমাদের পাড়ার রিয়াল হিরো।।"

স্বামীকে চিতাবাঘের পিঠে হাত বুলিয়ে সাদরে মুরগির মাংস খাওয়াতে দেখে মাতালের বউ এর চক্ষু চড়কগাছ

বউকে নিয়ে আমার কিছু স্বপ্ন! 1. বউ হলে আমাকে ভিষণ ভালোবাসতে হবে।2. আমাকে প্রতিদিন খাইয়ে দিতে হবে।3. আচল দিয়ে আমার মুখের...
27/09/2023

বউকে নিয়ে আমার কিছু স্বপ্ন!

1. বউ হলে আমাকে ভিষণ ভালোবাসতে হবে।

2. আমাকে প্রতিদিন খাইয়ে দিতে হবে।

3. আচল দিয়ে আমার মুখের ঘাম মুছে দিতে হবে।

4. চুল গুলো খোলা রাখতে হবে। শুধু আমার সামনেই।

5. হাত ধরতে দিতে হবে।

6. আমি প্রচুর দুষ্টুমি করবো, আমার সাথে তোমাকেও দুষ্টুমি করতে হবে।

7. এক কাপ চা ভাগ করে খেতে হবে।

8. আমিও ভিষণ ভালোবাসবো।

9. আমিও খাইয়ে দিবো।

10. শাড়ী পড়িয়ে দেবো।

11. আমার ডান বাহুতে শুতে দিবো।

12. প্রতিদিন জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো।

13. একসাথে বৃষ্টিতে ভিজবো।

14.পায়ে ব্যথা হলে কোলে নিতে পারবো [AnyTime]

15. নাকে ধরে জোরে টান দিবো।

16. এক আইসক্রিম দুজনে খাবো।

17. অসুস্থ থাকলে রান্না করে খাইয়ে দিবো।

18. যথেষ্ট পরিমাণ লম্বা আছি। বুকের মধ্যে মাথা রাখা কোনো ব্যাপারই না।

19. বাচ্চাকাচ্চা হলে তাদেরকে চড় থাপ্পড় দেয়া যাবে না। আদর করতে হবে।
আর একটু একটু ঝগড়া করবো ! তবে বাপের বাড়ি যেতে পারবে না।

অভিমান আমিই ভাঙ্গাবো শেষমেষ

🕋একদম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকঠাক পড়তে হবে। কিন্তু সাথে আমাকেও পড়াতে হবে, কারণ এই ইহকালে নয় পরকালেও একসাথে থাকতে চাই! 🖤

তোর স্বামী আজ দুপুরে আমার বুকে হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে,আপু।বাড়িতে কেউ না থাকলে তোর স্বামী আমার সাথে অশালীন আচরণ করতে দ্বি...
25/09/2023

তোর স্বামী আজ দুপুরে আমার বুকে হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে,আপু।বাড়িতে কেউ না থাকলে তোর স্বামী আমার সাথে অশালীন আচরণ করতে দ্বিধা বোধ করে না।

কথাটি শেষ করা মাত্র সপাটে আমার গালে থাপ্পড় মেরে বসলো আমার বড়ো আপু।

আমার চোখ দিয়ে টপটপ পানি গড়িয়ে পড়ছে।আমি জানতাম আমার আপু আজও এরকম একটা ভুল করবে কারণ ও আমার থেকেও ওর স্বামীকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে।

-আমার স্বামী অনেক ভালো মানুষ তুই খারাপ। স্বামীকে তো কবে খেয়ে বসে আছিস এখন নিজের চাহিদা মিটানোর খায়েশ আমার স্বামীকে দিয়ে পূরণ করতে চাইছিস।নিজের দোষ ঢাকতে আমার স্বামীর উপর এরকম একটা অপবাদ চাপিয়ে দিতে তোর কন্ঠস্বর কাঁপলো না?

মাথা উঁচু করে আমার আপুর দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে বললাম,

-আমার চাহিদার কথা বললে না, সেই চাহিদা মিটাতে তোমার স্বামীর প্রয়োজন আমার নেই। বরং,তুমি হয়তো তোমার স্বামীর চাহিদা মেটাতে পারো না বলে তোমার বিধবা বোনের দিকে আজ তোমার স্বামী হাত বাড়িয়েছে। আজ হয়তো আমার দিকে হাত বাড়িয়েছে অন্যদিন দেখবে অন্য মেয়ে তোমার সামনে ফূর্তি করবে। তুমি চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না।

-কি ভাবছিস,তুলি?

কারো ডাকে আমার পুরোনো স্মৃতিচারণে ব্যাঘাত ঘটলো। পিছনে ঘুরে দেখি আমার ঘরে মা এসেছে।মা এগিয়ে এসে আমার সামনে দাঁড়ালেন। আমার মুখের দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে বললেন,

-আজও কাঁদছিস!

মাকে দেখে যেন আমার মন মূহুর্তে কিশোরীসুলভ হয়ে গেলো। মা'কে জড়িয়ে ধরে কান্নারত অবস্থায় বলি,

-মা, আমার কি অপরাধ আছে বলতে পারবে?কোন অপরাধে আজ আমি এই সমাজে বিধবার ট্যাগ পেলাম? বড়ো বোনের কাছে হয়ে গেলাম ওর স্বামীর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়া চরিত্রহীনা। একটিবারের জন্য আপু জানার চেষ্টা অব্দি করেনি আমি কি বলতে চাইছি?

মেয়ের কথার বিপরীতে কি বলবেন সেই ভাষা নেই নাজমা বেগমের। মেয়ের পিঠে হাত বুলিয়ে মৃদু আওয়াজে বলেন,

-হায়াত-মউতের ব্যাপারে আমাদের কারোর হাত নেই। ইসফাক আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, এটা আমাদের যেন যতই কষ্টদায়ক হোক না কেন এরচেয়ে কঠিন সত্য ছাড়া আর কিছুই নয়। এই সমাজের মানুষ, তোর বোন তোকে কি বলছে এইসব ব্যাপারে কান দেবার দরকার নেই। আমি তোর মা এখনো জীবিত আছি, আমি তোর পাশে সবসময় আছি।

তুলি ওর মায়ের বুকে চুপটি করে আছে,থেকে থেকে হিচকি তুলে কাঁদছে। নাজমা বেগমের যেন মেয়ের কান্না দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কারণ, আজ চারটি বছর ধরে উনার এই হাসিখুশি থাকা মেয়েটি পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী মেয়ে।

-একটুপর আমরা তোর ফুপির বাসায় যাব। নাতাশাকে আজ দেখতে আসবে আর তোর ফুপি বলেছে তুই নাতাশাকে আজ সাজিয়ে দিবি।

মায়ের বুক থেকে মাথা উঁচিয়ে তুলি বললো,

-কিন্তু, মা আমি যে অপয়া। নাতাশার জীবনের এমন খুশির একটা দিনে ওর কোনো জিনিসে হাত দেয়া মানে কুনজর দেয়া হবে,মা?

-তুই এসবে বিশ্বাস করিস! আই কান্ট বিলিভ দিস! আমার কথা বাদ দিলাম তোর ফুপি যদি শুনে তুই এই কথা বলেছিস তবে তোকে উল্টা লটকিয়ে তোর পিঠের ছাল তুলে নিবে।এখন কথা না বাড়িয়ে বোরকা পরে তৈরি হয়ে নে আমি তৈরি হয়ে নেই।

নাজমা বেগম মেয়েকে রেখে ঘর ছেড়ে বের হয়ে যাবেন এমন সময় তুলির কথা শুনে উনি থমকে দাঁড়িয়ে পড়লেন।

-শিমুল ভাইয়া আছে ওই বাড়িতে?

-আমি জানি না শিমুল বাড়িতে আছে কি নেই। অতীত ভুলে যা তুলি। এতে তোর যেমন ভালো হবে এতে তোর আশপাশের মানুষেরও ভালো হবে। কথা না বাড়িয়ে তৈরি হ।

নাজমা বেগম চলে গেলেন, তুলি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে খাট থেকে নেমে আলমারি খুলে বোরকা বের করে তৈরি হয়ে গেলো।
হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে ওর মায়ের ঘরের দরজা সামনে যেতেই দেখলো ওর মা বের হয়ে আসছে।

এরপর, একসাথে বের হয়ে রিকশায় চড়ে রওনা হলো ওর ফুপির বাড়ির উদ্দেশ্য।

দুবোন মিলে পরিবারের সকল সদস্যের ছবি দেখছিলাম। হুট করে আমার চোখে পড়লো,একটা ছেলে বাবুর ছবি। ন্যাপি পড়া মুখে আঙুল দিয়ে রেখেছে।
চেহারার গঠন বলে দিচ্ছে এই ছবির বাবুটা আমাদের শিমুল ভাইয়া। আমি নাতাশাকে দেখাতেই নাতাশ হু হা করে আমার সাথে তাল মিলিয়ে হাসতে লাগলো।

এমন সময় কারো পায়ের শব্দ পেলাম আমি আর নাতাশা। আমি আর নাতাশা মাথা উঁচু করে দেখি শিমুল ভাইয়া আমাদের দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে।

-আমার ঘরে কি করছিস তোরা? কি হলো জবাব দিচ্ছিস না কেন?

জোরে ধমক দিতেই নাতাশ আর আমি কেঁপে উঠলাম।

-বাড়ির সবার ছবি দেখছিলাম আর এই এ্যালবামটা তোমার ঘরে ছিল। তাই এখানে বসে আমরা দেখছিলাম।

তুলি মাথা নিচু রেখে উত্তর দেয় শিমুলকে।কথার ফাঁকে নাতাশ এক দৌঁড়ে ঘর ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছে।তুলি একা একা শিমুলের সামনে দাঁড়িয়ে ভয় পাচ্ছিল।

-এই তুই আমার দিকে তাকা মাথা নিচু করে রেখেছিস কেন?তাকা আমার দিকে।

শিমুলের ফের ধমকে তুলি এবার কেঁদে ফেললো।
শিমুল তুলিকে কাঁদতে দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো। তুলিকে আদর মাখা সুরে বললো,

-কি হয়েছে পাখিটা, কাঁদিস কেন?আমি তোকে বলেছি আমার দিকে তাকাতে। এতে কান্না করার কি আছে?

-তুমি জানো আমি জোর গলায় কথা বললে ভয় পাই। আর সেখানে তুমি বারবার আমার সামনে চিৎকার করে কথা বলছো?

-যাহ্,সরি বললাম তোকে। আর কখনো তোর সামনে জোর গলায় কথা বলব না।

শিমুলকে কান ধরতে দেখো কিশোরী তুলি সেদিন চোখে পানি খিলখিলিয়ে হাসছিল।

মায়ের ডাকে স্মৃতির জগত থেকে বের হয়ে রিকশা থেকে নেমে পড়লাম। মা রিকশা ভাড়া মিটিয়ে আমার পিছনে পিছনে আসছে।

এই বাড়ির প্রতিটা কোণা আমার খুব পরিচিত। কারণ, এই বাড়িতে থেকে শৈশব থেকে কৈশোর পা রেখেছিলাম আমি। অথচ, আজ কয়েকবছর ধরে এই বাড়িতে ঠিক আগের মতো আসা হয় না।

কলিং বেল বেজে উঠতেই হাসিমুখে দরজা খুলে বের হয়ে এলো তুলির ফুপি। এতদিন পর ভাইঝিকে দেখে আনন্দে বুকে টেনে নিলেন। তুলি মুখে হালকা হাসির রেখা টেনে বললো,

-কেমন আছো, ফুপি?

-ভালো আছি, তুই এত শুকিয়ে গেছিস কেন পাখি?

-আর বলিস না শিউলি, তোর ভাইঝি না খেয়ে খেয়ে শরীরের এই হাল করে ফেলেছে।নাতাশা কই?

-পার্লারে গিয়েছে। তোরা উপরের ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নে। নাতাশা এলে তোদের সাথে দেখা করবে।

আমি আর মা সিঁড়ি বেয়ে যাচ্ছিলাম এমন সময় আমাদের সাইড কাটিয়ে নিচের দিকে নেমে যায় শিমুল ভাইয়া। প্রথমে নিজের মনের ভুল মনে করলেও মা'কে যখন ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করলো, তখন সত্যি সত্যি মেনে নিলাম আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নির্দয়,পাষান,নিষ্ঠুর আলফাজ শেখ শিমুল।

-কি রে তুলি শিমুলকে জিজ্ঞেস করবি না ও কেমন আছে?

ফুপির কথা শুনে আমি শিমুল ভাইয়ার দিকে একপলক তাকিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরের ঘরে চলে এলাম।

যদি একটিবারের জন্য তাকাতাম তাহলে দেখতে পেতাম কেউ আমার দিকে অবাক-ঘৃনা মিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে?

ঘরে এসে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি। এতক্ষণ ধরে চেপে রাখা চোখের পানি গুলো আপনাআপনি গড়িয়ে পড়তে লাগলো।

-কেন আজ আপনার সাথে আমার দেখা হলো?এতবছর বেশ ছিলাম আপনাকে না দেখে। কেন আমি যেটা চাই না সেটা আমার সাথে হয়? কেন? কেন?কেন?

তুলির এই চিৎকার বুকের ভেতের চাপা পড়ে যাচ্ছে কারণ এই কান্না বা দুঃখ কাউকে প্রকাশ করে দেখানো যায় না।

মেয়েটা অনেক সুন্দরী বড় লোক পরিবারের মেয়ে,,,,,,দুলা ভাই বললো তোর কী মেয়েপছন্দ হয়েছে। ছেলেটি বললো হা মেয়েটি আমার পছন্দ হয়ে...
25/09/2023

মেয়েটা অনেক সুন্দরী বড় লোক পরিবারের মেয়ে,,,,,,দুলা ভাই বললো তোর কী মেয়ে
পছন্দ হয়েছে। ছেলেটি বললো হা মেয়েটি আমার পছন্দ হয়েছে,,
বিয়ের আয়োজন টা হয়ে গেলো,
শেষে বিয়ে টাও হয়ে গেলো।

ছেলেটি বাসর ঘরে প্রবেশ করলো,,,দেখলো তার সুন্দরী বউটা বসে আছে,
সে অনেক খুশি এরকম একটা বউ পেয়ে,
মেয়েটার সাথে ছেলেটি কথা বলতে চাইলো।

তার আগেই মেয়েটি বললো,,,,তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। তুমি কী রাখতে পারবে,
ছেলেটি বললো, হ্যা বলুন কি বলবেন,,,,আমি কথা রাখার চেষ্টা করবো।
মেয়েটি বললো আমি তোমার স্ত্রী তাই আমার কথা তোমাকে মেনে চলতে হবে,

ছেলেটি বললো বলুন না কী বলবেন।

মেয়েটি বলছে তোমার পরণে পান্জাবী পরা,, এরকম কাপড় তুমি পরতে পারবে না।

আর তোমার মুখে দাড়ি এসব কাটতে হবে।
এসব দাড়ি কিছুই রাখা যাবেনা,

আরে তুমি তো এখন যুবক, এখনো তো বুড়ো হও নি,,, তাই তোমাকে বলছি এরকম কাপড়ে তোমাকে আন স্মার্ট লাগে,

আর প্যান্ট শার্ট পরলে তোমাকে দারুণ দেখাবে বুঝলে,
ছেলেটি চোখের পানি ছেড়ে বলছে,,, তুমি কী আমাকে বিয়ের আগে দেখেছো,
মেয়েটি বললো হ্যা, তোমাকে আমি বিয়ের আগে দেখেছি,,,,,, ছেলেটি বললো তাহলে তুমি আমাকে কেনো বিয়ে করলে।
মেয়েটি বললো তোমাকে সোজা করার জন্য বিয়ে করেছি বুঝলে,
আর বাবা জোর করেছে।

ছেলেটি বাসর ঘর থেকে বের হয়ে চলে গেলেন,,, আর ঢুকলেন না বাসর ঘরে।
নতুন বউ বাসর ঘরে রেখে বের হয়ে আসা,, অনেক কষ্ট তবুও বের হলেন।

তার স্ত্রীর সাথে আর রাত্রী যাপন করেন নি।

পরের দিন সকালে ছেলেটি বলছে তোমার প্রস্তাবে আমি রাজি নই,,,,, আমি দাড়ি কাটতে পারবো না,
পরণে কাপড় পাল্টাতে পারবো না।
মেয়েটি বললো,,,, এই হুজুর ভ্যাসে যদি থাকেন তাহলে আপনার সংসার আমি করবোনা,

আমি বড় লোক পরিবারের মেয়ে আমার বান্ধবিরা যদি তোমাকে এরকম অবস্থায় দেখে আমার লজ্জা হবে,,, তাই এসব ছাড়তে হবে তোমাকে।

ছেলেটি বললো যে মেয়ে আল্লাহর নবীর সুন্নাতকে অপছন্দ করে সেই মেয়েকে নিয়ে ঘর করা আমার অসম্ভব, তাই আমি তোমাকে তালাক দিয়ে দিলাম

অবশেষে তালাক হয়ে গেলো

ছেলেটি নয় মাস পর আরেক টি মেয়েকে বিয়ে করলেন ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে গরীব পরিবারের মেয়ে,
তাদের বিয়ের বয়স চার বছর হয়ে গেলো,,,, একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয়েছে তাদের।

দু জনে তারা এখন খুব সুখে আছে

একটা কথা সত্য গরীবের মেয়েরা এবং কালো মেয়েরা স্বামী ভক্ত হয় বেশি,
নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসে স্বামী কে,,, এরকম অনেক মেয়ে এখনো আছে।

এরা স্বামীর কথা মেনে চলে স্বামীকে খুশি করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে,

আর কিছু বড় লোকের মেয়েরা বাপের টাকার গরমে স্বামীর কথাও মানতে চায় না ফরজ পর্দা তো করেই না

বিশ্বাস করেন যে যতো বড় টাকা ওয়ালা,, যে যতো বড় শিক্ষিত,,,, যে যতো বড় নেতা,,,, তার
তার বৌ বেটিরা ততোই নেংটা,,

এরা টাকার গরমে। ক্ষমতার গরমে,,,, পরিবেশ টাকে এমন করে ফেলেছে,,,,, যে নায়ুযুবিল্লাহ ছাড়া,
আলহামদুলিল্লাহ বলার পরিবেশ আজকে আমাদের দেশে নাই,
কথা বলেন ঠিক কিনা
©
যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন

পর্ব_০১বাসর ঘরে ঢোকার সময় আমার মা আমার হাতে একটা সাদা রুমাল দেয়।আমি বললাম কি হবে মা এটা?মা বলে এটা রাখ তোর স্ত্রীর সতী...
23/09/2023

পর্ব_০১

বাসর ঘরে ঢোকার সময় আমার মা আমার হাতে একটা সাদা রুমাল দেয়।
আমি বললাম কি হবে মা এটা?
মা বলে এটা রাখ তোর স্ত্রীর সতীত্ব পরীক্ষার জন্য এটা দরকার হবে। সহবাসের সময় যদি তোর স্ত্রীর রক্তপাত হয় তাহলে বুঝবি তোর স্ত্রী ভালো আর না হলে বুঝতেই পারছিস। রুমাল টা কালকে আমাকে দেখাবি।

আমি তখন অবাক হয়ে বললাম ছিঃ ছিঃ লজ্জা করছে না মা ছেলের সাথে এসব কথা বলতে। আর সবথেকে বড় কথা হলো এসব কুসংস্কার আগের কালের মানুষ এগুলো বিশ্বাস করত। এগুলোর প্রতি বিশ্বাস ছাড়ো।

মা তখন বলে তুই কি আমার থেকে বেশি জানিস।

হ্যাঁ মা অবশ্যই আমি বেশি জানি তোমার থেকে। আর আমি একজন ডাক্তার। তোমার থেকে এসব বিষয়ে আমি ভালো জানি মা।

বেশি কথা না বলে যা বলছি তাই কর। আমি তোর সন্তান না তুই আমার সন্তান। মুখে মুখে তর্ক করিস না।

আমি আর কোনো কথা বললাম না। রুমাল টা নিয়ে রাগে রাগে রুম ঢুকে গেলাম। আমি কখনো অন্যায়ের প্রশ্রয় দিই না। কিন্তু আজ বিয়ের দিন কোনো ঝামেলা করতে চাচ্ছি না। বাসায় সবাই কত আনন্দ করছে। তাদের আনন্দ মাটি করতে চাচ্ছি না। বাসায় নতুন বউ এসব বিষয় জানলে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাবে। কখনো তার সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।

রুমে ঢুকে খাটের উপর বসলাম রুমাল টা পকেটে রাখলাম। মা যেমনটা বলেছে যদি এমনটা করি তাহলে আমার আর আমার পরিবারের মান সম্মান সব নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সে মা তারপর সব কথা মেনে চলা আমার দায়িত্ব কিন্তু মা হোক বা বাবা হোক অন্যায় কোনো কাজ করতে বললে সেটা তো করা যাবে না। বুঝাতে হবে, না বুঝলে প্রতিবাদ করতে হবে।

পৃথিবীর কোনো মেয়ে চায় না তার স্বামী প্রথম রাতেই তার সাথে সহবাস করুক। আমার স্ত্রীর পাশে বসার সাথে সাথে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। তারপর আস্তে আস্তে কান্না করতে থাকে।

আমি বললাম কান্না কেন করছেন। স্ত্রী ( সানজিদা সাবনাজ) বলে আমার ভয় করছে।

আমি তখন বললাম আপনার মাঝে হয় না জড়তা কাজ করছে আর বেদনা। কারণ নতুন জায়গা নতুন পরিবেশে। সবারই এমন হয়। বাবা মা আত্মীয় স্বজন ছেড়ে নতুন জায়গায়। মা বাবা থেকে দূরে থাকা বেশ ভালোই কষ্ট। আমি সাধারণত পড়াশুনার জন্য ক্লাস এইট থেকে বাইরে থেকেছি বাবা মা ছেড়ে। মাঝে মাঝেই মা বাবার জন্য ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠতাম। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাকে শুধু স্বামী না একজন বন্ধু হিসেবে পাবেন আপনার পাশে। অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়েন।

আর কিছু না বলে বিছানা থেকে উঠে একটা বালিশ নিয়ে নিচে একটা বিছানা পেড়ে, রাইট অফ করে শুয়ে পরলাম। কিছুক্ষণ পরে ঘুমন্ত অবস্থায় শুনতে পারি মাহমুদ মাহমুদ বলে কে যেন ডাকছে। কিন্তু এটা স্বপ্ন নয়। আমার হাতের বাহু ধরে সাবনাজ ডাকছে।
আমি বললাম কি হয়েছে সাবনাজ?

ভয় করছে আমার।

ভয় কেন করবে আমি আছি ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

আসলে আমি অন্ধকার রুম ঘুমাতে পারি না। ছোট থেকেই লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাই। লাইট বন্ধ করা তো তাই ঘুমাতে পারছি না।
আমি নিজেকে মনে মনে ধিক্কার দিলাম। কেমন মানুষ আমি। একটু জানতেও চাইলাম না লাইট অফ করে দিব নাকি জ্বালানো থাকবে।

আমিও আবার একদম ঘুমাতে পারি না লাইট জ্বালিয়ে রাখলে। তারপর লাইট টা জ্বালিয়ে দিয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম।

ভোর রাতে দেখি আবার কে ডাকছে মাহমুদ মাহমুদ বলে। উঠে দেখি সাবনাজ ডাকছে। আমি বললাম কি হয়েছে কোন সমস্যা?

না কোনো সমস্যা নেই আজান দিয়েছে উঠে ওজু করে নামাজ পড়ে নেন।
কত বছর যে নামাজ পড়ি নাই তার কোনো হিসেবে নেই। তাও আজ শিতের মধ্যে নামাজ পড়তে ডাকছে। না উঠলে মাইন্ড করবে তাই উঠে নামাজ পড়ে নিলাম।

নামাজ শেষে অনেক ঘুম পাচ্ছিল কিন্তু না ঘুমিয়ে বাইরে চলে গেলাম। বাসায় থাকলে সকাল সকাল ঝামেলা শুরু করবে মা। স্ত্রীর সতীত্ব টেনে নিয়ে এসে বলবে রক্তমাখা রুমাল দিতে বলবে। কিন্তু আমাদের মাঝে তো এমন কিছু হয়নি যে রক্তমাখা রুমাল দেখাতে হবে। আর যদি হয়ে থাকত তাহলে আমি এমন কাজ কখনো করতাম না। কারণ এটা একটা মেয়ের জন্য অনেক অপমান জনক। আর রক্তপাত হলেই যে একজন মেয়ের সতীত্ব ঠিক আছ আর রক্তপাত না হলে সতীত্ব ঠিক নেই এই যুগে এসেও এসব বিশ্বাস করতে পারে কেউ, আমার মাকে না দেখলে জানতেই পারতাম না।

ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাইরে চলে আসলাম‌। অনেকক্ষণ হয়ে গিয়েছে কিন্তু বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে না। কারণ বাড়িতে গেলে মায়ের সম্মুখীন হতে হবে। আর বিষয় টা অনেক খারাপ হবে‌‌। পরক্ষনেই ভাবলাম এভাবে আর কতক্ষন সারাজীবন তো আর এখানে থাকতে পারিনা। যখনিই বাড়িতে যাই মায়ের সম্মুখীন হতে হবে। তাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পকেট থেকে ফোন বাহির করে দেখি ২২ মিসড কল দিয়েছে মা। ফোন সাইলেন্ট করা ছিল তাই বুঝতে পারি নাই। জোরে জোরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

বাসায় যেতে যেতেই আপু হাত ধরে টান দিয়ে রুমে নিয়ে গিয়ে বলল তোর কি কোনো আক্কেল জ্ঞান নেই ভাইয়া। বাসায় নতুন বউ রেখে কোথায় চলে গিয়েছিস খোঁজ নেই। মা তোকে খুঁজছে অনেকক্ষণ থেকে। অনেকবার ফোন দিয়েছে ফোন রিসিভ করিস না অনেক রেগে আছে গিয়ে দেখ কি বলে।

মা বাবা আর অনেকেই ডাইনিং এ বসে ছিল। আমার যাওয়া দেখে মা ইশারা করে অন্য রুমে যেতে বলে মা। কিন্তু আমি না দেখার ভান করে বসে থাকি বাবার পাশে। আর বসে গল্প করছি। আর কোনো উপায় না পেয়ে মা আমাকে বলে মাহমুদ আমার সাথে আই একটু।

বাবা তখন বলল দাঁড়াও একটু পরে যাচ্ছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলছি। আমি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম যাক এবার মতো বাঁচলাম মায়ের সম্মুখীন হতে হবে না। আমি শুধু চাচ্ছি বাসার মেহমান আজ চলে যাক। কারণ সবার সামনে সমস্যা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি না।

নামাজ পড়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ বিশ্রাম নিচ্ছি। সারারাত ঘুম হয়নি লাইট জ্বালিয়ে রাখলে আমার ঘুম হয় না। কিছুক্ষণ ঘুমানোর পরে বুঝতে পারি কে যেন ডাকছে মাহমুদ মাহমুদ বলে। উঠে দেখি সাবনাজ ডাকছে।

আমি বললাম কি হয়েছে কোন সমস্যা হয়েছে?

সমস্যা না মায়ের সাথে কথা বলব কাল আসার পরে থেকে আর কথা হয়নি। আমার ফোন বাড়িতে রেখে আসছি। আপনার ফোন টা দিলে কথা বলতাম। তারপর ফোন টা দিয়ে বললাম কথা বলো। আমাকে কেউ যেন আর না ডাকে সারারাত ঘুম হয়নি।

বিকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম বাজার করতে। কাল সাবনাজ এর বাসা থেকে মানুষ আসবে আমাদের নিতে তাই বাজার করা দরকার। বাজারে যাওয়ার সময় মা আমাকে পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলে। মাহমুদ এদিকে আই শুনে যা।
আমি আবার মহা বিপদে পড়লাম এবার কিভাবে কাটিয়ে যাব। কাছে গিয়ে বললাম কি হয়েছে মা বলো আমার হাতে একদম সময় নেই। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে। অনেক বাজার করতে হবে। অনেক সময় লাগবে বেশি রাত হলে এই রাস্তায় আবার রিকশা আসবে না।

মা বলে এতো তাড়াতাড়ি করার দরকার নেই। আজ সকাল থেকে তুই আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছিস। রুমাল টা কই তাড়াতাড়ি রুমাল দেখা আমাকে।

আমি বললাম রাতে এসে দেখাচ্ছি মা বাজার করে এসে। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। কোনো ভাবে ওখান থেকে চলে আসলাম। তারপর বাজার করে রাতে বাসায় ফিরে আসলাম।

তারপর মা বলে রুমাল দেখা এবার আমাকে আর কোনো অযুহাত নয়। আমি বললাম আচ্ছা রুম থেকে নিয়ে আসছি। রুমাল আমার পকেটে ছিল কিন্তু তাও বললাম রুম আছে নিয়ে আসি।
তারপর এসে রুমাল টা মায়ের হাতে দিলাম।

মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে অল্পকিছু ধরে।

চলবে,,,,,,

বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী পার্ট আপনাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে।
পরবর্তী পর্বের জন্য পেইজটা ফলো করে রাখুন,
পেইজটা ফলো করতে নীল লেখাটায় চাপ দেন
ভালোবেসে শুধু কষ্ট পেলাম

এক লোক তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুললো।তাতে রাগ করে স্ত্রী বললো: আমি অভিযোগ করতে যাচ্ছি।স্বামী: তোমাকে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি ...
22/09/2023

এক লোক তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুললো।

তাতে রাগ করে স্ত্রী বললো: আমি অভিযোগ করতে যাচ্ছি।

স্বামী: তোমাকে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি কে দিবে?

স্ত্রী: তুমি কি মনে কর যে, তুমি আমাকে বাধা দিতে পারবে?

স্বামী: তুমি যা ইচ্ছা তাই কর। দেখি তোমার দৌড় কতটুকু?

স্ত্রী সাথে সাথে বাথরুমে ঢুকে পড়লো।
তাই লোকটি চিন্তা করলো: হয়তো সে বাথরুমের জানালা দিয়ে বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই লোকটি বাসার বাহিরে গিয়ে ভালো ভাবে দেখলো।
না..... তেমন কিছু বুঝা যাচ্ছেনা।

একটু পর ঘরে এসে দেখলো যে, স্ত্রী ওযু করে বাথরুম থেকে বাহির হয়েছে। লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বললো:
আমি তার কাছেই অভিযোগ জানাবো যিনি আমাকে তোমার অধিনস্ত বানিয়েছেন। সেখানে তোমার কোন দেয়াল নেই, নেই কোন দরজা যা দিয়ে তুমি আমাকে বাধা দিবে।
তার দরজা তো বন্ধ করা যায়না।

লোকটি আর কিছু বললোনা। টেনশনে পড়ে গেলো।

স্ত্রী; নামাযে দাড়িয়ে পড়লো। নামাযের মধ্যে সিজদা অনেক লম্বা করে দিলো।
সময় গড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু সিজদা তো শেষ হয়না। অনেক ক্ষন পর নামায শেষ হলো।

নামায যখন শেষ করে স্ত্রী যখন দু’হাত উঠালো তখন লোকটি তার হাত ধরে ফেলে বললো: সিজদায় আমার জন্য যে পরিমাণ বদ দোয়া করেছো তাতে কি যতেষ্ট হয়নি?
আল্লাহুর শপথ করে বলছি: এই একটু রাগারাগি আমি ইচ্ছা করে করিনি।
তুমি আর বদ দোয়া করোনা। প্লীজ!!

তখন স্ত্রী বললো: এই জন্যই আমি তোমার জন্য বদ দোয়া করিনি। আমি বদ দোআ করেছি শ/য়/তা/নে/র জন্য। আমি কি এতই ব,ল,দ যে, আমার স্বামীর জন্য বদ দোয়া করবো।
যাকে আমি অনেক ভালোবাসি।

কথাটি শুনে লোকটির চোখে অশ্রু চলে আসে। স্ত্রীর হাতে চুমু খেয়ে বললো: আমি তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি: আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবোনা। #ইনশাআল্লাহ

যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন
👉 সাহিত্য গল্পের জুড়ি

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Viral Setu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share