23/10/2024
♦♦আর্থিক এবং শারীরিকভাবে সামর্থ্য থাকার পরেও একাধিক বিবাহ না করলে সে পুরুষ গুনাহগার। ♦♦
এক স্ত্রীতে সন্তুষ্ট থাকা পাপ:সৌদি মুফতি আবদুল্লাহ। #একাধিক_বিয়ে না করলে বান্দা গুনাহগার হবে: সৌদি মুফতী,,প্রবাসীর দিগন্ত ডেস্ক প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ।
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আব্দুল্লাহ বলেছেন, সামর্থ্য থাকার পরও যদি কোনো মুসলমান একাধিক বিয়ে না করে, তাহলে সেই পুরুষ গুনাহগার হবে। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল্লাহ তার আলোচনায় বলেছেন, যে ব্যক্তির একাধিক বিয়ের সামর্থ্য আছে এবং সে সমাজের মুসলিম নারীদের দু'র্দশা সম্পর্কেও অবগত আছে যে- মুসলিম নারীগণ বিবাহিত জীবন লাভ না করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে- সে পুরুষ অবশ্যই গুনাহগার হবে।
আমি মনে করি, এমন ব্যক্তি এক স্ত্রীতে সন্তুষ্ট থাকলে গুনাহগার হবে এবং কেয়ামতের দিন সে প্রশ্নের মুখোমুখি হবে যে, তোমার সামর্থ্য থাকার পরও কেন তুমি অপর মুসলিম নারীর পবিত্র ও নিরাপদ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করলে না?
মুফতি আব্দুল্লাহ ব্যাখ্যা করে বলেন, বহুবিবাহ না করায় ব্যপকহারে অবিবাহিত মেয়ে রয়ে গেলে সমাজে ব্যা'ভিচার বেড়ে যাবে। কোনো স্ত্রী যদি স্বামীর পরবর্তী বিবাহে বাধা দেয়, তাহলে অন্য মেয়ের অ'ভিশাপ ১ম স্ত্রীর উপর পড়বে। কারন কোনো পুরুষের দেহ ৪ জন পর্যন্ত নারী ভোগ করতে পারতো, এক স্ত্রী হয়ে তুমি বাকি ৩ নারীর যৌ'ন
অধিকার কেন ন'ষ্ট করলে? একজন পুরুষের দেহে সব্বোর্চ্চ ৪ জন নারীর অধিকার আছে। শুধু একজনের নয়। পুরুষতো নারীর মতো নয়, তাই পুরুষের বেলায় হুকুমত নারীর মতো হবে না।
মুফতি আব্দুল্লাহ বলেন, আল্লাহ যদি কোন নারীকে প্রশ্ন করেন, এত এতো যুবক হস্তমৈথুনের মতো গুনাহের কাজে অভ্যস্ত ছিল, হ'তাশায় ছিল। তুমি কেন ২/৩টি বিয়ে করে তাদের উদ্ধার করলে না? তখন নারী বলবে, হে আমার রব, আমার জন্যে একসাথে বহু পুরুষকে বিবাহ করা জায়েজ করেননি আপনি। অপরপক্ষে কোনো পুরুষর এ কথা বলে বাঁচতে পারবে না।
এছাড়া বহু বিবাহের অনু'প্রেরনা কোরআনে না থাকলে সাহাবীরা কখনও বহুবিবাহ করতেন না এবং উৎসাহ দিতেন না- বলে মন্তব্য করেন সৌদি আরবের এই সর্বোচ্চ ধর্মগুরু।
الاكتفاء بزوجة واحدة خطيئة: مفتي السعودية عبد الله.
إذا لم تتعدد الزيجات فالخادم مذنب: مفتي السعودية، مكتب أفق المغتربين تاريخ النشر: 16 نوفمبر 2018
قال عبد الله مفتي المملكة العربية السعودية، إنه إذا لم يتزوج المسلم عدة زيجات رغم قدرته على ذلك، فإن ذلك الرجل سيكون مذنباً. وأدلى بهذا التعليق في مقابلة تلفزيونية.
قال مفتي المملكة العربية السعودية عبد الله في مناقشته إن الرجل الذي لديه القدرة على الزواج المتعدد ويدرك محنة المرأة المسلمة في ذلك المجتمع - فالنساء المسلمات يعانين من خسائر فادحة بسبب عدم وجود حياة زوجية - يجب أن يكون كذلك. آثم.
أعتقد أن مثل هذا الشخص إذا رضي بزوجة واحدة فإنه سيكون آثما وسيواجه السؤال يوم القيامة: لماذا لم ترتب لامرأة مسلمة أخرى أن تعيش حياة مقدسة وآمنة على الرغم من أن لديك القدرة على ذلك؟ سعة؟
وأوضح المفتي عبد الله أنه إذا بقيت الكثير من الفتيات غير متزوجات بسبب تعدد الزوجات، فإن الزنا سوف يكثر في المجتمع. وإذا منعت الزوجة زواج زوجها بعد ذلك، وقعت لعنة الابنة الأخرى على الزوجة الأولى. لأن جسد الرجل يمكن أن يستمتع به ما يصل إلى 4 نساء، كونك زوجة فأنت جنس النساء الثلاث المتبقيات
لماذا هدم الحق؟ للرجل الحق في 4 نساء كحد أقصى في جسده. ليس واحدا فقط. الرجال ليسوا كالنساء، لذلك لن يكون حكم الرجال كالنساء.
وقال المفتي عبد الله: "إذا سأل الله أي امرأة، فقد اعتاد الكثير من الشباب على ارتكاب المعاصي مثل العادة السرية وكانوا في حالة يأس". لماذا لم تنقذهم بالزواج 2/3؟ فتقول المرأة: يا رب، لم تحل لي أن أتزوج رجالاً كثيرين في وقت واحد. ومن ناحية أخرى، لا يمكن لأي إنسان أن يعيش بقول هذا.
وبصرف النظر عن هذا، إذا لم يشجع القرآن على تعدد الزوجات، فلن يمارس الصحابة تعدد الزوجات أبدًا ولن يشجعوا عليه - قال أعلى رجل دين في المملكة العربية
السعودية.
👉আমাদের প্রিয় শায়েখ আবদুল্লাহ আল কাফীর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের লেখা,মাশাআল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।👇
আমার স্বামী একাধিক বিয়ে করেছিলো।ফলে আমার অনেক সমস্যা হয়েছিলো এবং আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম।তারপরও আমি পুরুষদের একাধিক বিবাহকে সমর্থন করি এবং এটাকে অন্তর থেকে সন্মানও করি আবার এর পক্ষে লিখালিখি করি তা দেখে কিছু বোন খুব আশ্চর্য এবং চিন্তিত।কারণ তারা দেখেছে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঝড় ঝাপ্টা। এত কিছুর পরও আমি কিভাবে এর পক্ষে কথা বলছি এটা আসলেই চিন্তার বিষয়। তবে আমি চিন্তা করে দেখেছি, পড়ালিখা করে বুঝেছি বিষয়টা যদিও আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর মনে হয় আসলে এতে মহান আল্লাহ আমাদের সকলের জন্য কল্যানই রেখেছেন কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারিনা।আল্লাহর কোনো বিধান মানতে গিয়ে কষ্ট হলে তার প্রতিদানও বড় হবে ইনশাআল্লাহ।
একবার ভাবুনতো বোনেরা!কেমন হতো যদি আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক পুরুষের জন্য ৪টি করে বিবাহ করা ফরজ করে দিতেন? আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ এটা ফরজ করেননি।সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
ফরজ হলে তো অধিকাংশ নারী এই বিধান অমান্য করে কুফরি করে জাহান্নামে চলে যেতো।তবে এখনও যারা এই হালাল কাজটিকে ঘৃনা করবে এবং মনে করবে যে এই বিধান দিয়ে আল্লাহ নারীদের প্রতি অবিচার করেছেন বা বলবে যে এই একাধিক বিবাহ বর্তমান যুগের পুরুষদের জন্য জায়েজ নেই তাহলে সেও কুফরি করে জাহান্নামে চলে যাবে।এই বিষয়ে আমি ইতিপুর্বে একটি পোষ্ট লিখেছিলাম। আবারও লিখছি কারন অনেক মুসলিম বোন আছেন যারা এই বিষয়টি বুঝেনা যার ফলে তারা আল্লাহর একটি বৈধ বিধানকে অবৈধ বা হারাম মনে করে নিজেদের ঈমান নষ্ট করে সমস্ত আমল বাতিল করে ফেলছেন অথচ তারা কিছুই জানতে পারছেনা।আমার লেখার মানে কিন্তু এটা নয় যে প্রত্যেক নারীকে তার স্বামীকে একাধিক বিয়ে করাতে হবে।শুধু বিশ্বাসটা রাখতে হবে এবং আল্লাহর এই বিধানটিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা যাবেনা।এর প্রতি সন্মান প্রদর্শন করতে হবে এটুকুই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ নারীজাতিকে সৃষ্টি করেছেন পুরুষদের মানসিক শান্তির জন্য। এবং তাদেরকে ৪ টি পর্যন্ত বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন তাই তারা তাদের পছন্দমতো ২/৩/৪ নারীকে বিয়ে করতে পারবে যদি সামর্থ থাকে সমতা রক্ষা করার। অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক, আর্থিক এবং ঈমানি শক্তি থাকা লাগবে। যাদের এই ৩ রকম শক্তি সামর্থ থাকবে তারা যেমন নারী পছন্দ করবেন তেমন নারীই বিবাহ করতে পারবেন। চাইলে মা খাদিজার মত তাকাকপ্রাপ্তা বিধবা এবং বয়স্ক নারী বিবাহ করতে পারবেন আবার চাইলে মা আয়েশার মত ছোট্ট বালিকা এবং কুমারী মেয়ে বিয়ে করতে পারবেন।জরুরি নয় যে, একজন স্ত্রী আছে, ছেলেমেয়ে আছে তাই তাকে তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবাই বিয়ে করতে হবে। যার যাকে পছন্দ হবে তাকেই বিয়ে করতে পারবে।এতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া জরুরি নয়।অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করতে পারবে এবং স্ত্রীর কোনো সমস্যা না থাকলেও বিয়ে করতে পারবে। আল্লাহ বলেন
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع
নারীদের মধ্যে যাকে পছন্দ হয় তাকে দুই, তিন, চার পর্যন্ত বিবাহ করো।সুরা নিসা ৩ নং আয়াত।
হাদিসে বর্নিত হয়েছে যে, নারীকে বিবাহ করা হয় ৪ টি বিষয় দেখে।
১। তার সম্পদ দেখে
২। তার বংশমর্যাদা দেখে
৩। তার রুপ সৌন্দর্য দেখে
৪। তার দ্বীনদারিতা দেখে
তবে তুমি দ্বীনকে প্রাধান্য দিবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
(বুখারি )৫০৯০
একজন নারীর মধ্যে সবগুন একসাথে পাওয়া যায়না।কেউ সম্পদ ওয়ালা কিন্তু সুন্দরী নয়,কেউ সুন্দরী কিন্তু তার মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নাই,কেউ অনেক দ্বীনদার পরহেজগার কিন্তু সুন্দরী নয়।
তাই দেখা যায় কেউ সম্পদ দেখে বিয়ে করে,কেউ বংশ দেখে বিয়ে করে কেউ সৌন্দর্য দেখে বিয়ে করে আর কেউ দ্বীন দেখে বিয়ে করে।
যারা দ্বীন দেখে বিয়ে করে তারা দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলকাম হবে।
আর এরাই কিয়ামতের কঠিন দিনে আনন্দে মশগুল থাকবে।স্বামী স্ত্রী জান্নাতের সুশীতল ছায়ায় উঁচু উঁচু আসনে হেলান দিয়ে বসবে।তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদেরকে সালাম জানানো হবে।সুরা ইয়াসীন।৫৫,৫৬,৫৭ নং আয়াত।
অনেক মহিলা আছে স্বামী ২য় বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলেই ঝগড়া শুরু দেয় এবং স্বামীকে ছেড়ে চলে যায় বা চলে যাবো বলে ভয় দেখায়।তুমি বিয়ে করলে আমিও বিয়ে করবো ইত্যাদি বলে। অথবা ডিভোর্স দিয়ে দেয় অথবা খোলা তালাক নিয়ে চলে যায়।এই মহিলাগুলো চরম মুর্খ।এরা জান্নাতে যাবেনা এমনকি জান্নাতের গন্ধও পাবেনা অথচ জান্নাতের ঘ্রান ৭০ হাজার মাইল দূর থেকে পাওয়া যায়।
স্বামী বিয়ে করার পর যদি তোমার হক্ব আদায় না করে,তোমাকে অবহেলা করে,কষ্ট দেয় তাহলে তখন তুমি চাইলে আইনের আশ্রয় নিয়ে নিজের হক্ক আদায় করে নিতে পারো অথবা খোলা তালাক নিয়ে চলে যেতে পারো কোনো সমস্যা নাই আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ কাউকে জুলুম সহ্য করে থাকতে বলেন নাই।আল্লাহ কারও প্রতি জুলুম করেননা।আল্লাহ বলেন,
وما انا بظلام للعبيد
আমি বান্দাদের প্রতি জুলুমকারী নই।সুরা ক্বফ ২৯ নং আয়াত।
তবে পুরুষদের শুধু আর্থিক এবং শারীরিক ক্ষমতা থাকলেই একাধিক বিয়ে করা জায়েজ হবেনা।প্রত্যেক স্ত্রীর মাঝে সমতা রক্ষা করার মতো মানসিকতা, বিশ্বাস এবং সামর্থ্য থাকতে হবে।এক স্ত্রীকে দেশে আর এক স্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে থাকবে একজনের জন্য বেহিসাব খরচ করবে আরেকজনের জন্য মৌলিক খরচটাও করবেনা।এমন করলে সেই ব্যক্তি বেইনশাফী করার কারণে গুনাহগার হবে।হাদীসে আছে যার ২ জন স্ত্রী রয়েছে আর সে তাদের একজনের দিকে বেশি ঝুঁকে গেছে তাহলে কিয়ামতের দিন সে বিকলাংগ অবস্থায় উঠবে। একাধিক স্ত্রীর মধ্যে রাত্রিযাপন এবং খরচের ব্যপারে সমতা রক্ষা করতে হবে।বিবাহ গোপন রেখে প্রথম স্ত্রীর সাথে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবেনা।
দ্বিতীয় তৃতীয় বিবাহের জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া জরুরি নয় এবং স্ত্রী জানতে পারলে সমস্যা হবে এই ভয়ে অনেকেই গোপনে বিয়ে করেন অর্থাৎ প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে করেন এবং কোনো স্ত্রীর হক্ব আদায় করতে পারেন না সঠিকভাবে।
তাই যদিও স্ত্রী কখনও অনুমতি দিবেনা তারপরও তাকে জানিয়ে বিয়ে করা উচিত। স্ত্রীকে সামাল দিতে পারবেন না এমন লোকদের একাধিক বিয়ে করা উচিত নয় যতই তার শক্তি সামর্থ থাকুক।আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফীক দিন।আমীন!!!
আমাদের প্রিয় শায়েখ আবদুল্লাহ আল কাফীর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের লেখা!