11/11/2023
‼️জরুরী পোস্ট: দয়া করে এসব ড্রাগন খাবেন না‼️
২০১১/১২ সালে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দেখেছিলাম, বাংলাদেশের উপযোগী করে ড্রাগন চাষের বিজ্ঞানসম্মত উপায় নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন আমাদের প্রফেসর স্যারেরা।
তখন ও এতো বড় ড্রাগন আমি দেখিনি। এমনকি থাইল্যান্ড কিংবা চীন থেকে যে ড্রাগন আসে, সেগুলো ও এতো বড় চোখে পড়েনি।
কী পরিমাণ টনিক বা বিষ আছে এগুলোতে বোঝাতে পারবো না। একেকটা ড্রাগন এক সোয়া এক কেজি! ভাবা যায়???
টনিক দিয়ে ড্রাগনের সাইজ দ্বিগুণ করুন, এমন বেশ কিছু চটকদার থাম্বনেইল দিয়ে বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম ২/১ বছর আগে। তাও আবার ভারতের কিছু ড্রাগন বাবসায়ী নামধারী অসাধু টনিক বাবসায়ী র বানানো ভিডিও। রাতারাতি ভাইরাল সেই ভিডিও। সেই সব ভিডিওতে সবচেয়ে বেশি কমেন্টস বা অর্ডার বাংলাদেশী ড্রাগন খামারিদের।যেই কথা সেই কাজ, দেখতে দেখতে পুরো বাজার সয়লাব, এইসব টনিক দেয়া ফলে।
ভারতের অনেক ড্রাগন বাগানের খবর আমি জানি, সেসব বাগানে কিন্তু ড্রাগনে টনিক দিয়ে ড্রাগনের সাইজ বড় করা হয় না। এমনকি পৃথিবীতে কোথাও আমি এমন উদ্ভট রঙ এর ড্রাগন দেখি নাই। তাহলে আপনারা কেন ব্যবহার করছেন এসব টনিক???
খামারি ভাইরা, আপনারা ওজন বেশি করে কিছুটা মুনাফা হয়তো করছেন, কিন্তু দেশটার কী ক্ষতি আপনারা করছেন জানেন???
আমি আমার এবছরের ড্রাগনের যে অর্ডার পেয়েছি, তাতে বুঝলাম বাচ্চারা ড্রাগন খেতে খুব পছন্দ করে। তাহলে বোঝেন ক্ষতিটা কোথায় করছেন!!!
আপনারা যারা ড্রাগন খাচ্ছেন কিংবা বাজার থেকে একটু কম দামে ড্রাগন কিনছেন, খুব সাবধান!! জেনে কিংবা না জেনে আপনার, আপনার সন্তানের ক্ষতি আপনি কেন করবেন? একটু চেষ্টা করলেই ভালো ফল কিংবা ভালো জিনিস আপনারা খেতে পারবেন।
দয়া করে বন্ধ করুন এসব। নিজের বা দেশের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকুন।🙏🏼🇧🇩
অনুরোধক্রমে: কৃষিবিদ জীবন রয়
Copy post