Light of Islam ইসলামের আলো

Light of Islam ইসলামের আলো Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Light of Islam ইসলামের আলো, Digital creator, Rupnagar R/A, Mirpur, Dhaka.

“প্রচার করো, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়”
-(সহীহ বুখারিঃ ৩৪৬১) ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিপদ কেটে গেলে মানুষ অহংকারী হয়ে যায়...
16/07/2025

বিপদ কেটে গেলে মানুষ অহংকারী হয়ে যায়...

এক লোক রাতে বাড়িতে এসে দেখেন, তার সন্তানরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'ওরা নামায পড়েছে'?স্ত্রী বললেন, '...
08/07/2025

এক লোক রাতে বাড়িতে এসে দেখেন, তার সন্তানরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'ওরা নামায পড়েছে'?

স্ত্রী বললেন, 'বাড়িতে কোনো খাবার ছিলোনা। সবাই ক্ষুধায় কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। নামায পড়েনি'।

'ওদেরকে জাগিয়ে দাও। ওরা নামায পড়ুক'।

'ওদেরকে জাগিয়ে উঠালে খাবার না পেয়ে ওরাতো ক্ষুধায় আবার কান্না-কাটি করবে'।

'ওদেরকে জাগিয়ে দিতে বলেছি জাগিয়ে দাও। আমার আদেশ পালন করো। তাদের রিজিকের দায়িত্ব আমার না। রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআ’লার উপর'।

আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন,
وأمر أهلك بالصلاة واصطبر عليها لا نسألك رزقا نحن نرزقك والعاقبة للتقوى

"তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও এবং তার উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে কোন রিযিক চাইনা আমিই তোমাদেরকে রিযক দান করি। শুভ পরিণাম তো শুধুমাত্র মুত্তাকীদের জন্য"।
(১৩২ - সূরা ত্বহা)

একথা শুনে স্ত্রী তৎক্ষণাৎ সন্তানদের জাগিয়ে নামাজে দাঁড় করিয়ে দিলেন। নামায শেষ করে যখন তারা উঠলো। এমন সময় দরজার বাইরে থেকে সালামের আওয়াজ ভেসে আসলো। দরজা খুলে দেখা গেলো, এক লোক তার কাধে অনেক খাবার। লোকটি বললো, 'এগুলো আপনার পরিবারের জন্য। গ্রহণ করুন'।

লোকটি কৈফিয়তের সুরে আরো বললো, 'শহর থেকে একজন নেতা আমার বাসায় মেহমান হয়ে এসেছিলেন। তার সামনে আমি খাবারগুলো পরিবেশন করলাম। কিন্তু খাবার শুরু করার পূর্বেই আমাদের মাঝে প্রচন্ড কথা কাটাকাটি হয়ে গেলো। মেহমান রাগান্বিত হয়ে কিছু না খেয়েই চলে গেলেন। অতঃপর আমি খাবারগুলো নিয়ে বের হলাম। ভাবলাম, আল্লাহ যেদিকেই নেন, যেখানে নেন সেখানে খাবারগুলো দিয়ে আসবো। আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, হাঁটতে হাঁটতে আমি আপনার দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলাম। আমি বুঝতে পারছিনা, কে আমাকে আপনার দরজার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিলো'

“চাকরির জন্য দুশ্চিন্তায় আছেন? সূরা ত্বাহার এই আয়াতটি ১১ বার পড়লে দেখবেন বদলে যায় বাস্তবতা”চাকরি হচ্ছে জীবনের অন্যতম বড় ...
07/07/2025

“চাকরির জন্য দুশ্চিন্তায় আছেন? সূরা ত্বাহার এই আয়াতটি ১১ বার পড়লে দেখবেন বদলে যায় বাস্তবতা”

চাকরি হচ্ছে জীবনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
শিক্ষিত হয়েও চাকরি না পাওয়া, আবেদন করেও ডাক না আসা, চাকরিতে স্থির হতে না পারা—এসব আমাদের অনেককেই হতাশ করে ফেলে।

তবে একজন মুমিনের জন্য সব দরজা বন্ধ হলেও আল্লাহর দরজা কখনো বন্ধ হয় না।
আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে, সঠিক সময়ে সঠিক দোয়া করলে, কখন কীভাবে রিজিকের দরজা খুলে যায়—আপনি ভাবতেও পারবেন না।

আজ শিখুন একটি ছোট অথচ প্রভাবশালী আয়াত—নবী মূসা আলাইহিস সালাম যে আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহস, আত্মবিশ্বাস ও প্রশস্ততা চেয়েছিলেন।

📖 কুরআনিক আয়াত:

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي
উচ্চারণ: রব্বিশরাহলি সাদরি
অর্থ: “হে আমার রব! আমার বক্ষ প্রশস্ত করুন।”
📘 সূরা ত্বাহা – আয়াত ২৫

কেন পড়বেন এই আয়াত?
✔️ এটি আত্মবিশ্বাস ও মন প্রশান্তির জন্য বিশেষ উপকারী
✔️ চাকরি, ইন্টারভিউ, ভাইভা বা নতুন উদ্যোগে সাহস জোগায়
✔️ নবী মূসা আলাইহিস সালাম ফেরাউনের দরবারে কথা বলার সময় এই দোয়া করেছিলেন
✔️ আপনি যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, তখন এটি আপনাকে স্থির ও শক্ত করে তোলে

🕰️ কীভাবে আমল করবেন?
🔸 প্রতিদিন ফজর ও এশার নামাজের পর
🔸 আয়াতটি ১১ বার পাঠ করুন
🔸 আগে ও পরে দরুদ শরীফ ৩ বার করে পড়ুন
🔸 শেষ করে বলুন:

“হে আল্লাহ! আমার জন্য এমন একটি হালাল রিজিক দিন, যাতে আমি দ্বীন ও দুনিয়া রক্ষা করতে পারি।”

✅ এই আমল ২১ দিন ধরে করুন এবং পাশাপাশি চেষ্টা চালিয়ে যান—ইনশাআল্লাহ আল্লাহ বরকতের দরজা খুলে দিবেন।



মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়!🎗️ অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।সেদিন এক ধনক...
02/07/2025

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়!
🎗️ অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ শরীর এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা অনেক বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

তাহলে করণীয় কী?

✓ অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

✓ মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

✓ রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

✓ পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

✓ সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

✓ যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীর সাথে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও হাত ধরে হাঁটুন, রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

✓ ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

✓ সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিনদেশে বেড়াতে নিয়ে যান।

✓ ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

✓ মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

✓ বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

✓ মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন।

জীবন তো একটাই, তাই পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।

বর্তমানে অনেক আলেমের মতে, সমাজে কালো জাদুর ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এ থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের কিছু নির্দিষ্ট আমল...
19/06/2025

বর্তমানে অনেক আলেমের মতে, সমাজে কালো জাদুর ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এ থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের কিছু নির্দিষ্ট আমল ও কোরআনি দোয়ার চর্চা করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

জাদু থেকে রক্ষার করণীয় কিছু আমল:-

১. "সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়া।" (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮২)

২. "এই দোয়া পাঠ করা—‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুরু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামা, ওয়াহুয়াস্ সামিউল আলীম"।’ (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ১৯৩৮)

৩. "ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়া।" (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)

৪. "ঘুমানোর আগে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিয়ে সারা শরীরে হাত বুলানো—দিনে তিনবার"। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)

৫. "সকাল-সন্ধ্যায় দোয়া পড়া—‘আল্লাহুম্মা ‘আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাম’ই, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি।"’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯০)

৬. ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক’ পাঠ করা। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৯)

🌻নবী করিম (সা.)-এর ওপর জাদু ও তাঁর ঝাড়ফুঁকের দোয়াটি পাঠ করা। প্রিয় নবী (সা.)-এর ওপরও একবার কালো জাদু প্রয়োগ করা হয়েছিল। তখন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) তাঁকে নিম্নোক্ত দোয়াটি শিখিয়েছিলেন :

✍️‘বিসমিল্লাহি আরকিকা। মিন কুল্লি শাইয়িন ইউজিকা। ওয়া মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসিদিন, আল্লাহু ইয়াশফিক। বিসমিল্লাহি আরকিক।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২১৮৬)

★সুরা ফাতিহা ‘সুরা শিফা’ নামে পরিচিত। এটি আরোগ্যের জন্য উপযোগী।

"সর্বোপরি জাদু, কুফরি ও শয়তানের ফাঁদ থেকে বাঁচতে হলে ঈমান ও পবিত্রতার সঙ্গে থাকতে হবে এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে।" আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাজত করেন(আমিন)।
👉বিঃ দ্রঃ- এরূপ ইসলামী লেখনি পেতে আমাদের পেজটি ফলো করে রাখুন।(شكرا 💞)

""এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।"🤲দোষী যুবককে টেনে-হিঁচড়ে খলীফার দরবারে নিয়ে এসেছেন দুই ব্যক্তি। ...
11/06/2025

""এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।"🤲
দোষী যুবককে টেনে-হিঁচড়ে খলীফার দরবারে নিয়ে এসেছেন দুই ব্যক্তি। তারা তাদের পিতার হত্যার বিচার চান।
খলীফা হযরত উমর (রা) সেই যুবককে জিজ্ঞেস করলেন যে তার বিপক্ষে করা অভিযোগ সত্য কিনা। অভিযোগ স্বীকার করল যুবক। দোষী যুবক সেই ঘটনার বর্ণনা দিলঃ
"অনেক পরিশ্রমের কাজ করে আমি বিশ্রামের জন্য একটি খেজুর গাছের ছায়ায় বসলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্প সময়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র বাহন উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গিয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। অভিযোগকারী এই দুই ব্যক্তির বাবাকে আমার মৃত উটের পাশে পেলাম। সে আমার উটকে তার বাগানে প্রবেশের অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। এই কারণে আমি হঠাৎ করে রাগান্বিত হয়ে পড়ি এবং তার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে এক পর্যায়ে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি। ফলে সে সেইখানেই মারা যায়। যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"🤲
বাদী’রা জানালেন- "আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই।" সব শুনে হযরত উমর (রা) অপরাধী যুবককে বললেন, "উট হত্যার বদলে তুমি একটা উট দাবি করতে পারতে, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা। এখন তোমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। তোমার কোন শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো।" নওজোয়ান বললো, "আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের রাখা কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন, আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণগুলি পরিশোধ করে আসতাম।"
খলিফা হযরত উমর (রা) বললেন, "তোমাকে এভাবে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক সময়ের জন্য যেতে দিতে পারি।“ নওজোয়ান বললো, "এখানে আমার কেউ নেই যে আমার জিম্মাদার হবে।" যুবকটি তখন নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
এই সময় হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত একজন সাহাবী হযরত আবু যর গিফারী (রা) দাঁড়িয়ে বললেন, "আমি হবো ঐ ব্যক্তির জামিনদার। তাকে যেতে দিন।" আবু যর গিফারীর (রা) এই উত্তরে সভায় উপস্থিত সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার উপর হত্যার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী! তার জামিনদার কেন হচ্ছেন আবু জর!
খলিফা বললেন, "আগামি শুক্রবার জুম্মা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুম্মার আগে নওজোয়ান মদীনায় ফেরত না আসলে নওজোয়ানের বদলে আবু যরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।" মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটলো মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবু যর গিফারী (রা) চলে গেলেন নিজ বাড়িতে।
দেখতে দেখতে জুম্মাবার এসে গেল। নওজোয়ানের আসার কোনো খবর নেই। হযরত উমর (রা) রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবু যর গিফারির (রা) কাছে। পত্রে লিখা, আজ শুক্রবার বাদ জুমা সেই যুবক যদি না আসে, আইন মোতাবেক আবু যর গিফারির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। আবু যর যেন সময় মত জুম্মার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। খবর শুনে সারা মদীনায় থমথমে অবস্থা। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবু যর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন।
জুমার পর মদীনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। কারণ দন্ডপ্রাপ্ত যুবক এখনো ফিরে আসেনি। জল্লাদ প্রস্তুত।
জীবনে কত জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তার হিসেব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি আটকাতে পারছে না জল্লাদ। আবু যরের মত একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনা দোষে আজ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন, এটা মদীনার কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এমনকি মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর (রা) নিজেও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। হৃদয় তাঁর ভারাক্রান্ত। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু যর (রা) তখনও নিশ্চিন্ত মনে হাঁসি মুখে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু যর (রা) এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।
এমন সময় এক সাহাবী উচ্চ স্বরে জল্লাদকে বলে উঠলেন, "হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ঐ দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার পদধুলি। একটু দেখে নাও।" ঘোড়াটি কাছে আসলে দেখা যায় সত্যিই এ সেই নওজোয়ান।
নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বললো, "আমীরুল মুমিনীন, মাফ করবেন। রাস্তায় যদি আমার ঘোড়া পায়ে ব্যথা না পেত, তবে যথা সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে গিয়ে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি। তারপর বাবা, মা এবং নববধুর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আমার জামিনদার ভাইকে ছেড়ে দিন আর আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেননা কেয়ামতের দিন আমি খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।"
আশেপাশের সবাই একেবারেই নীরব। চারিদিকে একদম থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে! যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে।
খলিফা হযরত উমর (রা) যুবককে বললেন, "তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরেও কেন ফিরে এলে?" উত্তরে সেই যুবক বলল- "আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গেছিলো।"
এবার হযরত উমর (রা) হযরত আবু যর গিফারী (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কেন না চেনা সত্যেও এর জামিনদার হলেন?" উত্তরে হযরত আবু যর গিফারী (রা) বললেন, "পরবর্তিতে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিলো, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।"
এমন কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধের দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, "হে খলীফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা অভিযোগ তুলে নিলাম।"
হযরত উমর (রা) বললেন, “কেন তাকে ক্ষমা করে দিচ্ছ?” তাদের এক ভাই বলে উঠলো, "কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে নিজেই স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।"

[হায়াতুস সাহাবা-৮৪৪]"🤲🤲

06/06/2025

یَخۡرُجُ مِنۡۢ بُطُوۡنِهَا شَرَابٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُهٗ فِیۡهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ

আরাফাহ'র দিবসে জাবালে রহমতে (পাহাড়) এবং তৎপরবর্তী রাত্রে খোলা আকাশের নীচে মুজদালিফায় .... এ এক স্বর্গীয় অনুভুতি। আল্লাহ ...
06/06/2025

আরাফাহ'র দিবসে জাবালে রহমতে (পাহাড়) এবং তৎপরবর্তী রাত্রে খোলা আকাশের নীচে মুজদালিফায় .... এ এক স্বর্গীয় অনুভুতি। আল্লাহ সবার হজ্জকে কবুল করুন।

06/06/2025

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হাম্দ।

আল্লাহ সব দেখে এবং সব কিছুর বিচার হবে । কিভাবে নিজের নি"য়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, কিভাবে সব মোকাবেলা করেছেন। আপনার উদ্বেগ,যন্ত্...
06/06/2025

আল্লাহ সব দেখে এবং সব কিছুর বিচার হবে । কিভাবে নিজের নি"য়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, কিভাবে সব মোকাবেলা করেছেন। আপনার উদ্বেগ,যন্ত্রণা, একাকীত্ব, ভয় সব জানে। আপনার আত্মা, চিন্তা, ভাবনা সব জানেন দেখেন। জীবনের প্রতিটা ফোটা অশ্রু কি কারনে ঝড়েছে সেটাও জানেন। চারপাশে কী ঘটছে, কে ধো/কা দিছে, কে ক্লিক মারছে, কে ঠকাইছে কিভাবে ঠকাইছে সব জানে। মোনাজাতে ডাকলে উত্তর দেয় না, তার মানে এই নয় যে সে শুনছে না।আমাদের শুধু বুঝতে হবে যে সবকিছুরই একটি সঠিক সময় আছে। প্রতিটি ব্যথার একটি উদ্দেশ্য থাকে। তিনি আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা করেন, বিশ্বাস পরীক্ষা করেন। প্রথম থেকেই জানতেন যে এই ব্যথার পরে আমরা ঠিক হয়ে যাব। আল্লাহর উপর ভরসা করুন যে যা করছে সব কিছুর এক সময় বিচার হবে। আমরা শুধু তাকে বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাস ভরসা ছাড়া লাইফে কিচ্ছু হবে না, কিচ্ছু না 🖤

06/06/2025

আল্লাহ আপনাদের ও আমাদের নেক আমল গুলো কবুল করুন।
🤲 আমীন

Address

Rupnagar R/A, Mirpur
Dhaka
1216

Telephone

+8801572432825

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Light of Islam ইসলামের আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Light of Islam ইসলামের আলো:

Share