16/10/2024
এইটা সিরিয়াসলিই বাইর করতে হবে ইলন মাস্ক এলিয়েন না আসলেই মানুষ!
প্রথমে রকেট ইন্ডাস্ট্রিকে প্রাভেটাইজেশনের প্ল্যান করল। সেটার স্ট্রং বিরোধিতা করলো স্বয়ং নীল আর্মস্ট্রং, যে ছিল ইলনের আইডল।
রকেটের বুস্টার ছিল ওয়ান টাইম ইউজ। একবার পে লোড পাঠানোর পর আটলান্টিকে সলিলসমাধি ছিল বেস্ট ওয়ে।
ইলন কইল নাহ, খরচা কমাইতে হবে। বুস্টারগুলা রিইউজ করা লাগবে। সেইগুলারে ফিরায়ে আনতে হবে।
সেইটা সে করেই ছাড়লো। স্পেস এক্সকে রীতিমত দেউলিয়া বানানোর পথে গিয়েও সে করেই ছাড়লো।
এরপরেও সে হ্যাপি না। রকেট বুস্টার ফিরে আসলেও সেটাকে ইউজ করতে হইলে আবার লঞ্চ প্যাডে টাইনা নিতে টাইম যাবে। এক দিনে একটার বেশি রকেট পাঠানো যাবে না।
কী করবা?
রকেট বুস্টার ক্যাচ ধরতে হবে। ক্যাচ টাওয়ার হবে মুভেবল। যেখানে কাছেধারে ল্যান্ড করবে সেখানে টাওয়ারকে নিয়ে যাবে। ক্যাচ করবে। পরে এইটার উপ্রে পে লোড বসায়ে আবার আসমানে পাঠাবে।
এই রকেট বুস্টার ক্যাচ ধরার আইডিয়াটা দেইখা ভাবতাম এটা টেকনিকালি কঠিন। ইলন মিয়া অনেক বেশি ফ্যান্টাসিতে ভোগে।
আইজকা এই ভিডিও দেইখা মনে হইল হ্লার্পুতে কর্লোটাকী।
পরে আরো ঘাইটা জানলাম লঞ্চ প্যাডে ল্যান্ড করার থেকে এই ক্যাচ ধরাধরিটা টেকনিকালি অনেক ইজি আর সেইফ।
ফিজিক্স আর ইকোনমিতে গ্র্যাজুয়েশন থাকলেও এই লোকে রকেট সায়েন্স নিয়া কোন কালেই প্রথাগত গ্রায়জুয়েশন করে নাই।
বাট একজন রকেট সায়েন্টিস্ট সেদিন বলতেসিলো - ইলন মাস্ক রকেট সায়েন্স সম্বন্ধে এত ডিটেইলস জানে, এত ডীপলি জানে, এত এত সূক্ষ্ম বিষয় গভীরভাবে জানে যেটা উনাকে রীতিমতো তাজ্জব বানায়ে দিসে।
আর এসব নলেজ জাস্ট বই পড়ে। কী পরিমাণ স্টাডি একটা মানুষ করলে বুস্টার ডিজাইন নিজে মডিফাই করার ক্যাপাসিটি রাখে।
লেখা : যুবায়ের আহমেদ
ভিডিও : SpaceX
Azizul H