36 July

36 July Political news published and analysis of Bangladesh

11/04/2025

এই জুতা দেইখা আমি আমার ছেলেকে চিননে পালাই

শানারপাড় রওশন আরা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, ১৭ বছর বয়সী মো. নাঈম স্বপ্ন দেখতেন বিচারক হওয়ার। কিন্তু বুলেট তার ...
13/03/2025

শানারপাড় রওশন আরা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, ১৭ বছর বয়সী মো. নাঈম স্বপ্ন দেখতেন বিচারক হওয়ার। কিন্তু বুলেট তার সেই স্বপ্ন ও জীবন একসঙ্গে ছিনিয়ে নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়।

গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান নাঈম।

আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়নের সময় নাঈম শহীদ হন। আন্দোলন তখন কেবল ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না, এটি রূপ নিয়েছিল ছাত্র-জনতার বিদ্রোহে।

তার বুকে, হৎপিণ্ডের ঠিক ওপরে প্রবেশ করা একটি গুলি শুধু তার জীবনই কেড়ে নেয়নি, বরং তার পরিবারকেও আর্থিক ও মানসিকভাবে এক অনিশ্চয়তার অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। তার বাবা মো. কামরুল ইসলাম, একজন পোশাককর্মী, ছেলের মৃত্যুর পর মানসিক আঘাতে বিপর্যস্ত থাকায় কাজে ফিরতে পারেননি।

‘বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখত নাঈম’

কামরুল ইসলাম (৫৮) জানান, নাঈম শব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট ও ফুটবলে খুবই পারদর্শীই ছিল। এছাড়া আইনজীবী আত্মীয়দের দেখে বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখত সে।

তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘ও আমাকে বারবার বলত— 'আব্বু, তুমি কষ্ট পেও না। আমি বড় হয়ে তোমাকে সুখে রাখব।'

যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার ভাড়াবাসায় বসে ছেলের মৃত্যুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি কামরুল।

নাঈম ছিল কামরুল ইসলাম ও গৃহিণী মাহমুদা পারভীন (৪৫) দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে ছোট। বড় ছেলে মো. নোমান কবি নজরুল সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

‘ও ফিরল না’

কামরুল জানান, ১৯ জুলাই সকালে তিনি জ্বর ও প্রচণ্ড মাথাব্যথায় শয্যাশায়ী ছিলেন। জুমার আজানের আগে গোসল করে নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত শরীর খারাপ লাগায় যেতে পারেননি।

কিন্তু নাঈম সেদিন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার মা জিজ্ঞাসা করেন, নাঈম কোথায়? কামরুল তখন জানান, তিনি কিছুই জানেন না।

বিকেল ৪টার দিকে ছেলের ফেরার অপেক্ষায় ব্যাকুল হয়ে পড়েন মাহমুদা। তখন যাত্রাবাড়ীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিল।

‘ওর মা আমাকে বলল, 'তুমি একবার বেরিয়ে দেখো, ছেলেটা কোথায়?' আমি তখন বললাম, শরীর ভালো না। কিন্তু ওর অনুরোধে বাড়ির মালিকের সহায়তায় বের হই,’ বলেন কামরুল।

কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছে দেখেন, চারদিক নিস্তব্ধ। অথচ সকালেই ছিল তুমুল উত্তেজনা। তিনি জানতেন না, কয়েক ঘণ্টা আগেই সেখানে রক্ত ঝরেছে, যেখানে তার ছেলেসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

‘কেউ বলল, গুলি চলেছে। কিন্তু আমি তখনি ভাবছিলাম, নাঈম তো আন্দোলনে যায় না। পরে বুঝলাম, ও আসলে গোপনে আন্দোলনে যেত,’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন তিনি।

নাঈমকে না পেয়ে বাসায় ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কামরুল, কিন্তু তার মা ছেলের খোঁজে অস্থির হয়ে ওঠেন।

‘রক্তের বন্যায় লাশ, কিন্তু নাঈম কোথাও নেই’

রাত ১২টায় কারফিউ জারি হলেও তারা রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী ও ডেমরার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ছেলের সন্ধান করেন। কিন্তু কোথাও পাননি।

অবশেষে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যান কামরুল। হাসপাতালের প্রতিটি কর্নারে আহতদের মাঝে খুঁজতে থাকেন নাঈমকে।

‘আমরা ভাবছিলাম, হয়তো ও আহত বা গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু তখনো জানতাম না, ও বেঁচে নেই,’ বলেন কামরুল।

হাসপাতালের কর্মীরা জানান, ১৯ জুলাই সেখানে ১০০০-১৫০০ আহত ভর্তি হয়েছিল। আহতদের মধ্যে খুঁজে না পেয়ে তারা মর্গে যান।

‘আমি ৮০-৯০টি লাশ পড়ে থাকতে দেখলাম, কিন্তু নাঈমকে পেলাম না। মর্গ ছিল রক্তে ভরা। তখন আমি নিশ্চিত হলাম, আমার ছেলে বেঁচে আছে। কারণ, সে লাশের মাঝে নেই,’ বলেন তিনি।

এমন সময় বাড়ির মালিক ফোন করে জানান, নাঈমের খোঁজ পাওয়া গেছে। কিছুক্ষণ আশা জেগে উঠলেও পরের কথায় সব শেষ হয়ে যায়— ‘নাঈম মারা গেছে।’

রাকিব নামে এক ছেলে গুলিবিদ্ধ নাঈমকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং নিজের নামে ভর্তি করায়, কারণ সে তখনও নাঈমের পরিচয় জানত না।

কামরুল আবার মর্গে ফিরে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফ্রিজিং মর্গে ছেলের নিথর দেহ খুঁজে পান। স্ত্রী ও অন্যরা সেটি দেখে জ্ঞান হারান।

সন্ধ্যা ৬টায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিয়ে বরিশালের নলছিটি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে যান। পরদিন সকালে পারিবারিক কবরস্থানে নাঈমকে দাফন করা হয়।

‘বিচার চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’

নাঈমের মা মাহমুদা পারভীন এখনও ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।‘ সেদিন সকালে ছেলেটা মজার কথা বলেছিল। জানতাম না, ওর জীবনের শেষ সকাল,’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন তিনি।

‘বাড়ির প্রতিটি কোণে ওর স্মৃতি। দরজায় কেউ নক করলেই মনে হয়, নাঈম এসেছে। এখনও প্রতিদিন দুপুর ৩টায় ওর ফেরার অপেক্ষায় বসে থাকি,’ বলেন কান্নায় ভেঙে পড়া এই মা।

ছেলের পড়ার টেবিল দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ওর বই, কম্পিউটার, সাউন্ডবক্স, টেবিল ফ্যান সব যেমন ছিল, তেমনই আছে। আমি কিছুই সরাতে পারিনি।’

নাঈমের পরিবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। ‘আমি শেখ হাসিনাসহ আমার ছেলেকে হত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদের ফাঁসি চাই। গুলি করে ওদের শরীর ঝাঁঝরা করে ফেলা হোক, যাতে ওরা মৃত্যুর আগে সেই যন্ত্রণা বোঝে,’ রাগে-ক্ষোভে বলেন, মাহমুদা পারভীন।

'স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে গিয়ে আমার মৃত্যু হলে খুনি হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত তোমরা আমার লাশ ঘরে আনবে না।'কথাগুলো ঐতিহ...
13/03/2025

'স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে গিয়ে আমার মৃত্যু হলে খুনি হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত তোমরা আমার লাশ ঘরে আনবে না।'

কথাগুলো ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের শহীদ টঙ্গি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফাহমিন জাফরের। কাঁদতে কাঁদতে বাসসকে একথা জানান তার মা শিল্পী বানু।

ফাহমিন জাফর চব্বিশের ১৮ জুলাই বন্ধুদের সাথে ঢাকার উত্তরা এলাকায় ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে উত্তরার একটি মার্কেটের সিড়িতে লুটিয়ে পড়েন।

সহযোদ্ধা বন্ধুরা তাকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফাহমিন। ছররা গুলিতে সারাশরীর ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল তার।

ফাহমিন জাফর নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বাবা-মার চার সন্তানের মধ্যে ফাহমিন ছিলেন সবার ছোট। বুয়েটে পড়াশোনা করার ইচ্ছা বুকে নিয়ে মা শিল্পী বানুর সাথে ঢাকায় মামার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত ফাহমিন।

শহীদ জননী শিল্পী বানু বলেন, জাফরের জন্ম হয়েছিল ১০ জুলাই ২০০৬ সালে। সেই জুলাই মাসেই আমার বুকের মানিককে আমার কোল খালি করে রক্তপিপাসা নিবৃত্ত করেছে খুনি হাসিনা।

এ পর্যায়ে জাফরের মা আবেগ-আপ্লুত হয়ে বলতে থাকেন, জাফরের গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সেদিন হাসিনার পেটোয়া বাহিনীর সদস্যরা আমাকে পদে-পদে বাধা দেয় এবং অশালীন আচরণ করে।

তিনি আরও বলেন, তারপরেও আমি পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করে হাসপাতালে পৌঁছে দেখি আমার বাবুটা (জাফর) আর নেই। ওই দিন ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক তাকে দ্রুত লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়া দিয়ে বলেন দেরি করলে পুলিশ আপনার ছেলের লাশ গায়েব করে দিতে পারে।

পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া আমার বাবুর দেহখানার কথা মনে পড়লে আমি ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না। আমি আমার বাবুসহ অন্যসব মায়ের কোল খালি করা সন্তান হত্যার বিচার চাই এবং খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।

শহীদ ফাহমিন জাফরের বাবা শেখ আবু জাফর বাসসকে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে পরিবারের হাল ধরতে চেয়েছিল ফাহমিন। ১৮ জুলাই ছেলের সাথে সকাল ১০টায় মুঠোফেনে শেষ কথা হয় তার।

ফাহমিনের বাবা বলেন, জানতে চাই কোথায় আছে সে, উত্তর দেয় আন্দোলনে আছি। বাবা তাকে তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে যেতে বলেন। 'ফিরল ঠিকই তবে লাশ হয়ে,' দীর্ঘশ্বাস ফেলেন তিনি।

জাফরের ফোনের শেষ কললিস্টে ছিল তার বাবার নাম্বার। কেউ একজন ওই নম্বরে ফোন করে জানায়, ফাহমিন এক্সিডেন্ট করেছে। জরুরিভাবে আপনারা হাসপাতালে আসেন।
‘মারা গেলে হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমার লাশ আনবে না’ : শহীদ ফাহমিন জাফর

জাফরের বাবা ওই সময় রাজশাহীর বাসায় অবস্থান করছিলেন। তিনি ঢাকায় জাফরের মা শিল্পী বানু এবং জাফরের মামা মোক্তাদিরকে ফোন করে তাড়াতাড়ি উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে যেতে বলেন।

হাসপাতালে গিয়ে জাফরের লাশ বেডে পড়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। মা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওই রাতেই তারা জাফরের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।

পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা পারিবারিক কবরস্থানে ফাহমিন জাফরের লাশ দাফন করা হয়। গ্রামবাসী শহীদ জাফরের জন্য দোয়া করার পাশাপাশি তার খুনিদের বিচার দাবি করেন।

আত্রাইয়ের তারাটিয়া গ্রামে বসবাসরত ফাহমিন জাফরের চাচি সাথি বেগম এবং চাচা শেখ মসির উদ্দীন বাসসকে বলেন, জাফরের বাবা চাকরি সূত্রে পরিবার নিয়ে রাজশাহীতে বসবাস করেন।

তারা আরও বলেন, জাফরকে গ্রামের ছোট বড় সবাই ভালবাসত। সে ছিল শান্ত প্রকৃতির। মেধাবী জাফরের লেখাপড়া করে অনেক বড় হওয়ার ইচ্ছা ছিল। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে সে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসত। সে সময় ও সবার আপন হয়ে যেত।

08/03/2025

সুমাইয়া। তার স্বামী আবুল হলুদ মরিচের গুড়া আর মসলার সাধারণ ব্যবসা করত কোন এক অজপাড়া গাঁয়ের বাজারে। আবুল ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছিল। সারা জীবন সে আর তার মা আরেকজনের বাড়িতে ঝি এর কাজ করত। সেই বাড়িতেই মানুষ হওয়া আবুলের। বিয়ের পর সুমাইয়াকে নিয়ে উঠে সেখানেই।

সুমাইয়ার দিকে নজর যায় এলাকার পাতি কিছু ছোখরা নেতার। তাদের দুইজন পুলিশের সোর্স আকারে কাজ করত৷ একসময় কুঁড়েঘরে থাকলেও এখন 'বাংলো বাড়ি'তে আবাস, সেই ছোখরাদের, জাস্ট পুলিশের সোর্স আকারে কাজ করে কয়েক শ আসামি ধরিয়ে বাণিজ্য করে।

পুলিশকে খবর দে সুমাইয়ারা 'রাষ্ট্রবিরোধী'। এক মধ্য রাতে পুলিশ আসে, বাইরে তালা মেরে ভেতর থেকে সুমাইয়াদের বের হতে বলে। বের হতে চাইলেও বের হতে পারেনা সুমাইয়া। ফোনে মাকে শুরুতে ফেলেও আর পরে পায়নি সুমাইয়া নেটওয়ার্ক জ্যামে।

সুমাইয়ার দেড় বছরের মেয়ে ছররা গুলিতে বিধ্বস্ত হয়, সুমাইয়ার বাম পায়ে গু/লি করে পংগু। বড় মেয়েটা নানীর কাছে থাকায় বেঁচে যায়। আবুলকে সেখানেই মেরে ফেলে। সুমাইয়াকে ধরে তিন ঘন্টা দূরে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

সুমাইয়া সে সময়ে আবার আড়াই মাসের প্র‍্যাগনেন্ট। টানা তিন মাস হাসপাতালে চিকিতসা নেয় সুমাইয়া, চিরতরে পংগু সে। এরপর সোজা জেলখানা। জেলখানায় তখনও ডিজএবিলিটি রাইটস বলে কিছু নেই, সুমাইয়ার কোন হ্যান্ডস্ট্রেচার নেই। বারবার জেলখানার রুম থেকে ওয়াশরুমে নেয়া ঝামেলা, ফলে জেলখানায় সুমাইয়ার জায়গা হয় বাথরুমের ঠিক সামনে। যাতে নিজ থেকে-ই যেতে পারে আসতে পারে।

জোর করে একদিন সুমাইয়ার সি সেকশন হয়, যদিও আগের দুই বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি। বাচ্চা হওয়ার পর নিজের পংগুত্ব নিয়ে ছোট নবজাতক নিয়ে টানা ৯মাস কারাগারের প্রকোষ্ঠে থাকে সুমাইয়া।

'উর্দি পরা' বিচারকেরা আবার জামিন দিবে? না জামিনও হয় নাই সেইসব উর্দি পরা বিচারকদের কাছে। সুমাইয়ার স্বামী আবুলকে বিচার-বহির্ভূত হত্যার পর ছাত্রদলের এক নেতাকে না পেয়ে তার দুই ভাইকে জড়ানো হয় এই ঘটনায়, এবং দুইজনকেই সেই রাষ্ট্রদ্রোহি তকমা দিয়ে না-ই করা হয়।

সুমাইয়া ছোট সন্তান নিয়ে দীর্ঘ ১৬মাস পর জামিন পায়। বেচারির জীবন লন্ডভন্ড। স্বামীটা বেঁচে নেই। স্বামীর ভিটাটাও নেই। মেঝো মেয়েটা কয়েকশো স্প্লি/ন্টার নিয়ে এখনো বেঁচে আছে। বড় আর ছোট মেয়েটা এখনও জানেনা তাদের জীবন বলে কিছু আছে কি বাংলাদেশে। আমি যেদিন সুমাইয়ার সাথে দেখা করতে যাই স্বামীর কথা বলতেই মুর্চা যায়। এখনও এই পংগু শরীর নিয়ে খুঁজে আবুলকে সুমাইয়া..... চারটা মেয়ে এই রাষ্ট্রে অপাংতেয় এখন...বেঁচে আছে কোন ভাবে।

“অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষ...
02/03/2025

“অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার! ✊🇧🇩”

28/01/2025
27/01/2025
24/01/2025
23/01/2025
21/01/2025

শরীরে ৭৫টি গুলি নিয়ে শহিদ হন সেলিম

শহিদ জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধাবয়স: ৫১ বছরপেশা! ভ্যান চালকঘটনাস্থল: যাত্রাবাড়ি, ঢাকামৃত্যু তারিখ: ১৯ জুলাই, ২০২৪গ্রাম: দ্বিপাশ...
16/01/2025

শহিদ জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা

বয়স: ৫১ বছর
পেশা! ভ্যান চালক
ঘটনাস্থল: যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
মৃত্যু তারিখ: ১৯ জুলাই, ২০২৪
গ্রাম: দ্বিপাশা, মদনপুরা, বাউফল, পটুয়াখালি

শহিদ জাহাঙ্গীর হোসেন বের হইছিলেন গাড়ি নিয়ে সবজি বিক্রি করতে। মাঝে ছাত্রদেরকে আন্দোলন করতে দেখে পানি পান করানোর জন্য গিয়েছিলেন। ওখানেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে তার মাথার মগজ ছিটকে বাইর হয়ে যায়।

Address

Dhaka
1213

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when 36 July posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share