তাকওয়া রুকইয়াহ সেন্টার

তাকওয়া রুকইয়াহ সেন্টার ❝রুকইয়াহ ও হিজামা সেন্টার❞
জ্বীন, যাদু, বদ নজর ইত্যাদি সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করা হয়।
https://www.youtube.com/

26/09/2025

বিড়ালের উপর রুকইয়াহ'র প্রভাব।

 #সুলাইমান (আঃ)-এর দোহাই: জিনের সাহায্যে চিকিৎসার নামে প্রচলিত ভন্ডামির দলিলভিত্তিক জবাব। #একটি ভ্রান্তির নিরসনইসলামী সম...
24/09/2025

#সুলাইমান (আঃ)-এর দোহাই: জিনের সাহায্যে চিকিৎসার নামে প্রচলিত ভন্ডামির দলিলভিত্তিক জবাব।

#একটি ভ্রান্তির নিরসন

ইসলামী সমাজে মাঝে মাঝেই কিছু চর্চা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। এমনই একটি বিষয় হলো—জিনের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করা বা অদৃশ্য জগতের খবর জানার দাবি। সম্প্রতি কিছু আলেমও নবী সুলাইমান (আঃ)-এর ঘটনাকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করে এই চর্চাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই আমাদের এই লেখাটির উদ্দেশ্য হলো কুরআন, সুন্নাহ এবং অকাট্য যুক্তির আলোকে এই দাবির ব্যবচ্ছেদ করে এর পেছনের ভণ্ডামি ও ঈমানবিধ্বংসী দিকগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা।

#মূল দলিলের ব্যবচ্ছেদ: সুলাইমান (আঃ)-এর ঘটনার ভুল ও খণ্ডিত উপস্থাপন!

যারা জিনের সাহায্য নেওয়াকে জায়েজ বলেন, তাদের প্রধান একটি দলিল হলো নবী সুলাইমান (আঃ) জিনদের দ্বারা বিভিন্ন বৈধ কাজ করিয়ে নিতেন। কিন্তু একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলেই এই দলিলের অন্তঃসারশূন্যতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

১/ মূল বিভ্রান্তি: 'আদেশ করা' আর 'সাহায্য চাওয়া' এক নয়

এই যুক্তির সবচেয়ে বড় এবং মৌলিক ভুল হলো 'কর্তৃত্বের সাথে আদেশ করা' (التسخير) এবং 'সাহায্য প্রার্থনা করা' (الاستعانة)—এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়কে এক করে ফেলা।

সুলাইমান (আঃ)-এর অবস্থান ছিল শাসকের: আল্লাহ তা'আলা সুলাইমান (আঃ)-কে জিন ও শয়তানদের ওপর রাজত্ব ও কর্তৃত্ব দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন তাদের শাসক। তিনি জিনদের কাছে কোনো কিছু 'চাইতেন' না বা তাদের 'সাহায্য প্রার্থনা' করতেন না; বরং তিনি তাদের আদেশ করতেন, আর জিনেরা সেই আদেশ মানতে বাধ্য ছিল। ঠিক যেমন একজন রাজা তার প্রজাদের আদেশ করেন। এটি ছিল আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতার প্রদর্শন ও বাস্তবায়ন।

আজকের #কবিরাজের অবস্থান হলো সাহায্যপ্রার্থীর:

অন্যদিকে, আজকের দিনের কবিরাজ বা জিন-হুজুরদের জিনদের ওপর কোনো ঐশ্বরিক কর্তৃত্ব নেই। তারা জিনদের আদেশ করতে পারে না। বরং তাদের সাহায্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শিরকি ও কুফরি পদ্ধতির মাধ্যমে জিনদের কাছে সাহায্য চাইতে হয়, তাদের সন্তুষ্ট করতে হয় বা তাদের সাথে কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হয়।

সুতরাং, সুলাইমান (আঃ)-এর আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতার মাধ্যমে জিনদের আদেশ করা আর একজন সাধারণ মানুষের জিনদের কাছে সাহায্য চাওয়া—এ দুটি বিষয়কে এক করে দলিল দেওয়া একটি সুস্পষ্ট প্রতারণা। একটি হলো ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখর, অন্যটি হলো শিরকের গভীর গহ্বর।

২/ এটি ছিল একটি বিশেষ মু'জিজা, সাধারণ বিধান নয়

আরও একটি সবচেয়ে বড় এবং মৌলিক কথা হলো, জিন ও শয়তানের ওপর কর্তৃত্ব ছিল আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে সুলাইমান (আঃ)-কে দেওয়া একটি বিশেষ মু'জিজা (অলৌকিক ক্ষমতা), যা অন্য কোনো মানুষের জন্য নয়।

এটি কোনো সাধারণ বিধান ছিল না যে, যে কেউ চাইলেই তা অনুসরণ করতে পারবে। স্বয়ং সুলাইমান (আঃ) আল্লাহ্‌র কাছে এমন এক রাজত্বের জন্য দোয়া করেছিলেন যা আর কাউকে দেওয়া হবে না।

আল্লাহ তা'আলা তাঁর এই দোয়া কুরআনে উল্লেখ করেছেন:

قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَّا يَنبَغِي لِأَحَدٍ مِّن بَعْدِي إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

অর্থ: "সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন, যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভা পাবে না। নিশ্চয় আপনিই মহাদাতা’।" (সূরা সোয়াদ, ৩৮:৩৫)

আল্লাহ তাঁর এই দোয়া কবুল করেছেন। এখানে "আমার পরে আর কারো জন্য শোভা পাবে না" কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ক্ষমতা ও রাজত্বকে স্বয়ং একজন নবী আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর জন্য খাস করে চেয়ে নিয়েছেন এবং আল্লাহ তা কবুলও করেছেন, সেই বিশেষ ক্ষমতাকে সাধারণ মানুষের জন্য একটি সাধারণ বিধান বা জায়েজ হওয়ার দলিল হিসেবে পেশ করাটা কুরআন ও নবুয়তের ধারণার সাথেই সাংঘর্ষিক। এটি একটি খণ্ডিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দলিল।

৩/ তিনি শয়তানকেও কাজে লাগাতেন: একটি আত্মঘাতী যুক্তি

যারা সুলাইমান (আঃ)-এর ঘটনাকে দলিল দেন, তারা একটি মারাত্মক বিষয় এড়িয়ে যান। তিনি শুধু ভালো জিন নয়, বরং অবাধ্য ও দুষ্ট শয়তানদেরকেও আল্লাহ্‌র হুকুমে কঠিন কাজে বাধ্য করতেন।

আল্লাহ তা'আলা বলেন:

وَالشَّيَاطِينَ كُلَّ بَنَّاءٍ وَغَوَّاصٍ

অর্থ: "আর সকল শয়তানকে (তার অধীন করে দিয়েছিলাম), যারা ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরি।" (সূরা সোয়াদ, ৩৮:৩৭)

এখন প্রশ্ন হলো, যদি সুলাইমান (আঃ)-এর কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের জন্য বৈধতার দলিল হয়, তাহলে কি এখন শয়তানের সাহায্য নিয়ে "ভালো কাজ" করাও বৈধ হয়ে যাবে? কোনো আলেম কি শয়তানের সাহায্য নিয়ে মসজিদ বানানোর ফতোয়া দেবেন? নিঃসন্দেহে না।

এই যুক্তিটিই প্রমাণ করে যে, তাঁর ঘটনাটি ছিল আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে একটি ব্যতিক্রমী ও বিশেষ অবস্থা, যা অন্য কারো জন্য অনুসরণীয় নয়।

৪/ মূল ঘটনায় চিকিৎসার কোনো উল্লেখই নেই

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, যারা চিকিৎসার জন্য জিনের সাহায্য নেওয়াকে জায়েজ করতে সুলাইমান (আঃ)-এর ঘটনার দলিল দেন, তারা এমন একটি বিষয়কে প্রমাণ করতে চাইছেন যা মূল ঘটনাতেই অনুপস্থিত।

কুরআন ও হাদিসে কোথাও একটিবারের জন্যও উল্লেখ নেই যে, সুলাইমান (আঃ) জিনদের মাধ্যমে মানুষের রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা করতেন। বরং তিনি তাদের দিয়ে বিশাল বিশাল দালান নির্মাণ, সমুদ্রের গভীর থেকে মনি-মুক্তা আহরণ এবং অন্যান্য কঠিন কাজ করাতেন।

সুতরাং, যে কাজটি তিনি করেননি, সেই কাজের বৈধতা প্রমাণের জন্য তাঁর ঘটনাকে দলিল হিসেবে পেশ করা একটি নির্জলা মিথ্যাচার ও প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

#আমাদের চূড়ান্ত আদর্শ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাহ এ বিষয়ে কী বলে?

যেকোনো বিষয়ে হালাল-হারামের চূড়ান্ত ফয়সালা নেওয়ার জন্য আমাদের তাকাতে হবে সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সুন্নাহর দিকে। তিনি কি এই কাজটি করেছেন, করতে বলেছেন, অথবা অনুমোদন দিয়েছেন?

১/ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি জিনকে ব্যবহার করেননি!

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জিনদের ওপর নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ছিল। একবার নামাজের সময় একটি দুষ্ট ইফরিত জিন তাঁকে বিরক্ত করলে তিনি তাকে ধরে ফেলেন।

তিনি বলেন:

فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبِطَهُ إِلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ حَتَّى تُصْبِحُوا وَتَنْظُرُوا إِلَيْهِ أَجْمَعُونَ، فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِي سُلَيْمَانَ ‏"‏رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي‏"‏ فَرَدَدْتُهُ خَاسِئًا

অর্থ: "আমি ইচ্ছা করলাম যে, তাকে মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখি যাতে তোমরা সকালে সকলে তাকে দেখতে পারো। কিন্তু তখন আমার ভাই সুলাইমান (আঃ)-এর দোয়া স্মরণ হলো: ‘হে আমার রব, আমাকে এমন রাজত্ব দান করুন, যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভা পাবে না।’ তখন আমি তাকে লাঞ্ছিত অবস্থায় ছেড়ে দিলাম।" (সহীহ বুখারী, ৩৪২৩)

এই হাদিসটি একটি শক্তিশালী দলিল। রাসূল (ﷺ)-এর ক্ষমতা ছিল, কিন্তু তিনি সুলাইমান (আঃ)-এর দোয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে জিনকে কোনো ব্যক্তিগত বা সামাজিক কাজে ব্যবহার করা থেকে বিরত থেকেছেন। তাঁর এই বিরত থাকাটাই (সুন্নাতে তারকিয়্যাহ) উম্মতের জন্য একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা যে, এই দরজাটি বন্ধ।

২/ নিজের কঠিনতম বিপদেও তিনি জিনের সাহায্য চাননি!

ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে কঠিন যাদু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এটি ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম বড় একটি পরীক্ষা। তখন তিনি কী করেছিলেন?

তাঁর তো এমন অনেক মুসলমান ও অনুগত সাহাবী জিন ছিলেন, যাদের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিতভাবে জানতেন যে তারা ভালো এবং বিশ্বস্ত। তিনি কি তাদের কাউকে ডেকে বলেছিলেন, "দেখো তো, কে আমার উপর যাদু করেছে?" বা "এই যাদুর প্রভাব নষ্ট করে দাও"?

না, কখনই না। একটি দুর্বল বর্ণনাতেও এমন কিছু পাওয়া যায় না। তিনি কেবল আল্লাহ্‌র উপর পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল করেছেন, অবিরাম দোয়া করেছেন এবং আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে ওহীর (সূরা ফালাক ও নাস) মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করেছেন।

অতএব: যদি কোনো বিশ্বস্ত জিনের সাহায্য নেওয়া সামান্যতমও জায়েজ হতো, তবে তিনি নিজের সবচেয়ে কঠিন বিপদের মুহূর্তে সেই পথ অবলম্বন করে উম্মতের জন্য একটি উদাহরণ রেখে যেতেন। তিনি তা করেননি, আর তাঁর এই না করাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় দলিল ও অনুসরণীয় সুন্নাহ।

#ভণ্ডামির স্বরূপ উন্মোচন: যৌক্তিক ভ্রান্তি ও গোঁজামিল

শরীয়তের দলিলের পাশাপাশি সাধারণ যুক্তি দিয়েও এই হারাম চর্চার অসারতা প্রমাণ করা যায়।

১/ একটি কুযুক্তি: ডাক্তার আর জিন কি এক?

অনেকে যুক্তি দেন, "মানুষ ডাক্তারের সাহায্য নিতে পারলে, জিনের সাহায্য নিতে সমস্যা কোথায়?" এটি একটি অত্যন্ত দুর্বল ও ভ্রান্ত তুলনা। কেন?

কারণ: ডাক্তার একজন দৃশ্যমান মানুষ। আমরা তার সার্টিফিকেট, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, সুনাম এবং চরিত্র সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যাচাই করতে পারি। তার চিকিৎসা পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করা যায়।

কিন্তু: জিন অদৃশ্য। সে কি মুসলমান নাকি কাফের, ভালো নাকি খারাপ, সত্যবাদী নাকি প্রতারক—তা নিশ্চিতভাবে জানার কোনো উপায় মানুষের নেই। তার দেওয়া তথ্যকে ওহী হিসেবে মেনে নেওয়া বা তার কথাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না।

সুতরাং, একজন যাচাইযোগ্য মানুষের সাহায্য আর এক অদৃশ্য ও রহস্যময় সত্তার সাহায্যের তুলনা করাটা একটি সুস্পষ্ট গোঁজামিল।

#ভণ্ডদের দ্বিচারিতা: কেন শুধু চিকিৎসার ক্ষেত্রেই জিনেরা পারদর্শী?

একটি বিষয় লক্ষ্য করলে ভণ্ডামি স্পষ্ট হয়ে যায়। কথিত জিন-হুজুর ও কবিরাজরা দাবি করেন, তাদের জিনেরা রোগ নির্ণয় করতে পারে, যা মানুষের জন্য প্রায় অসম্ভব।

কিন্তু সুলাইমান (আঃ)-এর জিনেরা তো দালান বানাতো, সাগর থেকে মুক্তা আনতো। আজকের জিনেরা কেন তাদের হুজুরদের জন্য একটি বিল্ডিং বানিয়ে দেয় না? কেন তারা মাটি খুঁড়ে সোনা এনে দেয় না বা তাদের মনিবের জন্য ডুব দিয়ে মুক্তা নিয়ে আসে না?

এইসব দৃশ্যমান ও বৈধ কাজে তারা অক্ষম, কিন্তু অদৃশ্য ও যাচাই করার সুযোগ নেই এমন চিকিৎসার ক্ষেত্রেই তাদের সব ক্ষমতা! এর কারণ হলো, এখানে তাদের প্রতারণা ধরার কোনো সুযোগ নেই। এই দ্বিচারিতাই প্রমাণ করে যে, "ডাল মে কুচ কালা হ্যায়"।

#শিরকের গোপন ফাঁদ এবং ইসলামের সুস্পষ্ট সমাধান

১/ এটি শিরকের একটি গোপন দরজা

জিনের সাহায্য নেওয়ার বিষয়টি কেবল জায়েজ বা নাজায়েজের মাস'আলা নয়, এটি সরাসরি ঈমান ও আকিদার সাথে জড়িত। জিনকে বশ করার জন্য বা তার সাহায্য পাওয়ার জন্য কবিরাজদের প্রায়ই আল্লাহ্‌র সাথে শিরক করতে হয়। যেমন: জিনের নামে পশু জবাই করা, নাপাক স্থানে কুরআনের আয়াত লেখা, অশ্লীল ও ফাহেশা কাজের মত কবিরা গুনাহের মধ্যে লিপ্ত হওয়া যেমন: জিনা করা। এবং নিষিদ্ধ মন্ত্র পাঠ করা ইত্যাদি। এই কাজগুলো একজন মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।

২/ ইস্তিদরাজ (শয়তানি সফলতা): অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, "তাহলে কিছু কবিরাজের কথা ফলে যায় কীভাবে?" ইসলামী পরিভাষায় একে 'ইস্তিদরাজ' বলা হয়। অর্থাৎ, আল্লাহ তা'আলা কোনো পাপী বা পথভ্রষ্ট ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে কিছু সফলতা দেন, যাতে সে তার গোমরাহিতে আরও গভীরে ডুবে যায় এবং তার বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌র প্রমাণ চূড়ান্ত হয়। জিনদের দেওয়া কিছু আংশিক সত্য তথ্য এই ইস্তিদরাজের অংশ, যা দেখে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়।

৩/ ইসলামের পরিপূর্ণ সমাধান: #রুকইয়াহ শারইয়াহ

ইসলাম আমাদের কোনো সমস্যার ক্ষেত্রেই সমাধানহীন রাখেনি। যাদু, বদনজর বা জিন সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ইসলাম আমাদের "রুকইয়াহ শারইয়াহ"-এর বিধান দিয়েছে, যা সরাসরি কুরআন ও হাদিস থেকে নেওয়া দোয়া ও পদ্ধতির মাধ্যমে করা হয়। যেখানে আল্লাহ নিজেই একটি পবিত্র, শক্তিশালী ও নিরাপদ সমাধান দিয়েছেন, সেখানে জিনের মতো একটি অদৃশ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ সত্তার কাছে সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন কেন হবে?

#শেষ ও চূড়ান্ত কথা হিসেবে যা বলতে চাই:

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে এটি অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে:

১. সুলাইমান (আঃ)-এর ঘটনা একটি বিশেষ মু'জিজা, যা সাধারণ মানুষের জন্য দলিল নয় এবং এতে জিনের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা বৈধ হওয়ার কোনো প্রমাণও নেই।

২. আমাদের নবী (ﷺ) নিজে বিপদে পড়ে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জিনের সাহায্য নেননি, আর এটাই আমাদের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় পথ।

৩. চিকিৎসার নামে জিনের সাহায্য চাওয়ার দাবিটি প্রতারণামূলক, ঝুঁকিপূর্ণ এবং হারাম, কুফর ও শিরকের সাথে জড়িত।

সুতরাং, চিকিৎসার জন্য জিনের সাহায্য নেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ।

অসুস্থ হলে আমাদের করণীয় হলো: ধৈর্যধারণ করা, আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করা, অভিজ্ঞ রাকীর নিকট থেকে রুকইয়াহ শারইয়াহ এর মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনে সৎ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তারের পরামর্শ ও তার নিকট থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করা। এটাই নিরাপদ, বরকতময় এবং একমাত্র সঠিক পথ।

বদ নজরের শক্তি শালী রুকইয়াহ নিয়মিত শুনুন ইনশাআল্লাহ বদ নজর কেটে যাবে।
23/09/2025

বদ নজরের শক্তি শালী রুকইয়াহ নিয়মিত শুনুন ইনশাআল্লাহ বদ নজর কেটে যাবে।

Enjoy the videos and music you love, upload original content, and share it all with friends, family, and the world on YouTube.

22/09/2025

রুকইয়াহ শারইয়াহ

🌍শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বে চলছে এই ভয়ংকর যাদু!পরিবার ভাঙন, অসুস্থতা, অশান্তি আর ক্ষতির আড়ালে লুকিয়ে আছে এ শয়তানি ফাঁ...
21/09/2025

🌍শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বে চলছে এই ভয়ংকর যাদু!
পরিবার ভাঙন, অসুস্থতা, অশান্তি আর ক্ষতির আড়ালে লুকিয়ে আছে এ শয়তানি ফাঁদ।

🕌 আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই, রুকইয়াহ করি, কুরআন-হাদিসের আমল আঁকড়ে ধরি।

🤲 আল্লাহ আমাদের সবাইকে যাদু ও শয়তানি শক্তি থেকে হেফাজত করুন।
রাক্বী হাঃ মাওঃ মাহদী হাসান মাদানী
#যাদু #রুকইয়াহ #বদনজর #হিফাজ

✅ রুকইয়াহ করার সময় করণীয় ও বিশ্বাস:আরোগ্য কেবলমাত্র আল্লাহর হাতে, অন্য কারও হাতে নয়।রুকইয়াহ করার সময় শুধু আল্লাহর নাম ও ...
19/09/2025

✅ রুকইয়াহ করার সময় করণীয় ও বিশ্বাস:

আরোগ্য কেবলমাত্র আল্লাহর হাতে, অন্য কারও হাতে নয়।

রুকইয়াহ করার সময় শুধু আল্লাহর নাম ও গুণাবলি ব্যবহার করতে হবে।

ফেরেশতা, নবী বা অন্য কারও নাম ব্যবহার করা যাবে না।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওপর দরুদ পাঠ বৈধ, কারণ এটা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।

রুকইয়াহতে যেন শির্কের কোনো কিছু না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

📖 হাদিসে এসেছে:
“যে রুকইয়াহতে শির্ক নেই, তাতে কোনো সমস্যা নেই।”
(সহিহ মুসলিম, আনফু বিন মালিক আল-আশআরী রা.)

রাক্বী হাঃ মাওঃ মাহদী হাসান মাদানী

🧿 বদ নজরের রুকইয়াহ : এক বাস্তব সত্যরাসূল ﷺ বলেছেন:“বদ নজর সত্য।” (সহিহ মুসলিম)হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়াঅকারণে মাথাব্যথা, দুর্ব...
18/09/2025

🧿 বদ নজরের রুকইয়াহ :

এক বাস্তব সত্য
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“বদ নজর সত্য।” (সহিহ মুসলিম)

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া
অকারণে মাথাব্যথা, দুর্বলতা
ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি হওয়া
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অকারণে ঝগড়া
সন্তানের পড়াশোনায় অগ্রগতি থেমে যাওয়া
অকারণে চোখে বা মনে অস্বস্তি
🔑 বাঁচার উপায়
আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা
সকাল-সন্ধ্যা মাসনূন দোয়া ও যিকির পড়া
অন্যকে প্রশংসা করলে “ما شاء الله تبارك الله” বলা এবং নিয়মিত রুকইয়াহ করা।

Enjoy the videos and music you love, upload original content, and share it all with friends, family, and the world on YouTube.

16/09/2025

পরিবারের যাদি মা বাবার জ্বীন যাদু বদ নজরের সমস্যা থাকে তাহলে সন্তানের মধ্যেও তার প্রভাব পরে।
সব রোগির মাধ্যে এটা পাচ্ছি।

15/09/2025

দুআ চাই 🤲দ্রুত সুস্থতার জন্য।

15/09/2025
09/09/2025

🕋 জ্বীন, যাদু ও বদ নজরের আলামত 🕋

📌 ১. জ্বীনের প্রভাবের আলামতঃ

অকারণে হঠাৎ প্রচণ্ড রাগ বা দুঃখে ভেঙে পড়া

রাতে ঘুমের মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে ওঠা বা দুঃস্বপ্ন দেখা

নিজের শরীরে কিছুর উপস্থিতি অনুভব করা

একাকীত্বে ভয় পাওয়া বা কারো উপস্থিতি টের পাওয়া

নামাজ বা কুরআন তিলাওয়াতের সময় অস্বস্তি অনুভব করা

📌 ২. যাদু (কালো জাদু) এর আলামতঃ

হঠাৎ করে অজানা অসুস্থতা বা ডাক্তাররা রোগ ধরতে না পারা

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অকারণে ঝগড়া, বিচ্ছিন্নতা

রিজিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া, কাজকর্মে বারবার ব্যর্থতা

মনে মনে চাপা কষ্ট বা আত্মহত্যার চিন্তা

শরীরে ভারী ভাব বা অকারণে ক্লান্তি অনুভব করা

📌 ৩. বদ নজরের আলামতঃ

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া, যেমন বমি, মাথা ঘোরা বা জ্বর

নতুন কিছু অর্জনের পরপরই নষ্ট হয়ে যাওয়া (যেমন নতুন গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়া)

শিশুদের অকারণে কান্না করা বা অস্বাভাবিক আচরণ

সৌন্দর্য, সফলতা বা শান্তি হঠাৎ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া

শরীরে ব্যথা, অথচ কোনো রোগ ধরা না পড়া

🕯️ কি করণীয়?
✅ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়
✅ কুরআন তিলাওয়াত ও সূরা বাকারার তেলাওয়াত
✅ সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন দোয়া ও যিকর
✅ রুকিয়া শরইয়াহ চিকিৎসা করা।
✅ আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য বজায় রাখা

জিন হত্যা ও বোতলে বন্দী করার নাটক: ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ)-এর চোখে বাস্তবতা!আজকাল ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ...
08/09/2025

জিন হত্যা ও বোতলে বন্দী করার নাটক: ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ)-এর চোখে বাস্তবতা!

আজকাল ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা প্রায়ই দেখি কিছু কবিরাজ বা 'জিন হুজুর নামক চিকিৎসকেরা' জিনে আছর করা রোগীর চিকিৎসা করছেন। তারা দাবি করছেন—দুষ্ট জিনকে তারা হত্যা করছেন, বোতলে বন্দী করছেন, কিংবা পুড়িয়ে ফেলছেন। হাজার হাজার মানুষ সেই ভিডিওগুলো দেখছে এবং তাদের অলৌকিক ক্ষমতার উপর বিশ্বাস স্থাপন করছে।

কিন্তু এই ক্ষমতা কি আসল, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে ঈমান বিধ্বংসী কোনো প্রতারণা?

এই বিষয়ে আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগেই মুসলিম উম্মাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম, শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ), এমন এক গভীর বিশ্লেষণ দিয়ে গেছেন, যা আজকের এই তথাকথিত 'জিন-হুজুর নামক' কবিরাজদের সকল গোমর ফাঁস করে দেয়। আসুন, কোনো কাটছাঁট ছাড়া তাঁর পূর্ণাঙ্গ বক্তব্যটি মনোযোগ দিয়ে পড়ি।

শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ)-এর পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য

মূল আরবি ইবারত:

أَنَّ أَرْبابَ الْعَزَائِمِ مَعَ كَوْنِ عَزَائِمِهِمْ تَشْتَمِلُ عَلَى شِرْكٍ وَكُفْرٍ لَا تَجُوْزُ الْعَزِيْمَةُ وَالْقَسَمُ بِهِ فَهُمْ كَثِيْرًا مَا يَعْجِزُوْنَ عَنْ دَفْعِ الْجِنِّيِّ، وَكَثِيْرًا مَا تَسْخَرُ مِنْهُمُ الْجِنُّ إِذَا طَلَبُوْا مِنْهُمْ قَتْلَ الْجِنِّيِّ الصَّارِعِ لِلْإِنْسِ أَوْ حَبْسَهُ ، فَيُخَيِّلُوْنَ إِلَيْهِمْ أَنَّهُمْ قَتَلُوْهُ أَوْ حَبَسُوْهُ وَيَكُوْنُ ذَلِكَ تَخْيِيْلًا وَكَذِبًا، هَذَا إِذَا كَانَ الَّذِيْ يَرَى مَا يُخَيِّلُوْنَهُ صَادِقًا فِي الرُّؤْيَةِ، فَإِنَّ عَامَّةَ مَا يُعَرِّفُوْنَهُ لِمَنْ يُرِيْدُوْنَ تَعْرِيْفَهُ إِمَّا بِالْمُكَاشَفَةِ وَالْمُخَاطَبَةِ، إِنْ كَانَ مِنْ جِنْسِ عُبَّادِ الْمُشْرِكِيْنَ وَأَهْلِ الْكِتَابِ وَمُبْتَدِعَةِ الْمُسْلِمِيْنَ الَّذِيْنَ تُضِلُّهُمُ الْجِنُّ وَالشَّيَاطِيْنُ، وَأَمَّا مَا يُظْهِرُوْنَهُ لِأَهْلِ الْعَزَائِمِ وَالْأَقْسَامِ أَنَّهُمْ يُمَثِّلُوْنَ مَا يُرِيْدُوْنَ تَعْرِيْفَهُ، فَإِذَا رَأَى الْمِثَالَ أَخْبَرَ عَنْ ذَلِكَ وَقَدْ يَعْرِفُ أَنَّهُ مِثَالٌ، وَقَدْ يُوْهِمُوْنَهُ أَنَّهُ نَفْسُ الْمَرْئِيِّ .ا.هـ)

বিশুদ্ধ অনুবাদ:

"মন্ত্র-তন্ত্রের অধিকারীরা, তাদের মন্ত্রগুলোতে শিরক ও কুফর থাকা সত্ত্বেও—যেগুলো দিয়ে মন্ত্রপাঠ বা শপথ করা অবৈধ—তারা প্রায়শই জিনকে প্রতিহত করতে অক্ষম হয়। আর বহু ক্ষেত্রে জিনরা তাদের নিয়ে উপহাস করে, যখন তারা মানুষকে আছরকারী জিনকে হত্যা করতে বা বন্দী করতে বলে। তখন জিনেরা তাদের কাছে এমন ধারণা তৈরি করে যে তারা তাকে (জিনকে) হত্যা বা বন্দী করেছে, অথচ তা হয় কেবলই একটি ভ্রান্ত ধারণা ও মিথ্যা।

এটাও তখন সম্ভব, যখন সেই ব্যক্তি যা দেখে বলে দাবি করে, তা দেখায় সে সত্যবাদী হয়। কেননা, জিনেরা যাদেরকে কোনো কিছু জানাতে চায়, তাদের কাছে তা জানানোর সাধারণ পদ্ধতি হলো: যদি ব্যক্তিটি মুশরিকদের উপাসনাকারী, আহলে কিতাব কিংবা মুসলিম বিদআতিদের শ্রেণিভুক্ত হয়—যাদেরকে জিন ও শয়তানরা পথভ্রষ্ট করে—তবে তারা (জিনেরা) সরাসরি কাশফ (আধ্যাত্মিক দর্শন) ও কথোপকথনের মাধ্যমে জানায়। আর যারা মন্ত্র ও কসমের মাধ্যমে কাজ করে, তাদের সামনে জিনেরা যা জানাতে চায় তার একটি প্রতিচ্ছবি বা উদাহরণ (Model/Illusion) উপস্থাপন করে। তখন সেই ব্যক্তি প্রতিচ্ছবিটি দেখে সে বিষয়ে খবর দেয়। কখনও সে জানতে পারে যে এটি একটি প্রতিচ্ছবি মাত্র, আবার কখনও জিনেরা তাকে এই বিভ্রান্তিতে ফেলে যে, এটিই মূল বস্তু।" (উক্তি সমাপ্ত)।

সূত্র: মাজমূ'উল ফাতাওয়া (খণ্ড: ১৯, পৃষ্ঠা: ৪৬)

এই অসামান্য বক্তব্য থেকে আমরা কী শিখলাম?

আসুন, সহজ ভাষায় বুঝি আজকের ইউটিউব কবিরাজদের সাথে এই বক্তব্যের সম্পর্ক কোথায়:

১. ভিত্তিটাই শিরক ও অক্ষমতা:

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ) স্পষ্ট বলছেন, এসব কবিরাজদের মন্ত্র-তন্ত্রের ভিত্তিই হলো শিরক। আর এই শিরকের পথ অবলম্বন করেও তারা বাস্তবে জিনদের তাড়াতে অক্ষম হয়।

২. জিনদের উপহাস ও নাটক:

তিনি বলছেন, জিনরা এই কবিরাজদের সাহায্য তো করেই না, বরং তাদের বোকামি দেখে উপহাস করে। কবিরাজকে খুশি রাখতে এবং তার ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে জিনেরা ‘হত্যা’ বা ‘বন্দী’ হওয়ার একটি নাটক সাজায় মাত্র।

৩. সবই বিভ্রম, বাস্তব নয়:

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা! জিনেরা কবিরাজদের সামনে একটি ‘প্রতিরূপ’ বা ‘মিছাল’ (Illusion) তৈরি করে। অর্থাৎ, ইউটিউবে যা দেখানো হয়—জিনকে বোতলে ভরা হচ্ছে বা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে—তা বাস্তব কোনো ঘটনা নয়। এটি জিনদের তৈরি করা একটি বিভ্রম বা চোখের ধাঁধা, যা কবিরাজকে দেখানো হয় এবং সে মানুষকে তা-ই বলে বিশ্বাস করায়।

৪. প্রতারণার ভিন্ন ভিন্ন স্তর:

তিনি আরও গভীরে গিয়ে বলেছেন, শয়তান চরম পথভ্রষ্টদের (মুশরিক, বিদআতি) সাথে সরাসরি কথা বলে বা দৃশ্য দেখিয়ে (কাশফ) ধোঁকা দেয়। কিন্তু সাধারণ কবিরাজদের ক্ষেত্রে তারা কেবল একটি মডেল বা প্রতিচ্ছবি দেখায়।

৫. কবিরাজ হয় বোকা, নয়তো প্রতারক:

ইমামের কথা অনুযায়ী, এই কবিরাজ হয়তো নিজেই জিনদের এই বিভ্রমকে সত্য ভাবার মতো বোকা, অথবা সে জেনেশুনে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এই নাটক মঞ্চস্থ করছে। কোনো অবস্থাতেই সে একজন প্রকৃত মুসলিম চিকিৎসক হতে পারে না।

তাহলে সঠিক পথ কী?

ইসলামে জিনের আছর থেকে মুক্তির জন্য রয়েছে শিরকমুক্ত, পবিত্র ও শক্তিশালী পদ্ধতি, যাকে ‘রুকইয়াহ শারইয়্যাহ’ বলা হয়। এটি সরাসরি কুরআন তিলাওয়াত ও রাসূল (ﷺ) থেকে প্রমাণিত দু'আর মাধ্যমে করা হয়। এখানে কোনো নাটক নেই, জিনদের সাথে কোনো চুক্তি নেই, কোনো বিভ্রম নেই। এখানে আছে শুধু আল্লাহর কালামের শক্তি এবং তাঁর উপর পূর্ণ ভরসা।

সুতরাং, পরেরবার যখনই এমন কোনো ভিডিও দেখবেন, যেখানে জিন হত্যা বা বোতলে বন্দী করার নাটক চলছে, তখন শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ)-এর এই অসামান্য কথাগুলো স্মরণ করবেন।

লাইক-শেয়ার করে এসব শিরকি ও প্রতারণামূলক কাজের প্রচার থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যদেরও সতর্ক করুন। নিজের ঈমান বাচান।
আল্লাহ আমাদের সকলকেই সঠিক হাকিকত বুঝার তৌফিক দান করুন।

Address

Dhaka

Telephone

+8801614674973

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তাকওয়া রুকইয়াহ সেন্টার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to তাকওয়া রুকইয়াহ সেন্টার:

Share

Category