14/09/2025
দিনশেষে এসব 'ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স' এর প্রভাব ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে পড়তেছে, এটা আর অস্বীকার করার উপায় নাই। ঢাবিতেও হয়েছে, জাবিতেও হয়েছে, অন্যান্য ক্যাম্পাসগুলোর নির্বাচনেও প্রভাব পড়বে।
যে ছেলে বা মেয়ে একবার শিবির থেকে উপকার বা বেনিফিট যেটাই বলেন, পেয়েছে; সে ভোটের সময়তো মনে রাখবেই এসব।
ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স বাগছাসের দ্বারা সম্ভব না। এখানে প্রচুর পরিমাণ ফান্ডিং দরকার হয়।
এই ইকোসিস্টেম শিবিরের আছে। তাদের কোচিং সেন্টার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্ট্রং ও রিচ বিশাল এ্যালামনাই আছে, আরো আছে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাসিক চাঁদা। শিবিরের ফান্ডিংয়ে ঘাটতি থাকার কথা না কখনোই।
বাগছাসের এই পাইপলাইন নাই। এই ইকোসিস্টেম দাঁড় করাতে কমপক্ষে ১০ বছর লাগবে।
ছাত্রদল ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স করতে পারবে না। ছাত্রদল পুরোপুরি পাওয়ার পলিটিক্সের সংগঠন। সংগঠনের সদস্যদের এরকম মন-মানসিকতা গড়ে তুলতে অনেক সময় লাগবে। ঢেলে সাজাতে হবে পুরো সংগঠন।
শিবিরের রিক্রুটমেন্ট প্রসেস হাসিনার ঘোর ফ্যাসিবাদী সময়েও হয়তো বন্ধ হয়নি।
বাগছাসের এরকম স্মুথ কোনো রিক্রুটমেন্ট প্রসেস নাই।
ছাত্রদল সামনে পাওয়ারে আসতে পারে, এই আশায় বুক বেঁধে অনেক সুবিধাবাদীরা আগস্টের পরপর ছাত্রদলে ঢুকেছে। এরা সংগঠনের দু:সময়ে ছিলো না।
ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স, রিক্রুটমেন্ট প্রসেস এবং ফান্ডিং; এই তিন দিক থেকে ক্যাম্পাসগুলোতে বাগছাস এবং ছাত্রদল শিবিরের তুলনায় পিছিয়ে আছে।
ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স খারাপ নাকি মন্দ, সেটা ভিন্ন আলাপ। এটার ভালো-মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এটার প্রভাব যে ক্যাম্পাসগুলোতে বেশ ভালোভাবেই পড়েছে, সেটা সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু ইলেকশনেই দেখতে পেয়েছেন সবাই।
বাগছাস ও ছাত্রদলকে এই জিনিসগুলো নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।