25/03/2025
বসুন্ধরা সিন্ডিকেট কিভাবে আমাদের ফুটবলটাকে জিম্মি করেছে, আসুন একটু দেখি।
আজকের শুরুর একাদশে ছিলো ৬জন বসুন্ধরা কিংসের প্লেয়ার। মানে ৬০% রেখেছে। ইমরুলকে খুশী করতে!
কারা কারা ছিলো?
১. তপু বর্মণ (ডিফেন্ডার)
২. তারিক কাজী (ডিফেন্ডার)
৩. সাদ উদ্দিন (রাইটব্যাক)
৪. মজিবুর রহমান জনি (মিডফিল্ডার)
৫. শেখ মোরসালিন (ফরোয়ার্ড)
৬. রাকিব হোসেন (ফরোয়ার্ড)
এর মধ্যে তপু বর্মণ, তারিক কাজী আর রাকিব হোসেন নিয়ে কুয়েশ্চন ছিলো না। এরা ডিজার্ভিং।
কিন্তু সাদ উদ্দিন, মজিবুর রহমান জনি ও মোরসালিন এদের নিয়ে কুয়েশ্চন ছিলো। আজকের ম্যাচে কেমন খেলেছে সেই আলাপ বাদেও তাদের নিয়ে প্রশ্ন ছিলো।
শুধু মাত্র বসুন্ধরা কিংসের কোটায় তাদের ক্যাভরেরা খেলাতে বাধ্য হয়েছে।
এরপর সাব করে কাদের নামিয়েছে?
১. চন্দন রায় (বসুন্ধরা কিংস)
২. সোহেল রানা (বসুন্ধরা কিংস)
৩. ফয়সাল ফাহিম (বসুন্ধরা কিংস)
৪. সোহেল রানা সিনিয়র (বসুন্ধরা কিংস)
মানে পাঁচটা সাব করেছে, এর চারটাই বসুন্ধরা কিংসের প্লেয়ার। বুঝতে পারসেন সিন্ডিকেট টা কোথায়?
এর মধ্যে চন্দন রায় ঘরোয়া লীগে কখনোই নিয়মিত খেলে নাই। ফয়সাল ফাহিম সবচেয়ে ফ্লপ ছিলো আর সোহেল রানা সিনিয়র পরীক্ষিত লর্ড, সবাই জানে। সোহেল রানা জুনিয়রও মাঠে নামার কথা না।
কিন্তু চার চারটা ফ্রেশ লেগ নামিয়েছে, সব বসুন্ধরা কিংস সিন্ডিকেটের।
অথচ ঘরোয়া লীগে সর্বোচ্ছ গোলদাতা আল-আমিনকে নামালো না। এতো এতো মিস হয়েছে, অন্তত একটা হলেও সে কাজে লাগাতে আমি নিশ্চিত।
জামাল ভূইয়াকে না খেলানোর মতো বাতিল মাল সে হয় নাই।
আর বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার ও এই সিজনে দারুণ পারফর্ম করা কোয়াজেম শাহকে ম্যাচ শুরুর আগেই ইনজুরির দোহাই দিয়ে বাদ করে দেওয়া হয়েছে।
এই বসুন্ধরা সিন্ডিকেট কামড়ে ধরেছে আজ আমার বাংলাদেশের ফুটবলকে। এদের বিরুদ্ধে কথা বলার লোকও নাই। যেসব ফ্যান গ্রুপ গুলোকে দেখেন, বেশিরভাগেরই বসুন্ধরার নূন খেয়ে থাকে। ইমরুলের কাছে গিয়ে কিছু পয়সার জন্যে বসে থাকে।
এভাবেই বসুন্ধরা সিন্ডিকেট বাংলাদেশের ফুটবলকে কামড়ে ধরেছে।