
30/05/2025
"উই আর লুকিং ফর শত্রুজ"র ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন? বিএনপির নেতা লুতফুজ্জামান বাবর সাহেবের কথা বলছি। ভারতের আধিপত্যবাদের ঘোর বিরোধী এই লোকটা জুলাইয়ের বিপ্লবের ফলে নেহাত ভাগ্যের জুরে বেঁচে এসেছেন; নইলে গলায় দড়ি পরতেই হতো। কারামুক্তির পর থেকে রহস্যজনকভাবে লোকটার কোনো এক্টিভিটি নেই! যে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের কারণে লোকটার জীবন-যৌবনের বড় একটা সময় কারাগারে চলে গেল, সেই লোকটা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে একেবারে চুপ! অথচ, বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে ভারতের নাক গলানোর এই সময়ে তিনি চুপটি মেরে বসে থাকার কথা নয়! একজন প্রভাবশালী নেতা জেলে ফাঁ সির দড়ির অপেক্ষা করছেন, ফ্যাসিবাদের আমলে সেই নেতাকে নিয়ে বিএনপির তেমন কোনো মাথাব্যথা দেখা যায়নি। এখন মুক্তির পর সেই লোকটাকে মিউট করে রাখা হয়েছে, আর ডিসপ্লেতে শো করা হয়েছে সালাহুদ্দিন সাহেবকে। ভারতের কারণে ১৭ বছর যেই নেতা ফাঁ সির আসামি ছিলেন, তাকে সাইডে রেখে ১১ বছর যেই নেতা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের অভিজাত রিসোর্টে জামাইআদরে ছিলেন তাকেই এখন সর্বেসর্বা বানিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই সমীকরণটা বুঝে নিলে খুব সহজেই বোঝে আসবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, ভারতীয় আধিপত্যের ঘোর বিরোধী ড. খলিলুর রহমানকে নিয়ে বিএনপির কেন এত আপত্তি! ©