Bijoy Bangla

Bijoy Bangla সত্যনিষ্ঠ সংবাদ বিজয়ের অঙ্গিকার
(1)

26/07/2025

🕰️
"ঘড়ি বদলায় না শুধু সময়, বদলে দেয় মানুষটার উপস্থিতি।"
স্টাইল, আত্মবিশ্বাস আর রুচির পরিপূর্ণ প্রকাশ — এখন আপনার হাতে।
🌟 ZARAF BD থেকে উপহার দিন নিজেকে অথবা প্রিয়জনকে
একটি উন্নতমানের ঘড়ি,
যা শুধু দেখায় সময় নয় — জাগায় ভরসা, গড়ে তোলে ইমপ্রেশন।
🖤 আমাদের ঘড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
✨ উন্নতমানের বিল্ড কোয়ালিটি
💧 ১০০% ওয়াটারপ্রুফ — চিন্তামুক্ত ব্যবহার
🧲 স্টাইলিশ ও ইউনিক ডিজাইন
🎁 প্রিমিয়াম গিফট বক্স সহ
🛡️ ছয় (৬) মাসের ওয়ারেন্টি
🚚 হোম ডেলিভারি + Cash on Delivery (COD) সুবিধা
🔍 ZARAF BD কেন সেরা?
🔸 মানে কোনো আপস নয়
🔸 সীমিত কিন্তু সেরা কালেকশন
🔸 গ্রাহকের সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব
🔸 প্রতিটি ঘড়ি যাচাই করে পাঠানো হয়
🔸 বিক্রির পরও থাকছে সহানুভূতিশীল সাপোর্ট
🎯 আপনি যদি একটি ঘড়িতে খুঁজে থাকেন –
✅ মান
✅ স্টাইল
✅ গ্যারান্টি
✅ আত্মবিশ্বাস
তবে ZARAF BD হবে আপনার প্রথম এবং শেষ পছন্দ।

📞 অর্ডার করুন আজই: 01797968146
📩 মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেজে
🔗 পেজ লিংক: ZARAF BD

📌 হ্যাশট্যাগ (প্রিমিয়াম টাচ):







#ঘড়ির_গল্প
#আভিজাত্য_আপনার_হাতে
#ঘড়ি_হলো_সময়ের_দিশা
#স্টাইল_হলো_ঘড়িতে

( #পছন্দের কিছু ঘড়ির ছবি কমেন্ট বক্সে)

26/07/2025

স্ত্রী হয়ে স্বামীকে মারধর #গাজীপুর #হাইওয়ে

25/07/2025

চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আব্দুর রহমান ওরফে মেকানিক রাজুর মাদক সাম্রাজ্য।

মিলন আহমদ এর বক্তব্য...
------------------------------------------------------
সাহিন জেলে ঢোকার পর সাহিনের যায়গায় আমাকে ডুকানো হয়,তখন আমার বোন,মা,নিষেধ করছেন আমি শুনি নাই,কয়েকদিন যাওয়া পর নান্নু ভাই জেনে যান আমি রাজুর সাথে কাজ করি তখন আমাকে জিগ্যেস করেন তুই এখন কি করিছ তোর কোন কাজের দরকার নেই এখন থেকে আমার মেইলে ডিউটি করবি।তখন আমি বলি আমার ভবিষ্যত আছে,আমার টাকার দরকার,আমি সবার কথা অমান্য করে তার সাথে এতো রিস্ক নিয়ে কাজ করি,করার উদ্দেশ্য হলো রাজু আমাকে বলেছে একটা অটোরিকসা কিনে দিবে,এটা কোন সাধারণ কাজ নয় যদি ধরা পরে যেতাম তাহলে সারাজীবন জেল কাটতে হতো,আমি মাতুরতল,হাজিপুর,ইয়ারপোর্ট থেকে আমাকে ইয়াবার পেকেট আনতে হতো,কোথায় থেকে আনতে হবে কোথায় নিয়ে দিতে হবে সব কিছু আমি জানি,কিন্তু রাজু আমাকে অটোরিকশা কিনে দেয় না,কিছু দিন আগে দশ কার্টুনের একটা ইয়াবার চালান আনতে যাই আমি চালান আটকাই রাখি বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে,তখন রাজু বলে মামা তুমি পুরো চালান না নিয়ে এক কার্টুন তোমার বন্ধুদের নিয়ে ভাগবাটুরা করে নিয়ে নাও আর বাকি নয় কার্টুন ইয়াবা যায়গামতো পৌছে দাও।আমি সেখান থেকে আমার বন্ধুদের নিয়ে এক কার্টুন ইয়াবা বিক্রি করে দেই তখন রাজু আমাকে বলেছিলো তার বাচ্চার মাথায় হাত দিয়ে আমাকে অটোরিকশা কিনে দিবে।

আব্দুর রহমান ওরফে মেকানিক রাজু...
------------------------------------------------------
আমি মিলনকে কাজ দেওয়ার পর প্রথমেই বলেছি তার পরিবার থেকে বাধা আসবে।কিছুদিন তাকে টুকটাক কাজ দেই,পুলিশ পাহাড়া দেওয়া পান্তুমাই,লন্ডনী, বাজার,মাতুরতল,থেকে আনা নেওয়া,তাকে পারিশ্রমিক দুই তিন হাজার টাকা দিতাম কিন্তু তার অভ্যাস খারাপ শরিরে ডুাকাই দিতো কিছুদিন যেতে না যেতেই তার বোন,মা,ভাই ফোন দিয়ে বললো তাকে এই কাজে না নিতে,কিন্তু মিলন তো পিছু ছাড়েনা হঠাৎ একটা লাইন আসলো এয়ারপোর্টের দিকে তখন মিলন বললো মামা এই টাকায় আমার হয়না,তখন আমি বললাম একটা সুযোগ আছে তুমি গাড়ির সাথে যাবে প্রতি টিপে তুমাকে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা দেওয়া হবে।আমি ড্রাইভার কে বলছি উনি আমার মামা হয়,যতো দ্রুত সম্ভব তাকে ড্রাইভার বানাবে।দুঃখের বিষয় প্রথম টিপে তার ভাই ফোন দিয়ে আমাকে বলছেন,মিলনকে তুমি ঢাকা পাঠাচ্ছো কোন সমস্যা হলে দায়বার নিতে হবে।তখন তাকে ঢাকা পাঠানো বাদ দিয়ে লোকাল কাজে লাগাই কারন লোকাল কাজে রিস্ক কম মিলনকে পান্তুমাই দশ কার্টুন ইয়াবা আনতে পাঠাই সে এখানে আমার সাথে গাদ্দারি করে....
পরে তাকে বলি গাড়ির সাথে গেলে ইনকাম বেশি হবে,তুমি কিছু টাকা খরছ করবে আর বাকিটা জমিয়ে রাখবে আমি কিছু টাকা মিলাই তোমাকে অটোরিকশা কিনে দিবো....

25/07/2025
যারা নিজের দলের কর্মীদের সামাল দিতে পারেন না তারা রাষ্ট্র সামাল দিবেন কীভাবে?—সিলেটে জামায়াতের আমির বক্তব্যে এই প্রশ্ন ক...
24/07/2025

যারা নিজের দলের কর্মীদের সামাল দিতে পারেন না তারা রাষ্ট্র সামাল দিবেন কীভাবে?
—সিলেটে জামায়াতের আমির বক্তব্যে এই প্রশ্ন করেন।

আ:সামির কা'ঠগড়ায় সাবেক প্রধান বি:চারপতি খায়রুল হকের ৪০ মিনিট, দুই হাত পেছনে নিয়ে পরানো হয় হাতকড়া:ঘড়ির কাঁটায় তখন র...
24/07/2025

আ:সামির কা'ঠগড়ায় সাবেক প্রধান বি:চারপতি খায়রুল হকের ৪০ মিনিট, দুই হাত পেছনে নিয়ে পরানো হয় হাতকড়া:

ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত আটটা। একটা নীল রঙের প্রিজন ভ্যান হুইসেল বাজিয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকে প্রবেশ করে।

প্রিজন ভ্যান ঢুকতে দেখে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের শাস্তি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রিজন ভ্যানটি দ্রুতগতিতে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানার ভেতরে ঢুকে যায়। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক যখন আদালতের হাজতখানায়, তখন হাজতখানার সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা তাঁর শাস্তির দাবিতে মিছিল করতে থাকেন।

তখন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের প্রধান উপকমিশনার (ডিসি) তারেক জুবায়ের সিএমএম আদালতের প্রধান ফটক দিয়ে ওপরে ওঠেন। পুলিশ সদস্যদের কড়া নির্দেশনা দেন, কেউ যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে। আদালতে প্রবেশের সবগুলো ফটক বন্ধ করা হয়।

আদালতের সামনে অবস্থান নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তখন হাজতখানার ভেতর থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে বের করা হয়। তাঁকে আদালতের সামনের সড়ক দিয়ে না নিয়ে আদালতের ভেতরের একটি রাস্তা দিয়ে আদালতের সিঁড়ির কাছে নিয়ে আসা হয়।

তখন দেখা যায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের দুই হাত পেছনে নিয়ে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাতকড়া। বুকে পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। তাঁর পরনে ছিল সাদা শার্ট আর কালো রঙের প্যান্ট। পায়ে চামড়ার স্যান্ডেল। নিচতলা থেকে দুই পুলিশ সদস্য তাঁর দুই বাহু ধরে রাখেন। পরে দুই পুলিশ সদস্যের বাহুর ওপর ভর দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে হেঁটে তিনি আদালতের তিনতলায় ওঠেন। পরে তাঁকে নেওয়া হয় আসামির কাঠগড়ায়। তিনি যখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁর দুই হাত পেছনে নিয়ে পরিয়ে দেওয়া হাতকড়া খোলার উদ্যোগ নেন একজন পুলিশ সদস্য। সাবেক প্রধান বিচারপতি মাথা নিচু করে ছিলেন। তখন একজন পুলিশ সদস্য তাঁর হাতকড়া খুলে দেন। এ সময় সাবেক প্রধান বিচারপতির ডান হাতে ঝুলছিল হাতকড়া। তিনি কাঠগড়ার মাঝখানে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অন্তত এক শ নেতা-কর্মী। আর ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়ছবি: দীপু মালাকার
তখন সময় রাত ৮টা ১০ মিনিট। ঢাকার সিএমএম আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. ছানাউল্লাহ খাস কামরা থেকে এজলাসে আসেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ম্যাজিস্ট্রেটের দিকে একনজর তাকান। এরপর মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ বি এম খায়রুল হককে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে। পরে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে।

‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মীর মতো আচরণ করেছেন’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত বছরের ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নিহত হন যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক খালেদ হাসান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। খালিদ হাসান লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, ২০১১ সাল থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি থাকাকালে আসামি এ বি এম খায়রুল হক বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, জাল–জালিয়াতি করেছেন। জালিয়াতি করে প্রকৃত রায় হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানাতেও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি থাকাকালে শপথ ভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, ‘আসামি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁকে জামিন দিলে তদন্তকাজে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁকে জামিন দিলে ছাত্র–জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলো উত্তেজিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিচারের পূর্ব পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করছি।’

কারাগারে আটক রাখার পক্ষে আদালতে বাদীপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সভাপতি খোরশেদ আলম। তিনি আদালতকে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বানানোর প্রধান কারিগর হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করেছিলেন। জালিয়াতির মাধ্যমে রায়কে সঠিক হিসেবে ব্যবহার করেছেন।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে তিনি শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনায় পরিণত করেছেন। তিনি বিচার বিভাগের কলঙ্ক। উনি বিচার বিভাগের সম্মানকে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। আওয়ামী লীগের একজন কর্মীর মতো আচরণ করেছেন।’

আইনজীবী খোরশেদ আলম বলেন, ‘মাননীয় আদালত, মানুষ বিচার বিভাগকে সম্মান করে। আদালত হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। ওনার মতো দলীয় বিচারপতির কারণে বিচারপতিদের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

এই আইনজীবী যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে এসব কথা শুনতে থাকেন। তাঁর চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাপ।

আইনজীবী খোরশেদ আলম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম থেকে আমাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমাদের কোনো নেতা–কর্মী যেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে শারীরিকভাবে আঘাত না করেন।’

আইনজীবী খোরশেদ আলম বলেন, ‘মাননীয় আদালত, সাধারণ মানুষ যেভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ঘৃণা করেন, ঠিক একইভাবে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকেও মানুষ ঘৃণা করেন। আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকারকে গণতন্ত্র হত্যা করার জন্য দায়ী এই সাবেক প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করাযর জন্য। কিন্তু কেন তাঁকে আজ রাতে নিয়ে আসা হলো। কারণ, দিনের বেলা জনগণ খবর পেলে এই আদালতে চলে আসতেন।’

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা মনে করি, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাঁর পেটোয়া বাহিনী নির্বিকারে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আমরা মনে করি, প্রত্যেকটি হত্যা মামলায় সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে আসামি করা উচিত। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। যে কারণে ওনাকে কোনোভাবেই শারীরিকভাবে অসম্মানিত করা হয়নি, হচ্ছে না, হবেও না। কিন্তু উনি দলীয় বিচারপতির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।’

খোরশেদ আলম বলেন, ‘সাবেক তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তাঁর বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার মূল কারিগর এই সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। উনি যদি ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল না করতেন, যদি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল থাকত, তাহলে দেশের এই পরিস্থিতি হতো না। শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারতেন না।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আরেক নেতা ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম মিয়া আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমাদের বয়স হয়েছে। আমরা ৪০ বছর ধরেই আইন পেশায় রয়েছি। বিচারপতিরা অবসরে গেলেও তাঁদের সম্মানের কোনো কমতি থাকে না। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক অনেক পাপ করেছেন। আজ তিনি যে গ্রেপ্তার হলেন, তাতে কিছুটা হলেও তাঁর প্রায়শ্চিত্ত হয়েছে। আমরা মনে করি, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার পেছনে এই সাবেক প্রধান বিচারপতি একমাত্র দায়ী।

বিগত ১৭ বছরে বিরোধী দলীয় শত শত নেতা–কর্মী গুম হয়েছেন, খুন হয়েছেন, ঘরছাড়া, বাড়িছাড়া, শত শত মামলা দিয়ে অবর্ণনীয় হয়রানি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার এই নির্যাতনের প্রধান কারিগর হলেন এই সাবেক প্রধান বিচারপতি।’
আইনজীবী খোরশেদ আলম মিয়া যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন আদালতকক্ষে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা সমস্বরে বলতে থাকেন, ‘মাননীয় আদালত, উনি বিচার বিভাগের কলঙ্ক।’

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে কারাগারে আটক রাখার পক্ষে আরও যুক্তি তুলে ধরেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক ও আবুল কালাম খান।

এজলাসকক্ষে হঠাৎ অন্ধকার
রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে আদালতে বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তখন এজলাসকক্ষ হঠাৎ অন্ধকার হয়। এ সময় আইনজীবীরা তাঁদের মুঠোফোনের আলো জ্বালান। তখন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক কাঠগড়ার অগ্রভাগ থেকে পেছনে সরে যান। একাধিক পুলিশ সদস্য কাঠগড়ায় তাঁকে ঘিরে রাখেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে তাঁকে হাজতখানায় নেওয়া হয়
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যখন বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল, তখন খায়রুল হক ম্যাজিস্ট্রেটের মুখের দিকে চেয়ে ছিলেন। আবার তিনি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে যেসব বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল, তিনি শুনছিলেন। তাঁর পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
বাদীপক্ষের বক্তব্য শেষ হলে আদালত বলেন, যেহেতু তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে, তাঁর পক্ষে জামিনের কোনো আবেদন করা হয়নি, এ পর্যায়ে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হচ্ছে।

আদালতের আদেশ হওয়ার পর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক মাথা নিচু করে ছিলেন। তখন একজন পুলিশ সদস্য তাঁর কাছে আসেন। তিনি দুই হাত পেছনে রাখেন। তখন তাঁর দুই হাতেই পরিয়ে দেওয়া হয় হাতকড়া। মাথায় পরানো হয় একটি হেলমেট। পরে দুজন পুলিশ সদস্য আবার তাঁর দুই বাহু ধরে রাখেন।

তিনি তিনতলা থেকে আস্তে আস্তে দুই পুলিশ সদস্যের বাহুর ওপর ভর করে নিচে নামতে থাকেন। যখন তিনি তিনতলার সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে দুই তলার কাছে আসেন, তখন তাঁর চোখেমুখে বিষণ্নতার ছাপ প্রকটভাবে ফুটে ওঠে।

এরপর দোতলা থেকে ধীরে ধীরে পুলিশ সদস্যদের বাহুর ওপর ভর করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন। পরে তাঁকে আদালতের সামনের সড়ক দিয়ে না নিয়ে আবার আদালতের ভেতরের একটি পথ দিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হয়।

তখন রাত নয়টা বাজে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আবার প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। প্রিজন ভ্যানটি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে রওনা হয়।

বিএনপি নেতাদের ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিতে দলীয় অঙ্গনে বিতর্ক:নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা দলের...
24/07/2025

বিএনপি নেতাদের ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিতে দলীয় অঙ্গনে বিতর্ক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা দলের শীর্ষ নেতাদের ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে তারেক রহমান, খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করব।”

নিজ পছন্দের প্রার্থী শাহ আলমকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তিনি বলেন, “এখানে কোনো জোট চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলবে না।”

ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দলের ভেতর ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিদ্রোহী মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, “এটি রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। একে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলা যায়। দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য অনভিপ্রেত।”

পরে নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে লুৎফর রহমান বলেন, “স্লিপ অফ টাং হয়ে গেছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি আনুগত্য প্রকাশ করছি এবং ভুল স্বীকার করছি।”
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহ আলম আওয়ামী লীগের সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে এই আসন জোটের শরিক জমিয়তকে ছাড় দেওয়া হলে তাদের প্রার্থীও জয় পাননি।

24/07/2025

মুসলমানদের দেশে যেকোনো ভা'স্কর্য এভাবে গু:ড়িয়ে ফে'লতে হবে।
হুজুরের সা'হসকে স্যালুট💪💪

দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের স্ত্রী:আমাদের বিয়ে হয়েছিল মাত্র ৬ মাস আগে। এখনও ভালো ভাবে স...
24/07/2025

দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের স্ত্রী:

আমাদের বিয়ে হয়েছিল মাত্র ৬ মাস আগে। এখনও ভালো ভাবে সংসারটাই শুরু করা হয়নি… তার আগেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল। আমি আমার স্বামীকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
আপনারাও দয়া করে তাকে ক্ষমা করে দিন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

এ কয়েকটি বাক্যে এক নববধূর হৃদয়ের হাহাকার বুকচেরা বেদনা আর অভিমানের মিশ্রণ—যা চোখ ভিজিয়ে দেয়। দেশমাতৃকার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির। চলার পথ থেমে গেলেও, তার ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ইনশাআল্লাহ, শহীদ তৌকির জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা লাভ করবেন—এই প্রার্থনা করি। আমীন।

হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদ:গত বছর সরকারের নীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সম...
24/07/2025

হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদ:

গত বছর সরকারের নীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের প্রকাশ্য নির্দেশ’ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার এমন গোপন ফোনালাপের একাধিক কল রেকর্ডিং পেয়েছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিক্ষোভকারীদের প্রকাশ্য গুলি করার নির্দেশ ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা ১৫ বছর বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যান। হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ ও সরকারের দমন-পীড়নে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।

আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট (আই-ইউনিট) শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া ফোনালাপের অডিও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে। এতে শেখ হাসিনার ওই অডিও যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা নয়, সেটি নিশ্চিত হয়েছে আই-ইউনিট। এই পরীক্ষায় ভয়েস-ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে ফোনালাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হয়েছে।

গত বছরের ১৮ জুলাই জাতীয় টেলিযোগাযোগ নজরদারি কেন্দ্র (এনটিএমসি) শেখ হাসিনার একটি ফোনালাপ রেকর্ড করে। এই কল রেকর্ডে শেখ হাসিনা তার এক সহযোগীকে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘‘ইতোমধ্যে আমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ্যে আদেশ দিয়েছি। এখন তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করবে, যেখানেই পাবে গুলি চালাবে। এটা নির্দেশ দিয়েছি। এ পর্যন্ত আমি তাদের থামিয়ে রেখেছিলাম... আমি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছিলাম।’’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আত্মীয় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ওই ফোনালাপে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার ব্যবহারের কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘যেখানেই জমায়েত দেখা যাবে, ওপর থেকে, এখন তো ওপর থেকেই হচ্ছে—কয়েক জায়গায় শুরু হয়ে গেছে। কিছু বিক্ষোভকারী সরে গেছে।’’

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ওই সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর আকাশ থেকে গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করলেও রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাবির শরীফ আল জাজিরার আই ইউনিটকে বলেন, হেলিকপ্টার থেকে আমাদের হাসপাতালের প্রবেশপথ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

তিনি বলেন, আন্দোলনকারী আহত শিক্ষার্থীদের শরীরে গুলির অস্বাভাবিক ক্ষত দেখা গেছে। শাবির শরীফ বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া গুলি বিক্ষোভকারীদের কাঁধে অথবা বুকে ঢুকে যায় এবং সেগুলো শরীরেই থেকে গেছে। সেই সময় আমরা এই ধরনের অনেক রোগী পেয়েছিলাম। এক্স-রে করে আমরা হতবাক হয়েছি যে, শিক্ষার্থীদের শরীরে অনেক গুলি ছিল।

তবে শিক্ষার্থীদের ওপর কী ধরনের গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিশ্চিত হতে পারেনি আল জাজিরা।

আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে এসব ফোনালাপ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হতে পারে। শেখ হাসিনা, তার কয়েকজন মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা ও তার দুই সহযোগী কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী আগস্টে তাদের বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আন্দোলনের সময় এসব ফোনালাপ রেকর্ড করেছে শেখ হাসিনার নজরদারি সংস্থা এনটিএমসি। এই সংস্থাটি এর আগেও কেবল বিরোধী নেতাদের নয়, বরং হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রদের ওপরও নজরদারি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা জানতেন তার কথোপকথন রেকর্ড হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অনেক সময় অপর পক্ষ বলত, এই বিষয়ে ফোনে না বলাই ভালো। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলতেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি জানি, আমি জানি, রেকর্ড হচ্ছে। কোনও সমস্যা নেই।’’

প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘তিনি (হাসিনা) অন্যদের জন্য গভীর গর্ত খুঁড়েছিলেন। এখন সেই গর্তে তিনি নিজেই পড়ে গেছেন।’’

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে বিশেষ কোটার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। হাইকোর্ট পুরোনো কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেই সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই কোটা ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের প্রতি পক্ষপাতমূলক এবং যোগ্যতার চেয়ে পারিবারিক পরিচয়ই চাকরির ভিত্তি হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন।

১৬ জুলাই দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর রংপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। জুলাই অভ্যুত্থানে তার মৃত্যুই আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

আল জাজিরার হাতে আসা আরেকটি গোপন ফোনালাপে শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে রংপুরে নিহত আবু সাঈদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে চাপ দিতে শোনা যায়। ফোনে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেতে এত দেরি কেন হচ্ছে? কে লুকোচুরি খেলছে? রংপুর মেডিকেল?’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলাম আল জাজিরাকে বলেন, পুলিশ তাকে পাঁচবার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বদলাতে বাধ্য করে, যাতে একাধিক গুলির ক্ষত থাকার তথ্য না থাকে।

তিনি বলেন, ‘‘তারা এমন রিপোর্ট চাইছিল যাতে লেখা থাকে, আবু সাঈদ ভাই পাথর নিক্ষেপে আহত হয়ে মারা গেছেন... কিন্তু তিনি পুলিশের গুলিতেই মারা গেছেন।’’

আবু সাঈদের মৃত্যুর ১২ দিন পর তার পরিবারকে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে হাজির করা হয়। প্রায় ৪০টি পরিবার সেখানে উপস্থিত ছিল। আর এসব পরিবারের কেউ না কেউ বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন।

আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, আমাদের গণভবনে আসতে বাধ্য করেছিলেন হাসিনা। আমাদের আসতে বাধ্য করা হয়েছে। না এলে অন্যভাবে নির্যাতন করত।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা প্রত্যেক পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দেন। আবু সাঈদের বোন সুমি খাতুনকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেব। শেখ হাসিনার এমন আশ্বাসের জবাবে সুমি বলেন, ‘‘ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ গুলি করেছে। এখানে তদন্তের কী আছে? আমাদের এখানে আসাটাই ভুল হয়েছে।’’

আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, শেখ হাসিনা কখনও ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহারের কথা বলেননি এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশও দেননি।

তিনি বলেন, এই ফোনালাপ খণ্ডিতভাবে নতুবা বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে অথবা দুটিই করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবু সাঈদের মৃত্যুর তদন্তে সরকার ‘গভীর আন্তরিকতা’ দেখিয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bijoy Bangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bijoy Bangla:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share