18/09/2025
২০১৭ থেকে ২০২৫… এই আট বছরে আমি এত কিছু হারিয়েছি যে শব্দ দিয়ে তা বোঝানো সম্ভব নয়। আজ আমি বেঁচে থেকেও যেন মৃতের মতো জীবন কাটাচ্ছি। আমি আমার সময়, স্বপ্ন, পরিশ্রম, টাকা, নির্দোষিতা আর অগণিত আবেগ ঢেলে দিয়েছিলাম শুধু একটা প্রতিশ্রুতির জন্য—যেটা কখনো পূরণ হয়নি।
আমি চুপচাপ সহ্য করেছি মানসিক কষ্ট, শারীরিক নির্যাতন, একাকীত্ব, অবহেলা… সবকিছু। হারিয়েছি আমার মানসিক শান্তি, শারীরিক সুস্থতা, আমার হাসি, আমার সুখ। আমি এমনকি নিজের জন্য উপহার কিনে সবাইকে বলেছি, “ওরা দিয়েছে”—যেন একটা ভাঙা সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে পারি। বন্ধুবান্ধব, পরিবার—সবকিছু থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম, সবচেয়ে বেশি আমার বাবার কাছ থেকে, শুধু এটুকু বিশ্বাসে যে একদিন সব ঠিক হবে।
কিন্তু যাদের জন্য এত কিছু করলাম, তারা আমার দেওয়া প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি ভালোবাসা, এমনকি সামান্য কিছু উপহারও কেড়ে নিল। লোকেরা ভাবে তারা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে—কিন্তু আসলে আট বছরে যা পেয়েছি তা শুধু সাতটা শাড়ি আর কয়েকটা সামান্য জিনিস। সেই প্রতিশ্রুতির ব্রেসলেটটাও তারা বিক্রি করেছে, বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করার জন্য। যাদের ভাই মনে করেছিলাম, তারা আমাকে বুনু বুনু বলে এই কুপে ফেলে দিয়ে বলছি আবার বিশ্বাস এরপর কোনো অন্যায় হলে আমরা দেখবো।কিন্তু এখন কই তারা? আসলে মুখের জবানের যাদের দাম নেই তাদের অপর আক্ষেপ রাখাটা আমার বোকামি! আমার কষ্টের টাকায় কেনা জিনিসগুলো পর্যন্ত তারা নিয়ে নিয়েছে।তারথেকে বড় কথা সেগুলো আমি দান করে দিছি।আমার আল্লাহ ভালো জানে সব।
তারা শুধু আমার প্রতি দেওয়া কথা ভাঙেনি, আমার পরিবারের প্রতিও প্রতারণা করেছে। সহজেই একজন মেয়েকে ‘গোল্ড ডিগার’ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়, অথচ সত্যি হলো আমার খরচ আমিই বহন করেছি, আমার পরিবার বহন করেছে। যদি বলেন কোন রেস্তোরাঁর বিল , সেটাও আমি নিজে পে করছি। মজার আরেকটা বিষয় কি জানেন আমার ব্যাংক কার্ডও তাদের হাতে ছিল।
আমি এতদিন চুপ থেকেছি। কিন্তু একদিন যদি বাধ্য হই, তবে সব প্রমাণ নিয়ে প্রকাশ করব। আমি শিখেছি—কোনোদিনও হৃদয় কাউকে অন্ধভাবে দিয়ে দেওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে একজন আত্মকেন্দ্রিক মানুষকে।
এই অধ্যায় আমার কাছে শেষ। আমি চাই সবাই শান্তিতে বাঁচুক, আমিও শান্তি খুঁজে নিতে চাই। কঠিন সময়ে যারা আমাকে মৃত্যু থেকে বাচিয়ে আনছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। আমি আবার একদিন হাসব, আবার আলো ছড়াবো, ইনশাআল্লাহ। আমার জন্য দোয়া কোরো।
সংগৃহীত
JUTHI