গল্প - Golpo

গল্প - Golpo Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from গল্প - Golpo, Book & Magazine Distributor, Dhaka Cantonment, Dhaka.

19/09/2024

কোন এক অসাধারন নারীর গল্প:

তিনি ছিলেন শুকনো -পাতলা ও দুর্বল শরীরের একজন কালো আফ্রিকান নারী। বাহির থেকে দেখে অনেকেই তাঁকে সেই সন্মান দেয়নি কিন্তু নবী মোহাম্মদ (সাঃ) মানুষের অন্তর দেখতেন ,তাই দেখে এই নারীকে যে সন্মান দিয়েছিলেন তা নিয়েই এই গল্প ।

তাঁর নাম উম্মে মাহ্জান।

হজরত আয়েশা (রাঃ) প্রায়ই তাঁকে দেখতে যেতেন ,খুব হাসি খুশি সহজ সরল এক নারী। সব সময়ই তাঁর মুখে হাসি লেগে থাকতো। আয়েশা (রাঃ) বলেছেন ,
-আমি যতবার উম্মে মাহ্জান কে দেখেছি ,প্রতিবারই সে আমাকে হাসি মুখে দুই লাইন কবিতা শুনাতো। মাত্র দুই লাইন কবিতা কিন্তু আমার ভালো লাগতো। সেই কবিতার দুই লাইন ,

"যেদিন হারিয়ে গিয়েছিলো তার ,সেই মূল্যবান চাদর।
সেদিনই জেনেছি ,খোদা আমায় করেছিলেন সমাদর"

আমি ভেবেছিলাম হয়তো কোন এক অজানা কবির ,কবিতার দুই লাইন কিংবা মাহ্জানের গ্রামের কোন আঞ্চলিক গানের দুটো লাইন। আমি এই কবিতার কোন মানে জানতাম না কিন্তু মাহ্জানের চোখের দৃষ্টি ,ভালোবাসা আর আবেগ দেখে আমার মনে হতো এই কবিতার যেন কোন একটা অর্থ আছে। মনে হলো এই কবিতার পিছনে কোন একটা গল্প আছে । কিন্তু তাঁকে কোনদিন জিজ্ঞেস করা হয়নি ।একদিন তাঁর অনেক আবেগ দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম ,
-মাহ্জান ,এই কবিতার মানে কি ?এখানে কি বলা হয়েছে ?
-আমার কবিতা ,আমার নিজের কাহিনী। মৃদু হেসে মাহ্জানের উত্তর।
-দয়া করে আমাকে একটু বলবে সেই কথা ,আমি শুনতে চাই ।
মাহ্জান সুদূর মরুভূমির দিকে প্রথমে উদাস দৃষ্টিতে একবার তাকালো। তারপর মুগ্ধ চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আয়েশা (রাঃ)কে বললো ,
-শুনেছি আমার জন্ম উত্তর ইথিওপিয়ার কোন এক গ্রামে ,বাবা -মা ,ভাই- বোন বলে আমার কেউ আছে বলে জানিনা। খুব ছোট বেলায় আমাকে কেউ একজন শহরের বাজারে ক্রীতদাসী হিসেবে বিক্রি করে দেয় ।সেই থেকে আমি আবিসিনিয়ার এক ধনী ব্যবসায়ীর ক্রীতদাসী হিসেবে বড় হয়েছি। আমি তাঁর একমাত্র মেয়েকে দেখাশুনা করে রাখতাম। আমার কাছে সে ছিল রাজকন্যার মত। সে খুব দামী সুন্দর জামা কাপড় পরে থাকতো। একদিন সেই রাজকন্যা ঘরের পিছনের বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে শুয়েছিলেন ,তাঁর গায়ের উপর ছিল একটা সুন্দর দামী মনি মুক্তা খচিত মেরুন রঙের চাদর। হঠাৎ আমি দূর থেকে দেখি একটা বড় বাজ পাখি এসে রাজকন্যার গায়ের চাদরটা তুলে নিয়ে চলে গেলো। আমি কাছে এসে দেখি রাজকন্যা তখনো ঘুমাচ্ছেন।
ঘুম ভাঙার পর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ,
-আমার গায়ের চাদর কোথায় মাহ্জান ?
-একটা পাখি নিয়ে গেছে ,আমি ভয়ে ভয়ে বললাম।
-পাখি নিয়ে গেছে মানে ?তুমি কি আমাকে বোকা মনে করছো ?
-না ,সত্যি বলছি ,আমি নিজের চোখে দেখেছি।
কিন্তু তিনি আমার কথা বিশ্বাস করলেন না ,আমাকে তাঁর বাবার কাছে নিয়ে গেলেন । তিনি আমার কথা শুনে আরো রেগে গেলেন । মানুষজনকে ডেকে এনে আমাকে আরো অপমানিত করলেন । সবার ধারণা হলো আমিই সেই মূল্যবান চাদর চুরি করেছি এবং কোথাও লুকিয়ে রেখেছি। আমার সব কিছু তল্লাশি করা হলো তারপর আমাকে বারন্দায় একটা খুঁটিতে বেঁধে খুব জোরে চাবুক পেটা করা হলো। আমি যতই বলি আমি চুরি করিনি ততই তারা আমাকে আরো মারলো ,আমার সারা গা থেকে রক্ত ঝরছিলো। মারতে মারতে আমাকে প্রায় অজ্ঞান করে ফেলা হলো ঠিক সেই সময়ে আমি দেখলাম ,সেই বাজ পাখিটা চাদরটাকে ঠোঁটে করে নিয়ে এসে সকলের সামনে ,একটু উপর থেকে চাদরটাকে নীচে ফেলে দিলো। সবাই দেখলো এবং অবশেষে আমার কথা তাঁরা বিশ্বাস করলো।

তারপর খুঁটি থেকে আমাকে মুক্ত করা হলো কিন্তু আমার দাঁড়ানোর মত কোন শক্তি ছিল না। সারা গায়ে রক্ত আর ব্যথা নিয়ে আমি মাটিতে শুয়ে পড়লাম। আমার এই অবস্থা দেখে মনিবের একটু মায়া হলো এবং আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো ,
-তোমাকে চীরদিনের জন্য মুক্ত করে দিলাম মাহ্জান ,তুমি আর ক্রীতদাসী নও ,তুমি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারো।

সেইদিনই আমি মুক্ত হয়ে গেলাম ,আমি আমার সব ব্যথা বেদনা ভুলে গেলাম ,আকাশের দিকে তাঁকিয়ে খোদা তায়ালাকে শুকরিয়া জানালাম।
মুক্ত হলাম ঠিকই কিন্তু কোথায় যাবো ?আমারতো নিজের বলে কেউ নেই। আমার এই দুর্বল ও হালকা দেহে ভারী কোন কাজও করতে পারছিলামনা। তারপর একদিন মানুষের কাছে শুনলাম ,মদিনায় একজন নবী এসেছেন তিনি ক্রীতদাস-দাসীদের সন্মান দেন ,তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। একদিন মনে হলো তাঁর কাছে চলে আসি এবং রওয়ানা দিয়ে দিলাম মরুভূমির এই দীর্ঘ পথ। কখনো হেঁটে ,কখনো উটে করে অবশেষে পাড়ি দিয়ে নবীজির কাছে এসে পৌঁছলাম। ভিনদেশি আমার দিকে সবাই অবাক হয়ে তাঁকিয়েছে কিন্তু মনে হলো তিনি যেন আমার সব কাহিনী জানেন ।আমাকে জিজ্ঞেস করলেন
-তুমি কোথায় থাকবে মাহ্জান ?মদিনায় কেউ কি তোমার আছে ?
-না ,আল্লাহর রাসূল ,আমার কেউ নেই।
-আচ্ছা ঠিক আছে ,চিন্তা করোনা ,আমি তোমাকে আমার মসজিদের একটা কোনায় খেজুরের ডালপালা দিয়ে একটা ছোট ছাউনি তুলে দিবো ,তুমি সেখানেই থাকবে।
সেই থেকে আমি এই মসজিদের কোনায় থাকি। আমাকে তিনি কোন কাজের কথা বলেন নি কিন্তু আমি দিনের বেলা মনুষের কাজ করি আর রোজ রাতে আল্লাহর এই ঘরকে পরিষ্কার পরিছন্ন করি । এই কাজের জন্য আমি আল্লাহ আর তাঁর রাসূলের ভালোবাসা ছাড়া আর কোন বিনিময় চাইনা।

এই গল্প শুনে আয়েশা (রাঃ) নীরবে অশ্রুপাত করলেন ,ভালোবেসে আর আদরে মাহ্জানকে একটু জড়িয়ে রাখলেন।

শেষ অংশ :

তারপর কোন এক রাতে সাহাবীরা জানতে পারলেন উম্মে মাহ্জান মারা গিয়েছেন ।এক নিঃস্ব অসহায় কালো আফ্রিকান নারী ,মসজিদে নবীবির প্রথম ক্লিনার আর নেই।
তাঁরা ভাবলেন এই রাতের বেলা রাসূল (সাঃ) কে আর ঘুম থেকে তুলে কষ্ট দেয়ার প্রয়োজন নেই তাই নিজেরাই রাতের বেলা জানাজা শেষে দাফন করে ফেললেন ।

ভোর বেলা রাসূল (সাঃ) যখন এই খবর শুনলেন তিনি খুব অভিমান করলেন ,সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বললেন
-আমাকে কেন তোমরা ডাকোনি ?আমি তাঁর জানাজায় অংশগ্রহন করতাম।

তাঁরপর তিনি সবাইকে বললেন ,
-মাহ্জানের জানাজা আবার হবে ,আমাকে তাঁর কবরের কাছে নিয়ে যাও।

দ্বিতীয় জানাজা হলো ,নবীজি সা: ইমামতি করলেন। তারপর আকাশের দিকে হাত তুলে মাহ্জানের জন্য দীর্ঘক্ষণ দোয়া করলেন।

রাসূল (সাঃ)এর জীবনে উম্মে মাহ্জানই একমাত্র মানুষ যাঁর জন্য দুইবার জানাজা হয়েছিল।

সেই সময়ে দুইবার জানাজা আর কারো জন্য হয়নি ,এই ছিল তাঁর প্রাপ্তি ,অসাধারন এই নারীর প্রতি বিশেষ সন্মান ।

(গল্প সূত্র :সীরাত ইবনে সা'আদ ও বোখারী-মুসলিম )

-ডা.শামছুল আলম

07/09/2024

আযানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অলৌকিক গনিতের খেলা:

আযানের এই তথ্যগুলো পড়ার পর আপনি বাকরুদ্ধ হবেন আর আল্লাহর উপর আপনার ঈমান বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।

১। আযানের ১ম শব্দ হল আল্লাহ এবং শেষ শব্দ ও হল আল্লাহ। এর মানে আল্লাহই শুরু এবং আল্লহই শেষ।

২। আযান শব্দটি পবিত্র কুরআনে সর্বমোট রয়েছে ৫ বার। আর আমাদের প্রতিদিন নামাজ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি।

৩। আযানের মধ্যে সর্বমোট শব্দ হল ৫০ টি। আর আল্লাহ মিরাজের সময় হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে সর্বপ্রথম ৫০ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ দিয়েছিলেন।

পরে তা কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত করা হয়। আর সহীহ হাদিস বলে একজন ব্যাক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাকে ৫০ ওয়াক্তের সাওয়াব দিবেন।

৪। আযানের মধ্যে সর্বমোট ১৭ টি ভিন্ন অক্ষর রয়েছে।

আর আমাদের প্রতিদিন ফরজ নামাজ হল ১৭ রাকাত।

ফজর ২ + জোহর ৪ + আসর ৪ + মাগরিব ৩ + এশা ৪

মোট ১৭ রাকাত।

৫। আযানের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাবহৃত শব্দ হল ( আল্লাহ)

আল্লাহ শব্দের আলিফ অক্ষরটি সম্পূর্ণ আযানে আছে মোট ৪৭ বার, লাম অক্ষরটি ৪৫ বার এবং হা অক্ষরটি ২০ বার।

সুতরাং ৪৭+ ৪৫ + ২০ = ১১২।

আর পবিত্র কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা হল সূরা ইখলাস। যে সূরায় আল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়েছেন।

আলহামদুলিল্লাহ।

©️

10/05/2024

🤍 আস্তে আস্তে পড়তে থাকেন 🤍
১.সুবাহানআল্লাহ
২.আলহামদুলিল্লাহ
৩.লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ
৪.আল্লাহু আকবর
৫.আস্তাগফিরুল্লাহ
৬. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম
৭. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
৮. আল্লাহুমাগফিরলি
৯. আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার
১০. ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আসতাগিস
১১.জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহু
১২. আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়া
১৩. আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম
১৪.লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন
১৫. ইয়া হালালাল মুশকিলাত
১৬.আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল
১৭.ইয়া আরহামার রাহিমীন
১৮.ইয়্যা কানাহ'বুদু ওয়া ইয়্যা কানাসতাঈন
১৯. আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুসনাল খ তিমাহ
২০. আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুব্বাক
২১. আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ'উযু বিকা মিনান্নার
২২.আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াস সাদাত আস সাবুর
২৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু আহাদান ছমাদান লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ
২৪. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির
২৫. ওয়াল্লাজিনা ইয়াকুলুনা রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আই নিউ ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা
২৬.ইয়া ওয়াদুদু
২৭. রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন
২৮.ইন্নামা আশকু বাছহি অ হুজনি ইলাল্লাহ
২৯. ইন্নাল্লাহা মাআ সবেরীন
৩০.হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকিল
৩১. ইয়া রাব্বিগ ফিরলি
৩২.আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আজিম
◆পড়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ..!

23/04/2024

বিয়ের কিছুক্ষণ আগে কাজী সাহেব স্টেজে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বললেন,"এই বিয়েতে কারো আপত্তি থাকলে এখনই বলুন..!!"

শেষের সারির দিক থেকে এক সুন্দরী তরুণী কোলে বাচ্চা নিয়ে স্টেজের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।

এটা দেখে, কনে বরকে সবার সামনেই দুই গালে জোরে থা'প্পড় মা'রতে শুরু করলো। কনের বাবা ব'ন্দু'ক আনার জন্য দৌড়ে ঘরের ভিতরে গেলেন।

কনের মা স্টেজেই অ-জ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। শা'লীরা বরকে গা'লি দিতে লাগলো আর শা'লারা হাতা গু'টিয়ে নিয়ে সামনের বর যাত্রীদের বে'দম পে'টাতে লাগলো।

কাজী সাহেব মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলেন,"তোমার সমস্যা কি??"

মেয়েটি বললো,"পিছন থেকে ঠিক মত আওয়াজ পাচ্ছিলাম না, তাই শোনার জন্য সামনে আসলাম!!"

28/03/2024

নামাজে বসে যে আত্তাহিয়াতু দু'আ পড়ি তার পিছ‌নে এত সুন্দর এক‌টি গল্প তা জানা ছিল না, আমার বিশ্বাস সবার ভাল লাগ‌বে এবং নামাজ পড়ায় ম‌নো‌যোগ ও বাড়‌বে। ঈমানও তাজা হবে। এই দোয়াটার পিছনের গল্পটা জানার পর সত্যি আমার হৃদয়টা অনেক কোমল হয়ে গেছে!

আত্তাহিয়াতু আসলে, আল্লাহর সাথে আমাদের মহানবী (সঃ) কথোপকথন একটা অংশ। যা আমাদের মহানবী (সঃ) মিরাজ যাত্রার সময় হয়েছে মহান আল্লাহর সাথে! মহানবী (সঃ) যখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন শুরু করে তখন আল্লাহকে আসসালামু আলাইকুম বলেননি!

তাহলে কি বলেছিল...?

কারন; আমরা মহান আল্লাহকে বলতে পারব না, আল্লাহ আপনার উপর শান্তি নাজিল হউক! কারন; আল্লাহ নিজেই একমাত্র পৃথিবীর সকল শান্তির এবং রহমতের উৎপত্তিস্থল!

মহানবী (সঃ) আল্লাহকে উদেশ্য করে বলেছিলেন:-

▪আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ ছালাওয়া - তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা -তু

অর্থঃ- যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য।

উওরে মহান আল্লাহ বলেন:-

▪আসসালা-মু'আলায়কা আইয়ুহান্নাবিয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া-বারাকাতুহু।

অর্থঃ- হে নবী; আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক।

এতে মহানবী (সঃ) বলেন:-

▪আসসালা-মু-আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিছছালেহীন।

অর্থ:- আল্লাহর সমৃদ্ধি শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে।

মহান আল্লাহ এবং মহানবী (সঃ) এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেন:-

▪আশহাদু আল লা-ইলাহা ইলল্লালাহু ওয়া আশহাদুআন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।

অর্থ:- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সঃ) তার বান্দা ও রাসূল।
"সুবহানাল্লাহ..!

20/03/2024

কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল যা আপনার সারাবছরই করা উচিত..

এই চারটি আমল আমাদের সবার আমলের তালিকায় থাকা উচিত..

🔘আমলঃ- ১
🔘প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন।

🔘ফজিলতঃ-
"যে ব্যাক্তি ওযু করার পড় কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে ঐ ব্যাক্তির জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং যে কোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে:

(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-২৩৪)

🔘আমলঃ-০২
🔘প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে "আয়াতুল কুরসি' পাঠ করুণঃ-

🔘ফজিলতঃ-
"যে ব্যাক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর একবার আয়তুল কুরসি পাঠ করবে, জান্নাতে যেতে মৃ'ত্যু ছাড়া তার আর কোন বাধা নাই।

(সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৯৭২)

🔘আমলঃ-০৩
🔘প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষেঃ-

🔘৩৩ বার সুবহানাল্লাহ,
🔘৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্,
🔘৩৩ বার আল্লাহু আকবার

এবং ১বার এই দোয়াটি পড়া

لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر

উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর:

ফজিলত: অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমাণ ও হয়।

(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮)
---
🔘আমলঃ-০৪
🔘প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ:
ফজিলত: নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘সূরাহ মুলক (তিলাওয়াতকারীকে) কবরের আ*জা*ব থেকে রক্ষা করবে।

(সহিহ তারগিব,হাকিম ৩৮৩৯,)

আসুন আমরা দৈনন্দিন এই ফজিলতপূর্ন আমলগুলো করার অভ্যাস গড়ে তুলি, নিজেও আমল করি, অপর একজন ভাই-বোন কেও আমলগুলো চর্চা করার জন্য তাগিদ দেই।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন, আমিন!!

17/01/2024

🔶 ঈমান বাঁচাতে দৌড় শুরু করার পরও ইউসুফ (আঃ) জানতেন না অলৌকিক কোন শক্তিতে দরজা খুলে যাবে।

🔶 মুসা (আঃ) ফেরাউন এবং তার সৈন্যদের ভয়ে সাগরের দিকে যাচ্ছিলেন তখনও তিনি জানতেন না অলৌকিক কোন শক্তিতে সাগর চিরে পথ তৈরি হবে।

🔶 ইবরাহিম (আ) তার স্ত্রী হাজেরার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ) মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে অলৌকিক কোন শক্তিতে জমজম কূপের এর সৃষ্টি হবে তা ইসমাইল (আ) ও জানতেন না।

🔶 উনাদের সুদৃঢ় এবং সুনিশ্চিত বিশ্বাস ছিল মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য আসবেই এবং আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করবেনই।

🔶 ঠিক তাই হয়েছিল। মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অলৌকিক সাহায্য এসেছিল।

🔶 আল্লাহ তায়ালার অলৌকিক সাহায্য আসা কখনোই বন্ধ হয়ে যায় না বা বন্ধ করে দেন না।

🔶 এখনো যখন যেমন যেভাবে প্রয়োজন হয় সেখানে সেভাবেই আল্লাহ তায়ালার অলৌকিক সাহায্য আসে। কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারি না। অতি দুর্বল ঈমানের কারণে ক্ষেত্র বিশেষে হয়তো আস্থাও আনতে পারি না।
তবে নিরাশ হবার কোন কারণ নেই।

🔶 সত্যিকার অর্থে প্রয়োজন শুধু সুদৃঢ় সুনিশ্চিত বিশ্বাস এবং প্রশ্ন বিহীন আস্থা।

🔶 আল্লাহু আকবার।

(Collected)

25/09/2023

দেড় হাজার বছর আগে রাসূলুল্লাহ (সা.) জানিয়েছেন ৭ টি গুণ বা বৈশিষ্ট্য ইহুদি মেয়েদের মধ্যে আছে আর এই সাতটি গুন যদি কোন মুসলিম মেয়েদের মধ্যে থাকে তবে তাদের হাশর হবে ঐ সকল ইহুদি মেয়েদের সাথে। সেই সাতটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য হলো...
১. #আন্নানা- এর অর্থ হলো বেশি বেশি চাই জিনিসপত্র অনেক আছে তবুও তবুও অনেক চাই স্বামীকে বলে শুধু আমার জন্য দাও ।নিজের মা-বাবা ভাই-বোন এদের জন্য কোন কিছু দিও না,
২. #মান্নানা- এর অর্থ হল স্বামীকে শুধু সব সময় সকল ক্ষেত্রে খোটা দেয় অর্থাৎ খোটা দেওয়া এই স্বভাব ইহুদী মেয়েদের,
৩. #হান্নানা- হান্নান এর অর্থ হচ্ছে স্বামীর খেদমত না করা ,উল্টো আরো স্বামীকে দিয়ে খেদমত করিয়ে নেয়া। হযরত খাদিজাতুল কুবরা আল্লাহর নিকট থেকে সালাম পাওয়ার একমাত্র কারণ ছিল স্বামীর খেদমত করা।
৪. #কান্নানা- স্বামীকে মাঝে মাঝে বলে তুমি আমারে চেনো ? আমি অমুকের মেয়ে, তমুকের মেয়ে, চেয়ারম্যানের মেয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি ।স্বামীর সামনে নিজেকে বড় করে দেখানো, স্বামীকে ছোট মনে করা এটা ইহুদি মেয়েদের গুণ।
৫. #হাত্তকা্হ- হাত্তকাহ শব্দের অর্থ স্বামীর পছন্দের গুরুত্ব না দেওয়া । স্বামী যদি দুই টাকার জিনিস ও আপনাকে দেয় তবে তা আপনাকে আলহামদুলিল্লাহ ভালো গ্রহণ করতে হবে.। পরে মন ভালো হলে আরেকটা জিনিস আবদার করে নিয়ে নিবেন, স্বামীর মনে দুঃখ দেওয়া যাবে না।
৬. #শাত্তকা্হ- এর অর্থ হচ্ছে স্বামীকে হারাম ইনকাম করতে বাধ্য করা। স্বামীর হালাল ইনকামে আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। যদি আপনার কারণে আপনার স্বামী হারাম ইনকাম করে তাহলে স্বামীর সাথে আপনাকেও জাহান্নামে যেতে হবে।
৭. #বার্রকা্হ- এ অর্থ স্বামীকে মাঝে মাঝে ধরে মারা। অর্থাৎ স্বামীর গায়ে হাত তোলা এটা ইহুদি মেয়েদের স্বভাব।
#উপরোক্ত এই সাতটি গুন যেই মেয়েদের মধ্যে থাকবে তারা নামায, রোযা এবং পর্দা করলেও তাদের হাশর কিন্তু হবে ইহুদি মেয়েদের সাথে। আল্লাহ আমাদের মুসলিম মেয়েদের হাদীসটি আমল করার তৌফিক দান করুক।
আমিন....
-ইমাম গাজ্জালী( রহঃ)

(Collected)

22/09/2023

সালাম দেওয়ার কয়েকটি ভুল পদ্ধতি′′ !!

১.স্লামালাইকুম ❌
অর্থ : উটের নাড়িভুঁড়ি আপনার জন্য (আস্তাগফিরুল্লহ )

২.আসসালামালাইকুম ❌
অর্থ : আপনার মৃত্যু হোক ( আস্তাগফিরুল্লহ )

৩.স্লামালিকুম ❌
অর্থ :আপনার উপর গজব হোক (আস্তাগফিরুল্লহ )

সেলামালাইকুম ❌
•আসলা মালিকুম ❌
•> যার অর্থ শান্তির পরিবর্তে গজব, অশান্তি কিংবা শাস্তি কামনা করা হয় ।

আবার উত্তর দেয়ার সময়ও শোনা যায় ভুল শব্দের ব্যবহার,
•অলাইকুম সালাম ❌
••অলাইকুম আস-সালাম ❌
•আলিকুম সালাম ❌
•>যার উত্তরেও গজব ,অশান্তি কিংবা শাস্তি কামনা করা হয়

▪️ নাঊজুবিল্লাহি মিন জালিক!
আস্তাগফিরুল্লহ্ আ'জিম!
তাই, কখনোই এভাবে সালাম দিবেন না। অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। সবসময় সালাম দিবেন এইভাবে :

▪️সালাম এর সঠিক উচ্চারণ হলো,
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَ
✅ আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি, ওয়া
বারকাতুহ্।❤️

وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
✅ ওয়া আলাইকুমুস-সালাম, ওয়া রহমাতুল্লহি, ওয়া বারকাতুহ্।❤️

▪️ আরবী দেখে এর সহীহ উচ্চারণ শিখে নেয়া উচিত অন্যথায় ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’-এর স্থলে ‘অলাইকুম আস সালাম’ হয়ে যায়।

▪️ অথচ, আসসালামুআ'লাইকুম­ মানে
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।♥️

▪️ ওয়া আ'লাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ অর্থাৎ
আপনার উপর শান্তি, রহমত ও বরকত নাজিল হোক।♥️

১,,, আমি আপনার শুধু শান্তি কামনা করলাম,
২,,, আর আপনি আমার জন্য শান্তি, রহমত ও বরকত
কামনা করলেন।♥️

এ যেন ইসলাম ধর্মের শাশ্বত, চিরসুন্দর বিধান।
যেখানে একটির বিনিময়ে তিনটির দোয়া করা হয়। 💞

(সংগৃহীত)

16/09/2023

একটি ভাঙাচুরা গাড়ির নিলাম হচ্ছে....
-১০ লাখ
-২০ লাখ
-৩০ লাখ
এক লোক এই গাড়ির ভাঙাচুরা অবস্থা দেখে পাশে দাঁড়ানো আরেক লোককে বলল, " ভাই এই ভাঙা গাড়ির এতো দাম কেন?"
লোকটি উত্তর দিল, " এই গাড়ির একটি বিশেষত্ব আছে। এ পর্যন্ত এই গাড়িটা প্রায় ৮ বার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। প্রতিবারই শুধু মালিকের বউ মারা গেছে, স্বামীদের কিছু হয়নি।" 🙂

(Collected)

13/09/2023

- ব্যাডা মানুষের বুকের বাঁকা হাড় দিয়েই তো একজন মেয়েকে বানানো হয়েছে। 😇

আবার সেই ব্যাডা মানুষ'ই মেয়েদের খারাপ বলে, এবার দ্যাখ তোদের হাড়ের "Quality" কত খারাপ !!! 😒

(Collected)

Address

Dhaka Cantonment
Dhaka
1206

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গল্প - Golpo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share