27/06/2025
ন্যান্সি, ট্যালেন্টড তবে কিছুটা মেন্টাললি এলোমেলো।
সালটা সম্ভবত ২০১৫/১৬ হবে, ন্যান্সি তখন ক্রেজ অব দ্য মিউজিক। হাবীব ওয়াহিদ, আরফিন রুমি, হৃদয় খান, বালাম, বেলাল খান সহ বহু জনপ্রিয় শিল্পীদের সাথে তার গান হিট। কনাও তখন হিট, তবে ন্যান্সিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো না।
ঐ সময় এক ফেসবুক পোস্টে ন্যান্সি লিখেছিলো, বঙ্গবন্ধু সেরা নেতা তবে তার মেয়ে শেখ হাসিনা নিজেকে বঙ্গবন্ধু ভাবলে সেটা মানার মতো নয়। ব্যক্তিগতভাবে তিনি বিএনপি সমর্থক। এই স্ট্যাটাসে দোষের কিছু নেই, দেশের নাগরিক হিসাবে সে যে কোনো দলকে সমর্থন করতেই পারে। কিন্তু এই পোস্টই তার ক্যারিয়ারের কাল হয়ে গেলো। স্টেজ শো, টিভি প্রোগ্রাম, বড় বড় সিনেমার প্রোজেক্ট থেকে একের পর এক বাদ পড়তেছিলো। স্বাভাবিকভাবেই একজন শিল্পীর জন্য সেটা প্রচন্ড হতাশার, ন্যান্সি সেটা মেনে নিতে পারেননি। প্রায় ২ডজনেরও অধিক ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে সুইসাইড করার ট্রাই করেন এই গায়িকা। হাবীব ওয়াহিদ তার সবথেকে কাছের বড়ভাই হিসাবে সেসময়ে ছুটে গিয়ে সেইফ করেছিলো ন্যান্সিকে। ন্যান্সিও সুস্থ হয়ে আড়ালে চলে গেলেন। সিংগেল গান প্রকাশ করলেও আর সেইরকমের তোলপাড় করে দেয়া হিট দিতে পারেননি। তার সহশিল্পীরা ধীরে ধীরে মিউজিক থেকে দূরে চলে এসেছিলো।
এই সময়টাতেই কনা তার গ্রুমিং করে নতুনদের সাথে কাজ করে নাম্বার ওয়ান গায়িকায় পরিণত হলো। এটা কনা তার নিজস্ব দক্ষতা আর পরিশ্রমের ফলেই হয়েছে। কোনাল শাকিব খানের কাছের ফিমেল কন্ঠশিল্পী হয়েও বড় বড় কাজ পেয়েও এক নাম্বার স্থান দখল করতে পারেননি।
বিএনপি সমর্থন করায় কনকচাপা, বেবি নাজনীন, ডলি সায়ন্তনি, রবি চৌধুরী, মনির খান, এমনকি সংগীতের যুবরাজ আসিফের ক্যারিয়ারও একটা জায়গায় স্টক হয়ে গিয়েছিলো। ন্যান্সি আবারও ভাল কাজে ফিরতে শুরু করেছেন, তার উচিত ছিলো ভাল ভাল গান দিয়ে নিজের সেই মায়াভরা কন্ঠের জাদু দেখানো, কিন্তু তিনি লেগে গেলেন সম-সাময়িক আরেক শিল্পী কনার পেছনে। খুব অপমানজনক ছোটলোকই শব্দ দিয়েই আক্রমন করতেছেন কনাকে, যদিও কনা এখন অবধি নিরব এই ব্যাপারে।
২/১ দিন আগে কনার ডির্ভোসের পোস্টে কনা লিখেছেন, 'জন্ম মৃত্যু বিবাহ বিচ্ছেদ এ সবই আল্লাহর ইচ্ছায়, একদম চিরন্তন সত্য বাক্য লিখেই শুরু করেছেন। এই লাইনটা কপি করে, ন্যান্সি স্টাটাস দিছেন বয়ানে -শেয়াল রানী। হাউ চিপ এন্ড ডার্টি মেন্টালিটি অব হার। ন্যান্সি তার ক্যারিয়ার নিজেই ধ্বংস করেছে, আসিফের সাথে বিশাল একটা ঝামেলা ছিলো। আসিফ সরাসরিই বলেছিলো, 'ন্যান্সি মানসিকভাবে অসুস্থ। '
ফ্রেন্ডলিস্টে অনেক পরিচালক, মিউজিসিয়ান আছেন, আশা করবো ন্যান্সির সাথে কাজ হলে কাউন্সিলিংয়ের কথা বলবেন। এভাবে কারও লেজ ধরে টেনে নামিয়ে নিজে ওপরে ওঠা যায় না, ওপরে নিজ গুনেই উঠতে হয়। ন্যান্সি- কনা আমাদের নব্বই দশকের ছেলে-মেয়েদের কিশোর বয়সের মিউজিক ক্রাশ বলা যায়, ওনারা জ্বলুক নিজ যোগ্যতায়। আবারও উপহার দিক...
১. চিঠি, রঙিন হাওয়া, ভেজা হাওয়া, ভালবাসি তোমায় - আরফিন রুমি - ন্যান্সি।
অথবা
২. হাওয়ায় হাওয়ায়, পৃথিবীর যত সুখ, দ্বিধা, বাতাস কি বলে গেলো, ঝরা পাতা - হাবীব ওয়াহিদ - ন্যান্সি।
এরকম আরও বহুত মাস্টারক্লাস গান।
কনাও 'দুষ্টু কোকিল অথবা প্রেমের দোকানদার' এর মতো আইটেম গানে মাতাক দেশ, সাথে চলুক 'কন্যা, ওহে শ্যাম, ধীম তানা, বরষা ' র মতো রোমান্টিক এবং ডিফারেন্ট জনরার গানও।
দুজনই বর্তমান সময়ে প্লেব্যাকের ডায়মন্ড বলা চলে।