Tasawuf Tv

Tasawuf Tv পরিপূর্ণ দ্বীন শিক্ষার অনলাইন ঠিকানা

27/03/2025

আজ পবিত্র শবে কদর এবং জুমাতুল বিদার রাত। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ তায়ালা সবার গুনাহ মাফ করুন আমীন।

25/03/2025

পবিত্র মাহে রমজানের লাইলাতুল কদর পর্ব-01

16/03/2025

পানিতে বা আগুনে হাটা বড় কারামতী নয়!ফরজ ওয়াজিব,সুন্নত,মুস্তাহাব,মুস্তাহসান পরিপূর্ণ আমল করাই বড় কারামতী!
পীর সাহেব,ছারছীনা দরবার

এবছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।সূত্রঃ ইফা
11/03/2025

এবছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও
সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্রঃ ইফা

23/02/2025

লাখো কন্ঠে মিলাদ-কিয়াম, দরুদ সালাম | | TASAWUFTVBANGLA| Viral Milad Kiyam
Hd Link: https://youtu.be/brzc9IMbsqw

23/02/2025

Subject: আখেরী মোনাজাত
Lectured By: নায়েবে রাসূল মাওঃ শাহ্ আবদুশ শাকূর ( মা. জি. আ. )
HD LINK: https://youtu.be/G1e3i1oTbuA?si=dI7Y4X7GifcWrp7S
Publish By: TASAWUF TV BANGLA
Director: S M Motasim Billah Siddiki
Editing: SM Motasim Billah
Voice: Bangla

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

আমাদের ভিডিওটি দেখার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আরো সব নতুন নতুন বয়ান পেতে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনটিতে চাপ দিয়ে রাখুন। দ্বীনের তথা ইসলামের সঠিক কথাগুলো অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছা নিয়ে আমাদের ভিডিওগুলোকে সবার কাছে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।
................Subscribe our channel to get all the latest islamic content ............ Please ✅ Like ✅Comment ✅ Share and ✅ Subscribe

Connect on TASAWUF TV Social platform:

→ Facebook : https://www.facebook.com/TASAWUFTV/?modal=admin_todo_tour
→ Youtube : https://www.youtube.com/channel/UCKeNpahzZ6CH-zidov-vacg?sub_confirmation=1

শবে বরাত কি,:-শা’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রজনী’ শবে বরাত” নামে পরিচিত। ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্...
08/02/2025

শবে বরাত কি,:-
শা’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রজনী’ শবে বরাত” নামে পরিচিত। ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। একটি অভিযোগ শবে বরাত কুরআন ও হাদীসের কোথাও নেই।
এ কথার জবাব হল, কুরআন ও হাদিসের কোথাও শবে বরাত থাকবে কেন, শবে বরাত কুরআন ও হাদীসের পরিভাষা নয়। যেমন :নামাজ, রোযা, ফেরেস্তা এগুলো কুরআন ও হাদিসের পরিভাষা নয়। কুরআনে ‘লাইলাতুম মুবারকা’। হাদিসে ‘লাইলাতুন নিসফী মিন শা’বান’। পবিত্র কোরআন ও প্রসিদ্ধ তাফসীরের আলোকে শবে বরাত
আল্লাহ এরশাদ করেন- হা-মীম, এ স্পষ্ট কিতাবের শপথ! নিশ্চয়ই আমি তা বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে বন্টন করে দেওয়া হয় প্রত্যেক হিকমতের কাজ। (সূরা দুখান, আয়াত নং ১-৪)
এ আয়াতের তাফসীর সম্পর্কে বিশ্ব বরেণ্য মুফাস্সিরগণের মতামতঃ ১.মালেকী মাযহাবের আল্লামা শেখ আহমদ ছাভী বলেন- ঐ বরকতময় রজনী হচ্ছে অর্ধ শাবানের রাত্রি (মোফাসসিরীনে কেরামের অন্যতম মোফাসসির) বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইকরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)ও অন্যান্য তাফসীরকারকদের একদলের অভিমত। তারা এর কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেছেন। শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত্রির চারটি নামে নামকরণ করেছেন। যেমন- ১। লাইলাতুম মুবারাকাহ- বরকতময় রজনী। ২। লাইলাতুল বারাআত- মুক্তি বা নাজাতের রাত্রি। ৩। লাইলাতুর রহমাহ- রহমতের রাত্রি। ৪। লাইলাতুছ ছাক- সনদপ্রাপ্তির রাত্রি ইত্যাদি। (তাফসীরে ছাভী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৪০)
২.তাফসীরে জালালাইন শরীফে রয়েছে-নিশ্চয়ই আমি তা বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি। আর বরকতময় রাত হল লাইলাতুল ক্বদর (ক্বদরের রাত) অথবা লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান (শাবানের মধ্য রাত তথা শবে বরাত)। কেননা এই রাতে উম্মুল কিতাব (কোরআন শরীফ) ৭ম আসমান থেকে দুনিয়ার আসমানে (১ম আসমান) নাযিল হয়েছে। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। (তাফসীরে জালালাইন শরীফে ৪১০ পৃষ্ঠায়)
৩.তাফসীরে তাবারী শরীফে রয়েছে- আল্লাহ তায়ালার বাণী এর তাফসীরে বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইকরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মধ্য শাবানের রাত্রিতে বছরের সকল ব্যাপার চ‚ড়ান্ত করা হয়, জীবিত ও মৃতদের তালিকা লেখা হয় এবং হাজীদের তালিকা তৈরি করা হয়। এ তালিকা থেকে একজনও কমবেশি হয় না। (তাফসীরে তাবারী শরীফ, পৃষ্ঠা ২২, খন্ড ১০)
৪. প্রসিদ্ধ তাফসীরে কুরতুবী রয়েছে- ইমাম কুরতুবী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)বলেন, এ রাতের ৪ টি নাম আছে- (ক). লাইলাতুম মুবারাকা, (খ). লাইলাতুল বারাআত, (গ). লাইলাতুছ্ ছাক (ঘ). লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান। (তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১৬ পৃষ্ঠা-১২৬)
৫.তাফসীরে বাগভী শরীফে বর্ণিত আছে- নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ শবে বরাতের রাতে সকল বিষয়ের চ‚ড়ান্ত ফয়সালা করেন এবং শবে ক্বদরের রাতে তা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ববান ফেরেশতাদের কাছে ন্যস্ত করেন । (তাফসীরে বাগভী, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা ২২৮)
এ রকম ৬৫ টি তাফসীর গ্রন্থে লাইলাতুম মোবারাকা বলতে শবে ক্বদরের পাশাপাশি মধ্য শাবান অর্থাৎ ১৪ শাবানের রাতের কথাও গুরুত্ব সহকারে বলা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিতাবসমূহের নাম-
(১).তাফসীরে ইবনু আবি হাতেম, খন্ড-১২, পৃষ্ঠা-২১৪। (২).তাফসীরে রুহুল মায়ানী, খন্ড-২৫, পৃষ্ঠা-১১০। (৩).তাফসীরে বাহরুল মুহীত, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-২৪। (৪).তাফসীরে ফাতহুল কাদীর, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৫৭০। (৫).তাফসীরে যাদুল মাছির, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা-১২২। (৬).তাফসীরে নাসাফী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৩০২। (৭). তাফসীরে নিসাপুরী, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৪৯০। (৮). তাফসীরে কাশ্শাফ, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-২৭২। (১০). তাফসীরে নুকুত ওয়াল উয়ূন, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৪৯০। (১১). তাফসীরে দুররে মানসূর, খন্ড-১২, পৃষ্ঠা-৬৯। (১২). তাফসীরে খাজেন, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-১৪৩। (১৩). তাফসীরে আল বোরহান, খন্ড-২৩, পৃষ্ঠা-১১৬। (১৪). তাফসীরে রাযী, খন্ড-১৭, পৃষ্ঠা-১৩৩। (১৫). তাফসীরে আলুসী, খন্ড-১৮, পৃষ্ঠা-৪২৪। (১৬). তাফসীরে হাক্কী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৬। (১৭).তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-১২৭। (১৮). তাফসীরে সাভী, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৩০২। (১৯). তাফসীরে ইবনে কাসীর, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা-২৪৬। (২০). তাফসীরে জামিউল বায়ান, খন্ড-২০, পৃষ্ঠা-১৫১। (২১). তাফসীরে নুসূকী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১২০। (২২). তাফসীরে কাদের, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৬৬। (২৩). তাফসীরে মাযহারী, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-৩৬৮। (২৪). তাফসীরে কাসেমী, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-৩৬৮। (২৫). তাফসীরে কোশাইরী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-১৯০, (২৬). তাফসীরে আবু সাউদ, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-১৩০। (২৭). তাফসীরে আয়াতুল আহকাম, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৬৬। (২৮). তাফসীরে রুহুল বয়ান, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৫৯৮। (২৯). তাফসীরে কাশেফুল আসরার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৯৪-৯৮ পৃষ্ঠা। (৩০). তাফসীরে মাওয়ারদী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১০২। (৩১). তাফসীরে সিরাজুম মুনির, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৪৫৮। (৩২). কানজুল ঈমান শরীফ।
হাদীসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের দলীল
দলীল নং : ১
হযরত আবূ মূসা আশয়ারী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন। রাসূলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ ফরমান- মধ্য শাবানের রাত্রিতে আল্লাহ পাক রহমতের তাজাল্লী ফরমান এবং তার সমস্ত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রুতাপোষণকারী ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না।
{তথ্য সূত্র: (১).ইবনে মাজাহ শরীফ, পৃষ্ঠা-১০০, হাদীস নং-১৩৮৯, মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা-১১৫। (২). ইমাম বায়হাকী,শুয়াবুল ঈমান, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা- ৩৮২। (৩).ফাজায়েলুল আওকাত, পৃষ্ঠা-১৩৩, হাদীস নং-২৯। (৪).মিসবাহুজ জুজাযাহ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৪৪২, হাদীস নং-৪৮৭। (৫).আত তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড-৩য়, হাদীস নং-২৭১৮। (৬).আহলে হাদীস তথা লা-মাযহাবীদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি নাসির উদ্দীন আলবানীর “সিলসিলাতুল আহাদিছে ছহিহা” এর খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-১৩১ আরো ৫ টি হাদীস রয়েছে।}
দলীল: ২হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মধ্য শাবানের রাত্রিতে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে জালওয়া রাখেন, অত:পর তাঁর সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রæতাপোষণকারী ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না।
{তথ্য সূত্র: (১). ইমাম বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮৩৩। (২).সহীহ ইবন হিব্বান, খন্ড-১৩, পৃষ্ঠা-৩৫৫, হাদীস নং ১৯৮০। (৩).আহলে হাদীস তথা লা-মাযহাবীদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি নাসির উদ্দিন আলবানীর “সিলসিলাতুল আহাদিস আসসাহীহা”এর খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-১৩৫, হাদীস নং-১১৪৪। (৪).মুজামুল কাবীর, খন্ড-১৫, পৃষ্ঠা-২২১। (৫).ফাজায়েলুল আওকাত, পৃষ্ঠা-১১৯, হাদীস নং-২২। (৬).আত তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৪১। (৭).মাজমাউয যাওয়ায়েদ, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-৬৫। (৮).আল হিলয়াহ, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-১৯১। (৯).আসসুন্নাহ, হাদীস নং-৫১২।}
দলীল নং : ৩
উম্মুল মোমেনীন মাহবুবায়ে মাহবুবে রাব্বিল আলামিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- রহমতে আলম নূরে মুজাচ্ছম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন হুজুর পাক রাউফুর রাহীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে জিজ্ঞেস করলেন- হে আয়েশা! শাবান মাসের মধ্য রাতের মর্যাদা ও বুযুর্গী সম্পর্কে তুমি কি জান? তিনি আরজ করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতের কি মর্যাদা রয়েছে? আল্লাহ হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন- আগামী এক বছরে কতজন আদম সন্তান ভূমিষ্ট হবে এবং কতজন আদম সন্তান মৃত্যুবরণ করবে তা এ রাত্রে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর এ রাত্রিতে তাদের আমল মহান আল্লাহ দরবারে উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের রিযিক অবতীর্ণ কিংবা নির্ধারণ করা হয়। অত:পর হযরত আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “আল্লাহ রহমত ছাড়া কারো পক্ষে কি জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মহান আল্লাহ বিশেষ রহমত ও একান্ত অনুগ্রহ ছাড়া কারো পক্ষে জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়। এ কথাটি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনবার বললেন।
{তথ্য সূত্র: (১).মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা-১১৫। (২).ফাজায়েলুল আওকাত, হাদীস নং ২৬।}পবিত্র শবে বরাতের দলীল, গুরুত্ব, তাৎপর্য ও আমল:
♦ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় রোজা রাখাঃ

٢٠٧٤ - وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - ﷺ «مَنْ صَامَ يَوْمًا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ بَعَّدَهُ اللَّهُ مِنْ جَهَنَّمَ كَبُعْدِ غُرَابٍ طَائِرٍ وَهُوَ فَرْخٌ حَتَّى مَاتَ هَرِمًا» رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ فِي (شُعَبِ الْإِيمَانِ) عَنْ سَلَمَةَ بْنِ (قَيْسٍ) - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -.
১---২০৭৪-আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃযে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সওম রাখে,আল্লাহ তা‘আলা তাকে জাহান্নাম থেকে ওই উড়তে থাকা কাকের দূরত্বের পরিমাণ দূরে রাখবেন, যে কাক বাচ্চা অবস্থায় উড়তে শুরু করে বৃদ্ধ অবস্থায় মারা যায়।আহমাদ ১০৪২৭,

٢٠٥٣ وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ «مَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ بَعَّدَ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا»" مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
২----২০৫৩-[১৮] আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একদিন আল্লাহর পথে (অর্থাৎ- জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ-এর সময় খালিসভাবে আল্লাহর জন্য) সওম রাখে, আল্লাহ তা‘আলা তার মুখম-লকে (অর্থাৎ- তাকে) জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে রাখবেন। সহীহ : বুখারী ২৮৪০, মুসলিম ১১৫৮, নাসায়ী ২২৪৫, ইবনু মাজাহ ১৭১৭, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৯৬৮৪, আহমাদ ১১৪০৬, দারিমী ২৪৪৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৮৫৭৬,

٢٠٦٤ - وَعَنْ أَبَى أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - ﷺمَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ جَعَلَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ خَنْدَقًا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ» " رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
৩--২০৬৪-[২৯] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন সওম রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা তার ও জাহা ন্নামের মধ্যে এমন একটা পরিখা আড় হিসেবে বানিয়ে দেবেন যা আসমান ও জমিনের মধ্যে দূরত্বের সমান হবে। হাসান সহীহ : তিরমিযী ১৬২৪, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭৯২১, সহীহাহ্ ৫৬৩, সহীহ আত্ তারগীব ৯৯১, সহীহ আল জামি‘ ৬৩৩৩।

٢٠٥٧ - وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - ﷺ«يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا صُمْتَ مِنَ الشَّهْرِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسَ عَشْرَةَ» " رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ
৪--২০৫৭-[২২] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ হে আবূ যার! তুমি যখন কোন মাসে তিনদিন সওম পালন করতে চাও, তাহলে তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখে করবে। ] হাসান সহীহ : তিরমিযী ৭৬১, নাসায়ী ২৪২৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২১২৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৪৪৫, ইরওয়া ৯৪৭, সহীহ আত্ তারগীব ১০৩৮, সহীহ আল জামি‘ ৬৭৩, আহমাদ ২১৪৩৭।
٢٠٤٥ - وَعَنْهُ قَالَ: «سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ - ﷺ عَنْ صَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَقَالَ: " فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
৫---২০৪৫-[১০] আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ-কে সোমবারের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি (ﷺ) বললেনঃ এ দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি। এ দিনে আমার ওপর (কুরআন) নাযিল করা হয়েছে। ( সহীহ মুসলিম ১১৬২, আবূ দাঊদ ২৪২৬, আহমাদ ২২৫৫০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৪৩৪, শু‘আবূল ঈমান ১৩২৩।

♦রাতের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় আছে
দুনিয়া ও আখিরাতের কোন কল্যাণ প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন।

١٢٢٤ -وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ إِنَّ فِي اللَّيْلِ لَسَاعَةً، لَا يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ، يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا خَيْرًا مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ، وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ۔ رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
৬-১৬৫৫-(১৬৬/৭৫৭) উসমান ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী ﷺকে বলতে শুনেছিঃ সারা রাতের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় আছে যে সময়ে কোন মুসলিম আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোন কল্যাণ প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। আর ঐ বিশেষ সময়টি প্রত্যেক রাতেই থাকে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৪০, ইসলামীক সেন্টার, ১৬৪৭)

١٢٢٥ - وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ«أَحَبُّ الصَّلَاةِ إِلَى اللَّهِ صَلَاةُ دَاوُدَ، وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ: كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ، وَيَنَامُ سُدُسَهُ، وَيَصُومُ يَوْمًا، وَيُفْطِرُ يَوْمًا» ". مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
৭-(৭৯৯) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ-স (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম নামায,দাঊদ (আঃ)-এর নামায এবং আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম রোযা, দাঊদ (আঃ)-এর রোযা; তিনি অর্ধরাতে নিদ্রা যেতেন এবং রাতের তৃতীয় ভাগে ইবাদত করার জন্য উঠতেন। অতঃপর রাতের ষষ্টাংশে আবার নিদ্রা যেতেন। (অনুরূপভাবে) তিনি একদিন রোযা রাখতেন ও একদিন রোযা ত্যাগ কর তেন।’’(বুখারী ১১৩১, ৩৪২০, মুসলিম২৭৯৬-২৭৯
রাতের সলাত۔۔۔

١١٧٣ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ «مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ ; عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
৮-১১৭৩-[১৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে লোক মাগরিবের সলাতের পর ছয় রাক্‘আত /নামাজ) আদায় করবে এবং এর মধ্যখানে কোন অশালীন কথাবার্তা বলবে না। তাহলে এ (ছয়) রাক্‘আতের সাওয়াব তার জন্যে বারো বছরের ‘ইবাদাতের সাওয়াবের পরিমাণ হয়ে যাবে। (তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব।
আত্ তিরমিযী ৪৩৫, ইবনু মাজাহ্ ১১৬৭
١١٧٤ - وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ عِشْرِينَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ» " رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ.
৯--১১৭৪-[১৬] ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক মাগ রিবের নামাজ) শেষের পর বিশ রাক্‘আত সলাত আদায় করবে। আল্লাহ তা‘আলা তার জন্যে জান্নাতে একটি বাড়ী বানাবেন।আত্ তিরমিযী ৪৩৫

ابُ السُّنَنِ وَفَضَائِلِهَا]الْفَصْلُ الْأَوَّلُ
۔١١٥٩ -عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ" «مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً ; بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ: أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، " وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلَاةِ الْفَجْرِ»" رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ أَنَّهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ:«مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يُصَلِّي لِلَّهِ كُلَّ يَوْمٍ ثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا غَيْرَ فَرِيضَةٍ ; إِلَّا بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ أَوْ إِلَّا بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ» ".
[٣٠ -] بَابُ السُّنَنِ وَفَضَائِلِهَا

১০-১১৫৯-[১] উম্মু হাবীবাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে লোক দিন রাতে বারো রাক্‘আত সলাত আদায় করবে তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে। (সে বারো রাক্‘ আত সলাত হলো) চার রাক্‘আত যুহরের ফারযের ফরজের) পূর্বে আর দু’ রাক্‘আত যুহরের (ফারযের) পরে, দু’ রাক্‘আত মাগরিবের (ফরয সলাতের) পরে। দু’ রাক্‘আত ‘ইশার ফরয সলাতের পরে। আর দু’ রাক্‘আত ফাজ্‌রের (ফজরের) (ফরয সলাতের) পূর্বে। (তিরমিযী)মুসলিমের এক বর্ণনায় শব্দ হলো উম্মু হাবীবাহ্ বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, যে মুসলিম প্রতিদিন আল্লাহ তা‘আলার ফরয সলাত ব্যতীত বারো রাক্‘আত সুন্নাত সলাত আদায় করবে। আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন। অথবা বলেছেন, জান্নাতে তার জন্যে একটি ঘর বানানো হবে।[1]] সহীহ : আত্ তিরমিযী ৪১৫, মুসলিম ৭২৮, নাসায়ী ১৮০৬, ইবনু মাজাহ্ ১১৪১, সহীহ আল জামি‘ ৬৩৬২।

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ ، عَنِ الْعَلاءِ بْنِ الْحَارِثِ ، عَنْ حَرَامِ بْنِ مُعَاوِيَةَ ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ ، قَالَ :سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاةِ فِي بَيْتِي وَالصَّلاةِ فِي الْمَسْجِدِ ، قَالَ : قَدْ تَرَى مَا أَقْرَبَ بَيْتِي مِنَ الْمَسْجِدِ ، فَلأَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُصَلِّيَ فِي الْمَسْجِدِ , إِلا أَنْ تَكُونَ صَلاةً مَكْتُوبَةً " .
১১---২২৩. আবদুল্লাহ ইবনে সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলাম, নফল সালাত আমার ঘরে পড়া ভালো, না মসজিদে পড়া ভালো? তিনি বললেন, তুমি দেখছ না আমার ঘর কত নিকটে, তা সত্ত্বেও ফরয সালাত মসজিদে পড়া ছাড়া অন্যান্য সালাত আমি ঘরে পড়াই উত্তম মনে করি।[ইবনে খুযাইমা, হা/১২০২: মুজামুস সাহাবা, হা/১৫৫৮; আল আহাদ ওয়াল মাছানী, হা/৮৬৫; শারহুল মা'আনী, হা/১৯৯৪।

٤٠] بَابُ صَلَاةِ التَّسْبِيحِ١٣٢٨ - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ «النَّبِيَّ ﷺ قَالَ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: " يَا عَبَّاسُ! يَا عَمَّاهُ! أَلَا أُعْطِيكَ؟ أَلَا أَمْنَحُكَ؟ أَلَا أُخْبِرُكَ؟ أَلَا أَفْعَلُ بِكَ؟ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ، غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، قَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ، خَطَأَهُ وَعَمْدَهُ، صَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ، سِرَّهُ وَعَلَانِيَتَهُ: أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةً، فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ وَأَنْتَ قَائِمٌ، قُلْتَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً، ثُمَّ تَرْكَعُ، فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ، فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا، فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، فَذَلِكَ خَمْسٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ، تَفْعَلُ ذَلِكَ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ، إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ، فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمْرِكَ مَرَّةً» ". رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَابْنُ مَاجَهْ، وَالْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ ".
সলাতুত্ তাসবীহ-এর বর্ণনা- এ সলাতে অধিক তাসবীহ পাঠ করা হয় বিধায় একে সলাতুত্ তাসবীহ বলা হয়।
১২---১৩২৮-[১] ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্ত্বালিবকে বললেন, হে ‘আব্বাস! হে আমার চাচাজান! আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি আপনাকে বলে দেব না? আপনাকে কি দশটি অভ্যাসের অধিপতি বানিয়ে দেব না? আপনি যদি এগুলো ‘আমাল করেন তাহলে আল্লাহ আপনাকে পূর্বের, পরের, পুরানো ও নতুন, ইচ্ছাকৃত অথবা ভুলক্রমের, ছোট কি বড়, প্রকাশ্য কি গোপন, সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। আর সেটা হলো আপনি চার রাক্‘আত নামাজ) আদায় করবেন। প্রতি রাক্‘আতে ফাতিহাতুল কিতাব ও সঙ্গে একটি সূরাহ্। প্রথম রাক্‘আতের ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া শেষ হলে দাঁড়ানো অবস্থায় পনের বার এ তাসবীহ পড়বেনঃ ‘‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি, ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু আল্ল-হু আকবার’’। তারপর রুকূ‘তে যাবেন। রুকূ‘তে এ তাসবীহটি দশবার পড়বেন। তারপর রুকূ‘ হতে মাথা উঠিয়ে এ তাসবীহ আবার দশবার পড়বেন।তারপর সাজদাহ্ ) করবেন। সাজদায় এ তাসবীহ দশবার পড়বেন। তারপর সাজদাহ্ হতে মাথা উঠাবেন। সেখানেও এ তাসবীহ দশবার পড়বেন। তারপর দ্বিতীয় সাজদায় যাবেন। এ তাসবীহ দশবার এখানেও পড়বেন। তারপর সাজদাহ্ হতে মাথা উঠিয়ে এ তাসবীহ দশবার পড়বেন। সর্বমোট এ তাসবীহ এক রাক্‘আতে পঁচাত্তর বার হবে। চার রাক্‘আতে এ রকম পড়ে যেতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন এ সলাত এ রকম পড়তে পারেন তাহলে প্রতিদিনই পড়বেন। প্রতি দিন পড়তে না পারলে সপ্তাহে একদিন পড়বেন। সপ্তাহে একদিন পড়তে না পারলে প্রতিমাসে একদিন পড়বেন। যদি প্রতি মাসে একদিন পড়তে না পারেন, বছরে একবার পড়বেন। যদি বছরেও একবার পড়তে না পারেন, জীবনে একবার অবশ্যই পড়বেন।আবূ দাঊদ ১২৯৭, ইবনু মাজাহ্ ১৩৮৭, ইবনু খুযায়মাহ্ ১২১৬, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১১৯২,

١٣٣٠ وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺَ يَقُولُ:إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلَاتُهُ، فَإِنْ صَلُحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ الرَّبُّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ؟ فَيُكَمَّلُ بِهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الْفَرِيضَةِ، ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى ذَلِكَ وَفِي رِوَايَةٍ: ثُمَّ الزَّكَاةُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ تُؤْخَذُ الْأَعْمَالُ عَلَى حَسَبِ ذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ.
১৩---১৩৩০-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ ক্বিয়া মাতের (কিয়ামতের) দিন সব জিনিসের পূর্বে লো কের যে ‘আমালের হিসাব হবে, তা হলো নামাজ)। যদি তার সলাত সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে ও নাজাত পাবে। আর যদি সলাত বিনষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরয সলাতে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা মালায়িকাহ্-কে (ফেরেশতাগণকে) বলবেন, দেখো! আমার বান্দার নিকট সুন্নাত ও নফল সলাত আছে কি-না? তাহলে সেখান থেকে এনে বান্দার ফরয সলাতের ত্রুটি পূরণ করে দেয়া হবে। এরপর এ রকম বান্দার অন্যান্য হিসাব নেয়া হবে। অন্য এক বিবরণ এসেছে, তারপর এ রকম যাকাতের হিসাব নেয়া হবে। অতঃপর অবশিষ্ট সব ‘আমালের হিসাব একের পর এক এ রকম নেয়া হবে। (আত্ তিরমিযী ৪১৩, নাসায়ী ৪৬৫,সহীহ আত্ তারগীব ৫৪০ সহীহ আল জামি‘ ২০২০; আবূ দাঊদ ৮৬৪, ৮৬

١١٩٦ - وَعَنْهُ أَنَّهُ «رَقَدَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ فَاسْتَيْقَظَ، فَتَسَوَّكَ، وَتَوَضَّأَ وَهُوَ يَقُولُ: {إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ} [آل عمران: ١٩٠] حَتَّى خَتَمَ السُّورَةَ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَطَالَ فِيهِمَا الْقِيَامَ وَالرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ، ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ سِتَّ رَكَعَاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَسْتَاكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيَقْرَأُ هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ، ثُمَّ أَوْتَرَ بِثَلَاثٍ» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
১৪---১১৯৬-[৯] উক্ত রাবী [‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিত। তিনি এক রাতে রসূলুল্লাহ ﷺএর নিকট শুইলেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ রাত্রে জাগলেন। মিসওয়াক করলেন ও অজু) করলেন। তারপর এ আয়াত পাঠ করলেন, ইন্না ফী খালকিস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি...সূরার শেষ পর্যন্ত। এরপর তিনি দাঁড়ালেন, অতঃপর দু’ রাক্‘আত সলাত আদায় করলেন। সলাতে তিনি বেশ লম্বা ক্বিয়াম (কিয়াম), রুকূ‘ ও সাজদাহ্ (সিজদা/স) করলেন। সলাত শেষে তিনি ঘুমিয়ে গেলেন ও নাক ডাকতে শুরু করলেন। এ রকম তিনি তিনবার করলেন। তিনবারে তিনি ছয় রাক্‘আত নামায আদায় করলেন। প্রত্যেকবার তিনি মিসওয়াক করলেন, উযূ করলেন। ঐ আয়াতগুলোও পঠ করলেন। সর্বশেষ বিতরের তিন রাক্‘আত সলাত আদায় করলেন। (মুসলিম ৭৬৩।
১১।রাতে কুরআন তেলাওয়াতঃ----

٢١٨٦ - وَعَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا أَنَّ النَّبِيَّ - ﷺ قَالَ:مَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ مِائَةَ آيَةٍ لَمْ يُحَاجِّهِ الْقُرْآنُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، وَمَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ مِائَتَيْ آيَةٍ كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ لَيْلَةٍ، وَمَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ خَمْسَمِائَةً إِلَى الْأَلْفِ أَصْبَحَ وَلَهُ قِنْطَارٌ مِنَ الْأَجْرِ " قَالُوا: وَمَا الْقِنْطَارُ؟ قَالَ: " اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا» " رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ.
১৫---২১৮৬-[৭৮] হাসান বাসরী (রহঃ) মুরসালরূপে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। নাবী ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে (কুরআনের) একশ’টি আয়াত পড়বে, ওই রাতে কুরআন তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন করবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে দু’শত আয়াত পড়বে, তার জন্য এক রাতের ‘ইবাদাতের সাওয়াব লিখা হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে পাঁচশ’ হতে এক হাজার আয়াত পর্যন্ত পড়বে ভোরে উঠে সে এক ‘কিনত্বার’ সাওয়াব পাবে। তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! এক ‘কিনত্বার’ কী? তিনি (ﷺ) জবাব দিলেন, বারো হাজার দীনার ইবাদাতের সাওয়াব লিখা হবে।দারিমী ৩৫০২
১২।শবে বরাতের রাত্রে ۔হালুয়া-রুটিঃবিতরন জায়েজঃ

٤١٨٢ - وَعَنْ عَائِشَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - ﷺيُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ» ". رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.
১৬--৫৪৩১. ‘আয়িশাহ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺহাল্ওয়া ও মধু ভালবাসতেন।
বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ৮১৭ পৃষ্ঠা সহ আরো বিভিন্ন পৃষ্ঠায় ১১টি হাদীস রয়েছে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) থেকে বর্ণিত, মিশকাত শরীফ ৩৬৪পৃষ্ঠা )
] [৪৯১২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৪) সহীহ : বুখারী ৫৪৩১, ৫৫৯৯; মুসলিম (১৪৭৪)-২১, তিরমিযী ১৮৩১, আবূ দাঊদ ৩৭১৫, ইবনু মাজাহ ৩৩২৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫২৫৪, সুনানুন্ নাসায়ী আল কুবরা ৭৫৬২, দারিমী ২০৭৫।
ব্যাখ্যাঃ (كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺَ يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ) ‘‘রসূলুল্লাহ ﷺ মিষ্টি ও মধু পছন্দ করতেন।’’ ইবনু বাত্ত্বল (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মিষ্টি ও মধু পবিত্র খাদ্যদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরো বলেনঃ সকল প্রকার সুস্বাদু খাবার এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ সকল প্রকার সুস্বাদু খাবার খাওয়া বৈধ। খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তিনি মিষ্টি ও মধু পছন্দ করতেন এর অর্থ এ নয় যে, তিনি ঐ বস্তুর প্রতি আসক্ত ছিলেন বরং ঐ দু’টি উপস্থিত হলে তা থেকে তিনি সুন্দরভাবে গ্রহণ করতেন। এ দ্বারা বুঝা যেত যে, তিনি তা পছন্দ করতেন। সায়ালিবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে মিষ্টি নবী ﷺপছন্দ করতেন তা খেজুর ও দুধের মিশ্রণে তৈরি করা হত। অত্র হাদীসে এটাও জানা যায় যে, একাধিক প্রকারের খাদ্য গ্রহণ বৈধ তা মাকরূহ নয়। যেমনটি অনেক সুফীরা মনে করে থাকে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫৪৩১; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮৩১
এছাড়া তিরমিযী শরীফে উল্লেখ আছে নবী করিম ﷺ এরশাদ করেছেন-

١٩٠٧ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ - ﷺ الْمَدِينَةَ جِئْتُ فَلَمَّا تَبَيَّنْتُ وَجْهَهُ عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ فَكَانَ أَوَّلُ مَا قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلَامَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصِلُوا الْأَرْحَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ.
১৭-“হে লোক সকল, তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে অন্য দাও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন নামাজে দন্ডা য়মান হও, তবেই তো শান্তিতে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে। সহীহ : আত্ তিরমিযী ২৪৮৫, ইবনু মাজাহ্ ৩২৫১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৩৫৮৪৭, আহমাদ ২৩৭৮৪, দারিমী ১৪৬০, মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪২৮৩, সহীহ আত্ তারগীব ৬১৬।
এতে বুঝা গেল যে, লোকদের খাওয়ানো ও বেহেস্ত লাভের একটি উছিলা। পবিত্র শবে বরাতে উপরোক্ত হাদীসের উপর আমল করার সুযোগ হয়। প্রথমত: মুসলমানগণ নামাজে যাবে একে অপরের সাথে সাক্ষাত হবে এবং একে অপরের সাথে সালাম আদান-প্রদান করবে। আর নবীজি ﷺ বলেছেন সালাম আদান-প্রদান একটি উত্তম আমল।
দ্বিতীয়ত: শবে বরাতে ভাল খাবার বন্টনের মাধ্যমে মানুষকে খাবার খাওয়ানো হলো। পাশাপাশি গরিব-মিসকিনরা একদিন ভাল খাবার খাওয়ার সুযোগ পেল। তৃতীয়ত: আত্বীয়-স্বজন একে-অপরের বাসা/বাড়িতে খাবার বিতরণের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। সুতরাং হালুয়া রুটিসহ উন্নত খাবার পাকানো ও লোকজনকে খাওয়ানো কোন অবস্থায় নাজায়েজ নয়।
আমরা শবে বরাতে নিম্মলিখিত আমলগুলো বেশি বেশি করে আদায় করার চেষ্টা করবো।
যা যা করা উচিত:
*********************
ওয়াক্তিয়া ফরজ নামাজ আদায়ের সাথে সাথে নফল নামাজ আদায় করা।
(ক) ামাজের_মধ্যে
[১] তাহিয়্যাতুল অজু, [২] দুখুলিল মাসজিদ,
[৩] আউওয়াবিন, [৪] তাহাজ্জুদের নামায, [৫] ছলাতুত তাসবিহ [৬] তাওবার নামাজ, [৭] ছলাতুল হাজাত, ৮] ছলাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া।
(খ) নামাজে কিরাআত ও রুকু-সেজদা দীর্ঘ করা।
(গ) পরের দিন নফল রোজা রাখা;
(ঘ) এ মমার্যাদাপূর্ণ রাতে কুরআন শরিফ তেলাওয়াত করা।
[১] সুরা দুখান ও অন্যান্য ফজিলতময় সুরাসমূহ তিলাওয়াত করা;
(ঙ) দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া;
(চ) তাওবা-ইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা;
(ছ) মিলাদ-কিয়াম, দোয়া-মুনাজাত,তাসবিহ তাহলিল, জিকির-আসকার ইত্যাদি করা;
(জ) আউলিয়ে কেরাম, বুযুর্গেদ্বীনের, নিজের মা-বাবা ও অাত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করা;
(ঝ) নিজের জন্য, পিতা-মাতার জন্য,শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সকল মুমিন নর-নারীর জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা
★১- সালাতুত তাসবীহর নামাযঃ-
৪ রাকাতে ৩০০ বার এই তাসবীহ্ পড়তে হয় (সুবহাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ) নিয়তের পর সানা পড়ে ১৫ বার, কেরাত শেষে ১০ বার, রুকূ'র তাসবীহ পড়ার পর ১০ বার, রুকূ' শেষে শেষে দাড়ানো অবস্থায় ১০ বার, ১ম সিজদার তাসবীহ্ পড়ার পর ১০ বার, সিজদা থেকে উঠে বসা অবস্থায় ১০ বার, ২য় সিজদায় তাসবীহ পড়ার পর ১০ বার। এভাবে এক রাকাতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাতে ৩০০ বার আদায় করতে হয়।
ফজীলত: এই নামায পড়ার জন্য প্রিয় রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাচা হযরত আব্বাস (রাঃ) কে তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন- এই নামায পড়লে তোমার পূর্বাপর সমূদয় গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। চাই সে গুনাহ পূরাতন হোক বা নতুন, অনিচ্ছাকৃত গুনাহ্ হোক বা ইচ্ছাকৃত, সগীরা গুনাহ হোক বা কবীরা, অপ্রকাশ্য গুনাহ হোক বা প্রকাশ্য।
গুরুত্বঃ- প্রিয় রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- 'যদি তুমি প্রতিদিন পড়তে পারো, তো একবার পড়ো। যদি প্রতিদিন না পারো- তো প্রতি জুমার দিনে একবার পড়ো। যদি তাও না পারো- তো মাসে একবার পড়ো। যদি তাও না পারো- তো বছরে একবার পড়ো। যদি তাও না পারো- তো জীবনে একবার পড়ো। (তিরমিজি ও ইবনে মাজা)
সুবহানাল্লাহ্! দয়াল নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের ওপর কতো দয়ালু দেখেছেন! তো পড়ুন একবার- ‘আস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া সায়্যিদী ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ওয়া আলা আলিকা ওয়া সাহবিকা ইয়া সায়্যিদী ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামীন।
★২. শবে বরাতের বিশেষ নামাযঃ- ১০০ রাকাত। কোন কোন সুফিয়ায়ে কিরাম ১২ রাকাত ও আদায় করেছেন। এই নামায খুবই ফজিলতপূর্ণ। প্রত্যেকেই আদায় করার চেষ্টা করবেন।
★৩- দরুদ শরীফ পাঠঃ-
হাদীস শরীফে এই মাস প্রিয় রাসূল (দঃ)র মাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এই মাসে বিশেষ করে এই রাতে বেশি বেশি দরুদ-সালাম পাঠ করা উম্মতের ওপর কর্তব্য।
★৪- কোরআন তিলাওয়াতঃ-
হাদীস শরীফে কোরআন তিলাওয়াতকে ‘সর্বোত্তম জিকির’ বলা হয়েছে। তাই এ রাতে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা দরকার।
★৫- কবর জিয়ারতঃ-
কবর যিয়ারতঃকবর যিয়ারত করা সুন্নাত।প্রতি সপ্তাহে একদিন যিয়ারত করা চাই।শুক্র,বৃহস্পতি, শনি ও সোম বার যিয়ারত করা উত্তম। সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে জুম আর দিন সকাল বেলা।আউলিয়া কেরামের মাযার সমূহে সফর করে যাওয়া জায়েয। আউলিয়া কেরাম তাদের যিয়ারতকারীদের উপকার করেন।
নোট: আউলিয়ায়ে কিরামের মাজার শরীফ যিয়ারত করা, ওরস করা, গিলাফ চড়ানো ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় দলিলসহ বিস্তারিত জানতে- জা’আল হক , আহকামুল মাজার, ও সাহায্য প্রার্থনার শরয়ী বিধান ইত্যাদি বইগুলো পড়ুন।এ রাত্রে আপনজন যারা কবরে তাদের কবর যিয়ারত করবেন। স্ব স্ব এলাকার আও লিয়ায়ে কেরাম, বুজুর্গানে দ্বীনদের মাজার যিয়ারত করা অতি উত্তম। এতে ফয়েজ ও বরকত হাসেল হয়। তবে হ্যাঁ কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সারা রাত্র ব্যয় করে দেওয়াটা বোকামী। যেহেতু সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যে আয়ত্বের ভিতরে নিকটতম মাজার শরীফ ও কবর জিয়ারত করলে আদায় হয়ে যায়। কেনান, প্রিয় নবী ﷺকে মা আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) শা’বানের ১৫ তারি খের রাতে জান্নাতুল বাকীতে মোনাজাতরত অবস্থায় পেয়েছেন। (“জামে তিরমিজি” ১ম খন্ড ৯২ পৃষ্ঠা, “মুসনাদে আহমদ” ১৮তম খন্ড, পৃ.-১১৪, হাদীস নং-২৫৯৬। “মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা” ১০ম খন

17/12/2024

Subject: সু-মধুর কন্ঠে মিলাদ কিয়াম
Lectured By: M***i Md Belal Hossain
চার বিভাগে কামিল, তাফসীরে শায়েখ প্রণেতা
Publish By: TASAWUF TV BANGLA
Director: S M Motasim Billah Siddiki
Editing: SM Motasim Billah
Voice: Bangla
video link: https://youtu.be/JRkM2g_kNt4?si=U05IpX1uUoRf6BLw
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

আমাদের ভিডিওটি দেখার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আরো সব নতুন নতুন বয়ান পেতে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনটিতে চাপ দিয়ে রাখুন। দ্বীনের তথা ইসলামের সঠিক কথাগুলো অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছা নিয়ে আমাদের ভিডিওগুলোকে সবার কাছে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।
................Subscribe our channel to get all the latest islamic content ............ Please ✅ Like ✅Comment ✅ Share and ✅ Subscribe

আগামীকাল ১৫/১১/২০২৪ইং রাত ৮ঘটিকায় TASAWUFTVBANGLA ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে।
14/11/2024

আগামীকাল ১৫/১১/২০২৪ইং রাত ৮ঘটিকায় TASAWUFTVBANGLA ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে।

Subject: ভারতের পীর সাহেব বরিশালে ইতিহাস গড়লLectured By: পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ ইমতিয়াজ হোসাইন বোখারীPublish By: TASAWUF TV BANGLADirector: S M Motasim Billah...

Address

289, East NakhalPara
Dhaka
1215

Telephone

+8801511389142

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tasawuf Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category