11/08/2024
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে...
নিচের ছবিতে যে সস টা দেখতেছে সেটা হচ্ছে নাঈম এর গ্রুপের ১৬ ব্যাচের ছাত্রলীগে যারা ছিলো তাদের লিস্ট ( কমিটি আসার আগের)। এইখানে ১২২ জনের নাম, ডিপার্টমেন্ট, নাম্বার, এলাকা সব আছে।
ক্যাম্পাসে ১৬ তম ব্যাচের টোটাল স্টুডেন্ট ১৪০০ এর মতো ( কম-বেশি হতে পারে)। ছেলে ৫০% হলে ৭০০ জন।
নাঈম - ১২২
শুভ - ১৫০ ( আনুমানিক)
নুহাশ - ১০০ (আনুমানিক)
জিসান - ৫০ (আনুমানিক)
নজরুল নাঈম - ২০ (আনুমানিক)
মোট: ৪৪২
এক ব্যাচ থেকে প্রায় ৬৩% ছেলে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক সুবিধা নিসে( লিস্টে মেয়ে নাই তাই মেয়ে বাদ দিলাম) বা রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলো। এরা সবাই রাজনৈতিক পরিচয় দিতো এবং এদের সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা নেতাদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। কারণ গত কয়েকদিনের অভিযোগ থেকে দেখা গেছে যেই ছাত্রলীগের নামে কোনো অন্যায় কাজ করতো তারা সবাই আগে বলতো আমি এই গ্রুপের। আমরা সবাই নিষ্পাপ হয়ে ক্যাম্পাসে আসি নাই, অন্যায় করার জন্যই রাজনৈতিক গ্রুপ গুলার আশ্রয় নিতাম।
এখন এই ৬৩% এর মধ্যে ৬০% এখন সুশীল হয়ে গেছে। এরা কোনো অন্যায় করে নাই। কিছুদিন আগে শুনছে বিএমএস এর এক ছেলেকে হাউজিং এ মারছে। কেন মারছে সেটা আমরা কেউই ছেলের পক্ষ নিয়ে প্রকাশ করি নাই। যেনে নিয়েন আমার বলা লাগবে না। সবাই এখন সুশীল কেউ কিছু করে নাই।
আপনি তাদের গ্রুপে ছিলেন বলেই তো তাদের গ্রুপের মেসেজ পাইছেন। সুবিধা নেয়া শেষ এখন তাদেরকে এক্সপোজ করেন। কিছুদিন পর অন্য দল আসবে আবার তাদের গ্রুপে ডুকবেন।
এরা সবাই গত ১৫ দিন আগেও রাজনৈতিক ভাইদের তেল দিতো। এখন তারা কমেন্ট পোস্ট করে ভাসাই দিচ্ছে। সব দোষ এখন ছাত্রলীগের।
বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ছাত্রদল, শিবির কি করছে সেটা একটু জেনে আসেন তাহলে বলবেন নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ আসলেই ফেরেস্তা ছিলো।
যারা হলে রুম ভাংচুর করছেন আপনারাও সন্ত্রাসী। যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেই নাই সুশীল রা। তাদের বিচার হবে না কেন? কই সমন্বক রা তো ওই দাবি তোলে নাই ৪-৫ ঘন্টার মিটিং এ।
যারা অপরাধ করছে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি দেয়া উচিৎ কিন্তু এক্ষেত্রে কারো কারো লঘু অপরাধে গুরু দন্ড দিচ্ছেন। ব্যাচ থেকে বয়কট করছেন এখন সেটা আবার পোস্ট দিয়ে তাকে হীনমন্য করছেন। তারা আপনাদের সহপাঠী সেটা চিন্তা করেন নাই, কিন্তু তারা অপরাধ করলেও নিজের বন্ধুবান্ধব দের ক্ষতি করার চিন্তা করছে এমন আছে বলে আমার জানা নাই। থাকলেও সেটা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে। আর আপনার বন্ধু যখন অপরাধ করে তখন আপনিও বাঁধা দেন নাই।
এখন ক্ষমতা পাইছেন আপনিও আপনার নিজের রূপ দেখাই দিচ্ছেন। আপনার আর ছাত্রলীগের মধ্যে তফাৎ নাই শুধু তখন আপনার হাতে ক্ষমতা ছিলো না। অনেকই দেখতেছি পোস্ট দিচ্ছেন, কমেন্ট করতেছেন ক্যাম্পাসে আসলে ওরে দেখে নিবে, ওরে কান ধরাইবেন, হল থেকে বের করে দিবেন।
আপনারা মেয়েদের নিয়েও নানা মন্তব্য করতেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যারাজ করতেছেন। নেত্রীর বড় কেন, দায়িত্ব নিতে চান, লিংক আসছে। এগুলা কি অপরাধ না? আপনারা ভালো মানুষ, দেশ গড়বেন এই হইছে আপনাদের ব্যবহার।
আপনারা যেটা করতেছেন সেটা এখন ছাত্রলীগকে ছাড়াই যাচ্ছে। যারা অপরাধী তাদের শাস্তি দেন, কিন্তু একটা মেসেজের জন্য, পোস্টের জন্য তাদেরকে অপমানিত করতেছেন সেটা অবশ্যই অন্যায়।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি আমিও চাই না, কিন্তু সেটা আপনারা রোধ করতে পারবেন না। নতুন দল ক্ষমতায় আসলে ঠিকই ছাত্ররাজনীতি আসবে। এতোদিন শুনি নাই ক্যাম্পাসে ছাত্রদল আছে ওইদিন দেখলাম ছাত্রদলের আহবায়ক পোস্ট দিসে। ওনার সমর্থক না থাকলে আহবায়ক হয় কিভাবে?