26/06/2025
"মা স্ট্রোক করেছেন… আর সেই খবর পেয়ে ছুটে যাওয়া মেয়েটি দেড় ঘণ্টা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পৌঁছায়, কিন্তু তাকে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি… কারণ সে ‘সময়মতো’ পৌঁছাতে পারেনি।"
আজ এমনই একটা ঘটনা দেখলাম… হৃদয় ভার হয়ে আসলো।
একজন মেয়ে, যার মা হঠাৎ স্ট্রোক করেছেন — জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, এমন এক মুহূর্তে কোন সন্তান কি নিজের মা’কে ফেলে রেখে আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে? না, পারা যায় না। মানুষ হলে পারা যায় না।
তবুও সেই মেয়ে দৌড়ে এল — চেষ্টা করলো শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে, কিন্তু সময়ের কয়েকটা কাঁটা পিছিয়ে থাকার কারণে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হলো।
এটাই কি শিক্ষার মানবিক চেহারা?
আমার মনে হয়, এখন সময় এসেছে কিছু নিয়ম নতুন করে ভাবার।
যেমন —
🔹 বাবা-মায়ের মৃত্যু,
🔹 হঠাৎ গুরুতর অসুস্থতা (যেমন স্ট্রোক, অ্যাক্সিডেন্ট),
🔹 প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জীবনঘনিষ্ঠ বিশেষ পরিস্থিতিতে
যে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের জন্য একটা "বিকল্প পরীক্ষা" বা "বিশেষ বিবেচনার সুযোগ" রাখা উচিত।
অবশ্যই তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে, প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে, একেবারে জালিয়াতির সুযোগ না রেখে।
আমরা সবাই মানুষ —
আমাদের জীবনে যে কোনো মুহূর্তে বিপদ আসতে পারে।
আল্লাহ কখন কার ভাগ্যে কী লিখে রেখেছেন, সেটা আমরা কেউই জানি না।
তাই শিক্ষাব্যবস্থা যদি সত্যিকার অর্থে মানবিক মূল্যবোধ ও জীবনের বাস্তবতা থেকে শিক্ষা দেয় — তাহলে এই ধরনের ক্ষেত্রে মানবিক সহানুভূতির জায়গা থাকা আবশ্যক।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি —
শিক্ষা গবেষক, নীতিনির্ধারক, বোর্ড কর্মকর্তাদের এখনই এ বিষয়ে চিন্তা করা উচিত।
এবং জরুরি ভিত্তিতে এ ধরনের ঘটনায় বিকল্প পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা উচিত।
আজকের মেয়েটি পরীক্ষা দিতে পারলো না, কারণ সে মানুষ ছিল —
একজন মায়ের মেয়ে ছিল।
আশা করি, আগামী দিনের কেউ আর এমন মানবিক মূল্য চুকিয়ে পরীক্ষার সুযোগ হারাবে না। কপি