Everything Is Fixed

Everything Is Fixed Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Everything Is Fixed, Digital creator, Dhaka.

ভাইজান জুতা বাহিরে রেখে আসেন ঘরটা ময়লা হয়ে গেছে। ছোটো চাচার কথা শুনে বাবা বসা থেকে উঠে ময়লা জুতা বাহিরে রেখে আসতে যায়, স...
19/04/2025

ভাইজান জুতা বাহিরে রেখে আসেন ঘরটা ময়লা হয়ে গেছে। ছোটো চাচার কথা শুনে বাবা বসা থেকে উঠে ময়লা জুতা বাহিরে রেখে আসতে যায়, সাথে আমার জুতাজোড়াও নিয়ে যায়।

জুতা রেখে আসবার পরে বাবা হাত দিয়ে গায়ের পাঞ্জাবি মুছে তারপর সোফার উপরে বসে, এই বাসায় সবকিছু স্বচ্ছ কাঁচের মতো। শুধু আমার বাবা গায়ের পোশাকটাই ময়লা। যদিও অন্য সময় তেমন ময়লা মনে হয়নি, এখন এই বাসায় আসবার পরে বেশি ময়লা মনে হচ্ছে।

বাবা তার পাঞ্জাবি মুছে তারপর সোফায় বসেন, আমি তাকিয়ে দেখে বাবার পাঞ্জাবিতে একটা হলুদ দাগ লেগে আছে। মা পাঞ্জাবি ধুয়ে দিছেন ঠিকই তবে তবে দাগ তুলতে পারেনি।

বাবা গুটিয়ে বসেন আমিও বাবার মতো গুটিয়ে বসি। যেনো পায়ের ধূলো ফ্লোরে না লেগে যায়, এটাও খেয়াল করি বাবার দেখাদেখি।

বাবা হেসে হেসে কথাই বলছেন, ছোটো চাচা গম্ভীর হয়ে আছেন। এমন গম্ভীর হয়ে থাকে আমার স্কুলের অংকের শিক্ষক, স্যারকে কখনো হাসতে দেখিনি। ছোটো চাচাও কি হাসেন না? না ছোটো চাচা হাসেন, ছোটো চাচাকে তার ছেলেমেয়েদের সাথে হাসতে দেখেছি, চাচির সাথে হেসে হেসেই কথা বলেন। তবে বাবা আসায় এখন গম্ভীর মুখ করে বসে আছেন।

বাবা বলেন, শওকতের মায়ের অবস্থা বেশি ভালো না৷ তোর কাছে যদি টাকা থাকে হাজার বিশেক টাকা দে। আমি দুই মাস পরেই ফেরত দিয়ে দিবো।

ছোটো চাচা বলেন, ভাইজান এখন আমার কাছে টাকা নেই। আর দেখো প্রতিদিন আমার কাছে ধার নিতে আসবে আমি টাকা দিয়ে দিবো এমনটা ভেবে বসে থাকো কেন?

চাচার এই কথা শুনেও দেখলাম বাবার মুখে একই হাসি লেপ্টে আছে, বাবার কি মন খারাপ হয় না? নাকি মানুষ অভাবের দিনে সবকিছু সহ্য করে নিতে পারে। বাবার মুখে একইরকম মৃদু হাসি, এই হাসির নাম কি তবে অভাবের হাসি। যত অপমান করা হোক মুখে হাসি রেখে সবকিছু সহ্য করতে হবে৷

ছোটো চাচা ঘরের ভিতরে চলে যায়। তখনই ছোটো চাচার বড় ছেলে রোকন আসে। রোকন আমার বয়সী, এবার ক্লাস সিক্সে পড়ে। রোকন আর আমি এক বয়সী হলেও দুজনের জীবন আলাদা। রোকনের ঘর ভর্তি খেলনা, আর আমার ঘরে শুধু একটা ভাঙা হেলিকপ্টার আছে, যা তিন বছর আগে বাবা কিনে দিয়েছেন।

রোকন এসেই আমার পাশে বসে, আমার কাছে বসে জিজ্ঞেস করে, তুমি কখনো বরফের ভিতরে হাঁটছো? আমি বলি না। রোকন বলে, আমরা বরফের দেশে যাচ্ছি ঘুরতে।ঘরের ভিতর থেকে চাচা রোকনকে ডাক দিলে ভিতরে চলে যায়।

বাবা বের হয়ে আসে ছোটো চাচার বাসা থেকে। আমরা দুজনেই রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। ছোটো চাচার ঘরের ভিতরে ঠান্ডা বাতাস ছিলো, এখানে ভীষণ গরম, বাহিরে অনেক রোদ।

বাবার সাথে আমি হাঁটছি। বাবার মুখে এখন হাসি নেই গম্ভীর হয়েই হাঁটছেন। বাবা মুখে হাসি রাখে যখনই কারো কাছে টাকা ধার করতে যায়। এই যেমন দোকানে বাকিতে বাজার নিতে হলে তখন মুখে একটা হাসি রাখে, ছোটো চাচার কাছে টাকা ধার চাইতে গেলে মুখে হাসি রাখে। বাবা বিশ্বাস করেন তার হাসিতে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, তবে কিছুই সমাধান হয় না। টাকা দিতে না পারায় দোকানদার বাজার রেখে দেয়, ছোটো চাচা গম্ভীর মুখে না বলে দেয়।

বাবার সাথে হাঁটতে হাঁটতে বলি, বাবা বরফের দেশ কোথায়? বাবা কোনো উত্তর দেয় না। আমি আবার জিজ্ঞেস করি, বাবা সেখানে কি বরফ দিয়ে ঘর বানানো? বাবা এবারও কোনো উত্তর দেয় না।

আমি মনে মনে বরফের দেশের একটা ছবি আঁকতে থাকি। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, শরবত খাবি? আমি বলি খাবো।

রাস্তার পাশেই একটা লোক লেবুর শরবত বিক্রি করছে। প্রতি গ্লাস দশ টাকা। বাবা দুই গ্লাস লেবুর শরবত নেয়। লোকটার কাছে ছোটো ছোটো খালি বোতল আছে, বাবা সেই বোতলে মায়ের জন্যেও এক গ্লাস শরবত নেয়।

শরবতের বোতল নিয়ে আমরা বাসার দিকে হাঁটতে থাকি।

মা অসুস্থ হবার পর থেকে রান্নাঘরে তেমন যেতে পারে না। চুলার পাশে বেশি সময় থাকলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়, কাশি কিছুতেই থামে না। এমনভাবে কাশি দেয় মনে হয় মায়ের বুকের ভিতর থেকে সব বের হয়ে আসবে।

মায়ের আবার কাশি উঠেছে, বাবা রান্নাঘরে ছুটে যায় তরকারি দেখতে। মা ইশারা দিয়ে বলেন জানালা খুলে দিতে, আমি জানালা খুলে দেই। জানালা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসলে মায়ের কাশি কিছুটা কমে।

বাবা রান্নাঘর থেকে এসেই মায়ের হাতে লেবুর শরবত দিয়ে বলেন, এটা খেয়ে নাও। ঠান্ডা আছে, শরীর শীতল হয়ে যাবে। মা শরবত খায় না, আঁচলটা মুখের উপর রেখে বিছানায় শুয়ে থাকে।

মায়ের চিকিৎসার জন্যে পয়ত্রিশ হাজার টাকা দরকার এখন। পনেরো হাজার টাকা বাবা জোগাড় করতে পারলেও বাকি টাকা কিছুতেই জোগাড় করতে পারেনি।

বিকালবেলা বাবার বন্ধু শহীদুল কাকা মাকে দেখতে আসেন। বাবা কথায় কথায় আবার সেই লজ্জা মার্কা হাসি দেয়। শহীদুল কাকার কাছে কিছু টাকা ধার চায় মায়ের চিকিৎসার জন্যে, বাবার একটা কাপড়ের দোকান আছে। শহীদুল কাকার কাছে বলেন চাইলে দোকানটা বন্ধক হিসেবে টাকা দিতে পারে।

শহীদুল কাকা বলেন, কি বলছে তুমি এসব। তুমি আমারে অল্প করে দিয়ে দিবে তাতেই হবে। সন্ধ্যায় বাসায় এসো, বাসায়ই কিছু টাকা আছে আগামীকাল ব্যাংকে রাখবার কথা ছিলো। বাবার চোখ এবার ছলছল করে উঠে।

মায়ের চিকিৎসা শহীদুল কাকার দেওয়া টাকাতেই হয়। মা পুরোপুরি সুস্থ হতে দুই মাস চলে যায়।

আমাদের স্বাভাবিক জীবন চলতে থাকে। বাবা মাসে মাসে কিছু টাকা শহীদুল কাকাকে দিয়ে দেন।

আমি কেবল ক্লাস সেভেনে উঠেছি, স্কুলে টিফিন টাইমে সিঁড়ি থেকে নামতে যেয়ে পায়ে হোঁচট খাই। ডান পায়ের একটা নখ ভেঙে রক্ত বের হয়।

তখনই দেখি স্কুলে শহীদুল কাকা এসেছেন। শহীদুল কাকা আমার মাথায় হাত রাখে। তারপরই চলে যায় লাইব্রেরির দিকে। লাইব্রেরি থেকে বের আমারে বলে স্কুল ব্যাগ সাথে নিয়ে নিতে। আমি বলি, কাকা আমার স্কুল এখনো ছুটি হয়নি। কাকা বলেন, তোর স্যারের সাথে কথা বলেছি জরুরী কাজ আছে তাই যেতে হবে।

শহীদুল কাকার সাথে রিক্সায় উঠি আমি। কাকা পুরো রাস্তায় কোনো কথা বলেন না, চুপচাপ হয়ে আছে৷

বাড়ির সামনে রিক্সা থামতেই দেখি অনেক মানুষের ভীড়। ভীড় ঠেলে বাড়ির ভিতরে আসি। উঠানের পাশে বড় একটা আমগাছের পাশেই একটা খাট, সেই খাটের উপর বাবাকে রাখা। বাবা কোনো কথা বলছেন না। মা ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।

বাবার দোকানের বিপরীতের এক দোকানদার বাবার মৃ ত্যু র বর্ণনা দেন। ‘প্রথমে আমি দেখলাম বোতল থেকে পানি খাচ্ছে, হঠাৎই চেয়ারে বসতে যেয়ে নিচে পড়ে গেলো। আমরা ছুটে যেয়ে ধরলাম, বেশি সময় দিলো না। হাসাপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে সব শেষ।’ কথাগুলো বলে তিনিও কাঁদতে শুরু করেন।

বাবাকে দেখতে আমাদের বেশকিছু আত্মীয় স্বজনরা এসেছেন, যার ভিতরে ছোটো চাচাও আছেন। তবে সন্ধ্যা হতেই যে যার মতো চলে যায়। রাতে মা আর আমিই বাসায় থাকি। মধ্যরাতে মায়ের শ্বাসকষ্ট উঠে, সেই শ্বাসকষ্ট কিছুতেই থামে না। মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

ভোরবেলা মা সুস্থ হলে আবার বাসায় নিয়ে আসি। অবশ্য এর ভিতরে শহীদুল কাকা খবর পেয়ে হাসাপাতালে এসেছে।

ঝামেলা হয় বাবার দোকান নিয়ে। দোকানের দেখাশোনা করবার মতো কেউ নেই। মা ঠিক করেন দোকান বিক্রি করে দিবে। শহীদুল কাকার সাথে দোকানের বিষয়ে আলাপ করে। শহীদুল কাকা বলেন, দোকানটা রেখে দিন ভাবি, একজন কর্মচারী ঠিক করে দিবো আমি।

শহীদুল কাকা একজন লোক রেখে দেয়। লোকটার নাম হাশেম। হাশেম চাচাই দোকানের দেখাশোনা করেন, এই লোকটার ভিতরে কোনো লোভ নেই। আমি মাঝেমধ্যে বিকালে যেয়ে দোকানে বসি।

দোকান থেকে যে কয়টাকা আসে সেই টাকায় আমাদের শহরে চলতে কষ্ট হয়ে যায়। আমরা বাসা ছেড়ে দেই। শহীদুল কাকা তার বাড়ির চিলেকোঠা আমার আর মায়ের থাকবার জন্যে জায়গা করে দেয়। আমরা সেখানেই থাকি।

দোকানের লোককে বাড়তি টাকা দিতে হয় তাই মা নিজেই দোকানে বসা শুরু করেন। সবকিছু বুঝে নিতে একটু কষ্ট হয় তবে মা মানিয়ে নেন, আগে পুরুষের পোশাক ছিলো। মা দোকানে বসবার পরে ধীরে ধীরে মহিলাদের কাপড় তুলেন, শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ এসব।

ইন্টারমিডিয়েট পাশ করবার পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই। মাকে ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে যেতে হয়।

যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি তখনই মা আবার অসুস্থ হয়ে যায়। মায়ের দুটে শাড়ির দোকান ছিলো মার্কেটে। মা অসুস্থ হবার পর থেকে আর বেশি সময় মার্কেটে থাকতে পারে না। শহীদুল কাকা সবকিছু দেখাশোনা করেন।

শহীদুল কাকার বড় মেয়ে নওমি মাকে প্রতিবেলায় ভাত দিয়ে যায়। আমার ইচ্ছে করে পড়াশোনা ছেড়ে মায়ের কাছে থাকতে তবে সে সুযোগ হয়ে উঠে না। মা নিজেই বলেন তিনি সুস্থ আছেন, আমি যেনো পড়াশোনা না ছাড়ি।

কয়েকদিন মায়ের কাছে থেকে আবার ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে আসতে হয়। তবে মন থাকে মায়ের কাছে।

শহীদুল কাকার বড় মেয়ে নওমি আমার থেকে দুবছরের ছোটো, মেয়েটা মাকে বেশ যত্ন করে। মাকে নওমি খালামনি ডাকে। কখনো মা খাবার খেতে না চাইলে আমার কাছে কল দিয়ে মায়ের নামে বিচার দেয়। আমি হাসি। নওমি আর আমাদের সাথে কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তবু মাকে মেয়েটা খুব যত্নে রাখে। সারাদিন খালামনি খালামনি করে ডাকবে, দিনে কমপক্ষে বিশ বার আমাদের ঘরে আসবে। মায়ের সাথে ওর অনেক কথা, যদিও সেসব কিছুই দরকারি কথা না।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করবার পরেই আমি আবার ঢাকা চলে আসি। চাকরির জন্যে পড়ছি, সাথে শহীদুল কাকার থেকে দোকানের খোঁজ খবর নেই। তবে মা চাইছেন আমি যেনো চাকরির দিকেই মনযোগ দেই। চাকরি না হলে তখন দোকান দেখবো। আপাতত চাকরি নিয়েই ভাবতেই বলছেন মা।

এক বছর পরের এক বিকাল। মা ছাদে বসে আছেন, নওমি মায়ের চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। আমি ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছি, মায়ের কাছাকাছি যাওয়ার সাহস হচ্ছে না।

নওমি আমাকে দেখে ফেলে। মায়ের কাছে বলে, খালামনি তোমার ছেলে এসেছে। মা বলেন, কিছু বলবি?

আমার কিছু বলবার সাহস হয় না। গলা ভারী হয়ে আসছে। কথা বললেই মনে হয় কেঁদে ফেলবো। নওমি আবার ঘুরে তাকিয়ে দেখে আমার চোখে পানি টলমল করছে। নওমি বলে, খালামনি তুমি উঠো। মা উঠে দাঁড়িয়ে আমার চোখে পানি দেখে কাছে ছুটে আসে। মা বলেন, কি হয়েছে?

আমি চোখে মুছে নিয়ে বলি, মা আমার চাকরি হয়েছে। তোমার ছেলে এখন বিসিএস ক্যাডার। মা নিজেও কাঁদছেন আমার কথা শুনে। কিছুতেই সেই কান্না থামছে না।

আমার প্রথম পোস্টিং হয় খুলনাতে। ঠিক করি মাকে নিয়েই খুলনা যাবো। মাকে নিয়ে যাবো শুনে সেই থেকে নওমি মন খারাপ করে থাকে। গতরাতে মায়ের পাশে এসে কিছুসময় কাঁদলো।

নওমি চলে যাবার পরে মা বলেন, তোর নওমিকে কেমন লাগে? আমি বলি, ভালোইতো আছে। মা আবার বলেন, নওমির সাথে তোর বিয়ে দিলে কেমন হয়? মেয়েটা তোরে পছন্দ করে এমনিতেও আমি বুঝি।

আমি কিছু না বলেই ছাদে এসে দাঁড়াই। মা আমার পিছু পিছু এসে বলে, কি নওমিকে তোর পছন্দ না?

‘মা নওমি পছন্দ হওয়ার মতোই মেয়ে।'

মা হেসে বলেন, তা অবশ্য ঠিক বলেছিস।

তিনদিন পরেই নওমির সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নওমি আর মাকে নিয়ে আমি খুলনা চলে আসি।

নওমি মেয়েটা স্নিগ্ধ জলের মতো, আর মায়ের সাথে নওমির সম্পর্কে দেখে ভালো লাগে। নওমির সাথে আমার বিয়ের পরে নওমি মাকে মা বলে ডাকে, মা বলে দিয়েছে আমাকে আগের মতোই খালামনি বলে ডাকবি এটা সুন্দর লাগে, খালামনি হলো আরেক মা। তারপর থেকে মাকে নওমি খালামনি বলেই ডাকে।

দুইমাস পরে গতরাতে নওমির বাবা শহীদুল কাকা খুলনা আমাদের বাসায় আসেন। এবারই প্রথমবার এখানে আসেন। শ্রাবন মাস চলছে, বাহিরে গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি। শহীদুল কাকা বাসার ভিতরে এসে সোফায় বসে৷ তখনই নওমি এসে বলে, বাবা জুতায় অনেক পানিকাঁদা লেগে আছে জুতা বাহিরে রেখে আসি আমার কাছে দাও। নওমিকে থামতে বলি।

বুকের ভিতরে পুরোনো কোনো একটা স্মৃতি নড়েচড়ে উঠে। শহীদুল কাকার দিকে তাকিয়ে বলি, আপনি এই জুতা নিয়েই এখানে বসে থাকুন কিছুসময়। শহীদুল কাকা আরাম করে বসে আমি তাকিয়ে দেখি, মনে হচ্ছে বহুদিন পরে বাবাকে দেখছি। আজকে যদি বাবা থাকতেন, এত বড় বাসা, স্বচ্ছ কাঁচের মতো সব, চাচাদের বাসার মতোই আমার বাসাটা; বাবা যদি এখানে বসতেন। শহীদুল কাকার ময়লা জুতার দিকে তাকিয়ে আমার দুইচোখ ভিজে উঠে।

#একজোড়া_ময়লা_জুতা
#বাবার_হাসি
#বিসিএস_ক্যাডার
#মা_আমি_বিসিএস_ক্যাডার
#বাবার_মায়া
Billa

লেখাটি পড়ুন # # # #🇮🇱 🇺🇸 🇵🇸 🇸🇦 প্রথমেই বলে রাখি, ইসরায়েল কোন রাষ্ট্র নয়, ফেডারেল রিজার্ভ এর রথচাইল্ড পরিবারের ইন্টারেস্ট...
08/04/2025

লেখাটি পড়ুন # # # #
🇮🇱 🇺🇸 🇵🇸 🇸🇦 প্রথমেই বলে রাখি, ইসরায়েল কোন রাষ্ট্র নয়, ফেডারেল রিজার্ভ এর রথচাইল্ড পরিবারের ইন্টারেস্টে এই ‘প্রক্সি রাষ্ট্র‘-টির জন্ম দেয় ব্রিটেন এবং পরবর্তীতে এটি মেইনটেইন করে যুক্তরাষ্ট্র। দিনশেষে এটি এমেরিকার প্রক্সি কান্ট্রি।

তার মানে, ইসরায়েল - প্যালেস্টাইন যুদ্ধ মূলত এমেরিকা - প্যালেস্টাইন যুদ্ধ। ইসরায়েল এমেরিকার প্রক্সি কেবল, এর বাইরে কিছুই না। আর এমেরিকা বলতে সেই ফেডারেল রিজার্ভ, সেই রথচাইল্ড ফ্যামিলি।

উত্তর কোরিয়া, ইরান, ভেনিজুয়েলা বাদে পৃথিবীর সব দেশই ফেডারেল রিজার্ভ এর ক্লায়েন্ট (বাংলাদেশ তো বটেই)। এর মাধ্যমে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সম্পদই তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, প্রভাবিত।

🇮🇶 ইরাক ২০০০ সালে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিল, সাদ্দামের অবস্থা আপনারা জানেন।
🇱🇾 লিবিয়া ২০০৯ সালে ফেডারেল রিজার্ভ এ তাদের মজুত সব স্বর্ণ দেশে নিয়ে আসতে চেয়েছিল। গাদ্দাফি এবং লিবিয়া শেষ।
🇸🇾 সিরিয়া ২০০৬ এ ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বের হয়ে আসতে চায়। সিরিয়াকে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। আসাদকে পালাতে হয় এই সময়ে এসে এমেরিকা স্পন্সর্ড জিহাদের মাধ্যমে।
🇮🇷 ইরান এর বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক লড়াইতে না গেলেও সারা পৃথিবী থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।

বাইরে বাইরে অনেক কারণ বললেও মূলত ফেডারেল রিজার্ভ থেকে যারাই বের হতে চেয়ে ছিল, তাদের সাথেই যুদ্ধ করেছে এমেরিকা। এটাই কী পয়েন্ট!

এখন কথা হচ্ছে, এই ফেডারেল রিজার্ভ কে শক্তিশালী করলো কারা? নবীর দেশ মক্কা মদীনার ভুমির রাজা (যদিও ইসলামে রাজতন্ত্র হারাম) সৌদ পরিবার। তা কিভাবে? পেট্রো ডলার চুক্তি।

এটি কি? বলছি।

পেট্রো ডলার চুক্তি (Petrodollar Agreement) মূলত এমন একটি অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত, যার মাধ্যমে বিশ্বের তেলের বাজারে মার্কিন ডলারকে লেনদেনের প্রধান মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস সিস্টেম চালু হয়, যেখানে মার্কিন ডলার ছিল গোল্ডের সঙ্গে লিঙ্কড এবং বিশ্ব বাণিজ্যের রিজার্ভ কারেন্সি। কিন্তু ১৯৭১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন “Gold Standard” বাতিল করেন। ফলে ডলার আর স্বর্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকলো না। এতে ডলারের উপর আস্থা কমে যায়, এবং মার্কিন অর্থনীতি চাপে পড়ে।

১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যে Yom Kippur War এবং OPEC-এর তেল নিষেধাজ্ঞা বিশ্বে তেল সংকট তৈরি করে। এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব এর মধ্যে গোপন চুক্তি হয় ১৯৭৪ সালে।

চুক্তির মূল পয়েন্ট হচ্ছে সৌদি আরব ও OPEC দেশগুলো তেল শুধুমাত্র মার্কিন ডলারে বিক্রি করবে।

বিনিময়ে, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি রাজপরিবারকে সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে নিরাপত্তা দেবে। এবং সৌদির তেল আয়ের একটি বড় অংশ আবার মার্কিন অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হবে (বিশেষ করে U.S. Treasury bonds)। বিশ্বব্যাপী দেশগুলোকে তেল কেনার জন্য মার্কিন ডলার জোগাড় করতে হতো। ফলে ডলারের উপর নির্ভরতা বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্র তার মুদ্রা ছাপিয়েও বিশ্ববাজারে শক্তিশালী থাকতে পারে — একে বলা হয় “𝑫𝒐𝒍𝒍𝒂𝒓 𝑯𝒆𝒈𝒆𝒎𝒐𝒏𝒚”।

এই 𝑫𝒐𝒍𝒍𝒂𝒓 𝑯𝒆𝒈𝒆𝒎𝒐𝒏𝒚 ই এমেরিকাকে সুপার পাওয়ার বানিয়েছে, যা বানিয়েছে মূলত মক্কা মদিনার দেশের রাজপরিবার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে যে “নিরাপত্তা” দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পেট্রো ডলার চুক্তির অংশ হিসেবে, তার মাধ্যমে এমেরিকা মূলত এই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্যানেল মুসলিম দেশগুলোর (সৌদি আরব, আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন, কুয়েত ও ওমান) এবং তুরস্ক এলাকায় নিয়োজিত আছে কমপক্ষে ৪৫,০০০ এমেরিকান সেনা। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলের সকল সেনাবাহিনী মূলত এমেরিকা নিয়ন্ত্রিত। এই অঞ্ছলের এয়ার বেস, নেভাল বেস, রাডার গুলো এর পজিশন সংযুক্ত ছবিতে দেয়া আছে।

এত কিছু কেন বললাম? শত্রু দেশের সামরিক স্থাপনা নিজের ভেতর রেখে আপনারা কিভাবে প্যালেস্টাইনকে বাঁচাবেন?
শত্রু দেশের মিলিটারি বেস দেশের ভেতরে রেখে কোকাকোলা বয়কটের কর্মসূচী হাস্যকর লাগে না?

যুদ্ধ করতে চাইলে আগে যুদ্ধ করতে হবে এই আরব দের সাথে। এরাই ইসরায়েল এর শক্তি, এরাই এমেরিকার শক্তি। প্যালেস্টাইনীদের রক্তের দায় ইসরায়েল কিংবা এমেরিকার চেয়ে এই আরব গাদ্দার দের অনেক বেশী। এরা আবার অনেক নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, ধর্মের বাণী শোনায়। আর অপেক্ষায় আছে একটা এমেরিকান স্পন্সর্ড জেহাদ এর।

এই আরব দেশগুলোই মূল শয়তান। এতো এতো নবী এসেও এদের ঠিক করা গেলো না।

আপনারা যখন এদের কাছেই সাহায্য চান, তখন আমার হাসি পায়।
বোমার আঘাতে প্যালেস্টাইনী শিশুর ছিন্ন মাথা দেখে কান্নাও পায়।

©️M A Mohiemen Tanim

দেশ আমার। মালিক আমি। আরেকজন আইছে শরিকানা দিতে। শেয়ার বেচতে। মৌলভী,হুজুর,মাওলানা দের দেশের শরিক দেয়ার আপনি কে জনাব! আপনার...
11/03/2025

দেশ আমার। মালিক আমি। আরেকজন আইছে শরিকানা দিতে। শেয়ার বেচতে।

মৌলভী,হুজুর,মাওলানা দের দেশের শরিক দেয়ার আপনি কে জনাব!
আপনারে উপদেষ্টা বানাইছে, দেশের দলিল তো দেয় নাই।
সময় থাকতে মুখের লাগাম টানেন!

দক্ষিণী অভিনেতা থালাপতি বিজয়। প্রথম ছবিতে দুয়া করতে। দ্বিতীয় ছবিতে কুরআন পড়তে। আর তৃতীয় ছবিতে মুসলমানদের সাথে নামাজ ...
08/03/2025

দক্ষিণী অভিনেতা থালাপতি বিজয়। প্রথম ছবিতে দুয়া করতে। দ্বিতীয় ছবিতে কুরআন পড়তে। আর তৃতীয় ছবিতে মুসলমানদের সাথে নামাজ পড়তে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে। এই ছবিগুলো (ভিডিউ'ও আছে) অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেকেই অনেক কিছু ভাবছেন। বলছেন। আসুন হাকীকত জানার চেষ্টা করি।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রতিবেদন দেখলাম।
'Thalapathy Vijay in Iftar Party' এই শিরোনামে। প্রশ্ন আসবেই এখন। তবে কি তিনি মুসলিম হয়েছেন? নইলে ইফতার পার্টিতে যাবেন কেন?

'বাংলা টুডে' নামক অনলাইন নিউজ পোর্টালের আরো একটি প্রতিবেদন দেখলাম। শিরোনামটা ছিল এমন...

'মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে রমজানে থালাপথি বিজয়ের ইফতার পার্টি ! রাজনীতি নাকি চলচ্চিত্র?'
এবার আসুন, দুটো পয়েন্ট সামনে রেখে মূল পয়েন্টে আগানো যাক।

১.
বিজয়ের ফিল্ম দেখেছে এমন লোকেদের দাবি। এই অভিনেতার একাধিক মুভি এমন আছে যেখানে সে মুসল- মানদেরকে উ'গ্রবাদী/আ'তং'ক'বা'দী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। জি'হা'দকে জ'ঙ্গি'বা'দ বলে অভিনয়ে কাজ করেছে সে। ধর্মীয় মুসলমানরা জ'ঙ্গি। আর পাকিস্তানকে একটি স'ন্ত্রা'সী রাষ্ট্র বলে কটাক্ষও করেছে অনেক মুভিতে। ফিল্মে তার এমন কাজ অসংখ্য। ২০২২ সালেও তার একটা মুভি কুয়েত'সহ বেশ কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ করা হয় এই এক কারণে। মি'থ্যা দাবি ও ক'ট্ট'র হি'ন্দু'ত্ব'বাদের জায়গা থেকে ইসলামকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো ভারতীয় ফিল্মে কমন ব্যাপার। এসব আমরাও জানি। বিজয় সেসবের বিরাট অংশীদার। তাহলে ফিল্মে এতোটা সাধু সাজার সুযোগ নেই। চলচ্চিত্রের কথা বাদ দিলে অপশন এখন একটাই।

২. রাজনীতি। হ্যাঁ রাজনীতি।
[গতকাল ৭ মার্চ, ২০২৫ সাল। চেন্নাইয়ের রোয়াপেট্টাহ এলাকায় YMCA মাঠে এক বিশাল ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলেন সুপারস্টার অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ থালাপথি বিজয়। রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই ইফতার অনুষ্ঠানে প্রায় ৩,০০০ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে বিজয় নিজেও রোজা রাখা এবং নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইসলামিক রীতি অনুসরণ করেছেন।' ভারতীয় একাধিক পত্রিকা এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।] 'বাংলা টুডে'র প্রতিবেদন থেকে।

আসল ঘটনা:
রাজনৈতিক নতুন দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে (তামিলাগা ভেত্ত্রি কাজাগাম-TVK) এর উদ্যোগে বিজয় নিজেই ধর্মব্যবসা করার জন্য এই ইফতার পার্টি করেছিলেন। ৩০০০ মুসলমান মানুষকে খাওয়ালেন। আগামী নির্বাচনে ভোট নিতে একটু সাধু সাজলেন। এই আরকি।

কী নিখুঁতভাবে দুয়া,দরুদ,নামাজ ও কুরআন পড়ার অভিনয় করল লোকটা ভাবা যায়? এদিকে আপনারা তাঁর ইসলাম গ্রহণ করা নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে ফেইসবুকে পোস্ট করতেছেন। মুসলিমদের ভোট নিতে এমন সব অভিনয় বাস্তব জীবনেও করা যায় সেটা এই অভিনেতা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। ধিক্কার জানাই মুসলিমদের আবেগ নিয়ে খেলা করার জন্য।

- সাইফুল ইসলাম

Noor Of Hidayah

বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিশ্ব জরিপ সংস্থার মুখপাত্র সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কা...
07/03/2025

বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিশ্ব জরিপ সংস্থার মুখপাত্র সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কামাল। তিনি বলেন, বিগত ২৭ বছরে জনসংখ্যার একই হিসাব দেয়া হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে বিভিন্ন এনজিও।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের জনসংখ্যার নতুন এই চিত্র প্রকাশ করেন বিশ্ব জরিপ সংস্থা।

আকতার ই-কামাল বলেন, ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ কোটি। এরপর থেকে বিগত ২৭ বছরে জনসংখ্যার একই হিসাব দেয়া হচ্ছে। তারপর প্রত্যেক সরকারই বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রকৃত সংখ্যা লুকিয়ে রাখতে চেয়েছে। এর পেছনে সরকারের পাশাপাশি কাজ করেছে বিভিন্ন এনজিও। দেশের জনসংখ্যা কমাতে বিদেশী দাতা সংস্থা কর্তৃক দেয়া তহবিলের সঠিক ব্যবহার হয়েছে এটা প্রমাণ করাই ছিল জনসংখ্যা কম দেখানোর আসল উদ্দেশ্য। জনসংখ্যা কমানো যায়নি বা জনসংখ্যা বেশি দেখালে বিদেশী তহবিল আসা বন্ধ হয়ে যাবে-এমন আশঙ্কা থেকেই জনসংখ্যার প্রকৃত সংখ্যা লুকানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

স্বাধীনতার পর থেকে জনসংখ্যা কত গুণ বেড়েছে তার একটা হিসাব আমরা এখানে তুলে ধরছি- "পাকিস্তান আমলে মোট জনসংখ্যা ছিল ৯ কোটি। তখনকার হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৫ কোটি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ সাহেব বললেন- বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে সাত কোটি। (স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি ১৯৭৪ অনুযায়ী- বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৬৪ লাখ।)

এরপর জিয়াউর রহমান (১৯৭৭ সাল) ক্ষমতায় আসার পর বললেন- বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৯ কোটি। এরপর এরশাদ (১৯৮২ সাল) ক্ষমতায় বসার পর বললেন- বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১১ কোটি। এরপর ১৯৯১ তে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা দিলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। তারপর ১৯৯৬ তে আওয়ামীলীগ

সরকার ক্ষমতায় এসে বললেন, 'বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি'। সেই ১৭ কোটি থেকে দেশের জনসংখ্যা কি আর বাড়েনি? প্রশ্ন রাখেন বিশ্ব জরিপ সংস্থা। আমরা যদি ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন ২৭ বছরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখি, তাহলে সেটা দেখতে পাই সোয়া তিন গুণেরও (৩.২৬ গুণ) বেশি। তাহলে ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সালের এই ২৮ বছরেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩/৪ গুণ বাড়ার কথা। কারণ পূর্বের চেয়ে গড় আয়ু বেড়েছে। বর্তমানে ৪০ কোটি জনসংখ্যা ধরলে সেটা আড়াই গুণেরও কম (২.৩৫ গুণ) ধরা হয়। কাজেই বাস্তবতা হচ্ছে- বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর সোয়া তিন গুণ হিসাব করলে জনসংখ্যা হয় প্রায় ৫৫ কোটি। বিবৃতিতে আদমশুমারী সম্পর্কে সরকারী তথ্য প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ ভুল ও প্রতারণামূলক বলেও উল্লেখ করা হয়।
#গনশুমারি
#জনগণ
#বাংলাদেশ
#ভুলতথ্য
#ধোকা
Ahmadullah
As sunnah Foundation
Asif Mahmud Shojib Bhuyain
Md Sarjis Alam
24 Ghanta:Jamuna Television
RTNews24
R TV Islamic

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Everything Is Fixed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share