Shahabuddin Hridoy

Shahabuddin Hridoy Official page of Shahabuddin Hridoy, an Educational Blogger, Free Thinker and Believer. Shahabuddin Hridoy is an educational blogger. He works for the students.
(1)

He writes educational content on his blog sites and he makes videos on his YouTube channel. Currently He studies BSc (Honours) in Botany at University of Chittagong, Bangladesh. Shahabuddin Hridoy is also a learner. Learning is always interesting for him. He always want to learn new things and improve his personal skills. He personally believes that learning new things don't go in vain.

জীবন সবসময়ই তোমাকে দুটি পথ দেখাবে—একটি হলো নিরাপদ পথ, যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই,আরেকটি হলো সাহসী পথ, যেখানে ঝুঁকি আছে কিন্তু...
17/09/2025

জীবন সবসময়ই তোমাকে দুটি পথ দেখাবে—
একটি হলো নিরাপদ পথ, যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই,
আরেকটি হলো সাহসী পথ, যেখানে ঝুঁকি আছে কিন্তু আছে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও।

তুমি যদি শুধু নিরাপদ পথ বেছে নাও, তবে তোমার জীবন একই রকম থেকে যাবে।
তুমি স্বপ্ন দেখবে, পরিকল্পনা করবে, কিন্তু তার কোনো বাস্তবায়ন হবে না।
কারণ— Comfort Zone = Dead Zone.
কমফোর্ট জোনে থেকে কেউ কোনোদিন বড় কিছু অর্জন করতে পারেনি।

সত্যি বলতে, সফলতা সবসময় ঝুঁকির অন্য প্রান্তেই দাঁড়িয়ে থাকে।
তুমি যদি ঝুঁকি না নাও—
👉 তুমি নতুন কিছু শিখতে পারবে না।
👉 তুমি নিজের সীমা ভাঙতে পারবে না।
👉 তুমি তোমার আসল সম্ভাবনাকে চিনতেই পারবে না।

মনে রেখো, Risk মানে সবসময় Failure নয়।
Risk মানে— শিখা, বেড়ে ওঠা আর একদিন কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছে যাওয়া।
হ্যাঁ, হয়তো তুমি একবার ব্যর্থ হবে, কিন্তু সেই ব্যর্থতাই তোমাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
ঠিক যেমন আগুনে পুড়ে সোনা আরও খাঁটি হয়ে ওঠে, তেমনি ঝুঁকির ভেতর দিয়েই মানুষ গড়ে ওঠে।

তাই ভয় পেও না।
✅ ঝুঁকি নাও।
✅ নতুন পথে পা বাড়াও।
✅ সাহসী পদক্ষেপ নাও।

কারণ—
No Risk → No Change
No Change → No Growth
No Growth → No Success 🚀🔥

✨ কর্মফল বাস্তব – জীবন এক আয়না ✨আমরা অনেক সময় মনে করি, অন্যকে কষ্ট দিয়ে, ঠকিয়ে বা অন্যায় করে বেঁচে থাকাই হয়তো চতুরতা। কি...
16/09/2025

✨ কর্মফল বাস্তব – জীবন এক আয়না ✨

আমরা অনেক সময় মনে করি, অন্যকে কষ্ট দিয়ে, ঠকিয়ে বা অন্যায় করে বেঁচে থাকাই হয়তো চতুরতা। কিন্তু আসল সত্য হলো—জীবন কখনো কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। আজ আপনি যা করছেন, কাল সেটা আপনার জীবনেই ফিরে আসবে। এটা সময়ের খেলা, কিন্তু অবধারিত বাস্তবতা।

🌱 কাউকে অপমান করলে, একদিন আপনিও অপমানিত হবেন।
🌱 অন্যায় করলে, একদিন সেই অন্যায়ের শাস্তি আপনার কাছেই ফিরে আসবে।
🌱 আবার, কাউকে সাহায্য করলে, সৎ কাজ করলে বা ভালোবাসা দিলে—সেটিও আল্লাহর রহমতে একদিন অপ্রত্যাশিতভাবে আপনার কাছে পুরস্কার হয়ে ফিরে আসবে।

জীবন আসলে এক বিশাল আয়না। আপনি যা করবেন, সেই প্রতিবিম্বই ফিরে আসবে আপনার দিকে।
তাই—
🔹 অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
🔹 দয়া করুন, ক্ষমা করুন।
🔹 কাউকে আঘাত করার আগে ভেবে নিন, হয়তো কাল সেই আঘাতই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

🍃 কর্মফল থেকে কেউ রক্ষা পায় না।
সুতরাং, জীবনকে সুন্দর করতে চাইলে অন্যের জন্য ভালো কাজ করুন। কারণ আপনার কর্মই একদিন আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

প্রতিশোধ আসলে মানুষের অন্তরে জ্বলতে থাকা এক অগ্নিশিখা—যা শত্রুকে নয়, বরং প্রথমে নিজেকেই ভস্ম করে দেয়। 🌿আপনি যদি প্রতিশোধ...
15/09/2025

প্রতিশোধ আসলে মানুষের অন্তরে জ্বলতে থাকা এক অগ্নিশিখা—যা শত্রুকে নয়, বরং প্রথমে নিজেকেই ভস্ম করে দেয়। 🌿
আপনি যদি প্রতিশোধের পথে হাঁটেন, তবে আপনার শান্তি হারিয়ে যাবে, ঘুম ছুটে যাবে, আর হৃদয় ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে। অথচ প্রতিশোধ না নিয়েও জয়ী হওয়া সম্ভব—সময়ই সেখানে প্রকৃত বিচারক হয়ে দাঁড়ায়।

পৃথিবী অদ্ভুত এক নীতিতে চলে—যে যেমন বীজ বপন করে, সে ঠিক তেমনই ফল পায়। আজ কেউ আপনাকে কষ্ট দিল, অপমান করল, হয়তো সাময়িকভাবে সে বিজয়ী মনে হচ্ছে। কিন্তু সময়ের স্রোত কারও প্রতি পক্ষপাতী নয়। সময় ধীরে ধীরে সব ঋণ শোধ করে দেয়, সব দুঃখ-অন্যায়ের হিসাব মিটিয়ে দেয়।

আপনার কাজ শুধু ধৈর্য ধরা, নিজেকে গড়ে তোলা আর সৎ পথে অটল থাকা। কারণ যিনি অন্যায়ের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন, তিনি আসলে নিজের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছেন। আর যিনি ধৈর্য ধরছেন, ক্ষমা করছেন, তিনি ভেতর থেকে হালকা হচ্ছেন, শান্ত হচ্ছেন, উন্নত হচ্ছেন।

✨ তাই প্রতিশোধ নয়, অপেক্ষা করুন সময়ের। প্রতিশোধ নয়, সঁপে দিন আল্লাহর হাতে। কারণ সময় ও নিয়তি কখনো কারও প্রতি অন্যায় করে না।

মানুষের জীবনে সফলতা কেউ হাতে ধরে তুলে দেয় না।যদি তুমি নিজেই পরিবর্তন না চাও, তবে কেউ এসে তোমাকে রক্ষা করবে না।জীবনের প্র...
14/09/2025

মানুষের জীবনে সফলতা কেউ হাতে ধরে তুলে দেয় না।
যদি তুমি নিজেই পরিবর্তন না চাও, তবে কেউ এসে তোমাকে রক্ষা করবে না।
জীবনের প্রতিটি যুদ্ধ তোমাকেই লড়তে হবে—নিঃসঙ্গ সৈনিকের মতো।

👉 বাবা-মা তোমাকে জন্ম দিয়েছেন, বড় করেছেন। কিন্তু জীবনে কতদূর যাবে, সেটা তোমার হাতে।
কেউ তোমাকে কিছু দিতে বাধ্য নয়। নিজের সুযোগ তোমাকেই তৈরি করতে হবে।

👉 পৃথিবী সহজ নয়। তুমি যদি ভেতরে ভেতরে দুর্বল থাকো, তাহলে এই দুনিয়া তোমাকে চূর্ণ করে ফেলবে।
তাই শক্ত হতে শিখো—মনের ভেতরে, চিন্তায় আর সিদ্ধান্তে।

👉 কষ্ট হবে, পরিশ্রম করতে হবে, হয়তো কান্না লুকিয়ে রাত কাটাতে হবে।
কিন্তু সত্যি কথা হলো—কেউ সেটা দেখবে না। মানুষ শুধু তোমার সাফল্যের গল্প দেখতে চায়, সংগ্রামের কষ্ট নয়।

👉 সবসময় অজুহাত দিলে কখনো এগোতে পারবে না।
সময় ছিল না, ভাগ্য খারাপ ছিল—এইসব কথায় আসলেই জীবন থেমে যায়।

👉 মনে রেখো—তুমি ছাড়া তোমাকে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না।
তুমি যদি আজই বদলানো শুরু না করো, তাহলে ১০ বছর পরও ঠিক এখানেই থাকবে।

🔥 তাই অপেক্ষা নয়—এখনই শুরু করো।
নিজেকে বদলাও, নিজের আগুন নিজেই জ্বালাও।
কারণ সত্যি কথা হলো—তুমিই তোমার একমাত্র ভরসা।

📌সতর্ক থাকুন! 🚫⚡এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে(প্রতিটি পয়েন্টে বাস্তব জীবনের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা)১. ঠে...
13/09/2025

📌সতর্ক থাকুন! 🚫
⚡এই সাত ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে
(প্রতিটি পয়েন্টে বাস্তব জীবনের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা)

১. ঠেলাগাড়ি মানুষ (Wheelbarrow People)
এরা সেই মানুষ, যারা নিজের জীবনের সমস্যাগুলো নিজেরা সামলাতে চায় না। আপনি যতই সাহায্য করুন না কেন, সব ভারই যেন আপনাকেই বইতে হবে। তারা চায়—আপনি তাদের খাওয়ান, চলার পথ দেখান, আবার পেছন থেকে ঠেলেও নিয়ে যান।
উদাহরণ: ধরো তোমার এক বন্ধু আছে, প্রতিবার প্রজেক্ট শুরু হলে বলে, “তুই তো ভালো জানিস, তুই কর, আমি ফাইনাল প্রেজেন্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকব।” সে ফল পেতে চায়, কিন্তু পরিশ্রম করতে চায় না।

শিক্ষা: যেসব সম্পর্ক শুধু একতরফা দায়িত্বের, সেগুলো সময়মতো চিনে সরে দাঁড়াও।

২. মশা মানুষ (Mosquito People)
এই মানুষরা আসে শুধু তোমার ভালোটা শুষে নিতে। যখন তোমার টাকা, সময়, যোগাযোগ, জনপ্রিয়তা বা সাফল্য দরকার হয়, তখন ওদের দেখা যায়। পরে সুযোগ পেলেই কটূক্তি করে, গুজব ছড়ায়।
উদাহরণ: ভাবো, কেউ তোমার কাছ থেকে রেফারেন্স চায় চাকরির জন্য। তুমি সাহায্য করো। পরে তাকে নিজের প্রয়োজনে ফোন দিলে বলে, “আসলে ব্যস্ত ছিলাম।” অথচ অন্যকে বলছে, “ও তো শুধু নিজ স্বার্থ দেখে!”

শিক্ষা: যাদের উপস্থিতি কেবল নিজের লাভের সময়েই দেখা যায়, তাদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৩. বাঁধাই কাঠামো মানুষ (Scaffolding People)
তারা এক সময় সাহায্য করেছে, কিন্তু এখন চায় তুমি সব সিদ্ধান্তে তাদের অনুমোদন চাও। তারা তোমার সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—মনে করে, তুমি চিরকাল তাদের ঋণী।
উদাহরণ: যেমন কোনো আত্মীয় তোমার পড়ালেখার খরচে একবার সাহায্য করেছিল। এখন যখন তুমি স্বাধীন হতে চাও, তখন বলে, “আমার মতামত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।”

শিক্ষা: কৃতজ্ঞ হও, কিন্তু কারও ছায়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলো না।

৪. কুমির মানুষ (Crocodile People)
এই মানুষরা মিষ্টি ব্যবহার করে তোমার মন জয় করে, তারপর গোপন তথ্য জেনে রাখে। সুযোগ পেলেই সেই তথ্য দিয়ে তোমার ক্ষতি করে।
উদাহরণ: ধরো, তুমি কাউকে বলেছিলে—তোমার পরিবারে কিছু আর্থিক সমস্যা চলছে। পরে একদিন ওর সঙ্গে ঝামেলা হলে, সে এই কথাই অন্যদের সামনে এনে তোমাকে হেয় করে।

শিক্ষা: কারও মুখের মাধুর্যে বিভ্রান্ত হয়ো না, আগে যাচাই করো—সে মানুষ না মুখোশধারী।

৫. গিরগিটি মানুষ (Chameleon People)
এরা বাইরে থেকে বন্ধুর মতো—তোমার খোঁজও রাখে, পাশে হাঁটেও। কিন্তু আসলে তোমার প্রতিটি সাফল্য ওদের পুড়িয়ে দেয়। তোমার অর্জনে ওদের মুখ বন্ধ, কিন্তু তোমার সামান্য ভুল হলে ওদের মুখে ফেটে পড়ে উপহাস।
উদাহরণ: তুমি একটি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেলে—ও মুখে বলে “ভালো হয়েছে”, কিন্তু ফেসবুকে তোমার ভুল বানান তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়।

শিক্ষা: যে মানুষ তোমার আনন্দে মুখ গোমড়া করে, তাকে বন্ধু ভাবলে চলবে না।

৬. না-বলা মানুষ (Naysayer People)
তারা কখনোই তোমার স্বপ্নে বিশ্বাস রাখবে না। বরং তারা এতটাই নেতিবাচক যে, তুমি কিছু শুরু করার আগেই মনোবল হারিয়ে ফেলবে।
উদাহরণ: তুমি যদি বলো, “আমি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাই”, ও বলবে, “ওসব কেউ দেখে না”, “তুই পারবি না”, “সার্চ রেজাল্টে আসবে না”—অথচ তারা নিজে কোনো চেষ্টা করে না।

শিক্ষা: নিজের স্বপ্নকে বাঁচাতে চাইলে, স্বপ্নহীনদের থেকে নিজেকে বাঁচাও।

৭. আবর্জনা ঠেলা মানুষ (Garbage Pusher People)
তারা সবসময় নেতিবাচক খবর ছড়ায়—কখনো কিছু ভালো বলতে জানে না। তোমার আশেপাশের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে হতাশা আর ভয়ের গল্প ছড়িয়ে।
উদাহরণ: তুমি যদি একটা ভালো উদ্যোগের পরিকল্পনা করো, সে বলবে “বাজার খারাপ”, “সব জিনিস লস”, “এই দেশে কিছু হয় না”—এমন কথা শুনিয়ে চেষ্টার আগেই সাহস কেড়ে নেবে।

শিক্ষা: যাদের চিন্তায় কেবল অন্ধকার, তারা তোমার ভেতরের আলো নিভিয়ে দিতে পারে—তাদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

শেষ কথা:
জীবনের প্রতিটি ধাপে কার সঙ্গে পথ চলছো—এটাই ঠিক করে তুমি কত দূর যেতে পারবে। সম্পর্ক বেছে নাও মাথা ঠাণ্ডা রেখে, হৃদয় উষ্ণ রেখে। সবকিছুতে ভালোবাসা দিও, কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দিও না এমন কাউকে, যে তোমার ডানাকে কেটে নিজের ছায়া বাড়াতে চায়।

তাদের চিনে রাখো—
আমার তালিকাতেও তারা ছিল,
আজ তোমাকেও বললাম।

তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো তোমারই অবাধ্য মন…মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা বাইরে কোথাও নেই, তা লুকিয়ে থাকে তার নিজের ভেতরে...
12/09/2025

তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো তোমারই অবাধ্য মন…

মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা বাইরে কোথাও নেই, তা লুকিয়ে থাকে তার নিজের ভেতরেই। আর সেই অদৃশ্য বাধার নাম— অবাধ্য মন।

মন এক আশ্চর্য সত্তা। কখনো সে যুক্তিবোধকে অস্বীকার করে, কখনো অযথাই অতিরিক্ত কিছু চায়, আবার কখনো সম্ভাবনার দুয়ার খোলা থাকা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসে ভাটা আনে।

অনেকে বলেন, “মন চাইলে সব হয়”, আবার কেউ বলেন, “মন তো মানে না যুক্তি”। আসলে দুটি কথাই সত্য। কারণ, মনের দ্বৈত প্রকৃতি আছে— একদিকে সে স্বপ্ন দেখতে চায়, অন্যদিকে সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম, শৃঙ্খলা ও পরিশ্রমকে এড়িয়ে যেতে চায়। ঠিক এই জায়গাতেই মন শত্রু হয়ে ওঠে— নিজের ইচ্ছেকেই নিজের হাতে ধ্বংস করার মাধ্যমে।

একজন শিক্ষার্থী যখন পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চায়, তখন তার মনই বলে—
“চল একটু ফেসবুক দেখি”
“চল আড্ডা দিই”
“আজ না পড়ে কাল পড়ব”।

এই অবাধ্য মনই তাকে পথচ্যুত করে, সময় নষ্ট করে, আর ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করে ফেলে।

একইভাবে কোনো কর্মী বা উদ্যোক্তা যখন নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে চায়, তখন তার মন বলে—
“তুমি পারবে না”
“তুমি ক্লান্ত”
“এ কাজটা অনেক কঠিন”।

এভাবেই মন ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে দেয়, সাহসকে নিঃশেষ করে ফেলে। তাই বাইরের শত্রু সাময়িক ক্ষতি করলেও ভেতরের এই অবাধ্য মনই আসল শত্রু— কারণ সে মানুষকে সত্যিকারের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে দেয়।

তবে সুখবর হলো, এই শত্রুকে জয় করা সম্ভব। নিয়মিত চর্চা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস এবং ধ্যানের মাধ্যমে মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। মনকে শেখানো যায় কীভাবে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হয়, কীভাবে জীবনের লক্ষ্যপানে এগোতে হয়।

শেষ কথা হলো—
👉 মন যদি বন্ধু হয়, তবে সে আশীর্বাদ।
👉 মন যদি শত্রু হয়, তবে সে অভিশাপ।

তাই জীবনের সাফল্যের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো মনকে জয় করা। কারণ তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু, সবচেয়ে বড় বাধা— তোমারই অবাধ্য মন।

কলসির গল্প ও গ্রামের শিক্ষাএক গরিব কুমার ছিল গ্রামে। প্রতিদিন ভোরে উঠে মাটি কাটত, আকার দিত, তারপর বানাত কলসি। এটাই ছিল ত...
11/09/2025

কলসির গল্প ও গ্রামের শিক্ষা

এক গরিব কুমার ছিল গ্রামে। প্রতিদিন ভোরে উঠে মাটি কাটত, আকার দিত, তারপর বানাত কলসি। এটাই ছিল তার জীবনের ভরসা।

একদিন নদীর ধারে অনেকগুলো নতুন কলসি শুকোতে দিলো সে। ঠিক তখনই আকাশে কালো মেঘ জমে গেল, শুরু হলো প্রবল ঝড়-বৃষ্টি।

কুমার দৌড়ে গেল কৃষকের কাছে—
— “ভাই, একটু সাহায্য করো, তোমার ঘরে রাখি কলসিগুলো।”

কৃষক ঠান্ডা গলায় বলল—
— “তোমার কলসি নষ্ট হলে আমার কী?”

হতাশ কুমার গেল দুধওয়ালার কাছে। দুধওয়ালা বলল—
— “আমার গরুর দুধের সঙ্গে তোমার কলসির সম্পর্ক কী?”

অসহায় কুমার ছুটল নদীর ধারে, কিন্তু সব কলসি তখন ভেঙে গুঁড়ো হয়ে গেছে। চোখ ভরা অশ্রু নিয়ে সে ফিরে গেল ঘরে।

কিছুদিন পর গ্রামে খরা দেখা দিল। কৃষকের মাঠ শুকিয়ে গেল, দুধওয়ালার গরুগুলো তৃষ্ণায় হাঁফাতে লাগল। তখন সবাই পানি তোলার জন্য কলসি খুঁজল, কিন্তু একটি কলসিও আর গ্রামে নেই। ফলে ফসল পুড়ে গেল, গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ল।

তখন মানুষ একসাথে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল—
— “কুমারকে যেদিন সাহায্য করতে পারিনি, সেদিনই আমাদের ক্ষতির বীজ বপন করেছি।”

সেদিন থেকে গ্রামের মানুষ মনে গেঁথে নিল এক শিক্ষা—
🌸 “অন্যের বিপদকে অবহেলা কোরো না। আজ তার দুঃখ, কাল তোমার জন্য অভিশাপ হতে পারে।”

সাধারণত অক্সিজেন তৈরির জন্য আলো আর গাছপালা অপরিহার্য, আমরা এটাই জানি। কিন্তু যদি বলি সূর্যের আলো ছাড়াই গভীর সমুদ্রের অন্...
10/09/2025

সাধারণত অক্সিজেন তৈরির জন্য আলো আর গাছপালা অপরিহার্য, আমরা এটাই জানি। কিন্তু যদি বলি সূর্যের আলো ছাড়াই গভীর সমুদ্রের অন্ধকারেও অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে? অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি। এই অক্সিজেনকে বলা হচ্ছে ‘ডার্ক অক্সিজেন’। খবরটি কেবল বিজ্ঞানের ধারা পাল্টে দিচ্ছে না, বরং ভবিষ্যতের শক্তি ও পরিবেশ নীতিকেও নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।

প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে, হাওয়াই আর মেক্সিকোর মাঝামাঝি রয়েছে বিশাল সমুদ্রপ্রান্তর ক্ল্যারিয়ন-ক্লিপারটন জোন (CCZ)। এখানে ছড়িয়ে আছে আলুর মতো দেখতে অসংখ্য পাথরখণ্ড, যেগুলোকে বলা হয় পলিমেটালিক নডিউল। এগুলো ভরপুর নিকেল, কপার, কোবাল্টসহ নানা ধাতুতে, যা আধুনিক ব্যাটারির জন্য অপরিহার্য। এজন্য খনন কোম্পানিগুলো একে ডাকে 'ব্যাটারি ইন আ রক' নামে।

কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই নডিউলগুলো কেবল খনিজ ভাণ্ডার নয়। এরা আলোহীন গভীর সমুদ্রেই অক্সিজেন তৈরি করছে। ধারণা করা হয়, নডিউলের পৃষ্ঠে ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ তৈরি হয়, যা পানির অণুকে ভেঙে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আলাদা করতে সক্ষম। ফলে এমন পরিবেশেও অক্সিজেন জন্ম নিচ্ছে, যেখানে আলো একফোঁটাও পৌঁছায় না।

এই আবিষ্কার আমাদের পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এতদিন মনে করা হতো, জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এসেছে সূর্যের আলোয় চালিত ফটোসিন্থেসিস থেকে। কিন্তু যদি আলো ছাড়া অক্সিজেন তৈরি সম্ভব হয়, তাহলে জীবনের উৎপত্তি সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো আবার নতুন করে ভাবতে হবে।

তবে এর সঙ্গে জুড়ে গেছে বড় বিতর্ক। খনন কোম্পানিগুলো মনে করছে, এই নডিউল মানবজাতির শক্তি সংকট সমাধানে গেম চেঞ্জার হতে পারে। অন্যদিকে একাধিক দেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে খনন বন্ধ রাখার জন্য। কারণ, গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র নিয়ে আমাদের জ্ঞান এখনো সীমিত।

শুধু পৃথিবীর জন্য নয়, এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণার দিকেও নতুন আলো ফেলছে। বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা বা শনির এনসেলাডাসের বরফঢাকা সমুদ্রে জীবন থাকার সম্ভাবনা এখন আরও জোরালো মনে হচ্ছে। কারণ যদি আলো ছাড়া অক্সিজেন তৈরি হয়, তবে প্রাণের অস্তিত্বও খুব একটা অসম্ভব নয়। (বিজ্ঞান্বেষী)

সূত্র: পপুলার মেকানিক্স

৬ এপ্রিল, ১৮৯৩। নিউ অরলিন্সের অলিম্পিয়া ক্লাবে ভিড় জমেছে হাজারো দর্শকের। উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায় ভরা গ্যালারি। মঞ্চে নাম...
09/09/2025

৬ এপ্রিল, ১৮৯৩। নিউ অরলিন্সের অলিম্পিয়া ক্লাবে ভিড় জমেছে হাজারো দর্শকের। উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায় ভরা গ্যালারি। মঞ্চে নামলেন দুই যোদ্ধা— একদিকে লুইজিয়ানার স্থানীয় ছেলে অ্যান্ডি বোয়েন, অন্যদিকে লিভারপুল থেকে আসা জ্যাক বার্ক। কেউ জানত না, এই লড়াই হয়ে উঠবে বক্সিংয়ের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক ঘটনা।

রাত ৯টায় খেলা শুরুর ঘণ্টা বাজল। প্রথম কয়েক রাউন্ডে বোয়েনের গতি ছিল তীব্র, অন্যদিকে বার্ক তার শক্তি দিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেন। কিন্তু লড়াই যত এগোতে থাকল, দৃশ্য হয়ে উঠল রক্তাক্ত ও অমানবিক।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমানে সমানে চলল ঘুষির লড়াই। বার্কের মুখ ফেটে রক্ত ঝরছিল, শরীরে ক্ষতচিহ্ন, চোখ ফুলে প্রায় বন্ধ হয়ে আসছে। অন্যদিকে বোয়েনের শরীর ভেঙে পড়ছিল ক্লান্তিতে। তবুও কেউ থামতে রাজি নন। দর্শকেরা ধীরে ধীরে হাঁপিয়ে উঠছিলেন; কেউ চলে যাচ্ছিলেন, কেউ অপেক্ষা করছিলেন শেষ দেখার।

ভোর ৪টা ১৯ মিনিটে, অর্থাৎ টানা ৭ ঘণ্টা ১৯ মিনিট পরে, ১১০ রাউন্ড শেষে দুই বক্সারই ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। রেফারি তখন দুজনের হাত একসাথে তুলে ঘোষণা করলেন— “ড্র”। ইতিহাসে আর কোনো বক্সিং ম্যাচ এত দীর্ঘ হয়নি।

আজকের দিনে বক্সিং সীমিত সময়ের হয়ে গেছে ১২ রাউন্ডে এবং প্রতিটি রাউন্ড হয় মাত্র ৩ মিনিটের। তাই বোয়েন আর বার্কের সেই লড়াই এখন প্রায় অবিশ্বাস্য শোনায়। কিন্তু এই ঘটনাই প্রমাণ করে, মানুষের জেদ আর সহনশীলতা মাঝে মাঝে সময়ের সীমা ভেঙে দেয়।

লেখা: সৈকত বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

#সৈকত_বিশ্বাস ©️ #কথোপকথন #বংDoze

পেজটি ভালো লাগলে লাইক ও ফলো করে আমাদের উৎসাহ জোগাবেন, আর শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দেবেন।

গেলো জানুয়ারীতে ইউএস মেরিন কোরের একটি এফ-৩৫বি টুপ করে আকাশ থেকে পড়ে যায়। ইনভেস্টিগেশনে বেরিয়ে এসেছে যে ক্র‍্যাশের আগে পা...
08/09/2025

গেলো জানুয়ারীতে ইউএস মেরিন কোরের একটি এফ-৩৫বি টুপ করে আকাশ থেকে পড়ে যায়। ইনভেস্টিগেশনে বেরিয়ে এসেছে যে ক্র‍্যাশের আগে পাইলট প্রায় ১ ঘন্টা লকহিড মার্টিনের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে ফোনকলে ছিলেন। মূলত ল্যান্ডিং গিয়ার ইস্যুতে প্লেনটি ক্র‍্যাশ করে। সেটাও স্টানিং। এফ-৩৫ এর সফটওয়্যার সিস্টেম পুরো প্লেন কন্ট্রোল করে। ল্যান্ডিং গিয়ারের যে লুব্রিক্যান্ট থাকে তাতে পানি মিশে জমে যাওয়ায় ফ্রন্ট হুইল পুরোপুরি ক্লোজ হয়নি। ফলে ওয়েইট অন হুইল সেন্সর ফ্লাইট কম্পিউটারকে জানায় যে প্লেন এখনো ভূমিতে আছে। অথচ তা উড্ডয়ন করছে! প্লেন ভূমিতে আছে এই নির্দেশনার কারণে এফ-৩৫'র সফটওয়্যার "অন গ্রাউন্ড" ফ্লাইট কন্ট্রোল ল এক্টিভেট করে। এই সিস্টেম ওভাররাইড করার ওয়ে নেই। কিন্তু প্লেনের পায়ের নিচে মাটি নেই! বিপরীতমুখী ঘটনা। ফলাফল প্লেন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ঘন্টাখানেক এলোমেলো উড্ডয়নের পরেও পাইলট ব্যর্থ হন। বাধ্য হন ইজেক্ট করতে। ২০০ মিলিয়ন ডলার ছাই হয়ে যায় সফটওয়্যারের কারণে।

© Collected

🔸বাংলায় দাসপ্রথা : ইতিহাসের এক হৃদয়বিদারক অধ্যায়! ইতিহাসের পাতায় আমরা যখন দাসপ্রথার কথা শুনি, তখন চোখের সামনে ভেসে ও...
07/09/2025

🔸বাংলায় দাসপ্রথা : ইতিহাসের এক হৃদয়বিদারক অধ্যায়!

ইতিহাসের পাতায় আমরা যখন দাসপ্রথার কথা শুনি, তখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমেরিকার তুলার খেতে শৃঙ্খলিত নিগ্রো দাসদের ছবি, কিংবা আফ্রিকার দাসজাহাজে অমানবিক যাত্রার কাহিনী। কিন্তু আমাদের বাংলাতেও দাসপ্রথা ছিল, এবং তা শুধু সমাজের প্রান্তিক মানুষদের নয়—কখনো কখনো পরিবার, সন্তান, স্ত্রী পর্যন্ত গৃহস্থের জীবিকার যুদ্ধে বিক্রির বস্তু হয়ে উঠেছিল।

🔸দাসপ্রথার সামাজিক বাস্তবতা

বাংলায় দাস ব্যবসা ছিল প্রাচীন প্রথা। একে অমানবিক বলা ছাড়া উপায় নেই, তবে পাশ্চাত্যের তুলনায় এর রূপ কিছুটা ভিন্ন ছিল। এখানে দাস কেনার লক্ষ্য ছিল মূলত কায়িক শ্রম পাওয়া। দাস-দাসীরা গৃহস্থের কাজে নিয়োজিত হতো, জমি-খেতেও পরিশ্রম করত। অনেক সময়ে তারা প্রায় পরিবারের সদস্যের মতোই মর্যাদা পেত। এমনকি ইতিহাসে দেখা যায়, কোনো কোনো মনিব দাসী কন্যাকে নিজের পুত্রের সঙ্গে বিবাহ দিয়ে দিতেন—ফলে সে মুক্তিও পেত। তবে এই মানবিকতার আড়ালে লুকিয়ে ছিল নির্মম বাস্তবতা। অনেক দলিলে স্পষ্ট লেখা আছে যে, দাস বা দাসীর গর্ভজাত সন্তানও মালিকের সম্পত্তি। অর্থাৎ দাসপ্রথা শুধু ব্যক্তির নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এক নিষ্ঠুর দাসত্বের শৃঙ্খল তৈরি করেছিল।

🔸 দারিদ্র্য ও আত্মবিক্রয়ের কাহিনী

অভাবই ছিল দাসপ্রথার সবচেয়ে বড়ো চালিকাশক্তি। দুর্ভিক্ষ, ঋণ, কিংবা অনাহারে জর্জরিত পরিবার অনেক সময়ে নিজেদের সন্তান, এমনকি স্ত্রীকে বিক্রি করত। কেউ কেউ আত্মবিক্রয়ের দলিলে স্বাক্ষরও করত। শুধু সন্তান নয়—সপরিবারে আত্মবিক্রয়-এর নজিরও আছে। জনৈক শুকদেব দে স্ত্রী হরিপ্রিয়া ও পুত্র যুগীরামকে নিয়ে রামকৃষ্ণ শর্মার কাছে আত্মবিক্রয় করেছিলেন। আবার কুঞ্জমালা নামের এক নারী নিজের ও সাত বছরের কন্যাকে মাত্র তিন টাকায় সত্তর বছরের জন্য বিক্রি করেছিলেন। দলিলে মুক্তির শর্ত রাখা ছিল—এক সোয়ামন হলুদ দিলে সে মুক্ত হবে। কিন্তু বিনে পয়সায় খেটে সেই মুক্তিপণ জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব ছিল। এই দলিল ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দলিলগুলির একটি।

🔸 দাসদাসীর দাম ও বাজার

দাসদের দামও তখন সমাজে আলোচ্য বিষয় ছিল।
• ১৪শ শতকে বাংলায় আসা ইবন বতুতা লিখেছিলেন, তিনি মাত্র ১৫ টাকায় এক সুন্দরী মেয়ে কিনেছিলেন।
• ১৮২৩ সালে সমাচার দর্পণ লিখেছে—
• বালকের দাম ৪–১৫ টাকা,
• নারীর দাম ১৬–২৪ টাকা,
• প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দাম ২৪ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।
অভাব যত বাড়ত, দাম তত কমে যেত। ৭২ অজন্মা দুর্ভিক্ষে অসংখ্য শিশু তিন-চার টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। ইতিহাসে উল্লেখ আছে—শ্রীহট্টের রাধানাথ দেব মাত্র তিন টাকায় ছয় বছরের শ্রীমণি নামের এক কন্যাকে কিনেছিলেন।

🔸 অত্যাচার ও পালানোর গল্প

যদিও দেশীয় মনিবরা অনেক সময় দাসদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করত, তবুও অত্যাচার অস্বীকার করা যায় না। অনেক দাসদাসী অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে যেত। তখন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো—১৭৯২ সালের একটি বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল: "১৫ বছরের দীন-দারা নামে এক দাস ছেলে পালিয়েছে। তার শরীরে আগুনের পোড়া দাগ আছে, পায়ে লোহার বেড়ির ছাপ আছে, আর সে তোতলা। যে তাকে ধরে আনবে, তাকে ৫০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।"
এই বিজ্ঞাপন শুধু এক দাসের পরিচয় নয়—এ যেন বাংলার দাসপ্রথার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা নিঃশব্দ হাহাকার।

🔸 লোভ, জুয়া ও দাস বিক্রি

সব বিক্রি যে শুধু অভাবের কারণে হতো, তা নয়। লোভও অনেক সময় মানুষকে অমানবিক করে তুলেছিল।
• এক বৈষ্ণবী কন্যাকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন শুধুমাত্র অর্থলোভে।
• আবার জুয়ায় হেরে কেউ কেউ স্ত্রী বিক্রির পথ বেছে নিত। ইতিহাসে আছে—এক ব্যক্তি খেলার দেনা মেটাতে নিজের যুবতী স্ত্রীকে দশ টাকায় এক খানকীর কাছে বিক্রি করেছিলেন।

🔸 ইংরেজদের ভূমিকা

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই প্রথাকে কায়েমি করার চেষ্টা করেছিল। কোর্ট হাউসে জনপ্রতি চার টাকা চার আনা শুল্ক দিয়ে দাস রেজিস্ট্রি করার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ইংরেজ মনিবদের কাছে দাস হওয়া মানেই ছিল শৃঙ্খল, মারধর, অমানুষিক পরিশ্রম আর অনাহার।

🔸 অবসান

অবশেষে বাংলায় দাসপ্রথার অবসান হয়েছিল ১৮৪৩ সালের ভারতীয় দাসপ্রথা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে, যা ১৮৩৩ সালের চার্টার অ্যাক্ট-এর ভিত্তিতে সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে দাসপ্রথাকে অবৈধ ঘোষণা করে। যদিও ভারতে এই প্রথা বিলোপে ব্রিটিশদের ভূমিকা ছিল, এই আইন প্রণয়নের সময় গভর্নর-জেনারেল ছিলেন লর্ড এলেনবরো। তবে তার আগে পর্যন্ত অগণিত মানুষ এই প্রথার শিকার হয়েছিল। কত অশ্রু, কত স্বপ্ন, কত ভগ্ন সংসারের গল্প লুকিয়ে আছে সেই দাস ব্যবসার দলিলের পৃষ্ঠায়, তার হিসেব আজও করা সম্ভব নয়।

বাংলার দাসপ্রথার ইতিহাস কেবল আইনি দলিল বা অর্থনৈতিক বাস্তবতার ইতিহাস নয়—এ ইতিহাস আসলে মানুষের অদম্য টিকে থাকার সংগ্রামের ইতিহাস। অনাহারে জর্জরিত মা নিজের সন্তানকে তিন টাকায় বিক্রি করছে, বা এক নারী সত্তর বছরের জন্য দাসী হয়ে যাচ্ছে—এসব শুধু অতীতের কাহিনী নয়, এ আমাদের সমাজের বিবেককে আজও নাড়া দেয়।
দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়েছে, কিন্তু ইতিহাসের দলিল আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—মানুষের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও অধিকারকে কখনোই অবহেলা করা যায় না।
Collection

#বাংলারইতিহাস #দাসপ্রথা #অবহেলিতইতিহাস #ইতিহাসেরপাতা #আঞ্চলিকইতিহাস #মানবতারইতিহাস

বিশ্ববিখ্যাত ক্যানন ক্যামেরার  প্রতিষ্ঠাতা  তাকেশি মিতারার  কাহিনী নিশ্চয়ই আগেও পড়ে থাকবেন। এটা শুধু কোনো ব্যক্তির জন্য ...
06/09/2025

বিশ্ববিখ্যাত ক্যানন ক্যামেরার প্রতিষ্ঠাতা তাকেশি মিতারার কাহিনী নিশ্চয়ই আগেও পড়ে থাকবেন। এটা শুধু কোনো ব্যক্তির জন্য না বরং একটা জাতি কিভাবে গড়ে ওঠে সেই শিক্ষা নেয়া যেতে পারে।

তাকেশি বলেন আমাদের দেশ ছিলো এক ধরণের ধ্বংসস্তূপ। না ছিলো কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ, না ছিলো কোনো অভিজ্ঞতা , না ছিলো কোনো যন্ত্রাংশ , না ছিলো বিপুল অর্থ।

শুধু দুটো জিনিসই ছিলো আমাদের সম্পদ। যেটা খনন করেও পাওয়া যায়না আবার ভিন দেশ থেকে আমদানীও করা যায়না। এ দুটো জিনিস হলো আমাদের আপোষহীন সততা আর ইষ্পাত কঠিন পরিশ্রম। এই লাইনটি বারবার পড়া দরকার।

আমরা জাপানের প্রথম ক্যামেরাটি তৈরির সূচনা করেছিলাম কাঁপা কাঁপা হাতে নানা রকমের ভঙ্গুর যন্ত্রাংশ একটা সাথে একটা জোড়া লাগিয়ে। সালটি ছিলো ১৯৩৩। জাপান তখন গভীর অর্থনৈতিক সংকট থেকে কোনো রকমে উঠে আসছিলো।

আমি ছিলাম একজন অখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ । ছিলাম না কোনো প্রফেশনাল প্রকৌশলী। তবুও স্বপ্নের কোনো ঘাটতি ছিলোনা। স্বপ্ন ছিলো একদিন জাপান উচ্চমানের ক্যামেরা তৈরি করবে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যেহেতু আমাদের কোনো প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য নেই। তাই টেকনোলজি আর মেধাকেই আমাদের প্রাচুর্য হিসাবে তৈরি করতে হবে।

এই সময় কেবল জার্মানীরাই ভালো মানের ক্যামেরা বানাতো। আর কেউ আমাদের স্বপ্নে বিশ্বাস করত না। আমরা টোকিওর একটি ছোট ভাড়া করা ঘরে কাজ শুরু করলাম। কোনো বাজেট ছিল না, সত্যিকারের কোনো যন্ত্রপাতিও ছিল না। আমরা পুনর্ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, ত্রুটিপূর্ণ লেন্স এবং হাতে বানানো সরঞ্জাম ব্যবহার করতে শুরু করলাম। অধিকাংশ সময় যা বানাতাম তা কাজ করত না। কিন্তু কোনো মনোবল হারাইনি। দিনে আঠারো ঘন্টা সময়ও পার করেছি।

টানা এক বছরের প্রচেষ্টায় ১৯৩৪ সালে তৈরি হলো জাপানে প্রথম ক্যামেরা "কেনন"। বলতে গেলে এটা এক ধরণের অসম্পূর্ণ ক্যামেরা ছিলো। খরচও ছিলো অনেক বেশি এবং কেউ আমাদের নামও জানত না। এরপর একটি ছোট ত্রুটি পুরো উৎপাদন নষ্ট করে দেয়।
আমরা তখন প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে।

কিন্তু আমরা মনে করলাম এই ভুল আমাদের জন্য এক বিরাট শিক্ষা। ভুল থেকে হতাশ হলে চলবে না । বরং প্রতিটি ভুলকে শিক্ষা হিসাবে গ্রহণ করেই আমাদের সামনে আগাতে হবে।


তারপর আমাদের জীবনে এলো আরো খারাপ সময় । ২য় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা আমাদের সব স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্খাকে যেন চুরমার করে দিয়ে গেলো। মানুষ যেখানে খেতে পায়না, চারপাশে মানুষ পোড়া গন্ধ। সেখানে ক্যামেরা দিয়ে কি হবে।

আমরা ভাবলাম যুদ্ধের শোক ভুলে গিয়ে নতুন করে দাঁড়াতে হবে। যারা মারা গিয়েছে তারাতো আর ফিরে আসবেনা। কিন্তু যারা বেঁচে আছে তাদেরতো ক্ষুধা লাগবে। অর্থনীতির ভিত শক্ত না হলে কে তাদের মুখে অন্ন তোলে দিবে।

ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে আমরা চুপচাপ নকশা করতেই থাকলাম। ফলে যুদ্ধে জাপান পরাজিত হলেও আমাদের মেধা নতুনভাবে জয়ী হতে থাকলো। ক্যানন ক্যামেরা বেঁচে রইলো। হিরোশিমা আর নাগাসাকির কান্না আমাদের নতুনভাবে গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখালো। আমরা নতুন করে আবার শুরু করলাম।

নতুন পরিকল্পনায় নব উদ্যমে আমাদের লেন্সগুলো উন্নত করলাম এবং ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বময় সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হলাম।
একদিন দেখলাম আমাদের ক্যামেরাগুলো সাংবাদিক থেকে শুরু করে শিল্পী, শহরের বাজার থেকে শুরু করে শান্তিরক্ষীদের হাতে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। যারা আমাদের শত্রু ছিলো তাদের হাতেও জাপানি ক্যামেরা।

আমরা হারিনি, আমরা অনুকরণ করিনি। সমস্ত প্রতিকুল পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়েছি। লড়াই করেছি, ধৈর্য্য ধরেছি আর বলতে গেলে ফিনিক্স পাখির মতো পোড়া ছাই থেকেই নতুন করে সৃষ্টি হয়েছি।

ক্যাননের জন্ম ছিলো যন্ত্রণার এবং প্রমাণ করার ইচ্ছা থেকে যে জাপানও প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে পারে। আজ প্রতিটি ক্যামেরার ক্লিক বহন করে এমন এক জাতির স্মৃতি যে জাতি ভেঙ্গে পড়েনি, মাথা নত করেনি এমনকি যুদ্ধের মাঝেও হাল ছেড়ে দেয়নি। আজ পৃথিবীবাসী যখন ক্যামেরা দেখে তখন এর সাথে আমরা একটা জাতির উত্থান দেখি যেটা শুধু গৌরবের নয়, যেটা আত্মমর্যাদার।

আমরা বিশ্বাস করি কোনো জাতির মাঝে যদি সামষ্টিক সততা, পরিশ্রম আর দৃঢ় সংকল্প তাকে তবে সেই জাতি একদিন না একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই।

Address

Uttara Division, Bangladesh
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahabuddin Hridoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shahabuddin Hridoy:

Share