28/05/2025
১৮ লাখ সরকারি কর্মচারী এক হইছে। বইলা দিছে দুর্নীতি করার সুযোগ বহাল না করে ওরা ঘরে ফিরবে না।
কোন সংস্কার মানা হবে না।
ওদিকে ব্যবসায়ীরা শুরু করছে আরেক মিথ্যাচার। প্রথমে দাবি করেছে, ইউনূস সরকার নাকি গ্যাস দিতেছে না।
তো আজ সকালে ইউনূস একেবারে ডাটা দিয়ে দেখাইছে যে গত বছরের তুলনায় এই বছর ২২% গ্যাস বেশি সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে।
এইবার শুরু করেছে নতুন নাটক।
ভোলা থেকে দেশের বিরাট অংশের গ্যাস আসে।
ঐখানে গতকাল থেকে অবরোধ শুরু করেছে যাতে গ্যাস ঢাকায় আসতে না পারে।
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেছে এক রাজনৈতিক দলের এক নেতা।
তো ঘটনা যা দাড়াইলো, দুর্নীতিবাজ আমলারা এক হয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান অচল করে দিছে।
বাটপার ব্যবসায়ীরা এক হয়ে মিথ্যা কথা বলতেছে যাতে সংস্কার না করা যায়। সিন্ডিকেটবাজি করে আমার আপনার রক্ত চুষবে।
ওদিকে রাজনৈতিক ধান্দাবাজের দল টাকার বিনিময়ে গুন্ডামি করে গ্যাস অফ করে দিছে।
সবকিছু অফ করে টরে এখন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলবে, ইউনূস ব্যর্থ। ইউনূস কিছু পারে না। দেশ আমাদের হাতেই নিরাপদ।
অথচ ইউনূস যাতে না পারে, তার সমস্ত বন্দোবস্ত উনাদেরই করা।
কারণ ইউনূস সফল হলে প্রমাণ হবে যে গত ৫৩ বছরে দেশটাকে কারা খুবলে খুবলে খেয়ে ফেলেছে।
তাই ইউনূসকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য দেশের সমস্ত সিন্ডিকেট এক হয়ে গেছে।
আমরা এক বছর আগেও ভাবতাম, আমাদের দেশে সবাই বাইরে চলে যায় কেন? মেধাবীরা কেন দেশ গড়তে আসে না?
এই প্রশ্নের উত্তর ইউনূসের আজকের পরিস্থিতির মধ্যেই খুঁজে পাবেন।
দেশের সবচে মেধাবী মানুষদের মধ্যে একজন দেশ চালাতে আসলো। এরপর সহযোগিতা তো দূরের কথা, বাটপার ব্যবসায়ী, ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদ আর দুর্নীতিবাজ আমলারা এক হয়ে এই লোকটার সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়াইয়া গেল।
এখন সংস্কার তো দূরের কথা, উনার জান নিয়ে মেয়াদ শেষ করতে পারবেন কি না, আমার সন্দেহ আছে।
এবার বলেন, এই দেশে ভদ্র, শিক্ষিত আর মেধাবী মানুষেরা এরপরেও কেন দেশের জন্য কাজ করতে আসবেন?
Collected