09/05/2025
📌আমাদের বাবা মা আমাদের জন্য কষ্ট করে আবার খোঁটা ও দেয়।
আশ্চর্য আপনাদের জন্ম দিতে কে বলেছেন!🥺
তোর জন্য ই করেছি, হেন করেছি,তেন করছি,এই ঐ করছি বলে বলে সারাজীবন তাদের কনট্রোলে রাখতে চায়।
পলাশ সাহয়ের মা সারাক্ষণ এই ভাবে ছেলে কে ইমোশনাল ভাবে ব্ল্যা" ক' মেইল করতো। ছেলে আর ছেলের বউ এর যে আলাদা একটা স্পেস দরকার এটা মানতে রাজী না। আরে ভাই ছেলে আপনার,ছেলেকে তো নিয়ে যাচ্ছে না কেউ। কিন্তু আপনার ছেলেটা এখন কারো স্বামী। প্রতিটা মেয়ের ই আশা ভরসার জায়গা তার স্বামী।এখন যদি তাদের মাঝে এসে বসে থাকেন। তাদের স্পেস না দেন তাহলে তো হবে না। আপনার মেয়ের বেলায় যেমন টা আপনি চান,ছেলের বেলায় আবার তার উল্টা চান। বাকি দুই ছেলে আর বোন কই উনার? ওদের দায়ীত্ব নাই? মা আর ভাই-বোনেরাও বুঝে কোন ভাইয়ের উপর চাপানো যাবে। এতে তার সংসার ভেংগে যাক। কোনো সমস্যা নাই। সব সেলফিস। বউকের হক আদায় না করে, যে পুরুষ অন্য সব কিছু কে মেনেজ করে তার কপালে ভালো কিছু থাকে না দিন শেষে। যে ছেলেটা নরম তার উপর ই অধিকার খাটায় বেশি। আর সেই ছেলেটার বউ - ই মারা খাইতে থাকে। বউ তখন সাউন্ড করলেই বউ খারাপ। সুবিধাবাদী সবাই। আমি পলাশের মাকে জিজ্ঞেস করতে চাই। ছেলের বউ হিসেবে সে কি দায়ীত্ব পালন করেছে তার বউমার জন্য? ছেলে সবি বুঝতো কিন্তু মা দেখে কিছু বলতে পারতো না। এদিকে বউ তার জীবনের অংশ ,মায়ের কাছে নিরুপায় হওয়ায় ইমোশনের জায়গা থেকে মাকে কিছু বলতে পারতো না। বাকি দুই ছেলে আর বোন কি পারতো না মাকে নিজেদের কাছে নিয়ে মাঝে মাঝে রাখতে? মার দায়িত্ব নিতে? যে দায়ীত্ব এড়াতে পারে নি তার ঘাড়ে দিয়ে সবাই নিরিবিলি দিব্বি দিন কাটানোর ফল আজ পলাশের নিজের মাথায় নিজে গুলি করা। পুরো পরিবার জড়িত। আমি বিশ্বাস করি এই পুরা পরিবারে পলাশ একমাত্র দায়ীত্বশীল আর সাউন্ড করে কোনো ভাই বোনকে কিছু বলতে পারতো না দেখেই যাওয়ার সময় লিখে গেছে মায়ের দায়িত্ব বাকি দুই ভাইয়ের। এখন মা ও টের পাবে হারে হারে। যে ছেলেরা মায়ের হাজার অন্যায় ইমোশন দিয়ে মেনে নিয়ে বউকে ঠকায়। তারা বিয়ে করে কেন? দরকার কি একটা মেয়েকে বিয়ে করে এনে তার জীবন নস্ট করার?
প্রায় ঘরে বাবা ,মা এমন ইমোশনাল কথা বলে ছেলেদের নিজের আয়ত্ত্বে রাখে। আজ যদি পলাশের মত বাকি সব ভাই বোন মিলে দায়িত্ব নিতো। সবাই মিলেমিশে রাখতো উনাকে। সবাই যদি ভালো হইতো।আর পলাশের মাও যদি সব সন্তানদের কাছে গিয়ে থাকতো,সব বউদের স্পেস দিতো। একজনের উপর চাপ পড়তো না। তার সংসারেও ঝামেলা হত না। আজকে সে চলেও যেতো না।
সন্তান রা বাবা মায়ের উপর দূর্বল আর তারা সেই সুযোগ নেয়।
আসলে আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ পরিবার খুবই টক্সিক।
পলাশ তো চলে গিয়ে বেঁচে গেছে কিন্তু এমন হাজারো পলাশ জীবতই পরিবারের টক্সিক ভোঁজা নিয়ে বেঁচে আছে।