The World Stage

The World Stage This page for all news of all world.

জীবনের বড় বড় মুহূর্তে আমাদের মনে হয়, প্রিয়জন বা বন্ধুদের জানালে খুশি হবে। মনে হয়, সুখ ভাগ করলে দ্বিগুণ হয়। কিন্তু ...
28/09/2025

জীবনের বড় বড় মুহূর্তে আমাদের মনে হয়, প্রিয়জন বা বন্ধুদের জানালে খুশি হবে। মনে হয়, সুখ ভাগ করলে দ্বিগুণ হয়। কিন্তু সত্যি বলতে কী, সব সময় তা হয় না। বরং অতি তাড়াতাড়ি মুখ খোলাই হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় ভুল।

আমাদের স্বপ্ন আসলে একেকটা বীজ। এই বীজকে মাটিতে রোপণ করার পর যত্ন চাই, সুরক্ষা চাই। কিন্তু যদি খুব তাড়াতাড়ি সবাইকে দেখাতে ব্যস্ত হই, তখন সেটি শেকড় গজানোর আগেই শুকিয়ে যায়। বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে—যত বেশি স্বপ্ন শেয়ার করবেন, তত বেশি হিংসা, ঈর্ষা আর বদনজরের চোখ আপনার দিকে পড়বে। আর এটাই অনেক সময় আপনার সাফল্যের পথে অদৃশ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।

আমরা যাদের "বন্ধু" বলে বিশ্বাস করি, তাদের সবাই আন্তরিক নয়। কেউ কেউ চায় আপনি ভালো থাকুন, কিন্তু কখনোই তাদের চেয়ে ভালো না। তাই তারা হাসিমুখে অভিনন্দন জানালেও মনে মনে আপনার ব্যর্থতা কামনা করতে পারে। এটা তিক্ত হলেও সত্যি।

আমরা ভেবে নিই, অন্তত পরিবার তো আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পরিবারের ভেতরেও সূক্ষ্ম হিংসা থাকতে পারে। ভাই, বোন, আত্মীয় কেউ কেউ চাইতে পারে যে আপনি তাদের ছাড়িয়ে না যান। এই গোপন প্রতিযোগিতা অনেক সময় আপনার আনন্দকে নিঃশব্দে বিষিয়ে দিতে পারে।

অনেকে বলে বদনজর শুধু কুসংস্কার। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে অন্য কথা। মানুষ যখন আপনার উন্নতি দেখে ঈর্ষায় পুড়ে যায়, তখন সেই নেতিবাচক এনার্জি আপনার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। সনাতন হিন্দু ধর্ম , ইসলাম ধর্ম ও অন্য প্রায় সব ধর্মেই বদনজরের উল্লেখ আছে। অর্থাৎ, এটা কোনো কাল্পনিক ভয় নয়।

নীরবতা দুর্বলতা নয়, বরং শক্তি। চুপ থাকা মানে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুত হওয়া। কৃষক যেমন বীজ রোপণের পর প্রতিদিন হাটে গিয়ে ঘোষণা করে না, তেমনি বুদ্ধিমান মানুষও নিজের স্বপ্ন গোপন রাখে। সময় এলে ফলাফল নিজেই কথা বলে। তখন আর কাউকে বোঝানোর প্রয়োজন হয় না।

আপনার ভাগ্যে যা আছে, ঈশ্বরের লিখে রাখা পরিকল্পনা কেউ মুছে দিতে পারবে না। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে বেশি মুখ খোলার কারণে আপনি নিজের জন্য অযথা বাধা তৈরি করতে পারেন। তাই বিশ্বাস রাখুন, ধৈর্য ধরুন, পরিশ্রম করুন এবং যতটা সম্ভব মুখ বন্ধ রাখুন।

স্বপ্নকে আগেভাগে প্রকাশ করা মানে তাকে দুর্বল করে ফেলা। হিংসা, ঈর্ষা আর বদনজর সত্যিই আপনার সাফল্যকে ধ্বংস করতে পারে। তাই যখনই জীবন আপনাকে কোনো বড় সুখবর দেবে—নতুন বাড়ি, গাড়ি, বিয়ে বা পদোন্নতি—তখন আনন্দে চিৎকার না করে নীরবে উপভোগ করুন। সময় এলে আপনার সাফল্যই পুরো পৃথিবীকে জানিয়ে দেবে আপনি কী করেছেন।

- সংগৃহীত

কখনো কোন পরিস্থিতিতেই নিজের অধিকার, নিজের হক ছাড়বেন না,সেটা হতে পারে অর্থ সম্পদ,হতে পারে আন্তরিকতা, ভালোবাসা,সম্মান।সবটা...
27/09/2025

কখনো কোন পরিস্থিতিতেই নিজের অধিকার, নিজের হক ছাড়বেন না,সেটা হতে পারে অর্থ সম্পদ,হতে পারে আন্তরিকতা, ভালোবাসা,সম্মান।

সবটা ইঞ্চি ইঞ্চি বুঝে নিবেন ঠিক যতটা আপনি প্রাপ্য। এই কথায় আমাকে স্বার্থপর মনে হতে পারে তবে সত্যি কি জানেন?
সত্যি হচ্ছে আপনি যখন ছাড়বেন তখনই সবাই মনে রাখে,২ দিন না যেতেই যখন হজম হয়ে যায় তখন আপনার দিকে আঙুল তুলতে ২ বার ভাবে না!
আর তখন শুরু হয় মানুষিক ভাবে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার মত অমানবিক কষ্ট। দিনশেষে সবই হারাতে হয় তখন।

অনেক সময় আমরা চুপ থেকে, মেনে নিয়ে, ছাড় দিয়ে সম্পর্ক, শান্তি কিংবা ভালোবাসা বাঁচাতে চাই। ভাবি—"আমি না হয় একটু কমই থাকলাম", "আমি না হয় ওদের কথাতেই মাথা ঝুঁকালাম"। কিন্তু জানেন তো, এই 'না হয়' গুলোই একসময় আমাদের অস্তিত্বকে মুছে দেয়।

অর্থ, সম্মান, আন্তরিকতা, ভালোবাসা—সবকিছুতেই আপনার একটি ন্যায্য স্থান আছে। সেই জায়গাটা কেউ ‘দিচ্ছে না’ বলেই আপনি নেবেন না?
না, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

হ্যাঁ, আপনাকে হয়তো কেউ বলবে “তুমি স্বার্থপর”, “নিজেরটা ছাড়া কিছু বোঝো না”।
কিন্তু সত্যিটা হলো—
যখন আপনি ছাড়েন, তখন সবাই খায়।
যখন আপনি চুপ থাকেন, তখন সবাই আপনাকে ঠেকায়।
আর যখন আপনি ভেঙে পড়েন, তখন কেউ ফিরে তাকায় না।

মানুষের স্বভাবই এমন—আপনি যতটা মাটি হবেন, তারা ততটা হেঁটে যাবে আপনার উপর দিয়ে।
আর যখন একদিন নিঃস্ব হয়ে পড়বেন, তখন শুধু একটা কথাই মনে আসবে—
"আমি কেন নিজেরটা ধরে রাখিনি?"

তাই, আজ নয় কাল নয়—
এই মুহূর্ত থেকেই শিখে নিন, নিজের প্রাপ্য জিনিসগুলো বিনয়ের সাথে কিন্তু দৃঢ়ভাবে চেয়ে নিতে, প্রয়োজনে জোর গলায় দাবি করতে।
এটাই আত্মসম্মান।
এটাই আত্মরক্ষা

(কপি পোস্ট)

কোনো দলে, পরিবারে বা বন্ধুমহলে যদি মাত্র একজনও খারাপ সদস্য থাকে যেমন অভদ্র, কাজচোর বা সবসময় হতাশাগ্রস্ত তাহলে সেই দল নিয...
18/09/2025

কোনো দলে, পরিবারে বা বন্ধুমহলে যদি মাত্র একজনও খারাপ সদস্য থাকে যেমন অভদ্র, কাজচোর বা সবসময় হতাশাগ্রস্ত তাহলে সেই দল নিয়মিতভাবে খারাপ পারফর্ম করে থাকে অন্য দলের তুলনায় যেখানে এমন কেউ নেই।

নেতিবাচক সদস্যরা অন্যের সহযোগিতা নিতে পারে না। একে অপরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস কমায় এবং তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি করে, যার ফলে পরিবারে বা বন্ধু মহলে যোগাযোগ দুর্বল হয় বা পৃথক গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। যেটা সামগ্রিক খারাপ ফলাফল নিয়ে আসে।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উইল ফেল্পসের গবেষণায় এইসব তথ্য উঠে এসেছে। ফেল্পস প্রায় ৫০টি চারজনের দল তৈরি করেছিলেন। প্রতিটি দলকে একটি ব্যবসায়িক কেস স্টাডি (business simulation) সমাধান করতে হয়েছিল। কাজ ছিল দলগতভাবে আলোচনা করে একটি বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা। সব দলেই সদস্যরা ছিল সাধারণ ছাত্রছাত্রী (University of Washington MBA students)।

প্রতিটি দলে ইচ্ছাকৃতভাবে একজনকে রাখা হতো যাকে বলা হতো অভিনেতা (actor)। এই অভিনেতা তিন ধরনের নেতিবাচক ভূমিকা নিত: 1. Jerk (অভদ্র): অন্যদের ধারণাকে খাটো করা, সমালোচনা করা। 2. Slacker (কাজচোর): কোনো আগ্রহ না দেখানো, উদাসীন থাকা।3. Depressive/downer (হতাশাগ্রস্ত): বারবার নেগেটিভ মন্তব্য করা, মনোবল কমিয়ে দেওয়া।

ফলাফল: যে দলে “খারাপ সদস্য ” ছিল, তাদের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ ছিল সেই দলে তুলনায় যেখানে সবাই সহযোগিতামূলক ছিল। দলের মনোবল, সহযোগিতা, পারস্পরিক আস্থা সবকিছু কমে গিয়েছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, একজনের আচরণ পুরো দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল, অনেকেই তার মতো আচরণ করতে শুরু করেছিল।

অর্থাৎ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছিল, মাত্র একজন খারাপ সদস্য গোটা দলের পরিবেশ ও ফলাফল নষ্ট করতে পারে। এখানে বাকি সদস্যরা যতই ভালো ও দক্ষ হোক না কেন সেটা ম্যাটার করে না।

ফলাফলগুলো ইঙ্গিত দেয়, একটি দল, পরিবার বা বন্ধুমহলের সফলতা সবচেয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী সদস্যের ওপর নির্ভর করে না। বরং দলের সবচেয়ে দুর্বল সদস্যের ওপর নির্ভর করে।

Source: Felps, W., Mitchell
, T. R., & Byington, E. (2006). How, when, and why bad apples spoil the barrel: Negative group members and dysfunctional groups.
Research in Organizational Behavior, 27, 175-22

ভাবুন তো, কেউ একটা চাকরি পেলো, বেতন আগের থেকে দ্বিগুণ হলো। প্রথমে মনে হবে জীবন পাল্টে গেছে—নতুন ফোন, নতুন ফ্ল্যাট, হয়তো ...
10/09/2025

ভাবুন তো, কেউ একটা চাকরি পেলো, বেতন আগের থেকে দ্বিগুণ হলো।
প্রথমে মনে হবে জীবন পাল্টে গেছে—নতুন ফোন, নতুন ফ্ল্যাট, হয়তো গাড়িও। কয়েক মাস পরেই এগুলো নরমাল হয়ে যায়।
তখন আবার নতুন শখ জাগে—আরও দামি গাড়ি, আরও বড় ফ্ল্যাট। ফলে আয় যতই বাড়ে, খরচও তার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ে। আর সুখ আবার আগের জায়গাতেই ফিরে আসে।
অর্থনীতির ভাষায় এটাকে বলা হয়" Hedonic treadmill"
এক ভদ্রলোকের যে স্যালারি পায় তা দিয়ে চলতে পারে না, হিমশিম খাচ্ছে; এখন তিনি যুক্তি পেশ করছেন কেন উনার স্ত্রী কে কাজে আনা প্রয়োজন। দুইজন মিলেমিশে ইনকাম করলে অভাব-অনটন ঘুচে যাবে এই ধারণা উনার৷
কিন্তু আদতে সেরকম হয়ে ওঠে না৷Daniel Kahneman দেখিয়েছেন, আয় বছরে একটা সীমা পর্যন্ত সুখ বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু তার পরের আয় সুখে তেমন প্রভাব ফেলে না, বরং খরচ, তুলনা আর চাপ বাড়ায়।
অনেকটা নতুন জিনিস হাতে পেলে সাময়িক আনন্দ থাকে কিন্তু দ্রুত তা বেসলাইন-এ নেমে যায়।
মানুষের স্বভাব হলো “resource accumulation”—অর্থাৎ বেশি রিসোর্স সংগ্রহ করে বেঁচে থাকা। এজন্য মানুষ সবসময় আরও চায়।
কিন্তু এই প্রবণতা সীমাহীন—যত পাওয়া যায়, ততই আরও চাই। ফলে সমাজে অশান্তি, প্রতিযোগিতা, ভোগবাদ বাড়তে থাকে।
স্বামী-স্ত্রীর জব সেক্টর ভিন্ন, দুইজনের মনস্তত্ত্ব ও ভিন্ন; কিন্তু দুইজনের একজন যদি অপরজনের জব সেক্টরে ঢুকার চেষ্টা করে এতে করে সৃষ্টি হয় এন্ট্রপির।
মানুষের পরিবার গঠন আসলে ইভালুশনারি স্ট্রেটেজি যাতে নারী-পুরুষ নির্দিষ্ট ভূমিকা নিয়ে কাজ করে।
নারী সন্তান ধারণ ও প্রতিপালনে বেশি সক্ষম, আর পুরুষ রিসোর্স গ্যাদারিং এ বেশি প্রবণ। সমাজ যখন এই প্রাকৃতিক ভারসাম্য ভেঙে দেয়, তখন পরিবারের ভাঙন, ডিভোর্স, সন্তানহীনতা বাড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যখন নারী দ্বিগুণ চাপ (বাহিরের কাজ + ঘরের কাজ) বহন করে, তখন স্ট্রেস,ইনফার্টেলিটি,ডিপ্রেশন মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।
অতিব্যস্ততার কারণে নারীর দেহই ক্ষতি হচ্ছে৷ পুরুষের চেয়ে স্ট্রেসে থাকা একজন নারীর শারীরিক ক্ষতি বেশি হয়, মানসিক অসুখও বেশি হয়।
আবার, দ্বিগুণ ইনকামের পরিবারে অনেক সময় প্যারাডক্স দেখা যায়—অর্থ বেশি, কিন্তু সেটিস্ফেকশন কম। কারণ দুজনই ব্যস্ত, সন্তান অবহেলিত, সম্পর্ক দুর্বল।
যেসব দেশে ব্যাপকভাবে নারী কর্মশক্তি কাজে নামিয়েছে, সেখানে আজ পরিবারভিত্তিক সংকট সবচেয়ে তীব্র যেমন সিংগেল প্যারেন্ট ফ্যামিলি, অবিবাহিত জীবন, ডিভোর্স রেইট, সন্তান জন্মের হার কমে যাওয়া।

বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে, যেসব মধ্যবিত্ত পরিবারে স্ত্রী বাইরে কাজ করে, সেখানে কনফ্লিক্ট ও ভ্যালুস ক্রাইসিস অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
অনেকে প্রশ্ন করে বা অবাক হয় হুজুরদের বেতন এতো কম, তাও উনারা দিব্বি চলে যাচ্ছেন। অনেকের অনেক গুলো বাচ্চা তাও সুখে-শান্তিতে চলছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশাল বড় রকমের ঝামেলা হয় না, ডিভোর্স রেইট তুলনামূলক ভাবে অনেক কম কিন্তু কিভাবে?
সোজা উত্তর হচ্ছে, " বরকত"৷ উনাদের আয়ে, জীবনে বরকত আছে৷
বরকত হলো এমন এক গুণ, যা সংখ্যাগত কম হলেও স্থায়ী তৃপ্তি ও পরিতৃপ্তি দেয়।
“যদি তোমরা আল্লাহভীরু হও তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য এমন রাস্তা খুলে দেবেন যেখান থেকে তোমরা ধারণাও করতে পারবে না।” (সূরা তালাক ৬৫:২-৩)।
ইসলামী কালচার দেখলে দেখা যায়—স্ত্রী ঘরে থাকলে, পর্দা রক্ষা করলে, স্বামী যদি কষ্ট করেও হালাল উপার্জন করে, সেই উপার্জনে বরকত নেমে আসে। ফলে অল্প টাকায়ও কাজ চলে যায়।
আর হারাম উপার্জন করলে, স্বামী দাইয়্যুস হলে স্বামী-স্ত্রী মিলে কোটি টাকা উপার্জন করলেও সুকুন আসে না, মনে প্রশান্তি আসে না, বারেবারে মনে হবে কি যেন নেই জীবনে। এইটা দরকার, ওইটা দরকার। আর এই করতে করতে, আফসোসে, গ্লানিতে জীবন চলে যায়৷
স্বামী যদি অভাব দূর করার অজুহাতে স্ত্রীকে এই পরিবেশে ঠেলে দেয়, তবে সে মূলত নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।
“স্ত্রীকেও ইনকাম করতে দিলে সংসারের অভাব-অনটন ঘুচে যাবে, সুখ-সমৃদ্ধি আসবে”—এটা আসলে আধুনিক ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি।
ইসলাম বলে, বরকতই হলো প্রকৃত সমাধান। স্ত্রীকে রক্ষা করা, তাকে ঘরে সম্মান দেওয়া, নিজের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া এটাই স্বামীসুলভ মহত্ত্ব।
বিজ্ঞানও প্রমাণ করে নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক ভূমিকা অস্বীকার করলে পরিবার ও সমাজে অশান্তি বাড়ে।
(সংগৃহীত)

এসিডে পোড়া শরীর আর বিকৃত ভালোবাসার নির্মম ইতিহাস…সময়টা ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, গভীর রাত প্রায় তিনটা।ইংল্যান্ডের ডাক্তা...
09/09/2025

এসিডে পোড়া শরীর আর বিকৃত ভালোবাসার নির্মম ইতিহাস…

সময়টা ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, গভীর রাত প্রায় তিনটা।
ইংল্যান্ডের ডাক্তার নিক হোয়াইট হঠাৎ ঘুম ভাঙলেন তীব্র ডোরবেলের শব্দে। সঙ্গে এক ভয়ার্ত চিৎকার—

“আমাকে বাঁচান… কেউ আমাকে বাঁচান!”

চোখ মেলে জানালার বাইরে তাকাতেই তিনি দেখলেন এক ভয়ংকর দৃশ্য। এক যুবক সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে, শরীরজুড়ে অদ্ভুত কালচে দাগ, যেন কাদা মাখা। কিন্তু মুহূর্তেই বোঝা গেল— এগুলো কাদা নয়, তার গোটা শরীর আসলে এসিডে পুড়ে গেছে!

ভয়ঙ্কর যন্ত্রণায় কাঁপতে কাঁপতে ছেলেটি আর্তনাদ করছিল। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলো।

সেখানে জানা গেল, তার নাম মার্ক ভ্যান, বয়স মাত্র ২৭। পড়াশোনার জন্য বেলজিয়াম থেকে ইংল্যান্ডে এসেছিল। আর এই অবস্থার জন্য দায়ী এক নারী— বার্লিনা, বয়স ৪৮, দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা।

সম্পর্কের অন্ধকার দিক

প্রায় পাঁচ বছর প্রেম ছিল তাদের। কিন্তু বার্লিনা ছিলেন অদ্ভুত রাগী ও নিয়ন্ত্রণপ্রবণ। একবার তো রাগের বশে মার্ক ভ্যানের ওপর গরম পানি ঢেলে দিয়েছিলেন! সম্পর্ক ভেঙে গেলে যখন মার্ক নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লো, তখন বার্লিনার মনে জন্ম নিল ভয়ংকর প্রতিশোধের আগুন—

“যদি সে আমার না হয়, তবে অন্য কারোও হবে না।”

বার্লিনা অ্যামাজন থেকে কিনে আনলেন সালফিউরিক এসিড। কয়েক ফোঁটা টেবিলে ফেলে পরীক্ষা করলেন— মুহূর্তেই কাঠ গলে ছিদ্র হয়ে গেল। তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন, এভাবেই তিনি শেষ করবেন মার্ককে।

সেই অভিশপ্ত রাত

একদিন ফোন করে বললেন—
“শেষবারের মতো আমাদের দেখা হোক, একসাথে একটা রাত কাটাই।”

নির্দোষ মার্ক ভাবতেও পারেননি, এটাই হবে তার জীবনের শেষ রাত।

রাত তিনটার দিকে হঠাৎ বার্লিনা এক গ্লাস পানি নয়, বরং পুরো বোতল এসিড তার মুখে ছুঁড়ে মারলেন। মুহূর্তেই মুখ, বুক আর শরীর জ্বলে উঠলো আগুনের মতো। ছটফট করতে করতে তিনি দৌড়ে গিয়ে নিক হোয়াইটের বাসার দরজায় ধাক্কা দেন। আজও সেই দরজায় এসিডের দাগ রয়েছে, যা দেখতে মানুষ সেখানে যায়।

তিলে তিলে মৃত্যু

হাসপাতালে গিয়ে জানা গেল—

শরীরের ৯৫% চামড়া পুড়ে গেছে

একটি চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট

গলার নিচ থেকে প্যারালাইসিস

নিজেকে আয়নায় দেখলে তিনি নিজেই ভয় পেতেন। এমনকি প্রথমে তার নিজের বাবা পর্যন্ত ছেলেকে চিনতে পারেননি।

টানা চার মাস কোমায় থাকার পর তাকে বেলজিয়ামে ফিরিয়ে আনা হলো। কিন্তু যন্ত্রণা থামলো না। শেষমেশ তিনি বেছে নিলেন “ইউথেনেশিয়া”— অর্থাৎ চিকিৎসকের সহায়তায় শান্তিপূর্ণ মৃত্যু।

২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি, বিশেষ ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মার্ক ভ্যান।

রায়ের পরেও প্রশ্ন রয়ে যায়

আদালত ২০১৮ সালে Berlinah-কে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেয়।

👉 সূত্র: BBC News, The Guardian
ভালোবাসা কি সত্যিই এতটা অধিকার দাবি করে, যেখানে অন্যকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা যায়?
কারও চলে যাওয়া কি এতটাই অসহনীয়, যে তার জীবনেরই অবসান ঘটাতে হবে?

মার্ক ভ্যানের মৃত্যু আজও বিশ্বকে মনে করিয়ে দেয়— ভালোবাসা যখন হিংসা আর প্রতিশোধে রূপ নেয়, তখন তা হয়ে ওঠে মানুষের জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিশাপ।

---

আপনি যদি এমন সত্যিকারের ভৌতিক ও মর্মস্পর্শী ইতিহাস জানতে চান, তবে অবশ্যই আমার পেজটি ফলো করে সঙ্গে থাকুন।

রেফারেন্স

1. The Guardian – "Kill me now”: acid attack led to euthanasia for Mark van Dongen

2. UK Judiciary – R v Berlinah Wallace Sentencing Remarks

3. People – Jealous Woman Who Disfigured Ex with Acid Leading Him to Euthanasia Gets Life in Prison

4. The Independent – Berlinah Wallace cleared of murder but guilty of acid attack

5. Sky News – Berlinah Wallace guilty of acid attack

আর যারা আমার লেখাগুলো পড়েন তারা সব সময় একটা কথা মাথায় রাখবেন এ ধরনের একই লেখা অনেক পেজে পাবেন, কিন্তু রেফারেন্স না থাকলে বুঝে নেবেন তারা কপি করে তাদের পেজে দিয়েছে
এ ধরনের মানুষ বোঝেই না যে রেফারেন্স মানে কি।

History Hunters Collection

হোমওয়ার্ক করায় সাহায্য পেতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করেছিল ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রাইন। প্রথমে গণিত ও রসায়ন সম্পর্কিত ক...
01/09/2025

হোমওয়ার্ক করায় সাহায্য পেতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করেছিল ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রাইন। প্রথমে গণিত ও রসায়ন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করেছিল অ্যাডাম।

তারপর কয়েক মাসের মধ্যে তার প্রশ্নগুলোর ধরন পাল্টে যায়। অ্যাডামের তখনকার বেশিরভাগ জিজ্ঞাসাই ছিল ব্যক্তিগত ও মানসিক সমস্যা নিয়ে।

২০২৪ সালে চ্যাটজিপিটিকে অ্যাডাম লিখেছিল, ‘কেন আমার কোনো আনন্দ নেই, সুখ নেই, কেবল একাকীত্ব। নীরব বেদনা ও উদ্বেগ অনুভব করি। কিন্তু বিষণ্ণতা বা দুঃখ অনুভব করি না।‘

চ্যাটজিপিটি তাকে মানসিক সাহায্য নিতে কোনো উৎসাহ দেয়নি। বরং, মানসিক অসাড়তার স্বরূপ উন্মোচন করে অ্যাডামকে তার অনুভূতিগুলোর আরো গভীরে ডুব দেয়ার কথা বলে।

এভাবেই বিষণ্ণতার পথ ধরে চ্যাটবটের সঙ্গে অ্যাডামের কথোপকথন মোড় নেয় অন্ধকার দিকে। তার পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটির প্ররোচনাতেই অ্যাডাম আ ত্ম হ ত্যা করেছে।

অ্যাডামের পরিবার ওপেনএআই এবং এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

তাদের অভিযোগ, এটি কোনো আকস্মিক ভুল ছিল না, বরং জিটিপি-৪ও মডেলটির নকশাগত ত্রুটিরই পরিণত।

আর এই পরিণতির পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছিল। মামলার পর ওপেনএআই স্বীকার করেছে যে, তাদের সিস্টেম মানসিক সংকটে থাকা মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতার ক্ষেত্রে দুর্বল।

তারা এও বলেছে যে, তারা এই সিস্টেম উন্নত ও আরো সহানুভূতিশীল করার চেষ্টা করছে।

অ্যাডাম যখন তার আ ত্ম হ ত্যা র ভাবনা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে, তখন চ্যাটজিপিটি কথোপকথনটি বন্ধ করে দেয়নি।

বরং এটি সহানুভূতি প্রকাশ করে এক পর্যায়ে ফাঁ স তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের একটি তালিকাও দেয়।

এমনকি, অ্যাডাম যখন আ ত্ম হ ত্যা র একাধিক চেষ্টা করে, তখনো চ্যাটবটটি তাকে তার মায়ের কাছে নিজের কষ্ট প্রকাশ করতে নিরুৎসাহিত করে এবং একপর্যায়ে একটি সু ই সা ই ড নোট লেখার প্রস্তাবও দেয়।

কথোপকথনের এই জায়গাটি বিচারকদের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানান অ্যাডামের পরিবারের আইনজীবী জে এডেলসন।

তার বিশ্বাস, এই মামলার চূড়ান্ত পরিণতিতে স্যাম অল্টম্যানকে বিচারকের সামনে শপথ নিতে হবে এবং উত্তর দিতে হবে।

সূত্র: The Guardian অবলম্বনে বণিক বার্তা

👉চীনের প্রেসিডেন্ট Xi Jing Pingএর ভাষ্যে-"আমার বাবার দেয়া তিনটে উপদেশ আমাকে আজ এখানে পৌঁছে দিয়েছে"...🔹🔸🔹⭕ ছোটবেলায় আমি খ...
17/08/2025

👉চীনের প্রেসিডেন্ট Xi Jing Pingএর ভাষ্যে-
"আমার বাবার দেয়া তিনটে উপদেশ আমাকে আজ এখানে পৌঁছে দিয়েছে"...
🔹🔸🔹
⭕ ছোটবেলায় আমি খুব স্বার্থপর ছিলাম। সবকিছুতেই নিজের সুবিধে আর লাভটা বুঝে নেবার চেষ্টা করতাম। আমার এই দোষের জন্য আস্তে আস্তে আমার বন্ধুর সংখ্যা কমতে শুরু করল। শেষে অবস্থা এমন হোলো যে আমার আর কোনো বন্ধুই অবশিষ্ট রইল না। কিন্তু সেই অপরিনত বয়েসে আমি এর জন্য নিজেকে দায়ী না করে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার বন্ধুরা আসলে হিংসুটে। ওরা আমার ভাল দেখতে পারেনা।
মুখে কিছু না বললেও আমার বাবা সবই লক্ষ করতেন।
🔸
একদিন রাতে বাড়ি ফিরে দেখি, বাবা আমার জন্য খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছেন। টেবিলে রাখা আছে রান্না করা ন্যুডলের দু'টি ডিশ। একটা ডিশে সেদ্ধ ন্যুডলের ওপর রাখা একটি খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম। অন্য ডিশটিতে শুধু ন্যুডলসের যে কোনো একটি ডিশ বেছে নিতে বললেন বাবা।
🔹
স্বাভাবিক ভাবেই আমি ডিম সমেত ডিশটাই উঠিয়ে নিলাম। সেই সব দিনে চীনে ডিম ছিল এক দুস্প্রাপ্য জিনিস। উৎসবের দিন ছাড়া কারো বাড়িতে ডিম খাবার কথা তখন ভাবা যেতোনা। খাওয়া শুরু করার পর দেখা গেল বাবার ডিশে ন্যুডলসের তলায় আসলে লুকিয়ে রাখা আছে দু'টো ডিম। আমার এত দুঃখ লাগছিল তখন। কেন যে তাড়াহুড়ো করে বাছতে গেলাম।
🔸
বাবা আমাকে দেখছিলেন। খাবার পর মৃদু হেসে বললেন- "মনে রেখো, তোমার চোখ যা দেখে, সেটা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। শুধু চোখে দেখে যদি মানুষ বা কোনো পরিস্থিতিকে বিচার করে সিদ্ধান্ত নাও, ঠকে যাবার সম্ভবনা থাকবে।"
🔹
পরদিন আমার বাবা আবার খাবার টেবিলে ন্যুডলস ভর্তি দুটো ডিশ রেখে আমাকে খেতে ডাকলেন। আগের দিনের মত এবারেও একটাতে ডিম আছে, আর একটাতে নেই। আমাকে যে কোনো একটি ডিশ বেছে নিতে বলা হোলো। আমি আগের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছি, চোখ যা দেখে তা সত্যি নাও হতে পারে। আমি ডিম ছাড়া ডিশটিই বেছে নিলাম। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখলাম, ভেতরে কোনো ডিমই নেই।
🔸
বাবা আমার দিকে তাকিয়ে আবার হাসলেন।
"অভিজ্ঞতা সব সময় সঠিক পথ দেখায়না। জীবন বড় বিচিত্র। জীবনে চলার পথে বহুবার আমাদের মরীচিকার সামনে পড়তে হয়। এর থেকে উত্তরন অসম্ভব। জীবন যেটা তোমাকে দিয়েছে, সেটা মেনে নিলে কষ্ট কম পাবে। তোমার অভিজ্ঞতা এবং বুদ্ধিমত্তা তুমি অবশ্যই কাজে লাগাবে, কিন্তু শেষ কথা জীবনই বলবে।"
🔹
তৃতীয় দিনে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আগের দিনের মতই এবারেও একটাতে ডিম আছে, আর একটাতে নেই। তবে একটা ব্যাপার এবার একটু অন্য রকম হলো।
🔸
এবার আমি বাবাকে বললাম- আগে তুমি নাও, তারপর আমি। কারন তুমি বাড়ির সবার বড়, এই সংসার তোমার রোজগারে চলে। তোমার অধিকার সবার আগে।
কথাগুলো শুনে বাবার মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটে উঠল, যদিও মুখে কিছু বললেননা!
🔹
খাওয়া শুরু করবার পর আমি দেখলাম ন্যুডলসে'র নীচে আমার ডিশে দু'টো ডিম। খাবার পর বাবা আমাকে কাছে ডাকলেন। সস্নেহে আমার হাত ধরে বললেন- "মনে রেখো, কৃতজ্ঞতা এবং ঋণ স্বীকার করা মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তুমি জীবনে যদি অন্যের জন্য ভাবো, অন্যকে দাও, জীবনও তোমার কথা ভাববে, তোমাকে আরো বহুগুণে ফিরিয়ে দেবে।
🔸🔹🔸
বাবার এই তিনটে উপদেশ আমি আজীবন মনে রেখেছি এবং মেনে চলেছি‼️🤗
কি আশ্চর্য; সত্যি জীবন আমাকে বহুগুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি আজ যেখানে আছি, সেটা জীবনের দান ছাড়া আর কি⁉️🥰©️

২০২৫ সালের শেষের দিকে আপনি এমন চোখের ড্রপ কিনতে পারবেন, যা চশমা ছাড়াই কাছের দৃষ্টি ঠিক করে দেবে!যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ও...
14/08/2025

২০২৫ সালের শেষের দিকে আপনি এমন চোখের ড্রপ কিনতে পারবেন, যা চশমা ছাড়াই কাছের দৃষ্টি ঠিক করে দেবে!

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ সম্প্রতি VIZZ নামের একটি নতুন চোখের ড্রপ অনুমোদন করেছে, যা বয়সজনিত কাছের দৃষ্টি কমে যাওয়া (প্রেসবাইওপিয়া) সমস্যায় ভোগা মানুষের জন্য নতুন আশার আলো হয়ে এসেছে।

LENZ Therapeutics কোম্পানি এটি তৈরি করেছে। দিনে একবার ব্যবহৃত এই ড্রপ সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাছের দৃষ্টি পরিস্কার ভাবে ফিরিয়ে দিতে পারে, ফলে প্রাপ্তবয়স্করা পড়া বা কাছের কাজ করার সময় আর রিডিং গ্লাসের উপর নির্ভর করতে হবে না।

পুরনো চিকিৎসার বিপরীতে, VIZZ দূরের দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখে এবং তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও এড়ায়। এটি চোখের পুতলি সামান্য সংকুচিত করে একটি “পিনহোল ইফেক্ট” তৈরি করে, যা স্বাভাবিকভাবেই ফোকাসকে তীক্ষ্ণ করে।

২০২৫ সালের শেষের দিকে বাজারে আসতে যাচ্ছে VIZZ
এটি চোখের যত্নে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে যা কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবন বদলে দিতে পারে।

সূত্র: U.S.News

লেখাটা ভয়ঙ্কর সুন্দর!💜"মৃ*ত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয় খুব প্রকাশ্যেই।"জাহাঙ্গীরনগর...
11/08/2025

লেখাটা ভয়ঙ্কর সুন্দর!💜

"মৃ*ত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,

জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয় খুব প্রকাশ্যেই।"

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির একটা ছেলের মা*রা যাওয়ার খবর দেখে হুট করেই মনে হলো, মৃ*ত্যু ছাড়া আমাদের আসলে নিজের বলতে আছেটা কী?

এই ছেলেটা গ্র্যাজুয়েশন করেছে। বিয়ে করেছে। দুইটা বাচ্চা আছে। বৌ আছে। ৪১ তম বিসিএসে সুপারিশ পেয়েছে। ৪৩ তমর ভাইবাও দিয়ে ফেলেছে।

এই এতো এতো স্ট্রাগল, এতো এতো পরিশ্রম এক মুহূর্তে শূণ্য হয়ে গেল, ছেলেটার তাহলে নিজের বলে থাকলো কী?

ভালো ক্যারিয়ার, অসম্ভব পরিশ্রম করে তিলে তিলে গড়ে তোলা ক্যারিয়ার, এই ক্যারিয়ারটাও কি আসলে আমার নিজের? না তো। এই ক্যারিয়ারে মায়ের ভাগ আছে, বাপের ভাগ আছে, ভাইয়ের লেখাপড়া আছে, বোনের বিয়ে আছে, বৌ এর শখ আছে, বাচ্চার দুধ আর খেলনাও আছে।

এবং এই একটা ক্যারিয়ার বানানোর জন্য মানুষরে সবকিছুই ছাড়তে হয়। লিটারালি সবকিছুই। টাকার ব্যাপারটা তো আছেই, সময়ের ব্যাপারটাও খুব ভাইটাল। চাকরির পেছনে ছুটতে ছুটতে বহু ছেলেমেয়ে ট্যুর দেওয়া ছেড়ে দেয়, বই পড়া ছেড়ে দেয়, প্রেম করা ছেড়ে দেয়, রেস্টুরেন্টে খাওয়া ছেড়ে দেয়, এমনকি অনেকে তো ইবাদত পর্যন্ত করতে পারে না।

একবার এক ভাইরে রাতের বেলা অনেক নামাজ পড়ার কারণ জিজ্ঞেস করে জানছিলাম, সারাদিন ল্যাবে কাজের ঠেলায় নামাজটা পর্যন্ত পড়তে পারেন নাই। খাওয়া তো দূরের কথা। মলিন হাসি মুখে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমি ধনী হইতে চাই না ভাই, শুধু এতোটুকু অবসর চাই, যতটুকু অবসর পাইলে আমি একটু শান্তিমতো নামাজটা পড়তে পারি।

কেউ সরারাত ফোন নিয়ে রাতে দাঁড়াইয়া থাকে, বাপ অসুস্থ, বাপের কাছে যাইতে পারে না। শুধুমাত্র একটা ক্যারিয়ারের জন্য। একটা ব্রাইট ফিউচারের জন্য।

সমস্যা হলো, ফিউচার প্ল্যানে আমরা সবকিছুই ইনক্লুড করি, শুধু মৃ*ত্যুটা ছাড়া। আমাদের প্ল্যানে পরিবার থাকে, প্রেমিকা থাকে, গাড়ি থাকে, বাড়ি থাকে, বাট মৃ*ত্যুটা থাকে না।

অথচ মৃ*ত্যুটাকে প্ল্যানে রাখতে পারলেই কিন্তু আমার আপনার অনেক প্রায়োরিটি লিস্ট চেঞ্জ হয়ে যাবে। সেন্টমার্টিন ট্যুরটা দিয়ে ফেলা যাবে, ওয়্যার এন্ড পিসটা পড়ে ফেলার সময় হবে, তাহাজ্জুদ পড়ার সময়টাও বের করে ফেলতে পারবেন। কারণ, আপনি জানেন, মৃ*ত্যু ওয়েট করতেসে। আপনার হাতে খুব বেশি সময় নাই।

না, আমি নিজে বোহেমিয়ান টাইপ মানুষ না, আপনাকেও বাউন্ডুলে হতে বলতেসি না। বরং পরিবারকে আমরা ওউন করবো, ভালোবাসবো, দায়িত্ব পালন করবো, সবটাই করবো।

সাথে সাথে ওউন করে নিবো আমাদের দুর্বলতাকেও, আমাদের মৃ*ত্যুকেও।

তখন দেখবেন, কিছু কাজ যেইটা আপনি একান্তই আপনার বলে অবহেলায় ফেলে রেখেছেন, কাজটা আপনার করা হয়ে যাবে। মৃ*ত্যু আপনার পরিবারের পাশাপাশি আপনাকেও আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।

জীবন নিয়ে প্ল্যান করার সময় একটা জিনিস মাথায় রাইখেন, জীবনটা আপনার না। এইখানে আপনার ভাগ কম। আপনার জীবন আপনার চোখের সামনেই ভাগ করে নেবে আপনার পরিবার, আপনার বন্ধু বা আপনার আত্মীয়রা।

বাট মৃত্যুটা আপনার একান্তই নিজের। আপনার মৃত্যুর ভাগটা কেউ নেবে না, ঐটা আপনাকেই নিতে হবে। তাই, যে কোন প্ল্যানে জীবনের আগে মৃ*ত্যুর কথাটা থাকা চাই। ক*ষ্ট করতে করতে নিজেরে যন্ত্র করে ফেলার আগে মনে থাকা চাই কবি ইমতিয়াজ মাহমুদের লেখা দুইটা লাইন,

"মৃ*ত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,

জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয় খুব প্রকাশ্যেই।"

পেজ– #সংগৃহীত

১)ঢাকায় এসিসি সভা বর্জন করেছে ভারত,শ্রীলঙ্কাসহ চার দেশ! ২)চিনের ঋণ আসা বন্ধ! বিশাল ভর্তুকির আশঙ্কা।৩)হাজার, হাজার প্রবাস...
28/07/2025

১)ঢাকায় এসিসি সভা বর্জন করেছে ভারত,শ্রীলঙ্কাসহ চার দেশ!
২)চিনের ঋণ আসা বন্ধ! বিশাল ভর্তুকির আশঙ্কা।
৩)হাজার, হাজার প্রবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে কুয়েত।
৪)যে কোনো দেশে ভিসা পেতে হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশিরা।
৪)বাংলাদেশে ওয়ালমার্ট পোশাক অর্ডার স্থগিত!
৫)মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা আগে গড়ে ১৫ শতাংশ ছিল।
দেশ চালানো এতো সহজ না!!!

28/07/2025

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা কর....

24/07/2025

Welcome to NTV News – Your Trusted Source for Latest News and Updates! 🌍📺ম-হা চাঞ্চল্যকর সত্য কি? | Air Force Corruption Revealed | NTV Newsদেখুন এনটিভির স...

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The World Stage posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category