আলোর ভুবন সাহিত্য সংসদ

আলোর ভুবন সাহিত্য সংসদ হৃদয়ের কথা গুলো বলতে চাই।প্রেমের ভাষায় নতুন শব্দের পৃথিবী গড়তে চাই।

"মজ্জ্বুব-এ আজম সুফী আউলিয়া হযরত আবু সালেহ্ জঙ্গী মুসা রহঃ আঃ এর পবিত্র মাজার শরীফ"তিনি- পীরানে পীর দস্তগীর গাউসে আজম হয...
10/09/2025

"মজ্জ্বুব-এ আজম সুফী আউলিয়া হযরত আবু সালেহ্ জঙ্গী মুসা রহঃ আঃ এর পবিত্র মাজার শরীফ"
তিনি- পীরানে পীর দস্তগীর গাউসে আজম হযরত বড়পীর সৈয়দ মহীউদ্দীন আব্দুল কাদের জ্বীলানী রহঃ আঃ এর পিতা। স্থানঃ নিশাতপুর ইরান।
Father's Of Peerane Peer Dastagir Gause Azam Hazrat Barapeer Syed Mohiuddin Abdul Qader Zilani Rh Ah. -
Mozzub-e Azam Shufi Auliya Hazrat Abu Saleh Jongi Musha Rh. Ah. Mazar Sharif.
Venue: Nisharpur Iran.

রাবেয়া-ই-বাংলা : হযরত সৈয়্যেদা জোহরা খাতুন (রহঃ)-এর সংক্ষেপে নূরানী জীবনকথা!আল্লামা হযরত শাহ সূফী সৈয়্যেদ ফতেহ আলী ওয়াইস...
10/09/2025

রাবেয়া-ই-বাংলা : হযরত সৈয়্যেদা জোহরা খাতুন (রহঃ)-এর সংক্ষেপে নূরানী জীবনকথা!

আল্লামা হযরত শাহ সূফী সৈয়্যেদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ), যিনি ছিলেন এক মহাজাগতিক রূহানী সাগর, এক আসমানি রহস্যভাণ্ডার, নূরের এক মহাশিখর। তাঁর রূহানী উত্তরাধিকার থেকে প্রথম যে দীপ্ত জ্যোতিষ্ক বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল, তিনি ছিলেন তাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা, মহাসূফিয়া, মহাজ্ঞানবতী, আধ্যাত্মিক প্রেম ও আল্লাহি ভক্তির রাবেয়া—হযরত সৈয়্যেদা জোহরা খাতুন (রহঃ)।

বাংলার পবিত্র মাটি যেন তাঁর জন্য হয়ে উঠেছিল এক সোনার সিংহাসন, এক নূরের দরবার। শাহপুর, মুর্শিদাবাদের আকাশ-বাতাস আজও সাক্ষ্য দেয়—এই পবিত্র নারী যখন নিঃশব্দ ধ্যানে মগ্ন হতেন, তখন বাতাসে ভেসে আসত আল্লাহ্‌র নামের সুবাস, তাঁর হৃদয়ের দোয়া থেকে ঝরে পড়ত আসমানি কৃপাধারা, আর তাঁর জীবন হয়ে উঠত প্রেম, ভক্তি ও ফানায় ভরা এক রূহানী কাব্য।

তাঁহার আধ্যাত্মিক অবস্থান এত উচ্চ, এত রহস্যময়, এত দীপ্তিময় ছিল যে তাঁহাকে সবাই ডাকত ‘রাবেয়া-ই-বাংলা’। যেমন রাবেয়া বসরী (রহঃ) ইসলামের ইতিহাসে প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার এক অনন্য প্রতীক, তেমনি বাংলার বুকে সেই নূরানী প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন হযরত সৈয়্যেদা জোহরা খাতুন (রহঃ)। তিনি ছিলেন ইলাহি প্রেমের মূর্ত প্রতীক, আল্লাহ্ ও রাসূল ﷺ এর মহব্বতে ডুবে থাকা এক রূহানী সম্রাজ্ঞী।

কেবল তাই নয়—তাঁর অন্তর ছিল রহস্যময় নূরের এক গুপ্ত ভাণ্ডার। এজন্য তাঁহাকে বলা হতো “দোররে মকমুম”—অর্থাৎ গোপন রত্ন, লুক্কায়িত মতি। তাঁর অন্তরের ধনভাণ্ডার ছিল সবার চোখে অদৃশ্য, কিন্তু খাস আশেকান ও মুরীদগণ সেই গুপ্ত ভাণ্ডারের দরজা থেকে দেদীপ্যমান নূরের রশ্মি গ্রহণ করতেন। তাঁর নীরবতা ছিল ভাষাহীন জিকির, তাঁর নিশ্বাসে লুকিয়ে থাকত আসমানি রহস্য।

তাঁহার মাজার শরীফ আজও শাহপুরে অবস্থিত, নিজ গৃহেই। এই মাজারে প্রবেশ করলে মানুষ যেন পার্থিব জগতের কোলাহল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক রহস্যময় আসমানি জগতে প্রবেশ করে। এখানে দাঁড়ালে মনে হয় আকাশ থেকে নেমে আসছে অদৃশ্য রহমতের ঢেউ, যা দর্শনার্থীদের অন্তরে শান্তি, প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিক দীপ্তি জাগিয়ে তোলে। মানুষের অন্তরের ব্যথা যেন অদৃশ্য হাতে মুছে যায়, আর তাঁদের চোখ ভরে ওঠে কান্নায়—কিন্তু সে কান্না বেদনার নয়, বরং আধ্যাত্মিক প্রশান্তির কান্না।

আল্লাহ্ পাক তাঁর কুলকে সজীব রেখেছিলেন বরকতের স্রোতে। তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী হন।

হযরত সৈয়্যেদা সিদ্দিকা খাতুন (রহঃ) – যাঁহার জীবন সত্য, পবিত্রতা ও তাকওয়ার প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

হযরত সৈয়্যেদা হাজেরা খাতুন (রহঃ) – যিনি আল্লাহি নূরের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক পবিত্র আত্মা ছিলেন।

হযরত মাওলানা শাহ সূফী সৈয়্যেদ এহসান আহমদ মাসুম (রহঃ) – যিনি তাঁর পিতা-মাতার রূহানী উত্তরাধিকারের পূর্ণ ধারক-বাহক হয়ে বাংলার আধ্যাত্মিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল, জ্যোতির্ময় অধ্যায় রচনা করেছিলেন।

হযরত সৈয়্যেদা জোহরা খাতুন (রহঃ) কেবল একজন কন্যা নন, বরং তিনি ছিলেন বাংলার আধ্যাত্মিক ইতিহাসে রাবেয়া-সদৃশ এক মহাসূফিয়া, রহস্যময় নূরের গুপ্ত ভাণ্ডার, ওয়াইসী দরবারের এক জ্যোতির্ময় রত্ন। তাঁর জীবন ছিল প্রেমের কাব্য, তাঁর নাম ছিল আধ্যাত্মিকতার প্রতীক, আর তাঁর উত্তরাধিকার আজও বাংলার রূহানী মাটিকে আলোকিত করে চলেছে।

কিছু তৌহিদি জনতাকে এখানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।কাবা ঘড়ের আদলে এই মাজারটি তৈরি।মাজারের চারপাশে ভক্তরা তোয়াফ করছে,,,,,হযরত সৈয়...
08/09/2025

কিছু তৌহিদি জনতাকে এখানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।
কাবা ঘড়ের আদলে এই মাজারটি তৈরি।
মাজারের চারপাশে ভক্তরা তোয়াফ করছে,,,,,

হযরত সৈয়দ বদিউদ্দিন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (রহ.) এঁর মাজার

হযরত সৈয়দ বদিউদ্দিন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (রহ.) ছিলেন একজন প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সুফি সাধক, যিনি মাদারিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা এবং কুতুব-উল-মাদার নামে পরিচিত। তাঁর রওজা ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের মাকানপুরে অবস্থিত। তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি, ৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে (২৪২ হিজরি) সিরিয়ার হলব শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৯ ডিসেম্বর, ১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে মাকানপুরে ইন্তিকাল করেন।
পরিচয় ও অবদান:

উপাধি: কুতুব-ই-জাহান এবং কুতুব-উল-মাদার নামেও তিনি পরিচিত।
তরিকা: তিনি মাদারিয়া সুফিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন।

জন্ম ও মৃত্যু:
জন্মস্থান: সিরিয়ার হলব (Aleppo) শহর।
সময়কাল: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে (২৪২ হিজরি) জন্ম।
মৃত্যু: ২৯ ডিসেম্বর, ৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের মাকানপুরে।

গুরুত্ব: তিনি ছিলেন একজন পৃষ্ঠপোষক সাধক এবং তাঁর রওজা মাকানপুরে অবস্থিত, যা একটি উল্লেখযোগ্য আধ্যাত্মিক কেন্দ্র।

১লা সেপ্টেম্বরের আলোকে স্মরণ ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ, ১লা শাওয়াল ২৫৬ হিজরি।সমরকন্দের আকাশে সেই দিন ছিল ভারী—কারণ এই দিনেই ইন্তেক...
01/09/2025

১লা সেপ্টেম্বরের আলোকে স্মরণ

৮৭০ খ্রিস্টাব্দ, ১লা শাওয়াল ২৫৬ হিজরি।
সমরকন্দের আকাশে সেই দিন ছিল ভারী—কারণ এই দিনেই ইন্তেকাল করেন হাদিসের মহাসম্রাট, হাফিজুল হুজ্জাহ, আমিরুল মুমিনিন ফিল হাদিস — মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল ইবনে ইবরাহীম ইবনে মুগীরাহ ইবনে বারদিযবাহ।
বিশ্ব তাঁকে চেনে এক নামেই—ইমাম বুখারি (রহঃ)।

তিনি রেখে গেছেন জ্ঞানের অমর ভাণ্ডার। রচনা করেছেন ২০টিরও অধিক গ্রন্থ, যার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো "সহীহুল বুখারি" — ইসলামের ইতিহাসে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও সম্মানিত হাদিসগ্রন্থ।

আজ তাঁর মাজার দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান উজবেকিস্তানের সমরকন্দে, এক আধ্যাত্মিক আলোকশিখার মতো।
এই মহান অলিআল্লাহর পরশময় কদমমোবারকে জানাই লাখোকোটি সালাম ও কদমবুচি।
মহান আল্লাহ্ ওনার উপর অনন্ত রহমতের বারি বর্ষণ করুক।আমিন।

মানুষের দেহে যে ১৮মোকাম রয়েছে তার বর্ণনা নিচে দেওয়া হলোঃ১৮ মোকামের নামঃ১.মোকামে মাহমুদা২.মোকামে ইব্রাহীম৩. মোকামেসুলতানু...
01/09/2025

মানুষের দেহে যে ১৮মোকাম রয়েছে তার বর্ণনা নিচে দেওয়া হলোঃ

১৮ মোকামের নামঃ

১.মোকামে মাহমুদা
২.মোকামে ইব্রাহীম
৩. মোকামেসুলতানুল নাসিরা
৪.মোকামে মুওয়াহেদ
৫.মোকামে ওরাইল ওরা
৬.মোকামে আরওয়াহ
৭.মোকামে মাসুদ
৮.মোকামে নাছুত
৯.মোকামে মলকুত
১০.মোকামে জবরুত
১১.মোকামে লাহুত
১২.মোকামে হাহুত
১৩.মোকামে লা
১৪. মোকামে হা
১৫. মোকামে বেল ফেল
১৬.মোকামে নাসি
১৭.মোকামে খায়ের নাসি
১৮. মোকামে বেল কুয়া।

এছাড়াও আর একটি মোকাম আছে,যে মোকামে নুরের দেহ থাকে,যাকে মোকামে ছনিয়া বলে।মা আমেনার এই মোকামে আমার নুর নবী ছিলেন।

হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর মোকাম পরিচয়

১। প্রথম মোকাম- সেতারায়।
২। দ্বিতীয় মোকাম- পোস্তে আদমের।
৩। তৃতীয় মোকাম- সলবে আব্দুল্লাহর।
৪। চতুর্থ মোকাম- গর্ভে আমেনার।
৫। পঞ্চম মোকাম- বেহেশতে।
৬। ষষ্ঠ মোকাম- সিপি দরিয়া।
৭।সপ্তম মোকাম- প্রাণীর দিলেতে।

অহদত সেফাতে খুঁজিলে যে মেলে।
অহদত সে ঢেউ উলুহিয়াত দরিয়া।।

তিন কাহাকে বলে
১। যামাদাত- পাথর, মাটি, লোহা, পিতলসহ সমূহ ধাতব পদার্থ।
২। নাবাদাত- গুল্ম, লতা ও বৃক্ষাদি যত।
৩। হায়ানাত- চলমান প্রাণীসমূহ।

অজুদে তিনের মোকাম
১। যামাদাত- হাড্ডি।
২। নাবাদাত- মাংস, মজ্জা, চুল, রগ।
৩। হায়ানাত- প্রাণীসমূহ।

অজুদে নব গ্রহের নাম

১। বুধ ২। শুক্র ৩। ধরণী ৪। মঙ্গল ৫। বৃহস্পতি ৬। শনি ৭। অধরা ৮। দেবী ৯। গঙ্গা।

নজুলের প্রথম নয় ঠাই এর নাম

১। আহদিয়াত ২। অহদত ৩। অহেদিয়াত ৪। আলমে আরওয়া ৫। আলমে মেসাল ৬। আলমে হেচ্ছা ৭। আলমে জেসেম ৮। আলমে হাইয়ান ৯। আলমে ইনসান।

নজুলের দোসরা তৌর

১। গঞ্জ মুখফি ২। জামাদাত ৩। নাবাদাত ৪। হায়ানাত ৫। মণি ৬। আলকা ৭। লটকা হুয়া খুন ৮। মগজা বা টুকরা গোশত ৯। জলিল বা দায়রা ১০। সেকেল ১১। তেফেল ১২। কামেল।

মোসাহাব কোরআনের কথা

প্রত্যেক আনাসের খাসলত পাঁচ করে হয়।
অজুদ গঠনে আনাস পাঁচটিই রয়।।

পাঁচ আনাসের খাসলত মোট হয় পঁচিশ।
আনাসের পাঁচ যোগে হয় দেখো ত্রিশ।।

পাঁচ পাঁচে পঁচিশ পাঁচ ত্রিশ জানিবে।
তিরিশ পারার এই কোরআন মানিবে।

তিরিশ সেপারার এই অজুদ কোরআন।
তেলাওয়াত করো তুমি কহিনু সন্ধান।।

অজুদে বাদশাহ ও উজির

বাদশাহ উজির বাদশাহ উজির

১। রূহ আক্কেল ২। নফসে আম্মারা শয়তান

৩। দেল জবান।

অজুদে সূরা ও আয়াত পরিচয়

অজুদে সূরা দেল ও আয়াত জবান।

দরদী লেখায় কোনো ভুলো হলে সংশোধন এর জন্যে কমেন্টে জানানোর অনুরোধ করছি। 🙏🙏

"সুলতানুল আউলিয়া হযরত মাওলা আলী- বাবা শাহ্ আলী বোগদ্বাদী রহঃ এর পবিত্র মাজার শরীফ" মিরপুর ১ নম্বর ঢাকা বাংলাদেশ। Sultanu...
29/08/2025

"সুলতানুল আউলিয়া হযরত মাওলা আলী- বাবা শাহ্ আলী বোগদ্বাদী রহঃ এর পবিত্র মাজার শরীফ"
মিরপুর ১ নম্বর ঢাকা বাংলাদেশ।
Sultanul Auliya Hazrat Maula Ali- Baba Shah Ali Boghdadi Rh. Mazar Sharif.
Mirpur 1Number Dhaka Bangladesh.

হযরত যুন্‌নু (রহঃ) মিসরের অধিবাসী, এই জন্য তাঁহার নামের সহিত মিসরী যোগ করা হইয়াছে। তিনি মারেফতের বাদশাহ্, দরিদ্রের বন্ধু...
29/08/2025

হযরত যুন্‌নু (রহঃ) মিসরের অধিবাসী, এই জন্য তাঁহার নামের সহিত মিসরী যোগ করা হইয়াছে। তিনি মারেফতের বাদশাহ্, দরিদ্রের বন্ধু,

বিপদে পথপ্রদর্শক এবং সাধনায় ও ইবাদতে একজন অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। অনেক মিসরবাসী তাঁহাকে কাফের বলিত এবং কেহ কেহ তাঁহার কার্যে সন্দেহও করিত। তাঁহার জীবিতকাল পর্যন্ত সকল লোকই তাঁহার বিরোধী ছিল। মৃত্যু পর্যন্ত কেহই তাঁহার প্রকৃত অবস্থা জানিত না। কেননা, তিনি সর্বদা নিজেকে গোপন রাখিয়া চলিতেন।

তওবার ঘটনাঃ তাঁহার তওবার কারণ এই-যুননূন (রহঃ) জানিতে পারিলেন যে, অমুক স্থানে এক আবেদ থাকেন। তাঁহার দর্শনলাভের আশায় তিনি তথায় গমন করিলেন। দেখিলেন, দরবেশ একটি গাছের ডালে ঝুলিতেছেন এবং নিজে নিজে বলিতেছেন, "হে শরীর, আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনে আমাকে সাহায্য কর। তাহা না হইলে তোমাকে এভাবে মৃত্যু পর্যন্ত অনাহারে রাখিয়া শাস্তি দিব।" দরবেশের অবস্থা দেখিয়া যুন্নুন মিসরী (রহঃ) কাঁদিতে লাগিলেন। হযরত যুননুনের ক্রন্দন শুনিয়া দরবেশ বলিলেন, "যাহার গোনাহ অধিক ও লজ্জাও কম, এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করিবার জন্য কেহ আছে কি?" ইহা শুনিয়া হযরত যুননূন দরবেশের সম্মুখে যাইয়া তাঁহাকে সালাম করিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, "ব্যাপার কি?" দরবেশ বলিলেন, 'আমার এই শরীর আল্লাহ তাআলার ইবাদতে আমাকে সাহায্য করে না; বরং মানুষের সাহায্য করিতেই ভালবাসে। তাই ইহাকে শায়েস্তা করিতেছি।" জুননুন বলিলেন, "আমি ধারণা করিতেছিলাম, হয়ত আপনি কাহাকেও হত্যা করিয়াছেন বা কোন কবীরা গোনাহ করিয়া থাকিবেন।" দরবেশ বলিলেন, "ওহে, তুমি বুঝিতে পার নাই। লোকসঙ্গ উক্তরূপ অপরাধের ন্যায় বলিয়াই আমি মনে করি।" হযরত যুন্নুন তখন বলিলেন, 'বাস্তবিকই আপনি একজন সংসারত্যাগী পুরুষ বটে।" দরবেশ বলিলেন, 'তুমি কি আমা অপেক্ষা কোন সংসারত্যাগীকে দেখিতে চাও?" আমি বলিলাম, "হাঁ দেখিতে চাই বটে।" তিনি বলিলেন, "তবে এই পাহাড়ের উপর উঠ।" তাঁহার কথামত আমি পাহাড়ে উঠিলাম। সেখানে একটি মসজিদের দরজায় এক যুবককে বাহিরে ও এক পা ভিতরে রাখিয়া দাঁড়ান অবস্থায় দেখিতে পাই। সম্মুখে অগ্রসর হইয়া দেখিলাম, তাঁহার পায়ের নীচে একটি ক্ষত রহিয়াছে এবং অসংখ্য পোকা ক্ষতস্থানে আহার করিতেছে। তাঁহাকে সালাম করিয়া আমি ইহার কারণ ও তাঁহার অবস্থা জিজ্ঞাসা করিলাম। যুবক উত্তর করিলেন, 'আমি একদিন এই মসজিদে বসিয়াছিলাম। সেই সময় এক খুবসুরত স্ত্রীলোক এই স্থান দিয়া যাইতেছিল। তাহাকে দেখিয়া আমার তাহার প্রতি আকৃষ্ট হয়। আমি তাহার দিকে এক পা অগ্রসর হইলাম। এমন সময় আওয়ায শুনিতে পাইলাম- "ত্রিশ বৎসর যাবাত আল্লাহর অনুসরণ করিয়া এখন শয়তানের অনুসরণ করিতে উদ্যত হইয়াছ? তোমার কি লজ্জা নাই?" এই আওয়ায শুনিয়া আমার চৈতন্য হয়। আল্লাহর ভয়ে নিজ পা কাটিয়া ফেলিলাম এবং সেইদিন হইতে এই স্থানে এই ভাবেই দাঁড়াইয়া পা মসজিদের

আছি ও ইবাদত করি, দেখি আমার প্রভু আমার সম্বন্ধে কি করেন। এখন বলত, তুমি এই গোনাহগারের নিকট কি জন্য আসিয়াছ? যদি তুমি সংসারত্যাগী দরবেশ দেখিতে চাও, তবে এই পর্বতের চূড়ায় উঠ।"

পর্বত অতি উচ্চ ছিল বলিয়া যুননুন উহাতে উঠিতে পারিলেন না। ফিরিয়া আসিয়া যুবককেই তাঁহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। দরবেশ বলিলেন, 'বহুদিন পর্যন্ত এক দরবেশ সেখানে এক কুঁড়ে ঘরে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল ছিলেন। একদিন এক ব্যক্তি তাঁহার সহিত তর্কপ্রসঙ্গে বলে যে, ব্যবসা-বাণিজ্যাদি দ্বারা রুযী-রোজগার না করিলে লোকের পক্ষে জীবিকা উপার্জনা অসম্ভব; অর্থাৎ, কেবল চেষ্টা দ্বারাই মানুষ জীবিকা পায়, আল্লাহ রহমতে নহে।" এই কথা শুনিয়া দরবেশ কসম করিয়া বলিলেন, 'মানুষ পরিশ্রম করিয়া যে রুমী-রোজগার করে তাহা আমি গ্রহণ করিব না। দেখি রাহমানুর রাহীম আমার খাদ্য দেন কিনা?" সেই অনুসারে তিনি কয়েকদিন কিছুই খাইলেন না। তারপর আল্লাহ তাআলা মধুপোকাকে তাঁহার নিকট পাঠাইলেন। মধুপোকাগুলি তাঁহাকে মধু দিতে থাকে। হযরত যুন্নুন বলেন, "এই সকল কথা শুনিয়া আমার মন নরম হইল। আমার বিশ্বাস হইল যে, যাঁহারা কেবল আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হন, আল্লাহ তাআলা নিশ্চয়ই তাঁহাদের একটা উপায় করিয়া দেন। সেখান হইতে ফিরিয়া আসিতেছিলাম, এমন সময় দেখিতে পাই পথে একটি অন্ধ পাখী গাছের ডালা হইতে মাটিতে পড়িয়া গেল। ভাবিলাম, দেখি এই হতভাগা পাখীটি কোথা হইতে এবং কিরূপে তাহার জীবিকা পায়। দেখিলাম, মাটিতে পড়িয়াই সে নিজের ঠোঁট দিয়া মাটি খুঁড়িল। উহার মধ্য হইতে খাদ্যভরা একটি সোনার পেয়ালা ও পানিজরা একটি রূপার পাত্র বাহির হইল

তাযকেরাতুল আউলিয়া

 #रक्षाबंधनহুজুর, মনসুর আল-হাল্লাজ (الحلاج) ইসলামি আধ্যাত্মিক জগতের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একজন সুফি দরবেশ, Mys...
20/08/2025

#रक्षाबंधनহুজুর
, মনসুর আল-হাল্লাজ (الحلاج) ইসলামি আধ্যাত্মিক জগতের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একজন সুফি দরবেশ, Mystic কবি এবং আরিফ (আল্লাহর গভীর জ্ঞান অন্বেষণকারী)। তাঁর জীবন ও শিক্ষা ইসলামি তাসাউফে (Sufism) বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, যদিও তাঁর কিছু উক্তি ও আধ্যাত্মিক অবস্থান নিয়ে প্রচুর বিতর্কও হয়েছে।

জীবনী সংক্ষেপ

পূর্ণ নাম: আবু আল-মুগিস আল-হুসাইন ইবনে মানসুর আল-হাল্লাজ

জন্ম: ৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে (২৪৪ হিজরি) ফার্সের শুশতার অঞ্চলে

মৃত্যু: ৯২২ খ্রিস্টাব্দে (৩০৯ হিজরি), বাগদাদে

পেশা ও অবস্থান: সুফি দরবেশ, ভ্রমণকারী, সাধক, কবি এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষক

আধ্যাত্মিক সাধনা

অল্প বয়সেই কুরআন মুখস্থ করেন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় মন দেন।

তিনি অনেক প্রখ্যাত সুফিদের সাথে সাধনা করেছেন, যেমন: জুনায়েদ বাগদাদি (رح), আমর ইবনে উসমান আল-মাক্কি (رح)।

ভেতরের সত্যকে প্রকাশ করার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। এজন্য তাঁকে অনেক সময় “শহীদ-এ-তাসাউফ” বলা হয়।

"أنا الحق" (আনা-ল-হক) উক্তি

সবচেয়ে বিখ্যাত ও বিতর্কিত উক্তি হল—
“أنا الحق” (আনা-ল-হক) = "আমি-ই সত্য (আল্লাহ)"।

আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা:

এখানে “আল্লাহ হয়ে গেছি” অর্থে তিনি বলেননি, বরং তিনি বলতে চেয়েছেন—
তাঁর সত্তা বিলীন হয়ে গেছে আল্লাহর প্রেমে, তাঁর ব্যক্তিত্ব নেই, কেবল আল্লাহর সত্যই প্রকাশ পাচ্ছে।

সুফি ভাষায় এটি ফানা (নিজের অস্তিত্ব বিলীন করা) এবং বাকা (আল্লাহর সাথে চিরস্থায়ী হওয়া) অবস্থার প্রকাশ।

যেমন, এক ফোঁটা পানি সমুদ্রে মিশে গেলে আর তাকে আলাদা করে বলা যায় না, তেমনি তাঁর সত্তা আল্লাহর সাথে মিলেমিশে গেছে।

সমালোচনা:

অনেক আলেম ও শাসকগোষ্ঠী এটিকে শিরক ভেবেছিলেন।

রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে তাঁকে মিথ্যাচারী, বিদ্রোহী এবং ধর্মবিরোধী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

শহীদী মৃত্যু

খলিফা আল-মুকতাদিরের আমলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকার পর ৯২২ সালে তাঁকে বাগদাদে প্রকাশ্যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয় (প্রথমে প্রহার, পরে ফাঁসি ও দেহ দগ্ধ)।

মৃত্যুর সময়ও তিনি আল্লাহর প্রেমের ঘোষণা করেছিলেন।

সুফি দৃষ্টিভঙ্গি

সুফিরা তাঁকে আল্লাহর প্রেমে আত্মবলিদানকারী শহীদ মনে করেন।

তাঁর উক্তি ও কবিতায় ইশক-ই-হাকিকি (আল্লাহর প্রকৃত প্রেম), ফানা-ফিল্লাহ, এবং তাওহীদের গভীরতম রহস্য পাওয়া যায়।

অনেক সুফি বলেন— হাল্লাজ নিজের সত্তা হারিয়ে শুধু আল্লাহর নূরকে প্রকাশ করেছিলেন।

প্রভাব

পরবর্তী সময়ে রুমি, ফারিদুদ্দিন আত্তার, ইবনে আরবি প্রমুখ সুফিরা তাঁকে সম্মান দিয়ে লিখেছেন।

তিনি মুসলিম আধ্যাত্মিকতার এক বিপ্লবী প্রতীক হয়ে আছেন।

তাঁর শিক্ষা হলো: সত্য প্রেমে আত্মবিসর্জনই সর্বোচ্চ ঈমান।
#रक्षाबंधन #মোহাম্মদ #সম্মতি #पंचमी #ประชาชน #سوريا

একদা ইব্রাহীম আদহাম  (রহঃ) নৌকায় চড়িয়া কোন একটি নদী পার হইতেছিলেন। হঠাৎ ঝড় শুরু হয় এবং নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ উঠে। সেই নৌকায় ...
18/08/2025

একদা ইব্রাহীম আদহাম (রহঃ) নৌকায় চড়িয়া কোন একটি নদী পার হইতেছিলেন। হঠাৎ ঝড় শুরু হয় এবং নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ উঠে। সেই নৌকায় একখানা কোরআন শরীফও ছিল। ইব্রাহীম উচ্চৈ স্বরে বলিতে লাগিলেন, "ইলাহী! তোমার পবিত্র কোরআন শরীফ নৌকায় থাকা সত্ত্বেও কি তুমি আমাদিগকে ডুবাইয়া ফেলিবে?" এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই নদীর ঢেউ বন্ধ হইয়া যায়।

♥️♥️খাজা গরিব নেওয়াজ অতি উঁচু পর্যায়ের ওলি। তিনি এমন কথাও বলেছেন যা ওলিদের অবাক করে। যেমন একস্থানে তিনি বললেন যে, ‘(হজরত...
17/08/2025

♥️♥️খাজা গরিব নেওয়াজ অতি উঁচু পর্যায়ের ওলি। তিনি এমন কথাও বলেছেন যা ওলিদের অবাক করে। যেমন একস্থানে তিনি বললেন যে, ‘(হজরত) ইসার (নবির) সানিই আমি তথা আমিই দ্বিতীয় ইসা। কারণ, তাঁর কাছে যে রুহুল কুদ্দুস সেই একই রুহুল কুদ্দুস আমার কাছেও।’ ফারসি ভাষায় তাঁর এই অপূর্ব কথা আমরা দেখতে পাই যেমন, দাম বা দাম রুহুল কুদ্দুস আন্দার মঈনে মি দামাদ- মান নামিদানাম মাগার মান ইসায়ে সানি শুদাম।

হজরত শরফুদ্দিন ইয়াহিয়া মুনিরি ওরফে মখ্দুম শাহ্ বিহারির মকতুবাতে সদি নামক বইতে এলমে মারেফতের অতি উঁচু স্তরের কয়টি উপদেশ আমরা পাই এবং তাঁর একটি উপদেশ নিম্নে তুলে ধরলাম। তিনি তাঁর জনৈক মুরিদকে বলছেন যে, ‘জেনে রাখো বাবা, দুনিয়ার সবচাইতে বড় পাপী বলে গণ্য ব্যক্তিটি দুনিয়ার সবচাইতে উত্তম ব্যক্তিটির মাথা লাঠির দ্বারা আঘাতে জখম করলো বলে দেখলে, কিন্তু সেই আঘাত পাপী ব্যক্তিটি করে নি। তুমি বলবে, তবে? আমি এখন যা বলবো উহা তোমার বিশেষ তথা খাস বন্ধু ছাড়া কাউকে বলবে না। জেনে রাখো, সেই লাঠির আঘাত সেই পাপী ব্যক্তিটি করে নি। কারণ, আল্লাহর ইশারা ছাড়া তার পক্ষে লাঠি তোলা অসম্ভব। তুমি বলবে, এটা কেমন কথা? আমি বলবো, বাবা তুমি পরদার ভেতরে আছ, পরদা যদি খুলতে পার তবে দেখতে পাবে সব তাঁরই রহস্যময় লীলাখেলা। তুমি দেখতে পাবে যে, তিনিই বিচারক, তিনিই কৌশুলী তথা উকিল, তিনিই বাদী এবং তিনিই বিবাদী। কারণ, তিনি ছাড়া কিছুই নেই।’ আহাদ রূপের গুপ্তদর্শন এখানেই, যা তোমার কাছে অমিল-বেমিল এবং কেমন যেন খাপছাড়া মনে হবে। মোকামে তৌহিদে না যাওয়া পর্যন্ত আহাদ রূপটি মৌখিক স্বীকৃতিরই নামান্তর।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নবম শক্তিতে ঔষধের কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না। তা হলে এক হাজার শক্তিতে কী থাকতে পারে? অথবা একলক্ষ কিংবা দশলক্ষ শক্তিতে? ঔষধের কোনোই অস্তিত্বই নেই, কিন্তু অস্তিত্বহীন ঔষধ রোগের মূলে গিয়ে আঘাত করছে। ঔষধ নেই অথচ শক্তি আছে- এ কেমন কথা?

এক ফোঁটা ধাতুর (সিমেন) মধ্যে কোটি কোটি শুক্রকীট (স্পারমাটোজা) হতে একটি কীটের ক্রমবিকাশের পূর্ণাঙ্গরূপটি হলো মানুষ। আরও একটু তলিয়ে দেখি, দেখি এই ধাতু কোথা হতে এলো? শ্বেত (এ্যালবুমিন) ও লৌহ কণিকার (হিমোগ্লোবিন) মিশ্রিত রূপ রক্ত হতে ধাতুর জন্ম। রক্ত কোথা হতে এলো? খাদ্যদ্রব্য হতে রক্তের জন্ম। খাদ্যদ্রব্য কোথা হতে এলো? মাটি, পানি, আলো এবং বাতাস হতে খাদ্যদ্রব্যের জন্ম। মাটি, পানি, আলো এবং বাতাস কোথা হতে এলো? এভাবে পর পর চিন্তা করলে, আসল মূল কোথায়, এর উত্তর খুঁজতে গেলেই নিজেকে চেনার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, নিজেকে চিনতে পারলেই আল্লাহকে চেনা হয়ে যায় বলে ইসলাম ঘোষণা করেছে এবং ইহাই ইসলামের একমাত্র উপদেশ। দ্বিতীয় কোনো উপদেশ ইসলাম দেয় নি।

আল্লাহ এক কিন্তু তাঁর গুণাবলি অনেক। অনেক গুণাবলির মধ্যে সবচাইতে প্রিয় গুণটি তাঁর কী? ‘ইচ্ছা’ তাঁর সবচাইতে প্রিয় গুণ। সব গুণগুলোই ‘ইচ্ছা’ নামক গুণের অধীন। ‘ইচ্ছা’ হলো সকল গুণের নেতা বা সরদার। কিন্তু এই শীর্ষস্থানীয় ‘ইচ্ছা’ গুণটিও একদম বেকার হয়ে পড়ে কখন, কোথায় এবং কার কাছে? তিনটি প্রশ্নের একটি ছোট্ট উত্তর হলো প্রেমের তথা ইশকের কাছে ‘ইচ্ছা’ বেকার হয়ে পড়ে। প্রেমের তথা ইশকের আগুন যখন প্রেমিকের তথা আশেকের মনে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে, ‘ইচ্ছা’র দৃঢ় বাঁধনও তাকে থামিয়ে দিতে পারে না। মৃত্যুর যাতনাও প্রেমের কাছে তুচ্ছ। আইন-কানুন, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান, ছোট-বড়, রাজা-প্রজা কোনো কিছুই প্রেমকে বেঁধে রাখতে পারে না। যেন একটি জ্বলন্ত আগুনের টুকরো। কে এগিয়ে যাবে নীতির আঁচলে প্রেমকে বেঁধে রাখতে? সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে একাকার করে দেয় এই প্রেম। তাই তো জেনে-শুনেই সত্যদ্রষ্টা আদম খেয়েছিলেন নিষিদ্ধ গাছের ফল। জেনে-শুনেই আজাজিল ওরফে শয়তান গলায় নিয়েছেন কলঙ্কের মালা। বিশ্ববিখ্যাত ওলিয়ে কামেল হজরত শামসে তাব্রিজ এ রকম অতি গুপ্ত কথা তাঁর দিওয়ান-এ বলে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের বলার অধিকার নেই। সত্য যে উলঙ্গ হয়ে পড়ছে, আবরণী আর যে থাকছে না। কামনার মায়াকাননে বাস করে কিছুই জানলাম না, বুঝলাম না। যত শিখি, যত পড়ি, তাতে আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে নিজের অজ্ঞতা। তবে কি নৈরাজ্যের আঁধারে হিংসা, আত্মগরিমা, লোভ আর কামনাই জানলাম? তবে কি আমাদের মতো আমিত্বের রশিতে বাঁধা জীবনে এটুকুই জানতে পারি যে, জীবনটা সত্য, মৃত্যুটাও সত্য এবং এর মাঝখানের ছুটোছুটিটা একটা ফাঁকা, বিরাট শূন্য। হিশাব মিলাতে গিয়ে দেখি কলুর চোখ-বাঁধা বলদের মতো অনেক পথ বেয়ে একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছি, যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম!

- ♥️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

Address

Sakhipur
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আলোর ভুবন সাহিত্য সংসদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share