07/06/2024
আসছে ঈদুল আযহা ও কুরবানি। যারা আমরা কুরবানি দিব তাদের নখ-চুল ইত্যাদি কাটা বিষয়ক একটি মাসনূন আমল রয়েছে যা একটু চেষ্টা করলেই করতে পারি।
কুরবানি দাতার জন্য একটি বিশেষ আমল হচ্ছে:
জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে কুরবানি আদায় করার আগ পর্যন্ত নখ, চুল, গোফ ও শরীরের কোনো পশম না কাটা। পশু কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর এগুলো কাটা যাবে। তাই জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার আগেই নখ, চুল, গোফ বা এরকম অন্যান্য কাজগুলো সেরে ফেলা উচিত
ঈদের দিন কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর আবার এগুলো কেটে পরিচ্ছন্ন হওয়া। হাদীসের আলোকে জানা যায় উক্ত মুস্তাহাব আমলটি যারা কুরবানি দিবেন না তারাও চাইলে করতে পারেন। এতে ইনশাআল্লাহ তারাও সওয়াবের অংশীদার হবেন।
নখ-চুল কবের মধ্যে কাটতে হবে?
এ বছর জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আজ ৭ জুন শুক্রবার। যদি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যায়, তাহলে এরপর থেকে আমরা আর চুল-নখ ইত্যাদি কাটবো না। যদি চাঁদ দেখা না যায় সেক্ষেত্রে পরের দিন শনিবারের সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত নখ-চুল ইত্যাদি কাটার সময় পাওয়া যাবে। যেহেতু চাঁদ কবে উঠবে সেটা আমরা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারি না। তাই আমাদের উচিত হবে যারা কুরবানি দিব, তারা যেন আজ শুক্রবার সূর্যাস্তের আগেই উক্ত কাজগুলো সেরে ফেলি।
হাদীস-১
হযরত উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:নবী কারিম সা: বলেছেন:
"যখন তোমরা যিলহাজ্জ মাসের নতুন চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল না ছাটে ও নখ না কাটে।"
মুসলিম ৫০১৩; ই. ফা. ৪৯৫৭, ই. সে. ৪৯৬৩
হাদীস-২
আরেকটি হাদীসে আছে, একজন সাহাবী একবার হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জানতে চেয়েছেন:
‘আমার একটি মাত্র দুধের বকরি আছে। আমি কি তা কুরবানি করে দেব?’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘না, তুমি বরং তোমার নখ-চুল কাটো, গোফ ছোট করো আর লজ্জাস্থানের লোম পরিস্কার করো। আল্লাহ পাকের নিকট এটাই তোমার কুরবানির পূর্ণতা হিসেবে বিবেচিত হবে।’
আবু দাউদ, হাদীস : ২৭৯১
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুক