08/04/2025
"মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল;
আর যারা তাঁর সঙ্গে আছে, তারা কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং পরস্পরের মধ্যে দয়ালু..."
— আল-ফাতহ: ২৯
এই আয়াতে ফুটে উঠেছে এক সমান্তরাল সৌন্দর্য—
এক হাতে তরবারি, অন্য হাতে কাঁদে ভ্রাতৃত্বের অশ্রু।
এক দিকে শত্রুর বিরুদ্ধে অসীম সাহস,
অন্য দিকে ভাইয়ের মুখে হাসি ফোটানোর নিষ্পাপ চেষ্টা।
এটাই ছিল সাহাবিদের চরিত্র।
তারা কাফিরদের চোখে আগুন হয়ে উঠতো,
কিন্তু মুমিন ভাইয়ের কাঁধে তারা পরম মমতায় হাত রাখতো।
তারা যুদ্ধ করেছিল কাফিরের বিরুদ্ধে,
কিন্তু কখনোই ব্যবসায় প্রতিযোগিতায় ভাইকে ধ্বংস করেনি।
তারা ত্যাগ করেছিল মক্কার বৈভব,
কিন্তু ভাগ করে নিয়েছিল মদীনার রুটি।
কিন্তু আজ?
আজ ইতিহাস কাঁদে।
আজ আমরা ভাইয়ের পেছনে ছুরি মারি।
কাফিরের সামনে মাথা নুইয়ে দিই,
আর ভাইয়ের সামনে বুক ফুলিয়ে তাকিয়ে থাকি—
তাকে অপমান করে, তার রিজিক ছিনিয়ে নিয়ে,
তার চোখের পানি দেখে তৃপ্তি পাই।
আজ কাফিরের প্রোডাক্ট দিয়ে ব্যবসা করি,
আর মুমিন ভাইয়ের দোকানে তালা লাগাতে পারলে বিজয় উল্লাস করি।
আজ আমাদের চোখে কাফির নয়,
ভয় আমাদের ভাইয়ের প্রতিভায়!
আজ আমাদের ঈর্ষা শত্রুর নয়,
বরং ঈর্ষা হয় সেই ভাইয়ের প্রতি যে বেশি দোয়া পায়, বেশি বিক্রি করে।
আল্লাহ বলেছিলেন—
"তারা কাফিরদের উপর কঠোর এবং পরস্পরের মধ্যে দয়ালু..."
আমরা হয়ে গেছি তার উল্টো--
ভাইয়ের প্রতি কঠোর, কাফিরের প্রতি দয়ালু।
ভাইয়ের প্রতি হিংসুক, আর কাফিরের সামনে বিনয়ী।
এটা কি সেই উম্মত, যাদের প্রশংসা আল্লাহ নিজে করেছেন?
না, আমরা আর সেই সাহাবিদের উত্তরসূরি নই।
আমরা নামধারী মুসলিম—কিন্তু হৃদয় কাফিরের মতো,
যার মধ্যে নেই ভালোবাসা, নেই দয়া, নেই ভ্রাতৃত্ব।
হে উম্মতে মুহাম্মদ ﷺ, ফিরে চলো।
ভাইয়ের চোখে সম্মান ফিরে দেখো,
তার কাঁধে বোঝা কমাও, তার ইজ্জতের রক্ষক হও।