Muslim Voice

Muslim Voice ''এই পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক বৈ তো কিছুই নয়''

11/04/2025

কোনো ব্যক্তি যদি মনে করে যে, কারো কারো জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরী‘আত হতে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে, যেমন খিযিরের জন্য মূসা আলাইহিস সালামের শরী‘আত থেকে বের হওয়া বৈধ ছিল, সে (এ রকম বিশ্বাসকারী ব্যক্তি) কাফির হয়ে যাবে।

কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥﴾ [ال عمران: ٨٥]

“আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দীন তালাশ করে, কস্মিনকালেও তার নিকট থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’’। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫]

11/04/2025

মুশরিকদের সংগে বন্ধুত্ব করা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদেরকে সাহায্য করা। এর দলীল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ ٱلۡيَهُودَ وَٱلنَّصَٰرَىٰٓ أَوۡلِيَآءَۘ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمۡ فَإِنَّهُۥ مِنۡهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ٥١﴾ [المائ‍دة: ٥١]

“হে মুমিনগণ! ইয়াহূদী ও খৃস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম জাতিকে সৎপথে পরিচালিত করেন না’’। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত-৫১]

11/04/2025

জাদু করা। যেমন, এর মাধ্যেমে বিচ্ছেদ ঘটানো বা এর মাধ্যমে প্রেম-ভালোবাসা সৃষ্টি করা। যে ব্যক্তি এ কাজ করল অথবা একাজে সে সন্তুষ্ট থাকল সে কুফুরী করল। এর প্রমাণ আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী:

﴿وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَةٞ فَلَا تَكۡفُرۡۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنۡهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيۡنَ ٱلۡمَرۡءِ وَزَوۡجِهِ﴾ [البقرة: ١٠٢]

“আর তারা দু‘জন (হারুত ও মারুত) এ কথা না বলে কাউকে (জাদু) শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষা বৈ কিছু নই। অতএব, (জাদুকর্ম করে) তোমরা কুফুরী করো না’’। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১০২]

11/04/2025

যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনের কোনো বিষয়কে অথবা সাওয়াব বা শাস্তি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করবে সে কাফির বলে বিবেচিত হবে। এ কথার প্রমাণ হলো আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী:

﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥ لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ﴾ [التوبة: ٦٥، ٦٦]

“নিশ্চয় আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করলে তারা বলবে, আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছি। বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে? ওযর পেশ করো না, তোমরা ঈমান গ্রহণ করার পর কাফির হয়ে গেছ”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]

11/04/2025

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনিত কোনো বিধানকে যে ব্যক্তি অবজ্ঞা বা ঘৃণা করবে সে কাফির বলে বিবেচিত হবে। এমনকি যদি সে ঐ বিধান অনুযায়ী আমলও করে থাকে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَرِهُواْ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأَحۡبَطَ أَعۡمَٰلَهُمۡ ٩﴾ [محمد: ٩]

“এটা এজন্য যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তারা তা অপছন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ তাদের কর্ম নিষ্ফল করে দিবেন”। [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৯]

11/04/2025

যে ব্যক্তি বিশ্বাস পোষণ করে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের চেয়ে অন্য আদর্শ আরো বেশি পূর্ণাঙ্গ অথবা তাঁর হুকুম বা বিধানের চেয়ে অন্যের হুকুম বা বিধান আরো উত্তম। যেমন, কোনো ব্যক্তি যদি তাগুতের বিধানকে রাসূলের বিধানের উপরে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার দেয় সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে।

11/04/2025

যে ব্যক্তি মুশরিকদেরকে বা অংশীবাদিদেরকে কাফির মনে করে না, অথবা তাদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে অথবা তাদের ধর্মকে সঠিক মনে করে সে কাফির হয়ে যাবে।

11/04/2025

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার নিজের মাঝে মাধ্যম সাব্যস্ত করে তাদের নিকট প্রার্থনা করে, তাদের শাফা‘আত বা সুপারিশ কামনা করে, তাদের ওপর নির্ভর করে, সর্বসম্মতিক্রমে সে কাফির হয়ে যাবে।

11/04/2025

আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতে শির্ক করা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفۡتَرَىٰٓ إِثۡمًا عَظِيمًا ٤٨﴾ [النساء: ٤٨]

‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শির্ক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য অপরাধ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন’’। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪৮]

আল্লাহ আরো বলেন,

﴿إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ﴾ [المائ‍دة: ٧٢]

“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শির্ক করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিবেন, আর তার আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম। আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই’’। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭২]

এসমস্ত শির্কের উদাহরণ: যেমন, মৃত ব্যক্তির নিকট প্রার্থনা করা, তাদের নিকট সাহায্য চাওয়া ও তাদের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা এবং তাদের নামে মান্নত করা ইত্যাদি।

08/04/2025

"মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল;
আর যারা তাঁর সঙ্গে আছে, তারা কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং পরস্পরের মধ্যে দয়ালু..."
— আল-ফাতহ: ২৯

এই আয়াতে ফুটে উঠেছে এক সমান্তরাল সৌন্দর্য—
এক হাতে তরবারি, অন্য হাতে কাঁদে ভ্রাতৃত্বের অশ্রু।
এক দিকে শত্রুর বিরুদ্ধে অসীম সাহস,
অন্য দিকে ভাইয়ের মুখে হাসি ফোটানোর নিষ্পাপ চেষ্টা।

এটাই ছিল সাহাবিদের চরিত্র।
তারা কাফিরদের চোখে আগুন হয়ে উঠতো,
কিন্তু মুমিন ভাইয়ের কাঁধে তারা পরম মমতায় হাত রাখতো।

তারা যুদ্ধ করেছিল কাফিরের বিরুদ্ধে,
কিন্তু কখনোই ব্যবসায় প্রতিযোগিতায় ভাইকে ধ্বংস করেনি।
তারা ত্যাগ করেছিল মক্কার বৈভব,
কিন্তু ভাগ করে নিয়েছিল মদীনার রুটি।

কিন্তু আজ?
আজ ইতিহাস কাঁদে।

আজ আমরা ভাইয়ের পেছনে ছুরি মারি।
কাফিরের সামনে মাথা নুইয়ে দিই,
আর ভাইয়ের সামনে বুক ফুলিয়ে তাকিয়ে থাকি—
তাকে অপমান করে, তার রিজিক ছিনিয়ে নিয়ে,
তার চোখের পানি দেখে তৃপ্তি পাই।

আজ কাফিরের প্রোডাক্ট দিয়ে ব্যবসা করি,
আর মুমিন ভাইয়ের দোকানে তালা লাগাতে পারলে বিজয় উল্লাস করি।

আজ আমাদের চোখে কাফির নয়,
ভয় আমাদের ভাইয়ের প্রতিভায়!
আজ আমাদের ঈর্ষা শত্রুর নয়,
বরং ঈর্ষা হয় সেই ভাইয়ের প্রতি যে বেশি দোয়া পায়, বেশি বিক্রি করে।

আল্লাহ বলেছিলেন—
"তারা কাফিরদের উপর কঠোর এবং পরস্পরের মধ্যে দয়ালু..."

আমরা হয়ে গেছি তার উল্টো--
ভাইয়ের প্রতি কঠোর, কাফিরের প্রতি দয়ালু।
ভাইয়ের প্রতি হিংসুক, আর কাফিরের সামনে বিনয়ী।

এটা কি সেই উম্মত, যাদের প্রশংসা আল্লাহ নিজে করেছেন?

না, আমরা আর সেই সাহাবিদের উত্তরসূরি নই।
আমরা নামধারী মুসলিম—কিন্তু হৃদয় কাফিরের মতো,
যার মধ্যে নেই ভালোবাসা, নেই দয়া, নেই ভ্রাতৃত্ব।

হে উম্মতে মুহাম্মদ ﷺ, ফিরে চলো।
ভাইয়ের চোখে সম্মান ফিরে দেখো,
তার কাঁধে বোঝা কমাও, তার ইজ্জতের রক্ষক হও।

08/04/2025

ভাই বললেই আজকাল অনেকের মুখে বিদ্রুপের হাসি।
কারণ এই শব্দটা আজ ভাইয়ের পিঠে ছুরি চালানোর আগে ব্যবহৃত হয়।
'ভাই' বলে ডাক দিয়ে, পেছনে দাম বাড়িয়ে ব্যবসা কেড়ে নেওয়ার নামই যেন এখন কৌশল।
'ভাই' বলে বাহিরে হাসলেও, অন্তরে জমে থাকে ঈর্ষার পাহাড়।

কিন্তু একবার থেমে শুনো তো—
তোমার রাসূল ﷺ কী বলেছিলেন?

> "হিংসা করো না, দাম বাড়াতে প্রতারণা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না,
আলাদা হয়ে যেয়ো না। হে আল্লাহর বান্দারা! পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও।"

এই তো আমাদের পরিচয়।
হিংসার জ্বলন্ত আগুনে নয়, ভাইয়ের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোর ডাক।

প্রতিযোগিতা থাকুক—কিন্তু তা যেন হয় ভালো কাজের।
তোমার ভাই যখন ব্যবসা শুরু করে, তাকে পেছনে টেনে ধরো না।
তার দোকান বন্ধ হলে খুশি হয়ো না।
তাকে বাজার থেকে সরিয়ে নিজের মুনাফা বাড়িয়ে ঈমানের দরজা বন্ধ করো না।

> "মুসলিম মুসলিমের ভাই, সে তার উপর যুলুম করে না,
তাকে একা ফেলে যায় না, মিথ্যা বলে না, অপমান করে না।"

এই কথাগুলো যেন হৃদয়ের গহীনে কাঁপন তোলে।
কারণ আমরা তো আজ বিপরীত পথে হাঁটছি।
বন্ধুর বুকে ছুরি চালিয়ে, ভাইয়ের পিঠে বাণ ছুঁড়ে।

> "তাকওয়া এখানে" — বলেই রাসূল ﷺ বুকের দিকে তিনবার ইশারা করেছিলেন।

তাকওয়া কি আজ বুকেই হারিয়ে গেছে?

আজ একজন মুসলিম আরেকজন মুসলিমকে ছোট মনে করে, হেয় করে,
তার রক্ত, তার সম্মান, তার সম্পদ—সব যেন হালাল ভেবে বসে।

না ভাই, থামো।
কারণ রাসূল ﷺ এর জবাব এসেছে:

> "এক মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলিমের জন্য হারাম।"

হারাম!

তোমার ভাইয়ের ইজ্জত ধুলায় মিশিয়ে তুমি কখনো জান্নাতের দ্বারে যেতে পারবে না।
তার দোকান ভেঙে, তার কাঁধে বোঝা চাপিয়ে তুমি নিজেকে ধনী ভাবতে পারো—
কিন্তু আল্লাহর দরবারে সে-ই প্রকৃত নিঃস্ব, যে তার ভাইয়ের উপর যুলুম করে।

তাই ফিরে চলো।
ভাই হও—প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতারণাকারী নয়।
ভাই হও—যে ভাই কাঁধে হাত রাখে, বুকে টেনে নেয়, দোয়া করে।

রাসূল ﷺ আমাদের ভাই বানাতে চেয়েছিলেন।
আমরা কি আজ শয়তানের অনুসারী হয়ে পরস্পরের শত্রু হয়ে গেছি?

22/12/2023

গুরাবা....
তারাই গুরাবা....

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muslim Voice posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share